স্ট্যান্ডার্ড ফর্ম বা বৈজ্ঞানিক স্বরলিপি কি?

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

WBBSE Padarth Vigyan Standard Form | Model Activity Task Class 10 Part 8 Physical Science | Question Answer, স্ট্যান্ডার্ড ফর্ম বা বৈজ্ঞানিক স্বরলিপি কি?

উপরিউক্ত প্রশ্ন এবং তার যথাযত সমাধান, নিম্ন লিখিত সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর আকারে বর্ণনা করা হলো। এই উত্তর গুলি বহুবিকল্প (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত (VSA), ছোট (SA) এবং বড় (LA), সকল প্রশ্নোর ক্ষেত্রে উত্তর সমাধান হিসাবে পাঠ করা যেতে পারে।

প্রশ্নোত্তর এবং সমাধান

বৈজ্ঞানিক স্বরলিপি:

বৈজ্ঞানিক স্বরলিপি হল সংখ্যা লেখার একটি উপায় যেগুলি খুব বড় বা খুব ছোট যা সহজেই দশমিক আকারে লেখা যায়।

ব্যাখ্যা

একটি বড় বা ছোট সংখ্যা ‘N’ প্রকাশ করা যেতে পারে একটি সংখ্যা ‘M’ এবং 10 লাইক এর শক্তি দিয়ে |

N=M x 10n

যেখানে ‘M’ এমন একটি সংখ্যাকে প্রতিনিধিত্ব করে যার প্রথম সংখ্যাটি একটি অ-শূন্য সংখ্যা এবং ‘n’ 10 এর শক্তিকে প্রতিনিধিত্ব করে যা ধনাত্মক বা ঋণাত্মক হতে পারে।

উদাহরণ

চাঁদের ভর প্রায় 70,000,000,000,000,000,000,000 kg, যা আদর্শ আকারে বা বৈজ্ঞানিক নোটেশনে 7 x 1022 kg।

একইভাবে, পারমাণবিক নিউক্লিয়াসের ব্যাস প্রায় 0.000000000000001m, যা একটি আদর্শ ফর্ম বা বৈজ্ঞানিক স্বরলিপি হল 1 x 10-14 মি

পারমাণবিক গুরুত্ব কাকে বলে, পারমাণবিক গুরুত্ব

মৌলিক পদার্থের পরমাণু অত্যন্ত ক্ষুদ্র। পরমাণুগুলো আকারে এত ছোট হয় যে, পরমাণুর ভর বা ওজন পরিমাপ করা দুরূহ ব্যাপার। কিন্তু ডাল্টনের পরমাণুবাদ অনুসারে প্রতিটি মৌলের পরমাণুর একটি নির্দিষ্ট ভর আছে। যেমন সবচেয়ে হালকা মৌল হাইড্রোজেনের একটি পরমাণুর ভর 1.670 × 10-24 গ্রাম এবং সবথেকে ভারী মৌল ইউরোনিয়ামের একটি পরমাণুর ভর 3.95 × 10-22 গ্রাম।

এ থেকে আমরা সহজেই ধারণা করতে পারি যে, প্রচলিত তুলাদন্ড ও তার বাটখারা সাহায্যে পরমাণুকে মাপা দুঃসাধ্য ব্যাপার। অর্থাৎ তুলাদন্ড ও বাটখারা দিয়ে পরমাণুর ভরকে মাপা যায় না। কিন্তু কোন একটি পরমাণুর ভরকে একক ধরে অপর যে কোন মৌলের একটি পরমাণুর আপেক্ষিক ওজন নির্ণয় করা যায়। সেই জন্য বিজ্ঞানীরা পরোক্ষভাবে পরমাণুর ওজন স্থির করেছেন। এই আপেক্ষিক ওজনকেই মৌলের পারমাণবিক ওজন বা পারমাণবিক গুরুত্ব বলে।

পারমাণবিক গুরুত্বের সূত্র

পারমাণবিক গুরুত্ব = ( মৌলের একটি পরমাণুর ওজন ) / ( হাইড্রোজেনের একটি পরমাণুর ওজন )
নাইট্রোজেনের পারমাণবিক গুরুত্ব 14 । অর্থাৎ নাইট্রোজেনের একটি পরমাণু হাইড্রোজেনের একটি পরমাণুর চেয়ে 14 গুণ ভারী।

পারমাণবিক ভর কাকে বলে

পারমাণবিক ভর হল দুটি ভরের অনুপাত। কোন মৌলের একটি পরমাণুর ভর কার্বন–12 আইসোটোপের ভরের 1/12 অংশের যতগুণ ভারী তত সংখ্যাকে ঐ মৌলের পারমাণবিক ভর বলে। পারমাণবিক ভরের কোন একক নেই।

রাসায়নিক গণনায় পারমাণবিক ভরের প্রয়োজনীয়তা

  • পরমাণুর ভরসমূহের মাধ্যমে কোন যৌগের শতকরা সংযুতি নির্ণয় করা যায়।
  • পরমাণুর ভর ব্যবহার করে আণবিক ভর নির্ণয় করা যায়।
  • এর সাহায্যে কোন বস্তুর পরিমাণযোগ্য ধারণা লাভ করা যায়।
  • পারমাণবিক ভর জানা থাকলে একটি পরমাণুর ভরের মাধ্যমে অপর পরমাণুর ভর নির্ণয় করা যায়।
  • রসায়নের বিভিন্ন পরীক্ষামূলক কাজের জন্য পরমাণুর ভরের প্রয়োজন হয়।
  • আধুনিক রসায়নে কোন মৌলের পরমাণুর ভর নির্ণয় করার জন্য কার্বন -12 আইসোটোপের পরমাণুর ভরকে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
  • পারমাণবিক ভর থেকে কতগুলো মৌলের বিভিন্ন ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়।
  • পরমাণুর ঘনত্ব, গলনাঙ্ক, স্ফুটনাঙ্ক ইত্যাদি নির্ধারণ করা যায়।

ভারতের পারমাণবিক শক্তির জনক কে, ভারতের পারমাণবিক শক্তির জনক কাকে বলা হয়

হোমি জাহাঙ্গীর ভাবাকে ‘ভারতীয় পারমাণবিক কর্মসূচির জনক’ বলা হয়। তিনি একজন ভারতীয় পরমাণু পদার্থবিদ ছিলেন যিনি ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার এবং টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

আসলে বিজ্ঞানী ভাবা ছিলেন একাধারে বিশ্বমানের গবেষক, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, গণিতবিদ, সঙ্গীতজ্ঞ, চিত্রকর, দক্ষ প্রশাসক, প্রতিষ্ঠান-নির্মাতা। যদি একই ব্যক্তির মধ্যে আমরা এই সবগুলো গুণের সমন্বয় দেখি, তখন তাকে অবাস্তব কাল্পনিক চরিত্র বলে মনে হয়। কিন্তু কল্পনা নয়, হোমি জাহাঙ্গির ভাবা ছিলেন এমনই একজন বিরল সত্যিকারের মানুষ।

পারমাণবিক এনপিটি কি

NPT -Treaty on the Non-Proliferation of Nuclear Weapons.

পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার নিয়ন্ত্রন চুক্তি।

পারমাণবিক অস্ত্রের প্রসার রোধের উদ্দেশ্যে একটি চুক্তি পত্র। 1968 সালের 1জুলাই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্র সংখ্যা 189 টি।তার মধ্যে পাঁচটি রাষ্ট পরমাণু শক্তিধর, যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য,ফ্রান্স,চীন ও রাশিয়া। এরা রাষ্ট্র সংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

ভৌতবিজ্ঞান ও পরিবেশ সহায়িকা –
ক্লাস 9

পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (WBBSE) দ্বারা নির্ধারিত শারীরিক বিজ্ঞান এবং পরিবেশের ক্লাস নাইন সিলেবাসের উপর ভিত্তি করে সান্ট্রা ট্যালেন্ট বুস্টার সিরিজের একটি খাঁটি বাংলা সংস্করণ স্ব-অধ্যয়ন বই

ভারতের পারমাণবিক শক্তির জনক কাকে বলা হয়

হোমি জাহাঙ্গীর ভাবাকে ‘ভারতীয় পারমাণবিক কর্মসূচির জনক’ বলা হয়। তিনি একজন ভারতীয় পরমাণু পদার্থবিদ ছিলেন যিনি ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার এবং টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।