WBBSE Science Class 6, Plant, উদ্ভিদ | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 পরিবেশ ও বিজ্ঞান Part 3
- WBBSE Science Class 6, Plant, উদ্ভিদ | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 পরিবেশ ও বিজ্ঞান Part 3
- গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ
- চন্দন কি ধরনের উদ্ভিদ
- জলজ উদ্ভিদ
- জামাকাপড়ের জন্য মানুষ কীভাবে উদ্ভিদের ওপর নির্ভর করে
- ট্রান্সজেনিক উদ্ভিদ কাকে বলে
- দীর্ঘ দিবা উদ্ভিদ, দীর্ঘ দিবা উদ্ভিদ কাকে বলে উদাহরণ, হ্রস্ব রাত্রি উদ্ভিদ, দীর্ঘ দিবা উদ্ভিদ উদাহরণ, দীর্ঘ দিবা উদ্ভিদ উদাহরণ, একটি দীর্ঘ দিবা উদ্ভিদ, একটি দীর্ঘ দিবা উদ্ভিদ এর নাম, একটি দীর্ঘ দিবা উদ্ভিদ উদাহরণ
- নিদ্রা চলন কাকে বলে
- নিদ্রা চলন কোন উদ্ভিদে দেখা যায়, নিদ্রা চলন দেখা যায় কোন উদ্ভিদে, নিদ্রা চলন দেখা যায় কোন গাছের পাতায়, নিদ্রা চলন দেখা যায়
- পতঙ্গের সাহায্যে পরাগ যোগ হয় যে উদ্ভিদে তা নির্বাচন করো, পতঙ্গের সাহায্যে পরাগযোগ হয় যে উদ্ভিদে তা নির্বাচন করো
- মেন্ডেল কিভাবে মটর ফুলে ইতর পরাগযোগ ঘটান তা আলোচনা করো ।
- মেন্ডেল এর সূত্র | Mendel’s Law
- মেন্ডেলের চেকার বোর্ড, মেন্ডেলের দ্বি সংকর জনন পরীক্ষা, মেন্ডেলের একসংকর জননের পরীক্ষা চেকার বোর্ড, মেন্ডেলের দ্বি সংকর জনন, মেন্ডেলের মটর গাছ নির্বাচনের কারণ
- মেন্ডেলের সাফল্যের কারণ, মেন্ডেলের সাফল্যের কারণ গুলি লেখ
- পর্ণমোচী উদ্ভিদ কাকে বলে
- জেড উদ্ভিদ
- FAQ | বৈশিষ্ট্য
গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ
উত্তর: যেসব উদ্ভিদের কাণ্ড শক্ত কিন্তু বিক্ষের মতো দীর্ঘ ও মোটা নয়, এরা মাঝারি আকারের হয় এবং এদের কাণ্ড থেকে বহু শাখা-প্রশাখার সৃষ্টি হয়, এ উদ্ভিদগুলো দেখতে অনেকটা ঝোপের মতো দেখায়, এসকল উদ্ভিদকেই গুল্ম উদ্ভিদ বলে।
গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের উদাহরণ হলো: জবা,গোলাপ, রঙ্গন, গন্ধরাজ, বেলি, জুঁই, কাঁটা মুকুট, কাগজীলেবু ইত্যাদি।
গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য:
- এরা মাঝারি আকারে হয়ে থাকে।
- শেকড় মাটির বেশি গভীরে যায় না।
- এদের গোড়া থেকেই শাখা-প্রশাখা বের হয়।
- গুল্ম উদ্ভিদ সাধারণত ঝোপবিশিষ্ট্য হয়।
- কিছু গুল্ম উদ্ভিদ ফুল ও ফল প্রদান করে।
- এগুলো অত্যন্ত সহিষ্ণু ও প্রায় সকল ধরনের মাটিতে জন্মে।
- গুল্ম উদ্ভিদ যেমন: জবা, রঙ্গন, গোলাপ, লেবু ইত্যাদি।
চন্দন কি ধরনের উদ্ভিদ
উত্তর: চন্দন একটি সুগন্ধি ভেষজ উদ্ভিদ। শ্বেত ও রক্ত দুই ধরনের চন্দনগাছ আছে। শ্বেত চন্দনের বৈজ্ঞানিক নাম Santalum album এবং রক্ত চন্দনের বৈজ্ঞানিক নাম Pterocarpus santalinus। এদের সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় ভারতে। এ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার কিছু দেশ, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশেও এই সুগন্ধি গাছ পাওয়া যায়।
জলজ উদ্ভিদ
উত্তর: যে সমস্ত উদ্ভিদ পর্যাপ্ত পরিমাণ জলে জন্মায় কিংবা সম্পূর্ণভাবে জলজ পরিবেশের জীবন যাপন করে তাদের জলজ উদ্ভিদ বলে। হ্রদ, পুকুর, নদী, জলাশয় ও অন্যান্য জলজ পরিবেশে এবং আর্দ্র ভূমিতে বসবাসকারী উদ্ভিদেরা এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত।
জলজ উদ্ভিদের অভিযোজন গত বৈশিষ্ট্য
উত্তর: জলজ পরিবেশে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্যে জলজ উদ্ভিদ গুলি বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় ও অঙ্গসংস্থানিক পরিবর্তন ঘটিয়ে থাকে। যা তাদের উক্ত পরিবেশে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। জলজ উদ্ভিদের অভিযোজন গত বৈশিষ্ট্য গুলি হল
A) মূল –
- i. জলজ উদ্ভিদের মূল সাধারণত ছোট, দুর্বল ও অসংগঠিত হয়।
- ii. অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রকৃতির মূল গুলি মূল রোম বিহীন হয়।
- iii. জলজ উদ্ভিদের মূলে সাধারণত কিউটিকল থাকে না।
- iv. জলজ উদ্ভিদের মূলে কোন রকম যান্ত্রিক কলা থাকেনা।
B) কান্ড
- i. জলজ উদ্ভিদের কান্ড গুলি সাধারণত কোমল প্রকৃতির হয়।
- ii. কচুরিপানার কান্ড পুরু ও স্পঞ্জের মতো হয়।
- iii. শালুক জাতীয় উদ্ভিদের কান্ড জলের তলায় নিমজ্জিত থাকে, এতে গ্রন্থি কান্ড তৈরি হয়।
C) পাতা –
- i. ভাসমান জলজ উদ্ভিদের পাতাগুলি বড় হয়, বৃন্ত দীর্ঘ হয় এবং এগুলির মধ্যে বাতাস ভর্তি থাকে।
- ii. নিমজ্জিত জলজ উদ্ভিদ গুলির পাতা ছোটো ও পাতলা হয়।
- iii. ভাসমান জলজ উদ্ভিদের পাতার উপরিতল খুব মসৃণ এবং পত্র রন্ধ্র পাতার উপরিতলে থাকে।
D) শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্য
- i. জলজ উদ্ভিদের প্রস্বে দণ ও বৃদ্ধির হার যথেষ্ট কম।
- ii. জলজ উদ্ভিদ সাধারণত বহু বর্ষ জীবি হয়।
জামাকাপড়ের জন্য মানুষ কীভাবে উদ্ভিদের ওপর নির্ভর করে
উত্তর: জামাকাপড় তৈরি করার জন্য মানুষ গাছের উপর অনেকাংশেই নির্ভর করে।
তুলো, পাট প্রভৃতি গাছ থেকে বিভিন্ন প্রকার তন্তু পাওয়া যায়। এই তন্তু দিয়ে সুতো তৈরি করা হয় এবং ওই সুতো দিয়ে আমাদের জামা কাপড় বানানো হয়। এই ভাবেই জামা কাপড়ের জন্য মানুষ উদ্ভিদের উপর নির্ভর করে।
ট্রান্সজেনিক উদ্ভিদ কাকে বলে
উত্তর: ট্রান্সজেনিক উদ্ভিদকে সেই উদ্ভিদ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় যাদের ডিএনএ ভেক্টর-মধ্যস্থিত জিন স্থানান্তর, ডিপিং পদ্ধতি এবং অনেক আধুনিক প্রযুক্তির মতো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতি দ্বারা পরিবর্তিত বা পরিবর্তিত হয়। এটি প্রধানত প্রক্রিয়া যা বিভিন্ন প্রজাতির এক বা একাধিক জিনকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং উদ্ভিদ কোষে প্রবর্তিত হয়, উদ্ভিদ ডিএনএর সাথে একত্রিত হয়।
ট্রান্সজেনিক উদ্ভিদ উদাহরণ
উত্তর: ট্রান্সজেনিক উদ্ভিদ উদাহরণ গুলি হলো, Corns, সয়াবিন, ক্যানোলা, বরই, ধান, তামাক, ভুট্টা, মিষ্টি আলু, থালে ক্রেস, পেঁপে, আলু, ফাইল করা, সরিষা, রুটি গম, তরমুজ, মটর, বার্ষিক ক্যাপসাম, মূলা, লিওনুরাস জাপোনিকা, চিক, টিকা সবুজ, ভিসকম অ্যালবাম
দীর্ঘ দিবা উদ্ভিদ, দীর্ঘ দিবা উদ্ভিদ কাকে বলে উদাহরণ, হ্রস্ব রাত্রি উদ্ভিদ, দীর্ঘ দিবা উদ্ভিদ উদাহরণ, দীর্ঘ দিবা উদ্ভিদ উদাহরণ, একটি দীর্ঘ দিবা উদ্ভিদ, একটি দীর্ঘ দিবা উদ্ভিদ এর নাম, একটি দীর্ঘ দিবা উদ্ভিদ উদাহরণ
উত্তর: যে সব উদ্ভিদের ফুল ফোটার জন্য প্রথমে সংকট আলোর চেয়ে কম আলো দিলে পুস্প প্রস্ফুটন হয়, তাদের দীর্ঘ দিবা উদ্ভিদ বলে। স্বল্প অন্ধকারে থাকলে এদের পুস্প প্রস্ফুটনের হার বেড়ে যায়, তাই এদের হ্রস্ব রাত্রি উদ্ভিদ ও বলা হয়।
সাধারণত, যেসব উদ্ভিদ ১২ ঘন্টার অধিক দৈর্ঘ্যের আলোকপর্বে বৃদ্ধি লাভ করে, তাদের দীর্ঘ দিবা উদ্ভিদ বলে। উদাহরণ – গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি যেমন পালং শাক, লেটুস ইত্যাদি।
নিদ্রা চলন কাকে বলে
উত্তর: লেগিউম পরিবারের (ফ্যাবেসি) গাছপালা, স্পর্শ বা অন্যান্য উদ্দীপনার প্রতিক্রিয়াতে পাতার চলাচল প্রদর্শন করে এবং এর চলনকে নিদ্রা চলন বা নাই্যাক্টিনাস্টিক চলন বলা হয়।
নিদ্রা চলন কোন উদ্ভিদে দেখা যায়, নিদ্রা চলন দেখা যায় কোন উদ্ভিদে, নিদ্রা চলন দেখা যায় কোন গাছের পাতায়, নিদ্রা চলন দেখা যায়
উত্তর: যে সমস্ত উদ্ভিদ এ নাই্যাক্টিনাস্টিক চলন বা নিদ্রা চলন দেখা যায় তারা হলো লেগিউম জাতীয় উদ্ভিদ যেমন বিনস, কড়াইশুঁটি ইত্যাদি।
পতঙ্গের সাহায্যে পরাগ যোগ হয় যে উদ্ভিদে তা নির্বাচন করো, পতঙ্গের সাহায্যে পরাগযোগ হয় যে উদ্ভিদে তা নির্বাচন করো
পতঙ্গের সাহায্যে পরাগযোগ হয় যে উদ্ভিদে তা হলো আম।
মেন্ডেল কিভাবে মটর ফুলে ইতর পরাগযোগ ঘটান তা আলোচনা করো ।
উত্তর: সংকরায়নের পরীক্ষায় মেন্ডেল উভলিঙ্গ মটর গাছের ফুলের পুংকেশরগুলিকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কেটে ফেলেন | এই পদ্ধতিকে ইমাসকুলেশন বলা হয়ে থাকে | ইমাসকুলেশনের পর তিনি স্ত্রী ফুলগুলিকে কাগজের থলি দিয়ে আবদ্ধ করে রাখেন যাতে নির্বাচিত জনিতৃ চারা অন্য কোনো মটর ফুলের পরাগরেণু দ্বারা ইতর পরাগ্যোগ না ঘটে | এরপর কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি করা স্ত্রী ফুলের থলিটি সরিয়ে নির্বাচিত জনিতৃ উদ্ভিদের ফুলের পরাগরেণু সুক্ষ্ম তুলির সাহায্যে ওই স্ত্রী ফুলের গর্ভমুন্ডে স্থানান্তরিত করে ইতর পরাগযোগ ঘটান |
মেন্ডেল এর সূত্র | Mendel’s Law
১. প্রথম সূত্র | Mendel’s First Law
সংকর জীবে বিপরীত বৈশিষ্টের ফ্যাক্টরগুলো (জিনগুলো) মিশ্রিত বা পরিবর্তিত না হয়ে পাশাপাশি অবস্থান করে এবং জননকোষ (গ্যামেট) সৃষ্টির সময় পরস্পর থেকে পৃথক হয়ে ভিন্ন ভিন্ন জননকোষে প্রবেশ করে।
এ সূত্রকে মনোহাইব্রিড ক্রস সূত্র (Law of Monohybrid cross) বা জননকোষ শুদ্ধতার সূত্র (Law of Purity of gametes) বা পৃথকীকরণ সূত্র (Law of Segregation)-ও বলা হয়।
২. দ্বিতীয় সূত্র | Mendel’s Second Law
দুই বা ততোধিক জোড়া বিপরীত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন জীবের মধ্যে ক্রস ঘটালে প্রথম সংকর পুরুষে (1F1) কেবলমাত্র প্রকট বৈশিষ্ট্যগুলোই প্রকাশিত হবে, কিন্তু জননকোষ (গ্যামেট) উৎপাদনকালে বৈশিষ্ট্যগুলো জোড়া ভেঙ্গে পরস্পর থেকে স্বতন্ত্র বা স্বাধীনভাবে বিন্যস্ত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন জননকোষে প্রবেশ করবে।
এ সূত্রকে স্বাধীনভাবে মিলনের বা বন্টনের সূত্র (Law of Independent Assortment)-ও বলা হয়। এ ধরনের ক্রসে নতুন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন জীবের উৎপত্তি হয়।
মেন্ডেলের চেকার বোর্ড, মেন্ডেলের দ্বি সংকর জনন পরীক্ষা, মেন্ডেলের একসংকর জননের পরীক্ষা চেকার বোর্ড, মেন্ডেলের দ্বি সংকর জনন, মেন্ডেলের মটর গাছ নির্বাচনের কারণ
মেন্ডেলের একসংকর জননের পরীক্ষা
উত্তর: ধরি মটরগাছের লম্বা বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী অ্যালিল T এবং বেঁটে বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী অ্যালিল t , যেখানে ‘লম্বা’ বৈশিষ্ট্যটি ‘বেঁটে’ বৈশিষ্ট্যের ওপর প্রকট।
একসংকর জনন পরীক্ষায় মেন্ডেল বিশুদ্ধ বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি লম্বা মটরগাছের (TT) সঙ্গে একটি বিশুদ্ধ বৈশিষ্ট্যযুক্ত বেঁটে মটরগাছের (tt) ইতর পরাগযোগ ঘটানো হলো।
P জনুঃ বিশুদ্ধ লম্বা মটরগাছ বিশুদ্ধ বেঁটে মটরগাছ
জনিতৃ জনু × ইতর পরাগযোগ
জিনোটাইপ T T t t
গ্যামেট T t
F1 জনু Tt
সুতরাং F1 জনুতে সব মটরগাছ সংকর লম্বা প্রকৃতির হবে [যেহেতু লম্বা বৈশিষ্ট্যটি প্রকট]
এই সংকর লম্বা মটরগাছের মধ্যে সংকরায়ন ঘটানো হলো ।
F1 জনুঃ সংকর লম্বা মটরগাছ সংকর লম্বা মটরগাছ
জিনোটাইপ T t T t
গ্যামেট T – t T – t
মেন্ডেলের চেকার বোর্ড
F2 জনুর চেকার বোর্ড
T | t | |
T | TT | Tt |
t | Tt | tt |
সুতরাং F2 জনুতে উৎপন্ন অপত্যের ফিনোটাইপ অনুপাত
= লম্বা : বেঁটে
= 3 : 1
এবং জিনোটাইপ অনুপাত
= বিশুদ্ধ লম্বা : সংকর লম্বা : বিশুদ্ধ বেঁটে
= 1 : 2 : 1
মেন্ডেলের দ্বিসংকর জনন
দ্বিসংকর জনন পরীক্ষায় মেন্ডেল দু’জোড়া বিপরীত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত (বীজের রঙ ও বীজের আকার) দুটি মটরগাছের মধ্যে ইতর পরাগযোগ ঘটান।
মেন্ডেল মটরগাছের যে চরিত্রগুলো নিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন, তাদের অ্যালিল ও প্রত্যেকটির বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যগুলি নিচের সারণীতে উল্লেখ করা হলো।
মটরগাছের চরিত্র | প্রকট বৈশিষ্ট্য | বৈশিষ্ট্যের অ্যালিল | প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য | বৈশিষ্ট্যের অ্যালিল |
বীজের রঙ | হলুদ | Y | সবুজ | Y |
বীজের আকার | গোল | R | কুঞ্চিত | r |
ধরি মটরগাছের লম্বা বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী অ্যালিল T এবং বেঁটে বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী অ্যালিল t , যেখানে ‘লম্বা’ বৈশিষ্ট্যটি ‘বেঁটে’ বৈশিষ্ট্যের ওপর প্রকট।
একসংকর জনন পরীক্ষায় মেন্ডেল বিশুদ্ধ বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি লম্বা মটরগাছের (TT) সঙ্গে একটি বিশুদ্ধ বৈশিষ্ট্যযুক্ত বেঁটে মটরগাছের (tt) ইতর পরাগযোগ ঘটানো হলো।
P জনুঃ বিশুদ্ধ হলুদ ও বিশুদ্ধ সবুজ ও
গোলাকার বীজযুক্ত মটরগাছ কুঞ্চিত বীজযুক্ত মটরগাছ
×
ইতর পরাগযোগ
জিনোটাইপ YYRR yyrr
গ্যামেট YR yr
F1 জনু YyRr
সুতরাং F1 জনুতে হলুদ ও গোল বীজযুক্ত সংকর শ্রেণির মটরগাছ উৎপন্ন হলো। [যেহেতু ‘হলুদ’ ও ‘গোল’ বৈশিষ্ট্য দুটি প্রকট]
এই সংকর হলুদ ও সংকর গোল বীজযুক্ত মটরগাছের মধ্যে সংকরায়ন ঘটানো হলো ।
F1 জনুঃ
জিনোটাইপ YyRr YyRr
গ্যামেট YR – Yr – yR – yr YR – Yr – yR – yr
F2 জনুর চেকার বোর্ড
YR | Yr | yR | yr | |
YR | YYRRহলদে গোল | YYRrহলদে গোল | YyRRহলদে গোল | YyRrহলদে গোল |
Yr | YYRrহলদে গোল | YYrrহলদে কুঞ্চিত | YyRrহলদে গোল | Yyrrহলদে কুঞ্চিত |
yR | YyRRহলদে গোল | YyRrহলদে গোল | yyRRসবুজ গোল | yyRrসবুজ গোল |
yr | YyRrহলদে গোল | Yyrrহলদে কুঞ্চিত | yyRrসবুজ গোল | Yyrrসবুজ কুঞ্চিত |
সুতরাং F2 জনুতে উৎপন্ন অপত্যের ফিনোটাইপ অনুপাত
= হলদে গোল : হলদে কুঞ্চিত : সবুজ গোল : সবুজ কুঞ্চিত
= 9 : 3 : 3 : 1
এবং জিনোটাইপ অনুপাত
= YYRR : YYRr : YyRR : YyRr : YYrr : Yyrr : yyRR : yyRr : yyrr
= 1 : 2 : 2 : 4 : 1 : 2 : 1 : 2 : 1
মেন্ডেলের সাফল্যের কারণ, মেন্ডেলের সাফল্যের কারণ গুলি লেখ
উত্তর: মেন্ডেলের সাফল্যের কারণ গুলি হলো :
- সংখ্যায় বেশি অপত্য নিয়ে তাদের উৎপত্তির গাণিতিক সম্ভাব্যতা বিশ্লেষণ করে মতবাদ তৈরি করা ।
- সকল বৈশিষ্ট্য নিয়ে পরীক্ষা না করে একটি বা দুটি বৈশিষ্ট্যকে পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করা ।
- একই চরিত্রের বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যে নিয়ে তিনি পরীক্ষা করেন ।
- মেন্ডেল শুধুমাত্র সংকরায়ণ পদ্ধতিতে সৃষ্ট অপত্যের বৈশিষ্ট্যর ওপর নির্ভর করেই তাঁর মতবাদ প্রতিষ্ঠা করেন ।
পর্ণমোচী উদ্ভিদ কাকে বলে
উত্তর: পর্ণমোচী (ইংরেজি: deciduous) মানে “পরিপক্ব অবস্থায় ঝরে যাওয়া” অথবা “ঝরে যাওয়ার ঝোঁক” বোঝায়। যেসব বৃক্ষ অথবা গুল্ম ঋতুভেদে পাতা ঝরিয়ে দেয় সেসব ক্ষেত্রে, এবং উদ্ভিদের অন্যান্য অংশসমূহ (যেমন ফুল ফোটার পর পাপড়ি বা পরিপক্ব হয়ে গেলে ফল) ঝরানোর ক্ষেত্রে আদর্শরূপে এটিকে ব্যবহার করা হয়।
আরোও সাধারণ অর্থে বললে, পর্ণমোচী মানে হল যে অঙ্গ আর প্রয়োজন নেই, অথবা যে অঙ্গের উদ্দেশ্য ফুরিয়ে গেছে, তার ঝরে যাওয়া। উদ্ভিদে এটি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া।
শাল, সিমুল, সেগুন, জারুল, মহুয়া, পলাশ, শিরিস, বট, অশ্বত্থ, কুসুম, আম, কাঁঠাল প্রভৃতি পর্ণমোচী বৃক্ষের উদাহরণ ।
জেড উদ্ভিদ
জেড প্ল্যান্ট, একটি জনপ্রিয় ইনডোর প্ল্যান্ট
উত্তর: জেড প্ল্যান্ট, লাকি প্ল্যান্ট নামেও পরিচিত। জেড উদ্ভিদ পুরু পাতা এবং কান্ড সহ একটি রসালো উদ্ভিদ। অধিকন্তু, এরা প্রায় 3 থেকে 8 ফুট লম্বা এবং Crassulaceae পরিবারের অন্তর্গত।
জেড উদ্ভিদ দক্ষিণ আফ্রিকার অন্তর্গত এবং হালকা জলবায়ু পরিস্থিতিতে ভালভাবে বেঁচে থাকে। এটি তার ডিম্বাকৃতির পাতা, পুরু ডালপালা এবং শিকড়গুলিতে জল সঞ্চয় করে। আসলে, আপনি বংশবৃদ্ধির জন্য জেড উদ্ভিদের পাতা বা কান্ড ব্যবহার করতে পারেন।
বেশ কিছু জেড প্ল্যান্টের সুবিধা রয়েছে যা এটিকে একটি ভাল পছন্দের ইনডোর প্ল্যান্ট করে তোলে। স্বল্প পরিশ্রমের প্রয়োজন হওয়া সত্ত্বেও, জেড উদ্ভিদ একটি সমৃদ্ধ রঙের এবং সুন্দর উদ্ভিদ যা আপনার বাড়ির নক এবং কোণার সৌন্দর্য বাড়াতে পারে। আপনি অন্যথায় একঘেয়ে বাড়িতে আরও প্রাণবন্ততা আনতে পারেন, কারণ সবুজ পাতা সাদা দেয়ালের পটভূমিতে রঙের অত্যধিক প্রয়োজনীয় পপ যোগ করে। এছাড়াও, জেড উদ্ভিদ জন্মদিন, বার্ষিকী এবং হাউসওয়ার্মিং পার্টিগুলির জন্য একটি জনপ্রিয় উপহার পছন্দ হয়ে উঠেছে।
জেড উদ্ভিদ বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে আসে যা সত্যিকার অর্থে এটিকে একটি ফরচুন প্ল্যান্ট করে তোলে যা সত্যিই প্রকৃতি এবং বিলাসিতাকে মিশ্রিত করবে।
জেড উদ্ভিদ উপকারিতা
জেড উদ্ভিদটি কেবল একটি দৃষ্টিনন্দন উদ্ভিদ নয় বরং এটি বিভিন্ন সুবিধার সাথে আসে যা এটিকে একজাতীয় উদ্ভিদ করে তোলে। জেড উদ্ভিদের কিছু উপকারিতা নীচে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে:
অভ্যন্তরীণ বায়ু বিশুদ্ধ করে
অন্যদের মত গৃহমধ্যস্থ উদ্ভিদ , জেড উদ্ভিদ বায়ুর গুণমান উন্নত করতে সাহায্য করে। আপনি আপনার ঘর সঠিকভাবে বায়ুচলাচল আছে তা নিশ্চিত করে এবং বিভিন্ন কক্ষে জেড উদ্ভিদ স্থাপন করে অভ্যন্তরীণ বায়ু বিশুদ্ধ করতে পারেন। আপনার বাড়ির ভিতরে বিষাক্ত পদার্থ এবং দূষক সংগ্রহ করতে পারে। অতএব, জেড উদ্ভিদের সবচেয়ে বড় সুবিধাগুলির মধ্যে একটি হল বায়ু পরিষ্কার করার ক্ষমতা। সুতরাং, আপনি এই বায়ু পরিশোধন ইনডোর প্ল্যান্ট ব্যবহার করতে পারেন এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে পারেন।
কম রক্ষণাবেক্ষণ
জেড উদ্ভিদের সুবিধাগুলির মধ্যে একটি হল এটি কম রক্ষণাবেক্ষণ বলে পরিচিত, এটি সেইসব গৃহকর্তাদের জন্য নিখুঁত পছন্দ করে যাদের গাছের যত্ন নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় নেই। যেহেতু এটি আপনার সর্বোচ্চ মনোযোগের প্রয়োজন হয় না, আপনি কিছু সহজ টিপস এবং কৌশল অনুসরণ করে সহজেই এই জেড উদ্ভিদটি বজায় রাখতে পারেন, যার মধ্যে অতিরিক্ত জল এড়ানো এবং পর্যাপ্ত সূর্যালোক দেওয়া সহ।
কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে
আপনি কি জানেন যে জেড উদ্ভিদ রাতে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করতে পারে? এটি কেবল অভ্যন্তরীণ বাতাসকে আরও ভাল করে তোলে না, এটি আপনাকে একটি ভাল রাতের ঘুম উপভোগ করতেও সহায়তা করে। তাই শোবার ঘরে জেড প্ল্যান্ট রাখা উপকারী। প্রকৃতপক্ষে, জেড উদ্ভিদ ক্র্যাসুলেসিয়ান অ্যাসিড বিপাক (সিএএম) অনুসরণ করে, যা এই উদ্ভিদটি রাতে তার ছোট ছিদ্রগুলিকে খুলে দেয়, এটি কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করতে দেয়।
ঔষধি গুণাবলী
বিভিন্ন জেড উদ্ভিদ সুবিধার মধ্যে, ঔষধি বৈশিষ্ট্য সবচেয়ে অস্বাভাবিক। কিছু অঞ্চলে, জেড উদ্ভিদ ক্ষত চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়। তদুপরি, জেড উদ্ভিদ বদহজম এবং ডায়রিয়ার মতো সমস্যাগুলি মোকাবেলায় সহায়তা করতে পারে। এটি warts মোকাবেলা করতেও ব্যবহৃত হয়। এই উদ্ভিদটি দক্ষিণ আফ্রিকাতে বমি বমি ভাব এবং ভুট্টার চিকিত্সার জন্যও ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে, চীনে ডায়াবেটিস মোকাবেলায় এক ধরনের উদ্ভিদ ব্যবহার করা হয়। যদিও এটি উল্লেখ্য যে এই ঔষধি ব্যবহারগুলি বেশিরভাগই শুধুমাত্র ঘরোয়া প্রতিকার, তবে এই উদ্ভিদটি ঔষধি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার আগে আপনাকে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
আরো বিশদে পড়তে
পশ্চিমবঙ্গ বোর্ড WBBSE-এর ছাত্রদের জন্য ক্লাস 9 লাইফ সায়েন্স নোট এবং রেফারেন্স বই তাদের সহজে প্রস্তুত করতে এই বইটি বাংলা মাধ্যমের ছাত্রদের জন্য
FAQ | বৈশিষ্ট্য
Q1. ভারতীয় সংবিধানের বৈশিষ্ট্য
Ans – ভারতীয় সংবিধানের বৈশিষ্ট্য – A) বিশ্বের বৃহত্তম লিখিত সংবিধান B) যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা C) পার্লামেন্টারী শাসনব্যবস্থা D) মৌলিক অধিকার E) বিচার-বিভাগের স্বাধীনতা F) ভারতের সুপ্রীম কোর্ট G) অনুন্নত শ্রেণির স্বার্থে বৈষম্যমূলক সংরক্ষণ
Q2. হরপ্পা সভ্যতার বৈশিষ্ট্য
Ans – হরপ্পা সংস্কৃতির আবিষ্কার ভারতীয় সভ্যতার প্রাচীনত্বের ধারণাটিকেই বদলে দিয়েছে । ধারাবাহিকতার কারণে আর্য সভ্যতাকেই ভারতের প্রাচীনতম সভ্যতা বলে পূর্বে মনে করা হত । কিন্তু বিংশ শতকের দুয়ের দশকে হরপ্পা সংস্কৃতির আবিষ্কার থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে , খ্রীষ্টপূর্ব তিন সহস্রাব্দের আগের ভারতে এক অতি উন্নত নগর সভ্যতার অস্তিত্ব ছিল । হরপ্পীয়দের জীবনধারা , শিল্প চেতনা , অর্থনীতি ইত্যাদির উন্নত রূপ সত্যই বিস্ময়কর ছিল।
হরপ্পা সংস্কৃতির আর একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল বৃহৎ স্নানাগার , দুর্গ ও বড় বড় শস্যভাণ্ডার নির্মাণ । মহেঞ্জোদারোতে ৩৯ ফুট লম্বা , ২৩ ফুট চওড়া ও ৮ ফুট গভীরতা বিশিষ্ট একটি সুবৃহৎ স্নানাগার আবিষ্কৃত হয়েছে । এতে জল ঢোকাবার ও বের করবার ব্যবস্থা ছিল।
Q3. উদারনীতিবাদ কাকে বলে এর বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো
Ans – উদারনৈতিক মতবাদের প্রকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে কতকগুলি মূলনীতি বা বৈশিষ্ট্য বা মূলসূত্র নিম্নে উল্লেখ করা হল 一
A) আইনগত পৌর স্বাধীনতা B) রাজনৈতিক সাম্য এবং ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ প্রতিষ্ঠা C) জনসম্মতি D) পৌর ও রাজনৈতিক অধিকারের স্বীকৃতি E) অর্থনৈতিক স্বাধীনতা F) সামাজিক স্বাধীনতা G) ব্যক্তিগত স্বাধীনতা H) পারিবারিক স্বাধীনতা I) ফ্যাসিবাদ বিরােধিতা J) স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা K) সর্বজনীন ভােটাধিকারের স্বীকৃতি এবং একাধিক রাজনৈতিক দলে বিশ্বাসী L) জনকল্যাণকামী রাষ্ট্রনীতি M) একাধিক রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব
Q4. নব্য প্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্য
Ans – নব্য প্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্য গুলি হলো : –
A) নব্য প্রস্তর যুগের হাতিয়ার B) কৃষির সূচনা C) পশুপালনের প্রারম্ভ D) স্থায়ী বসতি নির্মাণ E) রাষ্ট্রব্যবস্থার সূচনা F) অর্থনৈতিক জীবন