- রাসায়নিক বিক্রিয়া কাকে বলে উদাহরণ দাও
- রাসায়নিক বিক্রিয়ার বৈশিষ্ট্য
- রাসায়নিক বিক্রিয়া কত প্রকার ও কি কি
- রাসায়নিক বিক্রিয়া করার নিয়ম
- রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপের পরিবর্তন হয় কেন
- রাসায়নিক বিক্রিয়া সমতাকরণ উদাহরণ
- ১০ টি রাসায়নিক বিক্রিয়ার নাম
- ১. আলোকসজ্জা দিয়ে খাদ্য তৈরীর প্রতিক্রিয়া
- ২. অ্যারোবিক সেলুলার ঝরনা অক্সিজেনের সাথে একটি প্রতিক্রিয়া
- ৩. বায়বীয় শ্বসন রাসায়নিক বিক্রিয়ার
- ৪. দহন হল এক প্রকার রাসায়নিক বিক্রিয়া
- ৫. মরিচা একটি সাধারণ রাসায়নিক বিক্রিয়া
- ৬. রাসায়নিক মিশ্রণের রাসায়নিক বিক্রিয়া
- ৭. ব্যাটারি ইলেক্ট্রোকেমিক্যালের উদাহরণ
- ৮. অ্যাসিড-বেস প্রতিক্রিয়া
- ৯. সাবান এবং ডিটারজেন্ট
- ১০. রান্না একটি বড় ব্যবহারিক রসায়ন পরীক্ষা
- একটি রাসায়নিক বিক্রিয়ার সাহায্যে পার্থক্য করো প্রোপিন ও প্রোপাইন
- রাসায়নিক বিক্রিয়া ও নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য, নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া ও রাসায়নিক বিক্রিয়ার পার্থক্য
- FAQ | রাসায়নিক বিক্রিয়া
রাসায়নিক বিক্রিয়া কাকে বলে উদাহরণ দাও
যে প্রক্রিয়ায় এক বা একাধিক বস্তু এক বা একাধিক নতুন বস্তুতে রূপান্তরিত হয় তাকে রাসায়নিক ক্রিয়া বা রাসায়নিক বিক্রিয়া (Chemical reaction) বলে।
রাসায়নিক বিক্রিয়া হচ্ছে এক ধরণের প্রক্রিয়া, যে প্রক্রিয়ায় এক বা একাধিক পদার্থ বা মৌল বা যৌগ বা বিক্রিয়ক, উপযুক্ত পরিবেশে পরস্পরের সাথে মিলিত হয়ে এক বা একাধিক অন্য নতুন পদার্থ বা মৌল বা যৌগ বা উৎপাদক তৈরী করে। রসায়ন বিজ্ঞানে, যে বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক উৎপাদকে রূপান্তরিত হয় তাকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে।
উদাহরণ : হাইড্রোজেন (H) ও অক্সিজেন (O) পরস্পরের সাথে মিলিত হয়ে পানি উৎপন্ন করে।
2H2 + O2 = 2H2O
এখানে, পানি হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন বস্তু। অর্থাৎ, তারা পরস্পর মিলিত হয়ে একটি নতুন বস্তু পানিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
সুতরাং, এ প্রক্রিয়া একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া।
রাসায়নিক বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে শক্তি বর্জন বা শোষিত হওয়ার মাধ্যমে একটি নতুন পদার্থ তৈরি হয়। এটি ঘটে যখন পরমাণুর মধ্যে রাসায়নিক বন্ধন তৈরি হয় বা ভেঙে যায়। বিক্রিয়ার ফলে পদার্থের অণুর গঠনে পরিবর্তন ঘটে। রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দুটি অংশ থাকে যেমন, বিক্রিয়ক এবং উৎপাদক।
যে পদার্থগুলো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সরাসরি অংশগ্রহণ করে, তাকে বিক্রিয়ক বলে।
রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে যেসকল নতুন পদার্থ সৃষ্টি হয়, তাদেরকে উৎপাদক বলে।
রাসায়নিক বিক্রিয়া হার বিভিন্ন পারিপাশ্বিক কারণ, প্রভাব এবং উপাদান দ্বারা প্রভাবিত হয়, যার মধ্যে রয়েছে:
- বিক্রিয়াক ঘনত্ব
- ভূপৃষ্ঠ
- তাপমাত্রা
- চাপ
- অনুঘটকের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি
- আলোর উপস্থিতি, বিশেষ করে অতিবেগুনী আলো
- সক্রিয়করণ শক্তি
রাসায়নিক বিক্রিয়ার উদাহরণ
উদাহরণ-১ । এখানে, হাইড্রোজেন (H) ও অক্সিজেন (O) দুটি মৌল এবং তারা একে অপরের সাথে বিক্রিয়া করে পানি (H2O) যৌগ তৈরি করে।
মৌল + মৌল = যৌগ
হাইড্রোজেন + অক্সিজেন = পানি
2H2 + O2 = 2H2O
উদাহরণ-২ । সোডিয়াম (Na) ও ক্লোরিন (Cl) মৌল দুইটি বিক্রিয়া করে সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) লবন উৎপন্ন করে।
সোডিয়াম + ক্লোরিন = লবন (সোডিয়াম ক্লোরাইড)
Na2 + Cl2 = 2NaCl
উদাহরণ-৩ । কার্বন ডাই-অক্সাইড( CO2), পানি (H2O) ও সূর্যের আলোর উপস্থিতে চিনি (C6H12O6) গঠিত করে। এখানে, আলো হচ্ছে উপযুক্ত পরিবেশ।
যৌগ + যৌগ + প্রভাবক = যৌগ + মৌল
কার্বন ডাই-অক্সাইড + পানি + আলো = গ্লুকোজ (চিনি) + অক্সিজেন
6CO2 + 6H2O + Light = C6H12O6 + 6O2
রাসায়নিক বিক্রিয়ার বৈশিষ্ট্য
রাসায়নিক বিক্রিয়ার বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ
- রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপের শোষণ বা উদগীরণ ঘটে।
- রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট উৎপাদের ধর্ম, বিক্রিয়কের ধর্ম থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
- বিক্রিয়কের মোট ভর ও উৎপাদের মোট ভর একই হয়।
- বিক্রিয়ার প্রকৃতি সম্পর্কে জানা যায়।
- বিক্রিয়ার গতিপ্রকৃতি সম্বন্ধে জানা যায়।
- উৎপাদের প্রকৃতি সম্পর্কে জানা যায়।
- উৎপাদের ভৌত অবস্থা জানা যায়।
রাসায়নিক বিক্রিয়া কত প্রকার ও কি কি
রাসায়নিক বিক্রিয়া বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। যেমন–
- ১. সংযোজন বিক্রিয়া: যে বিক্রিয়ায় দুই বা ততোধিক মৌলিক বা যৌগিক পদার্থ বিক্রিয়া করে একটি মাত্র যৌগ উতপন্ন করে, তাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলে। যেমন, NH3+HCl → NH4Cl
- ২. সংশ্লেষণ বিক্রিয়া: যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দুই বা ততোধিক মৌলিক পদার্থ বিক্রিয়া করে একটি মাত্র যৌগ উতপন্ন করে, তাকে সংশ্লেষণ বিক্রিয়া বলে। যেমন, C+O2→ CO2
- ৩. বিয়োজন বিক্রিয়া: যে বিক্রিয়ায় একটি যৌগ বিভক্ত হয়ে দুই বা ততোধিক মৌল বা যৌগ উতপন্ন করে। যেমন, CaCO3→ CaO+CO3
- ৪. প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া: যে বিক্রিয়ায় একটি মৌল অন্য একটি যৌগের অণুর এক বা একাধিক পরমাণুকে সরিয়ে নিজেই স্থান দখল করে, তাকে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বলে। যেমন, Zn+H2SO4→ ZnSO4+H2
- ৫. প্রশমন বিক্রিয়া: যে বিক্রিয়ায় একটি এসিড ও একটি ক্ষার বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উতপন্ন করে, তাকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে। যেমন, HCl+MgO→ MgCl2+H2O
- ৬. দহন বিক্রিয়া: যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বায়ু বা অক্সিজেনের উপস্থিতিতে কোন পদার্থ অগ্নি সংযোগ তা ভিন্ন কোন পদার্থে পরিণত হয়, তাকে দহন বিক্রিয়া বলে। এই বিক্রিয়ায় তাপ ও শক্তি উৎপন্ন হয়। যেমন, 2Mg+O2→2Mg0+Heat
- ৭. বিনিময় বিক্রিয়া: যে বিক্রিয়ায় দুটি ভিন্ন যৌগের অণূর মৌল বা যৌগ গুলোপরস্পর স্থান বিনিময় করে একাধিক নতুন যৌগ তৈরি করে। যেমন, AgNO3+NaCl→ AgCl+NaNO3
রাসায়নিক বিক্রিয়া করার নিয়ম
- উৎপাদক তৈরী করতে হলে যে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ককে বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে হবে। যেমন, উদাহরণ-১ এ বিক্রিয়ক হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে উৎপাদক পানি তৈরী করে।
- রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক ও উৎপাদককে উপযুক্ত সংকেত বা প্রতীকের মাধ্যমে চিহ্নিত করতে হবে। যেমন, উদাহরণ-১ এ বিক্রিয়ক ও উৎপাদককে চিহ্নিত রূপ দেওয়া হয়েছে। হাইড্রোজেনের প্রতীক H, অক্সিজেনের প্রতীক O এবং পানির প্রতীক H2O ।
- রাসায়নিক বিক্রিয়ার আগে ও পরে বিক্রিয়ক ও উৎপাদকের পরমাণু ও অনুর সংখ্যা সমান হতে হবে একটি সফল রাসায়নিক বিক্রিয়ার অন্যতম উদাহারণ হচ্ছে রাসায়নিক বিক্রিয়ক ও উৎপাদক সাম্যবস্থার বজায় রাখবে। যেমন, উদাহরণ-৩ এ অনু ও পরমাণুর সংখ্যা উভয়দিকে সমান রাখা হয়েছে।
- রাসায়নিক বিক্রিয়ায় রাসায়নিক পরিবর্তন হবে,যেমন বিক্রিয়কের রঙের পরিবর্তন, বিক্রিয়ায় তাপ ও চাপের পরিবর্তন ইত্যাদি। যেমন, উদাহরণ-৩ এ উদ্বায়ী কার্বন ডাই-অক্সাইড ও তরল পানি আলোর উপস্থিতিতে কঠিন পদার্থ চিনি তৈরি করেছে।
সমীকরণের সাহায্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া (Chemical Reaction) সংক্ষেপে উপস্থাপন করার নিয়ম :
- রাসায়নিক সমীকরণের বিক্রিয়ক ও উৎপাদের মাঝে (→→) তীর চিহ্ন বসাতে হয় এবং (=) চিহ্ন দিলে উভয় পাশে বিক্রিয়ার সমতা বের করতে হবে, যাকে রাসায়নিক সমীকরণের সমতা বলে।
- বিক্রিয়াসমূহ ও উৎপাদসমূহ প্রতীক বা সংকেতের মাধ্যমে লেখা হয়। একাধিক বিক্রিয়কসমূহ বা উৎপাদসমূহ থাকলে তাদের মাঝে (+) যোগ চিহ্ন বসাতে হবে।
- প্রয়োজনে বিক্রিয়ক বা উৎপাদের ভৌত অবস্থা উল্লেখ করতে হয়। পদার্থ কঠিন হলে বন্ধনীর ভেতর (S) লেখা হয়। গ্যাসীয় হলে (g) ও তরল হলে (l) ও জলীয় দ্রবণ হলে (aq) লেখা হয়। যেমন : CaCO3s+HCl (aq)→CaCl2(aq)+CO2(g)+H2O (l)CaCO3s+HCl (aq)→CaCl2(aq)+CO2(g)+H2O (l)
- বিক্রিয়ায় যতোটুকু তাপ উৎপন্ন বা শোষিত হয় তা দেখাতে হলে বিক্রিয়ার সমতা করতে হয় ও পদার্থের ভৌত অবস্থা দেখাতে হয়। এবং উৎপন্ন বা শোষিত তাপের পরিমাণ ∆H দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
- কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া তাপ প্রয়োগে সংঘটিত হলে তীর (→) চিহ্নের উপর (∆) ডেল্টা চিহ্ন দিতে হয়। যেমন : 2Mg (NO3)2(s) →Δ 2 MgO(s)+4NO2(g)+O2 (g)2Mg (NO3)2(s) →Δ 2 MgO(s)+4NO2(g)+O2 (g)
রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপের পরিবর্তন হয় কেন
রাসয়নিক বিক্রিয়ার অনেক গুলো বৈশিষ্টের মাঝে তাপশক্তির পরিবর্তন একটা। অর্থাৎ যদি একটি বিক্রিয়া সংঘটিত হয় তবে সেখানে তাপশক্তির পরিবর্তন অপরিহার্য। প্রত্যেকটা মৌলের একটা সুনির্দিষ্ট অভ্যন্তরীন শক্তি বিদ্যমান । যখন তারা কোনো রাসায়নিক বন্ধোনে আবদ্ধ হয় তখন উক্ত যৌগ গঠনে যে শক্তি দরকার বা গঠন এর পর ছেড়ে দেয় তা প্রতিবেশের থেকে গ্রহন করে বা ছেড়ে দেয়।
প্রত্যেক পদার্থের মধ্যে কিছু শক্তি বিদ্যমান থাকে। সাধারনত কোনো কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কসমূহের শক্তি দিয়ে বিক্রিয়া ঘটাতে হয় অথবা কোনো কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটার ফলে শক্তি উৎপন্ন হয়। অর্থাৎ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শক্তির রুপান্তর ঘটে। বিক্রিয়া ঘটাতে যে শক্তি দিতে হয় বা বিক্রিয়া ঘটার ফলে যে শক্তি উৎপন্ন হয় তার বিভিন্ন রুপ হতে পারে। যেমন – তাপশক্তি,আলোকশক্তি,বিদুৎ শক্তি,শব্দ শক্তি ইত্যাদি।
রাসায়নিক বিক্রিয়া সমতাকরণ উদাহরণ
রাসায়নিক বিক্রিয়ায় (chemical reaction) বিক্রিয়ক ও উৎপাদ ভরের সংরক্ষণসূত্র মানে বলে বিক্রিয়ক ও উৎপাদের বিভিন্ন মৌলের পরমাণুর সংখ্যা সমান করতে হয়।
চলো বন্ধুরা এবার বিক্রিয়া সমতাকরণ করা শিখে নিই।
- প্রথমে প্রতীক ও সংকেত এর সাহায্যে বিক্রিয়ক ও উৎপাদ লিখে সমীকরণ লেখা হয়।
- প্রথমে যৌগিক অণুতে মৌলের পরমাণু সংখ্যা তারপর মৌলিক অণুতে মৌলের পরমাণু সংখ্যা সমান করতে হয়। সমান করার জন্য সমীকরণের উভয় পাশে বিক্রিয়ক এবং উৎপাদকে বিভিন্ন সংখ্যা দিয়ে গুণ করতে হয়।
- যখন রাসায়নিক বিক্রিয়ার এক পাশে দ্বিপরমাণু মৌল যেমন N2,O2N2,O2 থাকে এবং যৌগিক অণুকে প্রয়োজনীয় সংখ্যা দিয়ে গুণ করার পর দেখা যায় দ্বিপরমাণুক মৌল একপাশে বিজোড় অবস্থায় বিরাজ করে তখন আমাদের দ্বিপরমাণুক ভগ্নাংশ দিয়ে গুণ করতে হয়।
C6H14+O2→CO2+H2O⇒C6H14+O2→6 CO2+7 H2OC6H14+O2→CO2+H2O⇒C6H14+O2→6 CO2+7 H2O
- এখন দেখা যায় যে, ডান পাশে 13 টা অক্সিজেন বিদ্যমান যা 2 দ্বারা বিভাজ্য। এক্ষেত্রে আমাদের ভগ্নাংশ দিয়ে গুণ করতে হবে।
C6H14+132O2→CO2+H2OC6H14+213O2→CO2+H2O
উভয় পক্ষে 2 দিয়ে গুণ করে পাই,C6H14+16O2→12 CO2+14 H2OC6H14+16O2→12 CO2+14 H2O
দেখা যাচ্ছে যে, সমীকরণটির সমতা যথাযথ হয়েছে।
এখন একটা রাসায়নিক বিক্রিয়ার সমীকরণ গঠন করে সমতা করা যাক।
চুনের জলীয় দ্রবণের সাথে সালফিউরিক এসিড (Sulphuric acid) বিক্রিয়া করে ক্যালসিয়াম ফসফেট ও পানি উৎপন্ন করে। বিক্রিয়াটির সমতাকরণ কর।Ca(OH)2+H3PO4→Ca3(PO4)2+H2OCa(OH)2+H3PO4→Ca3(PO4)2+H2O
প্রথমে ক্যালসিয়াম সমতার জন্য বাম পাশে CaOH2CaOH2 এর সাথে 3 গুণ দিব।3 Ca(OH)2+H3(PO4)→Ca3(PO4)2+H2O3 Ca(OH)2+H3(PO4)→Ca3(PO4)2+H2O
এবার বাম পক্ষে 1টা PO43−PO43− আয়ন থাকলেও ডান পক্ষে তা 2টা। তাই H3PO4H3PO4 কে 2 দিয়ে গুণ করলে PO4PO4 এর সমতা হবে।3 Ca(OH)2+2 H3PO4→Ca3(PO4)2+H2O3 Ca(OH)2+2 H3PO4→Ca3(PO4)2+H2O
এবার বামপক্ষে 12 টা হাইড্রোজেন থাকলেও ডানপাশে কেবল 2টা। তাই H2OH2O এর সাথে 6 গুণ দিতে হবে।3 Ca(OH)2+2 H3PO4→Ca3(PO4)2+6 H2O3 Ca(OH)2+2 H3PO4→Ca3(PO4)2+6 H2O
∴ সুতরাং রাসায়নিক বিক্রিয়াটি সমতাকৃত হয়েছে।
পরমাণু অনু ও রাসায়নিক বিক্রিয়া বিশদে পড়ুন
১০ টি রাসায়নিক বিক্রিয়ার নাম
১০টি দৈনন্দিন জীবনের রাসায়নিক বিক্রিয়া , এটি প্রতিটি একক ব্যক্তির জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রসায়ন শুধুমাত্র একটি ল্যাবে নয়, আপনার চারপাশের বিশ্বে ঘটে। রাসায়নিক বিক্রিয়ার নাম ও রাসায়নিক বিক্রিয়া গুলি নিচে উল্লেখ করা হলো।
১. আলোকসজ্জা দিয়ে খাদ্য তৈরীর প্রতিক্রিয়া
পাতার ক্লোরোফিল কার্বন ডাই অক্সাইড এবং পানিকে গুলুকোজ এবং অক্সিজেনে রূপান্তরিত করে।
গাছপালা ক্রোমোসোমাটোসিস নামে একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া প্রয়োগ করে যা কার্বন ডাই অক্সাইড এবং জলকে খাদ্য (গ্লুকোজ) এবং অক্সিজেনে রূপান্তরিত করে। এটি সবচেয়ে সাধারণ রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলির মধ্যে একটি, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি, কারণ এটি কীভাবে উদ্ভিদ নিজেদের এবং প্রাণীদের খাওয়ায় এবং কার্বন ডাই অক্সাইডকে অক্সিজেনে রূপান্তরিত করে তার সাথে সম্পর্কিত।
6 CO 2 + 6 H 2 O + সূর্যের আলো C6H12O 6 + 6 O 2
২. অ্যারোবিক সেলুলার ঝরনা অক্সিজেনের সাথে একটি প্রতিক্রিয়া
বায়বীয় সেলুলার শ্বসন হল অক্সিজেন অণুগুলির সংমিশ্রণ দ্বারা সালোকসংশ্লেষণের বিপরীত প্রক্রিয়া যা আমরা কার্বন ডাই অক্সাইড এবং জলের প্রয়োজনীয় শক্তিকে উদ্দীপিত করার জন্য আমাদের কোষগুলির সাথে শ্বাস করি। কোষ দ্বারা ব্যবহৃত শক্তি ATP আকারে রাসায়নিক শক্তি।
এখানে আরবি সেলুলার শ্বাস-প্রশ্বাসের সামগ্রিক সমীকরণ রয়েছে:
C6H12 এবং 6 + 6O 2 → 6CO 2 + 6H2O + শক্তি (36 ATP)
৩. বায়বীয় শ্বসন রাসায়নিক বিক্রিয়ার
অ্যানেরোবিক শ্বসন ওষুধ এবং অন্যান্য কৃমি পণ্য তৈরি করে।
বায়বীয় শ্বাস-প্রশ্বাসের বিপরীতে, বায়বীয় শ্বসন রাসায়নিক বিক্রিয়ার একটি সেট বর্ণনা করে যা অক্সিজেন ছাড়াই জটিল অণু থেকে শক্তি আহরণ করতে দেয়। আপনার পেশী কোষগুলি যখনই আপনি তাদের অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষয় করেন, যেমন তীব্র বা দীর্ঘায়িত ব্যায়ামের সময় অ্যানেরোবিক শ্বসন সঞ্চালন করে। ইথানল, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য রাসায়নিক যা পনির, ওয়াইন, বিয়ার, দই, রুটি এবং অন্যান্য সাধারণ পণ্য তৈরি করতে খামির এবং ব্যাকটেরিয়া দ্বারা অ্যানেরোবিক শ্বসন ঘটে।
অ্যানেরোবিক শ্বাস-প্রশ্বাসের একটি ফর্মের জন্য সামগ্রিক রাসায়নিক সমীকরণ হল:
C 6 H 12 O 6 → 2C 2 H 5 OH + 2CO 2 + শক্তি
৪. দহন হল এক প্রকার রাসায়নিক বিক্রিয়া
দহন দৈনন্দিন জীবনের একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া। জয়-উদ্যোগ
প্রতিবার যখন আপনি একটি ম্যাচ আঘাত করেন, একটি মোমবাতি জ্বালান, একটি আগুন তৈরি করেন, বা একটি গর্ত জ্বালান, আপনি দহন প্রতিক্রিয়া দেখতে পান। কার্বন ডাই অক্সাইড এবং জল তৈরি করতে অক্সিজেনের সাথে দাহ্য অণু যোগ করে।
উদাহরণস্বরূপ, গ্যাস গ্রিল এবং কিছু ফায়ারপ্লেসে পাওয়া প্রোপেনের জ্বলন প্রতিক্রিয়া হল:
C3H8 + 5O 2 → 4H2O + 3CO 2 + শক্তি
৫. মরিচা একটি সাধারণ রাসায়নিক বিক্রিয়া
সময়ের সাথে সাথে, লোহাকে একটি লাল, ফ্ল্যাকি আবরণ মরিচা বলা হয়। এটি একটি জারণ বিক্রিয়ার উদাহরণ। অন্যান্য দৈনন্দিন উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে তামার উপর ভার্ডিগ্রিস গঠন এবং রূপার উপর কলঙ্কিত করা
এখানে মরিচা লোহা জন্য রাসায়নিক সমীকরণ আছে:
Fe + O 2 + H 2 O → Fe 2 O 3 XH 2 O
৬. রাসায়নিক মিশ্রণের রাসায়নিক বিক্রিয়া
বেকিং পাউডার এবং বেকিং সোডা কেকের সময় একই ধরনের কাজ করে, কিন্তু তারা অন্যান্য উপাদানের সাথে ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় যাতে আপনি সবসময় একটির পরিবর্তে অন্যটির বিকল্প করতে পারবেন না।
যদি আপনি একটি রাসায়নিক আগ্নেয়গিরি বা একটি রেসিপিতে বেকিং পাউডারের সাথে দুধের জন্য ভিনেগার এবং বেকিং সোডা একত্রিত করেন তবে আপনি দ্বিগুণ স্থানচ্যুতি বা মেটাথেসিস প্রতিক্রিয়া (এছাড়া কিছু অন্যান্য) অনুভব করেন। উপাদানগুলি কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস এবং জল তৈরি করতে পুনরায় কম্পন করে। কার্বন ডাই অক্সাইড আগ্নেয়গিরিতে বুদবুদ তৈরি করে এবং বেকড পণ্যের উত্থানে সহায়তা করে।
এই প্রতিক্রিয়ার অনুশীলনটি সহজ বলে মনে হয় তবে প্রায়শই একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে গঠিত। বেকিং সোডা এবং ভিনেগারের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার জন্য এখানে সামগ্রিক রাসায়নিক সমীকরণ রয়েছে:
HC 2 H 3 O 2 (aq) + NaHCO 3 (aq) → NaC 2 H 3 O 2 (aq) + H 2 O () + CO2 (g)
৭. ব্যাটারি ইলেক্ট্রোকেমিক্যালের উদাহরণ
ব্যাটারি রাসায়নিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তর করতে ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল বা রেডক্স বিক্রিয়া ব্যবহার করে। স্বতঃস্ফূর্ত রেডক্স প্রতিক্রিয়াগুলি গ্যাসোলিন কোষগুলিতে ঘটে, যখন অ-বিচ্ছিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলি ইলেক্ট্রোলাইটিক কোষগুলিতে ঘটে।
হজম
হেক্সাজেনের সময় হাজার হাজার রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। যখনই আপনি আপনার মুখের মধ্যে খাবার রাখেন, আপনার লালার একটি এনজাইম শ্বাসকষ্টের কারণ হয় এবং অন্যান্য কার্বোহাইড্রেটগুলি এমন আকারে সরতে শুরু করে যা আপনার শরীরের পক্ষে শোষণ করা সহজ। আপনার পাকস্থলীতে থাকা হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড এটিকে ভেঙে দেয় এবং খাবারের সাথে প্রতিক্রিয়া করে, যখন এনজাইমগুলি প্রোটিন এবং চর্বি ছড়িয়ে দেয় যাতে তারা অ্যান্টিনেস্টাইনের দেয়ালের মাধ্যমে আপনার রক্ত প্রবাহে শোষিত হতে পারে।
৮. অ্যাসিড-বেস প্রতিক্রিয়া
যখন আপনি একত্রিত এবং অ্যাসিড এবং একটি বেস, লবণ গঠিত হয়.
যখনই আপনি অ্যাসিডগুলিকে (উদাহরণস্বরূপ, ভিনেগার, লেবুর রস, সালফিউরিক অ্যাসিড, মারিজুয়ানা অ্যাসিড) একটি বেস (যেমন, বেকিং সোডা, সাবান, অ্যামোনিয়া, অ্যাসিটিন) এর সাথে একত্রিত করেন, আপনি একটি অ্যাসিড বেস প্রতিক্রিয়া সম্পাদন করছেন৷ এই বিক্রিয়াগুলো লবণ ও পানি উৎপাদনের জন্য অ্যাসিড এবং বেস নিরপেক্ষ।
সোডিয়াম ক্লোরাইড একমাত্র লবণ নয় যা গঠিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, এখানে একটি অ্যাসিড-বেস বিক্রিয়ার রাসায়নিক সমীকরণ রয়েছে যা পটাসিয়াম ক্লোরাইড তৈরি করে, একটি সাধারণ টেবিল লবণের বিকল্প:
HCL + Koh → Keol + H2O
৯. সাবান এবং ডিটারজেন্ট
সাবান এবং ডিটারজেন্ট রাসায়নিক বিক্রিয়া দ্বারা পরিষ্কার করা হয়। সাবান পানির সাথে মিশে যায়, অর্থাৎ তৈলাক্ত দাগ সাবানের সাথে আবদ্ধ থাকে যাতে তারা পানির সাথে উড়ে যেতে পারে। ডিটারজেন্টগুলি সার্ফ্যাক্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করে, পৃষ্ঠের রুক্ষতা হ্রাস করে যাতে এটি তেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, তাদের বিচ্ছিন্ন করতে পারে এবং তাদের ধুয়ে ফেলতে পারে।
রান্নায় রাসায়নিক বিক্রিয়া
১০. রান্না একটি বড় ব্যবহারিক রসায়ন পরীক্ষা
খাবারে রাসায়নিক পরিবর্তনের কারণে চিনি তাপ ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, যখন আপনি একটি শক্ত-সিদ্ধ ডিম গরম করেন, তখন ডিমের সাদা অংশকে গরম করে উত্পাদিত হাইড্রোজেন সালফাইড জাল থেকে লোহার সাথে বিক্রিয়া করতে পারে এবং জালের চারপাশে একটি গাঢ়-সবুজ বলয় তৈরি করতে পারে। যখন আপনি বাদামী মাংস বা বেকড পণ্যের মধ্যে Maillard মিশ্রিত করেন, তখন অ্যামিনো অ্যাসিড এবং চিনি একটি বাদামী রঙ এবং একটি পছন্দসই স্বাদ তৈরি করে।
একটি রাসায়নিক বিক্রিয়ার সাহায্যে পার্থক্য করো প্রোপিন ও প্রোপাইন
জারণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রোপেন থেকে প্রোপানল প্রস্তুত করা যায়। প্রোপেনল উৎপন্ন করার জন্য প্রোপেনের অক্সিডেশনের জন্য সাধারণ প্রতিক্রিয়া হল:
C3H8 + 5O2 -> 3CO2 + 4H2O + 3C2H5OH
প্রতিক্রিয়াটি সাধারণত প্যালাডিয়াম বা প্ল্যাটিনামের মতো অনুঘটকের উপস্থিতিতে সঞ্চালিত হয় এবং প্রোপানলের উচ্চ ফলন অর্জনের জন্য নিয়ন্ত্রিত অবস্থার অধীনে পরিচালিত হতে পারে।
প্রোপেনকে প্রোপানলে রূপান্তর করার প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রোপেন ফিডস্টকের বিশুদ্ধকরণ, অনুঘটক জারণ বিক্রিয়া এবং প্রোপানল পণ্যের পৃথকীকরণ এবং পরিশোধন সহ একাধিক ধাপ জড়িত। ব্যবহৃত সঠিক পদ্ধতি উৎপাদন প্রক্রিয়ার নির্দিষ্ট শর্ত এবং প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে প্রোপেনল তৈরি করতে প্রোপেনের জারণ একটি অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়া যার জন্য বিশেষ জ্ঞান এবং সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়। এটি শুধুমাত্র সঠিকভাবে সজ্জিত ল্যাবরেটরি বা শিল্প সেটিংয়ে প্রশিক্ষিত পেশাদারদের দ্বারা করা উচিত।
রাসায়নিক বিক্রিয়া ও নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য, নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া ও রাসায়নিক বিক্রিয়ার পার্থক্য
রাসায়নিক বিক্রিয়া | নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া |
---|---|
কোন পদার্থ তার নিজস্ব ধর্ম সম্পূর্ণ হারিয়ে ভিন্ন ধর্ম বিশিষ্ট কোন পদার্থে পরিণত হওয়াকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে। | কোন পরমাণুর নিউক্লিয়াস স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন ধরনের রশ্মি বিকিরণ করে অন্য পরমাণুর নিউক্লিয়াসে পরিণত হওয়াকে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া বলে। |
রাসায়নিক বিক্রিয়ায় পরমাণুর যোজ্যতা ইলেকট্রন সমূহের পরিবর্তন ঘটে। | নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ায় পরমাণুর নিউক্লিয়াসের পরিবর্তন ঘটে। |
রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শক্তির পরিবর্তন তুলনামূলক অনেক কম। | নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ায় শক্তির পরিবর্তন অনেক গুণ বেশি। |
রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বন্ধন ভাঙ্গন ও গঠন উভয় ঘটে। | নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ায় বন্ধন ভাঙ্গন বা গঠন হয় না। |
রাসায়নিক বিক্রিয়ায় নতুন মৌল সৃষ্টি হয় না শুধু পরমাণুর স্থানান্তর ঘটে। | নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ায় নতুন মৌল সৃষ্টি হয়। |
রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সবচেয়ে বাইরের কক্ষপথের ইলেকট্রন অংশগ্রহণ করে। ফলে নতুন পরমাণুর সৃষ্টি হয় না। | নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ায় পরমাণুর নিউক্লিয়াসের পরিবর্তন হয় এবং নতুন পরমাণুর সৃষ্টি হয়। |
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
FAQ | রাসায়নিক বিক্রিয়া
Q1. রাসায়নিক বিক্রিয়া কি
Ans – যে প্রক্রিয়ায় একটি পদার্থ বিশিষ্ট হয়ে এক বা একাধিক পদার্থ পরস্পরের সংস্পর্শে এসে পরিবর্তিত হয়ে নতুন ধর্ম বিশিষ্ট এক বা একাধিক পদার্থ উৎপন্ন করে তাকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে।
Q2. রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ঘনমাত্রার একক কি
Ans – কক সময়ে যে পরিমাণ বিক্রয়ক উৎপাদে পরিণত হয় তাকে বিক্রিয়ার হার বা বিক্রিয়ার গতি বলা হয়।এর একক মোল-লিটার-১ সময়-১ বা mol-L-1s-1।বিক্রিয়ার হারকে প্রতি একক সময়ে একটি উৎপাদের ঘনমাত্রা বৃদ্ধি এবং প্রতি একক সময়ে একটি বিক্রিয়কের ঘনমাত্রা হ্রাসের সমানুপাতিক হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
Q3. রাসায়নিক বিক্রিয়া কেন সংঘটিত হয়
Ans – সকল পদার্থ তার স্থিতিশীল অবস্থায় থাকতে চায়। মৌল সমূহ তার ব্যতিক্রম নয়। সকল মৌলই চায় তার শেষ কক্ষপথের নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক ইলেকট্রন ত্যাগ বা গ্ৰহন করে নিষ্ক্রিয় বা স্থিতিশীল মৌলের ইলেক্ট্রনীয় কাঠামো অর্জন করতে।
এই স্থিতিশীলতা অর্জন করার জন্য মৌলসমূহ একে অপরের সাথে ইলেকট্রন আদান-প্রদান বা শেয়ারের মাধ্যমে অষ্টক পূর্ণ করে।
মূলত স্থিতিশীলতা অর্জন করার জন্যই মৌল সমূহ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।
Q4. দৈনন্দিন জীবনে রাসায়নিক বিক্রিয়ার উদাহরণ
Ans – দৈনন্দিন জীবনে আমাদের চারপাশে অসংখ্য জিনিসের মধ্যে বিক্রিয়া সংঘটিত হচ্ছে। এই রকম ১০ টি ঘটনার নাম নিম্নে তুলে ধরা হলাে।
– দহন
– সালােকসংশ্লেষণ
– বায়বীয় সেলুলার’ শ্বসন
– রান্না
– আতশবাজি
– খাবার পঁচা
– ইলেক্ট্রোপ্লেটিং ধাতু
– সারফেস এবং কন্টাক্ট লেন্স জীবাণুমুক্ত করা ওষুধ
– ব্লিচিং
– চুলের রঙ
Q5. জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া কি
Ans – একটি জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া হল একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়া যা জীবন্ত প্রাণীর মধ্যে ঘটে এবং একটি অণুর অন্য অণুতে রূপান্তর জড়িত। এই প্রতিক্রিয়াগুলি সাধারণত এনজাইম দ্বারা অনুঘটক হয়, যা জৈবিক অণু যা রাসায়নিক বিক্রিয়াকে দ্রুত করে। বিপাক, বৃদ্ধি এবং প্রজনন সহ অনেক জৈবিক প্রক্রিয়ার জন্য জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া অপরিহার্য।
সালোকসংশ্লেষণ হল একটি জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া কারণ এতে গ্লুকোজ আকারে আলোক শক্তিকে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তর করা হয়। সালোকসংশ্লেষণের সময়, গাছপালা কার্বন ডাই অক্সাইড এবং জলকে গ্লুকোজ এবং অক্সিজেনে রূপান্তর করতে সূর্যালোক থেকে শক্তি ব্যবহার করে। এই প্রক্রিয়াটি ক্লোরোপ্লাস্ট নামক বিশেষ অর্গানেলে সঞ্চালিত হয় এবং এনজাইম দ্বারা অনুঘটক হয়।
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন।