WBBSE Geography, Bhugol | Question Answer
- WBBSE Geography, Bhugol | Question Answer
- জীবাশ্ম কি
- জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে
- প্রধান প্রধান জীবাশ্ম জ্বালানি
- জীবাশ্ম জ্বালানির দহনে কোন গ্যাস উৎপন্ন হয়
- সমস্ত জীবাশ্ম জ্বালানির মূলেই আছে সূর্যের শক্তি ব্যাখ্যা করো, সমস্ত জীবাশ্ম জ্বালানির মূলে আছে সূর্য, সমস্ত জীবাশ্ম জ্বালানির মূলেই আছে সূর্য
- যেটি জীবাশ্ম জ্বালানি নয় সেটি হলো, যেটি জীবাশ্ম জ্বালানি নয় সেটি হল
- জীব বৈচিত্র্য কাকে বলে
- জীব বৈচিত্রের মূল্য সম্পর্কে লেখ
- জীব বিদ্যার জনক কে
- জীব ও জড়ের পার্থক্য
- জীবের তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো
- জীব বৈচিত্রের উষ্মা কেন্দ্র কাকে বলে
- ভারতে কয়টি জীব ভৌগোলিক অঞ্চল রয়েছে, ভারতে কয়টি জীব ভৌগলিক অঞ্চল রয়েছে, ভারতের কয়টি জীব ভৌগোলিক অঞ্চল রয়েছে, ভারতে কটি জীব ভৌগোলিক অঞ্চল রয়েছে, ভারতে কয়টি জীব ভৌগোলিক অঞ্চল আছে, ভারতে কটি জীব ভৌগোলিক অঞ্চল আছে, সর্বাধিক জীব বৈচিত্র যুক্ত অঞ্চল হল, ভারতে মোট জীব বৈচিত্র হটস্পট এর সংখ্যা
- জীব বৈচিত্রের জনক কে
- কোন অঞ্চলের জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ করা উচিত, জীব বৈচিত্রের সংরক্ষণের ভূমিকা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের তাৎপর্যসমূহ
- ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণুর নাম কি
- জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টিতে, জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টিতে মিয়োসিসের ভূমিকা উল্লেখ করো, জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টিতে মিয়োসিস এর ভূমিকা লেখ, জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টির, জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টিতে মিয়োসিস এর ভূমিকা
- মিয়োসিস এর সংজ্ঞা
- মিয়োসিসের বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া
- মিথোজীবী কাকে বলে
- কোন বিজ্ঞানে জীবাণু সম্পর্কে আলোচনা করা হয়
- জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টিতে মানুষের ভূমিকা, জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টিতে মানুষের ভূমিকা উল্লেখ করো
- কলেরা রোগের জীবাণুর নাম কি
- একটি পুকুরের জলে বিষক্রিয়া হলে কোন কোন জীবের, একটি পুকুরের জলে বিষক্রিয়া হলে কোন কোন জীবের বাসস্থান নষ্ট হয়ে যেতে পারে আর অন্য কী কী ক্ষতি হতে পারে বলে তুমি মনে করে তা লেখো
- FAQ | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 8 পরিবেশ ও ভূগোল
জীবাশ্ম কি
স্তরে স্তরে পাললিক শিলা গঠিত হ ওয়ার সময় কোন জলজ উদ্ভিদ বা প্রানীর মৃত দেহ যদি ওই স্তরের মধ্যে চাপা পড়ে কালক্রমে তা অবিকৃত অবস্থায় পাথরে পরিণত হয় তাকে জীবাশ্ম বলে।
জীবাশ্ম বলতে মৃত প্রাণী বা উদ্ভিদ পাথরে পরিণত হয়েছে এমন ধরনের বস্তুকে বোঝায়। হাজার বা লক্ষ বছর আগের প্রাণীর হাড়, চুল, দাত, স্কেলিটন বা উদ্ভিদের অংশবিশেষ ভূগর্ভ বা ভূ-পৃষ্ঠের উপরে পাললিক শিলা, তেল, এম্বার বা কয়লা হিসাবে পাওয়া যায়। প্রাগৈতিহাসিক যুগের এসব জীবাশ্ম বা ফসিল থেকে আমরা তাদের বয়স, সে সময়কার পরিবেশ বা খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানতে পারি। এছাড়া জীবিত প্রাণিকুলের ও জীবাশ্ম পাওয়া যায়।
জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে
জীবাশ্ম জ্বালানি হল এক প্রকার জ্বালানি যা বায়ুর অনুপস্থিতিতে অবাত পচন প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়। মৃত গাছের পাতা, মৃতদেহ ইত্যাদি জীবনের উপাদান হাজার হাজার বছর ধরে মাটির নিচে চাপা পড়ে এ জ্বালানি তৈরি হয়।
এ প্রক্রিয়ায় জ্বালানি তৈরি হতে মিলিয়ন বছর লাগে, সাধারণত ৬৫০ মিলিয়ন বছর বা ৬৫০০০০০০০ বছর সময় লাগে। জীবাশ্ম জ্বালানিতে উচ্চ পরিমাণে কার্বন থাকে। কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ তেল ইত্যাদি জীবাশ্ম জ্বালানি। জীবাশ্ম জ্বালানি পৃথিবীর সকল জায়গায় পাওয়া যায় না। যে দেশে পাওয়া যায় তার ওপর অন্যান্য দেশ নির্ভর করে ।
প্রধান প্রধান জীবাশ্ম জ্বালানি
কয়লা
জীবাশ্ম জ্বালানির মধ্যে কয়লার ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। কয়লা একটি জৈব পদার্থ। পৃথিবীতে একসময় অনেক গাছপালা ছিল। বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ও প্রাকৃতিক পরিবর্তনে সেই সব গাছপালা মাটির নিচে চাপা পড়ে যায় এবং জমতে থাকে। গাছের পাতা ও কাণ্ড রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে কয়লায় পরিণত হয়।
প্রাকৃতিক গ্যাস
প্রাকৃতিক গ্যাস শক্তির একটি অতি পরিচিত উৎস। প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায় ভূগর্ভে। পৃথিবীর অভ্যন্তরের প্রচন্ড চাপ ও তাপ এই উপাদান সৃষ্টির প্রধান কারণ। পেট্রোলিয়াম কূপ থেকেও প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায়। এই গ্যাসের প্রধান উপাদান মিথেন। প্রাকৃতিক গ্যাসের শতকরা ৬০-৯৫ ভাগ হল মিথেন।
খনিজ তেল
পেট্রোলিয়াম একটি ল্যাটিন শব্দ। এই শব্দটি এসেছে দুটি ল্যাটিন শব্দ পেট্রো ও অলিয়াম মিলে। ‘পেট্রো’ অর্থ পাথর ও ‘অলিয়াম’ শব্দের অর্থ তেল। অর্থাৎ পেট্রোলিয়াম শব্দের অর্থ পাথরের তেল। টারশিয়ারি যুগে অর্থাৎ আজ থেকে ৫-৬ কোটি বছর পূর্বে পাথরের স্তরে স্তরে গাছপালা ও সামুদ্রিক প্রাণী জমা পড়ে। কালে কালে তারাই খনিজ তেলে পরিণত হয়। আজকের স্থলভাগের অনেকটাই পূর্বে সমুদ্রের অন্তর্গত ছিল।
জীবাশ্ম জ্বালানির দহনে কোন গ্যাস উৎপন্ন হয়
জীবাশ্ম জ্বালানি দহনের ফলে বায়ুমণ্ডলে যে গ্রিন হাউজ গ্যাসের পরিমাণ সব চাইতে বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জৈব জ্বালানি কার্বনঘটিত যৌগ। এগুলো বায়ুমণ্ডলে দহনের ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়ে বায়ুতে মিশে যায়। জীবশ্ম জ্বালানি দহনের ফলে তৈরি গ্রিন হাউস গ্যাসে কার্বন – ডাই অক্সাইড ৪৯% ক্লোরোফ্লোরো কার্বন বা সিএফসি ১৪% ,মিথেন ১৮% , নাইট্রাস অক্সাইড ৬% ও অন্যান্য গ্যাস ১৩% থাকে। এদের মধ্যে কলকারখানা ও যানবাহনে জীবাশ্ম জ্বালানি দহনের ফলে কার্বন – ডাই – অক্সাইডের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সমস্ত জীবাশ্ম জ্বালানির মূলেই আছে সূর্যের শক্তি ব্যাখ্যা করো, সমস্ত জীবাশ্ম জ্বালানির মূলে আছে সূর্য, সমস্ত জীবাশ্ম জ্বালানির মূলেই আছে সূর্য
সূর্যের সৌরশক্তি খাদ্যের মধ্যে বা উদ্ভিদ দেহে রাসায়নিক শক্তি বা স্থিতি শক্তি রূপে জমা থাকে, বহু কোটি বছর ভূমিকম্পের ফলে আগের গাছপালা ও প্রাণীর অবশেষ মাটির নিচে চাপা পড়ে। ফলে ভূগর্ভের তাপে আর চাপে উদ্ভিদের দেহাংশ থেকে কয়লা ও প্রাণীদের দেহাবশেষ থেকে খনিজ তেলে পরিণত হয়। পেট্রোলিয়াম থেকে আমরা ডিজেল পেট্রোল এবং কেরোসিন ইত্যাদি জ্বালানি পায়। তাহলে কয়লা বা পেট্রোলিয়ামে জড়ো হওয়া শক্তির উৎস হলো সূর্য।
আবার এভাবেও বলা যায় যে,
সৌরশক্তি খাদ্যের মাধ্যমে উদ্ভিদ ও প্রাণীদেহে রাসায়নিক শক্তি বা স্থিতিশক্তিরূপে সঞ্চিত থাকে। বহু কোটি বছর ধরে গাছপালার অবশেষ মাটিতে চাপা পড়ে ধীরে ধীরে গরমেও চাপে কয়লায় পরিণত হয়েছে। আবার উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ পাললিক শিলার নিচে চাপা পরে থাকতে থাকতে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসে পরিণত হয়েছে। পেট্রোলিয়াম থেকে ডিজেল, পেট্রোল এবং কেরোসিন ইত্যাদি জ্বালানি আমরা পাই। সুতরাং বলা যায়, সমস্ত জীবাশ্ম জ্বালানির মূলেই আছে সূর্যের শক্তি।
যেটি জীবাশ্ম জ্বালানি নয় সেটি হলো, যেটি জীবাশ্ম জ্বালানি নয় সেটি হল
যেটি জীবাশ্ম জ্বালানি নয় সেটি হলো বায়োগ্যাস। কারণ দীর্ঘদিন চাপা পড়া দেহাবশেষ বা জীবাশ্ম থেকে বায়োগ্যাস তৈরি হয় না।
জীব বৈচিত্র্য কাকে বলে
পৃথিবী পৃষ্ঠের জল ও স্থলভাগে বসবাসকারী সকল প্রকার জীবের মধ্যে বিরাজমান জীনগত, প্রজাতিগত ও বাস্তুতান্ত্রিক বিভিন্নতা ও সংখ্যা প্রাচুর্যতা রয়েছে এবং কালের ক্রমধারায় পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিজেদের বৈচিত্র্যময় অবস্থার পরিবর্তন ও বিকাশ ঘটানোকে বলা হয় জীববৈচিত্র্য।
ভৌগোলিক বৈচিত্র্যময় পরিবেশে বিভিন্ন প্রজাতিসমূহের মধ্যে আন্তঃগোষ্ঠিয় বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়। প্রাকৃতিক পরিবেশে মানবসৃষ্ঠ কারণে নানা রকম পরিবর্তনের সাথে সাথে তাই জীবজগত ও পরিবেশের বিকাশ, বসবাস, বংশবিস্তারের মধ্যেও ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
পৃথিবীতে সময়ের সাথে সাথে হাজার হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণির আবির্ভাব হয়েছে। তবে জীবের প্রয়োজনে অন্য জীবের সৃষ্টি ও বিলুপ্তির প্রক্রিয়াও প্রচলিত রয়েছে।
জীব বৈচিত্র্য আরো আরো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর বিশদে পড়তে এখানে, ক্লিক করুন।
জীব বৈচিত্রের মূল্য সম্পর্কে লেখ
জৈববৈচিত্র্য অমূল্য অর্থাৎ এর কোন মূল্য নির্ধারণ করা অসম্ভব। আমাদের অস্তিত্ব জৈববৈচিত্রের উপর নির্ভর। জৈব বৈচিত্র্য আমাদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, রোগনিরাময়ের ঔষধ, বিনোদনের উপকরণ, শিল্প ও সাহিত্য রচনার উপাদান সরবরাহ করে। তাই জৈব বৈচিত্র্য না থাকলে পৃথিবীতে মানুষের জীবনযাপন নীরস হয়ে যেত।
জীব বিদ্যার জনক কে
জীববিদ্যার জনক হলেন গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল।
অ্যারিস্টটলকে “জীববিদ্যার জনক” বলা হয় কারণ তিনি প্রাকৃতিক জগত সম্পর্কে অধ্যায়ন করেছিলেন এবং বিশদভাবে পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করার পর বৈজ্ঞানিক অন্তর্দৃষ্টি এবং পদ্ধতিগত পর্যবেক্ষণ ব্যবহার করে এটিকে ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপের জন্য দায়ী না করে তার পরিবর্তে এর উৎস অনুসন্ধান করেছেন।
জীব ও জড়ের পার্থক্য
জীব ও জড়ের মধ্যে পার্থক্য অনেক কিন্তু যে প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলির সাহায্যে জীব ও জড় মধ্যে পার্থক্য করা যায়, তা এখানে উল্লেখ করা হল
জীব | জড় |
---|---|
জীবের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন আছে। | জড়ের কোন নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন থাকেনা। |
জীবদেহ প্রােটোপ্লাজম (নিউক্লিয়াস, প্লাজমা পর্দা, সেন্ট্রোজোম, রাইবোজোম ইত্যাদি) সমন্বিত এক বা একাধিক কোষ দ্বারা গঠিত। | জড়বস্তু কোষ দ্বারা গঠিত নয় এবং এদের দেহে প্রোটোপ্লাজমেরও অস্তিত্ব নেই। |
জীবেরা ইচ্ছেমত দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাড়চাড়া করতে পারে এবং স্থান পরিবর্তনে সক্ষম। | জড়ের স্বেচ্ছায় চলনশক্তি নেই এবং এরা স্থান পরিবর্তনে অক্ষম। |
জীবদেহে পুষ্টি, স্বসন, রেচন ইত্যাদি নানান বিপাক ক্রিয়া সম্পন্ন হয়। | জড়ের দেহে কোন বিপাক ক্রিয়া সম্পন্ন হয় না। |
জীবদেহে বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়। | জড়-দেহে কোন বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয় না। |
জীবেরা বহিঃ-উত্তেজনায় সাড়া দেয়, অর্থাৎ জীবের চেতনা আছে। | জড় উত্তেজনায় সাড়া দেয় না অর্থাৎ জড়ের চেতনা নেই। |
জীব বংশবিস্তারে সক্ষম। | জড় বংশবিস্তারে অক্ষম। |
জীবদের সমন্ত শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াগুলি একটি নির্দিষ্ট ছন্দে বা নিয়মে ধারাবাহিকভাবে ঘটে, অর্থাৎ ছন্দোবদ্ধতা জীবের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য | জড়ের ছন্দোবদ্ধতা নেই। |
জীবদেহে পরিব্যক্তি, অভিব্যক্তি এবং অভিযােজন পরিলক্ষিত হয়। | জড়ের পরিব্যক্তি, অভিব্যক্তি এবং অভিযােজন পরিলক্ষিত হয় না। |
জীবের জন্ম-মৃত্যু ও বার্ধক্য দেখা যায়। | জড়ের জন্ম-মৃত্যু ও বার্ধক্য দেখা যায় না। |
জীবের তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো
জীবন্ত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য হল:
- (i) বৃদ্ধি এবং বিকাশ- তরুণ জীব (উদ্ভিদ ও প্রাণী) বৃদ্ধি পায় এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বিকাশ লাভ করে।
- (ii) নড়াচড়া- প্রাণীরা বিস্তৃত গতিবিধি প্রদর্শন করে।
- (iii) প্রজনন- সেই জৈবিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একই ধরনের জীব থেকে নতুন জীব (সন্তান) উৎপন্ন হয়।
- (iv) শ্বসন- অক্সিজেন খাদ্যের জারণের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়।
- (v) প্রতিক্রিয়াশীলতা- সমস্ত জীবন্ত প্রাণী আলো, তাপ এবং তাদের চারপাশের পরিবর্তনগুলিতে সাড়া দেয়।
- (vi) রেচন- যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীব থেকে বিপাকীয় বর্জ্য এবং অন্যান্য অপ্রয়োজনীয়, বিষাক্ত বর্জ্য যেমন মল নির্মূল করা হয় তাকে মলত্যাগ বলে। গাছপালাও তাদের বর্জ্য অপসারণ করে।
- (vii) অভিযোজন- কোন জীবের গঠন বা আচরণের পরিবর্তন যা তাকে একটি নির্দিষ্ট আবাসস্থলে টিকে থাকতে দেয় তাকে অভিযোজন বলে।
জীব বৈচিত্রের উষ্মা কেন্দ্র কাকে বলে
পৃথিবীর যে সমস্ত এলাকা জুড়ে অত্যধিক সংখ্যায় প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতি বাস করে যাদের অস্বিত্ব বর্তমানে বিপন্ন হতে চলেছে সেই সমস্ত এলাকাকে হটস্পট বলা হয়।
জীব বৈচিত্রের হটস্পট শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন নরম্যান মায়ার 1988 সালে। জীব বৈচিত্রের হটস্পট বলতে সেই অঞ্চল গুলিকে বোঝানো হয় যেখানে এমন কিছু জীব প্রজাতি পাওয়া যায় যেগুলো পৃথিবীর অন্য কোন অঞ্চলে আর দেখা যায় না এবং সেই জন্যই এই সমস্ত অঞ্চলের জীব প্রজাতি গুলির বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সারা পৃথিবীব্যাপী বর্তমানে মোট 36 টি জীব বৈচিত্রের হটস্পট চিহ্নিতকরণ করেছে UNEP.
ভারতে হটস্পট এর সংখ্যা ৪টি (আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, পূর্ব-হিমালয়, পূর্বঘাট পর্বতমালা, পশ্চিমঘাট পর্বতমালা)।
ভারতে কয়টি জীব ভৌগোলিক অঞ্চল রয়েছে, ভারতে কয়টি জীব ভৌগলিক অঞ্চল রয়েছে, ভারতের কয়টি জীব ভৌগোলিক অঞ্চল রয়েছে, ভারতে কটি জীব ভৌগোলিক অঞ্চল রয়েছে, ভারতে কয়টি জীব ভৌগোলিক অঞ্চল আছে, ভারতে কটি জীব ভৌগোলিক অঞ্চল আছে, সর্বাধিক জীব বৈচিত্র যুক্ত অঞ্চল হল, ভারতে মোট জীব বৈচিত্র হটস্পট এর সংখ্যা
ভারতে চারটি প্রধান জীববৈচিত্র্য হটস্পট রয়েছে:
- হিমালয়
- ইন্দো-বার্মা অঞ্চল
- পশ্চিম ঘাট
- সান্ডাল্যান্ড
হিমালয়
বিশ্বের সর্বোচ্চ হিসাবে বিবেচিত, হিমালয় (সামগ্রিকভাবে) উত্তর-পূর্ব ভারত, ভুটান, নেপালের মধ্য ও পূর্ব অংশ নিয়ে গঠিত। এই অঞ্চলে (NE হিমালয়) 163 টি বিপন্ন প্রজাতি থাকার রেকর্ড রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ওয়াইল্ড এশিয়ান ওয়াটার বাফেলো, এক-শিংযুক্ত গণ্ডার; এবং প্রায় 10,000 উদ্ভিদ প্রজাতি, যার মধ্যে 3160 স্থানীয়। এই পর্বতশ্রেণীটি প্রায় 750,000 বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত।
ইন্দো-বার্মা অঞ্চল
ইন্দো-বার্মা অঞ্চলটি 2,373,000 বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। গত 12 বছরে, এই অঞ্চলে 6 টি বড় স্তন্যপায়ী প্রজাতি আবিষ্কৃত হয়েছে: বৃহত-শৃঙ্গযুক্ত মুন্টজ্যাক, অ্যানামাইট মুন্টজ্যাক, ধূসর-পা ওয়ালা ডউক, অ্যানামাইট দাগযুক্ত খরগোস, লিফ ডিয়ার, এবং সাওলা।
এই হটস্পটটি স্থানীয় মিঠা জলের কচ্ছপ প্রজাতির জন্যও পরিচিত, যার মধ্যে অতিরিক্ত ফসল কাটা এবং ব্যাপক আবাসস্থলের ক্ষতি এর কারণে বেশিরভাগই বিলুপ্তির শঙ্কায় রয়েছে। এছাড়াও 1,300 টি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিরল সাদা কানের নাইট-হেরন, ধূসর-মুকুটযুক্ত ক্রোসিয়াস এবং অরেঞ্জ-নেকড পার্টরিজ।
পশ্চিমঘাট
পশ্চিম ঘাট উপদ্বীপীয় ভারতের পশ্চিম প্রান্ত বরাবর বিস্তৃত এবং বেশিরভাগ পর্ণমোচী অরণ্য এবং বৃষ্টি অরণ্যকে আচ্ছাদিত করে। ইউনেস্কোর মতে, এটি বিশ্বব্যাপী কমপক্ষে 325 টি বিপন্ন উদ্ভিদ, প্রাণী, পাখি, উভচর, সরীসৃপ এবং মাছের প্রজাতিগুলির আবাসস্থল। মূলত, এই অঞ্চলের গাছপালা 190,000 বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত ছিল কিন্তু এখন তা কমে 43,000 বর্গ কিলোমিটারে হয়েছে।
এই অঞ্চলটি বিশ্বব্যাপী বিপন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীকুলের জন্যও পরিচিত, যেখানে 229 টি উদ্ভিদ প্রজাতি, 31 টি স্তন্যপায়ী প্রজাতি, 15 টি পাখি প্রজাতি, 43 টি উভচর প্রজাতি, 5 টি সরীসৃপ প্রজাতি এবং 1 টি মাছের প্রজাতি রয়েছে। ইউনেস্কো উল্লেখ করেছে যে “পশ্চিমঘাটের মোট 325 টি বিশ্বব্যাপী আশঙ্কাজনক প্রজাতির মধ্যে, 129 টি ঝুঁকিপূর্ণ, 145 টি বিপন্ন এবং 51 টি গুরুতর বিপন্ন হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।
সান্ডাল্যান্ড
সান্ডাল্যান্ড হটস্পটটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অবস্থিত এবং সীঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনাই এবং মালয়েশিয়াকে নিয়ে গঠিত। 2013 সালে, সান্ডাল্যান্ডকে জাতিসংঘ কর্তৃক ওয়ার্ল্ড বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এই অঞ্চলটি তার সমৃদ্ধ স্থলজ এবং সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের জন্য বিখ্যাত। সান্ডাল্যান্ড বিশ্বের জৈবিকভাবে ধনী হটস্পটগুলির মধ্যে একটি যা 25,000 প্রজাতির ভাস্কুলার উদ্ভিদ নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে 15,000 টি শুধুমাত্র এই অঞ্চলে পাওয়া যায়।
জীব বৈচিত্রের জনক কে
‘জীববৈচিত্র্য’ ইংরেজীর biodiversity শব্দটি ‘biological’ এবং ‘diversity’ শব্দদ্বয়ের সঙ্কোচন। এটি প্রথম চালু হয় 1985 – এ এবং চালু করেন National Research Council – এর Walter G. Rosen.
কোন অঞ্চলের জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ করা উচিত, জীব বৈচিত্রের সংরক্ষণের ভূমিকা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের তাৎপর্যসমূহ
বিভিন্ন কারণে জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ তাপর্যপূর্ণ। তাই জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। যে যে কারণে জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ প্রয়ােজন সেগুলি নিম্নরূপ一
- (১) জৈব সম্পদের জোগান বজায় রাখতে : বিভিন্ন জৈব সম্পদের (যেমন- খাদ্য ওষুধ, কাঠ) উৎসের ক্ষেত্রই হল জীববৈচিত্র্য। সেইসব জৈব সম্পদগুলির জোগান যাতে প্রকৃতিতে অক্ষুগ্ন থাকে সেজন্য জৈব পদার্থের সংরক্ষণ প্রয়ােজন।
- (২) জলচক্রের ক্রিয়াশীলতাকে বজায় রাখতে : ভৌমজলের স্থিতিশীলতা ও মৃত্তিকাস্থ জলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে উদ্ভিদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তা ছাড়া জলের পৃষ্ঠ প্রবাহের অন্যতম নিয়ন্ত্রক হল উদ্ভিদ। ফলে জলচক্রের ক্রিয়াশীলতা বজায় থাকা বহুলাংশে উদ্ভিদের সংখ্যার ওপর নির্ভরশীল।
- (৩) মৃত্তিকার ক্ষয়রোধে ও গুণগত মান বজায় রাখতে : জীববৈচিত্র্য মৃত্তিকার ক্ষয়কে রােধ করে। মৃত্তিকায় বসবাসকারী বিভিন্ন প্রাণী ও উদ্ভিদ মৃত্তিকার গঠন, জলধারণ ক্ষমতা এবং পুষ্টিমৌল প্রভৃতির জোগান বজায় রাখে।
- (৪) পুষ্টিমৌলগুলি চক্রায়মন বজায় রাখতে : বিভিন্ন পুষ্টিমৌলগুলি চক্রাকার পথে প্রকৃতি থেকে জীবদেহে এবং জীবদেহ থেকে পুনরায় প্রকৃতিতে আবর্তিত হয়। পুষ্টিমৌলের এই চক্রাকার আবর্তন যাতে বজায় থাকে সেক্ষেত্রে জীববৈচিত্র্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- (৫) দুষণ কমাতে : জীববৈচিত্র্যের স্থিতিশীল পরিবেশের দূষণ কমাতে সাহায্য করে।
- (৬) জলবায়ুর স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে : স্থানীয় বা আঞ্চলিকভাবে জলবায়ুর স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে জীববৈচিত্র্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন—অরণ্যের পরিবেশ শীতল রাখতে ও বৃষ্টিপাত ঘটাতে উদ্ভিদ সাহায্য করে।
ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণুর নাম কি
ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণুর নাম Plasmodium vivax প্লাজমোডিয়াম ভিভাক্স।
ম্যালেরিয়া খুবই পরিচিত একটি সংক্রামক রোগ এবং এটি একটি বৃহৎ জনস্বাস্থ্য সমস্যা। রোগটি প্লাজমোডিয়াম বর্গের এককোষীয় পরজীবীর দ্বারা ঘটিত হয়। কেবল চার ধরনের প্লাজমোডিয়াম পরজীবী মানুষের মধ্যে সংক্রমন ঘটায়,এদের মধ্যে সবথেকে বেশি প্রভাবিত করে প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম এবং প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স।
জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টিতে, জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টিতে মিয়োসিসের ভূমিকা উল্লেখ করো, জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টিতে মিয়োসিস এর ভূমিকা লেখ, জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টির, জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টিতে মিয়োসিস এর ভূমিকা
মিয়োসিস- I এর প্রোফেজ দশায় সমসংস্থ ক্রোমোজোম এর নন সিস্টার ক্রোমাটিড এর মধ্যে সমতুল্য অংশের বিনিময় ঘটে এবং ক্রোমোজোমের নতুন অ্যালিল সমন্বয়ে গঠিত হয়। এই ঘটনাকে ক্রসিং ওভার বলা হয়।
ক্রসিং ওভার এর ফলে নতুন জিনগত পুনর্বিন্যাস ঘটে। এর ফলে প্রকরণ বা ভেদ সৃষ্টি হয়।এই প্রকরণ জীবকে অভিযোজনে সাহায্য করে এবং জীবের অভিব্যক্তি ঘটায়।
মিয়োসিস এর সংজ্ঞা
মিয়োসিস এক ধরনের স্বতন্ত্র কোষ বিভাজন যা জনন অঙ্গের কোষে সংঘটিত হয় এবং যার ফলে উৎপন্ন চারটি কোষের প্রত্যেকটিতে ক্রোমোজোম সংখ্যা অর্ধেক হয়ে যায়। তাই একে রিডাকশন ডিভিশন বলে।
মিয়োসিসের বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া
মিয়োসিস বিশ্লেষণ প্রধানত দুটি প্রক্রিয়াতে ভাগ করা যায় যথা — ১। ইন্টারফেজ এবং ২। মিয়োটিক বিভাজন
ইন্টারফেজ
একটি ইন্টারফেস দশার অব্যবহিত মিয়োসিস শুরু হয়। মাইটোসিসের ইন্টারফেজ এর সাথে মিয়োসিস ইন্টারফেজের খুব বেশি পার্থক্য নেই। প্রিমিয়োটিক ইন্টারফেজে DNAর দ্বিত্বকরণ S পিরিয়ডে ঘটে।
মিয়োটিক বিভাজন
মিয়োসিস বিভাজনকে বর্ণনার সুবিধার্থে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা প্রথম মিয়োটিক বিভাজন এবং দ্বিতীয় মিয়োটিক বিভাজন।
বিজ্ঞানী ফ্লেমিং প্রথম বিভাজন কে হেটারোটাইপিক এবং দ্বিতীয় বিভাজনকে মাইটোসিসের নেয় সমবিভাজন বলে বর্ণনা করেছেন।
প্রথম মায়োটিক বিভাজনের প্রোফেজ দশা অত্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী এবং এই দশায় সমসংস্থ ক্রোমোজোমগুলি সন্নিকটে অবস্থান করে এবং ওদের মধ্যে বংশগতির বাহক জিনের বিনিময় ঘটে।
মিথোজীবী কাকে বলে
যখন দুটি জীব পরস্পরের সাহচর্যে বসবাস করে এবং একে অপরের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পুষ্টি লাভ করে, তাকে মিথােজীবী বলে। যেমন—শৈবাল ও ছত্রাক মিলে লাইকেন তৈরি করে।
যদি দুটি ভিন্ন প্রজাতির জীব একত্রে বসবাস করে এবং তারা যদি প্রত্যেকেই একে অপরের দ্বারা উপকৃত হয় , তাকে মিথোজীবী বলে।আর এভাবে জীবন যাপন এর প্রক্রিয়াকে মিথোজীবী বা সিমবায়োটিক বলে। যে পুষ্টি প্রক্রিয়ায় দুটি ভিন্ন ধরনের জীব পরস্পরের উপর নির্ভরশীল হয়ে বসবাস করে, তাকে মিথোজীবীয় পুষ্টি বলে। মিথোজীবী পুষ্টি দু রকমের হয়। যথাঃ
১৷ ব্যতিহারী (Mutualism):
এই রকম পুষ্টিতে দুটি জীব সহাবস্থান করে পরস্পরের সাহায্যে পুষ্টি সম্পন্ন করে, যেমন – লাইকেন।
২৷ সহভোক্তা (Commensalism):
এই রকম পুষ্টিতে দুটি জীব সহাবস্থানে থেকেও পরস্পর পৃথক ভাবে পুষ্টি সম্পন্ন করে, যেমন – পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ রাস্না, গজপিপুল ইত্যাদি।
কোন বিজ্ঞানে জীবাণু সম্পর্কে আলোচনা করা হয়
অণুজীব বিজ্ঞানের যে শাখায় পরিবেশ ও অণুজীবের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে অণুজীব বাস্তুবিজ্ঞান (Microbial Ecology) বলা হয়। এই শাখায় অণুজীবের সাথে অণুজীবের; অণুজীবের সাথে অন্যান্য জীবের এবং অণুজীবের সাথে পরিবেশের অজীব (abiotic) উপাদানের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করা হয়।
- ফরাসী বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর (Louis Pasteur) ও জার্মান বিজ্ঞানী রবার্ট কক্ (Robert Koch) প্রথমবার জীবাণুদের মানুষের নানা রোগ এর কারণ হিসাবে চিহ্নিত করেন।
- রবার্ট কক্ প্রমাণ করেন যে কলেরা ও টিউবারকিউলোসিস এর জন্যে দায়ী দুটি পৃথক জীবাণু। জীবাণু বিজ্ঞানে তাঁর অসামান্য অবদান এর জন্যে তাঁকে ১৯০৫ সালে চিকিত্সা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়।
- রবার্ট কক্ এর সমসাময়িক ছিলেন লুই পাস্তুর ও ফার্দিনান্দ কহন (Ferdinand Julius Cohn)। জীবাণু বিজ্ঞানের রহস্য উন্মোচনে তাঁদের অবদানও অনস্বীকার্য। লুই পাস্তুর সর্বপ্রথম জীবাণু ঘটিত রোগ নিরাময়ে ভ্যাকসিন বা টীকা এর ধারণা দেন। তিনিই তরল পানীয় (দুধ, ওয়াইন ইত্যাদি) কে জীবাণুমুক্ত রাখার উপায় পাস্তুরায়ন (pasteurization) পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।
- আজও দৈনন্দিন জীবনে তরল পানীয় সংরক্ষণ করার জন্যে সেই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়ে থাকে। জীবাণু বিজ্ঞানে আর এক সমসাময়িক আবিষ্কার হলো ব্যাকটেরিয়া প্রতিষেধক বা আন্টিবায়োটিক পেনিসিলিন আবিষ্কার।
- স্কটিশ বিজ্ঞানী আলেক্জান্ডার ফ্লেমিং (Alexander Fleming) ১৯২৯ সালে ব্রিটেন এর জার্নাল অফ এক্সপেরিমেন্টাল প্যাথলজি তে সর্বপ্রথম আন্টিবায়োটিক-এর ধারণা প্রকাশ করেন। আন্টিবায়োটিক-এর আবিষ্কার কে জীবাণু বিজ্ঞান এর ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য মাইল ফলক হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টিতে মানুষের ভূমিকা, জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টিতে মানুষের ভূমিকা উল্লেখ করো
জেনেটিক প্রকরণের উৎস
জনসংখ্যার মধ্যে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে ডিএনএ সিকোয়েন্সের পার্থক্য হল জিনগত প্রকরণ। জীবাণু কোষে যেমন শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু এবং সোমাটিক (অন্য সমস্ত) কোষে তারতম্য ঘটে। শুধুমাত্র জীবাণু কোষে উদ্ভূত ভিন্নতাই একজন ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হতে পারে এবং তাই জনসংখ্যার গতিশীলতা এবং শেষ পর্যন্ত বিবর্তনকে প্রভাবিত করে। মিউটেশন এবং রিকম্বিনেশন হল প্রকরণের প্রধান উৎস।
মিউটেশন কি?
জিনগত পরিবর্তনের মূল উৎস হল মিউটেশন। মিউটেশন হল ডিএনএ সিকোয়েন্সের স্থায়ী পরিবর্তন। ডি নোভো (নতুন) মিউটেশন ঘটে যখন ডিএনএ প্রতিলিপির সময় একটি ত্রুটি ঘটে যা ডিএনএ মেরামত এনজাইম দ্বারা সংশোধন করা হয় না। এটি শুধুমাত্র একবার ত্রুটিটি ডিএনএ প্রতিলিপি দ্বারা অনুলিপি করা হয়, এবং ডিএনএতে স্থির করা হয় যে এটি একটি মিউটেশন হিসাবে বিবেচিত হয় (চিত্র 1)। মিউটেশন জীবের জন্য উপকারী হতে পারে; জীবের জন্য ক্ষতিকর (ক্ষতিকর); বা নিরপেক্ষ (জীবের ফিটনেসের উপর কোন প্রভাব নেই)।
সোম্যাটিক মিউটেশনগুলি আমাদের কোষগুলিতে জমা হতে পারে এবং বেশিরভাগই ক্ষতিকারক নয়। এগুলি টিস্যুতে স্থানীয় পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যেতে পারে যেমন ত্বকে আঁচিল দেখা দেয় এবং আরও গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে – উদাহরণস্বরূপ ক্যান্সারের দিকে পরিচালিত করে। ক্যান্সারে সোমাটিক মিউটেশনের ভূমিকা সম্পর্কে আরও জানতে মার্টিনকোরেনা এবং ক্যাম্পবেল 1 এর এই কাগজটি দেখুন। এই কোর্সে আমরা বংশগত জেনেটিক বৈচিত্রের উপর ফোকাস করি, অর্থাত্ জীবাণু কোষে ঘটে এমন তারতম্য।
পুনর্মিলন কি?
পুনঃসংযোগ হল জিনগত পরিবর্তনের আরেকটি প্রধান উৎস আমাদের প্রত্যেকেরই আমাদের পিতামাতার কাছ থেকে জেনেটিক উপাদানের মিশ্রণ রয়েছে। এই জেনেটিক উপাদানের মিশ্রণটি পুনর্মিলনের সময় ঘটে যখন সমজাতীয় ডিএনএ স্ট্র্যান্ডগুলি সারিবদ্ধ হয় এবং অতিক্রম করে। পুনঃসংযোগ কার্যকরভাবে মাতৃ ও পৈতৃক ডিএনএকে ‘এলোমেলো করে দেয়’, কন্যা জীবাণু-কোষে ভিন্নতার নতুন সমন্বয় তৈরি করে
কলেরা রোগের জীবাণুর নাম কি
কলেরা ভিব্রিও কলেরা (Vibrio cholerae) নামক ব্যাকটেরিয়া ঘটিত ক্ষুদ্রান্ত্রের একটি সংক্রামক রোগ।
একটি পুকুরের জলে বিষক্রিয়া হলে কোন কোন জীবের, একটি পুকুরের জলে বিষক্রিয়া হলে কোন কোন জীবের বাসস্থান নষ্ট হয়ে যেতে পারে আর অন্য কী কী ক্ষতি হতে পারে বলে তুমি মনে করে তা লেখো
একটি পুকুরের জলে বিষক্রিয়া হলে যত ধরনের মাছ আছে তারা মারা যাবে।
প্রথমত ছোট মাছগুলো মারা যাবে তারপর বড় শ্রেণীর মাছগুলো মারা যাবে । সেই মাছগুলো যেসব প্রাণী খাবে তারাও মারা যেতে পারে যেমন হাঁস বা পান কৌটি বা সাপ ইত্যাদি । সেই পুকুরের জল যদি মানুষ ব্যবহার করে তাহলে মানুষের ক্ষতি হতে পারে । রোগা গ্রস্থ হতে পারে এবং মানুষ মারাও যেতে পারে ।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
আরো বিশদে পড়ার জন্য
স্লাস্ট জিওগ্রাফিক্যাল (ভূগোল) এনসাইক্লোপিডিয়া
FAQ | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 8 পরিবেশ ও ভূগোল
Q1. ভারতে কয়টি জীব ভৌগোলিক অঞ্চল রয়েছে
Ans – ভারতে 4টি প্রধান জীববৈচিত্র্যের হটস্পট রয়েছে। এগুলি হল হিমালয়, পশ্চিমঘাট, ইন্দো-বার্মা অঞ্চল এবং সুন্দাল্যান্ড।
Q2. জীব বিদ্যার জনক কে
Ans – জীববিদ্যার জনক হলেন গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল।