- যোজনী কাকে বলে, যোজ্যতা কাকে বলে
- যোজ্যতা ইলেকট্রন কাকে বলে
- যোজনী প্রকারভেদ
- যোজনী বের করার সূত্র, যোজ্যতা বের করার সূত্র
- যোজনী বের করার সহজ নিয়ম
- যোজনী চার্ট, ১১৮ টি মৌলের যোজনী তালিকা pdf, ১১৮ টি মৌলের যোজনী তালিকা, মৌলের যোজনী তালিকা, সকল মৌলের যোজনী তালিকা, ১১৮ টি মৌলের যোজ্যতা তালিকা pdf, মৌলের নাম ও সংকেত ও যোজ্যতা
- জারণ সংখ্যা কাকে বলে, জারণ সংখ্যা কি
- জারণ সংখ্যা ও যোজনীর মধ্যে পার্থক্য, যোজনী ও জারণ সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য
- FAQ | যোজনী, যোজ্যতা
যোজনী কাকে বলে, যোজ্যতা কাকে বলে
অনু গঠনকালে ইলেকট্রন গ্রহণ, বর্জন এবং ভাগাভাগি করার মাধ্যমে কোন মৌলের একটি পরমাণুর সাথে অপর একটি মৌলের পরমাণুর সাথে যুক্ত হওয়ার ক্ষমতাকে যোজনী বা যোজ্যতা বলা হয়।
সংজ্ঞা ২:
যোজনী: কোন মৌলের একটি পরমাণুর সাথে যতগুলো হাইড্রোজেন পরমাণু বা ক্লোরিন পরমাণু যুক্ত হতে পারে তার সংখ্যাকে ওই মৌলের যোজনী বা যোজ্যতা সংখ্যা বলা হয়।
সংজ্ঞা ৩:
যোজনী: যেকোনো একটি পরমাণুর সাথে অক্সিজেন পরমাণু যতগুলো যুক্ত হয় তার দ্বিগুণ করা হলে তাকে পরমাণুর যোজনী বা যোজ্যতা সংখ্যা বলা হয়।
আবার অন্যভাবে বলা যায়, কোন মৌলের একটি পরমাণু যতগুলো হাইড্রোজেন(H) অথবা তার সমান (যেমন:- ক্লোরিন(Cl), সোডিয়াম(Na) ইত্যাদি) অন্য মৌলের যত সংখ্যক পরমাণুর সাথে যুক্ত হতে পারে তাকে যোজনী বা যোজ্যতা বলে।
উদাহরণ: একটি সোডিয়াম (Na) পরমাণু এবং একটি ক্লোরিন (Cl) পরমাণুর সাথে মিলে NaCl
(সোডিয়াম ক্লোরাইড বা খাদ্য লবণ) গঠন করে বলে সোডিয়ামের যোজনীও ১।
ইলেকট্রনীয় ধারনায় যোজনী
কোন যৌগ গঠনের সময় একটি পরমাণু বা মূলক অপর একটি পরমাণু বা মূলক থেকে যে কয়টি ইলেকট্রন গ্রহণ করে বা প্রদান অথবা শেয়ার করে (সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ যৌগের ক্ষেত্রে) সেটাই তার যোজ্যতা বা যোজনী।
