Site icon prosnouttor

তড়িৎ প্রবাহ কাকে বলে, তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে, তড়িৎ বিশ্লেষণ কাকে বলে

তড়িৎ প্রবাহ কাকে বলে, তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে, তড়িৎ বিশ্লেষণ কাকে বলে

তড়িৎ প্রবাহ কাকে বলে, তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে, তড়িৎ বিশ্লেষণ কাকে বলে

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

তড়িৎ প্রবাহ কাকে বলে

কোন পরিবাহকের যে কোন প্রস্থচ্ছেদ এর মধ্য দিয়ে একক সময়ে যে পরিমাণ আধান প্রবাহিত হয় তাকে তড়িৎ প্রবাহ বলে।

তড়িৎ প্রবাহ হয় তড়িতক্ষেত্র বা বর্তনীর দুই বিন্দুর বিভব পার্থক্যের কারণে। দুই বিন্দুর মধ্যে বিভব পার্থক্য থাকলে ঐ বিন্দুদ্বয়ে মুক্ত ইলেকট্রনের ঘনত্বের তারতম্য থাকে। ইলেকট্রনসমূহ সকলে একই ধরনের (ঋণাত্মক) আধানবিশিষ্ট হওয়ায় পরস্পরকে বিকর্ষণ করে এবং এই বিকর্ষণের ফলে বেশি ঘনত্বের অঞ্চল হতে কম ঘনত্বের অঞ্চলে ইলেকট্রনসমূহ প্রবাহের দ্বারা বিদ্যুৎপ্রবাহের সূত্রপাত ঘটে।

তড়িৎ প্রবাহ একক কি

তড়িৎ প্রবাহের এস. আই. একক হল অ্যাম্পিয়ার। প্রতি সেকেন্ডে এক কুলম্ব পরিমাণ আধান কোন প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হলে তাকে এক অ্যাম্পিয়ার বলে।

তড়িৎ প্রবাহ কত প্রকার ও কি কি

তড়িৎ প্রবাহ দুই প্রকার-

অপর্যায়বৃত্ত বা একমুখী বা ডিসি প্রবাহ

যখন সময়ের সাথে সাধারণত তড়িৎ প্রবাহের দিকের কোনো পরিবর্তন না ঘটে, অর্থাৎ যে তড়িৎ প্রবাহ সবসময় একই দিকে প্রবাহিত হয়, সেই প্রবাহকে অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বলে। তড়িৎ কোষ বা ব্যাটারি থেকে অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ পাওয়া যায়। আবার ডিসি জেনারেটরের সাহায্যেও এই প্রকার তড়িৎ প্রবাহ উৎপন্ন করা যায়।

পর্যায়বৃত্ত বা এসি প্রবাহ

যখন নির্দিষ্ট সময় পরপর তড়িৎ প্রবাহের দিক পরিবর্তিত হয়, সেই তড়িৎ প্রবাহকে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বলে। বর্তমান বিশ্বের সকল দেশের তড়িৎ প্রবাহই পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ। এর কারণ তুলনামূলকভাবে এটি উৎপন্ন ও সরবরাহ করা সহজ এবং সাশ্রয়ী। পর্যায়বৃত্ত প্রবাহের উৎস জেনারেটর বা ডায়নামো।

দেশের বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে জেনারেটরের সাহায্যে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ উৎপন্ন করা হয়। পর্যায়বৃত্ত প্রবাহের দিক পরিবর্তন দেশভেদে বিভিন্ন হয়। যেমন- বাংলাদেশে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ প্রতি সেকেন্ডে পঞ্চাশবার এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি সেকেন্ডে ষাটবার দিক পরিবর্তন করে।

তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে

অন্য কোন মৌলের পরমাণুর সঙ্গে সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ থাকা অবস্থায় , বন্ধন সৃষ্টিকারী ইলেকট্রন জোড় কে কোন মৌলের পরমাণু নিজের দিকে আকর্ষণ করার ক্ষমতাকে মৌলটি তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলা হয়।

সংজ্ঞা: কোনো মৌলের অণুতে পরমাণু কর্তৃক শেয়ারকৃত ইলেক্ট্রনযুগলকে নিজের দিকে আকর্ষণ করার তুলনামূলক ক্ষমতাকে সেই মৌলের তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলে।

কোনো অণুতে উপস্থিত দুটি পরমাণুর মধ্যে শেয়ারকৃত ইলেকট্রন যুগলকে একটি পরমাণুর নিজের দিকে আকর্ষণ করার ক্ষমতাকে তার তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলে।

তড়িৎ ঋণাত্মকতা, পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা, কেন্দ্র থেকে যোজন ইলেকট্রনের দুরত্ব ইত্যাদীর উপর নির্ভর করে। তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান যত বেশি হয় কোন রাসায়নিক সত্ত্বার (পরমাণু, অণু বা মূলক) নিজের দিকে ইলেকট্রন ঘনত্বকে টেনে নেয়ার ক্ষমতা ততই বৃদ্ধি পায়।

তড়িৎ বিশ্লেষণ কাকে বলে

তড়িৎ বিশ্লেষ্যের দ্রবণের মধ্যদিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত করার ফলে যে রাসায়নিক বিয়োজন ঘটে তাকে তড়িৎ বিশ্লেষণ (Electrolysis) বলে।

বিগলিত অবস্থায় বা জলীয় দ্রবণে কোন পদার্থের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহের ফলে রাসায়নিক পরিবর্তনকে তড়িৎ বিশ্লেষণ বলে।

তড়িৎ বিশ্লেষণের ব্যবহার

তড়িৎ বিশ্লেষণ মূলত ধাতু নিষ্কাশনে ব্যবহার হয়। অ্যালুমিনিয়াম, লিথিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং কপার এই পদ্ধতিতে নিষ্কাশন করা হয়। বিভিন্ন রাসায়নিক যৌগ যেমন, সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড, সোডিয়াম ক্লোরেট, পটাশিয়াম ক্লোরেট, ট্রাই ফ্লুরো অ্যাসেটিক এসিড তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে উৎপাদন করা হয়। এছাড়াও ক্লোরিন এবং হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপাদনে তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

এক ধাতুর ওপর আরেক ধাতুর প্রলেপ দেওয়ার জন্য তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

তড়িৎ বিশ্লেষণের কয়েকটি ব্যবহারিক প্রয়োগ

তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ার নানা ব্যবহারিক প্রয়োগ আছে। কয়েকটি প্রয়োগ নিম্নে আলোচনা করা হল :

একটি পাত্রে কিছু পানি নিয়ে তাতে সামান্য লবণ মিশানো হলো। এবার মেইন লাইনের তার দু’টির প্রান্ত পানির মধ্যে ডুবালে পানির তড়িৎ বিশ্লেষণ হবে। যে তার দিয়ে বেশি পরিমাণ গ্যাস নির্গত হবে-বুঝতে হবে যে ঐ গ্যাস হাইড্রোজেন এবং তারটি ঋণাত্মক। আর অপর তারটি হবে ধনাত্মক।

তড়িৎ বিভব কাকে বলে

কোনো পরিবাহীকে তড়িৎগ্রস্ত করলে,পরিবাহীটি অন্য পরিবাহীকে তড়িৎ দিতে পারে কিংবা অন্য পরিবাহী থেকে তড়িৎ নিতে পারে। পরিবাহীর এই রকম অবস্থাকে ওর তড়িৎ বিভব (Electric Potential) বলে।

সংজ্ঞা: কোনাে পরিবাহী তড়িদাহিত হলে ওই পরিবাহী অন্য কোনাে পরিবাহীকে তড়িৎ দিতে পারে কিংবা অন্য কোনাে পরিবাহী থেকে তড়িৎ নিতে পারে। পরিবাহীর এই রকম তড়িৎ অবস্থাকে ওর তড়িৎ বিভব বলা হয়।

তড়িৎ ক্ষেত্র কাকে বলে

তড়িৎ ক্ষেত্র সেই সকল অঞ্চলকে বলা হয়। যে অঞ্চল এর মধ্যে বৈদ্যুতি ভবে আহিত কনা যেখানে অবস্থান করে। তখন সেই স্থানের চারপাশে নির্দিষ্ট স্থান পর্যন্ত উক্ত আধান এর বলের প্রভাব বিরাজমান থাকে। আর সেই আধানযুক্ত থাকা নির্দিষ্ট অঞ্চল কে বলা হয়, তড়িৎ ক্ষেত্র। 

আর এই তড়িৎ ক্ষেত্র যখন নির্দিষ্ট একটি স্থানে বিরাজমান থাকে। তখন সেই আধান উক্ত স্থানে থাকা অন্যান্য যে সকল বস্তুু থাকে। সেই বস্তু গুলোর সাথে কখনও আর্কষন করে আবার কখনও কখনও বির্কষন করে। যাকে বলা হয়, আর্কষন বল এবং বির্কষন বল। আর উক্ত বৈদ্যুুতিক ক্ষেত্র যে নীতি মেনে চলে। সেই নীতির নাম হলো, উপরিনীতি।

সংজ্ঞা: কোন নির্দিষ্ট আহিত বস্তুর চারপাশে যখন নির্দিষ্ট অঞ্চল জুড়ে তড়িৎ বল এর প্রভাব বিরাজমান থাকে। তখন উক্ত বল এর প্রভাব বিরাজমান থাকা সেই অঞ্চল কে বলা হয়, তড়িৎ ক্ষেত্র। 

তড়িৎ লেপন কাকে বলে

তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া সাহায্য নিয়ে কম দামি ধাতু যেমনঃ লোহা বা সংকর ধাতুর (যেমন – পিতল) উপর অপেক্ষাকৃত দামি ধাতু (যেমন – সোনা, রুপা, ক্রোমিয়াম, নিকেল) এর প্রলেপ দেওয়া কে তড়িৎ লেপন বা ইলেকট্রোপ্লেটিং বলে।

তড়িৎ লেপন এর উদ্দেশ্য

তড়িৎ লেপন এর উদ্দেশ্য গুলি হল –

তড়িৎ লেপনের শর্ত

তড়িৎ ক্ষমতা কাকে বলে

কার্য করবার হারকে ক্ষমতা বলে । তড়িৎ-ক্ষমতা বলতে তড়িৎপ্রবাহের কার্য করবার হার-কে বোঝায় । বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ক্ষমতা ওয়াট (watt) নামক এককে প্রকাশ করা হয় । যে বৈদ্যুতিক যন্ত্র এক সেকেন্ডে (second) এক জুল (joule) কার্য করতে পারে, তার ক্ষমতাকে 1 ওয়াট বলা হয় । অর্থাৎ 1 ওয়াট = 1 জুল / সেকেন্ড ।

সংজ্ঞা: কোনো তড়িৎযন্ত্র প্রতি সেকেন্ড যে পরিমাণ তড়িৎশক্তি ব্যয় করে বা অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত করে তাকে বৈদ্যুতিক বা তড়িৎ ক্ষমতা বলে।

যেহেতু সম্পাদিত কার্য = ক্ষমতা x সময়; তাই P ক্ষমতা সম্পন্ন কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্র একটানা t সময় ধরে কার্য করলে, ওই যন্ত্র কর্তৃক সম্পাদিত কার্যের পরিমাণ ক্ষমতা (P) ও সময়ের (t) গুণফল থেকে পাওয়া যাবে । এ থেকে তড়িৎ-শক্তির বিভিন্ন একক গঠন করতে পারা যায় ।

যদি 1 ওয়াট ক্ষমতা 1 সেকেন্ডব্যাপী কার্য করে তবে যে শক্তি ব্যয়িত হয় তাকে 1 জুল বলা হয় । অর্থাৎ জুল = ওয়াট x সেকেন্ড ।  

তড়িৎ চুম্বক কাকে বলে

তড়িৎ প্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া ব্যবহার করে যে চুম্বক তৈরি করা হয় তাকে তড়িৎ চুম্বক বলে। অন্তরিত পরিবাহী তারের স্প্রিং এর ভিতরে কাঁচা লোহা বা ইস্পাতের দণ্ড প্রবেশ করিয়ে তড়িৎ চুম্বক তৈরি করা হয়। তারের ভিতর দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত করলে দণ্ডটি অস্থায়ী চুম্বকত্ব লাভ করে৷ এই অস্থায়ী চুম্বকই তড়িৎ চুম্বক।

সংজ্ঞা: সলিনয়েডের ভিতর কোনো কাঁচা লোহা বা ইস্পাতের দন্ড ঢুকিয়ে সলিনয়েডে তড়িৎ প্রবাহ চালালে দন্ডটি চুম্বকত্ব লাভ করে। এ ধরনের চুম্বককে তড়িৎ চৌম্বক বলে।

তড়িৎ চুম্বকের ব্যবহার

তড়িৎ চুম্বকের ব্যবহার নিচে দেয়া হলো:

তড়িৎ চুম্বক ব্যবহারের সুবিধা

শক্তিশালী স্থায়ী চুম্বক তৈরি করার খরচ বেশি। প্রকৃতিতেও শক্তিশালী স্থায়ী চুম্বক পাওয়া যায় না। কিন্তু অল্প খরচে শক্তিশালী তড়িৎ চুম্বক তৈরি করা যায়। তড়িৎ চুম্বকের চৌম্বক প্রাবল্যের মান সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

তড়িৎ চৌম্বকীয় বল কাকে বলে

সাধারনত, দুটি চার্জিত বা আহিত কণা যখন স্থিরাবস্থায় থাকে তখন তাদের মাঝে তড়িৎ বল কাজ করে।

কিন্তু এই কণাদ্বয় যখন গতিশীল হয় তখন তাদের মাঝে তড়িৎ বল ছাড়াও আরেকটি বল কাজ করে যা হলো চৌম্বক বল। এই দুইয়ের সমন্বয়ে যে বল তৈরি হয় সেটাই হলো তড়িৎ-চৌম্বকীয় বল।

সংজ্ঞা: দুটি আহিত কণা তাদের আধানের কারণে একে অপরের উপর যে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল প্রয়োগ করে, তাকে তড়িৎ চৌম্বক বল বলে।

1845 খ্রিষ্টাব্দে ফ্যারাডে আবিষ্কার করেন যে একটি প্রবল চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাব সমবর্তন তল ঘুরে যায়। এ ঘটনা ফ্যারাডে ক্রিয়া নামে পরিচিত।

তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য

তড়িৎ প্রাবল্য কাকে বলে

তড়িৎ ক্ষেত্রের কোন বিন্দুতে একক ধনাত্মক আধান স্হাপন করলে সেটি যে বেগ প্রাপ্ত হয় তাকে তড়িৎ প্রাবল্য বলে।

তড়িৎ ক্ষেত্রের কোন বিন্দুতে একটি ধনাত্মক চার্জ স্থাপন করলে সেটি যে বড় অনুভব করে তাকে ওই বিন্দুতে তড়িৎ প্রাবল্য বলে

তড়িৎ আবেশ কাকে বলে

চার্জিত বস্তুর উপস্থিতিতে অচার্জিত পরিবাহী ক্ষণস্থায়ীভাবে চার্জিত হওয়াক তড়িৎ আবেশ বলে। দুইটি বস্তুর পারস্পরিক ঘর্ষণের ফলে আধানের উদ্ভব হয়। আবার আহিত বস্তুকে অনাহিত বস্তুর সংস্পর্শে আনলে অনাহিত বস্তুটি আহিত হয়। কিন্তু অনাহিত বস্তুকে আহিত বস্তুর সংস্পর্শে না এনে শুধু কাছাকাছি নিয়ে এলেও এটি আহিত হয়।

সংজ্ঞা: একটি আহিত বস্তুর কাছে এনে স্পর্শ না করে শুধুমাত্র এর উপস্থিতিতে কোনো অনাহিত বস্তুকে আহিত করার পদ্ধতিকে তড়িৎ আবেশ বলে।

তড়িৎ বিশ্লেষ্য কাকে বলে

যে সকল রাসায়নিক পদার্থ দ্রবীভূত বা বিগলিত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করে তাদের তড়িৎ বিশ্লেষ্য বলে।

অর্থাৎ যেসকল পদার্থের দ্রবণের মধ্য দিয়ে তড়িৎ বা বিদ্যুত পরিবহণ করলে পদার্থটি বিয়োজিত হয় তাকেই তড়িৎ বিশ্লেষ্য বলে।

যেমন: সোডিয়াম ক্লোরাইড, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ও সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড।

তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ দুই প্রকার:

  1. মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ
  2. তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ

মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ

যে সকল পদার্থ দ্রাবকে আংশিক বিয়োজিত হয়ে তড়িৎ পরিবহন করে তাদেরকে মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য বলে। যেমনঃ দূর্বল এসিড (CH3COOH, H2CO3) এবং দূর্বল ক্ষার (NH4OH)।

তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ

গলিত অবস্থায় বা জলীয় দ্রবণে যে তড়িৎ বিশ্লেষ্যের বেশি সংখ্যক অণু আয়নে বিয়োজিত হয়, তাকে তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে । যেমন : হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, সোডিয়াম ক্লোরাইড, সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড ইত্যাদি ।

তড়িৎ বিশ্লেষ্যের বৈশিষ্ট্য

তড়িৎ বিশ্লেষ্যের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ

তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ কাকে বলে

তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ হল এমন একটি পদার্থ যা জলে দ্রবীভূত হয় আয়ন নামক কণায়। ইতিবাচক(+ve) চার্জ আয়নগুলি ক্যাটায়ন বলে। নেতিবাচকভাবে(-ve) চার্জ হওয়া আয়নগুলিকে অ্যানায়ন বলে। সহজভাবে, একটি তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ এমন একটি পদার্থ যা জলে গলে বা দ্রবীভূত হওয়ার সময় বৈদ্যুতিক প্রবাহ পরিচালনা করতে পারে।

সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্লোরাইড, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফেট ইলেক্ট্রোলাইটের উদাহরণ।

স্থির তড়িৎ কাকে বলে

যে তড়িৎ উৎপন্ন হওয়ার পরে একটি নির্দিষ্ট অংশে আবদ্ধ থাকে কিন্তু অন্য কোন জায়গায় যেতে পারেনা অর্থাৎ স্থির থাকে। এইরূপ তড়িৎ কে স্থির তড়িৎ বলে। আবার এই তড়িৎকে ঘর্ষণ তড়িৎও বলে। কারণ, এই তড়িৎ উৎপন্ন করার সময় ঘর্ষণের প্রয়োজন হয় বলে একে ঘর্ষণ তড়িৎও বলে।

স্থির তড়িৎ এর উদাহরণ : কখনো কখনো দেখা যায় যে, আমরা যখন মাথায় চিরুনি দেই, তখন চিরুনি মাথার চুলকে আকর্ষণ করছে। এটি সাধারণত স্থির তড়িৎ এর কারণেই হয়।

চল তড়িৎ কাকে বলে

যখন চার্জ পরিবাহীর মধ্য দিয়ে অনবরত চলতে থাকে তখন তাকে চলো তড়িৎ বলে । 

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | তড়িৎ

Q1. তড়িৎ প্রবাহ মাত্রা কি রাশি

Ans – কোনো পরিবাহীর যেকোনো প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে একক সময়ে কী পরিমাণ চার্জ প্রবাহিত হয় তা দ্বারা তড়িৎ প্রবাহ পরিমাপ করা হয়। সুতরাং সময়ের সাপেক্ষে কোনো পরিবাহীর যেকোনো প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে চার্জ প্রবাহের হারকে তড়িৎ প্রবাহ মাত্রা বলে।

Q2. তড়িৎ শক্তির একক কি

Ans – তড়িৎ শক্তির একক জুল।

Q3. তড়িৎ ফ্লাক্স কাকে বলে

Ans – তড়িৎক্ষত্রে কোনো পৃষ্ঠের মধ্য দিয়ে লম্বভাবে অতিক্রান্ত বলরেখার সংখ্যাকে তড়িৎ ফ্লাক্স বলে।

Q4. তড়িৎ পরিবাহিতার একক কি

Ans – তড়িৎ পরিবাহিতার একক সিমেন্স।

Q5. তড়িৎ বলরেখা কাকে বলে

Ans – কোনো তড়িৎক্ষেত্রে একটি ধনাত্মক আধান স্থাপন করলে এটি বল লাভ করবে। যদি আধানটি মুক্ত হয় তবে সেটি এই বল লাভের ফলে স্থির না থেকে একটি নির্দিষ্ট পথে চলবে। অর্থাৎ, তড়িৎক্ষেত্রে একটি মুক্ত ধনাত্মক আধান স্থাপন করলে এটি যে পথে পরিভ্রমণ করে তাকে তড়িৎ বলরেখা বলে।

Q6. তড়িৎ ক্ষেত্র কাকে বলে

Ans – আহিত বস্তুর চারিদিকে যে অঞ্চল জুড়ে তড়িৎ বলের প্রভাব বিদ্যমান থাকে তাকে সেই অঞ্চলকে ঐ বস্তুটির তড়িৎক্ষেত্র বলে

Q7. তড়িৎ যোজ্যতা কাকে বলে

Ans – ইলেকট্রন আদান প্রদানের মাধ্যমে যৌগ অণু গঠনের ক্ষমতাকে তড়িৎ যোজ্যতা বলে ।

Q8. তড়িৎ শক্তি কাকে বলে

Ans – তড়িৎ শক্তির সাহায্যে বিভিন্ন কাজ করা হয়। যেমন, রেলগাড়ি চালানো, পাখা ঘোরানো, আলো জ্বালানো ইত্যাদি। এ সব কাজ থেকে তড়িৎ শক্তির অস্তিত্ব বোঝা যায়। তাই, তড়িৎ একপ্রকার শক্তি।

Q9. তড়িৎ কোষ কাকে বলে

Ans – যে কোষে রাসায়নিক শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তর করা হয় তাকেই তড়িৎ কোষ বলে  ।

Q10. তড়িৎ দ্বিমেরু কাকে বলে

Ans – দুটি সমান কিন্তু বিপরীতধর্মী বিন্দু চার্জ অতি অল্প দূরত্বে অবস্থিত হলে তাকে তড়িৎ দ্বিমেরু বলে। এক্ষেত্রে কোনো লব্ধি চার্জ থাকে না।
আমরা যদি +q এবং –q চার্জ কে অল্প দূরুত্বে রেখে একটি সিস্টেম তৈরি করলে তাকে তড়িৎ দ্বিমেরু বলে।
NaCl একটি তড়িৎ দ্বিমেরু সিস্টেম। Na+ ও Cl– মিলে দ্বিমেরু তৈরি করে।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে
Exit mobile version