WBBSE Geography, Bhugol | Prithibi Akti Groho Question Answer
উপরিউক্ত প্রশ্ন এবং তার যথাযত সমাধান, নিম্ন লিখিত সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর আকারে বর্ণনা করা হলো। এই উত্তর গুলি ছোট (SA) এবং বড় (LA), সকল প্রশ্নোর ক্ষেত্রে উত্তর সমাধান হিসাবে পাঠ করা যেতে পারে।
প্রশ্নোত্তর এবং সমাধান
পৃথিবী যে আকৃতিতে গোলাকার তা প্রমাণ করার জন্য নির্ভরযোগ্য প্রমাণ প্রদান করুন।
উত্তর: স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিগুলোতে পৃথিবীকে স্পষ্টভাবে গোলাকার দেখা যায়। অন্যান্য প্রমাণগুলি হল জাহাজটি উপস্থিত হওয়ার আগে প্রথমে একটি জাহাজের মাস্তুলের দেখা, 5 কিলোমিটারের ব্যবধানে বিভিন্ন স্থানে খুঁটির বিভিন্ন উচ্চতা, বেডফোর্ড স্তরের পরীক্ষার মাধ্যমে এবং উত্তর মেরু থেকে 90° এ পোল স্টারের দৃশ্য। এবং উচ্চতর মনোভাব থেকে বৃত্তাকার হিসাবে পৃথিবীর দিগন্তের দৃশ্য।
পৃথিবীর কাল্পনিক অক্ষ মেরুরেখা ও নিরক্ষরেখার সঙ্গে কত ডিগ্রি কোণে হেলে অবস্থান করছে?
উত্তর: পৃথিবীর অক্ষ নিরক্ষরেখার উপরে অঙ্কিত উলম্ব থেকে ২৩.৫° কোণে হেলে অবস্থান করছে যার কারণে ঋতু পরিবর্তন হয়। অর্থাৎ এটি নিরক্ষীয় তলের সাথে ৬৬.৫° কোণ উৎপন্ন করেছে।
মালভূমি কাকে বলে?
আশপাশের অঞ্চলের সাপেক্ষে হঠাৎ উঁচু ( সাধারণত ৩০০ মিটারের বেশি উঁচু ) বিস্তীর্ণ ভূভাগ, যার চারিদিকে খাড়া ঢাল আছে, এরূপ ভূমিরূপ হলো মালভূমি। স্থলভাগের বেশিরভাগ জায়গা জুড়েই রয়েছে মালভূমি। এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা অস্ট্রেলিয়ার, বেশিরভাগ অংশ জুড়েই বড়ো বড়ো মালভূমি আছে।
মালভূমির উপরটা সমতল, ঢেউ খেলানো থেকে উঁচু – নিচুও হতে পারে। মালভূমি অনেকটা তোমার পড়ার টেবিলের মতো। ওপরটা টেবিলের মতোই প্রায় সমতল হলেও, ধারগুলো টেবিলের পায়ার মতোই ঢালু এবং খাড়া। এজন্য মালভূমিকে ‘টেবিল ল্যান্ড ‘ বলে।
মালভূমি কত প্রকার ও কি কি?
উৎপত্তি আর অবস্থান অনুসারে মালভূমি পাঁচ রকমের। যথা – পর্বতবেষ্টিত মালভূমি (Intermontane Plateau), মহাদেশীয় মালভূমি (Continental Plateau), লাভাগঠিত মালভূমি ( Volcanic Plateau), ব্যবচিছন্ন মালভূমি ( Dissected Plateau), পামীর মালভূমি
পর্বতবেষ্টিত মালভূমি কাকে বলে? (Intermontane Plateau)
পর্বতবেষ্টিত মালভূমি গুলো সবথেকে উঁচু আর বিস্তৃত হয়। হিমালয় এবং কুয়েনলুন পর্বত শ্রেণীর মধ্যে অবস্থিত তীব্বত মালভূমি (৩,৬৫৫ মিটার উঁচু) পৃথিবীর বৃহত্তম মালভূমি। যখন কোন মালভূমি একাধিক পর্বত দ্বারা আবদ্ধ থাকে তখন তাকে পর্বত বেষ্টিত মালভূমি বলে। ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির সময় সাধারণত এই ধরনের মালভূমি গঠিত হয়।
মহাদেশীয় মালভূমি কাকে বলে? (Continental Plateau)
দক্ষিণ আফ্রিকা, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, আন্টার্টিকা, গ্রিনল্যান্ডের বিস্তৃত অংশ জুড়ে রয়েছে মহাদেশীয় মালভূমি।
লাভাগঠিত মালভূমি কাকে বলে? ( Volcanic Plateau)
অগ্নুৎপাতের সময় গরম লাভা বেরিয়ে এসে অনেকদূর ছড়িয়ে পড়ে, বিরাট মালভূমি সৃষ্টি করে ভারতের দাক্ষিণাত্য মালভূমি, মালব মালভূমি এগুলো লাভা গঠিত মালভূমি।
ব্যবচিছন্ন মালভূমি কাকে বলে? ( Dissected Plateau)
নদী উপত্যকা দ্বারা বিচ্ছিন্ন মালভূমি হল ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি। ছোটনাগপুর মালভূমি এই ধরনের। পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চল ছোটনাগপুরের অংশ। মালভূমির গড় উচ্চতা ৩০০ মিটার হলেও কিছু উঁচু মালভূমির উচ্চতা অনেক বেশি।
পামীর মালভূমি কাকে বলে?
পৃথিবীর সর্বোচ্চ মালভূমি পামীর মালভূমিকে বলা হয়। ৪,৮৭৩ মিটার উঁচু এই মালভূমি। তাই এই মালভূমিকে ‘ পৃথিবীর ছাদ ‘ বলা হয়। তিব্বত মালভূমি, ভারতের লাডাক মালভূমি সবাই উচ্চ মালভূমি।
নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর 2022, নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর 2023
পৃথিবীর বাইরের শক্ত আবরণ কি নামে পরিচিত
উত্তর- লিথোস্ফিয়ার হল পৃথিবীর কঠিন, বাইরের অংশ। লিথোস্ফিয়ারের মধ্যে রয়েছে ম্যান্টেলের ভঙ্গুর উপরের অংশ এবং ভূত্বক, পৃথিবীর কাঠামোর সবচেয়ে বাইরের স্তর। এটি উপরের বায়ুমণ্ডল এবং নীচে অ্যাথেনোস্ফিয়ার দ্বারা আবদ্ধ।
‘বায়ুমণ্ডলই পৃথিবীর জীবনধারণের অনুকূল তাপমাত্রা বজায় রাখে’- বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো
উত্তর- পৃথিবীকে ঘিরে বায়ুর স্তর না থাকলে অন্যন্য গ্রহের মতোই পৃথিবীও প্রানহীন হয়ে যেতে পারতো । বায়ু ছারা উদ্ভিদ ও প্রানীর বেঁচে থাকার উপায় হতো না। সূর্যের তাপে পৃথিবী উত্তপ্ত হয় আর দিন ও রাত মিলিয়ে ঐ তাপ ধীরে ধীরে বেরিয়ে যায় । বায়ুমণ্ডল না থাকলে সূর্যাস্তের পর হটাৎ ভীষণ ঠান্ডা আর সূর্যোদয়ের পর হঠাৎ গরম হয়ে যেত পৃথিবী। বায়ুমন্ডলের জন্য পৃথিবীতে জীবনধারণের অনুকূল তাপমাত্রা বজায় আছে। এছারাও, প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার কোটি ছোট ছোট উল্কা পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে। কিন্তু বায়ুমণ্ডলের সাথে ঘষা লেগে ছাই হয়ে যায়। তাই পৃথিবীর ক্ষতির হাত থেকে সুরক্ষিত থাকে।
আন্টার্কটিকার জলবায়ুর দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো
উত্তর- আন্টার্কটিকার জলবায়ুর দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো-
চিরস্থায়ী বরফ আবৃত থাকে বলে এই মহাদেশ পৃথিবীর শীতলতম অঞ্চল। সারাবছরই হিমশীতল আবহাওয়া , কনকনে ঠান্ডা বাতাস আর তুষার ঝড় চলে। পৃথিবীর শীতলতম স্থান হলো আন্টার্কটিকার ভস্টক।
উষ্ণ প্রস্রবনের সৃষ্টি হয় কীভাবে?
উত্তর – ভূ-গর্ভস্থ ভৌমজল মাটির অনেক গভীরে প্রবেশ করলে তা ভূতাপের সংস্পর্শে এসে ফুটতে আরম্ভ করে। পরবর্তী কালে ওই উত্তপ্ত জল যখন ভূপৃষ্ঠের কোন ফাটলের মাধ্যমে স্বাভাবিক ভাবে বাইরে বেরিয়ে আসে তখন তাকে উষ্ণ প্রস্রবণ বলে। যেমন – পশ্চিমবঙ্গের বক্রেশ্বর উষ্ণ প্রস্রবণ।
বিযুক্তিরেখা কাকে বলে?
উত্তর – পৃথিবীর অভ্যন্তরের পদার্থ সমূহ সর্বত্র একই অবস্থায় নেই, কোথাও কঠিন, কোথাও তরল অবস্থায় রয়েছে। শুধু তাই নয় পদার্থ গুলির অবস্থার পরিবর্তনের সাথে সাথে ঘনত্বেরও তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। তাই ভূ-গর্ভের যেখানে পদার্থের অবস্থা ও ঘনত্বের পরিবর্তন হয়েছে, সেখানে ভূমিকম্পের P ও S তরঙ্গ গতি ও দিকের সামান্য হলেও বিচ্ছুতি ঘটে থাকে। ওই অঞ্চল গুলিকে ভূতত্ত্ববিদরা বিযুক্তিরেখা হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।
মে-অগস্ট মাসে ২৪ ঘন্টায় অন্ধকার থাকে।এই সময় আকাশে সূর্যের দেখা মিলে না। মাঝে মাঝে আকাশ সবুজ,নীল,লাল রঙের মেরুজ্যোতি দেখা যায়।
পৃথিবীর অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্তর সম্পর্কে আলোচনা কর?
উত্তর – ভূমিকম্প তরঙ্গের গতি প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগকে তিনটি প্রধান স্তরে ভাগ করেছেন, যথা – ভূত্বক, গুরুমন্ডল ও কেন্দ্রমন্ডল।
পৃথিবীর ছাদ যে মালভূমিকে বলা হয় সেটি হলো
উত্তর – পৃথিবীর ছাদ যে মালভূমিকে বলা হয় সেটি হলো পামীর মালভূমি
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
আরো বিশদে পড়ার জন্য
অল ইন ওয়ান ভূগোল ও পরিবেশ (জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট)
ক্লাস – 9 এর জন্য.
মালভূমি কাকে বলে?
আশপাশের অঞ্চলের সাপেক্ষে হঠাৎ উঁচু ( সাধারণত ৩০০ মিটারের বেশি উঁচু ) বিস্তীর্ণ ভূভাগ, যার চারিদিকে খাড়া ঢাল আছে, এরূপ ভূমিরূপ হলো মালভূমি। স্থলভাগের বেশিরভাগ জায়গা জুড়েই রয়েছে মালভূমি। এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা অস্ট্রেলিয়ার, বেশিরভাগ অংশ জুড়েই বড়ো বড়ো মালভূমি আছে।