যেমন, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড (CaCl2) লবণ গঠনের সময় ক্যালসিয়াম (Ca) তার শেষের ২ টি ইলেকট্রন দান করে তাই ক্যালসিয়ামের যোজনী ২ অন্যদিকে এই দানকৃত ২ টি ইলেকট্রন ২ টি ক্লোরিন গ্রহণ করে তাই ক্লোরিন এর যোজনী এক।
যোজ্যতা সবসময় পূর্ণসংখ্যার হয়, যোজ্যতা কখনো ভগ্নাংশ হয়না। নিষ্ক্রিয় গ্যাস গুলির অন্য মৌলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ক্ষমতা নেই তাই এরা শূন্যযোজী। কয়েকটি মৌলের যোজ্যতা হল:
যৌগ | যুক্ত H পরমাণুর সংখ্যা | যোজ্যতা |
HCl | 1 | 1 |
H2O | 2 | 2 |
NH3 | 3 | 3 |
CH4 | 4 | 4 |
যোজনী বা যোজ্যতা ইলেকট্রনের উদাহরণ
একই সময় কোন একটি পরমাণু যদি একটি হাইড্রোজেন পরমাণুর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে, তাহলে তাকে যোজনী বা যোজ্যতা বলে।
উদাহরণ: HCl (হাইড্রোক্লোরিক এসিড)
একই সময় কোন একটি পরমাণু যদি Hydrogen দুইটি পরমাণুর সাথে যুক্ত হতে পারে তাহলে তার যোজনী বা যোজ্যতা হয় দুই।
উদাহরণ: H2O (পানি বা বরফ বা জলীয় বাষ্প)
যোজ্যতা ইলেকট্রন কাকে বলে
কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ কক্ষপথে যে ইলেকট্রন বা ইলেকট্রন সমূহ থাকে তার সংখ্যাকে যোজ্যতা ইলেকট্রন বলা হয়। যোজ্যতা ইলেকট্রন বলতে শুধুমাত্র সর্বশেষ কক্ষপথে অবস্থিত ইলেকট্রনের সংখ্যাকে বোঝানো হয়।
অর্থাৎ পূর্বের অরবিটাল পূর্ণ করার পর পরবর্তী অরবিটালে যে কয়েকটি ইলেকট্রন থাকে তার সংখ্যাই হচ্ছে যোজ্যতা ইলেকট্রন।
যোজ্যতা ইলেকট্রনের উদাহরণ
(K)পটাশিয়াম ও Oxyzen এর ইলেকট্রন বিন্যাসের সর্বশেষ কক্ষপথে আমরা যথাক্রমে একটি ও ছয়টি করে ইলেকট্রন দেখতে পাই।
যেহেতু (K) পটাশিয়ামের সর্বশেষ কক্ষপথে একটি ইলেকট্রন উপস্থিত আছে, সুতরাং বলা যায় পটাশিয়ামের যোজ্যতা ইলেকট্রন সংখ্যা একটি।
অপরদিকে অক্সিজেনের সর্বশেষ কক্ষপথে মোট ছয়টি ইলেকট্রন বিদ্যমান দেখা যায়, যার ফলে বলা যায় অক্সিজেনের যোজ্যতা ইলেকট্রন সংখ্যা মোট ছয়টি।
জটিল উদাহরণ হিসেবে বলতে গেলে, নাইট্রোজেন এর K কক্ষপথে দুইটি এবং L কক্ষপথে পাঁচটি ইলেকট্রন রয়েছে। আর এক্ষেত্রে নাইট্রোজেনের সর্বশেষ কক্ষপথটি হলো L.
সুতরাং বলা যায় নাইট্রোজেন এর যোজ্যতা ইলেকট্রন হচ্ছে মোট পাঁচটি, যা L কক্ষপথে অবস্থিত।
তড়িৎ যোজ্যতা কাকে বলে
নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাসের পরমাণুর মতো স্থায়ী ইলেকট্রন-বিন্যাস লাভের চেষ্টায় কোনো তড়িৎ ধনাত্মক বা ধাতব পরমাণুর সবচেয়ে বাইরের কক্ষের এক বা একাধিক ইলেকট্রন, অন্য তড়িৎ ঋণাত্মক বা অধাতব পরমাণুর সবচেয়ে বাইরের কক্ষে স্থানান্তরিত হয়ে তড়িৎ আকর্ষণের সাহায্যে পরস্পর যুক্ত হয়ে যৌগ গঠনের ক্ষমতাকে ইলেকট্রনীয় যোজ্যতা বা তড়িৎ-যোজ্যতা বলে ।
তড়িৎ-যোজী যৌগগুলির বৈশিষ্ট্য
[i] ভৌত অবস্থা :- তড়িৎযোজী যৌগে অংশগ্রহণকারী উপাদান মৌলগুলির বিপরীত চার্জযুক্ত আয়নগুলি কুলম্বীয় তড়িৎ আকর্ষণ দ্বারা পরস্পরের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ থাকে বলে নির্দিষ্ট জ্যামিতিক গঠন পায় । এর ফলে বেশির ভাগ যৌগগুলি কেলাসাকার হয় ।
[ii] তড়িৎ পরিবাহিতা :- জলে দ্রবীভূত অবস্থায় বা গলিত অবস্থায় আয়নে বিয়োজিত হয়, তাই এই অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করে । এই জাতীয় যৌগ হল তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থ ।
[iii] গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক বেশি :- অণুগুলির পরস্পরের মধ্যে আকর্ষণ বেশি হওয়ায় এই যৌগগুলির গলনাঙ্ক এবং স্ফুটনাঙ্ক সাধারণত বেশি হয়, এই জন্য এরা অনুদ্বায়ী ।
[iv] দ্রাব্যতা :- তড়িৎযোজী যৌগগুলি সাধারণত জৈব দ্রাবক, যেমন— অ্যালকোহল, বেঞ্জিন, ক্লোরোফর্ম ইত্যাদিতে দ্রবীভূত হয় না । এরা সাধারণত ধ্রুবীয় দ্রাবক জলে দ্রবীভূত হয় ।
[v] বন্ধনের অভিমুখ :- তড়িৎযোজী যৌগের একটি আয়ন তার বিপরীত তড়িৎগ্রস্থ আয়নগুলির দ্বারা চতুর্দিকে সুষমভাবে কুলম্বীয় বলের প্রভাবে আকর্ষিত হয়ে থাকে, তাই তড়িৎযোজী বন্ধনের কোনো নির্দিষ্ট অভিমুখ নেই । তড়িৎযোজী যৌগের কোনো সমাবয়বতা (isomerism) দেখা যায় না ।
[vi] রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রকৃতি :- তড়িৎ-যোজী যৌগগুলির বিক্রিয়া আয়নের মাধ্যমে ঘটে, তাই তড়িৎ-যোজী যৌগগুলির মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া দ্রুত গতিতে ঘটে ।
যোজনী প্রকারভেদ
একটি পরমাণুর শেষ কক্ষপথে যতগুলো পরমাণু অপর পরমাণুর শেষ থের পরমাণুর সাথে যুক্ত হতে পারে তাকে ঐ মৌলের যোজনা বলে।
যোজনী সাধারণত চার প্রকার:
পরিবর্তনশীল যোজনী, পরিবর্তনশীল যোজনী কাকে বলে, পরিবর্তনশীল যোজ্যতা কাকে বলে
কিছু মৌল এমন আছে যাদের যৌগ গঠণের সময় তাদের যোজনী পরিবর্তন হয় তা স্থির থাকে না। যখন একটি মৌলের পরমাণুতে ভিন্ন ভিন্ন যোজনী দেখা যায় তাকে পরিবর্তনশীল যোজনী বলে।
যেমন : আয়রনের দুটি যৌগ রয়েছে একটিতে এর যোজনী যথাক্রমে 2 (FeCl,) ও আর একটিতে এর যোজনী 3 (FeCl3)।
ফেরাস সালফেট (FeSO4) ও ফেরিক সালফেটে {Fe2(SO4)3} আয়রনের যোজনী যথাক্রমে ২ ও ৩
সক্রিয় যোজনী, সক্রিয় যোজনী কাকে বলে
একটি মৌলের শেষ কক্ষপথে যে কয়টি পরমাণু যৌগ গঠণে অংশ নেয় তার তাদেরকে সক্রিয় যোজনী বলা হয়।
কোন যৌগে মৌলের যে যোজনী ব্যবহৃত হয় তাকে ঐ মৌলের সক্রিয় যোজনী বলে। অথবা, কোন যৌগে সংশ্লিষ্ট কোন মৌলের যোজনী ব্যবহৃত হয়, সে যোজনীকে সক্রিয় যোজনী বলে। যেমন- PCl5 ফসফরাস পেন্টা ক্লোরাইডে ফসফরাসের সক্রিয় যোজনী ৫।
অনেক মৌল আছে যাদের একধিক যোজনী থাকে যেমন আইরন। আইরন এর সর্বোচ যোজনী আছে ৩। কিন্তু Fe(Cl)2 যৌগে আইরন এর যোজনী ২, সুতরাং এখানে আইরন ওই সক্রিয় যোজনী ২।
সর্বোচ্চ যোজনী, সর্বোচ্চ যোজনী কাকে বলে
একটি মোলের শেষ কক্ষপথে অনেকগুলো পরমাণু থাকতে পারে কিন্তু সবাহ যোগ গঠণে অংশ নেয় না কিন্তু শেষ কক্ষপথের সবগুলো পরমাণুকেই ঐ মোলের সর্বোচ্চ যোজনী বলে।
যেমন : H_SO, এ S এর ৪ টি পরমাণুই যৌগ গঠণে অংশ নেয় তাই এর যোজনী ৬ আবার, H.S এS এর যোজনী ২।
তাই বলা যায়, S এর সর্ব্বোচ্চ যোজনী ৬ কিন্তু একেকবার একেক রকম যোজনী ব্যবহৃত হচ্ছে।
সুপ্ত যোজনী, সুপ্ত যোজনী কাকে বলে
একটি মৌলের শেষকক্ষপথে যে কয়টি পরমাণু থাকে তাকে মৌলের সর্ব্বোচ্চ যোজনী বলে। কিন্তু এর ভিতর কিছু যোজনী ব্যবহৃত হয় আর কিন্তু হয় না। ব্যবহৃত যোজনীকে সক্রিয় যোজনী আর অব্যবহৃত যোজনাকে মুপ্ত যোজনী বলা হয় এক কথায় বললে, সর্ব্বোচ্চ আর সক্রিয় যোজনীর মাঝের পার্থক্যকে সুপ্ত যোজনী বলা হয়।
যেমন: H, SO; এই যৌগে সালফারের সক্রিয় যোজনী হলো ৪ আর আমরা জানি, সালফারের সর্ব্বোচ্চ যোজনী হলো ৬।
তাহলে এই যৌগে সালফারের সপ্ত যোজনী হলো- ৬-৪ = ২।
যোজনী বের করার সূত্র, যোজ্যতা বের করার সূত্র
মৌলের সর্বশেষ কক্ষপথের বিজোড় ইলেকট্রনকে তার যোজনী বলে। যোজনী বের করার জন্য আমাদের প্রথমে যেই জিনিসটি জানতে হবে তা হচ্ছে একটি মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস। প্রত্যেকটি মৌলের শেষ জোড়, বিজোড় ইলেকট্রনই তার যোজনী বা যোজ্যতা।
যোজনী বের করার ক্ষেত্রে আমাদের জানতে হবে ধাতু, অধাতু ও উপধাতু সম্পর্কে তাহলে আমরা সহজেই তার যোজনী বের করতে পারবো।
ধাতুর যোজনী বের করার নিয়ম
একটি মৌলের শেষ কক্ষপথে যেই কয়টি হলেকট্রন থাকে তাদেরকেই ধাতুর যোজনী বলে ধাতুর শেষ কক্ষপথের সবগুলো হলেকট্রনহ যৌগ গঠণে অংশ নেয়।
অধাতুর যোজনী বের করার নিয়ম
অধাতুর ক্ষেত্রে তার কক্ষপথের বিজোড় ইলেকট্রনই হচ্ছে তার যোজনী।
উপধাতুর যোজনী বের করার নিয়ম
উপধাতুর ক্ষেত্রে এর শেষ কক্ষপথের যে কয়টি ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে যোগ গঠণ করে সেই হলেকট্রনের সংখ্যাই হচ্ছে তার যোজনী।
যোজনী বের করার সহজ নিয়ম
যোজনী বের করার সবচেয়ে সহজ নিয়ম হচ্ছে তার শ্রেণী মনে রাখা। সাধারণত প্রতিটি শ্রেণী বা গ্রুপের মোলের যোজনী একই হয়ে থাকে। তবে কিছু পরিবর্তনশীল যোজনীও আছে।
যোজনী চার্ট, ১১৮ টি মৌলের যোজনী তালিকা pdf, ১১৮ টি মৌলের যোজনী তালিকা, মৌলের যোজনী তালিকা, সকল মৌলের যোজনী তালিকা, ১১৮ টি মৌলের যোজ্যতা তালিকা pdf, মৌলের নাম ও সংকেত ও যোজ্যতা
নিম্নোক্ত তালিকা থেকে শিক্ষার্থীরা সহজেই যোজনী জানতে পারবে ইলেকট্রন বিন্যাসসহ।
মৌলের নাম | প্রতীক | পর্যায় | শ্রেণী | যোজনী |
হাইড্রোজেন | H | 1 | 1 | 1 |
হিলিয়াম | He | 1 | 18 | 0 |
লিথিয়াম | Li | 2 | 1 | 1 |
বেরেলিয়াম | Be | 2 | 2 | 2 |
বোরন | B | 2 | 13 | 3 |
কার্বন | C | 2 | 14 | 2,4 |
নাইট্রোজেন | N | 2 | 15 | 3 |
অক্সিজেন | O | 2 | 16 | 2 |
ফ্লোরিন | F | 2 | 17 | 1 |
নিয়ন | Ne | 2 | 18 | 0 |
সোডিয়াম | Na | 3 | 1 | 1 |
ম্যাগনেসিয়াম | Mg | 3 | 2 | 2 |
অ্যালুমিনিয়াম | Al | 3 | 13 | 3 |
সিলিকন | Si | 3 | 14 | 4 |
ফসফরাস | P | 3 | 15 | 3 |
সালফার | S | 3 | 16 | 2,4,6 |
ক্লোরিন | Cl | 3 | 17 | 1 |
আর্গন | Ar | 3 | 18 | 0 |
পটাশিয়াম | K | 4 | 1 | 1 |
ক্যালসিয়াম | Ca | 4 | 2 | 2 |
স্ক্যান্ডিয়াম | Sc | 4 | 3 | 3 |
টাইটেনিয়াম | Ti | 4 | 4 | 0 |
ভানাডিয়াম | V | 4 | 5 | 4,5 |
ক্রোমিয়াম | Cr | 4 | 6 | 2 |
ম্যাঙ্গানিজ | Mn | 4 | 7 | 2,4,7 |
লোহা | Fe | 4 | 8 | 2,3 |
কোবাল্ট | Co | 4 | 9 | 2,3 |
নিকেল | Ni | 4 | 10 | 2,3 |
কপার | Cu | 4 | 11 | 1,2 |
জিংক | Zn | 4 | 12 | 2 |
গ্যালিয়াম | Ga | 4 | 13 | 3 |
জার্মেনিয়াম | Ge | 4 | 14 | 4 |
আর্সেনিক | As | 4 | 15 | 5 |
সেলেনিয়াম | Se | 4 | 16 | 6 |
ব্রোমিন | Br | 4 | 17 | 1 |
ক্রিপ্টন | Kr | 4 | 18 | 0 |
রুবিডিয়াম | Rb | 5 | 1 | 1 |
স্ট্রনশিয়াম | Sr | 5 | 2 | 2 |
ইট্রিয়াম | Y | 5 | 3 | 3 |
জিরকোনিয়াম | Zr | 5 | 4 | 4 |
নাইওবিয়াম | Nb | 5 | 5 | 2,3,5 |
মলিবডেনাম | Mo | 5 | 6 | 2,3,4,5,6 |
টেকনিশিয়াম | Tc | 5 | 7 | 2 |
রুথেনিয়াম | Ru | 5 | 8 | 1 |
রোডিয়াম | Rh | 5 | 9 | 1 |
প্যালাডিয়াম | Pd | 5 | 10 | 2 |
রূপা | Ag | 5 | 11 | 1 |
ক্যাডমিয়াম | Cd | 5 | 12 | 2 |
ইন্ডিয়াম | In | 5 | 13 | 3 |
টিন | Sn | 5 | 14 | 4 |
এন্টিমনি | Sb | 5 | 15 | 5 |
টেলুরিয়াম | Te | 5 | 16 | 6 |
আয়োডিন | I | 5 | 17 | 1 |
জেনন | Xe | 5 | 18 | 0 |
সিজিয়াম | Cs | 6 | 1 | 1 |
বেরিয়াম | Ba | 6 | 2 | 2 |
ল্যান্থানাম | La | 6 | 3 | 3 |
সিরিয়াম | Ce | 6 | 3 | 4 |
প্রাসিওডিমিয়াম | Pr | 6 | 3 | 4 |
নিওডিমিয়াম | Nd | 6 | 3 | 3 |
প্রমিথিয়াম | Pm | 6 | 3 | 3 |
স্যামরিয়াম | Sm | 6 | 3 | 3 |
ইউরোপিয়াম | Eu | 6 | 3 | 3 |
গ্যাডোলিনিয়াম | Gd | 6 | 3 | 3 |
টার্বিয়াম | Tb | 6 | 3 | 3 |
ডিপ্লোসিয়াম | Dy | 6 | 3 | 3 |
হলমিয়াম | Ho | 6 | 3 | 3 |
ইরবিয়াম | Er | 6 | 3 | 3 |
থুলিয়াম | Tm | 6 | 3 | 3 |
ইটারবিয়াম | Yb | 6 | 3 | 3 |
লুটেশিয়াম | Lu | 6 | 3 | 3 |
হাফনিয়াম | Hf | 6 | 4 | 4 |
ট্যানটালাম | Ta | 6 | 5 | 5 |
টাংস্টেন | W | 6 | 6 | 6 |
রেনিয়াম | Re | 6 | 7 | 2 |
অসমিয়াম | Os | 6 | 8 | 2 |
ইরিডিয়াম | Ir | 6 | 9 | 2 |
প্লাটিনাম | Pt | 6 | 10 | 2,4 |
সোনা | Au | 6 | 11 | 1,3 |
পারদ | Hg | 6 | 12 | 2 |
থ্যালিয়াম | Ti | 6 | 13 | 4 |
সীসা | Pb | 6 | 14 | 4 |
বিসমাথ | Bi | 6 | 15 | 5 |
পোলোনিয়াম | Po | 6 | 16 | 6 |
এস্টাটিন | At | 6 | 17 | 0 |
রেডন | Rn | 6 | 18 | 0 |
ফ্রান্সিয়াম | Fr | 7 | 1 | 1 |
রেডিয়াম | Ra | 7 | 2 | 2 |
এক্টিনিয়াম | Ac | 7 | 3 | 3 |
থোরিয়াম | Th | 7 | 3 | 4 |
প্রোটেক্টিনিয়াম | Pa | 7 | 3 | 5 |
ইউরেনিয়াম | U | 7 | 3 | 6 |
নেপচুনিয়াম | Np | 7 | 3 | 6 |
প্লুটোনিয়াম | Pu | 7 | 3 | 6 |
আমেরিসিয়াম | Am | 7 | 3 | 6 |
কুরিয়াম | Cm | 7 | 3 | 4 |
বার্কেলিয়াম | Bk | 7 | 3 | 4 |
ক্যালিফোর্নিয়াম | Cf | 7 | 3 | 4 |
আইনস্টাইনিয়াম | Es | 7 | 3 | 4 |
ফার্মিয়াম | Fm | 7 | 3 | 3 |
মেন্ডেলিভিয়াম | Md | 7 | 3 | 3 |
নোবেলিয়াম | No | 7 | 3 | 3 |
লরেন্সিয়াম | Lw | 7 | 3 | 3 |
রাদারফোর্ডিয়াম | Rf | 7 | 4 | 4 |
ডুবনিয়াম | Db | 7 | 5 | 2 |
সিবোর্গিয়াম | Sg | 7 | 6 | 2 |
Bh | 7 | 7 | 2 | |
হ্যাসিয়াম | Hs | 7 | 8 | 2 |
মাইটনেরিয়াম | Mt | 7 | 9 | 2 |
ডার্মস্টাটিয়াম | Ds | 7 | 10 | 2 |
রন্টজেনিয়াম | Rg | 7 | 11 | 1 |
পটাশিয়ামকোপার্নিসিয়াম | Cn | 7 | 12 | 2 |
নিহোনিয়াম | Nh | 7 | 13 | 3 |
ফ্লোরোভিয়াম | Fl | 7 | 14 | 2 |
মস্কোভিয়াম | Mc | 7 | 15 | 2 |
লিভারমোরিয়াম | Lv | 7 | 16 | 0 |
টেনেসিন | Ts | 7 | 17 | 0 |
অগানেসন | Og | 7 | 18 | 0 |
জারণ সংখ্যা কাকে বলে, জারণ সংখ্যা কি
যৌগ গঠনের সময় কোনো মৌল যত সংখ্যক ইলেকট্রন বর্জন করে ধনাত্বক আয়ন উৎপন্ন করে বা যত সংখ্যক ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্বক আয়ন উৎপন্ন করে তাকে মৌলের জারণ সংখ্যা বলে। অর্থাৎ যৌগ গঠনের সময় কোনো মৌল যত সংখ্যক ইলেকট্রন বর্জন করে ধনাত্মক আয়ন উৎপন্ন করে বা যত সংখ্যক ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্বক আয়ন উৎপন্ন করে তাকে মৌলের জারণ সংখ্যা বলে। নিরপেক্ষ বা মুক্ত বা পরমাণু অবস্থায় মৌলের জারণ সংখ্যা শূন্য(০) ধরা হয়। ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক আয়নে মৌলের জারণ সংখ্যাকে ঋণাত্মক জারণ সংখ্যা এবং ইলেকট্রন বর্জন করেধনাত্মক আয়নে পরিণত হলে একে ধনাত্মক জারণ সংখ্যা বলে।
ধাতু সমুহের জারণ সংখা ধনাত্বক এবং অধাতু সমু্হের জারণ সংখা ঋণাত্বক এবং যৌগ মূলক সমুহের জারণ সংখ্যা তাদের আধান অনুসারে হয়। যৌগ ভেদে অর্থাৎ বিভিন্ন যৌগে একই মৌলের জারণ সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। যেমন: HCl অণুতে H-এর জারণ সংখ্যা +1 আবার H2 অণুতে এর জারণ সংখ্যা ০। একই ভাবে,HCl অণুতে Cl-এর জারণ সংখ্যা -1 এবং Cl2 অণুতে জারণ সংখ্যা ০। Cu এর জারণ সংখ্যা +2
জারণ সংখ্যা ও যোজনীর মধ্যে পার্থক্য, যোজনী ও জারণ সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য
যৌগ গঠনের সময় কোনো মৌল যত সংখ্যক ইলেকট্রন বর্জন করে ধনাত্বক আয়ন উৎপন্ন করে। যোজনী ও জারণ সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য নিচে দেখানো হয়েছে-
যোজনী | জারণ সংখ্যা |
---|---|
যোজনী হলো কোন মৌল অপর মৌলের সাথে যুক্ত হওয়ার ক্ষমতা। | জারণ সংখ্যা হল, যৌগ গঠনে অংশগ্রহণকৃত মৌলসমূহের ইলেকট্রন আদান-প্রদানের সংখ্যা। |
অণু গঠনকালে কোনো মৌলের একটি পরমাণুর সাথে অপর একটি মৌলের কোনো পরমাণু যুক্ত হবার সামর্থ্যকেই যোজনী বলে। | যৌগ গঠনের সময় কোনো মৌল যত সংখ্যক ইলেকট্রন বর্জন করে ধনাত্বক আয়ন উৎপন্ন করে বা যত সংখ্যক ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্বক আয়ন উৎপন্ন করে তাকে মৌলের জারণ সংখ্যা বলে। |
যোজনী সাধারনত স্থির, তবে কিছু মৌলের পরিবর্তনশীল যোজনী রয়েছে। তবুও তা পূর্ব নির্ধারিত থাকে। | একই মূলকের ভিন্ন ভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটনের সময় জারন মান ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। |
জারন সংখ্যা ধনাত্বক বা ঋনাত্বক হতে পারে। | যোজনী সব সময় ধনাত্বক । |
মৌলের যোজনী সব সময় পূর্ণ সংখ্যা বা শূন্য হতে পারে। যেমনঃ নিষ্ক্রিয় গ্যাসের যোজনী শূন্য হয়। | জারণ সংখ্যা পূর্ণসংখ্যা, ভগ্নাংশ বা শূন্য হতে হতে পারে। |
যোজনীর উদাহরণ- Cu2SO4 এ Cu এর যোজনী +২ । | জারন সংখ্যার উদাহরণ- KMnO4 এ Mn এর জারন মান +৭ । |
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
FAQ | যোজনী, যোজ্যতা
Q1. যোজনী কি
Ans – একটি মৌলের শেষ কক্ষপথে যে কয়টি ইলেক্ট্রন যৌগ গঠনে অংশ নেয় তাকে মৌলের যোজনী বলা হয়।
যেমন হাইড্রোজেনের (H) শেষ কক্ষপথে 1 টি পরমাণু আছে এটি অক্সিজেনের (O) দুটি পরমাণুর সাথে যুক্ত হয়ে পানি গঠন করে। এক্ষেে হাইড্রোজেনের যোজনী 1 এবং অক্সিজেনের যোজনী 2
Q2. নাইট্রোজেন এর যোজনী কত
Ans – নাইট্রোজেনের যোজনী ৩ এবং যোজ্যতা ইলেকট্রন হলো ৫।
Q3. সালফারের যোজনী কত
Ans – সালফারের স্বাভাবিক অবস্থায় যোজনী 2।
Q4. কার্বনের যোজনী কত, cr এর যোজনী কত
Ans – কার্বন যোজনী ২ এবং উত্তেজিত অবস্থায় ৪।
Q5. সালফার পরিবর্তনশীল যোজনী প্রদর্শন করে কেন
Ans – ফরফরাস ও সালফারের পরিবর্তনশীল যোজনী প্রদর্শনের মূল কারণ হচ্ছে এদের শেষ কক্ষপথে ফাঁকা d অবিটালের উপস্থিতি । ফলে এরা সহজেই উত্তেজিত অবস্থায় যুগ্ম ইলেকট্রন ভেঙ্গে উচ্চতর শক্তিস্তরে অযুগ্ন অবস্থায় অবস্থান করে । এর কারণেই মূলত এরা পরিবর্তনশীল যোজনী প্রদর্শন করেন ।
Q6. অক্সিজেনের যোজ্যতা কত
Ans – অক্সিজেনের যোজ্যতা সাধারণত ২।
Q7. ক্লোরিন এর যোজ্যতা কত
Ans – ক্লোরিনের যোজনী ইলেকট্রন 7।
Q8. হিলিয়াম এর যোজ্যতা কত
Ans – হিলিয়াম মৌলের যোজ্য়তা 0, হিলিয়ামের (He) ইলেকট্রনিক বিন্যাস হল 2, 0
Q9. লিথিয়াম এর যোজ্যতা কত
Ans – 1 হল লিথিয়ামের যোজ্যতা।
Q10. ফসফরাস এর যোজ্যতা কত
Ans – ফসফরাসের যোজ্যতা হল 3 ।
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন।