মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা, মহাদেশীয় ব্যবস্থা কি
১৮০৫ সালে ট্রাফালগারের যুদ্ধে পর নেপোলিয়ন বুঝতে পেরে ছিলেন, যুদ্ধের দ্বারা ইংল্যান্ড কে পরাজিত করা সম্ভব নয়। এজন্য তিনি ইংল্যান্ড কে হাতে মারার পরিবর্তে ভাতে মারার নীতি গ্রহণ করেন। ইংল্যান্ডের কোনো জাহাজ ইউরোপের কোনো বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না। এবং ইউরোপের কোনো জাহাজ ইংল্যান্ডের বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না। এককথায় ইংল্যান্ডের ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ করে, অর্থনৈতিক দিক থেকে পঙ্গু করার জন্য নেপোলিয়ন যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তাকে মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা বলা হয়।
মহাদেশীয় অবরোধ প্রথা কি
ইংল্যান্ডের কোনো জাহাজ ইউরোপের কোনো বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না। এবং ইউরোপের কোনো জাহাজ ইংল্যান্ডের বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না। এককথায় ইংল্যান্ডের ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ করে, অর্থনৈতিক দিক থেকে পঙ্গু করার জন্য নেপোলিয়ন যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তাকে মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা বলা হয়।
21 নভেম্বর, 1806-এ, নেপোলিয়ন তার বার্লিনের প্রাসাদ থেকে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জকে অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন এবং মহাদেশে সমস্ত ব্রিটিশ পণ্য ও বাণিজ্য প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন। এটি ‘মহাদেশীয়’ অবরোধ হিসাবে পরিচিত হয় কারণ প্রকৃতপক্ষে বেশিরভাগ ইউরোপীয় মহাদেশ ফরাসি প্রভাবের অধীনে ছিল।
মহাদেশীয় ব্যবস্থা কেন ব্যর্থ হয়েছিল
১) মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা ছিল একটি অসম্ভব ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থা অনুসরণ করে প্রতিটি দেশকে যে, অসংখ্য চাপ সহ্য করতে হবে তা আশা করা হয়নি।
২) ফ্রান্স পক্ষে একটি শক্তিশালী নৌবহর বা নৌসেনাবাহিনী ছাড়াই বিশাল সমুদ্র নিয়ন্ত্রণ করা ছি্ল একটি অসম্ভব ব্যাপার।
৩) শিল্প বিপ্লবের ফলে ইংল্যান্ডের কারখানাগুলিতে উন্নত মানের বিভিন্ন পণ্যাদি উৎপাদিত হত এবং ইউরোপের বাজারে ওইসব পণ্যের চাহিদাও ছিল ব্যাপক। ইংল্যান্ড উল ও তুলা দ্বারা প্রস্তুত দ্রব্যাদি, চা, কফি এবং চিনির একচেটিয়া ব্যবসা করত। ফ্রান্সের মতো শিল্পে অনুন্নত একটি দেশের পক্ষে ওই চাহিদা মেটানো সম্ভব ছিল না। নেপোলিয়ন তাই ইউরোপবাসীকে কফির বদলে চিকোরি, আখের চিনির বদলে বিটের চিনি প্রভৃতি বিকল্পের উপর নির্ভর করার পরামর্শ দেন। ইউরোপের মানুষ উচ্চমূল্যে ফরাসি দ্রব্যাদি কিনতে বাধ্য হয়। এর ফলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয় এবং ওইসব দেশের জনগণ নেপোলিয়নের প্রতি বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
৪) ফরাসি জনগণের অবস্থাও চরমে পৌছায়। তারা নেপোলিয়নের প্রতি সব আস্থা হারিয়ে ফেলে—এমনকী তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার চক্রান্তও শুরু হয়।
৫) ইউরোপের বিভিন্ন দেশ—এমনকী ফ্রান্সেও ইংল্যান্ড-জাত পণ্যাদির ব্যাপক চোরাচালান শুরু হয়, যা বন্ধ করার শক্তি নেপোলিয়নের ছিল না। নেপোলিয়ন এই ব্যবস্থার অসারতা উপলব্ধি করে এবং ইংল্যান্ড থেকে মাল আমদানিকারকদের অর্থের বিনিময়ে গোপনে লাইসেন্স দিতে শুরু করেন। তিনি নিজে সেনাদলের ব্যবহারের জন্য ৫০ হাজার কোট ও জুতো ইংল্যান্ড থেকে আমদানি করেন শেষ পর্যন্ত এই ব্যবস্থা ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ে।
৬) মহাদেশীয় ব্যবস্থার কারণে ইউরোপীয় বাণিজ্য ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। 1810 সালে মাত্র 4২8 টির মধ্যে একটি বা দুটি চিনির মিল হামবুর্গে চলতে দেখাগিয়েছিল।
নেপোলিয়নের মহাদেশীয় ব্যবস্থা
ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বুঝেছিলেন যে ‘সমুদ্রের রানি’ ইংল্যান্ডকে যুদ্ধে পরাজিত করা সম্ভব নয়। ইংল্যান্ডকে হাতে মারা’ সম্ভব নয় জেনে নেপোলিয়ন তাকে ভাতে মারা’র ব্যবস্থা করেন। অর্থাৎ তিনি ইংল্যান্ডের অর্থনৈতিক ক্ষতি করার চেষ্টা করেন। নেপোলিয়ন ইংল্যান্ডকে পর্যুদস্ত করার জন্য যে অর্থনৈতিক অবরোধের নীতি গ্রহণ করেন, তাকেই মহাদেশীয় ব্যবস্থা বা কন্টিনেন্টাল সিস্টেম (Continental System) বলা হয়।
মূলকথা : ইউরোপের কোনো বন্দরে ইংল্যান্ডের কোনো জাহাজ যেতে পারবে না এবং ইউরোপের কোনো দেশ ইংল্যান্ডের কোনো পণ্য আমদানি করতে পারবে না। এই নির্দেশ অমান্য করলে নেপোলিয়ন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে এই ব্যবস্থায় স্থির করা হয়।
নেপোলিয়নের মহাদেশীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্য
নেপোলিয়নের মহাদেশীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্য ছিল—
i) ইংল্যান্ডের শিল্প ও বাণিজ্যকে ধ্বংস করা : নেপোলিয়ন বুঝেছিলেন, ইংল্যান্ডের অর্থনৈতিক ক্ষমতার মূল উৎস ছিল শিল্প ও বৈদেশিক বাণিজ্য। ইংল্যান্ড তার বিভিন্ন উপনিবেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি করত ও ইংল্যান্ডের কারখানায় তৈরি সামগ্রী বিভিন্ন দেশে বিক্রি করত। নেপোলিয়ন ইংল্যান্ডের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে শিল্প ও বাণিজ্য কে ধ্বংস করার জন্য মহাদেশীয় ব্যবস্থা ঘোষণা করেছিলেন।
ii) ফ্রান্সের অথনৈতিক সমৃদ্ধি: নেপলিয়নের উদ্দেশ্য ছিল মহাদেশীয় ব্যবস্থার ফলে ইংল্যান্ড ইউরোপে তার বাজার হারালে ফ্রান্স তা দখল করবে। ফলে ফ্রান্স অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধিশালী হবে।
মহাদেশীয় ব্যবস্থার প্রয়োগ
মহাদেশীয় ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্য নেপোলিয়ন বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন।
1) বার্লিন ডিক্রি (Berlin Decree)জারি (ফ্রান্স) : মহাদেশীয় ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্য ১৮০৬ খ্রিস্টাব্দের ১১ নভেম্বর নেপোলিয়ন বালন ডিক্রি জারি করেন। এতে বলা হয় যে— ফ্রান্স বা তার মিত্রদেশ নিরপেক্ষ দেশের বন্দরে ইংল্যান্ড বা তার উপনিবেশগুলি থেকে আসা কোনো জাহাজকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ইংল্যান্ডের কোন জিনিসপত্র অন্য দেশের জাহাজ মারফত আনা হলেও তা বাজেয়াপ্ত করা হবে।
2) অর্ডারস-ইন-কাউন্সিল (Orders-in-Council) (ইংল্যান্ড) : ইংল্যান্ডের মন্ত্রীসভা বার্লিন ডিক্রির প্রত্যুত্তরে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ পণ্যের অর্ডারস-ইন-কাউন্সিল ঘোষণা করে (১৮০৭ খ্রি.)। ফ্রান্স ও তার মিত্রদেশের বন্দরে কোনো দেশের জাহাজ ঢুকতে পারবে না। এই নির্দেশ অমান্য করলে ইংল্যান্ড ওই জাহাজ ও মালপত্র বাজেয়াপ্ত করবে। যদি নিরপেক্ষ কোনো দেশের জাহাজকে নিতান্তই ফ্রান্সে যেতে হয় তবে তাকে ইংল্যান্ডের কোনো বন্দরে এসে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে লাইসেন্স নেওয়ার পর যেতে হবে।
3) মিলান ডিক্রি (Milan Decree) (ফ্রান্স) : ইংল্যান্ডের অর্ডারস-ইন-কাউন্সিলের প্রত্যুত্তরে ১৮০৭ খ্রিস্টাব্দেই নেপোলিয়ন মিলান ডিক্রি জারি করেন। এতে বলা হয়—
মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থার মানচিত্র কোনো জাহাজ অর্ডারস-ইন-কাউন্সিল অনুসারে ইংল্যান্ডের কাছ থেকে লাইসেন্স নিলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে।
4) ওয়ারশ ডিক্রি (warshaw Decree) ও ফন্টেনব্লু ডিক্রি (Fontainebleau Decree) (ফ্রান্স) : নেপোলিয়ন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আরও দুটি ডিক্রি জারি করেন।
এতে বলা হয় যে, নির্দেশ অমান্য করলে বাজেয়াপ্ত করা দ্রব্যসামগ্রীতে প্রকাশ্যে আগন লাগানো হবে। মহাদেশীয় ব্যবস্থা সফল করার জন্য নেপোলিয়ন প্রাশিয়া (১৮০৬),রাশিয়া(১৮০৭) ও অস্ট্রিয়ার (১৮০৯) সম্রাটকে বাধ্য করেন।
ওলন্দাজ বণিকরা এই ব্যবস্থা মানতে না চাইলে নেপোলিয়ন তাদের বিরদ্ধে সেনাবাহিনী পাঠান।পোপ কোনো পক্ষে না গিয়ে নিরপেক্ষ থাকার কথা বললে নেপোলিয়ন পোপকে বন্দি করেন।
এই ব্যবস্থা সফল করার জন্য নেপোলিয়ন পোর্তুগাল ও স্পেন দখল করেন।
সুইডেন এই ব্যবস্থা না মানতে চাইলে মিত্ররাষ্ট্র রাশিয়া মিত্ররাষ্ট্র রাশিয়া (জার প্রথম আলেকজান্ডার) সুইডেন আক্রমণ করে তাকে এই ব্যবস্থা মানতে বাধ্য করে।
মন্তব্য: পরিশেষে বলা যায়, মহাদেশীয় ব্যবস্থা সাফল্য লাভ করেনি। কারণ এই ব্যবস্থাকে সফল করতে হলে ইংল্যান্ডের চেয়েও শক্তিশালী নৌবাহিনীর প্রয়োজন ছিল কিন্তু তা ফ্রান্সের ছিল না। ঐতিহাসিক লজ বলেছেন, একজন কূটনীতিক হিসেবে নেপোলিয়ন এর ব্যর্থতার বড় প্রমাণ ছিল ‘মহাদেশীয় ব্যবস্থা’।
মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা কিভাবে নেপোলিয়নের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়
নেপোলিয়ান নীলনদ ও ট্রাফালগড়ের নৌ যুদ্ধে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়ে উপলব্ধি করেন যে, ইংল্যান্ডের মত শক্তিশালী দেশকে নৌ যুদ্ধে পরাজিত করা অসম্ভব। তাকে একমাত্র বশীভূত করা যেতে পারে অর্থনৈতিক অবরোধের মাধ্যমে। এই কারণে তিনি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মহাদেশীয় অবরোধ জারি করেন। তাই সূচনা পর্বে ইংল্যান্ডকে প্রভূত ক্ষয়ক্ষতি সম্মুখীন হতে হয়। এমনকি “অর্ডার ইন কাউন্সিল” কার্যকর করতে গিয়ে ইংল্যান্ডকে ডেনমার্ক, আমেরিকার সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হয়। তা সত্ত্বেও নেপোলিয়নের মহাদেশীয় অবরোধ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি; শেষ পর্যন্ত এই ব্যবস্থা ব্যর্থ হয় এবং নেপোলিয়নের পতন ডেকে আনে।
- প্রথমতঃ মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তিশালী নৌ বাহিনী নেপোলিয়ানের ছিল না। তাই ইংল্যান্ড তার শক্তিশালী নৌবাহিনী সাহায্যে “অর্ডার ইন কাউন্সিল” জারি করে নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযান চালায়।
- দ্বিতীয়তঃ শিল্প বিপ্লবের ফলে ইংল্যান্ডের সস্তায় উৎপন্ন পণ্য বিদেশের বাজারে পৌঁছাতে না পারলে জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি পায়। আর এরই প্রতিক্রিয়াতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নেপোলিয়ন বিরোধী আন্দোলন গড়ে ওঠে।
- তৃতীয়তঃ পোপ মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা মানতে মানতে রাজি না হলে নেপোলিয়ন পোপের রাজ্য দখল করেন। এরই প্রতিক্রিয়া স্বরূপ সমগ্র ক্যাথলিক জগতে নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
- চতুর্থতঃ মহাদেশীয় অবরোধ শিকারে অনিচ্ছুক পর্তুগালকে শিক্ষা দেয়ার জন্য নেপোলিয়ান পর্তুগাল অভিযান করেন এবং পর্তুগাল জয় করে ফেরার সময় স্পেন দখল করেন। ফলে স্পেন ও পর্তুগাল মিলিত হয়ে নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়। বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশ এই সংগ্রামে স্পেনকে ও পর্তুগালকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে এবং “জাতি সমূহের যুদ্ধ” সৃষ্টি হয়। তাই আক্ষেপ করে নেপোলিয়ান বলেছিলেন, “Spanishulcer ruined me.“
- পঞ্চমতঃ ১৮১২ খ্রিস্টাব্দে মহাদেশীয় অবরোধ গ্রহণে অনিচ্ছুক রাশিয়া অভিযানের সময় তাঁর বিখ্যাত “গ্রান্ড আর্মি” ধ্বংস হয়। যা প্রমাণ করে নেপোলিয়ন অপরাজেয় নয়। ফলে ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্র তার স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জোট বন্ধ হয়। যা পরবর্তীকালে তাঁর পতনকে পাওয়া সম্ভবই করে তোলে।
পরিশেষে বলা যায়, নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে লাইভ জিগের যুদ্ধে তাঁর পরাজয়ের ইউরোপের নেপোলিয়নের বিশাল সাম্রাজ্যকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে। সুতরাং যে ঘটনা নেপোলিয়নের পতন কে ত্বরান্বিত করেছিল তা হলো মহাদেশীয় অবরোধ। তাই ঐতিহাসিক জর্জ লর্জ তাই মন্তব্য করেছেন, মহাদেশীয় অবরোধ ছিল একজন কূটনীতি হিসেবে নেপোলিয়নের ব্যর্থতার সর্বাপেক্ষা বড় প্রমাণ।
আরো অন্যান্য সরকারি স্কিম সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
FAQ | মহাদেশীয় ব্যবস্থা
Q1. মহাদেশীয় ব্যবস্থা কে প্রবর্তন করেন
Ans – 1806 খ্রীস্টাব্দে বার্লিন ডিক্রির মাধ্যমে ইংল্যন্ডের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের অধীশ্বর নেপোলিয়ন মহাদেশীয় ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।
Q2. মহাদেশীয় অবরোধ নামকরণের কারণ কি
Ans – ‘মহাদেশীয় অবরোধ’ নামটি মূল ভূখণ্ড ইউরোপের সমগ্র মহাদেশ থেকে ব্রিটেনকে বিচ্ছিন্ন করার উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে উদ্ভূত হয়েছে। ব্রিটেন কাউন্সিলের আদেশের সাথে পাল্টা জবাব দেয় যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে 1812 সালের যুদ্ধের কারণ হতে সাহায্য করেছিল। এই ঘোষণার পর ব্রিটেন এবং ফ্রান্স উভয়ই একে অপরকে অবরোধ করছিল।
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন।