সন্নিহিত কোণ কাকে বলে
যদি দুইটি কোণের একটি সাধারণ শীর্ষবিন্দু এবং একটি সাধারন বাহু থাকে তাহলে কোণ দুটিকে একটি অপরটির সন্নিহিত কোণ বলে।
একই সমতলে অবস্থিত যদি দুইটি কোণের একটি সাধারন শীর্ষবিন্দু ও একটি সাধারন বাহু থাকে যেখানে সাধারন বাহুর বিপরীত পাশে কোণ দুটি অবস্থিত তখন কোণ দুটি কে পরস্পরের সন্নিহিত কোণ বলা হয়।
একই সমতলে অবস্থিত একই শীর্ষবিন্দুবিশিষ্ট দুইটি কোণের যদি একটি সাধারণ বাহু থাকে এবং কোণ দুইটি, সাধারণ বাহুর বিপরীত পার্শ্বে অবস্থিত হয়, তাহলে কোণদ্বয়কে পরস্পর সন্নিহিত কোণ বলে। সাধারণ বাহু বলতে কোণ দুইটির একটি সাধারণ রশ্মিকে বুঝায় যে রশ্মির সাথে উভয় কোণ উৎপন্ন হয়। সন্নিহিত কোণ দুইটি এই সাধারণ রশ্মি দ্বারা বিভক্ত হয়। তাছাড়া, সন্নিহিত কোণদ্বয়ের একটি কোণের কোনো অংশ অপর কোণের অংশ হতে পারে না অর্থাৎ, একটি কোণের অভ্যন্তরস্থ বিন্দু অন্য কোণের অভ্যন্তরস্থ বিন্দু হতে পারে না।
তাহলে, সন্নিহিত কোণের সংজ্ঞা থেকে যে সব বৈশিষ্ট্যগুলো পাওয়া যায়, তা হলোঃ
- একটি সাধারণ শীর্ষবিন্দু থাকে।
- একটি সাধারণ রশ্মি থাকে।
- কোণ দুইটি সাধারণ রশ্মির বিপরীত পাশে অবস্থান করে।
- একটি কোণের অংশ অন্য কোণের অংশ হয় না।
চিত্রে, OA রশ্মি O বিন্দুতে OB রেখার সাথে ∠ AOB উৎপন্ন করেছে। আবার, OA রশ্মি O বিন্দুতে OC রেখার সাথে ∠ AOC উৎপন্ন করেছে। কোণ দুইটির সাধারণ শীর্ষ O এবং সাধারণ বাহু OA. আবার উভয় কোণ, সাধারণ বাহু OA এর বিপরীত পাশে অবস্থিত। তাছাড়া একটি কোণের কোনো অংশ অপর কোণের অংশ নয় অর্থাৎ, কোণদ্বয়ের অভ্যন্তরস্থ সাধারণ কোনো বিন্দু নেই। তাই, এরা পরস্পর সন্নিহিত কোণ।
অতএব, ∠ AOB ও ∠ AOC পরস্পর সন্নিহিত কোণ।
সন্নিহিত কোণের বৈশিষ্ট্য
- সন্নিহিত কোণ গুলো সর্বদা একটি সাধারন বাহু ভাগ করে ।
- কোণগুলো একটি সাধারন শীর্ষবিন্দু দ্বারা বিভক্ত।
- কোণদ্বয় পরস্পরকে ওভারলেপ করে না ।
- তাদের সাধারন বাহুর উভয় পাশে অন্য আরেকটি করে বাহু থাকে।
- সন্নিহিত কোণ দুটির যোগফলের ওপর ভিত্তি করে কোণগুলো পরস্পরের পূরক বা সম্পূরক কোণ বলা হয়ে থাকে।
- কোণদ্বয়ের একটি সাধারণ বাহু থাকবে।
- সন্নিহিত কোণদ্বয় তাদের সাধারন বাহুর বিপরীত পাশে অবস্থান করবে।
সন্নিহিত কোণ কত ডিগ্রী
দুটি সন্নিহিত কোনের একিই শীর্ষ বিন্দু ও একটি কমন ( common) বাহু থাকে। সমপাতিত অথ coincidence অর্থাৎ সমান বুঝাচ্ছেনা। দুটি সন্নিহিত কোন সমান হতে পারে, সেটা পূরক বা অন্য যে কোন ই হতে পারে।
এক সমকোণ =৯০°
সন্নিহিত বাহু কাকে বলে
যখন একটি বাহুর সাথে অন্য একটি বাহু সংযুক্ত থাকবে, তখন তাকে একে ওপরের সন্নিহিত বাহু বলে।
দুটি বাহু মিলে যখন কোণ সৃষ্টি করে তখন প্রাপ্ত বাহুগুলোকে পরস্পরের সন্নিহিত বাহু বলে।
সাধারণত ত্রিভুজ এবং অন্যান্য বহুভুজে দেখা যায়, যে দুটি বাহু ত্রিভুজের একটি শীর্ষে মিলিত হয় এবং কোণ উৎপন্ন করে সেই দুটি বাহুকে বলা হয় সন্নিহিত বাহু।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
FAQ | সন্নিহিত কোণ
Q1. সন্নিহিত কোণ কী
Ans – সন্নিহিত কোণ হলো একটি ত্রিভুজের একটি কোণ, যার মধ্যে একটি বিন্দু অন্য ত্রিভুজের দুইটি বাহুর উপর লম্ব আঁকে।
Q2. কীভাবে সন্নিহিত কোণের মান বের করা যায়?
Ans – সন্নিহিত কোণের মান সহজেই বের করা যায় যেমন যদি একটি ত্রিভুজের একটি কোণের মধ্যবিন্দু সন্নিহিত কোণ হয় তবে সন্নিহিত কোণের মান বাঁচার বাক্সকোডের মান থেকে বের করা যায়।
Q3. কীভাবে সন্নিহিত কোণ ব্যবহার করা যায়?
Ans – সন্নিহিত কোণ ব্যবহার করে গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা হয়, যেমন ত্রিভুজের কোন একটি কোণের মান বের করা।
Q4. কোন ধরনের গাণিতিক সমস্যায় সন্নিহিত কোণ ব্যবহার করা হয়?
Ans – সন্নিহিত কোণ ব্যবহার হয় ত্রিভুজের সমস্যা, বৃত্তের সমস্যা, এবং সরল রেখা এবং প্রলম্বসুক্ত সমস্যা সমাধানে।
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন।