- ক্ষমতা কাকে বলে, ক্ষমতার সংজ্ঞা দাও
- ক্ষমতা বা সক্ষমতা শ্রেণিবিভাগ
- ক্ষমতার বৈশিষ্ট্য
- জাতীয় ক্ষমতা কাকে বলে?
- ক্ষমতা কাকে বলে ক্ষমতার উপাদানগুলি কি কি, ক্ষমতা কাকে বলে ক্ষমতার উপাদানগুলি আলোচনা করো, জাতীয় ক্ষমতার মূল উপাদান গুলি কি কি?
- বহন ক্ষমতা কাকে বলে
- তড়িৎ ক্ষমতা কাকে বলে
- অশ্ব ক্ষমতা কাকে বলে
- ক্ষমতার একক কি
- ক্ষমতার মাত্রা কি, ক্ষমতার মাত্রা, ক্ষমতার মাত্রা নির্ণয় কর
- ক্ষমতার সূত্র
- জাতীয় ক্ষমতা কাকে বলে?
- জাতীয় ক্ষমতার মূল উপাদান গুলি কি কি?
- লেন্সের ক্ষমতা কাকে বলে
- লেন্সের ক্ষমতার একক কি
- বাফার ক্ষমতা কাকে বলে
- কার্য ক্ষমতা ও শক্তি, কাজ ক্ষমতা ও শক্তি, কার্য ক্ষমতা ও শক্তি MCQ
ক্ষমতা কাকে বলে, ক্ষমতার সংজ্ঞা দাও
সাধারণভাবে কাজ করার সামর্থ্যকে ক্ষমতা বলা হয়। এই ক্ষমতার অস্তিত্ব কেবলমাত্র কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্রেই উপলদ্ধি করা যায়।
ক্ষমতা সম্পর্কে উইলিয়ম স্টার্ন বলেছেন, ক্ষমতা বা সামর্থ্য হল জীবনের নতুন সমস্যা বা পরিস্থিতির সঙ্গে অভিযােজন করার উপায়।
ম্যাকডু গাল-এর মতে, ‘ক্ষমতা বা সামর্থ্য হল অভিনব পরিস্থিতিতে অভিযােজনের উপায়। এ ছাড়াও বলা যায়, ক্ষমতা হল কতকগুলি কর্মসম্পাদন কৌশলের অস্তিত্ব যা অন্যান্য কাজ করার কৌশল থেকে ভিন্ন হয়।
- কোনো ব্যক্তি বা যন্ত্রের দ্বারা একক সময়ে কার্য করাকে তার ক্ষমতা বলে।
- কার্য করার হারকে ক্ষমতা বলে।
- সময়ের সাপেক্ষে কার্য করাকে ক্ষমতা বলে।
- কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর কাজ করার হারকে ক্ষমতা বলে।
- একক সময়ে কার্য করাকে ক্ষমতা বলা হয়।
ক্ষমতা বা সক্ষমতা শ্রেণিবিভাগ
ব্রিটিশ মনােবিজ্ঞানী স্পিয়ারম্যান মানসিক ক্ষমতাকে দুটি ভাগে ভাগ করেছেন। যথা—
- (A) সাধারণ মানসিক ক্ষমতা বা সহজাত মানসিক ক্ষমতা
- (B) বিশেষ মানসিক ক্ষমতা বা অর্জিত মানসিক ক্ষমতা।
পিয়াজে বলেছেন, তিন প্রকার ক্ষমতার যথা—
- (A) শব্দার্থের ধারণামূলক একক ক্ষমতা
- (B) শ্রেণি সংক্রান্ত ক্ষমতা
- (C) সম্পর্ক সংক্রান্ত ক্ষমতা।
থাস্টোর্ন-এর তত্ত্ব অনুযায়ী ক্ষমতার ৭টি প্রকার রয়েছে যথা—
- (A) প্রত্যক্ষণের ক্ষমতা
- (B) ভাষাবােধের ক্ষমতা
- (C) সংখ্যা সংক্রান্ত ক্ষমতা
- (D) শব্দ ক্ষমতা
- (E) স্মরণ ক্ষমতা
- (F) যুক্তিশক্তি ক্ষমতা
- (G) স্থান প্রত্যক্ষণ-এর ক্ষমতা।
ক্ষমতার বৈশিষ্ট্য
- কর্মসম্পাদন: বিভিন্ন ধরনের কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্রে ক্ষমতার অস্তিত্ব দেখা যায়। ক্ষমতার বহুমুখী প্রয়ােগ ঘটিয়ে কর্মসম্পাদন করা যায়।
- স্বতন্ত্র: ক্ষমতা প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। তাই এটি স্বতন্ত্র ও নির্দিষ্ট।
- অভিযােজনে সক্ষমতা: ক্ষমতার জন্য মানুষ যে-কোনাে পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করে।
- দ্রুত কর্মসম্পাদন: ক্ষমতা মানুষের মধ্যে দক্ষতা নিয়ে আসে, যে কারণে কোনাে কাজে ব্যক্তি সক্ষম হলে ওই কাজ দ্রুত সম্পাদন করতে পারে।
- প্রয়ােগ: জ্ঞান, বােধ ও ইচ্ছার ক্ষেত্রে ক্ষমতার প্রয়ােগ দেখা যায়।
- সম্বন্ধ স্থাপন: কোনাে দুটি বস্তুর মধ্যে সম্বন্ধ নির্ণয় করতে ক্ষমতা কাজ করে।
- শিখন: ক্ষমতার দ্বারা ব্যক্তির স্বাতন্ত্র্য দক্ষতা নিয়ে আসে। এই দক্ষতার কারণে কোনাে বিষয় সম্পর্কে শিখন সহজ হয়।
- স্বাভাবিক বণ্টন: ক্ষমতার বণ্টন বিভিন্ন মানুষের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে বন্টিত থাকে। এ ছাড়াও থাকে বিশেষ কিছু ক্ষমতা যা সকলের জন্য সমানভাবে থাকে না।
জাতীয় ক্ষমতা কাকে বলে?
জাতীয় ক্ষমতার সংজ্ঞা: বিভিন্ন রাষ্ট্র দর্শনের বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ক্ষমতার সংজ্ঞা নির্দেশ করেছেন। লাস – অয়েল ও কাপলান ক্ষমতা বলতে বুঝিয়েছেন, ” সিদ্ধান্ত গ্রহণের কার্যকলাপে অংশগ্রহণ ” ( power the participation in the making of decision.)
রাসেলের মতে: ” আকাঙ্ক্ষিত বা প্রত্যাশিত ফলাফল উৎপাদনই ক্ষমতা “। ( Power is the production of intended effects.)
ক্ষমতা কাকে বলে ক্ষমতার উপাদানগুলি কি কি, ক্ষমতা কাকে বলে ক্ষমতার উপাদানগুলি আলোচনা করো, জাতীয় ক্ষমতার মূল উপাদান গুলি কি কি?
কোন একটি রাষ্ট্রের শক্তি বিভিন্ন প্রকার উপাদানের ওপর নির্ভর করে এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলি হল –
- ভৌগলিক অবস্থান: জাতীয় শক্তির প্রথম ও প্রধান উপাদান হল ভৌগোলিক অবস্থান। এটি একটি স্থায়ী উপাদান যার উপরে কোনো জাতির শক্তি নির্ভরশীল। এই উপাদানের মধ্যে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত তার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রের আয়তন, অবস্থান ভূপ্রকৃতি ও জলবায়ু।
- প্রাকৃতিক সম্পদ: প্রাকৃতিক সম্পদ বলতে প্রাকৃতিক পদ ও উপযোগিতা সম্পন্ন দ্রব্যকে বঝায়। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য সম্পদ ও বনজ সম্পদ না থাকলে যে কোন দেশের পক্ষে অসুবিধা সৃষ্টি হয়। প্রাকৃতিক সম্পদের মাধ্যমে এই দেশের শিল্পায়ন সম্ভব হয়।
- জনসংখ্যা: কোন রাষ্ট্রের শক্তি সেই রাষ্ট্রের জনসংখ্যার ওপর কিছু পরিমাণে নির্ভর করে। সামরিক শক্তি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট লোকবল প্রয়োজন। তবে জনসংখ্যা অধিক হলেই যথেষ্ট নয়, তাদের উৎপাদন ক্ষমতা, অর্থনৈতিক মান, উদ্যম, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ইত্যাদির উপর দেশের শক্তি নির্ভর করে।
- শিল্পের উন্নয়ন: আধুনিক যুগে কোদরাষ্ট্রের শিল্পায়ন ও প্রযুক্তিবিদ্যার অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন অর্থনৈতিক সামর্থ্য। অর্থনৈতিক অগ্রগতির মানদন্ড হিসেবে জনগণের উৎপাদন ক্ষমতা, মাথাপিছু আয়, জীবনযাত্রার মান ইত্যাদির কথা উল্লেখ করা যায়।
- মনস্তাত্ত্বিক উপাদান: কোন জাতির আত্মবিশ্বাস ও নৈতিক শক্তির উপর জাতীয় শক্তি নির্ভরশীল কোন জাতির আত্মবিশ্বাস দুর্বল হলে এবং জাতীয় স্বার্থ স্পেলে সেই জাতির পক্ষে শক্তিশালী হয়ে ওঠা সম্ভাব হয় না।
