WBBSE Jiban Bigyan Jiber Srenibinnas | Model Activity Task Class 10 Life Science Part 8 | Question Answer
উপরিউক্ত প্রশ্ন এবং তার যথাযত সমাধান, নিম্ন লিখিত সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর আকারে বর্ণনা করা হলো। এই উত্তর গুলি বহুবিকল্প (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত (VSA), ছোট (SA) এবং বড় (LA), সকল প্রশ্নোর ক্ষেত্রে উত্তর সমাধান হিসাবে পাঠ করা যেতে পারে।
প্রশ্নোত্তর এবং সমাধান
শ্রেণীবিভাগের পাঁচটি রাজ্য ব্যবস্থা আলোচনা কর।
উত্তর: “ফাইভ কিংডম সিস্টেম অফ ক্লাসিফিকেশন” অনুসারে সমস্ত জীবন্ত প্রাণীকে পাঁচটি রাজ্যে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। 1969 সালে রবার্ট হুইটেকার এই ব্যবস্থা চালু করেন। এই পাঁচটি রাজ্য হল,
I) কিংডম মনেরা: – বৈশিষ্ট্য: –
i এগুলিতে প্রোক্যারিওটিক জীব রয়েছে।
ii. এই সমস্ত জীব এককোষী এবং মাইক্রোস্কোপিক।
iii. নিউক্লিয়ার মেমব্রেন এবং মেমব্রেন-বাউন্ডেড অর্গানেলগুলিও অনুপস্থিত।
iv তাদের কোষ প্রাচীর মিউরিন (চিনি + অ্যামিনো অ্যাসিড যাকে পেপটাইড গ্লাইকানও বলা হয়) দিয়ে গঠিত।
উদাহরণ:
ব্যাকটেরিয়া, নীল-সবুজ শৈবাল (সায়ানোব্যাকটেরিয়া)।
II) কিংডম প্রোটিস্টা (Gr; Protista-প্রথম): – বৈশিষ্ট্য: –
i) এর মধ্যে রয়েছে ইউক্যারিওটিক এককোষী এবং সরল বহুকোষী জীব।
ii.) সাধারণত জলজ বাসস্থানে বাস করে।
iii.) কিছু ক্লোরোফিল ধারণ করে এবং তাদের খাবার প্রস্তুত করে যখন কিছুতে ক্লোরোফিলের অভাব থাকে এবং তাদের খাবার প্রস্তুত করতে পারে না।
iv) কিছু জীব উদ্ভিদের মতো, কিছু প্রাণীর মতো এবং কিছু ছত্রাকের মতো।
উদাহরণ:-
ক্ল্যামিডোমোনাসের মতো উদ্ভিদ
স্লাইম মোল্ডের মতো ছত্রাক।
অ্যামিবা ইত্যাদি প্রাণীর মতো।
III) কিংডম ছত্রাক: – বৈশিষ্ট্য: –
i এরা ইউক্যারিওটিক বহুকোষী জীব।
ii. তারা হেটেরোট্রফ কারণ তারা তাদের খাদ্য সংশ্লেষ করতে পারে না। iii. খাবার গ্লাইকোজেন আকারে শরীরের অভ্যন্তরে জমা হয়।
iv তাদের কোষ প্রাচীর কাইটিন থেকে তৈরি।
v. তারা শোষণ করে (স্যাপ্রোফাইট) তাদের খাদ্য গ্রহণ করে।
উদাহরণ:-
রুটি ছাঁচ, মাশরুম, পাফবল, খামির, ইত্যাদি
IV) কিংডম প্ল্যান্টা: –
বৈশিষ্ট্য:-
i এর মধ্যে রয়েছে ইউক্যারিওটিক বহুকোষী জীব।
ii. এরা স্বয়ংক্রিয় এবং সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের খাদ্য প্রস্তুত করতে পারে।
iii. এদের কোষ প্রাচীর সেলুলোজ দিয়ে তৈরি।
iv বেশিরভাগই তাদের কোষের ভিতরে সেন্ট্রিওলের অভাব থাকে।
v. সংরক্ষিত খাদ্য স্টার্চ আকারে।
V) কিংডম অ্যানিমেলিয়া: –
বৈশিষ্ট্য:-
i এর মধ্যে ইউক্যারিওটিক বহুকোষী প্রাণী রয়েছে।
ii. কোষে সেন্ট্রিওল থাকে।
iii. তাদের কোন ক্লোরোফিল নেই এবং তারা তাদের খাবার প্রস্তুত করতে পারে না।
iv এই রাজ্যে মেরুদণ্ডী এবং অমেরুদণ্ডী প্রাণী উভয়ই রয়েছে।
উদাহরণ:-
মেরুদণ্ডী প্রাণী: এদের মেরুদণ্ড থাকে যেমন মাছ, পাখি, স্তন্যপায়ী প্রাণী ইত্যাদি।
অমেরুদণ্ডী প্রাণী: – এদের কোন মেরুদণ্ড নেই যেমন পোকামাকড়, পিঁপড়া, জেলিফিশ, কৃমি ইত্যাদি
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
অমেরুদণ্ডী প্রাণীর শ্রেণিবিন্যাস
উত্তর: যেসব প্রাণীর শিরদাঁড় বা মেরুদণ্ড নেই তাদের অমেরুদণ্ডী প্রাণী বলে। যেমন- তেলাপোকা, কেঁচো, চিংড়ি, ঝিনুক, কাঁকড়া, মাছি ইত্যাদি। অমেরুদণ্ডী প্রাণীর নয়টি প্রধান উপপর্ব রয়েছে। যথা- ১) পরিফেরা, ২) নিডেরিয়া, ৩) প্লাটিহেলমিন্থেস, ৪) নেমাটোডা, ৫) মোলাস্কা, ৬) অ্যানিলিডা, ৭) অর্থোপোডা, ৮) একোটাপ্রোকটা, ৯) একাইনোডার্মাটা।
কর্ডাটা পর্বের শ্রেণিবিন্যাস
Subphylum-1 : Urochordata
(oura = লেজ + chorda = রজ্জু)
বৈশিষ্ট্য
১. পরিণত প্রাণীতে নটোকর্ড থাকে না। লার্ভা দশায় কেবল লেজে নটোকর্ড থাকে।
২. পরিণত প্রাণী নিশ্চল এবং স্থায়ীভাবে নিমজ্জিত কোন বস্তুর সঙ্গে আটকানো থাকে, কিন্তু লার্ভা মুক্ত সাঁতারু।
৩. দেহ সেলুলোজ নির্মিত টিউনিক বা টেস্ট নামক আচ্ছাদনে আবৃত।
৪. সকলেই সামুদ্রিক এবং সমুদ্রের তলদেশে একক বা কলোনি গঠন করে বাস করে।
Subphylum Urochordata নিচে বর্ণিত তিনটি Class বা শ্রেণীতে বিভক্ত
Class-1: Ascidiacea (অ্যাসিডিসিয়া) :
এ শ্রেণীভূক্ত প্রাণীর দেহ স্ফীতকার বা নলাকার দেহের আবরণ স্থায়ী, পুরু ও অর্ধস্বচ্ছ। পরিণত প্রাণীতে লেজ থাকে না। যেমন- Ascidia mentula, Hardmania momus প্রভৃতি।
Class-2: Thaliacea (থ্যালিয়েসিয়া) :
এ শ্রেণীভূক্ত সদস্যরা দেখতে লেবু বা পিপে আকৃতির। দেহের আবরণ পাতলা ও স্বচ্ছ। পরিণত প্রাণী লেজবিহীন। যেমন- Salpa maxima, Pyrosoma atlanticum প্রভৃতি।
Class-3: Larvacea (লার্ভেসিয়া) :
এ শ্রেণীর প্রজাতিরা বাঁকা ব্যাঙাচি আকৃতির। আবরণ সামরিক জিলেটিন এর মত ও স্বচ্ছ। পরিণত প্রাণী থাকে না। যেমন- Oikopleura dioca, Appendicularia প্রভৃতি।
Subphylum -2: Cephalochordata
( kephale = মাথা + chorda = রজ্জু)
বৈশিষ্ট্য
১. দেহ লম্বা, পার্শ্বীয়ভাবে চাপা ও স্বচ্ছ এবং উভয় প্রান্ত সরু।
২. দেহের সামনে অঙ্কীয়ভাবে ওরাল হুড (oral hood) এবং ওরাল সিরি (oral cirri) থাকে।
৩. আজীবন স্থায়ী নটোকর্ড ও নার্ভকর্ড (স্নায়ুরজ্জু) দেহের সম্মুখ থেকে পশ্চাতপ্রান্ত পর্যন্ত প্রসারিত।
৪. গলবিলে অসংখ্য ফুলকা রন্ধ্র উপস্থিত, ফুলকাগুলো অ্যাট্রিয়াম (atrium) – এ উন্মুক্ত।
৫. দেহের দুপাশে “>” আকারের মায়াটোম পেশি পরপর সজ্জিত।
Subphylum -3 Vertebrata (ভার্টিব্রাটা; মেরুদণ্ডবিশিষ্ট)
বৈশিষ্ট্য
১. নটোকর্ড অস্থিময় বা তরুণাস্থিময় কশেরুকা বিশিষ্ট মেরুদণ্ড দিয়ে প্রতিস্থাপিত।
২. পৃষ্ঠীয় ফাঁপা স্নায়ুরজ্জু মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকান্ড গঠন করে।
৩. অস্থিময় বা তরুণাস্থিময় কশেরুকা সুষুম্নাকাণ্ডকে ঘিরে রাখে এবং কঙ্কাল সম্মুখ প্রান্তে পরিবর্তিত হয়ে করোটি (skull) গঠনের মাধ্যমে মস্তিষ্ককে সুরক্ষিত রাখে।
৪. গলবিলীয় উভয় পাশে ৫-১৫ জোড়া ফুলকা রন্ধ্র থাকে। উন্নত মেরুদণ্ডীতে গলবিলীয় ফুলকারন্ধ্র কেবল ভ্রূণদশায় উপস্থিত থাকে।
৫. পার্শ্বীয় জোর উপাঙ্গ (পাখনা বা পদ) চলন অঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
Vertebrata দুটি বা Superclass অধিকশ্রেণীতে বিভক্ত :
1) Cyclostomata
2) Gnathostomata
Superclass-1 : Cyclostomata
(cyclos = round, গোল + stoma = mouth, মুখ)
Class-1 : Myxini (মিক্সিনি; myxa = slime, পিচ্ছিল আবরণ)
এ শ্রেণীভূক্ত মাছগুলো হ্যাগফিশ (hagfish) নামে পরিচিত ।
বৈশিষ্ট্য
১. দেহ আঁশবিহীন, পিচ্ছিল গ্রন্থিযুক্ত ত্বকে আবৃত, পৃষ্ঠীয় পাখনাবিহীন।
২. মুখ প্রান্তে অবস্থিত এবং চার জোড়া কর্ষিকায় পরিবৃত।
৩. গলবিল এর দু’পাশে মোট 5 থেকে 15 জোড়া ফুলকারন্ধ্র অবস্থিত।
৪. হ্যাগফিশ এর নাসিকা-থলি মুখবিবরে উন্মুক্ত।
৫. কোনো লার্ভা দশা নেই।
Class-2 : Petromyzontida (পেট্রোমাইজনটিডা; petros = stone, পাথর + myzon = sucking, চোষণ)
বৈশিষ্ট্য
১. পরিণত ল্যামপ্রের দেহ সরু, দেখতে বাইন মাছের মতো, আঁশবিহীন, একটি বা দুটি পৃষ্ঠীয় পাখনা যুক্ত।
২. মৌখিক চাকতিটি (oral disc) চোষকের ভূমিকা পালন করে। এর চারদিকে কেরাটিনময় দাঁত অবস্থান করে।
৩. পৃথক ফুলকা রন্ধ্রসহ সাত জোড়া ফুলকা রয়েছে।
৪. ল্যামপ্রেরের নাসিকা-থলি মুখ বিবরে উন্মুক্ত নয়।
৫. লার্ভা দশা আছে।
Superclass – 2 : Gnathostomata
(gnathos = jaw, চোয়াল + stoma = mouth মুখ)
এসব প্রাণীকে ৭টি Class বা শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
Class-1 : Chondrichthyes (chondros = cartilage, তরুণাস্থি + ichthys = fish মাছ)
বৈশিষ্ট্য
১. দেহ অসংখ্য ক্ষুদ্র প্ল্যাকয়েড (placoid); নামক সূক্ষ কাঁটার মতো আঁশে আবৃত।
২. অন্তঃকঙ্কাল সম্পূর্ণ তরুণাস্থিময়।
৩. মাথার দুপাশে ৫-৭ জোড়া ফুলকা রন্ধ্র পৃথকভাবে দেহের বাইরে উন্মুক্ত।
৪. পুচ্ছ-পাকনা হেটারোসার্কাল (heterocercal) ধরনের; অর্থাৎ পুচ্ছ-পাখনার অংশ দুটি অসমান।
৫. মুখছিদ্র ও নাসারন্ধ্র মস্তকের অঙ্কীয়দেশে অবস্থিত। চোয়ালে অসংখ্য সারিবদ্ধ দাঁত থাকে।
Class-2: Actinopterygii
বৈশিষ্ট্য
১. ত্বক গ্রন্থিময় এবং সাধারণত সাইক্লয়েড (cycloid; গোলাকার) বা টিনয়েড (ptenoid; কাঁটাযুক্ত) ধরনের আইছে আবৃত। কিছু ক্ষেত্রে আঁশ নেই।
২. অন্তঃকঙ্কাল অস্থিময়।
৩. মাথার দুপাশে একটি করে ফুলকারন্ধ্র অবস্থিত কানকো (operculum) দিয়ে আবৃত।
৪. পৌচ্ছিক-পাখনা হেমোসার্কাল (homocercal) ধরনের অর্থাৎ পুচ্ছ পাখনা অংশ দুটি সমান এবং রশ্মিযুক্ত।
৫. বায়ুথলি বা পটকা (swim bladder) দেহকে পানিতে ভেসে থাকতে সাহায্য করে।
Class-3 : Sarcopterygii (সার্কোপটেরিজি)
(sarkos = flesh, মাংসল + ptryx = fin, পাখনা)
পিশুকার-পাখনা বিশিষ্ট মাছ (lobe-finned fishes) বলে। বর্তমানে মাত্র 8 প্রজাতির মাছ জীবিত আছে। লাংফিশ (lungfish), সিলাকান্থ (Ceolacanth)।
বৈশিষ্ট্য
১. দেহ গ্যানয়েড (ganoid; বহিঃস্তর গ্যানয়েনে গঠিত) ধরনের আঁইশে আবৃত।
২. অন্তঃকঙ্কাল অস্থিময়।
৩. মাথার দুপাশে একটি করে ফুলকা রন্ধ্র থাকে যা কানকো দিয়ে আবৃত।
৪. এদের পটকা (swim bladder) রক্ত-জালিকা সমৃদ্ধ এবং শ্বসন ও ভেসে থাকতে সাহায্য করে।
৫. লেজ ডাইফাসার্কাল (diphycercal) ধরনের অর্থাৎ পুচ্ছপাখনার অংশ দুটি একীভূত হয়ে অভিন্ন ও নমনীয় পাখনা হিসেবে লেজ ঘিরে অবস্থিত।
Class-4 : Amphibia (অ্যাম্ফিবিয়া)
(amphi = both উভয় + bios = life ,জীবন)
বৈশিষ্ট্য
১. গ্রন্থিময় ত্বক বিশিষ্ট এক্টোথার্মিক (ectothermic; দেহের তাপমাত্রা পরিবেশের তাপমাত্রার সাথে উঠানামা করে) চতুষ্পদী মেরুদন্ডী প্রাণী। লার্ভা অবস্থায় জলচর কিন্তু পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় জলচর বা স্থলচর।
২. ত্বক মসৃণ, আর্দ্র, গ্রন্থিময়; সাহায্য করে।
৩. অগ্রপদে চারটি ও পশ্চাৎপদ পাঁচটি করে নখরবিহীন আঙ্গুল থাকে।
৪. লার্ভা দশায় ফুলকা ও পরিণত অবস্থায় ফুসফুস ত্বক ও মুখ বিবর্ণ মিউকাস ঝিল্লির মাধ্যমে শ্বসন ঘটে।
বইটি ২য় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। MCQs সম্পূর্ণভাবে অধ্যায়ের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয় প্রতিটি অধ্যায়ের সিলেবাসের বিষয়বস্তু MCQs এর আগে উল্লেখ করা হয় সম্পূর্ণ সিলেবাস অনুসরণ করে প্রতিটি মক টেস্টে 55 নম্বর থাকে ভুল উত্তরের জন্য কোনো নেতিবাচক মার্কিং নেই।
FAQ’s | শ্রেণীবিভাগের পাঁচটি রাজ্য ব্যবস্থা
অমেরুদণ্ডী প্রাণীর শ্রেণিবিন্যাস
উত্তর: যেসব প্রাণীর শিরদাঁড় বা মেরুদণ্ড নেই তাদের অমেরুদণ্ডী প্রাণী বলে। যেমন- তেলাপোকা, কেঁচো, চিংড়ি, ঝিনুক, কাঁকড়া, মাছি ইত্যাদি। অমেরুদণ্ডী প্রাণীর নয়টি প্রধান উপপর্ব রয়েছে। যথা- ১) পরিফেরা, ২) নিডেরিয়া, ৩) প্লাটিহেলমিন্থেস, ৪) নেমাটোডা, ৫) মোলাস্কা, ৬) অ্যানিলিডা, ৭) অর্থোপোডা, ৮) একোটাপ্রোকটা, ৯) একাইনোডার্মাটা।