- সুকুমার রায়ের জীবনী, সুকুমার রায় প্রবন্ধ রচনা, আমার প্রিয় লেখক সুকুমার রায় রচনা
- সুকুমার রায় জীবনী
- সুকুমার রায়ের ছবি
- সুকুমার রায় কবিতা, সুকুমার রায়ের কবিতা
- সুকুমার রায়ের ছোটদের কবিতা
- সুকুমার রায়ের বিখ্যাত কবিতা
- সুকুমার রায়ের হাসির কবিতা
- সুকুমার রায়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদান
- সুকুমার রায় রচনাবলী pdf, সুকুমার রায়ের কবিতা pdf
- সুকুমার রায়ের রচনাশৈলীর স্বতন্ত্রতা বিশ্লেষণ
- সুকুমার রায়ের বর্তমান কালের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাসঙ্গিকতা
- FAQ | সুকুমার রায়
সুকুমার রায়ের জীবনী, সুকুমার রায় প্রবন্ধ রচনা, আমার প্রিয় লেখক সুকুমার রায় রচনা
সুকুমার রায় (১৮৮৭ – ১৯২৩) একজন বাঙালি শিশুসাহিত্যিক ও ভারতীয় সাহিত্যে “ননসেন্স রাইমের” প্রবর্তক। তিনি একাধারে লেখক, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক ও নাট্যকার। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর সন্তান এবং তাঁর পুত্র খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়।
তাঁর লেখা কবিতার বই আবোল তাবোল, গল্প হযবরল, গল্প সংকলন পাগলা দাশু, এবং নাটক চলচ্চিত্তচঞ্চরী বিশ্বসাহিত্যে সর্বযুগের সেরা “ননসেন্স” ধরণের ব্যঙ্গাত্মক শিশুসাহিত্যের অন্যতম বলে মনে করা হয়, কেবল অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড (Alice in Wonderland) ইত্যাদি কয়েকটি মুষ্টিমেয় ক্লাসিক-ই যাদের সমকক্ষ। মৃত্যুর বহু বছর পরেও তিনি বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয়তম শিশুসাহিত্যিকদের একজন।
জন্ম ও পরিচিতি
সুকুমার রায় ১৮৮৭ সালের ৩০শে আগস্ট কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন প্রখ্যাত বাঙালি লেখক ও দার্শনিক উপেন্দ্রকিশোর রায় ও বিধুমুখী দেবীর পুত্র। সুকুমার রায় কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে তার প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন, যেখানে তিনি কবিতা ও হাস্যরসের প্রতিভা দেখিয়েছিলেন।
সুকুমার রায়ের পিতামাতা
তার পিতা উপেন্দ্রকিশাের রায়চৌধুরী ছিলেন শিশু সাহিত্যিক , সঙ্গীতজ্ঞ , চিত্রশিল্পী ও যন্ত্ৰকুশলী ।
পিতার কাছ থেকেই উত্তরাধিকার সূত্রে সাহিত্যের অসামান্য উদভাবনী ক্ষমতা লাভ করেছিলেন সুকুমার । অল্প বয়স থেকেই মুখে মুখে ছড়া তৈরি করতে পারতেন।
ছবি আঁকারও হাতেখড়ি হয়েছিল বাবা উপেন্দ্রকিশােরের হাত ধরে । আঁকার সঙ্গে ফটোগ্রাফির চর্চাও শুরু করেছিলেন ছেলেবেলা । থেকেই ।
ছাত্রজীবন
১৯০৬ সালে, তিনি পদার্থবিদ্যা এবং রসায়ন পড়ার জন্য কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। তবে লেখালেখি ও চারুকলায় বেশি আগ্রহী হওয়ায় তিনি ডিগ্রি সম্পন্ন করেননি। তাঁর কলেজের বছরগুলিতে, সত্যজিৎ বেঙ্গল রেনেসাঁর সাথে জড়িত হন এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং অন্যান্য সমসাময়িক লেখকদের রচনা দ্বারা প্রভাবিত হন।
কলেজ ছাড়ার পর, সত্যজিৎ লেখক হওয়ার আগে অল্প সময়ের জন্য শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। তিনি কবিতা, নাটক, গান এবং গল্প লিখেছেন, যার অনেকগুলি পত্রিকা এবং জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি তার অর্থহীন কবিতা এবং নাটকগুলির জন্য সর্বাধিক পরিচিত, যেগুলি বাংলা সাহিত্যের ক্লাসিক হিসাবে বিবেচিত হয়। তাঁর কাজ ইংরেজি সহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং আজও ব্যাপকভাবে পঠিত ও সঞ্চালিত হচ্ছে।
সুকুমার রায়ের কর্মজীবন
সুকুমার রায় ছিলেন একজন বহুমুখী লেখক ও শিল্পী যিনি বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা শেষ করার পর একজন শিক্ষক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন, কিন্তু শীঘ্রই পূর্ণকালীন পেশা হিসেবে লেখালেখিতে পরিণত হন।
রায়ের লেখাগুলি তাদের হাস্যরস, বুদ্ধি এবং ব্যঙ্গ দ্বারা চিহ্নিত করা হয় এবং তিনি তার অর্থহীন কবিতা এবং নাটকের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তাঁর রচনাগুলির মধ্যে রয়েছে “আবোল তাবোল” এবং “হা যা বা রা লা” কবিতার সংকলন এবং সেইসাথে “ফণিভূষণ ভোলনা” নাটক। এই কাজগুলিকে বাংলা অর্থহীন সাহিত্যের ক্লাসিক উদাহরণ হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং ভারতে এবং বিদেশে ব্যাপকভাবে পঠিত এবং সম্পাদিত হয়েছে।
সুকুমার রায় ছিলেন বাংলায় শিশুসাহিত্যের পথিকৃৎ এবং তাঁর রচনাগুলি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সমানভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তিনি শিশুদের জন্য গল্প এবং গান লিখেছেন, যার মধ্যে রয়েছে “পদ্মপাদের দল,” “দ্য গ্রেট এলিফ্যান্ট রেস,” এবং “দ্য স্ট্রেঞ্জ কেমিক্যাল এক্সপেরিমেন্ট।”
তাঁর সাহিত্য সাধনার পাশাপাশি, সুকুমার বিজ্ঞান, ফটোগ্রাফি এবং সঙ্গীতেও আগ্রহী ছিলেন। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উপর নিবন্ধ লিখেছিলেন এবং ২০ শতকের গোড়ার দিকে কলকাতার জীবন ও সময় ক্যাপচার করে একজন প্রখর ফটোগ্রাফার ছিলেন।
সুকুমার রায়ের রচনাবলী
সুকুমার রায় ছিলেন একজন বিশিষ্ট লেখক যিনি বাংলা সাহিত্যে কবিতা, নাটক, গান এবং গল্প সহ বিস্তৃত রচনা তৈরি করেছিলেন। তাঁর কিছু বিখ্যাত কাজ হল:
- আবোল তাবোল: এটি “ননসেন্স পোয়েম ” এর কবিতার একটি সংকলন যা বাংলা অর্থহীন সাহিত্যের অন্যতম সেরা উদাহরণ হিসাবে বিবেচিত হয়।
- হ জ ব র ল: এটি অন্য একটি “ননসেন্স পোয়েম” কবিতারই সংকলন যা আবোল তাবোলের হাস্যরস এবং বুদ্ধিকে অব্যাহত রাখে।
- ফণিভূষণ ভোলনা: এটি একটি “ননসেন্স প্লে” নাটক, যা রায়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে বিবেচিত।
- পদ্মপাদের দল: এটি একটি ছোটদের গল্প যা হাস্যরস এবং ব্যঙ্গের জন্য বিখ্যাত।
- দ্য গ্রেট এলিফ্যান্ট রেস: এটি আরেকটি জনপ্রিয় শিশুদের গল্প যা ব্যাপকভাবে পঠিত এবং সঞ্চালিত হয়েছে।
- অদ্ভুত রাসায়নিক পরীক্ষা: এটি একটি শিশুদের গান যা তার হাস্যরস এবং সৃজনশীলতার জন্য পরিচিত।
- বিজ্ঞান প্রবন্ধ: সত্যজিৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উপর প্রবন্ধ লিখেছেন এবং তাঁর লেখা এই বিষয়গুলির প্রতি গভীর আগ্রহ প্রকাশ করে।
এই রচনাগুলি, অন্যান্য অনেকের সাথে সুকুমার রায়কে বাংলা সাহিত্যে একটি স্বতন্ত্র স্থান অর্জন করেছে এবং আজও ব্যাপকভাবে পঠিত ও সমাদৃত হচ্ছে।
সুকুমার রায়ের লেখা প্রবন্ধ
‘East West Society’ এর ডাকে সুকুমার রায় তাঁরই লেখা প্রবন্ধ “The Spirit of Rabindranath” পাঠ করেন। পরবর্তীতে তাঁর এই প্রবন্ধটি ‘Quest’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
লন্ডনে দু’বছর থাকাকালীন সুকুমার বিভিন্ন কবিতা, গল্প ও নিজের আঁকা ছবি পাঠাতেন পিতা উপেন্দ্রকিশোরের কাছে। সেগুলো নিয়ে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী পরে “সন্দেশ” পত্রিকা প্রকাশ করেন। সুকুমার রায় এভাবেই “সন্দেশ”এর মাধ্যমে পরিচিত হন।
ফটোগ্রাফিক সোস্যাইটির সদস্যপদ
লন্ডনে বাসকালীন সুকুমার রায় ‘ফটোগ্রাফিক সোস্যাইটি’র সদস্য ছিলেন। তাঁর আগে বাঙালি হিসেবে একমাত্র ‘যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর’ এই সম্মান পেয়েছিলেন।
বিবাহজীবন
সুপ্রভা দেবীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। তাঁর বিয়েতে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এসেছিলেন।
সুকুমার রায়ের ছদ্মনাম
সন্দেশ লেখার শুরুর দিকে সুকুমার ছদ্মনাম নেন ও সেই ছদ্মনাম ছিলো ‘উহ্যনাম পন্ডিত’! এই নামেই তিনি বেশ কিছু লেখা লিখেছেন তবে বেশিরভাগ লেখা তাঁর স্বনামেই লেখা।
শিশুসাহিত্যিকের মৃত্যু
সুকুমার রায় ১৯২৩ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর কলকাতায় তাঁর গার্পা বাসভবনে মারা যান একটি গুরুতর সংক্রামক জ্বর, লেশম্যানিয়াসিস, যার জন্য সেই সময়ে কোন প্রতিকার ছিল না। তিনি তাঁর বিধবা স্ত্রী এবং তাঁদের একমাত্র সন্তান সত্যজিৎকে রেখে গেছেন, যার বয়স তখন মাত্র দুই বছর ছিল। সত্যজিৎ রায় পরে ১৯৮৭ সালে তাঁর নিজের মৃত্যুর পাঁচ বছর আগে সুকুমার রায়ের উপর একটি তথ্যচিত্রের শুটিং করবেন এমন ভেবে রেখেছিলেন।
উপসংহার
সুকুমার রায় মূলত শিশুদের জন্য লিখতেন তাই শিশুদের খুব প্রিয় ছিলেন তিনি। শিশুদের খুব ভালোবাসতেন এই সাহিত্যিক। আজ তিনি বেঁচে না থাকলেও, তাঁর রচনার মাধ্যমে জীবিত আছেন।
সুকুমার রায় জীবনী
নাম (Name) | সুকুমার রায় (Sukumar Roy) |
জন্ম (Birthday) | ৩০ অক্টোবর ১৮৮৭ (30th October 1887) |
জন্মস্থান (Birthplace) | কলকাতা, ভারত |
অভিভাবক (Parents) / পিতা মাতা | উপে্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী (বাবা) বিধুমুখী দেবী (মা) |
দাম্পত্য সঙ্গী (Spouse) | সুপ্রভা দেবী |
পেশা (Occupation) | সাহিত্যিক |
ছদ্মনাম | উহ্যনাম পণ্ডিত |
শিক্ষা | বিএসসি (রসায়ন) |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | প্রেসিডেন্সি কলেজ |
সন্তান | সত্যজিৎ রায় |
ধরন | শিশু সাহিত্যিক |
আত্মীয় | লীলা মজুমদার, সুখলতা রাও, পুণ্যলতা চক্রবর্তী, সুবিনয় রায় চৌধুরী, সুবিমল রায় চৌধুরী, শান্তিলতা রায় |
সময়কাল | বাংলার নবজারণ |
মৃত্যু (Death) | ১০ সেপ্টেম্বর ১৯২৩ (10th September 1923) |
সুকুমার রায়ের ছবি
সুকুমার রায় কবিতা, সুকুমার রায়ের কবিতা
সুকুমার রায়ের ছোটদের কবিতা
সুকুমার রায়ের সবচেয়ে মজার দিক হচ্ছে তাঁর ছড়া । শিশুদের জন্য লিখলেও তাঁর ছড়া এতটাই প্রাণবন্ত যে সেসব ছড়া বড়দের মুখে মুখেও ঘোরে। সুকুমার রায় তাঁর ছড়ায় শব্দ নিয়ে খেলেছেন, যেমন খুশি তেমন গড়েছেন।
সুকুমার রায়ের বিখ্যাত কবিতা
- হুলোর গান
- হুঁকোমুখো হ্যাংলা
- হিতে-বিপরীত
- হিংসুটিদের গান
- হারিয়ে পাওয়া
- হাতুড়ে
- হাত গণনা
- হরিষে বিষাদ
- সৎপাত্র
- সাহস
সুকুমার রায়ের হাসির কবিতা
সুকুমার রায়ের এই কবিতাগুলি আমাদের বাঙালির জীবনে অনন্তকাল ধরে অমর হয়ে থাকবে। তার এই হাস্যরসাত্বক কবিতাগুলি শুধুমাত্র শিশুদের নয় সমগ্র বাঙালি জাতিকে আনন্দ দিতে পারে। তাই তার এই কবিতাগুলি আমাদের সমাজ জীবনে আজও মূল্যহীন।
সুকুমার রায়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদান
বাংলা ভাষায় সর্বপ্রথম ননসেন্স ছড়ার প্রবর্তন করেন সুকুমার রায়।
তাঁর লেখা প্রথম ও একমাত্র বিখ্যাত “ননসেন্স ছড়া” সংকলন আবোল তাবোল, ১৯২৩ সালে, ইউ রায় এন্ড সন্স, থেকে প্রকাশিত হয়।
আবোল তাবোল ছড়ার বইটি শুধু বাংলা সাহিত্যে নয়, বরং বিশ্বসাহিত্যের অঙ্গনে নিজস্ব জায়গার দাবিদার করে নেয়।
সুকুমার রায়ের রচিত একটি রম্য রচনা- হ য ব র ল। এটি বাংলা সাহিত্যের ননসেন্স ধারার একটি শ্রেষ্ঠ রচনা।
সুকুমার রায়ের শ্রেষ্ঠ একটি কাল্পনিক গল্প সংকলনের নাম- পাগলা দাশু।
সুকুমার রায়ইকে বিশ্বসাহিত্যে সর্ব যুগের সেরা “ননসেন্স” ধরনের ব্যঙ্গাত্মক জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিকদের অন্যতম একজন বলে মনে করা হয়।
সুকুমার রায় রচনাবলী pdf, সুকুমার রায়ের কবিতা pdf
কিংবদন্তি বাঙালি লেখক সুকুমার রায়ের সাহিত্যকর্মের একটি সম্পূর্ণ সংগ্রহ.
সুকুমার রায়ের রচনাশৈলীর স্বতন্ত্রতা বিশ্লেষণ
সুকুমারের রচনা কাব্যগ্রন্থ আবােল তাবােল , খাইখাই । প্রবন্ধ – অতীতের ছবি , বর্ণমালাতত্ত্ব।নাটক — অবাক জলপান , ঝালাপালা , লক্ষ্মণের শক্তিশেল , হিংসুটে , ভাবুকসভা , চলচ্চিত্তচঞ্চরি ও শব্দকল্পদ্রুম । গল্পগ্রন্থ হ – য – ব – র – ল , পাগলা দাশু , বহুরূপী প্রভৃতি ।
তাছাড়া ইংরাজি ও বাংলায় তিনি কিছু গুরুগম্ভীর প্রবন্ধও রচনা । করেছিলেন । সুকুমার ছিলেন রসিকমনের মানুষ । ফলে তার স্বভাবসুলভরসের । সঙ্গে প্রখর কল্পনা ও অপরূপ ভাষা মিলে তার রচনাগুলিকে করে তুলেছিল পরম উপভােগ্য । লেখাকে অধিকতর সুস্বাদু করে তুলেছিল ।
সুকুমার রায়ের বর্তমান কালের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাসঙ্গিকতা
বাংলা সাহিত্যে সুকুমার রায়ের তুলনা কেবল সুকুমার রায়ই। শিশুসাহিত্য, হাস্যরসে তো বটেই, বিদ্রূপের সুরে সমাজের নানা অসঙ্গতির কথা বলতে পারাতেও তিনি অনন্য ও অসাধারণ। সুকুমার রায় মূলত শিশুসাহিত্যিক ছিলেন; কিংবা বলা যায় সুকুমার রায় কেবল শিশুসাহিত্যিকই ছিলেন। শিশুদের জন্য তিনি লিখেছেন ছড়া, গল্প, নাটক, জীবনীসহ আরও অনেক কিছু। এর বাইরেও লিখেছেন ‘বিবিধ বিষয়’, যা মূলত শিশু-কিশোরদেরকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা জানা-অজানা তথ্য গল্পাকারে বলার প্রয়াস, এবং বলা বাহুল্য, এই প্রয়াসেও তিনি সফল।
গুরুজনদের উপদেশ শুনতে কারোই ভালো লাগে না। কিন্তু উপদেশ যদি দেন সুকুমার রায়, তবে না শুনে উপায় কী! শিশুদের শেখাতে গিয়ে সুকুমার রায় গল্প বলেছেন, ছড়া বলেছেন। গুরুজনদের কাঠখোট্টা উপদেশের বাইরে এসে গল্প-কবিতার ছলে শিখিয়েছেন কী করা উচিত এবং কী অনুচিত। পেন্সিল কামড়ানো কিংবা সিঁড়ি দিয়ে ধুপধাপ করে নেমে জুতা ছিঁড়ে ফেলা একদম ভালো কাজ নয়- এ উপদেশ দিতে গিয়ে সুকুমার রায় লিখে ফেলেছেন একটা আস্ত গল্প ; নাম ‘যতীনের জুতো’। কাউকে হিংসে না করার উপদেশ দিতে গিয়ে লিখেছেন ‘হিংসুটি’। এসব গল্প পড়ে শিশুরা আনন্দ পাবে, হেসে লুটোপুটি খাবে। কিন্তু তারা শিখবে, নিজেরাই বুঝে নেবে তাদের কী করতে হবে।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
FAQ | সুকুমার রায়
Q1. সুকুমার রায়ের ছদ্মনাম
Ans – সন্দেশে লেখার গােড়ার দিকে সুকুমার ছদ্মনাম গ্রহণ করেছিলেন । উহ্যনাম পন্ডিত ছিল তার ছদ্মনাম । পরে স্বনামেই লেখেন গল্প , কবিতা , নাটক ও প্রবন্ধ । জীবনের শেষ পর্বে অবশ্য কিছু লেখা লিখেছিলেন উহ্যনাম পন্ডিত নামে ।
Q2. সুকুমার রায়ের বাবার নাম কি
Ans – সুকুমার রায়ের বাবার নাম উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী ।
Q3. সুকুমার রায়ের মায়ের নাম কি
Ans – সুকুমার রায়ের মায়ের নাম সুপ্রভা দেবী।
Q4. সুকুমার রায়ের ছেলের নাম কি
Ans – সুকুমার রায়ের ছেলের নাম সত্যজিৎ রায়।
Q5. সুকুমার রায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেন
Ans – বাংলা শিশু সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক সুকুমার রায়ের জন্ম হয় ১৮৮৭ খ্রিঃ ৩০ শে অক্টোবর ভারতবর্ষের কলকাতায় ।