- অন্যান্য উপাদান: আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ক্ষমতা বা শক্তি আরও বেশ কতগুলো উপাদানের উপর নির্ভর করে। যেমন- রাষ্ট্রের জাতীয় চরিত্র, সরকার, আন্তর্জাতিক মর্যাদা ও অবস্থান, জাতীয় আত্মবিশ্বাস ইত্যাদির ওপর।
- কূটনীতি: মরগান থাউ- এর মতে, কূটনীতির গুণগত দিকটি হল ক্ষমতার উপাদানগুলোর মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ন। কূটনীতির ক্ষেত্রে সাফল্য ব্যতীত কোনো রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শক্তিশালী হতে পারে না।
- সামরিক শক্তি: সামরিকভাবে শক্তিশালী হলে সেই দেশ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ততই প্রভাবশালী হয়ে থাকে। সামরিক শক্তির গুণগত মানের উপর রাষ্ট্রের ক্ষমতা প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল। কোনো দেশ সামরিকভাবে শক্তিশালী হলে তাকে শত্রুপক্ষ আক্রমণ করতে ভয় পায়।
বহন ক্ষমতা কাকে বলে
একটি নির্দিষ্ট স্থানে ও সময়ে সর্বোচ্চ যে পরিমাণ জীব ধারণ করতে পারে তাকে বহন ক্ষমতা (বা ধারণ ক্ষমতা) বলে। অন্যকথায় বলা যায়, একটি নির্দিস্ট এলাকায় একটি নির্দিষ্ট সময়ে মোট যে পরিমাণ জীব (উদ্ভিদ ও প্রাণী) অবস্থান করতে তথা বসবাস করতে পারে যাতে করে তার পরিবেশীয় উপাদানসমূহ একটা ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে পারে তাকে বহন ক্ষমতা বলে।
কোন স্থানের জীবের সংখ্যা পরিবেশীয় বহন ক্ষমতা অতিক্রম করলে পরিবেশের ভারসাম্য (পরিবেশীয় উপাদানের মধ্যে) আর টিকে থাকতে পারে না ফলে জীবের খাদ্য ও পানীয় এর অভাব, স্থানের অভাব ইত্যাদি দেখা দেয়।
কোনো স্থানে জনসংখ্যার সর্বোচ্চ সীমাকে বহন ক্ষমতা বলে। এই সীমা অতিক্রম করলে জনসংখ্যা কোনো মতেই স্থায়ী হয় না।
তড়িৎ ক্ষমতা কাকে বলে
কোনো তড়িৎযন্ত্র প্রতি সেকেন্ড যে পরিমাণ তড়িৎশক্তি ব্যয় করে বা অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত করে তাকে বৈদ্যুতিক বা তড়িৎ ক্ষমতা বলে।
- একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্রের শক্তি রূপান্তরের হারকে সেই যন্ত্রের তড়িৎ ক্ষমতা বলে।
- কোনো তড়িৎ যন্ত্রের অন্যান্য শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করার হারকে তড়িৎ ক্ষমতা বলে।
- একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্রের শক্তি রূপান্তরের হারকে ঐ যন্ত্রের তড়িৎ ক্ষমতা বলে।
অশ্ব ক্ষমতা কাকে বলে
এককের আন্তর্জাতিক পদ্ধতি চালুর পূর্বে ক্ষমতার একটি ব্যবহারিক একক ছিল অশ্ব ক্ষমতা।
- অশ্বশক্তি হল ক্ষমতার একক যা একটি ইঞ্জিন কতটা শক্তিশালী তা পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি প্রায় ৭৪৬ ওয়াটের সমান।
- অশ্বশক্তি সর্বপ্রথম জেমস ওয়াট উপস্থাপন করেন, যিনি বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার করেছিলেন। যেহেতু মানুষ ঘোড়া ব্যবহার করতে অভ্যস্ত ছিল, এই শক্তির পরিমাণ সেই সময়ে অধিকাংশ লোক অনুমান করতে পারতেন।
- ছোট মোটর ১০ অশ্বশক্তি তৈরি করতে পারে যেখানে একটি জেট ইঞ্জিন ১০০০ অশ্বশক্তি তৈরি করতে পারে।
- ১ সেকেন্ডে ১ টি ঘোড়ার ৫০০ পাউন্ড পরিমানের ওজন মাটি থেকে ১ ফুট ওপরে উত্তলনের ক্ষমতাই ১ অশ্বক্ষমতা।
- ১ অশ্বক্ষমতা = ৭৪৬ ওয়াট
ক্ষমতার একক কি
S.I পদ্ধতিতে ক্ষমতার একক হল ওয়াট বা জুল/ সেকেন্ড।
C.G.S পদ্ধতিতে ক্ষমতার একক হল আর্গ / সেকেন্ড।
অশ্বক্ষমতা – ৫৫০ পাউন্ড ভরের কোন বস্তুকে অভিকর্ষের বিরুদ্ধে ১ সেকেন্ডে ১ ফুট উপরে তুলতে যে ক্ষমতার প্রয়োজন হয়, তাকে ১ অশ্বক্ষমতা বলে।
ক্ষমতার মাত্রা কি, ক্ষমতার মাত্রা, ক্ষমতার মাত্রা নির্ণয় কর
ক্ষমতা (Power) = কাজ/সময়
= বল × সরণ/সময়
= ভর × ত্বরণ × সরণ/সময়
= ভর × বেগ × সরণ/সময় × সময়
= ভর × সরণ × সরণ/সময় × সময় × সময়
= [ML2T−3]
- ক্ষমতার মাত্রা সমীকরণ [ML2T−3]
ক্ষমতার সূত্র
একক সময়ের কৃতকাজ দ্বারা ক্ষমতা পরিমাপ করা হয়। কোন ব্যক্তি t সময়ে W পরিমাণ কাজ সম্পাদন করলে ক্ষমতা P = w/t
জাতীয় ক্ষমতা কাকে বলে?
জাতীয় ক্ষমতার সংজ্ঞা: বিভিন্ন রাষ্ট্র দর্শনের বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ক্ষমতার সংজ্ঞা নির্দেশ করেছেন। লাস – অয়েল ও কাপলান ক্ষমতা বলতে বুঝিয়েছেন, ” সিদ্ধান্ত গ্রহণের কার্যকলাপে অংশগ্রহণ ” ( power the participation in the making of decision.)
রাসেলের মতে: ” আকাঙ্ক্ষিত বা প্রত্যাশিত ফলাফল উৎপাদনই ক্ষমতা “। ( Power is the production of intended effects.)
জাতীয় ক্ষমতার মূল উপাদান গুলি কি কি?
কোন একটি রাষ্ট্রের শক্তি বিভিন্ন প্রকার উপাদানের ওপর নির্ভর করে এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলি হল –
- ভৌগলিক অবস্থান: জাতীয় শক্তির প্রথম ও প্রধান উপাদান হল ভৌগোলিক অবস্থান। এটি একটি স্থায়ী উপাদান যার উপরে কোনো জাতির শক্তি নির্ভরশীল। এই উপাদানের মধ্যে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত তার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রের আয়তন, অবস্থান ভূপ্রকৃতি ও জলবায়ু।
- প্রাকৃতিক সম্পদ: প্রাকৃতিক সম্পদ বলতে প্রাকৃতিক পদ ও উপযোগিতা সম্পন্ন দ্রব্যকে বঝায়। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য সম্পদ ও বনজ সম্পদ না থাকলে যে কোন দেশের পক্ষে অসুবিধা সৃষ্টি হয়। প্রাকৃতিক সম্পদের মাধ্যমে এই দেশের শিল্পায়ন সম্ভব হয়।
- জনসংখ্যা: কোন রাষ্ট্রের শক্তি সেই রাষ্ট্রের জনসংখ্যার ওপর কিছু পরিমাণে নির্ভর করে। সামরিক শক্তি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট লোকবল প্রয়োজন। তবে জনসংখ্যা অধিক হলেই যথেষ্ট নয়, তাদের উৎপাদন ক্ষমতা, অর্থনৈতিক মান, উদ্যম, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ইত্যাদির উপর দেশের শক্তি নির্ভর করে।
- শিল্পের উন্নয়ন: আধুনিক যুগে কোদরাষ্ট্রের শিল্পায়ন ও প্রযুক্তিবিদ্যার অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন অর্থনৈতিক সামর্থ্য। অর্থনৈতিক অগ্রগতির মানদন্ড হিসেবে জনগণের উৎপাদন ক্ষমতা, মাথাপিছু আয়, জীবনযাত্রার মান ইত্যাদির কথা উল্লেখ করা যায়।
- মনস্তাত্ত্বিক উপাদান: কোন জাতির আত্মবিশ্বাস ও নৈতিক শক্তির উপর জাতীয় শক্তি নির্ভরশীল কোন জাতির আত্মবিশ্বাস দুর্বল হলে এবং জাতীয় স্বার্থ স্পেলে সেই জাতির পক্ষে শক্তিশালী হয়ে ওঠা সম্ভাব হয় না।
- অন্যান্য উপাদান: আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ক্ষমতা বা শক্তি আরও বেশ কতগুলো উপাদানের উপর নির্ভর করে। যেমন- রাষ্ট্রের জাতীয় চরিত্র, সরকার, আন্তর্জাতিক মর্যাদা ও অবস্থান, জাতীয় আত্মবিশ্বাস ইত্যাদির ওপর।
- কূটনীতি: মরগান থাউ- এর মতে, কূটনীতির গুণগত দিকটি হল ক্ষমতার উপাদানগুলোর মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ন। কূটনীতির ক্ষেত্রে সাফল্য ব্যতীত কোনো রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শক্তিশালী হতে পারে না।
- সামরিক শক্তি: সামরিকভাবে শক্তিশালী হলে সেই দেশ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ততই প্রভাবশালী হয়ে থাকে। সামরিক শক্তির গুণগত মানের উপর রাষ্ট্রের ক্ষমতা প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল। কোনো দেশ সামরিকভাবে শক্তিশালী হলে তাকে শত্রুপক্ষ আক্রমণ করতে ভয় পায়।
লেন্সের ক্ষমতা কাকে বলে
কোন লেন্সের একগুচ্ছ সমান্তরাল আলোক রশ্মিকে অভিসারী (উত্তল লেন্সের ক্ষেত্রে) বা অপসারী (অবতল লেন্সের ক্ষেত্রে) গুচ্ছে পরিণত করার সামর্থ্যকে ঐ লেন্সের ক্ষমতা বলে।
যদি কোনো লেন্স একগুচ্ছ সমান্তরাল আলোক রশ্মিকে বেশি পরিমাণে অভিসারিত বা অপসৃত করতে পারে, তবে তার ক্ষমতা বেশি আর যদি কম পরিমাণে অভিসারিত বা অপসৃত করতে পারে তবে তার ক্ষমতা কম।
লেন্সের ক্ষমতার একক কি
লেন্সের ক্ষমতার একক ডায়াপ্টার (D)।
বাফার ক্ষমতা কাকে বলে
কোনো বাফার দ্রবণের pH প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে তার বাফার ক্ষমতা বলে।
যে ক্ষমতার দরুন কোন দ্রবন থেকে ph কে পরিবর্তনের হাত থেকে রক্ষা করা হয় তাকে বাফার ক্ষমতা বলা হয়।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
কার্য ক্ষমতা ও শক্তি, কাজ ক্ষমতা ও শক্তি, কার্য ক্ষমতা ও শক্তি MCQ
Q1. S.I পদ্ধতিতে কার্যের অভিকর্ষজ একক কি ?
Ans – কিলোগ্রাম-মিটার
Q2. কার্য কি রাশি ?
Ans – স্কেলার রাশি
Q3. নদীর স্রোতের কোন শক্তি নৌকাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় ?
Ans – গতি শক্তি
Q4. নলকূপের হাতল কোন শ্রেণীর লিভার ?
Ans – প্রথম শ্রেণীর
Q5. কোনটি তৃতীয় শ্রেণীর লিভার?
Ans – মুখের চোয়াল
Q6. কোন পদ্ধতিতে শক্তির পরম একক জুল
Ans – S.I
Q7. কার্যের ব্যবহারিক একক কী ?
Ans – জুল।
Q8. ক্ষমতা কী ?
Ans – কার্য করার হারকে ক্ষমতা বলে।
Q9. ক্ষমতার ব্যবহারিক একক কী ?
Ans – ওয়াট।
Q10. শক্তি কী ?
Ans – কার্য করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে।
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন।