লিঙ্গ কাকে বলে
লিঙ্গ কথার আক্ষরিক অর্থ হলো ‘লক্ষণ বা চিহ্ন’ । যে লক্ষণ বা চিহ্নের সমন্বয় দ্বারা একটি শব্দ পুরুষ, স্ত্রী , স্ত্রী বা পুরুষ কিছু নয় বা জড় বস্তুকে সম্পূর্ণ পৃথকভাবে বোঝানো হলে সাধারণত তাকে লিঙ্গ বলে ।
ছেলে মেয়ের ধারণাকে বলা হয় লিঙ্গ। অর্থাৎ, পুংলিঙ্গ মানে পুরুষ, আর স্ত্রীলিঙ্গ মানে নারী বা মেয়ে বা স্ত্রী। এই বিভাজনই হলো লিঙ্গভেদ।
অন্যান্য ভাষার মতোই বাংলা ভাষাতেও লিঙ্গভেদে শব্দের রূপ পরিবর্তিত হয়। আবার অনেক সময় দুই লিঙ্গের দুইটি পৃথক শব্দও ব্যবহৃত হয়।
লিঙ্গ প্রয়োগের নিয়মগুলি হলো –
1. বিশেষ্য এবং বিশেষণেরই শুধুমাত্র লিঙ্গ পরিবর্তন হয়ে থাকে।
2. সর্বনাম, অব্যয় এবং ক্রিয়ার কোন লিঙ্গ পরিবর্তন হয় না।
3. লিঙ্গ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পুরুষ লিঙ্গ থেকে স্ত্রী লিঙ্গ হতে পারে, আবার স্ত্রী লিঙ্গ থেকে পুরুষ লিঙ্গও হতে পারে।
4. কিন্তু পুংলিঙ্গ থেকে ক্লীবলিঙ্গ বা উভয় লিঙ্গ থেকে পুংলিঙ্গ বা স্ত্রীলিঙ্গে কখনো পরিণত হতে পারে না ।
5. মূলত পুং বা পুরুষলিঙ্গের শব্দের শেষে আ, ঈ, নি, ইনী, আনী, ইকা প্রভৃতি প্রত্যয় যোগ করার মাধ্যমে স্ত্রীলিঙ্গে পরিণত করা হয় ।
লিঙ্গ কত প্রকার
লিঙ্গকে সাধারণত চার ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে যথা- 1. পুরুষ বা পুংলিঙ্গ 2. স্ত্রীলিঙ্গ 3. ক্লীবলিঙ্গ 4. উভয়লিঙ্গ ।
পুরুষ লিঙ্গ কাকে বলে, পুরুষ লিঙ্গ
যে সমস্ত শব্দের দ্বারা শুধুমাত্র পুরুষ জাতিকেই একান্তভাবে বোঝানো হয় তাকে পুরুষ লিঙ্গ বলে। যেমন- কাকা, বাবা, রাজা, শিক্ষক ইত্যাদি।
নিত্য পুংলিঙ্গ কাকে বলে
উ: কত গুলো পুংলিঙ্গ আছে তাদের কোন স্ত্রী লিঙ্গ হয় না। এদের নিত্য পুংলিঙ্গ বলে ।যেমন-কাপুরুষ, পুরোহিত, কৃতদার, কবিরাজ ইত্যাদি ।
স্ত্রীলিঙ্গ, স্ত্রীলিঙ্গ কাকে বলে
যে সমস্ত শব্দের দ্বারা কেবলমাত্র স্ত্রী জাতিকেই বোঝানো হয় তাকে স্ত্রীলিঙ্গ বলা হয়। যেমন- বোন, কাকি, শিক্ষিকা, রাণী ইত্যাদি।
যে শব্দ নারী বা স্ত্রী বা মেয়ে বোঝায়, তাকে স্ত্রীবাচক শব্দ বলে। যেমন- মা, বোন, মেয়ে, ইত্যাদি।
উলেলখ্য, মূলত বিশেষ্য ও বিশেষণ পদের লিঙ্গভেদ আছে। সংস্কৃত ভাষায় পুরুষবাচক বিশেষ্য পদের সঙ্গে পুরুষবাচক বিশেষণ পদ আর স্ত্রীবাচক বিশেষ্য পদের স্ত্রীবাচক বিশেষণ পদ ব্যবহৃত হয়। কিন্তু বাংলা ভাষায় এই নিয়ম মানা হয় না।
বাংলা ভাষায় বিশেষণ পদের লিঙ্গভেদ করা হয় না। অর্থাৎ, বাংলা ভাষায় কেবল বিশেষ্য পদের লিঙ্গভেদ হয়। যেমন- সংস্কৃত ভাষায় ‘সুন্দর বালক ও সুন্দরী বালিকা’। কিন্তু বাংলা ভাষায় ‘সুন্দর বালক ও সুন্দর বালিকা’।
নিত্য স্ত্রীলিঙ্গ কাকে বলে
কতগুলি স্ত্রীলিঙ্গ শব্দ যাদের পুংলিঙ্গ সম্ভব নয় যেমন – দেবতা, যোগিনী, বিধবা, সধবা, সতীন ইত্যাদি এদের বলে নিত্য স্ত্রীলিঙ্গ ।
ক্লীবলিঙ্গ কাকে বলে
যে সমস্ত শব্দের দ্বারা শুধুমাত্র জড়বস্তুকে নির্দেশ বা বোঝানো হয় তাকে ক্লীবলিঙ্গ বলে। যেমন- টেবিল, চেয়ার, ব্যাগ, বোর্ড, বই ইত্যাদি।
উভয়লিঙ্গ কাকে বলে
যে সমস্ত শব্দের দ্বারা পুরুষ এবং স্ত্রী উভয় জাতিকেই বোঝানো হয়ে থাকে তাকে বলা হয় উভয়লিঙ্গ। যেমন- কবি, ডাক্তার, শিশু ইত্যাদি।
আরো পড়তে: সমাস কাকে বলে
পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ
সব ভাষারই লিঙ্গভেদে শব্দভেদ আছে, বাংলা ভাষায়ও আছে। বাংলা ভাষায় বহু বিশেষ্য পদ রয়েছে যাদের কোনটিতে পুরুষ ও কোনটিতে স্ত্রী বোঝায়।
পুরুষবাচক শব্দ কাকে বলে
যে শব্দ পুরুষ বা ছেলে বোঝায়, তাকে পুরুষবাচক শব্দ বলে। এক কথায় বলা যায়, যে শব্দে পুরুষ বোঝায়, তাকে পুরুষবাচক শব্দ বলে। যেমন- বাপ, ভাই, ছেলে,কাকা, পুত্র, চাচা ইত্যাদি।
স্ত্রীবাচক শব্দ কাকে বলে
যে শব্দ নারী বা স্ত্রী বা মেয়ে বোঝায়, তাকে স্ত্রীবাচক শব্দ বলে। এক কথায় বলা যায়, যে শব্দে স্ত্রী বোঝায় তাকে স্ত্রীবাচক শব্দ বলা হয়। যেমন- মা, বোন, মেয়ে, কন্যা, মাতা ইত্যাদি।
উল্লেখ্য যে বিশেষ্য ও বিশেষণ পদের লিঙ্গভেদ আছে। তৎসম বা সংস্কৃত ভাষায় পুরুষবাচক বিশেষ্য পদের সঙ্গে পুরুষবাচক বিশেষণ পদ আর স্ত্রীবাচক বিশেষ্য শব্দের সাথে স্ত্রীবাচক বিশেষণ পদ ব্যবহৃত হয়। যেমন – বিদ্বান লোক এবং বিদুষী নারী। এখানে লোক পুরুষবাচক বিশেষ্য আর নারী স্ত্রীবাচক বিশেষ্য। বিদ্বান পুরুষবাচক বিশেষণ আর বিদুষী স্ত্রীবাচক বিশেষণ।
কিন্তু বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে সংস্কৃত ব্যাকরণে এ নিয়ম মানা হয় না। বাংলা ভাষায় বিশেষণ পদের লিঙ্গভেদ করা হয় না। অর্থাৎ, বাংলা ভাষায় কেবল বিশেষ্য পদের লিঙ্গভেদ হয়। যেমন- সংস্কৃত ভাষায় ‘সুন্দর বালক ও সুন্দরী বালিকা’। কিন্তু বাংলা ভাষায় ‘সুন্দর বালক ও সুন্দর বালিকা’।
বাংলায় পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ কত প্রকার ও কি কি
পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দগুলোকে সাধারণত ২টি ভাগে ভাগ করা যায়-
১. পতি ও পত্নীবাচক অর্থে পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ : আববা-আম্মা, বাবা-মা, চাচা-চাচি, কাকা-কাকি, জেঠা-জেঠি, দাদা-দাদি, নানা-নানি, নন্দাই-ননদ, দেওর-জা, ভাই-ভাবি/বৌদি, ইত্যাদি।
২. সাধারণ পুরুষ ও স্ত্রী জাতীয় অর্থে পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ : খোকা-খুকি, পাগল-পাগলি, বামন-বামনি, ভেড়া-ভেড়ী, মোরগ-মুরগি, বালক-বালিকা, দেওর-ননদ, ইত্যাদি।
লিঙ্গ পরিবর্তন, পুংলিঙ্গ থেকে স্ত্রীলিঙ্গ
প্রধানত তিনটি উপায়ে ‘পুংলিঙ্গ’ শব্দকে ‘স্ত্রীলিঙ্গ’ শব্দে পরিবর্তন বা রুপান্তর করা যায়। যথাঃ
- পুংলিঙ্গ শব্দের শেষে আ, ঈ, ইকা, নী, ইনী, আনী, বতী, মতী ইত্যাদি স্ত্রী বাচক প্রত্যয় যোগ করে।
- পুরুষ বা স্ত্রীবাচক যেকোন শব্দ বসিয়ে।
- শব্দের আগে স্ত্রী বা পুরুষবাচক শব্দ বসিয়ে।
‘আ’ প্রত্যয় যোগে লিঙ্গ পরিবর্তন :
পুরুষ লিঙ্গ | স্ত্রীলিঙ্গ |
---|---|
তনয় | তনয়া |
সদস্য | সদস্যা |
প্রথম | প্রথমা |
শ্রেষ্ঠ | শ্রেষ্ঠা |
পূজনীয় | পূজনীয়া |
‘ঈ’ প্রত্যয় যোগে লিঙ্গ পরিবর্তন :
পুরুষ লিঙ্গ | স্ত্রীলিঙ্গ |
---|---|
সুন্দর | সুন্দরী |
দেব | দেবী |
ছাত্র | ছাত্রী |
নর | নারী |
পুত্র | পুত্রী |
মানব | মানবী |
তরুণ | তরুণী |
‘নি’ প্রত্যয় যোগ লিঙ্গ পরিবর্তন :
পুরুষ লিঙ্গ | স্ত্রীলিঙ্গ |
---|---|
ধোপা | ধোপানি |
মাস্টার | মাস্টারনী |
নাতি | নাতনি |
‘ইকা’ প্রত্যয় যোগে লিঙ্গ পরিবর্তন :
পুরুষ লিঙ্গ | স্ত্রীলিঙ্গ |
---|---|
গায়ক | গায়িকা |
লেখক | লেখিকা |
অভিভাবক | অভিভাবিকা |
গ্রাহক | গ্ৰাহীকা |
বালক | বালিকা |
‘আনী’ প্রত্যয় যোগে লিঙ্গ পরিবর্তন :
পুরুষ লিঙ্গ | স্ত্রীলিঙ্গ |
---|---|
ভব | ভবানী |
চন্দ্র | চন্দ্রানী |
ইন্দ্র | ইন্দ্রানী |
রুদ্র | রুদ্রানী |
শিব | শিবানী |
‘ইনি’ প্রত্যয় যোগে লিঙ্গ পরিবর্তন :
পুরুষ লিঙ্গ | স্ত্রীলিঙ্গ |
---|---|
চাতক | চাতকিনী |
বাঘ | বাঘিনী |
কোন শব্দের লিঙ্গ পরিবর্তন হয় না
- কতগুলি শব্দের স্ত্রিলিঙ্গ নেই। যেমন – বিপত্নীক, অকৃতদার।
- কতগুলি শব্দের পুংলিঙ্গ নেই। যেমন – সই, সপত্নী, বিমাতা।
লিঙ্গ পরিবর্তন pdf
লিঙ্গ অনুপাত কি
কোনো একটি অঞ্চল বা দেশের লিঙ্গ অনুপাত সেই দেশের বিভিন্ন জনসংখ্যা গঠনের উপর গুরুত্ব পূর্ন প্রভাব ফেলে। লিঙ্গ অনুপাত বলতে সাধারণত কোনো একটি দেশ বা অঞ্চলে একটি নিদিষ্ট সময়ে পুরুষ ও মহিলার অনুপাত কে বোঝানো হয়।
ভারতবর্ষে প্রতি হাজার পুরুষে কত জন মহিলা রয়েছে, তার সাপেক্ষে লিঙ্গ অনুপাত নির্ধারন করা বলে।
বিভিন্ন দেশে লিঙ্গ অনুপাত বিভিন্ন ভাবে নির্ধারন করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন দেশে লিঙ্গ অনুপাত নির্ধারনের সূত্র গুলি হল-
লিঙ্গ অনুপাতের প্রকার ভেদ
ক) প্রাথমিক লিঙ্গ অনুপাত – এটি গর্ভাবস্থাকালীন স্ত্রী ও পুরুষের অনুপাত কে নির্দেশ করে।
খ) গৌন লিঙ্গ অনুপাত – জন্মের সময় স্ত্রী ও পুরুষের অনুপাত কে গৌন লিঙ্গ অনুপাত বলে।
গ) প্রগৌন লিঙ্গ অনুপাত – জনগণনার সময় যে লিঙ্গ অনুপাত থাকে, তাকে প্রগৌন লিঙ্গ অনুপাত বলে।
লিঙ্গ অনুপাতের বৈশিষ্ট্য
ক) লিঙ্গ অনুপাতের মান কম হলে সেটি অনুন্নত আর্থ-সামাজিক অবস্থা সুচিত করে।
খ) অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশ গুলিতে শহরের থেকে গ্রামে লিঙ্গ অনুপাত বেশি হয়।
গ) পরিব্রাজন কোন দেশের লিঙ্গ অনুপাতের তারতম্যের অন্যতম প্রধান কারণ।
ঘ) সময়ের সাথে সাথে লিঙ্গ অনুপাতের পরিবর্তন হয়ে থাকে।
লিঙ্গ বৈষম্য কাকে বলে
মেয়েদেরও ছেলেদের মতোই বেঁচে থাকার অধিকার, উন্নতির অধিকার, সুরক্ষার অধিকার এবং কোনও কিছুতে অংশ গ্রহণের অধিকার রয়েছে।
এ সব অধিকার থেকে মেয়েদের বঞ্চিত করা মানেই লিঙ্গ বৈষম্য এবং দারিদ্রের দুষ্টচক্রকে চিরস্থায়ী করা ।
বহু যুগ ধরে মেয়েরা জীবনের যে সব ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার, তার মধ্যে শিক্ষা অন্যতম। ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন – “এক জন পুরুষকে শিক্ষিত করা মানে এক জন মানুষকে শিক্ষিত করা, কিন্তু এক জন নারীকে শিক্ষিত করা মানে গোটা সমাজকে শিক্ষিত করা” ।
কন্যাসন্তানকে যদি সুযোগ সুবিধা দিয়ে বড় করা হয়, খুব সহজেই তারা ভাল এবং মন্দ সম্পর্কে ধারণা করতে পারে এবং জীবন সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু আমরা মেয়েদের স্বাধীনতা দিতে ভয় পাই। এর একটাই সমাধান। আমাদের এটা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করতে হবে যে, যে কোনও মানুষের মতোই শিশুকন্যারও মানবাধিকার রয়েছে। যদি মেয়েদের নিরাপত্তা এবং রক্ষণাবেক্ষণ জাতীয় সমস্যা হয়, তবে এটা মনে রাখা জরুরি যে মেয়েদের ক্ষমতায়ন না করাটা, তাদের দুর্বলতাকে বাড়ানোর সামিল।
২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, দেশে প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯৪০ জন মহিলা রয়েছে। এই লিঙ্গ অনুপাত থেকে দেখা যাচ্ছে , ২০০১ সালের থেকে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ২০০১ সালে ১০০০ পুরুষে মহিলার সংখ্যা ছিল ৯৩৩। দশকের পর দশক ধরে ভারতে পুরুষের তুলনায় মহিলার পরিমাণ কমেছে। কিন্তু গত দু’দশকে পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। গত পাঁচ দশকে প্রতি ১০০০ পুরুষে মহিলার সংখ্যা ৯৩০ থেকে শুরু করে বর্তমানে ৯৪০-এ পৌঁছেছে।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
FAQ | লিঙ্গ
Q1. লিঙ্গ কি
Ans – লিঙ্গ বলতে বোঝায় চিহ্নকে। যে চিহ্ন বা লক্ষণ দেখে কোন পদের স্ত্রী-পুরুষ বা অন্য কিছু তথ্য জানতে পারি, তাকে লিঙ্গ বলে।
Q2. রাষ্ট্রপতি কোন লিঙ্গ
Ans – রাষ্ট্রপতি উভয় লিংগ। এমন আরো উভয় লিংগ হলো চেয়ারম্যান, কবিরাজ, ডা.।
Q3. লিঙ্গ শব্দের অর্থ কি
Ans – বাংলায় যাকে আমরা লিঙ্গ বলে জানি ইংরেজিতে তাকেই বলে Gender । ইংরেজি ভাষায় যে Noun বা Pronoun সেগুলি পুরুষ-জাতীয় হতে পারে , স্ত্রী-জাতীয় হতে পারে , জড় পদার্থ হতে পারে , আবার স্ত্রী ও পুরুষ উভয় জাতীয়ও হতে পারে । অর্থাৎ যে সব Word বা শব্দ দ্বারা এসব তারতম্য ঘটে থাকে সেগুলোকেই Gender বা লিঙ্গ বলা হয় ।
Q4. জনাব লিঙ্গ পরিবর্তন
Ans – ‘জনাব’ সম্মানজ্ঞাপক শব্দ। ব্যক্তির নামের পূর্বে শব্দটি সম্মান ও ভদ্রতা প্রকাশের জন্য ব্যবহার করা হয়। অনেকে মহিলাদের নামের পূর্বে ‘জনাব’ এর স্ত্রীবাচক পদ হিসাবে সংস্কৃত ব্যাকরণের নিয়মানুসারে ‘আ’ যুক্ত করে ‘জনাবা’ লিখে থাকেন।
Q5. কবি লিঙ্গ পরিবর্তন
Ans -কবি স্ত্রীলিঙ্গ:- মহিলা কবি
Q6. অন্যতম এর স্ত্রীলিঙ্গ
Ans – অন্যতম শব্দটি একটি নিরপেক্ষ শব্দ। এটি কোনও লিঙ্গকে বোঝায় না। উদাহরণস্বরূপ, “আমি অন্যতম শিক্ষার্থী”।
Q7. প্রতিনিধি লিঙ্গ পরিবর্তন
Ans – প্রতিনিধি এর স্ত্রীলিঙ্গ মহিলা প্রতিনিধি।
Q8. গুরু শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ কি
Ans – গুরু শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ গুর্বী।
Q9. বিদ্বান এর স্ত্রীলিঙ্গ, বিদ্বান শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ কি
Ans – বিদ্বান পুরুষবাচক শব্দটির সঠিক স্ত্রীবাচক শব্দ বিদুষী।
Q10. নাপিত লিঙ্গ পরিবর্তন
Ans – নাপিত শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ নাপিতানী।
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন।