- স্বামী বিবেকানন্দ
- স্বামী বিবেকানন্দের বাণী, স্বামী বিবেকানন্দ বাণী
- স্বামী বিবেকানন্দের বাণী pdf
- স্বামী বিবেকানন্দ জন্মদিন, শুভ জন্মদিন স্বামী বিবেকানন্দ,স্বামী বিবেকানন্দ বার্থডে, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী
- স্বামী বিবেকানন্দ জীবনী, স্বামী বিবেকানন্দের সংক্ষিপ্ত জীবনী, স্বামী বিবেকানন্দ জীবনী
- স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষাজীবন
- স্বামী বিবেকানন্দের ছবি, স্বামী বিবেকানন্দ ফটো
- স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষা চিন্তা
- স্বামী বিবেকানন্দের লেখা বই, স্বামী বিবেকানন্দ রচনাবলী
- স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ দিবস
- স্বামী বিবেকানন্দের মত অনুসারে শিক্ষার সংজ্ঞা, স্বামী বিবেকানন্দের মতে শিক্ষার লক্ষ্য কি হওয়া উচিত
- নারী শিক্ষায় স্বামী বিবেকানন্দের ভূমিকা
- স্বামী বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন
- শিক্ষায় স্বামী বিবেকানন্দের অবদান
- স্বামী বিবেকানন্দের ধর্ম সংস্কার আলোচনা কর, স্বামী বিবেকানন্দের ধর্ম সংস্কারের আদর্শ ব্যাখ্যা করো
- স্বামী বিবেকানন্দের সংক্ষিপ্ত জীবনী pdf, স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী pdf download
- স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ 2021, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ 2022, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ 2023, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ
স্বামী বিবেকানন্দ
কাশীর বীরেশ্বর শিবের আশীর্বাদে স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম হাওয়ায় ভুবনেশ্বরী দেবী নাম রাখেন বীরেশ্বর । বীরেশ্বর থেকে ডাক নাম হয় বিলে । অফিশিয়ালি খাতা কলমে স্বামী বিবেকানন্দের নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত। এজন্য সবাই তাকে সংক্ষেপে নরেন বলে ডাকত।
১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে নরেন্দ্রনাথ দত্ত সন্ন্যাস গ্রহণ করেন । এরপর তার নাম হয় স্বামী বিবিদিষানন্দ । সন্ন্যাস গ্রহণের পর তিনি কোথাও বাইরে ঘুরতে গেলে নিজের পূর্ব পরিচয় লুকিয়ে রাখতেন এবং এই জন্য বিভিন্ন ছদ্মনাম নিয়ে আত্মপ্রকাশ করতেন । তার বিভিন্ন ছদ্মনাম গুলো হল – বিবিদিষানন্দ , সচ্চিদানন্দ , বিবেকানন্দ । শিকাগো ধর্ম মহাসভায় তিনি বিবেকানন্দ নামে আত্মপ্রকাশ করেন । এজন্য সবাই তাকে বিবেকানন্দ নামে চেনে এবং সেই নামেই তিনি বিখ্যাত হন ।
রাজস্থানের ক্ষেত্রির রাজা অজিত্ সিং ছিলেন স্বামীজীর বিশেষ বন্ধু ও অনুসারী । স্বামীজী আমেরিকা যাবার আগে দুবার ক্ষেত্রি ভ্রমণ করেন । স্বামীজীর জ্ঞান ও প্রতিভায় মুগ্ধ হন রাজা অজিত্ সিং । আমেরিকা যাবার আগে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষেত্রীর রাজার সঙ্গে দেখা করার সময় রাজা অজিত সিং স্বামীজীকে বিবেকানন্দ নামে ভূষিত করেন।
সতেরো বছর বয়সে কলেজের ছাত্র থাকাকালীন তিনি শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রভাবে আসেন। নরেন্দ্র নাথ দর্শন ও কবিতার একজন আন্তরিক ছাত্র ছিলেন। তিনি পশ্চিমা দর্শনের সমস্ত পদ্ধতি অধ্যয়ন করেছিলেন।
তিনি জনগণের উন্নতির জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং তাদের শক্তিশালী ও আত্মনির্ভরশীল করতে চেয়েছিলেন। দরিদ্রদের প্রতি তাঁর সহানুভূতি ছিল বলে তিনি মহাত্মা গান্ধীর অগ্রগামী ছিলেন। তিনি ভারতে সামাজিক সংস্কার এবং পশ্চিমে ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য আবেদন করেছিলেন। 1902 সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত, তিনি বারবার জোর দিয়েছিলেন যে ভারতীয়রা দুর্বল এবং দরিদ্র হয়ে উঠেছে কারণ তারা তাদের বেদান্তকে জীবনে প্রয়োগ করেনি। তিনি জোর দিয়েছিলেন যে ভারতে শক্তি দরকার – ধর্ম দেওয়া এবং একজন মানুষ তৈরি করা – শিক্ষা।
মাত্র ৩৯ বছর বয়সে দেহত্যাগ করেন স্বামী বিবেকানন্দ। তবে মানুষ বেঁচে থাকেন তাঁর চিন্তার মাধ্যমে, বাণীর মাধ্যমে। দেহ তো নশ্বর। জরা-ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে তা নষ্ট হবেই। ঠিক এই ভাবেই আমাদের মধ্যে আজও বেঁচে রয়েছেন স্বামী বিবেকানন্দ। যিনি ধর্মের বিচার না করে শুধুমাত্র মানুষের সেবা কথা বলে গিয়েছেন। আজকের এই ধর্মীয় হানাহানি-অসহিষ্ণুতার দিনে তাঁর বাণী আরও বেশি করে মনে করা উচিত। স্বামীজির মৃত্যুবার্ষিকীতে স্বামীজির এমনই দশ বাণীর দিকে চোখ রাখুন, যা নিঃসন্দেহে আপনাকে জীবনে এগোতে সাহায্য করবে।
স্বামী বিবেকানন্দের বাণী, স্বামী বিবেকানন্দ বাণী
স্বামী বিবেকানন্দের ২০ টি বিখ্যাত বাণী ও উক্তি
“সাহসী লোকেরাই বড় বড় কাজ করতে পারে।”
“এক দিনে বা এক বছরে সফলতার আশা কোরো না।
সবসময় শ্রেষ্ঠ আদর্শকে ধরে থাকো।”
“এমন কাজ করে চলো যে তুমি হাসতে হাসতে মরবে
আর জগৎ তোমার জন্য কাঁদবে।”
“আমি বিশ্বাস করি যে, কেউ কিছু পাওয়ার উপযুক্ত হলে
জগতের কোনো শক্তিই তাকে বঞ্চিত করতে পারে না।”
স্বামী বিবেকানন্দের প্রেমের বাণী
“জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর”
“শুধু বড়ো লোক হয়ো না…
বড় মানুষ হও।”
“সারাদিন চলার পথে যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হও,
তাহলে বুঝবে তুমি ভুল পথে চলেছ।”
“ওঠো এবং ততক্ষণ অবধি থেমো না,
যতক্ষণ না তুমি সফল হচ্ছ”
“ঘৃণার শক্তি অপেক্ষা…
প্রেমের শক্তি অনেক বেশি শক্তিমান।”
“নিজের উপর বিশ্বাস না এলে…
ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস আসে না।”
শিক্ষা সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী
“যে মানুষ বলে তার আর শেখার কিছু নেই,
সে আসলে মরতে বসেছে।
যত দিন বেঁচে আছো শিখতে থাকো।”
“দুনিয়া আপনার সম্বন্ধে কি ভাবছে সেটা তাদের ভাবতে দিন।
আপনি আপনার লক্ষ্যগুলিতে দৃঢ় থাকুন,
দুনিয়া আপনার একদিন পায়ের সম্মুখে হবে”
“যখন আমাদের মধ্যে অহংকার থাকে না,
তখনই আমরা সবথেকে ভালো কাজ করতে পারি,
অপরকে আমাদের ভাবে সবচেয়ে বেশি অভিভূত করতে পারি।”
“কোন জীবনই ব্যর্থ হইবে না,
জগতে ব্যর্থতা বলিয়া কিছু নাই।
শতবার মানুষ নিজেকে আঘাত করিবে,
সহস্রবার হোঁচট খাইবে,
কিন্তু পরিণামে অনুভব করিবে,
সে ঈশ্বর।”
“ইচ্ছা, অজ্ঞতা এবং বৈষম্য…
এই তিনটিই হলো বন্ধনের ত্রিমূর্তি”
“মনের শক্তি সূর্যের কিরণের মত,
যখন এটি এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত হয় তখনই এটি চকচক করে ওঠে।”
“জেগে ওঠো, সচেতন হও এবং লক্ষ্যে না পৌঁছা পর্যন্ত থেমো না”
“নিজের জীবনে ঝুঁকি নিন,
যদি আপনি জেতেন তাহলে নেতৃত্ব করবেন
আর যদি হারেন তাহলে আপনি অন্যদের
সঠিক পথ দেখাতে পারবেন”
“উঠে দাঁড়াও, শক্ত হও, দৃপ্ত হও।
যাবতীয় দায়িত্ব নিজের কাঁধে নাও।
আর এটা সবসময় মাথায় রেখো,
তুমিই তোমার নিয়তির স্রষ্টা।
তোমার যে পরিমাণ শক্তি প্রয়োজন,
সবটা তোমার মধ্যেই রয়েছে।
সুতরাং নিজের ভবিষ্যত্ নিজেই তৈরি করে নাও।”
“মনের মতো কাজ পেলে অতি মূর্খও করতে পারে।
যে সকল কাজকেই মনের মতো করে নিতে পারে,
সেই বুদ্ধিমান।
কোনো কাজই ছোট নয়।”
স্বামী বিবেকানন্দের বাণী pdf
স্বামী বিবেকানন্দ জন্মদিন, শুভ জন্মদিন স্বামী বিবেকানন্দ,স্বামী বিবেকানন্দ বার্থডে, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী
উত্তর: ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১২ ই জানুয়ারি উত্তর কলকাতার সিমলাপাড়ার বিখ্যাত দত্ত পরিবারে নরেন্দ্রনাথ ওরফে স্বামী বিবেকানন্দ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ।
স্বামী বিবেকানন্দ জীবনী, স্বামী বিবেকানন্দের সংক্ষিপ্ত জীবনী, স্বামী বিবেকানন্দ জীবনী
ছোটবেলা থেকে বিলের মধ্যে দেখা যেত অসাধারণ মেধা, তেজস্বিতা, সাহস, স্বাধীন মনোভাব, হৃদয়বত্তা, বন্ধু প্রীতি আর খেলাধুলার প্রতি আকর্ষণ। সেই সঙ্গে ছিল প্রবল আধ্যাত্বিক তৃষ্ণা। ‘ধ্যান ধ্যান’ খেলতে খেলতে সত্যিই গভীর ধ্যানে ডুবে যেতেন।
পুজো করতেন রামসীতা আর শিবের। সাধু সন্ন্যাসী দেখলেই ছুটে যেতেন অজানা আকর্ষণে। ঘুমানোর আগে জ্যোতিঃ দর্শন ছিল তার প্রতিদিনের স্বাভাবিক অভিজ্ঞতা।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নরেন্দ্রনাথ হয়ে উঠলেন স্কুলের বিতর্ক ও আলোচনা সভার মধ্যমণি, খেলাধুলাতে নেতা, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত ও ভজনে রীতিমতো প্রথম শ্রেণীর গায়ক, নাটকে কুশলী অভিনেতা, আর বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার ফলে অল্প বয়সেই গভীর চিন্তাশীল।
সন্ন্যাস জীবনের প্রতি আকর্ষণ ক্রমবর্ধমান, কিন্তু জগতের প্রতি নিষ্ঠুর নন, ছিলেন গভীর মমতাশীল। মানুষের বিপদে আপদে সর্বদা এগিয়ে যেতেন, সে বিপদ যেমনই হোক।
স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষাজীবন
১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে মেট্রোপলিটন স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে এন্ট্রান্স পাশ করে নরেন্দ্রনাথ প্রথমে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন।
কিন্তু ম্যালেরিয়ায় ভুগে ডিসকলেজিয়েট হয়ে যাওয়ায় এই কলেজ ছেড়ে তাকে ভর্তি হতে হয় জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইন্সটিটিউশন (বর্তমান স্কটিশ চার্চ কলেজ)।
সেখান থেকে ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে এফ.এ. এবং ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে বিএ পাস করেন।
স্কুল কলেজের পরীক্ষা কে বিশেষ গুরুত্ব না দিলেও নরেন্দ্রনাথের বিদ্যানুরাগী ছিল প্রবল এবং পড়াশোনার পরিধিও ছিল অত্যন্ত বিস্তৃত।
ছাত্রাবস্থাতেই তিনি দার্শনিক হার্বাট স্পেন্সারের একটি মতবাদের সমালোচনা করে তাকে চিঠি দিয়েছিলেন এবং স্পেন্সার তার উপরে নরেন্দ্রনাথের যথেষ্ট প্রশংসা করে লিখেছিলেন যে বই এর পরবর্তী সংস্করণে তিনি সেই সমালোচনা অনুযায়ী কিছু কিছু পরিবর্তন করবেন।
স্বামী বিবেকানন্দের ছবি, স্বামী বিবেকানন্দ ফটো
স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষা চিন্তা
বিবেকানন্দ প্রচার করেছিলেন যে হিন্দু ধর্মের সারমর্মটি আদি শঙ্করের অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনে সর্বোত্তমভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। এবং এইভাবে, আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য স্বামী বিবেকানন্দ শিক্ষা-শিক্ষা প্রক্রিয়ায় ধ্যান এবং একাগ্রতার উপর সর্বাধিক জোর প্রয়োগ করতে চেয়েছিলেন।
তাঁর শিক্ষামূলক দর্শন বেদান্ত ও উপনিষদের উপর ভিত্তি করে। তিনি বিশ্বাস করেন যে প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে আত্মা বিদ্যমান। এই আত্মার স্বীকৃতিই ধর্ম। শিক্ষা হল আত্ম-বিকাশের প্রক্রিয়া। শিশু নিজেকে শিক্ষিত করে। প্রকৃত উন্নতি স্ব-অনুপ্রাণিত। তার শিক্ষাগত দর্শনের মূল নীতিগুলি নিম্নরূপ:
জ্ঞান ব্যক্তির মধ্যেই থাকে। তিনি মনে করেন যে জ্ঞান মানুষের উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া যায়। এটি তার ভিতরের কিছু এবং বাহ্যিক পরিবেশ থেকে জন্মগ্রহণ করে না। তার মধ্যে মানুষের আত্মা সমস্ত সত্য জ্ঞানের উৎস।
স্ব-শিক্ষা। শিশু নিজেই শেখায়। শিক্ষককে তার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে সে তার বেড়ে উঠতে পারে।
শিশুদের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা। শিশুদের চাহিদা, তার সহজাত প্রবণতা অনুযায়ী শিক্ষার সমন্বয় করা উচিত এবং অভিভাবক বা শিক্ষকরা যা মনে করেন তা নয়।
সবার জন্য শিক্ষা। তিনি সর্বজনীন শিক্ষার পক্ষে ছিলেন। এটা প্রত্যেক মানুষের জন্মগত অধিকার।
জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা। তিনি শিক্ষাকে জাতীয় ভিত্তিতে পুনর্গঠন করতে চেয়েছিলেন।
নারী শিক্ষা। তিনি বিশ্বাস করতেন যে মহিলাদের উত্থান প্রথমে আসতে হবে এবং তারপরই দেশের জন্য – ভারতের জন্য সত্যিকারের মঙ্গল আসতে পারে।
ধর্মীয় শিক্ষা. তিনি মনে করতেন, ধর্মীয় বৃষ্টি ছাড়া শিক্ষা অসম্পূর্ণ।
স্বামী বিবেকানন্দের লেখা বই, স্বামী বিবেকানন্দ রচনাবলী
- সঙ্গীতকল্পতরু (১৮৮৭, সহলেখক বৈষ্ণবচরণ বসাক)
- কর্মযোগ (১৮৯৬)
- রাজযোগ (১৮৯৬ [১৮৯৯ সংস্করণ])
- বেদান্ত ফিলোজফি: অ্যান অ্যাড্রেস বিফোর দ্য গ্র্যাজুয়েট ফিলোজফিক্যাল সোসাইটি (১৮৯৬; বাংলা অনুবাদে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেদান্ত)
- লেকচার্স ফ্রম কলম্বো টু আলমোড়া (১৮৯৭, বাংলা অনুবাদে ভারতে বিবেকানন্দ)
- বর্তমান ভারত (মার্চ, ১৮৯৯), উদ্বোধন
- মাই মাস্টার (১৯০১, দ্য বেকার অ্যান্ড টাইলর কোম্পানি, নিউ ইয়র্ক; বাংলা অনুবাদে মদীয় আচার্যদেব)
- বেদান্ত ফিলোসফি: লেকচার্স অন জ্ঞানযোগ (১৯০২)
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ দিবস
স্বামী বিবেকানন্দ তার মস্তিষ্কের রক্তনালী ফেটে যাওয়ার কারণে ৪-ঠা জুলাই, ১৯০২ সালে ৩৯ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন।
স্বামী বিবেকানন্দের মত অনুসারে শিক্ষার সংজ্ঞা, স্বামী বিবেকানন্দের মতে শিক্ষার লক্ষ্য কি হওয়া উচিত
বিবেকানন্দের মতে, “শিক্ষা হল মানুষের মধ্যে বিদ্যমান ঐশ্বরিক পরিপূর্ণতার প্রকাশ।” বিবেকানন্দের কথায়, “আপনি একটি শিশুকে একটি গাছের জন্ম দিতে পারবেন না। উদ্ভিদ তার নিজস্ব প্রকৃতি বিকাশ করে।”
বিবেকানন্দের মতে, “শিক্ষা হল সেই পরিমাণ তথ্য নয় যা আমরা আপনার মস্তিষ্কে রাখি। আমাদের অবশ্যই জীবন গড়তে হবে, মানুষ তৈরি করতে হবে এবং চরিত্র তৈরি করতে হবে ধারণার আত্তীকরণ।
নারী শিক্ষায় স্বামী বিবেকানন্দের ভূমিকা
স্বামী বিবেকানন্দ স্ত্রী শিক্ষার প্রসারে জন্য অগ্রসর হই কারণ তিনি নারীজাতির গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন।
স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠের বিপরীতে একটি নারী মঠের পরিকল্পনা করেন, যেখানে একটি বালিকা বিদ্যালয় থাকার কথা তিনি বলেছেন। মঠের প্রশাসনিক কর্তৃত্ব শুধুমাত্র মহিলাদের ওপর ন্যস্ত হবে। পুরুষের মঠে যেমন কেন্দ্রস্থলে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের অবস্থান, রমণীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত মঠে তেমনই কেন্দ্রস্থলে থাকবেন শ্রী মা সারদামণি দেবী। তাঁরই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ব্রহ্মচারিণী ওই মাঠে সন্ন্যাসীর জীবন যাপন করবেন ও স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ শিক্ষায় নিজেকে শিক্ষিত করতে পারবে।
স্বামীজী নারী শিক্ষার দুটি বিষয়ে ভাগ করেছেন –
(১) আধ্যাত্মিক শিক্ষা (২) দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগবে সেই রকম ব্যবহারিক শিক্ষা
- আধ্যাত্মিক শিক্ষা – তিনি বিশ্বাস করতেন যে, ভারতীয় নারীর আধ্যাত্মিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবে। তাই ধর্মকে কেন্দ্র করে স্ত্রী শিক্ষার বিস্তার করতে হবে। ধর্মনিরপেক্ষ অন্য সমস্ত শিক্ষাই গৌণ। ধর্ম শিক্ষা, চরিত্র গঠন, পালন প্রভৃতির দিকে জোর দিতে হবে।
- এই আদর্শে অনুপ্রাণিত হতে স্বামীজী চেয়েছিলেন তার মঠে নারীরা সন্ন্যাসী জীবন পালন করবে। তাদের নিয়মিত আধ্যাত্মিক জ্ঞানের অনুশীলন করা হবে এবং সমস্ত প্রকার যেমন শাস্ত্র, সংগীত, সংস্কৃত, ব্যাকরণ ইত্যাদি পড়ানো হবে। আধ্যাত্মিক শিক্ষা শেষে হাওর পর যদি কেউ মনে করেন যে তারা মঠে থেকে কাজ করবে তাহলে তারা করতে পারে।
- তারা মঠে থেকে কি কি কাজ করবে সেই ব্যাপারে স্বামীজি একটি রূপরেখা তৈরি করেন। তারা মঠে থাকার সিদ্ধান্ত নেবে এসব ব্রহ্মচারিণী রাই পরবর্তীকালে শিক্ষয়িত্রী এবং ধর্মপ্রচারক হবেন। এসব শিক্ষয়িত্রী কী কী কাজ করবে, স্বামীজী তারও একটা রূপরেখা নির্ধারণ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “এইসব ধর্মপ্রচারিকারা শহর এবং গ্রামে যাবেন। বিভিন্ন জায়গায় নারী শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করবে। সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির নারীদের মধ্যে শিক্ষা প্রচারে ব্রতিনী হবেন। তারা দেশের প্রকৃত স্ত্রীশিক্ষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবেন।
- দৈনন্দিন ব্যবহারিক শিক্ষা – আধ্যাত্মিক শিক্ষার পাশাপাশি স্বামী বিবেকানন্দ নারীদের দৈনন্দিন কাজে লাগবে এমন ব্যবহারিক শিক্ষার কথা স্বামী বিবেকানন্দ শিক্ষাদর্শনে আলোচনা করেন। বিভিন্ন প্রকার ব্যবহারিক শিক্ষা যেমন সেলাই, রন্ধন, ও সংসারী কাজকর্মের শিক্ষা দেবার কথা বলেন। যার ফলে নারীদের কারোর উপর নির্ভরশীল থাকতে হবে না সে তার নিজের বন্দোবস্ত নিজেই করতে পারে। তাতে পুরুষ ও নারীর মধ্যে ভেদাভেদ অনেক তাই কমবে বলে স্বামীজী মনে করতেন।
স্বামী বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন
সন্ন্যাসী গুরু ভাইদের নিয়ে একটি সংঘ প্রতিষ্ঠার নির্দেশও শ্রীরামকৃষ্ণ নরেন্দ্র কে দিয়ে যান। যার ফল হল আজকের রামকৃষ্ণ মিশন। ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ই আগস্ট শ্রীরামকৃষ্ণের দেহত্যাগ করেন।
এর কিছুদিন পর নরেন্দ্রনাথ কয়েকজন গুরু ভাইকে নিয়ে বরানগরের একটি পুরনো ভাঙ্গা বাড়িতে প্রথম শ্রী রামকৃষ্ণ মঠ প্রতিষ্ঠা করেন।
চরম দারিদ্র্য, অনশন ও অর্ধাশন নিত্যসঙ্গী ছিল তাদের। তার মধ্যেও তীব্র তপস্যা, ভজন কীর্তন ও শাস্ত্র আলোচনায় তাদের দিন কাটতো।
শিক্ষায় স্বামী বিবেকানন্দের অবদান
বিবেকানন্দ প্রচার করেছিলেন যে হিন্দু ধর্মের সারমর্মটি আদি শঙ্করের অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনে সর্বোত্তমভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। এবং এইভাবে, আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য স্বামী বিবেকানন্দ শিক্ষা-শিক্ষা প্রক্রিয়ায় ধ্যান এবং একাগ্রতার উপর সর্বাধিক জোর প্রয়োগ করতে চেয়েছিলেন।
স্বামী বিবেকানন্দের ধর্ম সংস্কার আলোচনা কর, স্বামী বিবেকানন্দের ধর্ম সংস্কারের আদর্শ ব্যাখ্যা করো
আধুনিক বিশ্বে স্বামী বিবেকানন্দের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদানগুলির মধ্যে একটি হল তার ধর্মের ব্যাখ্যা, সমস্ত মানবতার জন্য সাধারণ বাস্তবতার সর্বজনীন অভিজ্ঞতা হিসাবে। এই সার্বজনীন ধারণা ধর্মকে কুসংস্কার, গোঁড়ামি, যাজক কারুকাজ এবং অসহিষ্ণুতার কবল থেকে মুক্ত করে।
স্বামী বিবেকানন্দের সংক্ষিপ্ত জীবনী pdf, স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী pdf download
এই ভলিউমগুলিতে আমাদের কাছে কেবল বিশ্বের জন্য একটি সুসমাচারই নেই, বরং তার নিজের সন্তানদের জন্যও রয়েছে, হিন্দু ধর্মের সনদ। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, হিন্দুধর্ম নিজেই এখানে সর্বোচ্চ ক্রমে একটি হিন্দু মনের সাধারণীকরণের বিষয় গঠন করে। হিন্দুধর্মের যা প্রয়োজন ছিল তা হল তার নিজস্ব ধারণাকে সংগঠিত করা এবং একত্রিত করা, একটি শিলা যেখানে সে নোঙ্গর করে শুয়ে থাকতে পারে এবং একটি কর্তৃত্বপূর্ণ উচ্চারণ যাতে সে নিজেকে চিনতে পারে।
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ 2021, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ 2022, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ 2023, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ 2022 পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে তাদের ছাত্রদের জন্য পরিচালিত হয়েছে যারা তাদের ফি বহন করতে পারছেন না। স্নাতকোত্তর এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অন্যান্য সকল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়। এই বৃত্তিগুলি শিক্ষার্থীদের একটি ভাল শিক্ষা পেতে সাহায্য করবে এবং তারা তাদের শিক্ষার দ্বারা তাদের উপর চাপানো আর্থিক বোঝা কাটিয়ে উঠবে।
সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন ও ফিনান্স কর্পোরেশন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্নাতক স্তরের সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য Swami Vivekananda Merit Cum Means Scholarship প্রকল্পের জন্য আবেদনগুলি আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এই বৃত্তিটির লক্ষ্য মেধাবী তবুও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের উচ্চতর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান। নির্বাচিত প্রার্থীরা বার্ষিক Rs. 12,000 থেকে বার্ষিক Rs.60,000 পর্যন্ত বৃত্তি পাবেন।
আবেদন পদ্ধতি:-
- বর্তমানে স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপে আবেদন করার জন্য বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীদের ন্যূনতম 60 শতাংশ নম্বর পেতে হবে। তবে সংখ্যালঘুদের জন্য ও হিন্দু জাতি দের জন্য দুটি ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইটে স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ এর আবেদন করা যাবে। এখন নিম্নে ওয়েবসাইট দুটি উল্লেখ করা হলো:-
- সংখ্যালঘু (মুসলিম, খৃষ্টান ,বৌদ্ধ প্রভৃতি ধর্মের ছাত্রছাত্রীরা):- https://wbmdfcscholarship.org/
- হিন্দু ধর্মালম্বী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য:- https://svmcm.wbhed.gov.in/
স্বামী বিবেকানন্দ রচনা
স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী
উত্তর: ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১২ ই জানুয়ারি উত্তর কলকাতার সিমলাপাড়ার বিখ্যাত দত্ত পরিবারে নরেন্দ্রনাথ ওরফে স্বামী বিবেকানন্দ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ।