Site icon prosnouttor

হার্ডওয়্যার কি, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কি

হার্ডওয়্যার কি, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কি

হার্ডওয়্যার কি, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কি

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

হার্ডওয়্যার কি, হার্ডওয়্যার কাকে বলে

যদি আপনি কম্পিউটার নিয়ে কাজকর্ম করেন তাহলে, কম্পিউটার হার্ডওয়ার শব্দটি অবশ্যই শুনে থাকবেন। কম্পিউটারের প্রত্যেকটি parts বা অংশই হলো Computer Hardware। কম্পিউটার হার্ডওয়ার ছাড়া কম্পিউটার কোন কাজই করবে না।

কম্পিউটারের যে সমস্ত অংশগুলি আমরা শুনতে এবং হাতের স্পর্শ করতে পারি তাকে কম্পিউটার হার্ডওয়ার বলে। কম্পিউটারের মাউস, কিবোর্ড, প্রিন্টার, সিপিইউ এবং বিভিন্ন ধরনের Part এই সমস্ত কিছুই কম্পিউটার হার্ডওয়ার এর উদাহরণ।

সুতরাং কম্পিউটারে যে সমস্ত ফিজিকাল অংশগুলি আমরা চোখে দেখতে পাই এবং স্পর্শ করতে পারি সেগুলি হার্ডওয়ার। এই সমস্ত হার্ডওয়ার এর সাহায্যে কম্পিউটার বিভিন্ন কাজ করতে পারে। এবং হার্ডওয়ার কে যে জিনিসটি কাজ করার জন্য ইনস্ট্রাকশন দেয় সেটি হল সফটওয়্যার।

কয়েকটি হার্ডওয়্যার এর নাম

এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়ার এর নাম দেওয়া হল। কম্পিউটারের বেশিরভাগ কাজ এই সকল হার্ডওয়ার গুলির সাহায্যে সম্পন্ন করা হয়।

হার্ডওয়্যার এর বৈশিষ্ট্য

শিক্ষা প্রযুক্তি বিজ্ঞানের মূল স্তম্ভের মধ্যে একটি হল হার্ডওয়্যার প্রযুক্তি। যান্ত্রিক বিষয়বস্তু ও যন্ত্রপাতির প্রয়ােগ হল হার্ডওয়্যার প্রযুক্তি। কম্পিউটার সিস্টেমের যান্ত্রিক বা ভৌত অংশকে বলে হার্ডওয়্যার। এই হার্ডওয়্যার প্রযুক্তির অন্তর্গত হল শ্রবণ ভিওিক উপকরণ, দর্শনভিত্তিক উপকরণ। নীচে হার্ডওয়্যার প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করা হল-

(১) শ্রবণ-দর্শন উপকরণের ব্যবহার : হার্ডওয়্যার প্রযুক্তিতে শ্রবণ-দর্শনভিত্তিক উপকরণ, চার্ট, মডেল, স্লাইড, অডিও ক্যাসেট, নানান সূক্ষ্ম গ্যাজেট, শিক্ষণ মেশিন, কম্পিউটার ইত্যাদির সাহায্যে শিক্ষা অতি সহজে শিক্ষার্থীর কাছে পৌছে দেওয়া যায়।

(২) ব্যক্তি বৈষম্য অনুযায়ী শিক্ষণ : এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যক্তিগত বৈষম্য অনুযায়ী শিখন সম্ভব হয়।

(৩) একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদান : হার্ডওয়্যার প্রযুক্তির সাহায্যে একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদান প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা যায়।

(৪) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রয়ােগ : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নতির একটি প্রধান প্রয়োগ হল হার্ডওয়্যার প্রযুক্তি।

(৫) ফিডব্যাক প্রদান : শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়ায় এই প্রযুক্তিতে প্রয়ােজনীয় feedback সরবরাহ করা হয়।

(৬) স্বল্প খরচ : এই প্রযুক্তিতে অনেক কম খরচে একসঙ্গে অনেককে শিক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়।

(৭) সাফল্য আনয়ন : শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা অনুযায়ী সর্বাধিক সাফল্য অর্জনে সহায়তা করে।

(৮) স্বয়ং শিখন : হার্ডওয়্যার প্রযুক্তিতে স্বয়ং শিখনের সুযােগ অনেক বেশি।

হার্ডওয়্যার এর কাজ কি

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এর কাজ কি সেগুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কি

কম্পিউটার তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস বা যন্ত্র এবং যন্ত্রাংশসমূহকে বলা হয় কম্পিউটার হার্ডওয়্যার।

সাধারণত কম্পিউটার হার্ডওয়ারকে আমরা দেখতে পারি এবং স্পর্শ করতে পারি। কি-বোর্ড, মাউস, মাইক্রোপ্রসেসর, মাদারবোর্ড, ডিস্ক, ডিস্ক ড্রাইভ, মনিটর, প্রিন্টার ইত্যাদি হলো কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের উদাহরণ।

কালের বিবর্তনে আধুনিকীকরণের ধারাবাহিকতা, গুণগত মান পরিবর্তন এবং নতুনতারো উদ্ভাবনার ফলে কম্পিউটার সিস্টেমে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন হার্ডওয়্যার সংযোজিত হচ্ছে। বর্তমান সিস্টেমের কম্পিউটারসমূহের হার্ডওয়্যার পূর্বের কম্পিউটারের চেয়ে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন এবং আকৃতিতেও অনেক ছোট। হার্ডওয়্যারকে কম্পিউটারের দেহ বলা যেতে পারে।

কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এর কয়টি অংশ, হার্ডওয়্যার কত প্রকার ও কি কি, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার পরিচিতি

কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে সাধারণত বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:-

ইনপুট হার্ডওয়্যার | Input Hardware

কম্পিউটারকে নির্দেশনা প্রদানের জন্য যে সকল ডিভাইস বা যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ ব্যবহৃত হয় সেগুলোকে ইনপুট হার্ডওয়্যার বলা হয়।

ইনপুট হার্ডওয়্যারের মাধ্যমে কম্পিউটার বিভিন্ন ধরনের ডেটা গ্রহণ করে থাকে। অর্থাৎ ইনপুট হার্ডওয়্যারের মাধ্যমে প্রাপ্ত ডেটাসমূহ কম্পিউটার কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশের (CPU) সাহায্যে প্রক্রিয়াকরণ করে আউটপুট হার্ডওয়্যারসমূহের মাধ্যমে ফলাফল প্রদান করে থাকে।

কম্পিউটার সিস্টেমে বিভিন্ন ধরনের ইনপুট হার্ডওয়্যার সংযোজিত থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ইনপুট হার্ডওয়্যারের নাম হলো-

প্রসেসিং হার্ডওয়্যার | Processing Hardware

ব্যবহারকারীর কাঙ্ক্ষিত ফলাফল কম্পিউটার তার প্রক্রিয়াকরণের ফলাফলের মাধ্যমে পূরণ করে থাকে। প্রসেসিং বা প্রক্রিয়াকরণের কাজের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পর্কযুক্ত হার্ডওয়্যারসমূহকে বলা হয় প্রসেসিং হার্ডওয়্যার। সাধারণত সিস্টেম ইউনিটের (কম্পিউটারের কেসিং) অভ্যন্তরে প্রসেসিং হার্ডওয়্যারসমূহ অবস্থান করে।

কম্পিউটারের প্রসেসিং কাজের সাথে বিভিন্ন ধরনের প্রসেসিং হার্ডওয়্যার জড়িত থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো হলো-

স্টোরেজ হার্ডওয়্যার | Storage Hardware

মূলত কম্পিউটার ইনপুট হার্ডওয়্যারের মাধ্যমে গ্রহণকৃত ডেটাসমূহকে প্রক্রিয়াকরণের পর ফলাফল বা আউটপুট প্রদান করে। তবে কম্পিউটারের প্রক্রিয়াকরণের পর প্রক্রিয়াজাতকৃত ফলাফল সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হার্ডওয়্যারসমূহই হলো স্টোরেজ হার্ডওয়্যার

অর্থাৎ কম্পিউটারের বিভিন্ন ডেটা, তথ্য বা নির্দেশাবলি, ইমেজ, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিকে স্টোরেজ ডিভাইস বা স্টোরেজ হার্ডওয়্যার বলা হয়।

প্রক্রিয়াকরণের সুবিধার জন্য স্টোরেজ হার্ডওয়্যারে ডেটা ও নির্দেশাবলি জমা রাখা যায় এবং প্রয়োজনে তা সহজে কাজে লাগানো যায়।

হার্ডডিস্ক, ফ্লোপিডিস্ক, অপটিক্যাল ডিস্ক, সলিড স্টেড ডিভাইস, পেনড্রাইভ, ম্যাগনেটিভ টেইপ, চৌম্বক ড্রাম, জিপ ড্রাইভ ইত্যাদি হলো উল্লেখযোগ্য স্টোরেজ হার্ডওয়্যার।

আউটপুট হার্ডওয়্যার | Output Hardware

কম্পিউটারের ফলাফল প্রদর্শনের বা প্রদানের কাজে বিভিন্ন ধরনের হার্ডওয়্যার জড়িত থাকে। এ সকল হার্ডওয়্যার আউটপুট হার্ডওয়্যার নামে পরিচিত।

অর্থাৎ কম্পিউটারের ইনপুট হার্ডওয়্যারসমূহের মাধ্যমে প্রাপ্ত ডেটাসমূহ প্রক্রিয়াকরণ অংশে প্রক্রিয়াজাত হয়ে যে সকল হার্ডওয়্যারের সাহায্যে ফলাফল প্রদান বা প্রদর্শন করায় সেগুলোকে আউটপুট যন্ত্রাংশ আউটপুট হার্ডওয়্যার বলা হয়।

উল্লেখযোগ্য আউটপুট হার্ডওয়্যারসমূহ হলো-

কমিউনিকেশন হার্ডওয়্যার | Communication Hardware

কম্পিউটার শুধু ডেটা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে ফলাফলই প্রদান করার কাজে নিয়োজিত থাকে না। পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন অবস্থানে অবস্থিত কম্পিউটার বা কম্পিউটারসমূহ অথবা অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইস বা ডিভাইসসমূহের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের হার্ডওয়্যার ব্যবহার করে ইনফরমেশন আদান-প্রদান বা শেয়ার করে। এ সকল হার্ডওয়্যারকেই বলা হয় কমিউনিকেশন হার্ডওয়্যার।

অর্থাৎ এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে অথবা এক ডিভাইস হতে অন্য ডিভাইসে যোগাযোগ তথা ডেটা আদান প্রদান, শেয়ার ইত্যাদির জন্য যে সমস্ত ডিভাইস বা হার্ডওয়্যার ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে বলা হয় কমিউনিকেশন হার্ডওয়্যার।

ডেটা কমিউনিকেশনের কাজে ব্যবহৃত উল্লেখযোগ্য কমিউনিকেশন হার্ডওয়্যারগুলো হলো –

আরো পড়তে: কম্পিউটার কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি

হার্ডওয়ার এর শ্রেণীবিভাগ

কম্পিউটারের যে সকল হার্ডওয়ার গুলিকে নিয়ে কাজ করা হয়, সেই সকল হার্ডওয়ার এর অবস্থান অনুযায়ী কম্পিউটার হার্ডওয়ার কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

এটি হলো Internal এবং অপরটি External

ইন্টার্নাল হারবার গুলি হল কম্পিউটারের ভেতরে থাকে এবং এক্সটারনাল হার্ডওয়্যার কম্পিউটারের বাইরে থাকে।

কম্পিউটারের কিছু ইন্টারনাল (internal) হার্ডওয়্যার ডিভাইস

প্রথমে আমি নিচে এমন কিছু computer hardware components এর বিষয়ে বলবো, যেগুলি একটি কম্পিউটারের ভেতরেই আপনারা দেখতে পাবেন।

Motherboard

এই computer motherboard আপনার সিস্টেমের CPU cabinet এর ভেতরে থাকে। এবং, motherboard হলো কম্পিউটারের circuit board যেখানে অন্য সব ধরণের জরুরি components লাগানো থাকে। এবং বিভিন্ন অন্য hardware components একটি connector এর দ্বারা এখানে সংযোগ করতে হয়।

Central processing unit (CPU)

CPU বা central processing unit কে একটি কম্পিউটারের brain বোলে বলা হয়। CPU একটি কম্পিউটারের মুখ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশ। CPU দাড়াই কম্পিউটারে সব রকমের কম বা প্রসেস (process) সম্পন্ন করা হয়।

এই CPU কে অনেক সময় “Processor” বলেও বলা হয়। এবং, একটি কম্পিউটারের “motherboard” এ CPU ইনস্টল (install) করা থাকে।

Random access memory (RAM)

RAM যার পুরো নাম, random access memory, হলো এক ধরণের physical hardware যেটা কম্পিউটারের motherboard এ লাগানো থাকে।

RAM এর কাজ হলো, কম্পিউটারে বর্তমানে সম্পন্ন হওয়া বিভিন্ন program ও data গুলিকে অস্থায়ী ভাবে (temporarily) জমা (save) করে রাখে। যত বেশি পরিমানে RAM আপনার কম্পিউটারে থাকবে, কম্পিউটারের কর্মক্ষমতা ও স্পিড বাড়বে।

Power supply unit (PSU)

Power supply (PSU) বা SMPS আপনার কম্পিউটারের কেবিনেটের ভেতরে থাকা এমন এক হার্ডওয়্যার এর প্রকার, যেটা না থাকলে কম্পিউটার স্টার্ট (start) হওয়াটা অসম্ভব।

কারণ, একটি power supply বা SMPS কম্পিউটার ও motherboard এর সব আলাদা আলাদা অংশতে বৈদ্যুতিক শক্তি (electrical power) প্রদান করে।

Hard drive / disk

একটি hard drive হলো কম্পিউটারের স্টোরেজ সিস্টেম। মানে, আমরা কম্পিউটারে যেগুলি files, games, movies, data রাখি, সেগুলি সব কম্পিউটারের hard disk বা hard drive এ স্টোর হয়ে থাকে।

তাই, hard disk কে একটি কম্পিউটারের storage system বলা হয়। একটি হার্ড ডিস্ক বিভিন্ন সাইজের হতে পারে। যেমন, ১৬০ জিবি৩২০ জিবি৫০০ জিবি বা ১ টিবি।

Optical Drive

Optical drive গুলির কাজ হলো ডাটা বা ফাইল সংগ্রহ কোরে কম্পিউটারের স্টোরেজে বা হার্ড ড্রাইভে স্টোর করা। যেমন, DVD বা CD ড্রাইভের মাধ্যমে, কম্পিউটারে একটি CD বা DVD disc ঢুকিয়ে আমরা বিভিন্ন ডাটা বা ফাইল সংগ্রহ করতে পারি।

এই ধরণের হার্ডওয়্যার বা অপটিক্যাল ড্রাইভ কিছুদিন আগে প্রচুর পরিমানে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু, বর্তমানে এর জায়গায় pen-drive বা USB flash drive অধিক ব্যবহার করা হচ্ছে।

GPU (Graphics card)

এই ধরণের “internal computer hardware” ব্যবহার করা হয়, কম্পিউটারের গ্রাফিক্স (graphics) এবং ডিসপ্লে (display) কোয়ালিটি অধিক ভালো বানানোর জন্য।

একটি ভালো GPU (graphics processing unit) আপনার সিস্টেমের images, videos, animation বা গেম এর গ্রাফিকস এর কোয়ালিটির অধিক ভালো করে দিতে পারে।

কম্পিউটারের কিছু এক্সটার্নাল (external) হার্ডওয়্যার ডিভাইস

এটার কম্পিউটারের বাইরের অংশ যেগুলো ইউজার খুবই সাধারণ ভাবে কাজে লাগাতে পারে। External hardware মধ্যে ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইস গুলো অন্তর্গত।

Keyboard & Mouse

Keyboard এবং mouse এর ব্যাপারে আমরা সবাই জানি। এই দুটি এমন এক্সটার্নাল হার্ডওয়্যার যেগুলি ছাড়া একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করাটা অসম্ভব।

কম্পিউটারে কিবোর্ডের ব্যবহার কোরে আমরা text বা অন্য characters, এর বিভিন্ন প্রোগ্রামে লিখতে পারি।

Mouse এমন এক অসাধারণ এক্সটার্নাল হার্ডওয়্যার যেটাকে একটি “pointer” বলেও বলা যেতে পারে। মাউসকে নিজের হাত দিয়ে পরিচালনা (operate) করতে হয়।

পুরো কম্পিউটারের সব ধরণের প্রোগ্রাম গুলি, নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবং প্রোগ্রাম গুলিকে নির্দেশ দেয়ার জন্য, মাউস (mouse) নামের hardware component টির ব্যবহার করতেই হবে।

Monitor (Display Unit)

Computer Monitor ব্যবহারের ফলে আমরা আমাদের কম্পিউটারের সব ধরণের output নিজের চোখে দেখতে পাই। মানে, ধরুন আমরা কম্পিউটারে একটি ভিডিও এডিট করছি বা MS excel এ কিছু কাজ করছি।

যদি আমরা আমাদের কাজের প্রক্রিয়া চোখে দেখতেই না পারি, তাহলে কাজ করবো কিভাবে।

তাই, মনিটরের (monitor) ব্যবহারের ফলে আমরা আমাদের কম্পিউটারের প্রোগ্রাম গুলির মাধ্যমে করা সব ধরণের প্রক্রিয়া চোখে দেখতে পারি। মনিটরের গঠন এবং কাজ প্রায় পুরোটাই TV মতোই।

Speakers

কম্পিউটারে আমরা আলাদা ভাবে speakers বা sound system লাগিয়ে শব্দ শুনার জন্য ব্যবহার করতে পারি।

Speakers হলো কম্পিউটারের এক output device যেটা একটি এক্সটার্নাল হার্ডওয়্যার। এবং, গান শুনার সময়, ভিডিও দেখার সময় বা গেম খেলার সময় এই speakers গুলি আমাদের sound শুনতে সাহায্য করে।

Printers

Printer হলো একটি output device যাকে external HW. এর ভেতরে ধরা হয়। এই, হার্ডওয়্যার ব্যবহার কোরে, আমরা কম্পিউটারের থেকে ডাটা (data), ছবি (images), লেখন (text) কাগজের মাধ্যমে ছেপে (print) সেগুলির output নিতে পারি।

প্রিন্টারের মাধ্যমে, ডাটার আউটপুট নেয়াটা অনেক সহজ এবং দ্রুত প্রক্রিয়া।

External flash drive

একটি flash drive হলো, ছোট্ট এবং সহজে যেকোনো জায়গায় নিয়ে যেতে পাড়া এক ধরণের storage device যার কাজ hard disc এর মতোই। একটি Hard drive কম্পিউটারের CPU র ভেতরে লাগানো থাকে এবং যেটাকে তার জায়গার থেকে সরানো যায়না।

তবে, এই flash drive গুলি ব্যবহার করে, আপনারা যেকোনো কম্পিউটার থেকে files, data, movies বা games copy করে নিতে পারবেন, এবং তারপর অন্য যেকোনো কম্পিউটারে সেই ডাটা বা ফাইল গুলি transfer করতে পারবেন।

কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কি

হার্ডওয়ার হল কম্পিউটারের ফিজিক্যাল অংশ যেগুলো দিয়ে বিশেষ ধরনের কাজ সম্পন্ন করা যায়। বিভিন্ন ধরনের হার্ডওয়ার, কম্পিউটারের আলাদা আলাদা কাজ সম্পন্ন করে থাকে।

কম্পিউটার হার্ডওয়ার গুলিকে, কাজ করার অনুমতি এবং হার্ডওয়ারকে পরিচালনা করবার জন্য সফটওয়্যার এর প্রয়োজন। সফটওয়্যার নির্দিষ্ট হার্ডওয়ার কে, বিভিন্ন প্রকার কাজ করবার নির্দেশ দেয়। সফটওয়্যার হলে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম এর সমষ্টি। আলাদা আলাদা সফটওয়্যার প্রোগ্রামের সাহায্যে কম্পিউটার হার্ডওয়ার, বিভিন্ন ধরনের কাজে অংশগ্রহণ করে থাকে।

হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর মধ্যে সম্পর্ক

হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার একে অপরের উপর নির্ভরশীল

হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর মধ্যে পার্থক্য

হার্ডওয়্যারসফটওয়্যার
কম্পিউটার সিস্টেম যে সকল যন্ত্রাংশের সমন্বয়ে গঠিত হয়, তাদের বলে হার্ডওয়্যার।কম্পিউটার হার্ডওয়্যারকে কাজে লাগিয়ে যে প্রোগ্রাম কম্পিউটারে চলে তাই হল সফটওয়্যার।
হার্ডওয়্যার দেখা যায় এবং স্পর্শ করা যায়।সফটওয়্যার স্পর্শ করা যায় না।
মাদারবোর্ড, হার্ডডিস্ক, কী-বোর্ড, মাউস ইত্যাদি হল হার্ডওয়্যার।এমএস-অফিস, এমএস পাওয়ার পয়েন্ট, এমএস এক্সেল ইত্যাদি হল সফটওয়্যার।
চিপ, মাইক্রোচিপ ইত্যাদির প্রয়ােগের মাধ্যমে হার্ডওয়্যার এর উন্নতি ঘটানাে যায়।সফটওয়্যার প্রোগ্রামিং-এর আধুনিকীকরণের মাধ্যমে উন্নতি ঘটানাে যায়।
ভাইরাস হার্ডওয়্যারের ক্ষতি করতে পারে না।কম্পিউটার ভাইরাস সফটওয়্যারের ক্ষতি করতে পারে।
একই হার্ডওয়্যার একজন বা কয়েকজন ব্যবহার করতে পারে।একই সফটওয়্যার কপি করে লক্ষ লক্ষ লোক ব্যবহার করতে পারে।
হার্ডওয়্যার তৈরি করে যানবাহনের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছাতে হয় যা সময় সাপেক্ষ।সফটওয়্যার তৈরির পর ইন্টারনেটের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যেই সারা পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের কাছে সহজেই পৌঁছানো যায়।
হার্ডওয়্যার তৈরি করতে বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়তে হয়।সফটওয়্যার তৈরি করতে বড় কোন ইন্ডাস্ট্রি প্রয়োজন নেই।
হার্ডওয়্যার সফটওয়্যারকে নিয়ন্ত্রণ করে না।হার্ডওয়্যার ছাড়া সফটওয়্যার অর্থহীন।
দীর্ঘদিন ব্যবহারে হার্ডওয়্যার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।আজীবন ব্যবহার করলেও সফটওয়্যার নষ্ট হয় না।
হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর মধ্যে পার্থক্য
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | হার্ডওয়্যার

Q1. ইনপুট হার্ডওয়্যার কি

Ans – ইনপুট ডিভাইস হল এমন এক ধরনের হার্ডওয়ার ডিভাইস যা কম্পিউটারে deta বা information প্রদান করে। ইনপুট ডিভাইস কম্পিউটারের ও ব্যবহারকারী মধ্যে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করে তোলে।

সবথেকে জনপ্রিয় ইনপুট ডিভাইস হলো keyboard ও Mouse এছাড়া আরো অনেক Input Device যেমন Scanner, Web camp, Microphone, Joystick ইত্যাদি ।

Q2. কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার কি দ্বারা পরিচালিত হয়

Ans – অপারেটিং সিস্টেম, কম্পিউটারের সমস্ত উপকরণ ও কাজকর্মকে পরিচালনা করতে এটিকে ব্যবহার করা হয়।

Q3. কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের মধ্যে কয়টি অংশ থাকে

Ans – একটি কম্পিউটারকে সাধারনত দুটি ভাগে ভাগ করা যায় যথা হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার। হার্ডওয়্যার হল সেই সব অংশ যা দৃশ্যত এবং স্পর্শ করা যায়, যার কাঠামো আছে। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার হল কম্পিউটারের সেইসকল অংশ যেগুলো স্পর্শ করা যায়, দেখা যায় :-

যেমন মনিটর, মাউস, কেসিং, মাদারবোর্ড, রম, সি.ডি, ডি.ভি.ডি. ইত্যাদি। কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের বিভিন্ন প্রকার যন্ত্রাংশ দিয়ে একটি পারসোনাল কম্পিউটার তৈরি হয়। এরপর এতে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করা হয় এবং ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন সফটওয়্যার ইন্সটল করা হয়।

Q4. হার্ডওয়্যার পরিষ্কার করার সময় শুরুতে কোন কাজটি করতে হয়

Ans – পরিষ্কার করার কিছু পদ্ধতি :-

১) সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হলো হার্ডওয়্যারগুলো আলাদা করে খুলে মেশিন দিয়ে/ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করা। এক্ষেত্রে নিজে পারলে ভালো, কিন্তু অভিজ্ঞতা না থাকলে নিজে না করাই ভাল।

২)বাইরের দিক পরিষ্কার করতে চাইলে বিভিন্ন গ্লাস ক্লিনার পাওয়া যায় তা দিয়ে ল্যাপটপ/ডেক্সটপ এর গ্লাস পরিষ্কার করা যায়। আর বাইরের ধূলোময়লা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে পারেন।

৩)পরিষ্কারের চিন্তার পাশাপাশি আবার যেন ধুলোবালি না জমে সেজন্য নিজে সচেতন হোন। দৈনিক ব্যবহারের পর মুছে ব্যাগে/ঢেকে রাখুন।

Q5. হার্ডওয়্যার কি

Ans – হার্ডওয়্যার বলতে কম্পিউটারের সমস্ত ফিজিক্যাল ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্টকে বোঝায়। যেমন- বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বিভিন্ন প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড, প্রিন্টার ইত্যাদি।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে
Exit mobile version