বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি কি, বাইনারি সংখ্যা বের করার পদ্ধতি, বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির আবিষ্কারক কে

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

বাইনারি কি

বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বা দ্বিমিক সংখ্যা পদ্ধতি (ইংরেজি: Binary number system) একটি সংখ্যা পদ্ধতি যাতে সকল সংখ্যাকে কেবলমাত্র ০ এবং ১ দিয়ে প্রকাশ করা হয়। এই সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি দুই। ডিজিটাল ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির লজিক গেটে এই সংখ্যাপদ্ধতির ব্যাপক প্রয়োগ রয়েছে। তাছাড়া প্রায় সকল আধুনিক কম্পিউটারে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। বাইনারি পদ্ধতিতে প্রতিটি অঙ্ককে বিট বলা হয়।

বাইনারী নাম্বার সিস্টেমের বেজ ২ (১,০), অক্টাল নাম্বার সিস্টেমের বেজ ৮ (১,২,৩,৪,৫,৬,৭,০), হেক্সা ডেসিমেল নাম্বার সিস্টেমের বেজ ১৬(১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯,A,B,C,D,E,F, ০ )।

বাইনারি কাকে বলে

যে সংখ্যা পদ্ধতিতে (0,1) দুটি অঙ্ক ব্যবহার করা হয় তাকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বলে | অর্থাত এই পদ্ধতিতে সংখ্যা লেখার ক্ষেত্রে 0 বা 1 ব্যতীত অন্য কোনো অঙ্ক (digit) ব্যবহার করা যাবে না | binary শব্দে ব্যবহৃত bi অর্থ দুই | এই সংখ্যা পদ্ধতিতে ভিত্তি 2 |

বাইনারি সংখ্যাঃ 0,1,10,11,100,101,110,111,1000,1001,1010,……………

বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি সবচেয়ে সরলতম সংখ্যা পদ্ধতি। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির ০ এবং ১ এই দুটি মৌলিক কে বিট বলে এবং আট বিটের গ্রুপ নিয়ে গঠিত হয় একটি বাইট।

সকল ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস শুধুমাত্র দুটি অবস্থা অর্থাৎ বিদ্যুতের উপস্থিতি এবং অনুপস্থিতি বুজতে পারে। বিদ্যুতের উপস্থিতিকে ON, HIGH, TRUE কিংবা YES বলা হয় যা লজিক লেভেল ১ নির্দেশ করে এবং বিদ্যুতের অনুপস্থিতিকে OFF, LOW, FALSE কিংবা NO বলা হয় যা লজিক লেভেল ০ নির্দেশ করে। লজিক লেভেল ০ এবং ১ বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির সাথে সামঞ্জন্যপূর্ণ। তাই কম্পিউটার বা সকল ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।

বাইনারি সংখ্যা কাকে বলে

একটি সংখ্যা পদ্ধতি যাতে সকল সংখ্যাকে কেবলমাত্র ০ এবং ১ দিয়ে প্রকাশ করা হয়। এই সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি দুই। ডিজিটাল ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির লজিক গেটে এই সংখ্যাপদ্ধতির ব্যাপক প্রয়োগ রয়েছে। তাছাড়া প্রায় সকল আধুনিক কম্পিউটারে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। বাইনারি পদ্ধতিতে প্রতিটি অঙ্ককে বিট বলা হয়।

আরো পড়তে: সংখ্যা কাকে বলে, সংখ্যা কত প্রকার ও কি কি, সংখ্যা প্রতীক কয়টি, সংখ্যা পদ্ধতির বেজ কি, পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কি

বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি কি

যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যা গণনা করার জন্য ২টি অঙ্ক বা প্রতীক ব্যবহৃত হয় তাকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বলে। যেমন-(১০১০)২। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে যেহেতু ০ এবং ১ এই দুইটি প্রতিক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাই এর বেজ বা ভিত্তি হচ্ছে ২। ইংল্যান্ডের গণিতবিদ জর্জ বুল বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি উদ্ধাবন করেন। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি সবচেয়ে সরলতম সংখ্যা পদ্ধতি। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির ০ এবং ১ এই দুটি মৌলিক চিহ্নকে বিট বলে এবং আট বিটের গ্রুপ নিয়ে গঠিত হয় একটি বাইট।

সকল ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস শুধুমাত্র দুটি অবস্থা অর্থাৎ বিদ্যুতের উপস্থিতি এবং অনুপস্থিতি বুজতে পারে। বিদ্যুতের উপস্থিতিকে ON, HIGH, TRUE কিংবা YES বলা হয় যা লজিক লেভেল ১ নির্দেশ করে এবং বিদ্যুতের অনুপস্থিতিকে OFF, LOW, FALSE কিংবা NO বলা হয় যা লজিক লেভেল ০ নির্দেশ করে। লজিক লেভেল ০ এবং ১ বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির সাথে সামঞ্জন্যপূর্ণ। তাই কম্পিউটার বা সকল ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।

বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি ২ কেন

বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে মাত্র দুটি চিহ্ন থাকায় এর ভিত্তি ২। কোনাে সংখ্যা পদ্ধতি যতগুলাে চিহ্ন বা প্রতীকের ওপর নির্ভর করে প্রতিষ্ঠিত হয়, তাকে ঐ সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি বলে। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির প্রতীক হলাে ০ এবং ১, ০ এবং ১ এ দুটি প্রতীক ব্যবহার করে কম্পিউটারের সব ধরনের হিসাব নিকাশ বা যে কোনাে কাজ বাইনারি পদ্ধতিতে করা যায়। এ জন্যই বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি ২।

বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য

  • বাইনারি নাম্বার সিস্টেমের বেস বা ভিত্তি হচ্ছে ২।
  • এ পদ্ধতিতে ০ এবং ১ মোট ২টি মৌলিক অঙ্ক আছে।
  • বাইনারি সংখ্যার মাধ্যমে কম্পিউটারের সমস্ত যোগ বিয়োগ ও অন্যান্য কার্যাদি সম্পন্ন করা হয়।

বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির আবিষ্কারক কে

ইংল্যান্ডের গণিতবিদ জর্জ বুল বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি উদ্ধাবন করেন।

বাইনারি সংখ্যা বের করার পদ্ধতি

নিচের ছকে ডেসিমেল নাম্বার সিস্টেম ও বাইনারী নাম্বার সিস্টেম তুলনামূলক চিত্র দেখানো হলো।

DecimalBinaryHexadecimalOctal
1111
21022
31133
410044
510155
611066
711177
81000810
91001911
101010A12
111011B13
121100C14
131101D15
141110E16
151111F17
16100001020
17100011121
18100101222
19100111323
20101001424
বাইনারি সংখ্যা বের করার পদ্ধতি

বাইনারী যোগ-

সাধারণ যোগের ক্ষেত্রে অর্থাৎ ডেসিমেল নাম্বার সিস্টেমে ১ ও ১ যোগ করলে হয় ২, ১০ ও ১০ যোগ করলে হয় ২০। কিন্তু বাইনারী সিস্টেমে যেহেতু বেজ শুধু ২ অর্থাৎ এই সিস্টেমে ০ ও ১ ব্যাতীত কোন অংক ব্যবহার করা যাবে না। তাই ১ ও ১ যোগ করলে ২ না হয়ে পরবর্তী ১ ও ০ দিয়ে গঠিত সংখ্যা ১০ হবে। একইভাবে ১০ ও ১০ যোগ করলে হবে ১০০। বাইনারী যোগের ক্ষেত্রে ৪টি নিয়ম মনে রাখতে হবে, যথা-  (১) ০+০=০   (২) ১+০=১   (৩) ০+১=১   এবং (৪) ১+১=১০।

নিম্নে কিছু যোগ দেখানো হলো-

   1+110+110+1011+1100010001+11010101111111+1111
10111001001111001101001110
বাইনারী যোগ

বাইনারী বিয়োগ-

সাধারণ বিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থাৎ ডেসিমেল নাম্বার সিস্টেমে ১০ থেকে ১ বিয়োগ করলে হয় ৯, ১০০ থেকে ১ বিয়োগ করলে হয় ৯৯। কিন্তু বাইনারী সিস্টেমে যেহেতু ০ ও ১ ব্যাতীত কোন অংক ব্যবহার করা যাবে না। তাই ১০ থেকে ১ বিয়োগ করলে ৯ না হয়ে ১ হবে। একইভাবে ১০০ থেকে ১ বিয়োগ করলে হবে ১১। নিম্নে আরও কিছু বিয়োগ দেখানো হলো-

   10-111-1100-10110-1100010001-11010101111111-1111
11010101111100110000
বাইনারী বিয়োগ

বাইনারী গুন-

ডেসিমেল নাম্বার সিস্টেমের মত গুন হবে কিন্তু একেবারে শেষে যোগ করার সময় যোগ করতে হবে বাইনারী যোগের নিয়মে, যেহেতু বাইনারী গুন, তাই এখানে ডেসিমেল নাম্বার সিস্টেমের যোগ করলে হবে না । নিম্নে কিছু গুন দেখানো হলো-

   10X111X10100X1111111X 1111101X 101101011X1011
1000110100100010000111111110111100110100000110100101011101011000000000101011000
1101110011010011000001111011001
বাইনারী গুন

বাইনারী ভাগ-

বাইনারী গুনের মত এখানেও ডেসিমেল নাম্বার সিস্টেমের মত ভাগ হবে কিন্তু বিয়োগ করার সময় বিয়োগ করতে হবে বাইনারী বিয়োগের নিয়মে, যেহেতু বাইনারী ভাগ, তাই এখানে ডেসিমেল নাম্বার সিস্টেমের বিয়োগ করলে হবে না । নিম্নে কিছু ভাগ দেখানো হলো-

1)10(10111)11110(101011111)110110(111111
      0          1111         1101111
বাইনারী ভাগ

দশমিক থেকে বাইনারিতে রূপান্তর

  • পূর্ণ দশমিক সংখ্যাকে বাইনারি সংখ্যায় রূপান্তর করার জন্য দশমিক সংখ্যাকে ২ দিয়ে ভাগ করে ভাগশেষ নিতে হবে।
  • ভাগফলকে পুনরায় ২ দিয়ে ভাগ করে ভাগশেষকে নিতে হবে, ভাগফল শূন্য না হওয়া পর্যন্ত এই পদ্ধতির পুনরাবৃত্তি করতে হবে।
  • সর্বশেষ ভাগশেষ গুলোকে শেষ থেকে প্রথম দিকে ধারাবাহিক ভাবে সাজিয়ে লিখলে ১ ও ০ এর সমন্বয়ে যে সংখ্যাটি পাওয়া যাবে তাই দশমিক সংখ্যার সমান বাইনারি সংখ্যা।

দশমিক ও বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির পার্থক্য

দশমিকবাইনারি
যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যা গণনা করার জন্য 10 টি অঙ্ক বা প্রতীক ব্যবহৃত হয় তাকে ডেসিম্যাল বা দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি বলে।যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যা গণনা করার জন্য 2 টি অঙ্ক বা প্রতীক ব্যবহৃত হয় তাকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বলে।
যেহেতু এই পদ্ধতিতে মোট ১০টি মৌলিক অংক ব্যবহার করা হয়, তাই দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি বা বেজ হলো ১০।যেহেতু এই পদ্ধতিতে মোট ২টি মৌলিক অংক ব্যবহার করা হয়, তাই বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি বা বেজ হলো ২।
দশমিক ও বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির পার্থক্য
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | বাইনারি পদ্ধতি

Q1. বাইনারি কোড কি

উত্তর: বাইনারি কোডেড ডেসিমাল (বিসিডি) হল এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে বাইনারি কোডকে ৪ বিট করে 0-9 অক্ষরের দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এই কোডের মান দেখতে দশমিক সংখ্যার মতো তাই একে Binary Coded Decimal বলা হয়; যদিও ডেসিমাল কোড ও বাইনারি কোডেড ডেসিমাল দেখতে একই রকম হলেও প্রকৃত মান ভিন্ন।

Q2. বাইনারি ১+১ কত

উত্তর: ১+১=১০

Q3. বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে কতটি অঙ্ক ব্যবহৃত হয়

উত্তর: দুইটি।

Q4. কম্পিউটার ডেটা সংরক্ষণের জন্য কোন সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করে

উত্তর: বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।