WBBSE Class 9 Bangla | Kalinga Deshe Jhar Bristi | Question Answer
নিম্নলিথিত প্রশ্ন এবং তার যথাযত সমাধান ছোটো প্রশ্ন এবং বড়ো (LA) প্রশ্নের উত্তর সমাধান হিসাবে পাঠ করা যেতে পারে।
প্রশ্নোত্তর এবং সমাধান
দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা কবিতা
বহু দিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা,
দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু ।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে
একটি শিশির বিন্দু ।।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
“ঈশানে উড়িল মেঘ সঘনে চিকুর।’—উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর:
কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তীর ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কবিতায় আকস্মিক প্রাকৃতিক বিপর্যয় শুরু হয়। তৈরি হয় বন্যার আশঙ্কা প্রবল। ঝড়বৃষ্টি কলিঙ্গদেশে সর্বনাশ ডেকে আনে। উদ্ধৃতাংশটিতে সেই ভয়াবহ বিপর্যয়ের বর্ণনা করা হয়েছে | কলিঙ্গদেশে আকাশের উত্তর-পূর্ব অর্থাৎ ঈশান কোণে মেঘের ঘনঘটায় চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। প্রজারা সেই অন্ধকারে নিজেদেরকেও দেখতে পাচ্ছে না | মেঘের বুক চিরে অবিরাম বিদ্যুতের ঝিলিক পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তােলে |
কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার প্রশ্ন উত্তর
চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ। – ‘চারি মেঘ’ বলতে কী বােঝ? ‘অষ্ট গজরাজ’-এর পৌরাণিক অনুষঙ্গটি কী?
উত্তর: কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” পদ্যাংশে চার প্রকার মেঘ জল দেয় l পুরান মতে সেই চার প্রকার মেঘ হল – সংবর্ত, আবর্ত, পুষ্কর ও দ্রোণ।
পৌরাণিক মতে উক্ত চার রকম মেঘের বাহন হল অষ্ট গজরাজ তথা ঐরাবত, পুণ্ডরীক, বামন, কুমুদ, অজ্ঞান, পুষ্পদন্ত, সার্বভৌম ও সুপ্রতীক। এরা দিকগজ নামে পরিচিত। কবিতা অনুসারে বলা যায় ঐ আটটি হাতি চাররকম মেঘের সাহায্যে কলিঙ্গদেশে প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটায়। ফলে সমগ্র কলিঙ্গদেশ জলমগ্ন হয়ে পড়ে।
‘ভাদ্রপদ মাসে যেন পড়ে থাকা তাল’ – কোন্ প্রসঙ্গে উদ্ধৃতিটির অবতারণা করা হয়েছে?
উত্তর: উদ্ধৃতাংশটি কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তীর “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” পদ্যাংশ থেকে সংগৃহীত হয়েছে l
কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী রচিত কলিঙ্গদেশে ‘ঝড় বৃষ্টি’ কাব্যাংশে কলিঙ্গদেশে যে ভয়াবহ ঝড় বৃষ্টি হয়েছিল তার বর্ণনা করা হয়েছে। আকাশ কালো করা বিপুল মেঘরাশির বর্ষণে প্লাবন সৃষ্টি হয় কলিঙ্গে। টানা সাতদিনের অবিরাম বর্ষণের সঙ্গে নিরন্তর শিল পড়তে শুরু করে। ভাদ্র মাসে তাল পেকে যেমন গাছ থেকে পড়ে যায় ঠিক তেমনি ভাবে অত্যন্ত বড়ো আকারের শিল ঘরের চাল ভেদ করে মেঝেতে পড়ে প্রজাদের ঘরবাড়ি বিনষ্ট করে দেয়।
‘চণ্ডীর আদেশ পান বীর হনুমান। – চণ্ডীর আদেশে বীর হনুমান কী করেছিল?
উত্তর: উদ্ধৃতাংশটি কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” পদ্যাংশ থেকে সংগৃহীত হয়েছে l
দেবী চণ্ডী বীর হনুমানকে কলিঙ্গদেশকে বিধ্বস্ত করার আদেশ দিয়েছিলেন। দেবী চণ্ডীর মায়ায় কলিঙ্গদেশের ওপর নেমে এসেছিল ভয়ানক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। নিরন্তর সাত দিন বৃষ্টির ফলে কলিঙ্গদেশ জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। তার উপরে দেবীর আদেশে বীর হনুমান কলিঙ্গের ধ্বংস সাধনে মগ্ন হয়েছিল। বীর হনুমান সেদেশের সকল মঠ, মন্দির ভেঙ্গে চুরমার করতে থাকেন। হনুমানের কীর্তিকলাপের জন্য সমস্ত মঠ ও মন্দির খেলনার মতো গুঁড়িয়ে যেতে থাকে।
‘দেখিতে না পায় কেহ অঙ্গ আপনার। – কেন এমন পরিস্থিতি হয়েছিল?
উত্তর: কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি সংগৃহীত হয়েছে l
কলিঙ্গদেশের আকাশ ঘন কালো মেঘে আবৃত হয়ে যাওয়ায় দিনের বেলাতেই যেন রাতের আঁধার নেমে আসে, যার ফলে প্রজারা নিজেদের অঙ্গ দেখতে পায় না l
‘বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়। – প্রজারা কোন বিপাকে পড়েছিল ?
উত্তর: কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” কবিতায় কলিঙ্গদেশে প্রচন্ড ঝড়ের দাপটে প্রজারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে প্রাণ রক্ষার্থে ভবন ছেড়ে বেরিয়ে গেল l “রড়” শব্দের অর্থ “ছুট” বা “দৌড়” l
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর pdf
আরো বিশদে পড়ার জন্য
শেখার ফলাফলের জন্য 5E মডেল.
ডাঃ উজ্জ্বল কুমার মজুমদার (লেখক)
Q1. দেখিতে না পায় কেহ অঙ্গ আপনার
উত্তরঃ “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি ” নামক কবিতায় চারিদিকের আকাশ ঘন কালাে মেঘে আচ্ছন্ন হওয়ায় সমগ্র কলিঙ্গদেশ অন্ধকারে ঢাকা পড়ে, ফলে কলিঙ্গবাসী নিজেদের শরীর পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছে না।
Q2. কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতা কোন কাব্যগ্রন্থের
উত্তরঃ “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” কাব্যাংশটি মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত “অম্বিকামঙ্গল” কাব্যের অন্তর্গত।
Q3. কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার উৎস
উত্তরঃ চন্ডীমঙ্গল, কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার উৎস।