জলবায়ু কাকে বলে
কোন অঞ্চলের বায়ুর তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বস্তুর চাপ, বায়ু প্রবাহ, দৃষ্টিপাত, তুষারপাত, ঝড়, বায়ুপুঞ্জ, মেঘাচ্ছন্নতা ইত্যাদির দীর্ঘদিনের সামগ্রিক রূপকে ঐ স্থানের জলবায়ু (Climate)বলা হয়।
মূলত কোন স্থানের ২০-৩০ বছরের দৈনন্দিন আবহাওয়া পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে সে স্থানের নির্ধারণ করা হয় বা এ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
আবহাওয়ার মত জলবায়ুর ও প্রধান উপাদানগুলো হচ্ছে বায়ুর তাপ, চাপ, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি। আর এ উপাদানগুলোর নিয়ন্ত্রনকারী নিসমূহ হচ্ছে সমুদ্র প্রোন্ত, অক্ষাংশ, ভূ-পৃষ্ঠের উচ্চতা সমুদ্র হতে দূরত্ব, বায়ু প্রবাহের দিক ইত্যাদি।
জলবায়ুর উপাদান গুলো কি কি
জলবায়ুর সংজ্ঞা থেকে দেখতে পেলাম যে, কতকগুলো উপাদানের ওপর ভিত্তি করে কোন স্থানের আবহাওয়া ও জলবায়ু গড়ে ওঠেছে। নিম্নে এ উপাদান সম্পর্কে আলোচনা করা হলো
তাপমাত্রা
সূর্য হচ্ছে তাপের প্রধান উৎস। বায়ুর উষ্ণতম বা শীতলতম অবস্থাকে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বলে। এই তাপমাত্রার পরিমানের উপর কোন স্থানের জরবায়ু অনেকাংশে নির্ভর করে।
যেমন, সূর্যের তাপ নিরক্ষরেখার উপর লম্বালম্বিভাবে পড়ে। ফলে এ এলাকার জলবায়ু উষ্ণ হয়। আবার এই নিরক্ষরেখার উত্তর ও দক্ষিন দিকে সূর্যের কিরণ ক্রমান্বয়ে তীর্যকভাবে পড়ে। ফলে এসব এলাকার তাপমাত্রা কম বা মাঝারি হয়। আর এই কম বা মাঝারি ধরনের তাপমাত্রাকে যথাক্রমে মেরুদেশীয় বা নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু বলে।
বায়ুর চাপ
বায়ুর চাপ জলবায়ুর একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান। বায়ুর চাপের পার্থক্যের কারনে বিভিন্ন স্থানের জলবায়ুর মধ্যেও পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। বায়ুর চাপের এই পার্থক্যের কারণ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রকার জলবায়ুর বলয় সৃষ্টি হয়। যেমন: নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়, আন্তঃক্রান্তিয় অভিসরণ এলাকা ইত্যাদি।
বায়ু প্রবাহ
বায়ু প্রবাহ দ্বারাও আবহাওয়া ও জলবায়ু প্রভাবিত হয়। সমুদ্র থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু কোন দেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হলে সে অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয় এবং তাপমাত্রা হ্রসে পায়। অপরদিকে স্থলভাগ থেকে প্রবাহিত বায়ুর প্রভাবে তাপের হ্রাস হয় না। এ বায়ু শুস্ক বলে এর দ্বারা বৃষ্টিপাতও হয়না অধিকন্তু তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
বায়ুর আর্দ্রতা ও শুষ্কতা
বায়ুতে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতিকে আর্দ্রতা বলে। অপরদিকে কম জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু শুষ্ক হয়। এই আর্দ্রতা বা শুদ্ধতাও জলবায়ুর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
কোন অঞ্চলের বৃষ্টিপাত উক্ত অঞ্চলের বায়ুর আর্দ্রতা ও শুদ্ধতার ওপর সম্পূর্ন নির্ভরশীল। বায়ুর এ আর্দ্রতা ও শুষ্কতা কোন অঞ্চলের জলবায়ুকে শীতল ও উষ্ণ করে তোলে।
বৃষ্টিপাত
বৃষ্টিপাতের তারতম্যের কারণে জলবায়ুরও তারতম্য ঘটে। বৃষ্টি বেশী হলে সেখানকার জলবায়ু আর্দ্র ও শীতল হয়। অপরদিকে কম বৃষ্টিপাতের কারণে তাপমাত্রা বেশী এবং জলবায়ু শুষ্ক হয়ে থাকে।
জলবায়ু অঞ্চল কাকে বলে
পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের এরূপ সাদৃশ্য বা বৈসাদৃশ্য এবং অন্যান্য বিষয়ের ওপর সামগ্রিক প্রভাব বিবেচনা করে সময় পৃথিবীকে যে কয়েকটি অঞ্চলে ভাগ করা হয় তাদের প্রত্যেকটিকে প্রাকৃতিক বা জলবায়ু অঞ্চল বলা হয়।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক হার্বার্টসন বলেন, “প্রাকৃতিক অঞ্চল হলো পৃথিবীর এরূপ একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ অঞ্চল যেখানে জীবনযাত্রার উপর প্রভাব বিস্তারকারী প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদানগুলোও সামঞ্জস্যপূর্ণ।”
অর্থাৎ, আমরা একথা বলতে পারি যে, মানুষের জীবনযাত্রা ও উপজীবিকার উপর প্রভাব বিস্তারকারী প্রাকৃতিক উপাদানসমূহের সামঞ্জস্যতার ভিত্তিতে পৃথিবীকে যে কয়টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে এদের প্রত্যেকটিকে এক একটি প্রাকৃতিক বা জলবায়ু অঞ্চল বলা হয়।
জলবায়ু কত প্রকার, জলবায়ু অঞ্চলের শ্রেণীবিন্যাস
পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন প্রকার জলবায়ু বিদ্যমান রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের জলবায়ুগত অবস্থার উপর ভিত্তি করে যে বিভিন্ন জলবায়ু অঞ্চল গড়ে উঠেছে তা মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে যথেষ্ট প্রভাবিত করে।
মানুষের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ তথা অর্থনৈতিক উন্নয়ণ তৎপরতা পর্যালোচনা করার জন্য “জলবায়ু অঞ্চল” সম্পর্কেও ধারণা থাকা প্রয়োজন। ভূগোলবিদগণ আলোচনার সুবিধার্থে পৃথিবীকে প্রধান চারটি জলবায়ু অঞ্চলে বিভক্ত করেছেন। পরবর্তীতে বৃষ্টিপাত, উষ্ণতা, অবস্থান ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে এদেরকে পুণরায় কতকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়।
উষ্ণ জলবায়ু অঞ্চল
কর্কট ক্রান্তি ও মকর ক্রান্তির মধ্যবর্তী অঞ্চলকে উষ্ণ জলবায়ু অঞ্চল বলা হয়। নিরক্ষরেখার উভয় পাশে ৫-৩০° উত্তর এবং দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে উষ্ণ জলবায়ু দেখা যায়। পৃথিবীর মোট ভূখন্ডের প্রায় এক তৃতীয়াংশ এ জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। এর গড় তাপমাত্রা প্রায় ২১° সে. এর উপরে। এ অঞ্চলের বিভিন্ন অংশের মধ্যে জলবায়ুগত ও প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে। এই পার্থক্যের ভিত্তিতে উষ্ণ জলবায়ু অঞ্চলকে নিম্নলিখিত পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়।
- নিরক্ষীয় অঞ্চল
- মৌসুমী অঞ্চল
- ক্রান্তীয় সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল
- ক্রান্তীয় মহাদেশীয় অঞ্চল
- ক্রান্তীয় মরুদেশীয় অঞ্চল।
নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল
পৃথিবীর যেসব এলাকায় খুব বেশী শীত বা গরম আবহাওয়া থাকে না তাকে নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু অঞ্চল বলে। উভয় গোলার্ধে ২৩.৫ থেকে ৬৬.৫ অক্ষাংশ পর্যন্ত এ অঞ্চল অবস্থিত। এই নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের এক পার্শ্বে উষ্ণ মন্ডল এবং অপর পার্শ্বে হিম মন্ডল অবস্থিত। এই উভয় জলবায়ু অঞ্চলের প্রভাব নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের ভেতর কিছুটা বিদ্যমান রয়েছে। তাই নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলকে উষ্ণতা ও বৃষ্টিপাতের তারতম্য অনুযায়ী নিম্নোক্ত ভাগে ভাগ করা যায়-
মৃদু উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল
উভয় গোলার্ধে উষ্ণ অঞ্চলের কাছাকাছি অবস্থিত নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলকে মৃদু উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল বলা হয়। অবস্থান, উষ্ণতা ও বায়ুর প্রকৃতি অনুযায়ী এ অঞ্চলকে আবার দুইভাগে ভাগ করা যায়।
১.১. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চল এবং
১.২. পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চল।
মৃদু শীতল নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু অঞ্চল
হিমমন্ডলের পাশে যে অঞ্চলে কিছুটা মৃদু শীতল আবহাওয়া বিরাজ করে তাকে মৃদু শীতল নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু অঞ্চল বলে।
এ অঞ্চলে তাপমাত্রা গ্রীষ্মকালে সাধারনত: ১০°-২১° সেঃ এবং শীতকালে ৭” সে এর নিচে অবস্থান করে। সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় বছরের অধিকাংশ সময় বৃষ্টিপাত হয়, তবে মহাদেশসমূহের অভ্যন্তরভাগে ক্রমেই বৃষ্টিপাত এর পরিমান কমতে থাকে।
অবস্থান, উচ্চতা ও বৃষ্টিপাত ইত্যাদির ভিত্তিতে এর অঞ্চলকে নিম্নোক্ত ভাগে ভাগ করা যায়:
২.১. সামুদ্রিক জলবায়ু অঞ্চল।
২.২. মহাদেশীয় অঞ্চল এবং
২.৩. মরুদেশীয় জলবায়ু অঞ্চল।
শীত প্রধান নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল
উভয় মেরু বৃত্তের সন্নিকটে যে অঞ্চলে শীতের প্রাধান্য বিরাজ করে তাকে শীতপ্রধান নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু অঞ্চল বলে।
এ অঞ্চলের গড় তাপমাত্রা গ্রীষ্মকালে ২১° সে. এবং শীতকালে প্রায়ই হিমাঙ্কের নীচে এই তাপমাত্রা বিরাজ করে। এ অঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশী দেখা যায়।
অবস্থান, বায়ুর প্রকৃতি, বৃষ্টিপাত ইত্যাদির ভিত্তিতে এ জলবায়ুকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
৩.১. সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল
৩.২. নাতিশীতোষ্ণ মহাদেশীয় অঞ্চল
মেরু দেশীয় জলবায়ু অঞ্চল
পৃথিবীর উভয় মেরু অর্থাৎ উত্তর ও দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের জলবায়ুকে মেরুদেশীয় জলবায়ু অঞ্চল বলে।
এ জলবায়ু অঞ্চলে বছরের অধিকাংশ সময়ই শীত পড়ে এবং বরফ দ্বারা আচ্ছাদিত থাকে। শীতের তীব্রতা ও অবস্থান অনুযায়ী এ জলবায়ু অঞ্চলকে দু’ভাগে পৃথক করা যায়।
১. মেরু দেশীয় তুন্দ্রা অঞ্চল
২. চির তুষারাবৃত্ত মেরু দেশীয় তুন্দ্রা অঞ্চল
পার্বত্য অঞ্চল
পৃথিবীর বিভিন্ন উচ্চভূমি ও পার্বত্য অঞ্চল এর ভূ-প্রকৃতিগত কারনে যে মিশ্র ধরনের জলবায়ু সৃষ্টি হয় তা পার্বত্য জলবায়ু অঞ্চল নামে অভিহিত।
অবস্থান ও উচ্চতার ওপর ভিত্তি করে এ জলবায়ু অঞ্চলকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
১. ক্রান্তীয় উচ্চভূমি এবং
২. মধ্য অক্ষাংশীয় উচ্চভূমি।
জলবায়ু পরিবর্তন কি
কোনও একটি জায়গায় বছরের পর বছর ধরে আবহাওয়ার যে গড়-পড়তা ধরন, তাকেই বলা হয় জলবায়ু। আর জলবায়ু পরিবর্তন বলতে ৩০ বছর বা তার বেশি সময়ে কোনো জায়গার গড় জলবায়ুর দীর্ঘমেয়াদী ও অর্থপূর্ণ পরিবর্তন বুঝায়। একটি নির্দিষ্ট এলাকার তাপমাত্রা বা বৃষ্টিপাতের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনকে বোঝায়।
কোনো একটি এলাকার বছরের পর বছর ধরে আবহাওয়ার যে গড়-পড়তা ধরন বা অবস্থা বিরাজমান থাকে তাকে জলবায়ু বলে। সাধারণভাবে কোনো এলাকা বা অঞ্চলের ৩০ থেকে ৪০ বছরের গড় আবহাওয়া অবস্থাকে বলা হয় জলবায়ু।
আবহাওয়ার এই দীর্ঘ সময়ের গড় অবস্থা বা ধরন বদলে যাওয়াকে বলা হয় জলবায়ু পরিবর্তন।
যেমন: পৃথিবী গরম হয়ে পড়ছে এবং তার ফলে দ্রুত বদলে যাচ্ছে আবহাওয়ার বহুদিনের চেনাজানা আচরণ; এটিই জলবায়ুর পরিবর্তন।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ
জলবায়ু পরিবর্তনের নানা প্রাকৃতিক কারণ রয়েছে। এর মধ্য অন্যতম প্রধান হল ‘কন্টিনেন্টাল ড্রিফট’ বা মহাদেশীয় সরণ, আগ্নেয়গিরির উদ্গিরণ, সমুদ্রের স্রোতপ্রবাহ এবং ‘আরথস টিল্ট’ বা পৃথিবীর হেলে থাকা।
কন্টিনেন্টাল ড্রিফট’ বা মহাদেশীয় সরণ
পৃথিবীর স্থলভাগ যখন একটু একটু করে ছেড়ে যেতে শুরু করল তখনই ধীরে ধীরে সৃষ্টি হল মহাদেশের। লক্ষ লক্ষ বছর আগে এই প্রক্রিয়ায় মহাদেশের জন্ম হয়েছে। মাটির এই সরে যাওয়া বা ছেড়ে যাওয়ার ফলে পৃথিবীর স্থলভাগের জলাশয়গুলির অবস্থানের পরিবর্তন হয়েছে এবং পরিবর্তন হয়েছে সমুদ্রের জলস্রোত ও বায়ুপ্রবাহের। এই পরিবর্তনগুলি জলবায়ুর উপর প্রভাব ফেলে। আজও এই মহাদেশীয় সরণ অব্যাহত রয়েছে।
আগ্নেয়গিরি
যখন কোনও আগ্নেয়গিরি থেকে উদ্গিরণ হয় তখন প্রচুর পরিমাণে সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাস, জলীয় বাষ্প, ধুলো, ছাই বায়ুমণ্ডলে নির্গত হয়। যদিও আগ্নেয়গিরির উদগিরণ মাত্র কয়েক দিন স্থায়ী হয়, তা হলেও প্রচুর পরিমাণে গ্যাস ও ছাই বের হওয়ায় তা দীর্ঘদিন ধরে প্রকৃতির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে এবং জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটায়। গ্যাস এবং ধুলো ভূপৃষ্ঠে আসা স্বাভাবিক সূর্যরশ্মির পথে বাধা সৃষ্টি করে, ফলে জলবায়ু অনেকটা ঠান্ডা হয়ে যায়।
‘আরথস টিল্ট’ বা পৃথিবীর হেলে থাকা
পৃথিবী তার কক্ষপথের উলম্ব তলের সঙ্গে ২৩.৫০ কোণে হেলে রয়েছে। পৃথিবী হেলে থাকার পরিবর্তন হলে তা জলবায়ুর উপর বড় প্রভাব ফেলে। জলবায়ু চরম আকার ধারণ করে। বেশি হেলে যাওয়া মানে গ্রীষ্ম ঋতু আরও বেশি গরম হওয়া ও শীত ঋতু আরও ঠান্ডা হওয়া। কম হেলে থাকা মানে গ্রীষ্মে গরম কম এবং শীতে ঠান্ডা কম।
সমুদ্রের স্রোতপ্রবাহ
জলবায়ু ব্যবস্থায় সমুদ্রের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। সমুদ্র পৃথিবীর ৭১ শতাংশ জুড়ে রয়েছে। সমুদ্র বায়ুমণ্ডলের চেয়ে দ্বিগুণ সূর্যের বিকিরণ শোষণ করে।
জলবায়ু পরিবর্তনের চারটি মানবসৃষ্ট কারণ
- প্রাকৃতিক কারণে জলবায়ুতে স্বাভাবিকভাবেই কিছু পরিবর্তন হয়। কিন্তু যে মাত্রায় এখন তাপমাত্রা বাড়ছে তার মানুষের কর্মকাণ্ডেই প্রধানত দায়ী।
- মানুষ যখন থেকে কল-কারখানা এবং যানবাহন চালাতে বা শীতে ঘর গরম রাখতে তেল, গ্যাস এবং কয়লা পোড়াতে শুরু করলো সেই সময়ের তুলনায় পৃথিবীর তাপমাত্রা এখন ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে।
- বায়ুমণ্ডলে অন্যতম একটি গ্রিন হাউজ গ্যাস কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ উনবিংশ শতকের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে। গত দুই দশকে বেড়েছে ১২ শতাংশ।
- বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণেও বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউজ গ্যাসের নির্গমন বাড়ছে। গাছপালা কার্বন ধরে রাখে। ফলে, সেই গাছ যখন কাটা হয় বা পোড়ানো হয়, সঞ্চিত সেই কার্বন বায়ুমণ্ডলে নিঃসরিত হয়। যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণ করে
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব
মানুষের ওপর প্রভাব
জলবায়ুর পরিবর্তনে বদলে যাবে মানুষের জীবন যাপন ধরন ও প্রক্রিয়া। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথি পানির সঙ্কট তৈরি হবে এবং খাদ্য উৎপাদন কঠিন হয়ে পড়বে; এর প্রভাব সরাসরি আমাদের ওপর অর্থাৎ মানুষের ওপর পড়বে।
কোনো কোনো অঞ্চল বিপজ্জনক মাত্রায় গরম হয়ে পড়বে, এবং সেই সাথে সমুদ্রের পানি বেড়ে বহু এলাকা প্লাবিত হবে; এর ফলে সে সব জায়গা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে।
চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়া
জলবায়ুর পরিবর্তন হলে পৃথিবীতে অতিরিক্ত গরম পড়বে যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকবে। পাশাপাশি ভারি বৃষ্টি এবং ঝড়ের প্রকোপ অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকবে। জলবায়ু পরিবর্তনের এই দিকটির কারণেও মানুষের জীবন এবং জীবিকা হুমকিতে পড়বে। ধনী দেশগুলোর তুলনায় গরীব দেশগুলোতে যে-কোনো ধরনের বিপদ মোকাবেলার সক্ষমতা কম থাকে বলে গরীব ও নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে এত নেতিবাচক প্রভান বা চরম আবহাওয়ার ধাক্কা পড়বে সবচেয়ে বেশি।
পরিবেশের ওপর প্রভাব
জলবায়ু পরিবর্তন হলে স্বাভাবিকভাবেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এখনই এই অবস্থাটি টের পাওয়া যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে যে, তাপমাত্রা বাড়ার কারণে উত্তর মেরুর জমাট বাধা বরফ এবং হিমবাহগুলো দ্রুত গলে যাচ্ছে; এতে সাগরের উচ্চতা বেড়ে উপকুলের নিচু এলাকাগুলো ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বাংলাদেশের নিম্নাঞ্চল আগামী ৫০ বছরের মধ্যে পানির নিচে নিমজ্জিত হবে যদি জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানো না যায় বা প্রতিরোধ না করা যায়।
আবহাওয়া ও জলবায়ু কাকে বলে
কোনাে নির্দিষ্ট স্থানের নির্দিষ্ট সময়ের বায়ুর উষ্ণতা , চাপ , বায়ুপ্রবাহ , আর্দ্রতা , আকাশে মেঘের অবস্থা , বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রভৃতি উপাদানের গড় অবস্থাকে আবহাওয়া বলে ।
কোনাে বিস্তৃত অঞ্চলের কমপক্ষে ৩৫ বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থাকে জলবায়ু বলে ।
আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু | আবহাওয়া | জলবায়ু |
সঙ্গা | কোন স্থানের স্বল্প সময়ের গড় তাপমাত্রা ও গড় বৃষ্টিপাতকে আবহাওয়া বলে। | সাধারণত ৩০-৪০ বছরের বেশি সময়ের আবহাওয়ার গড়কে জলবায়ু বলে। |
পরিবর্তন-শীলতা | আবহাওয়া প্রতিদিন, এমনকি প্রতি ঘন্টায় পরিবর্তন হয়। | অপরদিকে কোন স্থানের জলবায়ু পরিবর্তন হতে দীর্ঘ সময় লাগে। |
বিস্তার | এটি স্বল্প পরিসরে বিস্তার লাভ করে। | এটি বিশাল পরিসরে বিস্তার লাভ করে। |
উপাদান | প্রধান উপাদান হলো উষ্ণতা, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত, বায়ুরচাপ, বায়ু প্রবাহ ইত্যাদি। | এর প্রধান দুটি উপাদান হলো তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত। |
প্রভাব | দৈনন্দিন জীবনের উপর প্রভাব ফেলে। | মানুষের জীবন প্রণালী,কৃষিকাজ, অর্থনৈতি,মানুষের স্বাস্থ্য ইত্যাদির উপর প্রভাব ফেলে। |
অধ্যয়ন | আবহাওয়া সম্পর্কে অধ্যয়নকে আবহাওয়া বিদ্যা (Meteorology) বলে। | অপরদিকে জলবায়ু সম্পর্কে অধ্যয়নকে জলবায়ু বিদ্যা ( Climatology) বলে। |
দৈনন্দিন অবস্থা | আবহাওয়া হল বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরের দৈনন্দিন অবস্থা । | জলবায়ু হল বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরের দীর্ঘকালীন সামগ্রিক অবস্থা । |
স্থানভেদ | স্থানভেদে আবহাওয়া সহজেই পরিবর্তিত হয় । | স্থানভেদে ও ঋতুভেদে জলবায়ুর পরিবর্তন হয় । |
অবস্থা | আবহাওয়া হল জলবায়ুর বিভিন্নতা । | জলবায়ু হল বিভিন্ন আবহাওয়ার সমন্বয় । |
ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য
উভয় গােলার্ধে মহাদেশগুলির পশ্চিম প্রান্তে 30° থেকে 45° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে শুষ্ক গ্রীষ্ম ও আর্দ্র শীতসম্পন্ন জলবায়ু বিরাজ করে। ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী দেশগুলিতে এই জলবায়ুর বিস্তার ও প্রভাব বেশি বলে একে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু বলে। এই জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি হল一
উষ্ণতা সক্রান্ত বৈশিষ্ট্য
- গ্রীষ্মকালীন গড় উষ্ণতা : এই অঞ্চলে স্থানভেদে গ্রীষ্মকালীন গড় তাপমাত্রা 21 °সে. থেকে 27 °সে. পর্যন্ত হয়ে থাকে। গ্রীষ্মকালে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে বলে দিনের বেলা বাতাসের তাপমাত্রা থাকে 32 °সে. থেকে 35 °সে.। ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টোতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 45.5 °সে. পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে।
- শীতকালীন উষ্ণতা : শীতকালে এই অঞ্চলের জলবায়ু মৃদুভাবাপন্ন। মেঘাচ্ছন্নতার কারণে শীতকালে রাত্রিকালীন তাপমাত্রা বিশেষ কমে না। এই অঞ্চলের শীতলতম মাসের উষ্ণতা থাকে 4 °সে. থেকে 10 °সে.।
- দৈনিক উষ্ণতার প্রসর : গ্রীষ্মকালে দিন ও রাতের উষ্ণতার পার্থক্য হয় প্রায় 16 °সে. থেকে 22 °সে.।
- বার্ষিক গড় উষ্ণতা : বার্ষিক গড় উষ্ণতার প্রসর হয় 11 °সে. থেকে 17 °সে.।
বায়ুর চাপ ও বায়ুপ্রবাহ সংক্রান্ত বৈশিষ্ট্য
- উপক্ৰান্তীয় উচ্চচাপ বলয়ের অবস্থান : ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে উপক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় অবস্থিত।
- চাপ বলয়ের স্থানান্তর : সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়নের সঙ্গে সঙ্গে বায়ুচাপবলয়গুলি যথাক্রমে উত্তর ও দক্ষিণে সরে যায়।
- বায়ুপ্রবাহে তারতম্য : উত্তর গােলার্ধে গ্রীষ্মকালে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে উত্তর-পূর্ব আয়ন বায়ু এবং দক্ষিণ গােলার্ধে শীতকালে উত্তর-পশ্চিম পশ্চিমা বায়ু প্রবাহিত হয়। আবার উত্তর গােলার্ধে শীতকালে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে পশ্চিমা বায়ু এবং দক্ষিণ গােলার্ধে গ্রীষ্মকালে আয়ন বায়ু প্রবাহিত হয়।
- ঘূর্ণিঝড়ের আগমন : এই অঞ্চলে নিয়মিতভাবে ঘূর্ণিঝড় প্রবাহিত হয় বলে বৃষ্টিপাতের বণ্টন ও প্রকৃতি ঘূর্ণিঝড়ের দ্বারা নির্ধারিত হয়।
- স্থানীয় বায়ুর অবির্ভাব : এই অঞ্চলের আর-একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল—অসংখ্য ভিন্নধর্মী স্থানীয় বায়ুর আবির্ভাব। গ্রীষ্মকালে এই জলবায়ু অঞ্চলের মধ্য দিয়ে খামসিন, সিরক্কো, ঘিবলি, ব্রিকফিল্ডার প্রভৃতি উষ্ণ ও শুষ্ক বায়ু প্রবাহিত হয়। শীতকালে ফ্রান্সের রােন উপত্যকায় মিস্ট্রাল এবং অ্যাড্রিয়াটিক সাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে বােরা প্রভৃতি শুষ্ক ও শীতল বায়ু প্রবাহিত হয়।
বৃষ্টিপাত সংক্রান্ত বৈশিষ্ট্য
- শুষ্ক গ্রীষ্ম ও আর্দ্র শীত : শুষ্ক গ্রীষ্মকাল ও আর্দ্র শীতকাল ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের প্রধান বৈশিষ্ট্য। উত্তর গােলার্ধে সাধারণত ডিসেম্বর মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এবং দক্ষিণ গােলার্ধে মে মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।
- বৃষ্টিপাতের পরিমাণ : এই অঞ্চলে মহাদেশগুলির পশ্চিম প্রান্তে গড়ে 35 সেমি থেকে 90 সেমি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। পশ্চিমা বায়ুর গতিপথে উচ্চভূমি অবস্থান করলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা বেশি হয়—প্রায় 125 সেমি। অ্যাড্রিয়াটিক উপসাগরের পূর্বদিকে ডালমেশিয়ান উচ্চভূমিতে গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় 450 সেমি।
- তুষারপাত : এই অঞ্চলের সর্বত্র তুষারপাত হয় না। এই অঞ্চলের মেরুমুখী প্রান্তে কখনাে কখনাে অতি সামান্য তুষারপাত হয়। এই অঞ্চলের উচ্চভূমিতে তুষারপাতের পরিমাণ বেশি। এই অঞ্চলের অভ্যন্তরভাগে বা নিম্নভূমিতে শীতকালে কখনাে কখনাে তুহিন জমে।
- ঋতুকালীন আবহাওয়ার বৈচিত্র্য : এই অঞ্চলে গ্রীষ্মকাল শুষ্ক এবং শীতকাল আর্দ্র।
- (1) শীতকালে উত্তর গােলার্ধে বায়ুরচাপবলয়গুলি কয়েক ডিগ্রি দক্ষিণে সরে যায়। ফলে ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চল পশ্চিমা বায়ুর দ্বারা প্রভাবিত হয়। ওই সময় মেরুপ্রদেশ থেকে শীতল বায়ুপুঞ্জ এই অঞ্চলে প্রবেশ করলে নাতিশীতােয় ঘূর্ণবাতের সৃষ্টি হয়। এই ঘূর্ণবাতের কারণে এই অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।
- (2) গ্রীষ্মকালে এই অঞ্চলে উচ্চচাপ বিরাজ করে এবং নিম্নগামী বাতাস ক্রমশ উয় হয়ে ওঠে। ফলে, ওই সময় এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ঘটে না, আবহাওয়া উয় ও শুষ্ক প্রকৃতির হয়।
আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে মিল ও অমিল কোথায়
আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে মিল ও কিছু ক্ষেত্রে অমিল দেখা যায়। তা নিচে উল্লেখ করা হলো-
আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে মিল
- আবহাওয়া ও জলবায়ু একই উপাদান দ্বারা প্রভাবিত হয়। উপাদানগুলো হলো- তাপমাত্রা, বায়ুপ্রবাহ, আর্দ্রতা, মেঘ, বৃষ্টিপাত ও বায়ুচাপ।
আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে অমিল
- জলবায়ু হলো কোনো স্থানের বহু বছরের আবহাওয়ার সামগ্রিক বা গড় অবস্থা। আবহাওয়া হলো কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো নির্দিষ্ট স্থানের আকাশে ও বায়ুমন্ডলের সাময়িক অবস্থা।
- জলবায়ু একটি বৃহৎ এলাকার বায়ুমন্ডলের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা। আবহাওয়া একটি ক্ষুদ্র এলাকার বায়ুমন্ডলের ক্ষণস্থায়ী অবস্থা।
- জলবায়ু পরিবর্তন হতে অনেক বছর কেটে যায়। আবহাওয়া অল্প সময়ের মধ্যে পরিবর্তত হয়।
আরো অন্যান্য সরকারি স্কিম সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
আরো বিশদে পড়ার জন্য
বি সন্দীপ আধ্যায় (লেখক), ড. দীপা রায় (লেখক), কে এস বালা (সম্পাদক)
FAQ | জলবায়ু
Q1. ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু কাকে বলে
Ans – ক্রান্তীয় অঞ্চলের অন্তর্গত 10 ডিগ্রি থেকে 30° অক্ষাংশের মধ্যবর্তী মৌসুমী বায়ু প্রভাবাধীন যে অঞ্চলগুলিতে ঋতু বিশেষে বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার তারতম্য লক্ষ্য করা যায় তাকে ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু বলা হয়ে থাকে। এই জলবায়ু অঞ্চলের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা এই জলবায়ু অঞ্চল কে জলবায়ু অঞ্চল থেকে পৃথক করে থাকে। এ ধরনের ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু বিষয়ক ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান প্রভৃতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে বেশি লক্ষ্য করা যায়।
Q2. প্রধানত কোন বায়ু প্রবাহ ভারতের জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে
Ans – ভারতের জলবায়ুর প্রধান নিয়ন্ত্রক হল মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ। এই মৌসুমি বায়ুপ্রবাহের জন্য ভারতে বৃষ্টিপাত , ঋতু পরিবর্তন হয় এবং জলবায়ুর আর্দ্রতা ও শুস্কতা নিয়ন্ত্রিত হয়।
Q3. চরমভাবাপন্ন জলবায়ু কাকে বলে
Ans – গ্রীষ্মকালে মহাদেশের অভ্যন্তর ভাগের এলাকায় শীত অনুভূত হয়, এ ধরনের জলবায়ুকে চরমভাবাপন্ন জলবায়ু বলে।
Q4. ঋতু পরিবর্তন দেখা যায় না কোন জলবায়ুতে
Ans – নিরক্ষীয় ও মেরু অঞ্চলে ঋতু পরিবর্তন হয় না।
Q5. নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু কাকে বলে
Ans – নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু হল এক ধরনের জলবায়ু যেখানে তুলনামূলকভাবে মাঝারি মাসিক গড় তাপমাত্রা, তাপমাত্রা উষ্ণতম মাসে 10 ℃ উপরে এবং শীতলতম মাসে তাপমাত্রা -3 ℃ উপরে. গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত 600 মিমি থেকে 2000 মিমি পর্যন্ত।
নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু অঞ্চলটি সাধারণত উপক্রান্তীয় জলবায়ু এবং মেরু জলবায়ুর মধ্যে অবস্থিত, অর্থাৎ, 45º এবং 60º উত্তর এবং দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে এলাকা. তারা এমন অঞ্চল যেখানে বছরের চারটি ঋতু ঘটে।
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন।