- বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব কে ছিলেন, বাংলার প্রথম স্বাধীন রাজা কে ছিলেন
- বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব কে ছিলেন
- বাংলার শেষ নবাব কে
- বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান কে ছিলেন
- সুলতানি আমলে বাংলার রাজধানী, সুলতানি আমলে বাংলার রাজধানী কোথায় ছিল
- বাংলার আকবর কাকে বলা হয়
- বাংলার প্রথম নির্বাচিত রাজা কে ছিলেন
- বাংলার বাঘ কাকে বলা হয়
- বাংলার প্রথম গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন, বাংলার প্রথম গভর্নর কে ছিলেন
- বাংলার শেষ গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন
- বাংলার নানা সাহেব নামে কে পরিচিত
- বাংলার দুঃখ কোন নদীকে বলা হয়
- বাংলা রেনেসাঁর জনক কে
- FAQ | বাংলার নবাব
বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব কে ছিলেন, বাংলার প্রথম স্বাধীন রাজা কে ছিলেন
বাংলার প্রথম স্বাধীন রাজা ছিলেন শশাঙ্ক । যিনি ৬০৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন । বাংলার প্রথম স্বাধীন রাজা ছিলেন শশাঙ্ক যিনি ৬০৬ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ৬৩৭ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন। বাংলার প্রথম নবাব ছিলেন মুর্শিদ কুলি খান। এছাড়াও বিভিন্ন নথি-পত্র নির্দেশ করে তিনিই মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুপরবর্তী প্রথম স্বাধীন নবাব। তার উপর মুঘল সাম্রাজ্যের নামমাত্র আধিপত্য ছিল, সকল ব্যবহারিক উদ্দেশ্যেই তিনি বাংলার নবাব ছিলেন।
প্রাচীন বাংলার প্রথম গুরুত্বপূর্ণ নরপতি। নরপতি হিসেবে শশাঙ্ক অত্র অঞ্চলের ইতিহাসে বিশিষ্ট স্থান দখল করে আছেন। শশাঙ্ক ৬০০ থেকে ৬২৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রাজত্ব করেন বলে ধারণা করা হয়। মেদিনীপুর থেকে তাঁর ৮ম ও ১০ম রাজ্যাংকে উৎকীর্ণ দুটি লিপি এবং তারিখবিহীন অপর একটি লিপি খড়গপুরের নিকট এগ্রা হতে আবিষ্কৃত হয়েছে। এছাড়া শশাঙ্কের অধীনস্থ গঞ্জামের (উড়িষ্যা) রাজা মাধববর্মার তাম্রশাসন (৬১৯ খ্রিস্টাব্দের), হর্ষবর্ধনের বাঁশখেরা ও মধুবন তাম্রশাসন এবং কামরূপের রাজা ভাস্কর বর্মনের নিধানপুর তাম্রশাসন থেকে তাঁর সম্পর্কে জানা যায়। শশাঙ্কের উৎকীর্ণ স্বর্ণ ও রৌপ্যমুদ্রাও পাওয়া গেছে। গুপ্তদের পতন ও শশাঙ্কের উত্থানের মধ্যবর্তী সময়ে বাংলায় বেশ কিছু স্বাধীন শাসকের উদ্ভব ঘটে। এঁদের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা যায় অল্প কিছু লিপি এবং স্বর্ণ মুদ্রার ভিত্তিতে।
বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব কে ছিলেন
বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন মুর্শিদকুলী খান।
১৭০০ সালে শায়েস্তা খানের দক্ষ সুবাদার হিসেবে বাংলার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন মুর্শিদকুলী খান। তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও বিচক্ষণতার সাথে বাংলার ভঙ্গুর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থার উন্নতি করতে সক্ষম হন। সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর দুর্বল মুঘল সম্রাটগণ দূরবর্তী রজ্যগুলোর দিকে দৃষ্টি দিতে পারেননি। ফলে এসব অঞ্চলের সুবাদারগণ অনেকটা স্বাধীনভাবে নিজেদের অঞ্চল শাসন করতে থাকেন। মুর্শিদকুলী খান ও অনেকটা স্বাধীন হয়ে পড়েন। নবাব মুর্শিদ কুলী খানের সময় থেকেই বাংলা সুবা প্রায় স্বাধীন হয়ে পড়ে। ১৩৩৮ সালে ফখরুদ্দীন মোবারক শাহ বাংলার স্বাধীনতার সূচনা করলে ও প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করে শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ।
বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা। সুলতান আলাউদ্দীন হোসেন শাহ ছিলেন হুসেন শাহী যুগের শ্রেষ্ঠ সুলতান।
বাংলার শেষ নবাব কে
নওয়াব সায়িদ মনসুর আলী খান। ১৮৩৮ থেকে ১৮৮০ সাল পর্যন্ত বাংলার শেষ ক্ষমতাহীন পাপেট নবাব ছিলেন। তিনি মীর জাফরের বংশধর। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের সময়ে ইংরেজদের সহায়তা করেছিলেন। বেশ কিছু অভিযোগ নিয়ে তিনি ১৮৬৯ সালে লন্ডন যান। তার অনুপস্থিতিতে অব্যবস্থাপনার কারণে নওয়াব স্টেট ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়লে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয় আর বাংলার নবাব পদ বিলুপ্ত করা হয়। তার বংশধরেরা পরবর্তীতে শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদের নবাব উপাধি পান। বাংলার নয়।
বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান কে ছিলেন
শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ (১৩৪২-১৩৫৮) ছিলেন অবিভক্ত বাংলার প্রথম স্বাধীন মুসলিম শাসনকর্তা। তিনি ১৩৪২ সালে সোনারগাঁও বিজয়ের পর লখনৌতির সুলতান হন। শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলিম স্বাধীন সুলতান ছিলেন এবং ইলিয়াস শাহী বংশের সূচনা করেন,যা ১৫২ বছর ক্ষমতায় ছিলো। ইলিয়াস শাহী বংশ ১৩৪২ সাল থেকে ১৪১৫ সাল পর্যন্ত একটানা ৭৩ বছর ধরে অবিভক্ত বাংলা শাসন করে এবং এরপর মাঝখানে প্রায় ২০ বছর বাদ দিয়ে আরো ৫২ বছর তাদের শাসন কায়েম থাকে। ইলিয়াস শাহের মৃত্যুর পর তার পূত্র সিকান্দার শাহ ক্ষমতায় আসেন।
শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ প্রথম জীবনে দিল্লির সালতানাতের অধীনে চাকরি করতেন। কিন্তু কিছু সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার কারণে তিনি বাংলা পালিয়ে আসেন এবং তৎকালীন বাংলায় দিল্লির প্রাদেশিক গভর্নর ইজাজউদ্দীন ইয়াহিয়ার অধীনে কাজ করা শুরু করেন। ১৩৩৮ সালে ইজাজউদ্দীন ইয়াহিয়ার মৃত্যু হলে শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ সাতগাঁওয়ের ক্ষমতা দখল করেন এবং একে দিল্লির অধীন থেকে মুক্ত ঘোষণা করেন। ১৩৪২ সালে প্রায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধে লখনৈতির সুলতান আলাউদ্দীন আলী শাহকে পরাজিত করে তিনি লখনৌতির সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং ইলিয়াস শাহী বংশের সূচনা করেন।
সুলতানি আমলে বাংলার রাজধানী, সুলতানি আমলে বাংলার রাজধানী কোথায় ছিল
সুলতানী আমলে বাংলার রাজধানীর নাম ছিল সোনারগাঁও এবং গৌড়।
সুলতানি আমলে বাংলার রাজধানী ছিল প্রথমে সোনারগাঁও (১৩৩৮ – ১৩৫২)। তারপর রাজধানী স্থানান্তর হয় গৌড়ে (১৪৫০ – ১৫৬৫)।
বাংলার আকবর কাকে বলা হয়
বাংলার আকবর বলা হয় আলাউদ্দিন হোসেন শাহকে।
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ (শাসনকাল ১৪৯৩-১৫১৯) ছিলেন মধ্যযুগে বাংলার স্বাধীন সুলতান। তিনি হোসেন শাহি রাজবংশের পত্তন করেন। হাবশি সুলতান শামসউদ্দিন মোজাফফর শাহ নিহত হওয়ার পর তিনি বাংলার সুলতান হন। ইতঃপূর্বে তিনি মোজাফফর শাহের উজির ছিলেন। তার শাসনামল কে বাংলার স্বর্ণযুগ বলে অভিহিত করা হয়। ১৫১৯ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর তার পুত্র নাসিরউদ্দিন নুসরাত শাহ ক্ষমতালাভ করেন।
বাংলার প্রথম নির্বাচিত রাজা কে ছিলেন
বাংলার প্রথম নির্বাচিত রাজা গােপাল কে বলা হয় ।
অষ্টম শতকে পাল রাজবংশের শাসন শুরু হয়। প্রবল সামাজিক-রাজনৈতিক অরাজকতা ও অস্থিরতার সময়ে সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে জনগণ গােপাল নামে এক সামন্তকে নেতা নির্বাচিত করে। গােপাল-ই পালবংশের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ৭৫০-৭৭০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। ক্ষত্রিয়বংশে জন্মগ্রহণ করলেও গােপাল পরবর্তীকালে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন। সমাজের বিশৃঙ্খলা ঘুচিয়ে শান্তি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। গােপালের পুত্র ধর্মপালের রাজত্বকালে (৭৭০-৮১০ খ্রিস্টাব্দ) পাল রাজবংশের গৌরবময় যুগের সূচনা হয়। তার চল্লিশ বছর রাজত্বের সময়ে তিনি এক ক্ষুদ্র আঞ্চলিক রাজ্যকে বৃহৎ সাম্রাজ্যে পরিণত করেন।
বাংলার ইতিহাসে ধর্মপাল ও দেবপালের রাজত্বের সময় এক গৌরবােজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত। দেবপালের পর প্রথম মহিপাল, জয়পাল, বিগ্রহপাল, দ্বিতীয় মহিপাল, রামপাল, কুমারপাল, গােবিন্দপাল প্রমুখ রাজত্ব করলেও বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেননি। দ্বাদশ শতকের শেষে পালবংশের অবসান ঘটে।
বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপােষক হিসেবে পালবংশের রাজাদের যথেষ্ট খ্যাতি ছিল। নালন্দা ও বিক্রমশীলার মতাে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শিল্পের ক্ষেত্রেও তারা যথেষ্ট পৃষ্ঠপােষকতা করেন। বিখ্যাত শিল্পী ধীমান ও বিটপাল, পাল রাজাদের পৃষ্ঠপােষকতা লাভ করেন।
বাংলার বাঘ কাকে বলা হয়
বাংলাদেশে শেরে বাংলা অর্থাৎ (বাংলার বাঘ) আবুল কাশেম ফজলুল হক। আর ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মাননীয় আশুতোষ মুখোপাধ্যয়কে বাংলার বাঘ বলে পরিচয় দেয়া হয়।
আবুল কাশেম ফজলুল হক কে বাংলার বাঘ বা শের এ বাংলা উপাধি দেয়া হয় ।
১৯৩৭ সনে ১৫ অক্টোবর লখনৌ শহরে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মহাকালের এই মহান নেতা এ অনুষ্ঠানে বাংলার প্রধানমন্ত্রী এ.কে ফজলুল হক উর্দু ভাষায় জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়ে লখনৌবাসীর হৃদয় জয় করেন। তারা ফজলুল হকের অনলবর্ষী ও বীরত্বব্যঞ্জক বক্তৃতায় আকৃষ্ট হয়ে স্বত:স্ফূর্তভাবে তাকে শেরে-এ-বাংলা বা বাংলার বাঘ উপাধি দেন। সেদিন থেকেই তিনি শেরে বাংলা নামে অভিহিত হন ।
স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় -কে বাংলার বাঘ (Tiger of Bengal) কাকে বলা হয়।
বাংলার প্রথম গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন, বাংলার প্রথম গভর্নর কে ছিলেন
বাংলার প্রথম গভর্নর জেনারেল ছিলেন ওয়ারেন হেস্টিংস।
ওয়ারেন হেস্টিংস 1773 সাল থেকে 1785 সাল পর্যন্ত বাংলার প্রথম গভর্নর জেনারেল ছিলেন। ওয়ারেন হেস্টিংসের শাসনামলে, 1773 সালের রেগুলেটিং আইন এবং 1784 সালের পিটসের ভারত আইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ আইন পাস করা হয়েছিল।
১৭৫০ সালে তিনি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীতে যোগ দেন, এবং ভারতের দিকে রওনা দেন। আগস্ট মাসে তিনি কলকাতা আসেন। গভীর অধ্যবসায় ও কর্মের মাধ্যমে সুনাম অর্জন করে ফেলেন। এমনকি ফাকা সময় তিনি ভারত সম্পর্কে জানা, উর্দু, ফার্সি শেখায় অর্থব্যয় করতেন। ১৭৫২ সালে তাকে উইলিয়াম ওয়াটস-এর অধীনে বাংলার কাসিমবাজার নামক এক ব্যস্ত বাণিজ্যস্থলে পাঠানো হয়, যেখানে ভালো কাজের জন্য তিনি পুরস্কৃত হন। কাসিমবাজারে তিনি পূর্ব ভারতের রাজনীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহল হন।
বাংলার শেষ গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন
বাংলার শেষ গভর্নর জেনারেল ছিলেন লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক।
লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ছিলেন বাংলার শেষ গভর্নর জেনারেল। 1833 সালের চার্টার অ্যাক্টের পর তিনি ভারতের প্রথম গভর্নর-জেনারেল হন। তিনি 1828 থেকে 1833 সাল পর্যন্ত বাংলার গভর্নর-জেনারেল এবং 1833 থেকে 1835 সাল পর্যন্ত ভারতের গভর্নর-জেনারেল ছিলেন।
বাংলার নানা সাহেব নামে কে পরিচিত
রাম রতন মল্লিক বাংলার নানা সাহেব নামে পরিচিত।
- তিনি বাংলায় নীল বিদ্রোহের সাথে যুক্ত একজন জমিদার ছিলেন।
- নীল বিদ্রোহে (1859-60) সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য রামরতন মল্লিক বাংলার নানা সাহেব নামে পরিচিত।
- নানা 1824 সালের 19 মে নানা গোবিন্দ ধোন্ডু পন্ত হিসাবে নারায়ণ ভাট এবং গঙ্গা বাইয়ের কাছে জন্মগ্রহণ করেন।
বাংলার দুঃখ কোন নদীকে বলা হয়
দামোদর নদকে বাংলার দুঃখের নদী বলা হয়। এই নদী ছোটনাাগপুর মালভুমির খামারপাত উচ্চভুমি থেকে উৎপন্ন হয়ে উলুবেডিয়ার কাছে হুগলি নদীতে মিশেছে। এই নদী মালভূমির মধ্যদিয়ে প্রবাহিিত হতে হতে হঠাৎ সমভুমিতে পরেছে। এই নদীর উৎপত্তি স্থল সমুদ্র সমতল থেকে ৫১০ মিটার উচুতে অবস্থিত এবং মিলনস্থল মাত্র ৩০ মিটার অবস্থিত। প্রবাাহপথে ঢালের পার্থক্য নদীটিকে অধীক বন্যাপ্রবন করে তুলেছে। ঘন ঘন বন্যার জন্য় এই নদীকে sorrow of bengal বলা হয়। নদীটি যেখানে মালভুমি ছেরে সমভুমিতে প্রবেশ করেছে বর্ধমান জেলার কাছে এর উচ্চতা ১৫০ মিটার।
এই নদীর প্রবাহ অঞ্চলের জলবায়ুগত বৈশিষ্ট বন্য়ার জন্য় অনেকাংশে দায়ি ।এই অঞ্চলের বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমান ১২৫ সেমি । মুলত জুন থেকে সেপ্টম্বর মাসের মধ্য়ে বেশির ভাগ বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। নিম্নগতির তুলনায় উচ্চগতিতে বৃষ্টিপাত বেশী হয়। বৃষ্টিপাতের পরিমান বারলে চ্য়ানেল গুলি জল ধরে রাখতে পারে না ফলে বন্য়া দেখা যায়। এছারা নদীর সাথে বিভিন্ন ভগ্নাবশেষ নদীখাতে জমতে জমতে বন্য়ার সম্ভাবনা আরও বারিয়ে তোলে। মালভুমির উচ্চভাগে বৃক্ষচ্ছেদনের ফলে ভুমিক্ষয় হয় ও নদীগর্ভ ভরাট হয়ে বন্য়া কয়েকগুন বারিয়ে তোলে। এবং আসানসোলের কাছে সংকির্ন পথের মধ্য় দিয়ে বয়ে যাবার সময় ব্রধমান সমভুমির একটা বিশাল অংশ প্লাবিত করে।
বাংলা রেনেসাঁর জনক কে
রাজা রামমোহন রায়, যিনি প্রায়শই বাংলার রেনেসাঁর জনক হিসাবে পরিচিত ছিলেন, তিনি ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাধানগরে 22শে মে, 1772 সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং সতীদাহ প্রথা দূর করার জন্য তার প্রচেষ্টার জন্য সর্বাধিক পরিচিত।
মূলত রাজা রামমোহন রায়ের (১৭৭৫-১৮৩৩) সময় এই নবজাগরণের শুরু এবং এর শেষ ধরা হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৯৪১) সময়ে, যদিও এর পরেও বহু জ্ঞানীগুণী মানুষ এই সৃজনশীলতা ও শিক্ষাদীক্ষার জোয়ারের বিভিন্ন ধারার ধারক ও বাহক হিসাবে পরিচিত হয়েছেন।
আরো অন্যান্য প্রশ্নোত্তরের সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
FAQ | বাংলার নবাব
Q1. বাংলার সৈয়দ আহমদ বলা হয় কাকে
Ans – নওয়াব আবদুল লতিফ ২৮ মার্চ, ১৮২৮ সালে ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। … আধুনিক শিক্ষায় বাংলার মুসলমানদের উদ্বদ্ধ করার জন্য নওয়াব আব্দুল লতিফকে বাংলার সৈয়দ আহমদ বলা হয়।
Q2. বাংলার সর্বপ্রাচীন জনপদের নাম কি
Ans – বাংলার সর্বপ্রাচীন জনপদ হলাে পুণ্ড্র। বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অবস্থানভূমিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে পুণ্ড্র জনপদ। প্রাচীন পুণ্ড্র রাজ্যের রাজধানী ছিল পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর।
Q3. বাংলার প্রথম মুসলিম শাসক কে ছিলেন
Ans – ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি বাংলার প্রথম মুসলিম শাসক ছিলেন।
Q4. পূর্ব বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন
Ans – শেরে বাংলা এক ফজলুল হক অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
Q5. পূর্ব বাংলার গভর্নর কে ছিলেন
Ans – পূর্ব বাংলার প্রথম গভর্নর ছিলেন চৌধুরী খালেকুজ্জামান। খালিকুজ্জামান পাকিস্তান মুসলিম লীগের প্রথম প্রেসিডেন্ট। ১৯৫৩ সালের ৩১ মার্চ থেকে ১৯৫৪ সালের ২৯ মে পর্যন্ত তিনি পূর্ব বাংলার গভর্নর হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন।