ইন্টারনেট কি, ইন্টারনেট কাকে বলে, ইন্টারনেটের জনক কে, ইন্টারনেট কত সালে আবিষ্কার হয়

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

প্রশ্নপত্র

ইন্টারনেট কি

বর্তমান বিশ্বে যোগাযোগের (communication) অন্যতম মাধ্যম হলো ইন্টারনেট । এই ইন্টারনেটের কল্যাণে গোটা বিশ্ব আমাদের হাতের মুঠোয় এসে পৌঁছেছে। বর্তমান পৃথিবী উন্নত হওয়ার পেছনে ইন্টারনেটের গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে গোটা বিশ্ব ধীরে ধীরে digitalized হচ্ছে এই internet এর জন্য। ইন্টারনেট ছাড়া কিন্তু আমরা এক মুহূর্ত চলতে পারিনা কারণ শিক্ষা ব্যবস্থা যোগাযোগ শিল্প প্রযুক্তি ও বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ইন্টারনেট।

ইন্টারনেট ও কম্পিউটার এই দুটোর মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে একটি পরিবারের মতো করে তুলেছে যখন ইচ্ছা যার সঙ্গে আমরা কথা বলতে পারি, ভিডিও দেখতে পারি, ভিডিও ডাউনলোড করতে পারি যেকোনো তথ্য সহজে খুঁজে পেতে পারি। ইন্টারনেট এবং কম্পিউটার (computer) বিশ্বের যুগান্তকারী আবিষ্কার যা গোটা পৃথিবীর মানুষের জীবনকে সহজ করে দিয়েছে।

ইন্টারনেট হলো এক ধরনের কম্পিউটার গ্লোবাল নেটওয়ার্ক (global network) যার সাহায্যে পৃথিবীর সমস্ত কম্পিউটারকে সংযুক্ত করে অর্থাৎ পৃথিবীর অধিকাংশ কম্পিউটার একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত (Connected) থেকে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করে এদের কে একসঙ্গে ইন্টারনেট বলে। পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ কম্পিউটারের সঙ্গে সংযোগ করার জন্য একটি নাম্বার এর প্রয়োজন হয় যা ইন্টারনেট প্রটোকল (internet protocol) বা Ip Address নামে পরিচিত।

ইন্টারনেট কাকে বলে

ইন্টারনেট এটা এমন একটি নেটওয়ার্ক যেটা একে অপরের সাথে সংযুক্ত রেখেছে পৃথিবীর সমস্ত কম্পিউটারগুলোকে। আর এই নেটওয়ার্ককে বলা হয় ইন্টারনেট। আশা করি আমি আপনাদেরকে বোঝাতে পেরেছি ।

অর্থাৎ বিশেষ একটি রাউটারের মাধ্যমে পৃথিবীর সমস্ত কম্পিউটারগুলোকে একটি আরেকটা সাথে সংযুক্ত করেছে। ফলে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। আর এই নেটওয়ার্ক হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় একটি নেটওয়ার্ক।

কেননা এই নেটওয়ার্কের সাথে সম্পূর্ণ পৃথিবী সংযুক্ত রয়েছে। এই কারণে যে কেউ পৃথিবীর একটি অংশ থেকে অপর অংশে মুহূর্তের মাঝে যোগাযোগ করতে পারে।

ইন্টারনেট বলতে কি বুঝায়

ইন্টারনেট হল সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা একটি নেটওয়ার্ক। এটি বিশ্বজুড়ে ছোট এবং বড় নেটওয়ার্কগুলির আন্তঃসংযোগ, যার মাধ্যমে আমরা বর্তমানে সবাই কানেক্টেড। সহজ কথায়, ইন্টারনেট হল এমন একটি নেটওয়ার্ক যার বিশ্বের সমস্ত কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ সংযুক্ত থাকে।

এই বিষয়টি অস্বীকার করা যায় না যে ইন্টারনেট একটি বিপ্লব হয়ে আমাদের জীবনধারাকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছে। এটি আমাদের যোগাযোগ, ব্যবসা করার, তথ্য পাওয়ার পাশাপাশি বিনোদনের উপায়কে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করেছে।

আমরা দৈনন্দিন প্রতিটা সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করি। কিন্তু ইন্টারনেট সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা রাখি না। আমি আজকে ইন্টারনেট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। ইন্টারনেট হলো এমন একটি নেটওয়ার্ক যেটা পৃথিবীর সমস্ত কম্পিউটারগুলোকে একটি অপরটির সাথে সংযুক্ত করে রেখেছে।

ইন্টারনেট কে সর্বপ্রথম যুক্তরাষ্ট্র আবিষ্কার করে। আর আমাদের বাংলাদেশের চালু হয় 1993 সালে। এর সর্ববৃহৎ প্রচলন ঘটে 1996 সালে।

স্বাভাবিকভাবে ইন্টারনেট কাজ করার জন্য তিনটি জিনিস লাগে।

1. ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার প্রয়োজন

2. ডিভাইস লাগে

3. ব্রাউজার প্রয়োজন

ইন্টারনেটের ব্যবহার অনেক ধরনের হতে পারে।

1.এর মাধ্যমে আমরা ঘরে বসে ইনকাম করতে পারি।

2. যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি।

ইন্টারনেট কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি

ইন্টারনেট মূলত ছয়টি প্রকারের বিভক্ত। সেই ছয়টি প্রকার হলো : 

  1. ক্যাবল ইন্টারনেট
  2. ডায়াল- আপ ইন্টারনেট
  3. স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
  4. সেলুলার ইন্টারনেট
  5. ডিএসএল ইন্টারনেট
  6. ওয়ারলেস ইন্টারনেট

ক্যাবল ইন্টারনেট

অর্থাৎ ক্যাবলের মাধ্যমে ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারে যে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়। তাকেই ক্যাবল ইন্টারনেট বলা হয়।

এই ইন্টারনেট কানেকশনটি সকলের কাছে জনপ্রিয়। কেননা ক্যাবলের মাধ্যমে কানেকশন এর স্পিড অনেক বেশি পাওয়া যায় পাশা পাশি নানান সুবিধা রয়েছে।

ডায়াল- আপ ইন্টারনেট

স্বাভাবিকভাবে স্ট্যান্ডার্ড মোবাইল লাইন থেকে যে ইন্টারনেটের কানেকশন পাওয়া যায়। তাকেই ডায়াল- আপ ইন্টারনেট বলে। ইন্টারনেট খুবই স্লো কাজ করে। এই কারণে এই কানেকশনটি গ্রাহকরা খুব কম পছন্দ করে।

স্যাটেলাইট ইন্টারনেট

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট হল স্যাটেলাইট। কেননা এটা মহাকাশে অবস্থিত স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেটে কানেকশন দেওয়া হয়। এই কানেকশনটি তার বিহীন কানেকশন।

সেলুলার ইন্টারনেট

আমরা আমাদের মোবাইল ফোনে যে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি তাকেই সেলুলার ইন্টারনেট বলে। ইন্টারনেট কানেকশন আমাদের সকলের কাছে জনপ্রিয় ।

কেননা এই কানেকশনের মাধ্যমে আমরা যে কোন স্থান থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি। এ কারণে সকলের কাছে এই মাধ্যমটা অনেক জনপ্রিয়।

ডিএসএল ইন্টারনেট

এটা মূলত ডায়াল- আপের ইন্টারনেট কানেকশন এর বদলিতে এসেছে। তাই এটা ডায়াল – আপের ইন্টারনেট কানেকশন থেকে প্রায় ১০০ গুণ দ্রুত সম্পন্ন কানেকশন।

ওয়ারলেস ইন্টারনেট

পরস্পর দুইটি ডিভাইস কাছাকাছি দূরত্বে নিয়ে একটি অপরটার সাথে যে কানেকশন দেয়া হয় তাকে ওয়ারলেস ইন্টারনেট বলে।

ইন্টারনেটের জনক কে, ইন্টারনেট এর জনক কে

ইন্টারনেট এর আবিস্কারক বা জনক বলা হয় ভিনটন জি কার্ফ কে।

ভিন্টন গ্রে “ভিন্ট” সার্ফ একজন প্রথিতযশা আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী, যাকে আধুনিক ‘ইন্টারনেটের জনক’ বলা হয়ে থাকে। তার এই উপাধিটি তিনি আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী রবার্ট কানের সাথে ভাগ করেছেন। অবৈতনিক ডিগ্রির সাথে তার এই অবদানসমূহ স্বীকার এবং প্রশংসিত করা হয়েছে। তাকে ন্যাশনাল মডেল অফ টেকনোলজি, টুরিং পুরস্কার এবং ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এর সদস্যপদ সহ প্রযুক্তিগত অনেক পুরস্কার পেয়েছেন।

ইন্টারনেট আবিষ্কার করেন কে

আমেরিকান বিজ্ঞানী টিম বার্নার্স লি 1969 সালে ইন্টারনেট আবিষ্কার করেন। ইন্টারনেট আবিষ্কারে অনেক দীর্ঘ সময় লেগেছে।

একক কোন ব্যক্তি ইন্টারনেট আবিষ্কার করেন নি অনেক বিজ্ঞানীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইন্টারনেট আবিষ্কার হয়েছে । তবে Bob Khan ও Vint Cerf ইন্টারনেটের কাঠামো তৈরি করেন যা এখনও ব্যাবহার হচ্চে। Internet এর মূল অংশ Tcp/Ip Protocol তারা তৈরি করেন Tcp/Ip এর পূর্ণরূপ হল Transmission Control Protocol / Internet Protocol তাদের এই ইন্টারনেটের কাঠামোর উপর নির্ভর করে পরবর্তীকালে ইন্টারনেট আবিষ্কার হয়।

ইন্টারনেট কত সালে আবিষ্কার হয়

আসলে ইন্টারনেট তো আর এক দিনে আবিষ্কার হয়নি তাই সেই ভাবে নির্দিষ্ট করে সময় উল্লেখ করতে গেলে বলতে হয় ২য় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী যুক্তরাষ্ট্র-সোভিয়েত কোল্ড ওয়ারের সময় ইউএসএ সম্ভাব্য যুদ্ধের পরিস্থিতিতে তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা যেন একেবারে ধ্বংস না হয়ে যায় সেই উদ্দেশ্যে টেলিগ্রাফ টেলিফোনের বিকল্প হিসেবে তাদের সামরিক বাহিনীর জন্য ‘MILNET’ নামে একটা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরী করে। এটাই পরবর্তীতে ধীরে ধীরে উন্নতি হয়ে আজকের ইন্টারনেটে পরিণত হয়েছে।

১৯৬০-এর দশকে amarican army’s গবেষণা সংস্থা আরপা (ARPA) পরীক্ষামূলকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাগারের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। প্যাকেট স্যুইচিং পদ্ধতিতে তৈরি করা এই নেটওয়ার্ক (ARPANET) নামে পরিচিত ছিল। এতে প্রাথমিকভাবে যুক্ত ছিল। ইন্টারনেট ১৯৮৯ সালে আইএসপি দ্বারা সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ১৯৯০ এর মাঝামাঝি থেকে ১৯৯০ এর পরবর্তি সময়ের দিকে পশ্চিমাবিশ্বে ইন্টারনেট ব্যাপক ভাবে বিস্তৃত হতে থাকে।

  • দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে আমেরিকা ও সোভিয়েত রাশিয়ার মধ্যে ঠান্ডা লড়াই (Cold War) এর সূচনা হয় সেই সময় 1960 দশকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর গবেষণা সংস্থা advanced research project agency (ARPA) কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাগার এর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল একটি কম্পিউটার থেকে আরেকটি কম্পিউটারে ডাটা ট্রান্সফার করা।
  • Packet Switching এর মাধ্যমে তৈরি করা নেটওয়ার্ক ARPANET (advanced research project agency network) নামে পরিচিত ছিল। ARPANET 1969 সালে The University of California at los Angeles, The The University of California at Santa Barbara, Stanford research institute এবং University of Utah এই চার বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা আলাদা কম্পিউটারের সঙ্গে সংযোগ করতে সক্ষম হয় এবং যেকোন তথ্য এই কম্পিউটার গুলির মধ্যে আদান-প্রদান করা হয়।
  • 1971 সালে ARPANET আরো কতগুলি বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটারের সঙ্গে Connect করতে সক্ষম হয় এবং ধীরে ধীরে নেটওয়ার্কের বিস্তার বাড়তে থাকে।
  • 1972 সালে Bob Khan ও Vint Cerf দুটো আলাদা নেটওয়ার্ক ডিভাইসের মধ্যে কিভাবে সংযোগ করা যায় এ বিষয়ে তারা research করতে থাকে এবং তারা দুটো আলাদা দুটো আলাদা নেটওয়ার্ক ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ করার জন্য Gateway নামের একটি ডিভাইস তৈরি করে। তারা Tcp/Ip প্রটোকল তৈরি করে এই প্রটোকলের মাধ্যমে আলাদা আলাদা নেটওয়ার্ক ডিভাইস এর সঙ্গে কানেক্ট করতে সক্ষম হয়। এইভাবে ধীরে ধীরে ইন্টারনেট আবিষ্কার হয়।
  • 1981 সালে একটি একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হয় যার নাম CSNET (computer science network) এটি আসার পর অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিভাইসের সঙ্গে ডাটা transmit করতে সক্ষম হয়। এইভাবে ইন্টারনেটের বিস্তার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
  • 1986 সালে NSFNET নেটওয়ার্ক developed হয় । এটি National Science Foundation (NSF) তৈরি করে। আলাদা আলাদা কম্পিউটারের সঙ্গে কানেক্ট করে ডাটা transmit করাই ছিল প্রধান কাজ । তখন NSFNET (National Science Foundation Network) এর স্পিড ছিল 56kbps । 1988 সালে এটাকে একটু upgrade করা হয় এবং এর স্পিড বেড়ে দাঁড়ায় 1.5mbps
  • 1990 সালে ARPANET বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ এটি অনেক পুরনো হয়ে গেছিল এবং ডাটা ট্রান্সফার এর স্পিড খুবই কম । এর জন্য ARPANET এর জায়গায় NSFNET কে Replace করা হয়।
  • Tim Berners-Lee 1989 সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) ও এইচটিটিপি (Http) আবিষ্কার করেন । এর ফলে অনলাইনে (online) ডেটা আদান-প্রদান করা সম্ভব হলো।

এভাবে নেটওয়ার্কের জাল গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়তে লাগলো ।

আরো পড়তে: ইন্টারনেট সংজ্ঞায়িত করুন এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এর দুটি ব্যবহার লিখুন। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) থেকে এটি কীভাবে আলাদা?

ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে

ইন্টারনেট যেকোনো তথ্যকে (ডেটা)এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ট্রান্সফার করে। আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে আপনি ক্লিক করার সাথে সাথে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেই তথ্যটি আপনার কম্পিউটারের স্ক্রিনে কীভাবে উপস্থিত হয়? চোখের পলকে কীভাবে ডেটা এক দেশ থেকে অন্য দেশে স্থানান্তরিত হয়।

আমরা এতদিন জেনেছি যে ইন্টারনেট হল অনেক নেটওয়ার্কের একটি গ্রুপ। এই নেটওয়ার্কে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল, ফোন, মোবাইল, স্যাটেলাইট এবং ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার একে অপরের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য ISP (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) BSNL, Airtel, Jio এর থেকে কানেকশন নিতে হয়। 

ইন্টারনেট ক্লায়েন্ট সার্ভার আর্কিটেকচারে কাজ করে। যেখানে ডেটা সেভ করা হয় তাকে বলা হয় সার্ভার এবং যার ডেটা প্রয়োজন তাকে ক্লায়েন্ট বলা হয়। ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করার জন্য, আমাদের একটি বিশেষ সফ্টওয়্যার প্রয়োজন যার নাম ব্রাউজার।

শুধুমাত্র ব্রাউজারের সাহায্যে ক্লায়েন্ট এবং সার্ভারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন হয়। এই যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় কিছু বিশেষ নিয়ম অনুসরণ করা হয় যাকে TCP/IP বলা হয়। রিকোয়েস্ট ডেটা ছোট ছোট প্যাকেটে সার্ভার থেকে ক্লায়েন্ট কম্পিউটারে ট্রান্সফার করে। IP ক্লায়েন্ট কম্পিউটারের অবস্থান নির্দেশ করে এবং এইভাবে ডেটা সার্ভার থেকে ক্লায়েন্টে প্রেরণ করা হয়। সার্ভার থেকে ক্লায়েন্টের কাছে ডেটা যেই স্পিডে পৌঁছায় তা ইন্টারনেটের স্পিডের উপর নির্ভর করে। 

উদাহরণ:

উদাহরণ: উদাহরণস্বরূপ, আমরা যদি ইন্টারনেটে 91 Mobiles এর একটি ভিডিও দেখতে চাই, তাহলে আমরা ব্রাউজারে 91 Mobiles এর ভিডিও টাইপ করে সার্চ করব। আমরা সার্চ রেজাল্টে 91Mobiles এর ভিডিও লিঙ্ক দেখতে পাব। এর মধ্যে যেকোনো একটি সিলেক্ট করে আমরা ইন্টারনেটে ভিডিও দেখতে পারি। অন্যদিকে আমরা যদি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মেসেজ বা ডেটা ট্রান্সফারের উদাহরণের কথা বলি, তাহলে তার মধ্যে অন্যতম হল হোয়াটসঅ্যাপ। যার মাধ্যমে মানুষ আজ বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে যে কোন ব্যক্তির সাথে কথা বলতে পারে। এছাড়াও মেসেজ, ছবি, ভিডিও পাঠানোর পাশাপাশি অডিও এবং ভিডিও কলও করতে পারে।

শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার, শিক্ষায় ইন্টারনেটের ব্যবহার, শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার, শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের 10 টি ব্যবহার

ইন্টারনেট আসার পরে আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে কি ধরনের সুবিধা পেয়েছি বা শিক্ষা ক্ষেত্রে কি ধরনের পরিবর্তন এসেছে তা কিন্তু সকলেরই জানা।

ইন্টারনেট না আসলে হয়তো আমরা কখনো বুঝতেই পারতাম না যে এত সহজেই শিক্ষা গ্রহণ করা যেতে পারে বা শিক্ষা ক্ষেত্রে এতকিছু পরিবর্তন আসবে। তারপরও এখন ও অনেক মানুষ আছে যারা শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার গুলো বোঝেনা। তো চলুন নিচে এখন আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০ টি ব্যবহার গুলো একে একে জেনে নেই।

১. খুব সহজে বই পড়া

যখন ইন্টারনেট ছিল না তখন যদি কোন বই পড়তে চাইলে আপনাকে লাইব্রেরীতে গিয়ে সেই বইটি পড়তে হতো বা বইটি লাইব্রেরী থেকে কিনে নিয়ে আসে পড়তে হত।

যার ঘরে যে কয়টি বই আছে সে সেই কয়টি বই ছাড়া আর এর বেশি বই কোনভাবে পড়তে পারতো না। কিন্তু যেদিন থেকে পৃথিবীতে ইন্টারনেটের আবিষ্কার করা হয় তার কিছুদিনের মধ্যেই অনলাইনে মোবাইলের মধ্যেই এখন হাজার হাজার বই পড়া যায়।

পৃথিবীর মধ্যে এমন কোন বই নেই যেটা ইন্টারনেটের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় না। শুধুমাত্র একটি ক্লিক করার বিনিময়ে আমরা নিজেদের ইচ্ছামত যেকোনো বই পড়তে পারতেছি।

কিছুদিন আগেও এই বিষয়টি কল্পনা করা যেত না এখন আমরা সেটা বাস্তবে দেখতে পাচ্ছি।  মোবাইলে কিংবা ল্যাপটপ কিংবা ডেক্সটপে ই-বুক পিডিএফ ফাইলসহ আরও এই ধরনের যাবতীয় বিষয়গুলোর মাধ্যমে এখন যেকোনো বই পড়া খুব সহজ হাতের মুঠোয়  এসেছে।

২. ইনফো খুঁজে পাওয়া

যে যুগে মানুষের মধ্যে ইন্টারনেট এর ব্যবহার ছিল না সেই যুগে কেউ মুখে মুখে না বললে কোন ধরনের ইনফরমেশন পাওয়া যেত না। এছাড়াও পড়াশোনার জন্য শুধুমাত্র বইয়ের মধ্যে যে ইনফো আছে সেটুকু ছাড়া বাহিরের কোন ইনফো হতো না।

কিন্তু যখনই আমাদের হাতে ইন্টারনেট চলে এসেছে তখনই আমরা বইয়ের ভিতরে ছাড়াও আরো অসংখ্য শত শত ইনফোগুলো খুব সহজে খুঁজে পাচ্ছি ইন্টারনেট এর মাধ্যমে।

দেশ-বিদেশে ঘটে যাওয়া নানা ধরনের ঘটনাগুলো যেটা আমাদের পরবর্তীতে পরীক্ষাতে কাজে লাগে সেগুলো আমরা মোবাইলের মধ্যে এক সেকেন্ডেই বের করে ফেলতে পারছে।

৩. অনলাইনে ক্লাস

যদিও ইন্টারনেট আসার পরেই এই প্রসারণটি শুরু হয় নাই । কিন্তু যখন ২০২০ সালে পুরো পৃথিবীতে করোনা ভাইরাসে আক্রমণ করল তখন থেকে অনলাইনে ক্লাস করার বিষয়টা প্রকট আকার ধারণ করেছে।

আর এই অনলাইনে ক্লাস করার বিষয়টা আসার পর থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে যে কত বড় পরিবর্তন এসেছে সেটা মুখে বলে বোঝানো সম্ভব নয়। স্কুল কলেজ কিংবা কোন টিচারের কাছে না গিয়েই আমরা ঘরে বসেই যে কোন শিক্ষকের ক্লাস খুব সহজে করতে পারছি।

যদি শিক্ষার্থীরা এই ইন্টারনেট ব্যবহার না করে অনলাইনে ক্লাশ না করতো তাহলে তারা পড়াশোনায় অনেক বেশি পিছিযে যেত। এর কারণ হচ্ছে করোনা ভাইরাসের সময় সারা পৃথিবীর প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল এবং শ্রেণিকক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীরা কোন পাঠদান করতে পারছিল না।

তো সেই সময় ছাত্র-ছাত্রীরা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পড়াশোনা করে তাদের পড়াশোনায় অব্যাহত রেখেছিল এবং তারা আর পিছিয়ে যায়নি।

৪. একসাথে অনেককে পাঠদান

ক্লাস রুমে যখন খুব বেশি ছাত্র-ছাত্রী একসাথে ক্লাস করা হয় তখন সেখানে গ্যাঞ্জাম হয়ে যায় অনেক বেশি। আর এই গ্যাঞ্জামের কারণে রুমের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায় ও বেশি শব্দ সৃষ্টি হওয়ার কারণে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনা।

কিন্তু যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে ক্লাস করা হয় তখন সেখানে যদি লক্ষাধিক ছাত্রছাত্রী একসাথে ক্লাস করে তাহলেও কোন সমস্যা হয় না। এটিও শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের যুগান্তকারী একটি পরিবর্তন।

যেহেতু ইন্টারনেটের কল্যাণে অনেকে ক্লাস করার সময় কোন ধরনের সমস্যা হচ্ছে না। তাই সেখানে ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক সবাই খুব মনোযোগ সহকারেই তাদের শিক্ষার কার্যক্রম গুলো চালাতে পারছে।

৫. ফ্রীতে পাঠদান

যখন ইন্টারনেট ছিল না সেই সময়ে বইয়ের কোন বিষয় না বুঝলে আমাদেরকে প্রাইভেট টিচারের কাছে গিয়ে সেটা বুঝে নিতে হত। আর এটার কারণে প্রাইভেট টিচারকে অনেক বেশি টাকা প্রদান করতে হতো।

যদিও এখনও অনেক শিক্ষার্থী প্রাইভেট এ গিয়ে পড়াশোনা করে । কিন্তু যদি তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে এই পড়াশোনা গুলো করত তাহলে তাদের কোন টাকা খরচ হইতো না।

ইদানিং ইউটিউবে গিয়ে যেকোনো বইয়ের যেকোনো অধ্যায়ের হাজার হাজার ক্লাস একদম ফ্রিতেই পাওয়া যায়। ভিডিও শেয়ারিং যে সমস্ত প্ল্যাটফর্ম আছে যেমন ইউটিউব ফেসবুক বা অন্যান্য সেগুলোতে অভিজ্ঞ শিক্ষকরা হাজার হাজার ভিডিও কন্টেন্ট আপলোড করে রেখেছে ছাত্রছাত্রীদের জন্য।

৬. সমানভাবে শিক্ষার্থীদের কে পাঠদান

যারা শহরে বসবাস করে সেখানে অনেক উন্নতমানের টিচারদের থেকে শিক্ষার্থীরা অনেক ভালোভাবে পড়াশোনা আদায় করে নিতে পারে। কিন্তু যারা গ্রামে থাকে তারা অত বেশি উন্নত মানের শিক্ষকদের কাছে পড়ার কোন সুযোগ পায় না।

আর যখন থেকে ইন্টারনেট আসার প্রচলন শুরু হয়েছে এবং মানুষ এটি বেশি ব্যহার করা শুরু করেছে তখন থেকেই সবাই সমান ভাবে শিক্ষকদের কাছে থেকে পাঠদান করতে পারছে।

অর্থাৎ এখন বড় কোন শহরের শিক্ষার্থী যে শিক্ষকের কাছ থেকে পড়াশোনা করতেছে আবার গ্রামে বসে থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে গ্রামের শিক্ষার্থীরা ওই একই শিক্ষকের কাছ থেকে পাঠদান নিতে পারছে।

৬. ভর্তির ব্যাপারে সহজ প্রক্রিয়া

যে সময় শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের কোন ব্যবহার হতো না সেই সময় ভর্তি হওয়ার জন্য সরাসরি স্কুলে কিংবা কলেজে গিয়ে ভর্তি আবেদন করতে হতো। তখন সেখানে গিয়ে অনেক ভিড় এবং গ্যাঞ্জাম হত আবার সেটা অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার ছিল।

কিন্তু শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার আসার পর থেকে এখন স্কুল কলেজ কিংবা ইউনিভার্সিটি গুলো ইন্টারনেটের মধ্যেই তাদের ভর্তির সমস্ত কার্যক্রম গুলো কমপ্লিট করে থাকে।

আবার যেকোনো শিক্ষার্থী ঘরে বসেই তাদের ইন্টারনেট ব্যবহার করা ডিভাইসটির মাধ্যমে সেই ভর্তির কার্যক্রমগুলোতে অংশ নিতে পারছে। এই কারণে গ্রামে যারা আছে তারাও এখন বড় বড় শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের ভর্তির আবেদন করতে পারছে।

৭. বইয়ের বাহিরেও পড়াশুনা

যখন একজন মানুষের কাছে ইন্টারনেট এর এক্সেস চলে আসে তখন সে পুরো পৃথিবীর খবর নিতে পারে। আর এটি শুধুমাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই নেওয়া সম্ভব।

যখন আমরা বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা দিতে যাই সেখানে অনেক ধরনের প্রশ্ন আসে যেটা বইয়ের বাইরে থেকেও হয় অনেক সময়। যদি আমরা শুধু বইয়ের ভিতরের পড়াশোনা করি তাহলে সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর কখনো পাবে না।

এই ইন্টারনেট আসার ফলে বইয়ের বাহিরে যত পড়াশোনা আছে বা জ্ঞান আছে । সেগুলো আমরা খুব সহজে অর্জন করতে পারছি এবং নিজের জ্ঞানের পরিসীমাটা বাড়িয়ে নিতে পারছি।

৮. বাহিরের দেশের পড়াশুনা সম্পর্কে জানা

যখন আমরা শুধুমাত্র নিজের দেশের পড়াশুনা গুলো নিয়ে ভাববো তখন খুব অল্প পরিমাণে বিষয় জানতে পারব।

কিন্তু যখন জানতে পারব যে বাইরের দেশের মানুষেরা কিভাবে তাদের পড়াশোনাগুনা চালিয়ে যাচ্ছে সেগুলো জানলে আমাদের পড়াশোনার মান অনেক বেড়ে যায়।

উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে শিক্ষার্থীরা অনেক এডভান্স লেভেলের পড়াশোনা করে আর সেই অনুযায়ী যদি আমরা সেগুলো দেখে তাদের প্যাটার্ন অনুযায়ী নিজের অধ্যয়ন পরিচালনা করে তাহলে আমরাও অনেক উন্নতি লাভ করতে পারব।

ইন্টারনেট আসার ফলে বাইরের দেশের পড়াশোনা সম্পর্কে খুব সহজে আমরা জানতে পারছি এবং আমাদের পড়াশোনার সিস্টেমটাকে আরো আপডেট করতে পারছি ।

৯. প্রজেক্টর এর মাধ্যমে পাঠদান

একজন শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার বিষয়গুলো যদি প্রাক্টিক্যালি দেখিয়ে দেওয়া যায় তাহলে কিন্তু তার পড়াশোনা গুলো মাথার মধ্যে ভালোভাবে ঢুকে যাবে।

তো ইদানিং দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ক্লাসরুমে প্রজেক্টর ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের কে পড়ানো হচ্ছে। এই প্রজেক্টর ব্যবহারের ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশুনা গুলো আরো ভালোভাবে বুঝতে পারছে এবং নিজের পড়াশোনাকে আরো ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারছে।

প্রজেক্টর ব্যবহার করে পড়াশুনা কিন্তু ইন্টারনেট আসার ফলেই সম্ভব হয়েছে। এই কারণে বলা যায় ইন্টারনেট এর গুরুত্ব অনেক বেশি রয়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রে।

১০. ঠিক ভুল বিষয় বের করা

ইন্টারনেট না থাকলে আমরা যেটা পরবো সেটাই বুঝবো অর্থাৎ এই পড়াটাই ভুল নাকি শুধু সেটা যাচাই করার কোন উপায় নেই।

অনেক সময় দেখা যায় বইয়ের মধ্যে ভুল লেখা থাকে কিংবা শিক্ষকগণ কিছু ইনফরমেশন ভুল পরিয়ে দেয়। যখন বইয়ের বাহিরে কোন কিছু আমাদের হাতে থাকে না তখন সেই ভুলগুলো আমরা মুখস্থ করে যাই।

তবে ইন্টারনেট যেদিন থেকে এসেছে তারপরে আমরা যখন শিক্ষা ক্ষেত্রে এই ইন্টারনেট এর ব্যবহার শুরু করেছি তখন থেকেই সুন্দরভাবে ঠিক ভুল বিষয়গুলো জানতে পারছি।

ইন্টারনেটের ব্যবহার, ইন্টারনেট ব্যবহার, ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার

ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাগুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:-

অনলাইন বুকিং এবং অর্ডার

ইন্টারনেট যেকোন জায়গা থেকে সরাসরি তাদের ডিভাইস ব্যবহার করে বাস, ট্রেন, ফ্লাইট (দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক) টিকিট বুক করা অনেক সহজ করে দিয়েছে। লোকেরা তাদের বর্তমান অবস্থান বেছে নিয়ে একটি ট্যাক্সি বুক করতে পারে এবং তাদের একটি নির্দিষ্ট স্থানে তোলা বা নামানো হবে। এখন টিকিট কাউন্টারে টিকিট বুক করার জন্য কাউকে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হবে না।

এছাড়াও, লোকেরা ইন্টারনেট এবং ডিভাইস ব্যবহার করে ঘরে বসে বিভিন্ন ধরণের পণ্য অর্ডার করতে পারে। এটি মুদি পণ্য থেকে শুরু করে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত, ফ্যাশনেবল পোশাক থেকে ওষুধ পর্যন্ত হতে পারে। বেশিরভাগ আইটেম বাড়িতে অর্ডার করা যেতে পারে এবং সরাসরি বারির দরজায় পণ্য পাওয়া যায়।

ক্যাশলেস লেনদেন

বেশিরভাগ দেশই নগদবিহীন লেনদেন এবং ডিজিটাল পেমেন্টের প্রচার করছে। এটি লোকেদের বেশি নগদ বহন করতে সহায়তা করে। লোকেরা POS ডিভাইস ব্যবহার করে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে তাদের বিল পরিশোধ করতে পারে। এই ডিভাইসগুলি ইন্টারনেটে পেমেন্ট গেটওয়ের সাথে সংযুক্ত থাকে । এছাড়াও, লোকেরা UPI (ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস) লেনদেন প্রক্রিয়াকরণের জন্য তাদের স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে। এমনকি তাদের কার্ড বহন করারও প্রয়োজন নেই। UPI অর্থপ্রদানের পদ্ধতি ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে এবং নিকট ভবিষ্যতে বেশিরভাগ লেনদেন কভার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শিক্ষা

আজকাল বেশিরভাগ ডিভাইসই ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত। ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরণের সাথে যেকোনো বিষয়ে বিস্তৃত শিক্ষামূলক সামগ্রীর উপলব্ধতা রয়েছে। মানুষ ইন্টারনেটে মাত্র কয়েক মিনিট ব্যয় করে প্রাসঙ্গিক বিষয় অধ্যয়ন করতে পারে। ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন মানুষকে দ্রুত একাধিক ফরম্যাটে (যেমন ছবি, ভিডিও, নথি ইত্যাদি) প্রাসঙ্গিক অধ্যয়নের উপাদান খুঁজে পেতে সাহায্য করে। এটি পছন্দসই তথ্য খুঁজতে বেশ কয়েকটি বই পড়ার জন্য লাইব্রেরিতে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা দূর করতে সহায়তা করে।

এছাড়াও, ইন্টারনেট শিক্ষার্থীদের ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে তাদের ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম করেছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষক বা পেশাজীবীদের সাথে বিশ্বের যে কোনো স্থানে সংযোগ করতে পারে।

অনলাইন ব্যাংকিং এবং ট্রেডিং

ইন্টারনেট চালু হওয়ার পর বদলে গেছে ব্যাংকিং পদ্ধতি। ইন্টারনেট ব্যাংকিংকে অনলাইন করেছে যেখানে লোকেরা ঘরে বসে বা বিদেশে ভ্রমণের সময় তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারে। আজকাল, ব্যাংকিংয়ের বেশিরভাগ বৈশিষ্ট্যই মানুষের হাতে রয়েছে। অনলাইন ব্যাঙ্কিংয়ের সাহায্যে, লোকেরা নিরাপদে এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করতে, তাদের এটিএম পিন পরিবর্তন করতে, ফিজিক্যাল বা ভার্চুয়াল ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে, ক্রেডিট কার্ডের সীমা আপডেট করতে, আন্তর্জাতিক লেনদেনগুলি সক্ষম বা অক্ষম করতে, তাদের লেনদেনগুলি ট্র্যাক করতে এবং অনেক কিছু করতে পারে। আরো এছাড়াও, তারা এমনকি একটি অনলাইন অভিযোগ বা ব্যাঙ্কের সহায়তা কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

এছাড়াও, ইন্টারনেট যেকোন জায়গা থেকে শেয়ার বাজারে লেনদেন করা মানুষের জন্য অনেক সহজ করে দিয়েছে। লোকেরা সহজেই অনলাইনে স্টক কিনতে, বিক্রি করতে বা পরিচালনা করতে পারে।

গবেষণা

গবেষণার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করার আগে, যে কোনও বিষয়ে তথ্য সন্ধান করা বেশ কঠিন ছিল। কাঙ্খিত তথ্যের জন্য রেফারেন্সের জন্য মানুষকে শত শত বইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। যাইহোক, ইন্টারনেট এটিকে অনেক সহজ করে দিয়েছে এবং যে কেউ শুধুমাত্র কিছু ক্লিকেই প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে পেতে পারে। গবেষণায়, লোকেরা সাফল্য এবং ব্যর্থ গবেষণা সম্পর্কে অধ্যয়ন করতে পারে এবং উন্নতির জন্য আরও কাজ করতে পারে। গবেষণায় ইন্টারনেটের ব্যবহার গবেষকদের জন্য অবিশ্বাস্যভাবে উপকারী।

ইলেক্ট্রনিক মেইল

ইমেল বা ইলেকট্রনিক মেইল ইন্টারনেটের প্রথম উল্লেখযোগ্য ব্যবহারগুলির মধ্যে একটি। ইমেল ইন্টারনেটে মানুষের মধ্যে দ্রুত যোগাযোগ সক্ষম করেছে। ইমেল ব্যবহার করে, লোকেরা দ্রুত তথ্য, ডেটা ফাইল, যেমন ছবি, অডিও, ভিডিও এবং অন্যান্য ধরনের ফাইল শেয়ার করতে পারে। ইমেলের ব্যবহার কাগজের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে, যা পুরানো দিনে যোগাযোগের প্রাথমিক উত্স ছিল। যে কেউ একটি বিনামূল্যে ইমেল ঠিকানা থাকতে পারে এবং সহজেই অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এটি ফিজিক্যাল মেইল সিস্টেমের উপর লোডও হ্রাস করেছে, যদিও এটি এখনও ব্যবহার করা হচ্ছে।

চাকরি খোঁজা

চাকরি পাওয়া আগের চেয়ে অনেক সহজ। যেকোনো ব্যক্তি ইন্টারনেট ব্যবহার করে প্রাসঙ্গিক চাকরির তথ্য দেখতে পারেন। আগে, কোনও পদ খালি আছে কি না তা জানতে লোকেদের প্রতিটি সংস্থার মাধ্যমে পৃথকভাবে যেতে হত। যাইহোক, ইন্টারনেট মানুষকে তাদের আগ্রহ অনুসারে ঘরে বসে কর্মসংস্থান খুঁজে পেতে সক্ষম করেছে। অনেক ওয়েবসাইট কাজের প্রাপ্যতা সম্পর্কে বিশদ প্রদান করে। একবার লোকেরা তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিলে, এই ওয়েবসাইটগুলি ইমেলের মাধ্যমে শূন্যপদ সম্পর্কে অবহিত করে। এছাড়াও, প্রতিটি সুপরিচিত কোম্পানির নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখানে কোম্পানি শূন্যপদ খোলার বিষয়ে পোস্ট করে। সুতরাং, ঘরে বসেই, লোকেরা অনুসন্ধান করতে পারে, চাকরির জন্য আবেদন করতে পারে এবং এমনকি তাদের ইন্টারভিউ দিতে পারে এবং তাদের ফলাফল দেখতে বা জানতে পারে।

সামাজিক যোগাযোগ

সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলি সারা বিশ্বের মানুষকে সংযুক্ত করেছে। সামাজিক নেটওয়ার্কিং ইন্টারনেটের একটি অপরিহার্য অংশ। ইন্টারনেটের সাহায্যে, লোকেরা সামাজিক গোষ্ঠী গঠন করার ক্ষমতা পেয়েছে যেখানে তারা যে কোনও বিষয়ে তথ্য, চিন্তাভাবনা এবং ধারণাগুলি ভাগ করতে পারে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম হল কন্টেন্টের সবচেয়ে বড় উৎস, যা তথ্যপূর্ণ বিষয়বস্তু থেকে বিনোদন পর্যন্ত সবকিছুকে কভার করে। সবচেয়ে ভাল জিনিস হল এই পরিষেবাগুলি ব্যবহার করার জন্য লোকেদের কিছু দিতে হবে না। এটি ব্যবসাগুলিকে তাদের সম্প্রদায়ের বিকাশ এবং তাদের পণ্যগুলিকে প্রচার করতে সহায়তা করে।

সহযোগিতা

ইন্টারনেটের কারণে যোগাযোগ সহজ ও উন্নত হয়েছে। আপনি সহজেই ইন্টারনেটে যে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, হয় টেক্সটিং, কলিং বা ভিডিও কলিং। এটি জনগণের জন্য নতুন সহযোগিতার সুযোগ তৈরি করেছে। বেশ কয়েকটি অনলাইন চ্যাট সফ্টওয়্যার এবং ওয়েবসাইট রয়েছে যা লোকেদের গ্রুপ আলোচনা বা মিটিং তৈরি করতে সহায়তা করে। এটি ব্যবসাগুলিকে ঝামেলামুক্ত আলোচনা করতে সহায়তা করে। তাই, সভাগুলিতে যোগ দেওয়ার জন্য লোকেদের সর্বদা দীর্ঘ দূরত্ব ভ্রমণ করার দরকার নেই। এটি লোকেদের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে এবং উত্পাদনশীল ব্যবহারের জন্য সময় বাঁচাতে সহায়তা করে।

এছাড়াও, অনেক ক্লাউড-ভিত্তিক সফ্টওয়্যার এবং ওয়েবসাইট রয়েছে যা একই সময়ে একই প্রকল্পে একই সাথে কাজ করার প্রস্তাব দেয়। বিভিন্ন স্থানের লোকেরা সহজেই সংযোগ করতে পারে এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাদের বিশেষত্বকে সমর্থন করতে পারে।

বিনোদন

ইন্টারনেট হল বিনোদনের সবচেয়ে কার্যকরী মাধ্যম। ইন্টারনেটে বিভিন্ন বিকল্প উপলব্ধ রয়েছে, যা লোকেরা চেষ্টা করতে পারে, যেমন সিনেমা দেখা, অনলাইন গেম খেলা, গান শোনা ইত্যাদি। ইন্টারনেট মানুষের জন্য তাদের লোকাল স্টোরেজে বিনোদন আইটেম ডাউনলোড করা সহজ করে দিয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে, লোকেরা তাদের ভিডিও, গান, ছবি অন্যদের সাথে অনলাইনে শেয়ার করতে পারে। এছাড়াও, আজকাল, লোকেরা ইন্টারনেটে লাইভ টিভি বা খেলাধুলা দেখতে পারে।

ই-কমার্স

ইন্টারনেট শুধু জিনিসপত্র অর্ডার করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি পণ্য বিক্রি করতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেক ই-কমার্স ওয়েবসাইট ব্যবসা এবং ব্যক্তিদের তাদের পণ্য বিক্রি করার অনুমতি দেয়। পণ্যগুলি এই ই-কমার্স সংস্থাগুলি দ্বারা ক্রয় করা হয়, তাদের গুদামে সংরক্ষণ করা হয়, তাদের ব্র্যান্ড প্যাকেজিংয়ে প্যাকেজ করা হয় এবং নিজেদের দ্বারা বিতরণ করা হয়। ই-কমার্স কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের কাছে পণ্য বিতরণের জন্য কিছু কমিশন নেয়। এছাড়াও, তারা গ্রাহকদের জন্য দুর্দান্ত ছাড় এবং অফার দেয়। সবচেয়ে ভাল জিনিস হল গ্রাহকদের ফিজিক্যাল দোকানে যেতে হবে না। এছাড়াও, বিক্রেতারা তাদের ওয়েবসাইট তৈরি করতে এবং সেখানে তাদের পণ্য তালিকাভুক্ত করতে পারেন। তারা পণ্য সম্পর্কে সমস্ত তথ্য উল্লেখ করতে পারে, গ্রাহকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে এবং তাদের গ্রাহকদের অনলাইন অর্থপ্রদানের বিকল্প সরবরাহ করতে পারে। এই সমস্ত জিনিস ইন্টারনেটে সম্ভব।

ফাইল ট্রান্সফার

ইন্টারনেট সিস্টেম বা ডিভাইসের মধ্যে ফাইল ট্রান্সফার সহজ করে তুলেছে। FTP (ফাইল ট্রান্সফার প্রোটোকল) এর সাহায্যে ইন্টারনেটে নিরাপদে ডেটা আদান-প্রদান করা যায়। FTP প্রধানত উপকারী যখন বড় ফাইল ট্রান্সফার করা প্রয়োজন কারণ ইমেল সীমিত আকারের সাথে ফাইল শেয়ার করার অনুমতি দেয়। FTP হল দুই স্টেকহোল্ডারের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের সর্বোত্তম উপায়। এই পদ্ধতি এখনও বেশ জনপ্রিয় এবং ব্যবহার করা হয়।

নেভিগেশন

নেভিগেশন মেকানিজম ইন্টারনেটের সবচেয়ে উপকারী ব্যবহারগুলির মধ্যে একটি। একবার একজন ব্যবহারকারী অনলাইন মানচিত্রে (যেমন Google মানচিত্র) অবস্থানটি রাখলে, এটি সেই অবস্থান সম্পর্কে সমস্ত বিবরণ প্রদান করে। ব্যবহারকারীরা সেই নির্দিষ্ট অবস্থানে যাওয়ার জন্য সেরা রুটটিও খুঁজে পেতে পারেন। মানচিত্রটি অবস্থানের মধ্যে দূরত্বও প্রদান করে। নেভিগেশন সম্পর্কে সবচেয়ে ভাল জিনিস হল যে এটি কম ট্রাফিক সহ সবচেয়ে ছোট সম্ভাব্য রুট প্রদান করবে। নিকটতম হোটেল, রেস্তোরাঁ, ব্যাঙ্ক, এটিএম ইত্যাদির মতো যেকোন নির্দিষ্ট স্থানের জন্যও কেউ অনুসন্ধান করতে পারে। এটি ছাড়াও, একজন ব্যক্তি ইন্টারনেট এবং নেভিগেশন কৌশল ব্যবহার করে অন্যদের সাথে একটি লাইভ অবস্থান ভাগ করতে পারেন।

বিজ্ঞাপন

যেহেতু বেশিরভাগ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে, এটি কোন কিছু বা বিজ্ঞাপন প্রচারের সর্বোত্তম মাধ্যম। প্রদত্ত প্রচারের পাশাপাশি বিনামূল্যে প্রচারের বিকল্প রয়েছে। ইন্টারনেটে অনেক বিজ্ঞাপনের প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যা অনলাইনে পণ্য বা ব্যবসার প্রচার করতে সহায়তা করে। এই প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যানার, ভিডিও, ইমেল ইত্যাদি ব্যবহার করে অন্যান্য সম্পর্কিত ওয়েবসাইটে পণ্যের বিজ্ঞাপন দেয়৷ তারা এই বিজ্ঞাপনগুলির জন্য দূরত্ব, কীওয়ার্ড এবং শ্রোতা ইত্যাদি অনুসারে চার্জ করে৷ তবে, কেউ অনলাইন গ্রুপ বা সম্প্রদায় তৈরি করতে এবং অবাধে বিজ্ঞাপন দিতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করতে পারে৷

রিয়েল-টাইম আপডেট

ইন্টারনেট মানুষকে সারা বিশ্বে যা ঘটছে তার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সাহায্য করছে। অনেক সংবাদ এবং তথ্য ওয়েবসাইট বিভিন্ন বিভাগের রিয়েল-টাইম আপডেট প্রদান করে, যেমন রাজনীতি, ইতিহাস, সংবাদ, ভূতত্ত্ব, অবসর, খেলাধুলা, প্রযুক্তি, বিপণন এবং আরও অনেক কিছু। কেউ সহজেই সংবাদ বিভাগ নির্বাচন করতে পারে এবং আপডেটের সাথে সংযুক্ত থাকতে পারে। ই-সংবাদপত্র এবং ম্যাগাজিনের উপস্থিতি মানুষকে আপডেট করছে এবং কাগজের ব্যবহার কমাতে সাহায্য করছে।

অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের কুফল

ইন্টারনেট ব্যবহারে যেমন সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমনি অসুবিধা রয়েছে ।দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেট ব্যবহারের অসুবিধা গুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করছি

১. Waste of time | মূল্যবান সময় নষ্ট করা

 আমরা অনেকেই প্রয়োজনের থেকে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করি এবং আমাদের মূল্যবান সময়টা নষ্ট করি। আমরা প্রায় অনেকেই ইউটিউব ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে অযথা সময় নষ্ট করি

২. Virus attack

ভাইরাস অ্যাটাক এই কথাটি আপনারা প্রত্যেকে শুনেছেন। অনেকের কম্পিউটারে ভাইরাস অ্যাটাক করে সেই কম্পিউটারের বিভিন্ন ডাটা হ্যাকাররা নিয়ে নেয়।

৩. Spam

অনেক সময় হ্যাকাররা ইমেইলের মাধ্যমে বা মেসেজের মাধ্যমে আপনাদের কে লিংক শেয়ার করে সে লিংকটিতে যদি আপনারা ক্লিক করেন আপনার ব্যক্তিগত সমস্ত তথ্য তারা পেয়ে যাবে।

৪. Internet not free | ইন্টারনেট ফ্রি না

ইন্টারনেট কিন্তু ফ্রি নয় আপনাকে টাকা দিয়ে ইন্টারনেট কানেকশন নিতে হবে অথবা ইন্টারনেটের জন্য রিচার্জ করতে হবে।

৫. Misuse of internet | ইন্টারনেটের অপব্যবহার

আমরা অনেকেই  ইন্টারনেটের অপব্যবহার করতে শুরু করেছি। আমরা অনেকেই খারাপ ভিডিও দেখে এর ফলে আমাদের চিন্তা-ভাবনা পরিবর্তন হয়ে যায় এর ফলে আমরা ভুল পথে পরিচালিত হয়।

আরো অন্যান্য সরকারি স্কিম সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | ইন্টারনেট

Q1. ইন্টারনেটের পুরো নাম কী?

Ans – ইন্টারনেটের পুরো নাম – Inter Connected Network (ইন্টার কানেক্ট নেটওয়ার্ক) ।

Q2. বাংলায় ইন্টারনেটকে কি বলে?

Ans – ইন্টারনেটকে সাধারণত বাংলায় ইন্টারনেটই বলা হয় কিন্তু এর আক্ষরিক অর্থ হল ‘আন্তর্জাল’।

Q3. ভারতে কবে ইন্টারনেট শুরু হয়?

Ans – 1995 সালে 15ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন ভারতে প্রথম ইন্টারনেট শুরু হয়েছিল। ইন্টারনেট পরিষেবা প্রথম শুরু করেছিল বিদেশ সঞ্চার নিগম লিমিটেড। প্রাইভেট কোম্পানির জন্য ইন্টারনেট 1998 সালে খোলা হয়েছিল।

Q4. ব্রাউজার কি?

Ans – ব্রাউজার একটি সফটওয়্যার প্রোগ্রাম, যার সাহায্যে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করা যায়। গুগল ক্রোম একটি জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার।

Q5. URL কি?

Ans – URL এর পূর্ণরূপ হল ইউনিক রিসোর্স লোকেটার। যা ইন্টারনেটে একটি ওয়েবসাইটের ঠিকানা। URL কে ওয়েব ঠিকানাও বলা হয়।

Q6. কোন দেশ প্রথম ইন্টারনেট আবিষ্কার করে

Ans – সর্বপ্রথম ইন্টারনেট আবিষ্কার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত এর মাঝে যোগাযোগ ব্যবস্থা যেন বন্ধ না হয়ে যায় এই কারণে milnet নামক একটি কোম্পানি ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করে।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।