ইন্টারনেট সংজ্ঞায়িত করুন এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এর দুটি ব্যবহার লিখুন। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) থেকে এটি কীভাবে আলাদা?

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক | কম্পিউটার | Computer

নিম্নলিথিত প্রশ্ন এবং তার যথাযত সমাধান ছোটো প্রশ্ন এবং বড়ো (LA) প্রশ্নের উত্তর সমাধান হিসাবে পাঠ করা যেতে পারে।

প্রশ্নোত্তর এবং সমাধান

ইন্টারনেট সংজ্ঞায়িত করুন এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এর দুটি ব্যবহার লিখুন। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) থেকে এটি কীভাবে আলাদা?

অথবা

ইন্টারনেট আবিষ্কার করেন কে, ইন্টারনেট ব্যবহারের দুটি সুবিধা লেখ, ইন্টারনেট কি

উত্তর: ইন্টারনেট হল আন্তঃসংযুক্ত কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এবং অন্যান্য ডিভাইসের একটি বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক। এটি আমাদের যেকোন ধরণের তথ্য অ্যাক্সেস করার জন্য একটি খুব সহজ, দ্রুত এবং সুবিধাজনক উপায় প্রদান করে। এটি স্ট্যান্ডার্ড ইন্টারনেট প্রোটোকল (TCP/IP) ব্যবহার করে।

দুটি ব্যবহার:

  • যেকোন শিক্ষামূলক সাইটে প্রবেশ করতে উদাহরণ: খান একাডেমি।
  • একটি ইমেল পরিষেবা ব্যবহার করে ইমেল পাঠাতে এবং গ্রহণ করতে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব, বা সংক্ষেপে ওয়েব হল, আপনি যখন একটি ডিভাইসে থাকেন এবং আপনি অনলাইনে থাকেন তখন আপনি যে পৃষ্ঠাগুলি দেখেন যেখানে ইন্টারনেট হল সংযুক্ত কম্পিউটারগুলির নেটওয়ার্ক যা ওয়েব কাজ করে।

ইন্টারনেট আবিষ্কার করেন কে, ইন্টারনেট আবিষ্কর্তা কে, ইন্টারনেটের আবিষ্কর্তা কে, ইন্টারনেটের জনক কে, ইন্টারনেটের, ইন্টারনেট আবিষ্কর্তা, ইন্টারনেট আবিষ্কর্তা, ইন্টারনেটের আবিষ্কর্তা, ইন্টারনেটের আবিষ্কারক কে, ইন্টারনেট কে আবিষ্কার করেন

”ইন্টারনেট এর আবিস্কারক বা জনক বলা হয় ভিনটন জি কার্ফ কে।” এই উত্তরটির কোনো প্রমাণ নেই। অর্থাৎ কোনো সংস্থা বা কেউ এটার স্বীকৃতি দেয়নি।

তাহলে কে ইন্টারনেটের আবিষ্কার করেছে? এই প্রশ্নটি যত সহজ উত্তর ততটাই কঠিন। যেমন: উত্তর দেয়া কঠিন আগুন কে আবিষ্কার করেছে।

বিভিন্ন দলিলের সংরক্ষন না করা, তাছাড়া ছোট ছোট অংশে আবিষ্কারের কারনে ইন্টারনেটের কৃতিত্ব কোনো এক ব্যাক্তিকে দেয়া যাবে না। ইন্টারনেট চলার জন্য , TCP/IP যেমন দরকার তেমন দরকার WWW বা https, যেগুলো আবিষ্কার করেছেন ভিন্ন ভিন্ন ব্যাক্তি।

ইন্টারনেট কে আবিষ্কার করেন কত সালে

প্রথম ইন্টারনেট এর সূচনা হয়েছিল ১৯৬০ সালে আরপানেট ( এ্যাডভান্স রিসার্চ প্রজেক্ট এজেন্সি নেটওয়ার্ক ) এর হাত ধরে। এটি মূলত আমেরিকান ডিফেন্সের নিজেদের মধ্যে আভ্যন্তরীণ ও একটি নেটওয়ার্ক ছিল। ১৯৬৯ সালের ২৯ অক্টোবর আরপানেট প্রথম ইন্টারনেটে একটি নোড থেকে অন্য একটি নোড এ ম্যাসেজ পাঠায়। এটি ইন্টারনেটের ইতিহাসে প্রথম পাঠানো মেসেজ। যে দুটি কম্পিউটারের মধ্যে এই মেসেজ আদান-প্রদান হয়েছিল সেটির মধ্যে একটি হল ইউএনসিএ ল্যাবের মধ্যে থাকা একটি কম্পিউটার অন্যটি ছিল স্ট্যানফোর্ডে থাকা আরেকটি কম্পিউটার। ইন্টারনেট এ প্রথম পাতাহীন মেসেজ টি ছিল ‘লগইন’ .

ইন্টারনেটের গোড়াপত্তনের যুগের পরে ১৯৭০ সালে এলসেই যুগান্তকারী আবিষ্কার। বিজ্ঞানী রবার্ট কান এবং ভিন্ট সার্ফ আবিষ্কার করলেন টি.সি.পি / আই.পি প্রোটোকল ( ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রটোকল ) .

টি.সি.পি / আই.পি প্রোটোকল ( ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রটোকল ) হলো আধুনিক ইন্টারনেট জগতের স্ট্যান্ডার্ড প্রটোকল।

ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহে ইন্টারনেটের ব্যবহারের সুবিধা, ইন্টারনেট ব্যবহারের দুটি সুবিধা লেখ Model Activity Task, ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সুবিধা গুলি লেখ, ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহে ইন্টারনেটের সুবিধা, ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহে ইন্টারনেটের ভূমিকা, ইতিহাসে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সুবিধা গুলি লেখ, ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহে ইন্টারনেটের ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা

আধুনিক ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট নির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ইন্টারনেট বলা হয়। বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এবং বিভিন্ন বিষয়ের বিপুল পরিমাণ তথ্য বেশি পাওয়া যায় এজন্য বর্তমান যুগকে তথ্য বিস্ফোরণের যুগ বলে অভিহিত করা হয়।

সুবিধা:-

  1. গবেষণা সংক্রান্ত বহু তথ্য এবং সে সংক্রান্ত বই খুব সহজেই ইন্টারনেট থেকে পাওয়া যায়।
  2. আধুনিক প্রযুক্তি ছাপা বইয়েরও ই-প্রকাশন রয়েছে সুতরাং ইন্টারনেট থেকে এই বইটি পড়ে নেওয়া সম্ভব হয়।
  3. বইপত্র কিনে গ্রন্থাকারে যাতায়াত করে তথ্য সংগ্রহ করতে যে বিপুল পরিমাণ ব্যয় হয় বা যে সময় লাগে ইন্টারনেটে ক্ষেত্রে খুব সহজেই, কম খরচে এই তথ্য পাওয়া সম্ভব হয় ল।
  4. তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে মনে কোন প্রশ্ন থাকলে অনেক সময় ইন্টারনেটে সেই প্রশ্ন লিখেও সরাসরি উত্তর পাওয়া যায়।
  5. ইন্টারনেটের মাধ্যমে নানা ধরনের অনলাইন লাইব্রেরী থেকে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ কোন বইয়ের কপি এমনকি সেই সংক্রান্ত ছবিও পাওয়া যায়।

ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহে ইন্টারনেটের ব্যবহারের অসুবিধা, ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহে ইন্টারনেটের দুটি অসুবিধা লেখ

তবে ইতিহাসে তথ্য সংগ্রহ ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাও যেমন আছে তেমন অসুবিধা আছে নিম্নে তা বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

অসুবিধা:-

  1. এই ব্যবস্থায় সমগ্র গ্রন্থ পাঠের অভ্যাস অনেক সময় কিন্তু ব্যাহত হয়।
  2. সব বইয়ের ই-সংস্করণ এই মুহূর্তে পাওয়া যায় না আর যদি পাওয়াও যায় সেগুলো অনেকটাই ব্যয়সাপেক্ষ।
  3. ছাপা বই সর্বত্র সব অবস্থায় পড়া যায় কিন্তু ই- সংস্করনের ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে প্রযুক্তির উপর নির্ভর করতেই হয়।
  4. গবেষণামূলক গ্রন্থ পাঠ এবং গবেষণা এক জিনিস নয় গবেষণার জন্য চাই লেখ্যাগার যা ইন্টারনেটে সম্ভব নয়।
  5. ইন্টারনেটে অনেক সময় দেখা যায় অসত্য বা অর্ধসত্য বা তথ্য বিকৃত করে কোন একটি ঘটনাকে প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

ইন্টারনেট একটি আধুনিক প্রযুক্তি। আর বর্তমান যুগ হলো ইন্টারনেটের যুগ। তাই ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহ ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ভূমিকা যথেষ্ট রয়েছে। কিন্তু তাই বলে প্রথাগত ইতিহাস গবেষণা ও গ্রন্থের গুরুত্ব কোন অংশেই কমে যায় না। এর পাশাপাশি এটিও আমাদের খেয়াল রাখা দরকার যে ইন্টারনেটের সমস্ত তথ্য কতখানি সঠিক তা অবশ্যই পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই করা প্রয়োজন।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আরো বিশদে পড়ার জন্য

নতুন আধুনিক কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন ক্লাস 12

নতুন আধুনিক কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন ক্লাস 12

চিন্ময় গুহ | আশুতোষ পাল (লেখক)

পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটারের নাম কি

পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটারের নাম ENIAC (Electronic Numerical Integrator and Computer). যেটি ১৫ই ফেব্রুয়ারী ১৯৪৬ সালে তৈরী হয়।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।