রোধ কাকে বলে, রোধাঙ্ক কাকে বলে, আপেক্ষিক রোধ কাকে বলে

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

রোধ কাকে বলে

কোনো একটি পরিবাহীর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে পরিবাহী কর্তৃক তা বাধা পায়। বাধা প্রদানের এই ধর্মকে ওই পরিবাহীর রোধ (Resistance) বলে।

আমরা জানি, তড়িৎ প্রবাহ মানেই ইলেক্ট্রনের প্রবাহ। কোনো পরিবাহকের দুই প্রান্তে বিভবের পার্থক্য হলে ইলেকট্রন নিম্ন বিভব থেকে উচ্চ বিভবের দিকে প্রবাহিত হয়। এই ইলেকট্রন স্রোত পরিবাহকের মধ্য দিয়ে চলার সময় পরিবাহকের অভ্যন্তরস্থ অণু পরমাণুর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ফলে এর গতি বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং তড়িৎ প্রবাহ বিঘ্নিত হয়। পরিবাহকের এই বাধা দেয়ার ধর্মই হল রোধ।

কোন একটি পরিবাহী তারের মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎ বা চার্জ পরিবহনের সময় চার্জগুলো তাদের গতিপথে যে বাঁধার সম্মুখীন হয়, পরিবাহীর এই বাঁধাকে বলা হয় রোধ । রোধের মান পরিবাহীর দৈর্ঘ্য, প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল, তাপমাত্রা এবং পরিবাহীর উপাদানের উপর নির্ভর করে ।

রোধের si একক কি, রোধের একক কি, রোধাঙ্ক এর এস আই একক কি

রোধের এস. আই. একক ও’ম। একে ΩΩ (Omegaচিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

1 ও’ম (1 Ohm)

কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য 1 ভোল্ট এবং এর ভেতর দিয়ে 1 অ্যাম্পিয়ার বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে ওই পরিবাহীর রোধকে 1 ও’ম (1 ΩΩ) বলে।

রোধের সূত্র

কোন পরিবাহীর রোধ পরিবাহীর দৈর্ঘ্য, প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল, উপাদান ও তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। রোধের এ নির্ভরশীলতার উপর ভিত্তি করে রোধের তিনটি সূত্র আছে। সূত্রগুলো নিচে বর্ণনা করা হল :

দৈর্ঘ্যের সূত্র

তাপমাত্রা, উপাদান ও প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল স্থির থাকলে কোন পরিবাহীর রোধ পরিবাহীর দৈর্ঘ্যের সমানুপাতিক। অর্থাৎ, কোন পরিবাহীর দৈর্ঘ্য, প্রস্বচ্ছেদের ক্ষেত্রফল A এবং রোধ R হলে সূত্রানুসারে, R L যখন A ধ্রুবক।

প্রস্থচ্ছেদের সূত্র

তাপমাত্রা, উপাদান ও দৈর্ঘ্য স্থির থাকলে কোন পরিবাহীর রোধ পরিবাহীর প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলের ব্যস্তানুপাতিক। অর্থাৎ, কোন পরিবাহীর দৈর্ঘ্য, প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল A এবং রোধ R হলে সূত্রানুসারে, R 1 / A যখন L ধ্রুবক।

উপাদানের সূত্র

তাপমাত্রা, দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল স্থির থাকলে বিভিন্ন পরিবাহীর রোধ বিভিন্ন হয়।

রোধক কাকে বলে

যে বিশেষ ধর্মের জন্য কোনো পরিবাহী তার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎকে বাধা দেয়, যে বিশেষ ধর্মকে ওই পরিবাহীর রোধ বলে।

সকল পরিবাহীর একটি নির্দিষ্ট রোধ থাকে বলে পরিবাহীকে রোধক (Resistor) বলে। সাধারণত রোধকে পরিবাহীর রোধ বলা হয়।

রোধের একক

রোধের ব্যবহারিক একক ওহম। এটিকে Ω (Omega) চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

রোধাঙ্ক কাকে বলে

একক দৈর্ঘ্য এবং একক প্রস্থচ্ছেদ বিশিষ্ট কোন পরিবাহীর রোধকেই তার রোধাঙ্ক বলা হয়।

একক বাহু বিশিষ্ট কোন ঘনকের দুই প্রান্তের রোধের পার্থক্যকেই ওই ঘনকের রোধাঙ্ক বলে।

রোধাঙ্ক একটি মৌলিক রাশি। এটি পরিবাহীর দৈর্ঘ্য বা প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলের এর ওপরে নির্ভর করে না। পরিবাহীর দৈর্ঘ্য বা প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রে যাই হোক না কেন তার রোধাঙ্ক সব জায়গাতে অপরিবর্তিত থাকবে।

রোধাঙ্ক এর একক

S.I. পদ্ধতিতে রোধাঙ্কের একক হল – Ohm.m (ওহমxমিটার) C.G.S. পদ্ধতিতে রোধাঙ্কের একক হল – Ohm.cm (ওহমxসে.মি.)

আপেক্ষিক রোধ কাকে বলে

একক দৈর্ঘ্য এবং একক প্রস্থচ্ছেদ ক্ষেত্রফলবিশিষ্ট কোনো একটি পরিবাহী তার প্রস্থচ্ছেদের অভিলম্বভাবে বিদ্যুৎ প্রবাহে যে পরিমাণ বাধা প্রদান করে তাকে তার আপেক্ষিক রোধ বলে।

একক দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদ বিশিষ্ট পরিবাহীর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহে যে বাধা প্রদান করে তাকে আপেক্ষিক রোধ বলে।

কোন একটি পরিবাহী তারের মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎ বা চার্জ পরিবহনের সময় চার্জগুলো তাদের গতিপথে যে বাঁধার সম্মুখীন হয়, পরিবাহীর এই বাঁধাকে আমরা রোধ বলেছি । এই বাঁধা দেওয়া বা রোধের মান বিভিন্ন পরিবাহীর জন্য বিভিন্ন রকম । যেমন তামার বা অ্যালুমিনিয়ামের বাঁধা দেওয়ার ক্ষমতা কম আবার কাঠের বেশি ।

পরিবাহীর বিদ্যুৎ বা চার্জ পরিবহনে বাঁধা দেওয়ার এই ধর্মকে বলা হয় আপেক্ষিক রোধ । আপেক্ষিক রোধ পরিবাহীর একটি নিজস্ব ধর্ম । এটি তার গাঠনিক উপাদানের বা মৌলিক কণিকার উপর নির্ভর করে । তবে তাপমাত্রা পরিবর্তন হলে পদার্থের আপেক্ষিক রোধের মান পরিবর্তন হয় ।

আপেক্ষিক রোধের একক, আপেক্ষিক রোধের একক কি

আপেক্ষিক রোধের একক ও’ম মিটার (ΩΩ-m)। 

আপেক্ষিক রোধ কিসের উপর নির্ভর করে

নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো নির্দিষ্ট উপাদানের একক দৈর্ঘ্য ও একক প্রস্থচ্ছেদ বিশিষ্ট তারের রোধকে ঐ নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় উক্ত পদার্থের আপেক্ষিক রোধ বলে। এথেকে দেখা যায় তাপমাত্রা স্থির থাকলে নির্দিষ্ট উপাদানের আপেক্ষিক রোধ নির্দিষ্ট হয়। তাপমাত্রা বা উপাদান বা উভয়ই ভিন্ন হলে আপেক্ষিক রোধও ভিন্ন হয়। সুতরাং বলা যায় আপেক্ষিক রোধ তাপমাত্রা ও উপাদানের উপর নির্ভরশীল।

পরিবাহীর রোধ কাকে বলে

সকল পরিবাহী তড়িৎ প্রবাহে কম-বেশি বাধা দেয়। এ বাধাকে পরিবাহীর রোধ বলে।

ওহমের সূত্র থেকে বলা যায়, কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য এবং ওই পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহমাত্রার অনুপাতকে ওই পরিবাহীর রোধ বলে।

পরিবাহীর রোধ কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে

নির্দিষ্ট উষ্ণতায়, কোন পরিবাহীর রোধ সাধারণত পরিবাহীর যে বিষয় গুলোর উপর নির্ভর করে সেগুলি হল যথাক্রমে-

  • পরিবাহীর দৈর্ঘ্য
  • পরিবাহীর প্রস্থচ্ছেদ
  • পরিবাহীর উপাদান
  • তাপমাত্রা
  • আলো
  • চৌম্বক ক্ষেত্র
  • চাপ

এই সকল বিষয়গুলির উপর কোনো পরিবাহীর রোধ নির্ভর করে।

মনে করি পরিবাহীর দৈর্ঘ্য L, প্রস্থচ্ছেদ A এবং রোধ R।

দৈর্ঘ্যের ওপর নির্ভরশীলতা

একই প্রস্থচ্ছেদ এবং একই উপাদান বিশিষ্ট বিভিন্ন পরিবাহীর রোধ তাদের দৈর্ঘ্যের সমানুপাতিক হয়।
অর্থাৎ R ∝ সমানুপাতিক L যখন A ধ্রুবক।

সহজভাবে বলা চলে, প্রস্থচ্ছেদ অপরিবর্তিত রেখে পরিবাহীর দৈর্ঘ্য বাড়ালে পরিবাহীর রোধ বাড়ে এবং দৈর্ঘ্য কমালে রোধ কমে।

প্রস্থচ্ছেদের ওপর নির্ভরশীলতা

একই দৈর্ঘ্য এবং একই উপাদানের বিভিন্ন পরিবাহীর রোধ তাদের প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলের ব্যস্তানুপাতিক হয়।

অর্থাৎ, R ∝ ব্যস্তানুপাতিক 1/A যখন L ধ্রুবক।

সহজভাবে বলা চলে, একই দৈর্ঘ্যের সরু তারের রোধ মোটা তারের রোধ অপেক্ষা বেশি হয়।

উপাদানের ওপর নির্ভরশীলতা

একই দৈর্ঘ্য এবং একই প্রস্থচ্ছেদের বিভিন্ন তারের রোদ তাদের উপাদানের উপর নির্ভর করে।

উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় একই দৈর্ঘ্য এবং একই প্রস্থচ্ছেদের তামা ও রুপোর তারের মধ্যে রূপোর তারের রোধ কম।

সুতরাং R ∝ L/A [ যখন L এবং A উভয়ই পরিবর্তনশীল]
বা, R= ρ . L /A [ যেখানে ρ = ধ্রুবক]
এই ρ কে তাদের উপাদানের রোধাঙ্ক বা আপেক্ষিক রোধাঙ্ক বলে।

রোধের উপর তাপমাত্রার প্রভাব

পরিবাহীর রোধ উষ্ণতার উপর নির্ভর করে।

উষ্ণতা বাড়লে বেশিরভাগ বিশুদ্ধ ধাতু ও সংকর ধাতুর রোধ বেড়ে যায় এবং উষ্ণতা কমলে রোধ কমে।

কার্বন, সিলিকন, জার্মেনিয়াম, কাঁচ, রবার তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থ প্রভৃতির ক্ষেত্রে উষ্ণতা বাড়লে রোধ কমে।

ইনভার, ম্যাঙ্গানিজ প্রভৃতি সংকর ধাতুর রোধ তাপমাত্রার হ্রাসবৃদ্ধিতে প্রায় অপরিবর্তিত থাকে।

রোধের উপর চাপের প্রভাব

চাপ বাড়ালে অধিকাংশ ধাতুর রোধ কমে। যেমন- কার্বন গুঁড়োর উপর চাপ বাড়ালে এর রোধ কমে এবং চাপ কমালে রোধ বাড়ে। 

মাইক্রোফোন যন্ত্রে এই ধর্মকে কাজে লাগানো হয়।

রোধের উপর আলোর প্রভাব

সেলিনিয়াম ধাতু ওপর আলো পড়লে এর রোধ কমে যায়। আলোর তীব্রতা যতো বেশি হয় রোদ ও ততো হ্রাস পায়। সম্পূর্ণ অন্ধকারে সেলেনিয়ামের রোধ সর্বাধিক।

রোধের উপর চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাব

বিসমাথ ধাতুকে চৌম্বকক্ষেত্রে রেখে চৌম্বকক্ষেত্রের প্রাবল্য বাড়ালে এর রোধ বাড়ে।

আরো পড়তে: ধাতু কাকে বলে

অভ্যন্তরীণ রোধ কাকে বলে

যে কোনো বর্তনী তে দুই প্রান্তের মধ্যে বিভব প্রভেদ তৈরি করতে পারলে তড়িৎ প্রবাহিত হবে l কিন্তু ঐ বর্তনীর মধ্যে ধাতব পদার্থের ধর্ম, পারিপার্শিক তাপমাত্রা, আকার অনুসারে এই তড়িৎ প্রবাহ বাঁধাপ্রাপ্ত হয় l এই বাধা কে সাধারণ অর্থে রোধ বলেই গণ্য হয় l

এবারে যে উৎস বা উৎপাদক থেকে তড়িৎ উৎপন্ন করা হয় সেখানে ও কিছু রোধ থাকে, যেমন ব্যাটারির মধ্যে আয়ন এর প্রান্তবদল ঘটলে তড়িৎ উৎপন্ন হয়, কিন্তু এই আয়নের প্রান্তবদল যে মাধ্যম দিয়ে বা যা বেয়ে ঘটছে সেখানেই আয়নের গতি বাধাপ্রাপ্ত হয়, একেই আভ্যন্তরীণ রোধ বলতে পারি l

সার্কিটের নিজস্ব রোধকেই অভ্যন্তরীণ বা ইন্টার্নাল রোধ বলে। যখন সার্কিটের মধ্য অন্য কোনো বা বাহির থেকে এনে বা আলাদা ভাবে কোনো রোধ ব্যবহার করাহয় তখন তাকে বহিরাগত বা এক্সটার্নালট রোধ বলে।

তড়িৎ কোষযুক্ত কোনো বর্তনীতে যখন প্রবাহ চলে তখন এ প্রবাহ কোষের ভেতরে তরল বা অন্যান্য পদার্থের মধ্য দিয়েও প্রবাহিত হয়। কোষের ভিতর তড়িৎ প্রবাহের দিক কোষের ঋণাত্মক পাত থেকে ধনাত্মক পাতের দিকে। এ পাতদ্বয়ের মধ্যকার বিভিন্ন পদার্থ তড়িৎপ্রবাহের বিরুদ্ধে যে বাধার সৃষ্টি করে তাকে কোষের অভ্যন্তরীণ রোধ বলা হয়

তুল্য রোধ কাকে বলে

কোন বর্তনীতে বিদ্যমান রোধগুলোর পরিবর্তে যে বিশেষ মানের কোন রোধের জন্য বর্তনীতে বিভব এবং তড়িৎ প্রবাহ অপরিবর্তিত থাকে, সেই মানটিকে, ঐ বর্তনীর তুল্য রোধ বলে।

তাপীয় রোধ কাকে বলে

তাপ পরিবাহিতা একটি প্রদত্ত মৌলের তাপ সঞ্চালন/স্থানান্তর করার ক্ষমতা বোঝায়। এটি সাধারণত ‘k’ চিহ্ন দ্বারা চিহ্নিত করা হয় তবে ‘λ’ এবং ‘κ’ দ্বারাও চিহ্নিত করা যেতে পারে। এই পরিমাণের পারস্পরিক তাপীয় রোধ নামে পরিচিত।

পরিবর্তনশীল রোধ কাকে বলে

তড়িৎ প্রবাহের যে ধর্মের জন্য ইলেকট্রন প্রবাহে বাধার সৃষ্টি হয় তাকে রোধ বলে|আর যে রোধের মান প্রয়েজন অনুযায়ী পরিবর্তন করা যায় তাকে পরিবর্তনশীলরোধ বলে|

যে রোধকে ইচ্ছামতো পরিবর্তন করা যায় তাকে পরিবর্তনশীল রোধ বলে। বিভিন্ন তড়িৎ প্রবাহ ছাড়াও, এই উপাদানটি কিছু মৌলিক পরামিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয় যেমন গতি, সাধারণভাবে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক লোডের তাপমাত্রা। যেহেতু রোধের বৈচিত্র্য রয়েছে, লোডের তড়িৎ প্রবাহ ওহমের সূত্র অনুসারে পরিবর্তিত হয়।

তাপমাত্রা বাড়লে অর্ধপরিবাহীর রোধ কমে কেন

অর্ধপরিবাহীতে ধাতব বন্ধন থাকে না। সমযোজী বন্ধন থাকে। যেমন Si অর্ধপরিবাহী। এর মধ্যে ক্যাটিনেশনের মাধ্যমে তৈরি হয় অসংখ্য Si-Si সমযোজী বন্ধন। তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে বন্ধনগুলো শক্তি শোষণ করে এবং কিছু বন্ধন ভেঙে যায়। এবং আরো শক্তি শোষণ করে Si এর যোজন স্তরের ইলেক্ট্রন নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ উপেক্ষা করে Si পরামাণু থেকে বের হয়ে যায়। যার ফলে ফ্রি ইলেক্ট্রনের সংখ্যা বেড়ে যায়। ফ্রি ইলেক্ট্রন বেড়ে যাওয়ায় অর্ধপরিবাহিটির তড়িত পরিবাহিতা বৃদ্ধি পায়। আমরা জানি রোধ পরিবাহিতার ব্যস্তানুপাতিক। পরিবাহিতা বৃদ্ধি পেলে রোধ কমে যায়। এক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখা দরকার যে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে খুব কম সংখ্যক ইলেক্ট্রন মুক্ত হবে। তাই পরিবাহিতাও খুব কম বাড়বে এবং রোধও খুব কম পরিমাণে কমে যাবে।

আরেকটা কথা মনে রাখা দরকার যে পরিবাহীর ক্ষেত্রে উল্টো ঘটনা ঘটবে। কেননা ওতে আগে থেকেই অনেক ফ্রি ইলেক্ট্রন থাকে। আরো কয়েকটা ফ্রি ইলেক্ট্রন বেড়ে গেলে রোধের উপর এর প্রভাব খুবই নগন্য। আর এ ক্ষেত্রে তাপমাত্রার সাথে রোধ বাড়ার কারণ হল, ওখানে অনেক বেশি ফ্রি ইলেক্ট্রন থাকায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বৃদ্ধি পায়। যার ফলে রোধও বৃদ্ধি পায়।

উষ্ণতা বৃদ্ধিতে অর্ধপরিবাহীর রোধ কিভাবে পরিবর্তিত হয়

যদি উষ্ণতা বৃদ্ধি করা হয় তাহলে সংঘর্ষের সময় শক্তির আদান প্রদানের গড় মান বৃদ্ধি পাবে। তাই অধিক পরিমাণ ভালেন্স ইলেকট্রন এনার্জি গ্যাপ টপকে যাবে এবং ইলেকট্রন – হোল পেয়ার এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এই সংখ্যা বৃদ্ধি ই অর্ধপরিবাহী এর পরিবাহিতা বাড়ায় অর্থাৎ রোধ কমায়।

তাপমাত্রা বাড়ালে পরিবাহীর রোধ বৃদ্ধি পায়, তাই পরিবাহীতা কমে যায়। তাপমাত্রা বাড়ালে অর্ধপরিবাহীর রোধ কমে যায়, তাই পরিবাহীতা বেড়ে যায়।

  • তাপমাত্রা বাড়ালে পরিবাহীর রোধ বৃদ্ধি পায়, তাই পরিবাহীতা কমে যায়।
  • তাপমাত্রা বাড়ালে অর্ধপরিবাহীর রোধ কমে যায়, তাই পরিবাহীতা বেড়ে যায়।
  • তাপমাত্রা বাড়ালে অপরিবাহীর রোধ কমে যায়, পরিবাহীতা বেড়ে যায়।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | আপেক্ষিক রোধ

Q1. রোধ কী

Ans – পরিবাহীর যে ধর্মের জন্য এর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয় তাকে রোধ (Resistance) বলে।

Q2. একটি আদর্শ তড়িৎ উৎসের অভ্যন্তরীণ রোধ কত

Ans – একটি আদর্শ বিভব উৎসের অন্তঃস্থ রোধ শূণ্য; এটা যে কোন পরিমাণের বিদ্যুত সরবরাহ এবং শোষণ করতে পারে। একটি আদর্শ বিভব উৎসের মাঝের বিদ্যুত প্রবাহ সম্পূর্ণভাবে বহিঃস্থ বর্তনীর মাধ্যমে নির্ণয় করা যেতে পারে। যখন একটি খোলা বর্তনীর সাথে সংযুক্ত হয়, তখন শুন্য পরিমাণের বিদ্যুত থাকে এবং তাই বৈদ্যুতিক ক্ষমতাও শুন্য হয়।

Q3. শূন্য মাধ্যমে তাপীয় রোধের মান কত

Ans – শূন্য মাধ্যমে তাপীয় রোধের মান শূন্য।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।