নিউক্লিয়ার কি, নিউক্লিয়ার কাকে বলে
পারমাণবিক শক্তি হল প্রোটন এবং নিউট্রন দ্বারা গঠিত নিউক্লিয়াস, পরমাণুর মূল থেকে নিঃসৃত শক্তির একটি রূপ। শক্তির এই উত্স দুটি উপায়ে উত্পাদিত হতে পারে: বিদারণ – যখন পরমাণুর নিউক্লিয়াস কয়েকটি অংশে বিভক্ত হয় – বা ফিউশন – যখন নিউক্লিয়াস একত্রিত হয়।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আজ বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করা হয় পারমাণবিক বিভাজনের মাধ্যমে, যখন ফিউশন থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার প্রযুক্তি R&D পর্যায়ে রয়েছে।
নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া কাকে বলে
যে বিক্রিয়ায় কোনো মৌলের নিউক্লিয়াসে পরিবর্তন ঘটে তাকে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া (Nuclear Reaction) বলে।
নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার ধরন
নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া দুই প্রকার। যথা-
১. নিউক্লিয়ার ফিশন ও
২. নিউক্লিয়ার ফিউশন
আরো পড়তে: ভর কাকে বলে, পারমাণবিক ভর কাকে বলে, আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর কাকে বলে, আনবিক ভর কাকে বলে
নিউক্লিয়ার ফিশন, নিউক্লিয়ার ফিউশন কাকে বলে
যে নিউক্লিয়ার প্রক্রিয়ায় কোনো বড় এবং ভারী মৌলের নিউক্লিয়াস ভেঙ্গে ছোট ছোট মৌলের নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়, তাকে নিউক্লিয়ার ফিশন বিক্রিয়া বলে।
এতে প্রচুর শক্তি ও নিউট্রন উৎপন্ন হয়। উদাহারণ-
নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়া কাকে বলে
যে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ায় ছোট ছোট নিউক্লিয়াস সমূহ একত্র হয়ে বড় নিউক্লিয়াস গঠন করে তাকে নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়া বলে। উদাহারণঃ
নিউক্লিয়ার ফিশন হলো একটি সংবেদনশীল পরমাণুর নিউক্লিয়াসের ২টি ভিন্ন অংশে ভাগ হয়ে যাওয়া, ছোট ক্ষুদ্র অংশ ও অন্যান্য কণা যেমন নিউট্রন। প্রায় ২.৪ নিউট্রন বের হয় প্রতিটি ফিশনে যা অতিরিক্ত ফিশনের কারণ হয়ে দাঁড়ায় যদি যথেস্ট পরিমাণে ফিশনযোগ্য উপাদান উপস্থিত থাকে।
নিউক্লিয়ার ফিশনের সাধারণ প্রকার হলো তাপীয় ফিশন যা সংগঠিত হয় তুলনামূলকভাবে ধীর তাপীয় নিউট্রনের যার গতিশক্তি প্রায় ০.০২৫ eV, শোষণের ফলে। দ্রুত ফিশন হলো ফিশন যা আরো শক্তিসম্পন্ন নিউট্রনের শোষণের ফলে সৃষ্ট হয় যার গতিশক্তি থাকে MeV শ্রেণীতে। বিশেষ করে ভারী নিউক্লিয়াস সমূহে স্বতস্ফূর্ত ফিশন ঘটতে পারে।
নিউক্লিয়াস সমূহ যা নিউট্রনের মাধ্যমে ফিশনযোগ্য সাধারণত বহন করে স্বতস্ফূর্ত ফিশনের কমপক্ষে একটি ভীষণ ক্ষুদ্র সুযোগ। সাধারণভাবে, তাপীয় ফিশন ব্যবসায়িক রিঅ্যাকটরে ব্যবহৃত হয়, যদিও ফাস্ট ব্রিডার রিঅ্যাকটর সাঁজোয়া দ্রুত ফিশনে উন্নীত হয়। আমেরিকা শতকরা ২০ ভাগ বিদ্যুত পেয়ে থাকে নিউক্লিয়ার ক্ষমতা থেকে।
আরো পড়তে: নিউক্লিয়াস কাকে বলে, নিউক্লিয়াসের গঠন ও কাজ
নিউক্লিয়ার শক্তি কাকে বলে
কোন পরমাণুর নিউক্লিয়াস ভেঙে যদি নতুন কোন নিউক্লিয়াস গঠিত হয় তবে কিছু পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়, একে নিউক্লিয়ার শক্তি বলে।
পরমাণুর নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন যে শক্তির সাহায্যে যুক্ত থাকে তাকে নিউক্লিয়ার শক্তি বলে।
নিউক্লিয়ার সংখ্যা কাকে বলে
মৌলের নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিইট্রনের মিলিত সংখ্যাকে বলে নিউক্লিয়ার সংখ্যা বা Atomic Mass Mumber বলা হয় ।
একটি পরমাণুর ভর সংখ্যাকে প্রোটন এবং নিউট্রনের সমষ্টি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। যেহেতু প্রোটন এবং নিউট্রনকে নিউক্লিয়ন হিসাবেও উল্লেখ করা হয়, তাই তাদের ভর সংখ্যাকে সংজ্ঞায়িত করার যোগফলকে নিউক্লিয়ন সংখ্যা বলা হয়।
আরো অন্যান্য সরকারি স্কিম সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
FAQ | নিউক্লিয়ার
Q1. নিউক্লিয়ার শক্তি কি নবায়নযোগ্য
Ans – হ্যাঁ, নিউক্লিয়ার শক্তি নবায়নযোগ্য;তবে এটা নির্ভর করে কি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঐ শক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে;বা সঞ্চিত হচ্ছে।
Q2. নিউক্লিয়ার বন্ধন শক্তি কাকে বলে
Ans – নিউক্লিয় বন্ধন শক্তি হচ্ছে সেই শক্তি যেটা কোনো পরমাণুকে তার উপাদানগুলোয় বিভাজিত করতে প্রয়োজন হয়। এই উপাদান অংশকগুলো হল নিউট্রন এবং প্রোটন। এদেরকে একত্রে নিউক্লিয়ন বলা হয়।
Q3. নিউক্লিয়ার এনভেলপ কাকে বলে
Ans – নিউক্লিয়ার ঝিল্লি বা নিউক্লিয়ার এনভেলপ , নিউক্লিয়ার মেমব্রেন নামেও পরিচিত, দুটি লিপিড বাইলেয়ার মেমব্রেন দ্বারা গঠিত যা সুকেন্দ্রিক কোষ নিউক্লিয়াসকে ঘিরে থাকে যা বংশাণুসমগ্রকে ঘিরে থাকে। নিউক্লিয়ার ঝিল্লি দুটি লিপিড বাইলেয়ার মেমব্রেন থাকে: একটি অভ্যন্তরীণ পারমাণবিক ঝিল্লি এবং একটি বাইরের পারমাণবিক ঝিল্লি।
Q4. নিউক্লিয়ার রন্ধ্র কাকে বলে
Ans – নিউক্লিয়ার নিউক্লিয়াসকে ঘিরে যে দ্বিস্তরী আবরণ রয়েছে তাকে ঝিল্লি বলে।
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন।