- কাবুলিওয়ালা গল্পের মূল বিষয়বস্তু
- কাবুলিওয়ালা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর ২০২১
- কাবুলিওয়ালা গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর
- কাবুলিওয়ালা গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
- কাবুলিওয়ালা গল্পের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
- কাবুলিওয়ালার নাম কী ছিল?
- মিনি খেলা রেখে জানালার ধারে ছুটে গেল কেন? বুঝিয়ে লেখ।
- ‘দ্বার’ শব্দের অর্থ কী?
- মিনির বাবা প্রথমে রহমতকে চিনতে পারলেন না কেন? বুঝিয়ে লেখ।
- ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পে দারােয়ানের নাম কী?
- কাবুলিওয়ালাকে জেলে যেতে হয়েছিল কেন?
- “আমি তাে সওদা করতে আসি না।”- ব্যাখ্যা কর।
- মিনি কাবুলিওয়ালাকে দেখে ভয় পেয়েছিল কেন?
- কাবুলিওয়ালা গল্পের PDF
কাবুলিওয়ালা গল্পের মূল বিষয়বস্তু
‘কাবুলিওয়ালা’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি ছোট গল্প। এই গল্পের মূল চরিত্র গুলো হচ্ছে-
মিনিঃ একটি পাঁচ বছরের মেয়ে।
রহমতঃ এখানে যিনি কাবুলিওয়ালা। কাবুল প্রদেশ থেকে ব্যবসার জন্য বাংলাতে এসে ছিলেন তিনি।
মিনির পিতাঃ এখানে যিনি গল্প কথকের কাজ করেছ
একটি পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে মিনির হটাৎ পরিচয় হয় এক ভিনদেশী কাবুলিওয়ালার সাথে।তারপর তাদের বন্ধুত্ব হয়।মিনি পেল তার এক বন্ধু আর রহমত মিনির মধ্যে তার মেয়ের প্রতিচ্ছবি দেখতে পেল।
রহমত প্রতিদিনই মিনিকে দেখতে আসতো আর সাথে করে বাদাম,কিসমিস আরও অনেক কিছু নিয়ে আসতো। মিনির মা’র কাবুলিওয়ালাকে নিয়ে সন্দেহ থাকলেও মিনির বাবা তাদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দেখে অবাক হতেন। রহমতকে দেখলেই মিনি কাবুলিওয়ালা বলে দৌড়ে আসতো। কাবুলিওয়ালা হিন্দি বাংলা মিশিয়ে কথা মিনিকে শোনাতো আর তা শুনে মিনি খুব মজা পেতো।
একদিন এক সামান্য অপরাধে রহমতকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।তারপর তাকে অনেকদিন দেখা যায় না।অনেক বছর পরে একদিন সেই ছোট্ট মিনিকে দেখতে সে আসে মিনির বাড়িতে।
এসে দেখে তার সেই খুকি আজ আর ছোট নেই।আজ তার বিয়ে।আজ বিয়ের সাজে মিনিকে দেখে তার মনে হয় আজ তার মেয়েও হয়তো ঠিক মিনির মতোই এত বড় হয়েছে।ঠিক সেই সময় মিনির পিতা রহমতকে একটি নোট হাতে দিয়ে বলে দেশে ফিরে যাও তোমাদের পিতা কন্যার মিলনসুখে আমার মিনির কল্যান হোক।
কাবুলিওয়ালা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর ২০২১
কাবুলিওয়ালার মলিন কাগজটিতে কী ছিল?
উত্তর : কাবুলিওয়ালার মলিন কাগজটিতে তার মেয়ের ছােট হাতের ছাপ ছিল।
রহমতকে কারাবরণ করতে হয়েছিল কেন?
উত্তর : লেখকের প্রতিবেশীকে সাংঘাতিক আঘাত করার অপরাধে রহমতকে কারাবরণ করতে হয়েছিল।
কাবুলিওয়ালা গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর
“নতুন দারােয়ান সামাদ মিয়ার সাথে ছেলের বেশি ভাব-বন্ধুত্ব কিছুতেই মেনে নিতে পারেন না আবীরের মা। তিনি। স্বামীকে বােঝান- বিভিন্ন ফন্দি করে অনেক মানুষ এখন অন্যের বাচ্চা চুরি করে। সামাদ মিয়াও তাে একদিন তেমন কিছু করে বসতে পারে”।
উপরের অংশে কাবুলিওয়ালা’ গল্পের কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : উপরের অংশে কাবুলিওয়ালা’ গল্পের মিনির মায়ের শঙ্কার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে।
শিশু পাচারকারীরা শিশুদের খাবার, খেলনা প্রভৃতি দিয়ে বশ করে। তারপর সুযােগ বুঝে শিশুদের তারা চুরি করে এবং পাচার করে দেয়। এদের ভয়েই বাবা-মা শিশুদের বাইরের কারও সংস্পর্শে যেতে দেন না।
‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পে মিনির মা মিনির প্রতি কাবুলিওয়ালার যে স্নেহ, সেটি নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন। কাবুলিওয়ালা রহমত সম্পর্কে তিনি একেবারে নিঃসংশয় ছিলেন না। তাই মিনির বাবাকে বলেছিলেন তার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখতে। মিনির মায়ের মতােই উদ্দীপকের আবীরের মা-ও শাঙ্কিত ছিলেন ছেলের সঙ্গে নতুন দারােয়া বন্ধুত্ব নিয়ে। কারণ তিনি জানতেন অনেক মানুষই বিভিন্ন ফন্দি করে বাচ্চা চুরি করে পালিয়ে যায়। এ কারণে তিনি সামাদ মিয়াকে বিশ্বাস করতে পারেননি। তাই বলা যায় যে, উপরের অংশে আলােচ্য গল্পের মিনির মায়ের শঙ্কার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে।
কাবুলিওয়ালা গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
উপরের অংশে সামাদ মিয়া যেন কাবুলিওয়ালা’ গল্পের মূল ভাবকেই ধারণ করে আছে।”- বিশ্লেষণ কর।
উত্তর : উপরের অংশে সামাদ মিয়া যেন কাবুলিওয়ালা’ গল্পের মূলভাবকেই ধারণ করে আছে।”- মন্তব্যটি যথার্থ।
সন্তানের প্রতি ভালােবাসা, মমত্ববােধ সব পিতা-মাতার অন্তরেই বিরাজ করে। কেবল নিজের সন্তানই নয়, অন্যের সন্তানের প্রতিও তাদের স্নেহ-মমতার প্রকাশ ঘটে নানা পরিবেশ-পরিস্থিতিতে। অনেক পিতা-মাতা নিজ সন্তানকে হারিয়ে অন্যের সন্তানের মাঝে তার সন্তানকে খুঁজে ফেরেন।
‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পে রহমত তার ছােট্ট মেয়েটির কাছ থেকে দূরে থাকায় মিনির মাঝেই যেন তার সাদৃশ্য খুঁজে পায়। মিনিকে তাই নিজ সন্তানের মতােই ভালােবাসে। মিনির জন্য সে পেস্তা বাদাম, কিশমিশ নিয়ে আসে। এমনকি দীর্ঘদিন পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আকুল হয়ে ছুটে আসে মিনিকে দেখতে। উদ্দীপকের সামাদ মিয়াও মালিকের ছেলে অবীরকে নিজ সন্তানের মতােই স্নেহ করে। তাই আবীরের দুর্ঘটনার খবর শুনে সে পাগলের মতাে ছুটে আসে।
উদ্দীপকের সামাদ মিয়ার মধ্যে একজন পিতার এই স্নেহপ্রবণতাই প্রকাশিত হয়েছে। অন্যদিকে ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পের মিনির পিতা ও কাবুলিওয়ার মধ্য দিয়ে একজন পিতার স্নেহপ্রবণ মন ও মানসিকতারই প্রকাশ ঘটে, যা ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পের মূলভাব। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের সামাদ মিয়া যেন কাবুলিওয়ালা গল্পের মূলভাবকেই ধারণ করে আছে।
কাবুলিওয়ালা গল্পের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
কাবুলিওয়ালার নাম কী ছিল?
উত্তর : কাবুলিওয়ালার নাম ছিল রহমত।
মিনি খেলা রেখে জানালার ধারে ছুটে গেল কেন? বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : কাবুলিওয়ালাকে ডাকার জন্য মিনি খেলা রেখে জানালার ধারে ছুটে গেল।
পাঁচ বছরের মেয়ে মিনি বাবার অতি আদরের। সে এক দণ্ড কথা বলে থাকতে পারে না। তাদের ঘর ছিল পথের ধারে। সেই পথ দিয়ে হেঁটে যেত কাবুলিওয়ালা। যার পরনে ছিল ময়লা ঢিলা কাপড়, মাথায় পাগড়ি। ঘাড়ে ছিল ঝুলি। তার হাতে ছিল গােটা দুই-চার আঙ্গুরের বাক্স। প্রচন্ড কৌতূহলবশত মিনি খেলা রেখে উধ্বশ্বাসে সেই লম্বা কাবুলিওয়ালাকে ডাকতে ডাকতে জানালার ধারে ছুটে গেল।
‘দ্বার’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘দ্বার’ শব্দের অর্থ দরজা ।
মিনির বাবা প্রথমে রহমতকে চিনতে পারলেন না কেন? বুঝিয়ে লেখ।
অনেক বছর কেটে যাওয়ায় মিনির বাবা প্রথমে রহমতকে চিনতে পারলেন না।
উত্তর : পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়ে এক লােককে রহমত ছুরি বসিয়ে দেয়। সেই কারণে রহমতের কয়েক বছর কারাদণ্ড হয়। এর পর রহমত যখন আবার মিনির বাবার সামনে ফিরে আসে তখন তিনি তাকে চিনতে পারেন না। কারণ তার শরীরে আগের মতাে তেজ ছিল। তার মাথার সেই লম্বা চুল ছিল না। কাধে তার ঝুলিটাও ছিল না।
‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পে দারােয়ানের নাম কী?
উত্তর : কাবুলিয়ালা’ গল্পে দারােয়ানের নাম রামদয়াল।
কাবুলিওয়ালাকে জেলে যেতে হয়েছিল কেন?
উত্তর : মিনিদের এক প্রতিবেশীকে সাংঘাতিক আঘাত করার অপরাধে কাবুলিওয়ালাকে জেলে যেতে হয়েছিল।
“আমি তাে সওদা করতে আসি না।”- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : রহমত মিনির বাবাকে এ কথাটি বলে।
মিনিকে রহমত নিজ কন্যার মতােই মেহ করত। তাই জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তাকে দেখতে আসার সময় তার জন্য কিছু বাদাম, কিশমিশ এনেছিল। মিনির বাবা সেগুলাের মূল্য দিতে গেলে রহমত তার হাত চেপে ধরে। বলে মিনির কাছে সে সওদা করতে আসে না, আসে স্নেহের টানে।
মিনি কাবুলিওয়ালাকে দেখে ভয় পেয়েছিল কেন?
উত্তর : কাবুলিওয়ালার অদ্ভুত সাজ-পােশাক দেখে মিনি ভয় পেয়েছিল।
কাবুলিওয়ালার পরনে ময়লা ঢিলা কাপড়, মাথায় পাগড়ি, ঘাড়ে ঝুলি আর হাতে গােটা দুই-চার আঙুরের বাক্স। তার ঝুলিটার প্রতিই ছিল মিনির ভয়। তার মনের মধ্যে একটা অন্ধবিশ্বাস ছিল যে, কাবুলিওয়ালার সেই ঝুলির মধ্যে তার মতাে দু-চারটা জীবিত মানবসন্তান আছে। তাদের মতাে বুঝি কাবুলিওয়ালা তাকেও ধরে নিয়ে যাবে। তাই সে ভয় পেয়েছিল।
কাবুলিওয়ালা গল্পের PDF
কাবুলিওয়ালা: লেখক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
কাবুলিওয়ালা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
কাবুলিওয়ালার নাম কী ছিল?
উত্তর : কাবুলিওয়ালার নাম ছিল রহমত।
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন।