Site icon prosnouttor

ব্যাপন কাকে বলে

ব্যাপন কাকে বলে

ব্যাপন কাকে বলে

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

ব্যাপন কাকে বলে

ব্যাপন হচ্ছে কঠিন, তরল বা বায়বীয় পদার্থের স্বতঃস্ফূর্তভাবে অধিক ঘনত্বের অঞ্চল থেকে কম ঘনত্বের অঞ্চলে যাওয়ার প্রক্রিয়া। এছাড়াও ‘স্বাভাবিক বায়ুমন্ডলীয় তাপ ও চাপে কোনো বস্তুর কঠিন,তরল কিংবা বায়বীয় মাধ্যমে স্বতঃস্ফূর্ত ও সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাকে বাপন (Diffusion) বলে।

যেমন – ঘরের এক কোণে সেন্টের বোতল খোলা মুখে রাখলে তার থেকে সেন্টের সুগন্ধ পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে, এটি হলো গ্যাসীয় পদার্থের ব্যাপন। আবার তরল পানিতে কয়েক ফোটা তরল নীল বা তুঁতের দ্রবণ মেশানো হলে তা কিছুক্ষনের মধ্যেই পুরো পানিকে নীল বর্ণে পরিণত করে, এটিও ব্যাপনের উদাহরণ তবে তরল পদার্থের ৷ আর চিনির দ্রবণ হলো কঠিন পদার্থের ব্যাপন।

তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে অণুগুলোর গতিবেগ বৃদ্ধি পায় ও বাপন পক্রিয়া দ্রুতগামী হয়।

যে পদার্থের ঘনত্ব বেশি হবে তার বাপনের হার বেশি হবে, যে মাধ্যমে বাপন ঘটবে তার ঘনত্ব বেশি হলে বাপন স্লথ হবে। ঘনত্বের তফাত যত বেশি তত বাপন র হার দ্রুত হবে।

সংজ্ঞা: বিক্ষিপ্ত সঞ্চারণের মাধ্যমে কোন পদার্থের অণুসমূহের গতিশক্তির ভিন্নতার জন্য এক স্থান হতে অন্য স্থানের দিকে যাওয়াকে ব্যাপন বলে। মূলত গতি শক্তির ভিন্নতার কারণে ব্যাপন ঘটে। অর্থাৎ যে প্রক্রিয়ায় কোন পদার্থের অনুগুলো বেশি ঘনত্বের অঞ্চল হতে কম ঘনত্বের অঞ্চলের দিকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সঞ্চালিত হয় তাকে ব্যাপন (Diffusion) বলে।

ব্যাপন প্রভাবকসমূহ

তাপমাত্রা

তাপমাত্রা বাড়লে সাধারণত ব্যাপন হার বাড়ে।

বায়ুমন্ডরের চাপ

বায়ুমন্ডলের চাপ বাড়লে ব্যাপন হার কমবে কিন্তু বায়ুমন্ডলের চাপ কম হলে ব্যাপন হার বাড়বে।

পদার্থের অণুর ঘনত্ব

যার ব্যাপন ঘটবে সে পদার্থের অণুর ঘনত্ব বেশি থাকলে ব্যাপন হার বেশি হবে। অণুর ঘনত্ব কম হলে ব্যাপন হার কম হবে।

মাধ্যমের ঘনত্বের

পানি, বায়ু ইত্যাদি যে মাধ্যমে ব্যাপন হবে সে মাধ্যমের ঘনত্ব বেশি হলে ব্যাপন হার কম হবে, মাধ্যমের ঘনত্ব কম হলে ব্যাপন হার বাড়বে।

ব্যাপন এর উদাহরণ

ব্যাপন এর বৈশিষ্ট্য

ব্যাপনের গুরুত্ব

১. উদ্ভিদ সালোক সংশ্লেষণের সময় বাতাসের কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে। এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।

২. জীব কোষে শ্বসনের সময় গ্লুকোজ জারনের জন্য অক্সিজেন ব্যবহারিত হয়। আর জীব কোষে এই অক্সিজেন প্রবেশ করে ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।

৩. উদ্ভিদ দেহে শোষিত পানি বাষ্পাকারে প্রস্বেদনের মাধ্যমে দেহ থেকে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় বের করে দেয়।

৪. প্রাণীদের শ্বসনের সময় অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের আদান-প্রদান ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংঘটিত হয়।

৫. প্রাণীদের রক্ত থেকে খাদ্য অক্সিজেন প্রভৃতির লসিকায় বহন ও লসিকা থেকে কোষে পরিবহন ব্যাপন দ্বারা সম্পন্ন হয়।

ব্যাপনের পরীক্ষা

তরল মাধ্যমে কঠিন পদার্থের ব্যাপন পরীক্ষা

কক্ষ তাপমাত্রায় একটি কাচের পাত্রে বিশুদ্ধ পানি নিয়ে তাতে এক চিমটা বা তারও কম পরিমাণ পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট(KMnO4) ছেড়ে দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা যাবে KMnO4 এর দানাগুলো দ্রবীভূত হয়ে সম্পূর্ণ দ্রবণটিকে গোলাপি বর্ণে পরিণত করেছে। আমরা জানি পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট গোলাপি বর্ণের হয়ে থাকে। পানিতে ছাড়ার পর KMnO4 কণাগুলো একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ধীরে ধীরে গতিশক্তি প্রাপ্ত হয়ে পানির মধ্যে এদিকে-সেদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে বেশ কিছু সময় পর পুরো পাত্রই গোলাপি বর্ণে পরিণত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে মূলত পানি তথা তরল মাধ্যমে কঠিন পদার্থের ব্যাপন হয়েছে।

যদি পরীক্ষাটি গরম পানির মধ্যে করা হত তাহলে কি হত? তখন দেখা যাবে ঠান্ডা পানির তুলনায় গরম পানিতে KMnO4 এর কণাগুলো আরো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং গোলাপি বর্ণ ধারণ করছে অর্থাৎ পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট এর ব্যাপনের হার বেড়ে যাবে। কারণ গরম পানি থেকে কণাগুলো তাপ গ্রহণ করে অধিক গতিশক্তি প্রাপ্ত হয় এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। অর্থাৎ তাপ প্রয়োগ করলে কঠিন পদার্থের ব্যাপনের হার বৃদ্ধি পজাবে। কাজেই গরম পানিতে কঠিনের ব্যাপন সর্বাধিক হয়।

যদি একই পরিমাণ পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট আরো বেশি পানির মধ্যে দেয়া হয় তখন KMnO4 এর কণাগুলো আরো দূরে দূরে ছড়িয়ে পড়বে এবং গোলাপি রং টা আরো হালকা হবে।

কপার সালফেট এর ব্যাপন দেখার জন্য একটি 100mL এর বিকার নিয়ে তাতে 50mL পানি দিয়ে পূর্ণ করা যেতে পারে। তারপর সেই পানিতে অল্প পরিমাণ বা 2g কপার সালফেট ক্রিস্টাল দিয়ে দিলে দেখা যাবে ধীরে ধীরে পানির রং নীলে পরিণত হচ্ছে। কিছুক্ষণ সময় রেখে দিলে দেখা যাবে সমস্ত কপার সালফেট দ্রবীভূত হয়ে গেছে পুরো পানি নীল হয়ে গেছে। অর্থাৎ কপার সালফেটের ব্যাপন ঘটেছে।

গ্রাহামের ব্যাপন সূত্র

স্থির চাপে উচ্চ ঘনত্বের স্থান হতে নিম্ন ঘনত্বের স্থানের দিকে কোনো পদার্থের (কঠিন, তরল, বায়বীয়) স্বতঃস্ফূর্তভাবে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ার নাম ব্যাপন। গ্যাসের ক্ষেত্রে যতক্ষণ সবদিকে গ্যাসের ঘনত্ব সমান না হয় ততক্ষণ ব্যাপন প্রক্রিয়া চলতে থাকে। উদাহরণ হিসাবে ফুলের সুগন্ধ ছড়ানো, পারফিউমের গন্ধ সবদিকে ছড়িয়ে পড়া ইত্যাদি।

অপরদিকে বাহ্যিক চাপের প্রভাবে সরুছিদ্র পথে কোনো গ্যাসের সজোরে বের হয়ে আসাকে নিঃসরণ বা অণু ব্যাপন বলে। উদাহরণ গাড়ির চাকার লিক দিয়ে সজোরে বায়ু বের হয়ে আসা।

1829 সালে গ্যাসের ব্যাপন পরীক্ষা করে গ্রাহাম একটি সূত্রের অবতারণা করেন যা গ্রাহামের ব্যাপন সূত্র নামে পরিচিত। গ্রাহামের ব্যাপন সূত্রটি নিম্নরূপঃ

“স্থির তাপমাত্রা ও চাপে যে কোনো গ্যাসের ব্যাপনের হার তার ঘনত্বের বর্গমূলের বিপরীত অনুপাতে পরিবর্তিত হয়।”

ব্যাপন হার সূত্র

১.ব্যাপন হার ঘনত্বের উপর  নির্ভর করে। যার ঘনত্বের হার বেশি তার ব্যাপন হার কম আর যার ঘনত্বের হার কম তার ব্যাপন হার বেশি।

২.ব্যাপন হার বস্তু/পদার্থের  ভররের উপর নির্ভরশীল।যে বস্তুর আনবিক ভর বেশি  ব্যাপন হার  কম।যার আনবিক ভর কম তার ব্যাপন হার বেশি।

৩. যেমন HCl এর আনবিক ভর =1+35.5=36.5 ।

NH3 এর আনবিক ভর = 14+1×3=17।

এখানে HCl  এর আনবিক ভর বেশি তাই এর ব্যাপন হার কম।  NH3  এর আনবিক ভর কম তাই ব্যাপন হারও বেশি।

ব্যাপন চাপ কাকে বলে

একই তাপমাত্রা ও বায়ুমণ্ডলীয় চাপে কোনো পদার্থের বেশি ঘনত্ববিশিষ্ট দ্রবণ থেকে কম ঘনত্বের দ্রবণের দিকে দ্রাবকের ব্যাপিত হওয়ার প্রচ্ছন্ন ক্ষমতাকে ব্যাপন চাপ বলে।

একই তাপমাত্রা ও বায়ুমণ্ডলীয় চাপে কোনো পদার্থ বেশি ঘনত্ববিশিষ্ট অঞ্চল থেকে কম ঘনত্বের অঞ্চলের দিকে ছড়িয়ে পড়ার বা ব্যাপিত হওয়ার ঘটনাকে ব্যাপন বলে আর কোন দ্রাবকের এরুপ ব্যাপিত হওয়ার প্রচ্ছন্ন ক্ষমতাকে ব্যাপন চাপ বলে।

যখন কোন দ্রবণে দ্রাবক ও দ্রবণের মাঝে এই ব্যাপন চাপের পার্থক্য দেখা যায় তাকে ব্যাপন চাপ ঘাটতি বলে । মূলত এইসব প্রক্রিয়া চারদিকে অহরহ ঘটছে । কিছু উদাহরণ দিলেই বুঝা যাবে ।

যেমন ধরা যাক , ঘরের মাঝে যেকোন এক কোণে সুগন্ধি স্প্রে করলে কিছুক্ষণের মাঝেই তার গন্ধ পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে । কাঁঠাল বা আম পাকলে তার গন্ধে চারদিকে মু মু করে ।আবার দেখা যায় যে,একটা মগে পানি নিয়ে তাতে কাপড়ে দেওয়ার নীল যদি এক ফোটা দেওয়া যায়,তাতেই পুরোটা কিছুক্ষণের মাঝেই নীল হয়ে যায় ।

কেন এমন হয়? উত্তর হচ্ছে ব্যাপন । ব্যাপন চাপের তারতম্যই তথা ব্যাপন চাপ ঘাটতিই মূলত এসব ঘটনার পিছে দায়ী ।

ব্যাপন ও অভিস্রবণ এর মধ্যে পার্থক্য

বিষয়ব্যাপনঅভিস্রবণ
পর্দার উপস্থিতিব্যাপন প্রক্রিয়ায় কোন পর্দার প্রয়োজন হয়না। এটি মুক্ত অবস্থায় ঘটে।অভিস্রবণ প্রক্রিয়া অর্ধভেদ্য বা প্রভেদক ভেদ্য পর্দার প্রয়োজন হয়।
মাধ্যমের অবস্থাপদার্থের সব অবস্থার মধ্যেই ব্যাপন প্রক্রিয়া ঘটে। কেবলমাত্র ‘ কঠিনে – কঠিনে ‘ সবক্ষেত্রেই ব্যাপন ঘটে।অভিস্রবণ প্রক্রিয়া কেবলমাত্র তরলের মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং শুধুমাত্র দ্রাবক অণুর ক্ষেত্রেই ঘটে।
প্রক্রিয়ার অভিমুখএই প্রক্রিয়ায় পদার্থের গতিশীল অনুকূলে বেশি ঘনত্বের স্থান থেকে কম ঘনত্বের দিকে যায়।এই প্রক্রিয়ায় দ্রাবক অনু কম ঘনত্ব যুক্ত স্থান থেকে বেশি ঘনত্বের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
দ্রবণের প্রকৃতিভিন্নপ্রকৃতির দ্রবণের মধ্যেও ব্যাপন ঘটতে পারে।কেবলমাত্র সমপ্রকৃতির দ্রবণের মধ্যে অভিস্রবণ ঘটে।
ঘনত্বকোনো মাধ্যমে কঠিন, তরল, বায়বীয় পদার্থের স্বতঃস্ফূর্ত ও সমানভাবে ছড়িয়ে পরার প্রক্রিয়াকে ব্যাপন বলে। দুইটি ভিন্ন ঘনত্ব বিশিষ্ঠ দ্রবণ যদি একটি অর্ধভেদ্য পর্দা দ্বারা আলাদা করা থাকেকম ঘনত্বের দ্রবণ থেকে অধিক ঘনত্বের দ্রবণের দিকে দ্রাবক অনুর স্থানান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে অভিস্রবণ বলে।
পদার্থের গতিব্যাপন প্রক্রিয়ায় পদার্থের গতিশীল অনুকূলে বেশি ঘনত্বের স্থান থেকে কম ঘনত্বের দিকে যায়। অভিস্রবন প্রক্রিয়ায় দ্রাবক অনু কম ঘনত্ব যুক্ত স্থান থেকে বেশি ঘনত্বের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রক্রিয়াব্যাপন একটি ভৌত প্রক্রিয়া।অভিস্রবণ একটি ভৌত প্রক্রিয়া হলেও রাসায়ানিক প্রভাব বিদ্যমান।
ব্যাপন ও অভিস্রবণ এর মধ্যে পার্থক্য

ব্যাপন ও নিঃসরণ এর পার্থক্য

ব্যাপননিঃসরণ
১। উচ্চ ঘনত্বের স্থান থেকে নিম্ন ঘনত্বের স্থানে কোনো কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় বস্তুর অণুসমূহ বা কণাসমূহের স্বতঃস্ফূর্ত ও সমভাবে স্থানান্তর বা পরিব্যাপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ব্যাপন বলে।১। বাহ্যিক উচ্চ চাপের প্রভাবে পাত্রের সরু
ছিদ্র পথ দিয়ে কোনো গ্যাসের অণুসমূহ
সজোরে একমুখী বের হওয়ার প্রক্রিয়াকে নিঃসরণ বলে।
২। উদাহরণ- ফুলের সুগন্ধ H2S গ্যাসের দুর্গন্ধ বাতাসে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।২। উদাহরণ- গাড়ীর চাকার টিউবের ছিদ্র পথে নিঃসরণ প্রক্রিয়ায় বাতাস বের হয়ে পড়ে।
৩। পদার্থের কণা বা অণুসমূহের ইতস্তত স্বতঃস্ফূর্ত চলাচলের কারণে ব্যাপন প্রক্রিয়া ঘটে।৩। গ্যাস পাত্রের ভেতরে ও বাইরে চাপের পার্থক্যের কারণে নিঃসরণ প্রক্রিয়া ঘটে।
৪। ব্যাপন হলো গতিতত্ত্ব মতে সমবায়ুচাপে অণুসমূহের স্বতঃস্ফূর্ত মন্থর প্রক্রিয়া।৪। নিঃসরণ হলো অধিক চাপের প্রভাবে গ্যাসীয় অণুর দ্রুত চলন প্রক্রিয়া।
৫। এ ব্যাপনের বেলায় গ্যাস পাত্রের ভেতরে ও বাইরে একই বায়ু চাপ থাকে।৫। নিঃসরণের বেলায় গ্যাস পাত্রের ভেতরে অধিক চাপ এবং বাইরে কম চাপ বা ভ্যাকুয়াম অবস্থা থাকে।
৬। সাধারণ বায়ুমণ্ডলীয় চাপে অনুসমূহের স্বতঃস্ফূর্ত মন্থর প্রক্রিয়া হল ব্যাপন।৬। নিঃসরণ হলো অধিক চাপের প্রভাবে গ্যাসীয় দ্রুত প্রক্রিয়া।
৭। ব্যাপন এর ক্ষেত্রে পাত্রের ভিতর ও বাহিরে চাপ একই থাকে।৭। নিঃসরণের ক্ষেত্রে পাত্রের ভিতর অধিকচাপ এবং পাত্রের বাহিরে কম চাপ থাকে।
৮। ব্যাপন দীর্ঘসময় স্থায়ী হয়।৮। নিঃসরণ স্বল্প সময় স্থায়ী হয়।
৯। ব্যপনের ক্ষেত্রে চাপের প্রভাব নেই।৯। নিঃসরণের ক্ষেত্রে চাপের প্রভাব আছে।
ব্যাপন ও নিঃসরণ এর পার্থক্য
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | ব্যাপন

Q1. ব্যাপন কি

Ans – উচ্চ ঘনত্বের স্থান থেকে নিম্ন ঘনত্বের স্থানে কোনো কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় পদার্থের স্বতঃস্ফূর্ত ও সমভাবে ছড়িয়ে পড়া বা পরিব্যপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ব্যাপন বলে।

Q2. কোন গ্যাসের ব্যাপন হার বেশি

Ans – আণবিক ভর বেশি হলে ব্যাপন হার কম হয়। অপরদিকে আণবিক ভর কম হলে ব্যাপন হার বেশি হয়। CH4 এর আণবিক ভর কম তাই ব্যাপন হার বেশি।

Q3. ব্যাপন চাপ ঘাটতি কাকে বলে

Ans – নিদ্রিষ্ট তাপমাত্রা ও বায়ুমণ্ডলীয় চাপে কোন পদার্থের উচ্চ ঘনত্বের স্থান থেকে নিম্ন ঘনত্বের স্থানের দিকে সমভাবে ব্যাপিত বা ছড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়াকে ব্যাপন প্রক্রিয়া বলে।

আর এই ব্যাপন প্রক্রিয়া সংগঠিত হওয়ার প্রচ্ছন্ন ক্ষমতাকে ব্যাপন চাপ বলে। যখন কোন দ্রবণে একই তাপমাত্রা ও বায়ুমণ্ডলীয় চাপে দ্রাবক ও দ্রবণের মাঝে এই ব্যাপন চাপের পার্থক্য দেখা যায় তাকে ব্যাপন চাপ ঘাটতি বলে ।

Q4. ব্যাপন কোন ধরনের প্রক্রিয়া

Ans – ব্যাপন একটি ধরনের প্রক্রিয়া জৈব প্রক্রিয়া।

Q5. অনুব্যাপন কি

Ans – চাপ প্রয়ােগে সরু ছিদ্র পথে কোন গ্যাসের সজোরে নির্গত বা বের হয়ে আসার প্রক্রিয়াকে অনুব্যাপন বলা হয়।

Q6. ব্যাপনের হার কাকে বলে

Ans -একক সময়ে কোন মাধ্যমে কঠিন, তরল এবং গ্যাসীয় বস্তু বা পদার্থ যতটুকু জায়গা জুড়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছড়িয়ে পড়ে তাকে ঐ বস্তুর ব্যাপন হার বলে। ব্যাপন হার বস্তুর ভর এবং ঘনত্বের উপর নির্ভরশীল।

Q8. কোষ থেকে কোষে পরিবহনে ব্যাপনের ভূমিকা

Ans – মাটি থেকে কৈশিক জল আত্মভূতি প্রক্রিয়ায় শুষে নেয় এবং এই শুষে নেওয়া জল কোষ প্রাচীর এর সমস্ত অংশে ব্যাপন প্রক্রিয়া সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে। শ্বসন ও সালোকসংশ্লেষের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসের কোশান্তর পরিবহন সম্পূর্ণরূপে ব্যাপন এর উপর নির্ভরশীল।

Q9. ব্যাপন প্রক্রিয়া কাকে বলে

Ans – সহায়ক ব্যাপন এর নির্দিষ্টতা আছে। বিশেষ বস্তু কে বাহক এর সাহায্যে শোষণ বা পরিবহন করে। সহায়ক ব্যাপন প্রক্রিয়ার হার দ্রুত। এই প্রক্রিয়ায় প্রতিযোগিতা এবং প্রতিরোধ দেখা যায়। সহায়ক ব্যাপন প্রক্রিয়ায় বাহক লাগে।

Q10. গ্যাসের ব্যাপন কাকে বলে

Ans – ব্যাপনের হার প্রধানত গ্যাসের আণবিক ভর ঘনত্ব ও আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বলের উপর নির্ভর করে। গ্যাসের আণবিক ভর বেশি হলে, ঘনত্ব বেশি হয়। ফলে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বলের মান বেড়ে যায়। আকর্ষণ বলের মান বেড়ে গেলে গ্যাসের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা কমে যায়। ফলে ব্যাপন হার কম হয়। সুতরাং গ্যাসের ভর বেশি হলে ব্যাপন হার কমে যায়।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে
Exit mobile version