Site icon prosnouttor

শব্দ কাকে বলে

শব্দ কাকে বলে

শব্দ কাকে বলে

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

শব্দ কাকে বলে

এক বা একাধিক ধ্বনি একত্রিত হয়ে যদি কোন অর্থ প্রকাশ করে সাধারণত তখন তাকে বলা হয় শব্দ । যেমন- বল, কলম, আম প্রভৃতি ।

আমরা শব্দ কাকে বলে এর উত্তরে বলতে পারি , মানুষের কন্ঠনিঃসৃত অর্থবোধক ধ্বনি বা ধ্বনি সমষ্টিকে বলা হয় শব্দ ।

সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে

একটা ধ্বনি, অথবা একাধিক ধ্বনির সমষ্টি, যখন কোন বস্তু বা ভাবকে প্রকাশ করে, তখন সেই ধ্বনি বা ধ্বনি – সমষ্টিকে শব্দ বলে।

অন্যভাবে বলা যায়, অর্থপ্রকাশক ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি অথবা তার লিখিত রূপকে শব্দ বলে।

এক বা একাধিক ধ্বনির সম্মিলনে তৈরি অর্থবোধক ও উচ্চারণ যোগ্য একককে বলা হয় শব্দ। অর্থাৎ ধ্বনির অর্থপূর্ণ মিলন ঘটলে তাকে শব্দ বলে।

এক বা একাধিক ধ্বনির সমন্বয়ে যদি কোনো নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশিত হয়, তবে তাকে শব্দ বলে।

শব্দের কত প্রকার ও কি কি :-

শব্দ কত প্রকার ও কি কি তা নিয়ে ভাষাতাত্ত্বিকদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। তবে তিন ভাবে শব্দের শ্রেণীবিভাগ করা যায়। যেমন –

  1. গঠন অনুসারে শব্দের শ্রেণীবিভাগ।
  2. অর্থ অনুসারে শব্দের শ্রেণীবিভাগ।
  3. উৎপত্তি অনুযায়ী শব্দের শ্রেণীবিভাগ।

নীচে এই বিভাগ গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

গঠন অনুসারে শব্দ কত প্রকার ও কি কি:-

শব্দের গঠন অনুসারে বাংলা শব্দ দু প্রকার –

  1. মৌলিক শব্দ ও
  2. সাধিত শব্দ।

মৌলিক শব্দ কাকে বলে, মৌলিক শব্দ কাকে বলে

যে শব্দকে বিশ্লেষণ করতে পারা যায় না, বা বিশ্লেষণ করলে ভাঙা অংশের কোনো অর্থ হয় না, তাকে মৌলিক শব্দ বলে। যেমন – মা, হাত, ঘোড়া— এগুলি মৌলিক শব্দ।

মৌলিক শব্দকে ‘স্বয়ংসিদ্ধ’ শব্দও বলে। কারণ, মৌলিক শব্দের অর্থ স্বতঃপ্রকাশিত ও চূড়ান্ত।

সাধিত শব্দ কাকে বলে

যে সকল শব্দকে বিশ্লেষণ করলে মৌলিক একটি অংশ পাওয়া যায়, তাকে সাধিত শব্দ বলা হয়।

অথবা আমরা বলতে পারি, যেসব শব্দকে বিশ্লেষণ করলে আলাদা অর্থবোধক শব্দ পাওয়া যায়, সেগুলোকে সাধিত শব্দ বলে।

সাধিত মানে সাধন বা তৈরি করা হয়েছে। যেমন – অজানা = (মুগ্ধ | ধাতু জান) অ জান্ + আ তেমনি ছেলেমি, রাখালি, হাতল প্রভৃতি।

একাধিক মৌলিক শব্দের যোগেও সাধিত শব্দ তৈরি হয়, যেমন – হাতপাখা = হাত+পাখা। তেমনি – জলপথ, দিনরাত, আশা আকাঙ্ক্ষা প্রভৃতি।

অর্থ অনুসারে শব্দ কত প্রকার ও কি কি :-

শব্দকে অর্থের দিক দিয়ে আবার তিন ভাগে বিভক্ত করা যায় –

  1. যৌগিক শব্দ,
  2. রূঢ়ি শব্দ এবং
  3. যোগরূঢ় শব্দ।

যৌগিক শব্দ

যে সমস্ত শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ এবং প্রচলিত অর্থ একই সেই সমস্ত শব্দকে যৌগিক শব্দ বলে। 

যেমন – জলজ, বনজ, পাঠক।

রূঢ়ি শব্দ

যে সমস্ত শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থের সঙ্গে প্রচলিত অর্থের মিল নেই, সেই সমস্ত শব্দকে রুঢ়ি শব্দ বলে।

আরো স্পষ্টভাবে বললে, যে শব্দে প্রকৃতি প্রত্যয়ের কোনও অর্থই প্রকাশিত না হয়ে লোকপ্রচলিত অন্য অর্থ প্রকাশিত হয়, তাকে ‘রূঢ়’ শব্দ বলে।

হরিণ শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ‘হরণকারী’ কিন্তু আদৌ সে অর্থে ব্যবহার না হয়ে ‘হরিণ’ পশুবিশেষকে বোঝাচ্ছে। তাই হরিণ ‘রূঢ়’ শব্দ।

রূঢ় শব্দের অন্যান্য উদাহরণ: মাংস, লাবণ্য, শ্বশুর, মণ্ডপ, বিবাহ, পলাশ, সন্দেশ (মিষ্টান্ন অর্থে) ইত্যাদি।

যোগরূঢ় শব্দ

যে সমস্ত শব্দে প্রচলিত অর্থ এবং ব্যুৎপত্তিগত অর্থ দুটিই বর্তমান থাকে, তবে মূল অর্থটি কিছুটা সংকুচিত থাকে, সেই শব্দকে যোগরূঢ় শব্দ বলে।

যেমন – ‘পঙ্কজ’ শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ‘পঙ্কে জন্মে যা’, কিন্তু প্রচলিত অর্থ ‘পদ্ম’। ‘পদ্ম’ও পঙ্কে জন্মে, সুতরাং এই জাতীয় শব্দে দুটি অর্থই বর্তমান।

অনুরূপ উদাহরণ জলদ (ব্যুৎপত্তিগত অর্থ : জল দান করে যা, প্রচলিত অর্থ : মেঘ); রাঘব (ব্যুৎপত্তিগত অর্থ : রঘুবংশজাত, প্রচলিত অর্থ : রামচন্দ্র)।

উৎপত্তি অনুযায়ী শব্দ কত প্রকার ও কি কি :-

শব্দকে উৎপত্তির দিক থেকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –

  1. তৎসম শব্দ
  2. অর্ধতৎসম শব্দ
  3. তদ্ভব শব্দ
  4. দেশি শব্দ ও
  5. বিদেশি শব্দ

তৎসম শব্দ, তৎসম শব্দ কাকে বলে

যে সমস্ত শব্দ প্রাচীন ভারতীয় আর্য বা সংস্কৃত ভাষা থেকে সরাসরি বাংলা ভাষায় এসেছে এবং অবিকৃত রূপে বাংলা ভাষায় টিকে আছে সেই সমস্ত শব্দ কে তৎসম শব্দ বলা হয়।

যেমন – পিতা, মাতা, শিক্ষালয়, আচার্য, শিক্ষক, সকল, পদ, ঘাস প্রভৃতি হল বাংলা শব্দ ভান্ডারের তৎসম শব্দের উদাহরণ।

এই তৎসম শব্দ কে আবার অনেক ভাষাতাত্ত্বিক দুই ভাগে ভাগ করেছেন। যথা- সিদ্ধতৎসম শব্দ ও অসিদ্ধতৎসম শব্দ

সিদ্ধতৎসম শব্দ

যেসব শব্দ বৈদিক বা সংস্কৃত সাহিত্যে পাওয়া যায় এবং যেগুলি ব্যাকরণ সিদ্ধ সেগুলিকে সিদ্ধতৎসম বলা হয়। 

যেমন – সূর্য, মিত্র, কৃষ্ণ, লতা, প্রভৃতি শব্দ।

অসিদ্ধতৎসম শব্দ

যে সকল শব্দ বৈদিক বা সংস্কৃত সাহিত্যে পাওয়া যায় না এবং সংস্কৃত ব্যাকরণ শুদ্ধ নয়, তাকে অসিদ্ধতৎসম শব্দ বলে। 

যেমন – কৃষাণ, ঘর, চল, ডাল, প্রভৃতি শব্দ।

অর্ধতৎসম শব্দ

যে সমস্ত শব্দ প্রাচীন ভারতীয় আর্য (বৈদিক/ সংস্কৃত) থেকে মধ্যবর্তী স্তর প্রাকৃতের মাধ্যমে না এসে সোজাসুজি বাংলা ভাষায় এসেছে এবং পরবর্তীকালে লোকমুখে কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত ও বিকৃতি লাভ করেছে তাকে অর্ধতৎসম শব্দ বলে।

যেমন – কৃষ্ণ থেকে কেষ্ট, নিমন্ত্রণ থেকে নেমন্তন্ন, ক্ষুধা থেকে খিদে, রাত্রি থেকে রাত্তির প্রভৃতি।

তদ্ভব শব্দ

যে সমস্ত শব্দ প্রাচীন ভারতীয় আর্য বা সংস্কৃতি থেকে সোজাসুজি বাংলা ভাষায় আসেনি মধ্যবর্তী প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তন লাভ করে বাংলা ভাষায় এসেছে তাদের তদ্ভব শব্দ বলা হয়।

খাঁটি বাংলার মূল শব্দ সম্পদ হল তদ্ভব শব্দ। এই শব্দ আবার দুই প্রকার। যথা, নিজস্ব তদ্ভব ও বিদেশি তদ্ভব।

নিজস্ব তদ্ভব

যেসব তদ্ভব শব্দ যথার্থই বৈদিক সংস্কৃতির নিজস্ব শব্দের পরিবর্তনের ফলে বাংলা ভাষায় এসেছে সেগুলিকে নিজস্ব তদ্ভব শব্দ বলা হয়ে থাকে।

যেমন – ইন্দ্রাগার > ইন্দাআর > ইন্দ্রা, উপাধ্যায় > উবজঝঅ > ওঝা, একাদশ > এগারহ > এগারো।

বিদেশি তদ্ভব শব্দ

যেসব শব্দ প্রথমে বৈদিক বা সংস্কৃত ভাষায় ইন্দো-ইউরোপীয় বংশের অন্য ভাষা থেকে বা ইন্দো- ইউরোপীয় ছাড়া অন্য বংশের ভাষা থেকে কৃতঋণ শব্দ হিসাবে এসেছিল এবং পরে প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তন লাভ করে বাংলায় এসেছে সে সব শব্দকে বিদেশি তদ্ভব শব্দ বলা হয়ে থাকে।

আগন্তুক বা কৃতঋণ শব্দ

যেসব শব্দ সংস্কৃতের নিজস্ব উৎস থেকে বা অন্য ভাষা থেকে সংস্কৃত হয়ে আসেনি, অন্য ভাষা থেকে সরাসরি বাংলা ভাষায় এসেছে সেই শব্দগুলিকে আগন্তুক শব্দ বা কৃতঋণ শব্দ বলা হয়।

এই আগন্তুক শব্দ কে আমরা দুই ভাগে ভাগ করে থাকি। যথা- দেশি শব্দ ও বিদেশি শব্দ।

দেশি শব্দ :- যেসব শব্দ আমাদের দেশের অন্যান্য ভাষা থেকে সোজাসুজি বাংলা ভাষায় প্রবেশ লাভ করেছে তাকে দেশি কৃতঋণ শব্দ বা দেশি শব্দ বলে।

এই দেশি কৃতঋণ শব্দ কে আবার দুইভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে –

অন আর্য দেশি শব্দ

এদেশীয় অস্ট্রিক, কোল বা দ্রাবিড়, ভাষা বংশ থেকে যেসব শব্দ সরাসরি বাংলা ভাষায় এসেছে তাকে অনূ আর্য দেশি শব্দ বলে।

যেমন – ডাব, ঝাঁটা, ঝোল, ডোম, ঝিঙ্গা, কুলা, কান্দি, মুড়ি, উচ্ছে, খুকি, ইত্যাদি।

আর্য দেশি শব্দ

যে সকল শব্দ ভারতীয় আর্য ভাষার অন্যান্য শাখা থেকে বাংলায় এসেছে তাকে আর্য দেশি শব্দ বলা হয়।

যেমন- হিন্দি সেলাম, মস্তান, ওস্তাদ, ইত্যাদি। গুজরাটি হরতাল ইত্যাদি।

বিদেশি শব্দ

যে সকল শব্দ এ দেশের বাইরের কোন ভাষা থেকে সরাসরি বাংলা ভাষায় প্রবেশ লাভ করেছে সেই শব্দগুলিকে বিদেশি শব্দ বলা হয়। যেমন –

যুক্তবর্ণ দিয়ে শব্দ গঠন

দুই বা ততধিক ব্যঞ্জনবর্ণের সংযুক্ত রূপ ও সমষ্টিকে যুক্তাক্ষর বা যুক্তবর্ণ বলে। যেমন: জ্ঞ= জ্+ঞ
উদাহরণ: বিজ্ঞান, অজ্ঞান, সজ্ঞা ইত্যাদি।

এরকম যুক্তবর্ণ দিয়ে বিভিন্ন রকমের শব্দ তৈরি করা হয়৷ 

নিচে যুক্তবর্ণের মাধ্যমে কয়েকটি শব্দ গঠনের উদাহরণ দেওয়া হলো।এই উদাহরণ গুলোর মাধ্যমে যে কেউ যুক্তবর্ণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে বলে আশা করি৷

যুক্তবর্ণযুক্তবর্ণ
1.  ক্ক = ক + ক; যেমন- আক্কেল, টেক্কা31.  গ্ল = গ + ল; যেমন- গ্লানি
2.  ক্ট = ক + ট; যেমন- ডক্টর32.  ঘ্ন = ঘ + ন; যেমন- কৃতঘ্ন
3.  ক্ট্র = ক + ট + র; যেমন- অক্ট্রয়33.  ঘ্য = ঘ + য; যেমন- অশ্লাঘ্য
4.  ক্ত = ক + ত; যেমন- রক্ত34.  ঘ্র = ঘ + র; যেমন- ঘ্রাণ
5.  ক্ত্র = ক + ত + র; যেমন- বক্ত্র35.  ঙ্ক = ঙ + ক; যেমন- অঙ্ক
6.  ক্ব = ক + ব; যেমন- পক্ব, ক্বণ36.  ঙ্ক্ত = ঙ + ক + ত; যেমন- পঙ্ক্তি
7.  ক্ম = ক + ম; যেমন- রুক্মিণী37.  ঙ্ক্য = ঙ + ক + য; যেমন- অঙ্ক্য
8.  ক্য = ক + য; যেমন- বাক্য38.  ঙ্ক্ষ = ঙ + ক + ষ; যেমন- আকাঙ্ক্ষা
9.  ক্র = ক + র; যেমন- চক্র39.  ঙ্খ = ঙ + খ; যেমন- শঙ্খ
10.  ক্ল = ক + ল; যেমন- ক্লান্তি40.  ঙ্গ = ঙ + গ; যেমন- অঙ্গ
11.  ক্ষ = ক + ষ; যেমন- পক্ষ41.  ঙ্গ্য = ঙ + গ + য; যেমন- ব্যঙ্গ্যার্থ, ব্যঙ্গ্যোক্তি
12.  ক্ষ্ণ = ক + ষ + ণ; যেমন- তীক্ষ্ণ42.  ঙ্ঘ = ঙ + ঘ; যেমন- সঙ্ঘ
13.  ক্ষ্ব = ক + ষ + ব; যেমন- ইক্ষ্বাকু43.  ঙ্ঘ্য = ঙ + ঘ + য; যেমন- দুর্লঙ্ঘ্য
14.  ক্ষ্ম = ক + ষ + ম; যেমন- লক্ষ্মী44.  ঙ্ঘ্র = ঙ + ঘ + র; যেমন- অঙ্ঘ্রি
15.  ক্ষ্ম্য = ক + ষ + ম + য; যেমন- সৌক্ষ্ম্য45.  ঙ্ম = ঙ + ম; যেমন- বাঙ্ময়
16.  ক্ষ্য = ক + ষ + য; যেমন- লক্ষ্য46.  চ্চ = চ + চ; যেমন- বাচ্চা
17.  ক্স = ক + স; যেমন- বাক্স47.  চ্ছ = চ + ছ; যেমন- ইচ্ছা
18.  খ্য = খ + য; যেমন- সখ্য48.  চ্ছ্ব = চ + ছ + ব; যেমন- জলোচ্ছ্বাস
19.  খ্র = খ+ র যেমন; যেমন- খ্রিস্টান49.  চ্ছ্র = চ + ছ + র; যেমন- উচ্ছ্রায়
20.  গ্ণ = গ + ণ; যেমন – রুগ্ণ50.  চ্ঞ = চ + ঞ; যেমন- যাচ্ঞা
21.  গ্ধ = গ + ধ; যেমন- মুগ্ধ51.  চ্ব = চ + ব; যেমন- চ্বী
22.  গ্ধ্য = গ + ধ + য; যেমন- বৈদগ্ধ্য52.  চ্য = চ + য; যেমন- প্রাচ্য
23.  গ্ধ্র = গ + ধ + র; যেমন- দোগ্ধ্রী53.  জ্জ = জ + জ; যেমন- বিপজ্জনক
24.  গ্ন = গ + ন; যেমন- ভগ্ন54.  জ্জ্ব = জ + জ + ব; যেমন- উজ্জ্বল
25.  গ্ন্য = গ + ন + য; যেমন- অগ্ন্যাস্ত্র, অগ্ন্যুৎপাত, অগ্ন্যাশয়55.  জ্ঝ = জ + ঝ; যেমন- কুজ্ঝটিকা
26.  গ্ব = গ + ব; যেমন- দিগ্বিজয়ী56.  জ্ঞ = জ + ঞ; যেমন- জ্ঞান
27.  গ্ম = গ + ম; যেমন- যুগ্ম57.  জ্ব = জ + ব; যেমন- জ্বর
28.  গ্য = গ + য; যেমন- ভাগ্য58.  জ্য = জ + য; যেমন- রাজ্য
29.  গ্র = গ + র; যেমন- গ্রাম59.  জ্র = জ + র; যেমন- বজ্র
30.  গ্র্য = গ + র + য; যেমন- ঐকাগ্র্য, সামগ্র্য, গ্র্যাজুয়েট60.  ঞ্চ = ঞ + চ; যেমন- অঞ্চ
যুক্তবর্ণের মাধ্যমে কয়েকটি শব্দ গঠনের উদাহরণ
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | সমার্থক শব্দ

Q1. সূর্য এর সমার্থক শব্দ

Ans – সূর্য শব্দটির সমার্থক শব্দ বা পতিশব্দ হচ্ছে – রবি, তপন, দিবাকর, ভাস্কর, প্রভাকর, ভানু, চিত্রভানু, আদিত্য ইত্যাদি ।

Q2. ছবি সমার্থক শব্দ

Ans – ছবি শব্দটির সমার্থক শব্দ বা পতিশব্দ হচ্ছে – প্রতিমূর্তি, প্রতিকৃতি, চিত্র, শোভা, কান্তি, দীপ্তি

Q3. মজা সমার্থক শব্দ

Ans – মজা শব্দটির সমার্থক শব্দ বা পতিশব্দ হচ্ছে – আস্বাদ, সুখ, কৌতুক; রঙ্গ, রগড়, উপাহাস

Q4. শরীর সমার্থক শব্দ

Ans – শরীর শব্দটির সমার্থক শব্দ বা পতিশব্দ হচ্ছে – কলেবর, গা, দেহ, অঙ্গ, তনু, গাত্র, বপু, গতর

Q5. সাগর সমার্থক শব্দ

Ans – সাগর শব্দটির সমার্থক শব্দ বা পতিশব্দ হচ্ছে – সমুদ্র, দরিয়া, সিন্ধু, অর্নব, জলনিধি, বারিধি, পারাবার,রত্নাকর, বারীন্দ্র, জলধি, পাথার, বারীশ, পয়োনিধি, তোয়ধি, বারিনিধি, অম্বুধি

Q6. বাতাস সমার্থক শব্দ

Ans – বাতাস শব্দটির সমার্থক শব্দ বা পতিশব্দ হচ্ছে – বায়ু, হাওয়া।

Q7. চাঁদ এর সমার্থক শব্দ

Ans – চাঁদ শব্দটির সমার্থক শব্দ বা পতিশব্দ হচ্ছে – চন্দ্র, চন্দ্রমা, ইন্দু, সুধাংশু, সিতাংশু, হিমাংশু হিমকর, বিধু, নিশাপতি , নিশাকর, সুধাকর, শশাঙ্ক, শশধর, শশী, সোম, মৃগাঙ্ক, দ্বিজরাজ , রজনীকান্ত, সিতকর, কলানাথ, কলানিধি, কুমুদনাথ।

Q8. নদী সমার্থক শব্দ

Ans – নদী শব্দটির সমার্থক শব্দ বা পতিশব্দ হচ্ছে – স্বাভাবিক জলপ্রবাহ, প্রবাহিণী, স্রোতস্বিনী, স্রোতস্বতী, তরঙ্গিনী, তটিনী।

Q9. আকাশ সমার্থক শব্দ

Ans – আকাশ শব্দটির সমার্থক শব্দ বা পতিশব্দ হচ্ছে – গগন, শুন্য, আসমান, অন্তরীক্ষ, নভঃ, অনন্ত, নভোমণ্ডল, ব্যোম।

Q10. সমুদ্র সমার্থক শব্দ

Ans – সমুদ্র শব্দটির সমার্থক শব্দ বা পতিশব্দ হচ্ছে – সাগর, অর্ণব, জলনিধি।

Q11. পাহাড় এর সমার্থক শব্দ

Ans – পাহাড় শব্দটির সমার্থক শব্দ বা পতিশব্দ হচ্ছে – গিরি, পর্বত, ভূধর, শৈল, নগ, অচল, মহীধর, শিখরী।

Q12. মেঘ সমার্থক শব্দ

Ans – মেঘ শব্দটির সমার্থক শব্দ বা পতিশব্দ হচ্ছে – আকাশে সঞ্চরণশীল বাষ্পরাশি, জলধর, জলদ, নীরদ; সঙ্গীতের রাগবিশেষ।

Q13. বাঘ সমার্থক শব্দ

Ans – বাঘ শব্দটির সমার্থক শব্দ বা পতিশব্দ হচ্ছে – শের, শার্দুল, ব্যাঘ্র।

Q14. জল সমার্থক শব্দ

Ans – জল শব্দটির সমার্থক শব্দ বা পতিশব্দ হচ্ছে – পানি, জল, উদক, আম্বু, নীর, মুখালালা, পুষ্কর, উদ, আম্ভ, উদকুম্ভ, প্রভৃতি জলক সমার্থক শব্দ।

Q15. পৃথিবী সমার্থক শব্দ

Ans – পৃথিবী শব্দটির সমার্থক শব্দ বা পতিশব্দ হচ্ছে – পৃথ্বী, ভূ, ভূমন্ডল, মহী, মেদিনী, ধরা, ধরিত্রী, ধরণী, বসুমতী, বসুন্ধরা, বসুধা, ক্ষিতি, জগৎ, মহৎ।

Q16. নৌকা সমার্থক শব্দ

Ans – নৌকা শব্দটির সমার্থক শব্দ বা পতিশব্দ হচ্ছে – নৌ, জলযান, তরি, তরণী।

Q17. পাখি সমার্থক শব্দ

Ans – পাখি শব্দটির সমার্থক শব্দ বা পতিশব্দ হচ্ছে – বিহগ, গরুড়, পক্ষী, পত্রী, পতগ, বিহঙ্গ, বিহঙ্গম, খেচর ইত্যাদি।

Q18. চাঁদ সমার্থক শব্দ

Ans – চাঁদ শব্দটির সমার্থক শব্দ বা পতিশব্দ হচ্ছে – চন্দ্র, চন্দ্রমা, ইন্দু, সুধাংশু, সিতাংশু, হিমাংশু হিমকর, বিধু, নিশাপতি , নিশাকর, সুধাকর, শশাঙ্ক, শশধর, শশী, সোম, মৃগাঙ্ক, দ্বিজরাজ , রজনীকান্ত, সিতকর, কলানাথ, কলানিধি, কুমুদনাথ।

Q19. মাঠ এর সমার্থক শব্দ

Ans – মাঠ শব্দটির সমার্থক শব্দ বা পতিশব্দ হচ্ছে – ময়দান, মাঠ, প্রান্তর।

Q20. বাবা সমার্থক শব্দ

Ans – বাবা শব্দটির সমার্থক শব্দ বা পতিশব্দ হচ্ছে – জনক, আব্বা, বাবা, জন্মদাতা ইত্যাদি।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে
Exit mobile version