Site icon prosnouttor

শেখ মুজিবুর রহমান

শেখ মুজিবুর রহমান
আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা, শেখ মুজিবুর রহমান জীবনী বাংলা, শেখ মুজিবুর রহমান রচনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুজিবুর রহমান, শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী, শেখ মুজিবুর, রচনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা শেখ লুত্ফর রহমান, মা সায়েরা বেগম। বিবিসি বাংলার জরিপে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হন।

১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম গঠন করা হলে শেখ মুজিবুর রহমান দলের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১৯৫৩ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ১৯৫৪ ও ১৯৫৬ তত্কালীন প্রাদেশিক সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৬৩ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৬৬ সালে লাহোরে বিরোধী দলগুলোর জাতীয় সম্মেলনে শেখ মুজিব ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় এক সমাবেশে তাঁকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেওয়া হয়। ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলার নামকরণ করেন ‘বাংলাদেশ’।

১৯৭১ সালের সাতই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে এক ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দেন। ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ তাঁর ডাকে উত্তাল হয়ে ওঠে সারা বাংলা। ২৫ মার্চ গভীর রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে তাঁর নামে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারের রাষ্ট্রপতি হন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালের পনেরোই আগস্ট মধ্যরাতে একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে। ওই সময় দেশের বাইরে থাকায় কেবল তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে যান।

জন্ম, শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম পরিচয়, শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম কত সালে, শেখ মুজিবুর রহমান জন্মদিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন, শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মদিন, শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম কত সালে, শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম কত সালে

টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের পৈতৃক ভিটা শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই মার্চ (৩রা চৈত্র ১৩২৭ বঙ্গাব্দ) রাত ৮টায় তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের বাইগার নদী তীরবর্তী টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শেখ বংশের গোড়াপত্তনকারী শেখ বোরহানউদ্দিনের বংশধর। তার বাবা শেখ লুৎফুর রহমান গোপালগঞ্জ দায়রা আদালতের সেরেস্তাদার বা হিসাব সংরক্ষণকারী ছিলেন এবং তার মা সায়েরা খাতুন। চার কন্যা এবং দুই পুত্রের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বোনের নাম ফাতেমা বেগম, মেজ বোন আছিয়া বেগম, সেজ বোন হেলেন ও ছোট বোন লাইলী এবং তার ছোট ভাইয়ের নাম শেখ আবু নাসের।

তার নানা শেখ আবদুল মজিদ তার নামকরণ করেন “শেখ মুজিবুর রহমান”। তার ছোটবেলার ডাকনাম ছিল “খোকা”। ছোটবেলা থেকেই তিনি মানুষের প্রতি সহমর্মী স্বভাবের অধিকারী ছিলেন। দুর্ভিক্ষের সময় নিজের গোলা থেকে ধান বিতরণ করতেন। সমিতি করে অন্যদের কাছ থেকে ধান-চাল সংগ্রহ করে গরিব ছাত্রদের মধ্যে বিলি করতেন।

শিক্ষা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলেবেলা রচনা

১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে ফুটবল খেলায় ট্রফি বিজেতা শেখ মুজিব ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে সাত বছর বয়সে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। নয় বছর বয়সে ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে গোপালগঞ্জ পাবলিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন। পিতার বদলিজনিত কারণে ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মাদারীপুর ইসলামিয়া বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং সেখানে ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বেরিবেরি নামক জটিল রোগে আক্রান্ত হন এবং তার হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ে। ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে তার চোখে গ্লুকোমা ধরা পড়ে ও অস্ত্রোপচার করাতে হয় এবং এ থেকে সম্পূর্ণরূপে আরোগ্যলাভ করতে বেশ সময় লেগেছিল। এ কারণে তিনি ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত চার বছর বিদ্যালয়ের পাঠ চালিয়ে যেতে পারেননি। তিনি ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে সুস্থ হবার পর গোপালগঞ্জে মাথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। এ সময়ে তার গৃহশিক্ষক ছিলেন ব্রিটিশবিরােধী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী এবং বহু বছর জেল খাটা কাজী আবদুল হামিদ (হামিদ মাস্টার) নামীয় জনৈক ব্যক্তি। পরবর্তীকালে গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে তিনি ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন।

১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে শেখ মুজিব কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমান নাম মৌলানা আজাদ কলেজ) থেকে আই.এ. এবং ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এই কলেজটি তখন বেশ নামকরা ছিল। ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালীন তিনি বেকার হোস্টেলের ২৪ নং কক্ষে থাকতেন। ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার সম্মানার্থে ২৩ ও ২৪ নম্বর কক্ষকে একত্র করে “বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ” তৈরি করে। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ২৩শে ফেব্রুয়ারি কক্ষটির সম্মুখে তার আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। ভারত বিভাজনের পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে ভর্তি হন। তবে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দাবি-দাওয়ার প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শনে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে বহিষ্কার করে। পরবর্তীকালে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ই আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে কিছু সাধারণ জ্ঞান, শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী, শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনী, শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনী. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবনী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুচ্ছেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম রচনা

১৫ আগস্ট বাঙ্গালি জাতির শোক দিবস। এই দিনটিতে কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে নির্মমভাবে সপরিবারে নিহত হন বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ইতিহাস মানে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস। তার জীবন ইতিহাসের সাথে বাংলাদেশের ইতিহাস জড়িত। এই মহান মানুষটি জীবনে যাই করেছেন তার সবই দেশের জন্য করেছেন। তার প্রত্যেকটা পদক্ষেপ ছিল দেশের সার্থে। তার জন্ম না হলে আজ আমরা স্বাধীনতা পেতাম না।

১৯২০ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার (বর্তমানে জেলা) টুঙ্গিপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। শেখ লুৎফর রহমান ও মোসাম্মৎ সাহারা খাতুনের চার কন্যা ও দুই পুত্রের মধ্যে তৃতীয় সন্তান শেখ মুজিব। বাবা-মা তাকে খোকা বলে ডাকতেন। খোকার শৈশবকাল কাটে টুঙ্গিপাড়ায়। ১৯২৭ সালে ৭ বছর বয়সে গিমাডাঙ্গা প্রাইমারি স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন। নয় বছর বয়সে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন। পরে তিনি স্থানীয় মিশনারী স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৩৪ সালে ১৪ বছর বয়সে বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হলে তার একটি চোখ কলকাতায় অপারেশন করা হয় এবং চক্ষুরোগের কারণে তার লেখাপড়ার সাময়িক বিরতি ঘটে। ১৯৩৭ সালে চক্ষুরোগে চার বছর শিক্ষাজীবন ব্যাহত হওয়ার পর শেখ মুজিব পুনরায় স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৩৮সালে ১৮ বছর বয়সে বঙ্গবন্ধু ও বেগম ফজিলাতুননেছার আনুষ্ঠানিক বিয়ে সম্পন্ন হয়। তারা দুই কন্যা শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও তিন পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলের জনক-জননী।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

শেখ মুজিবুর রহমান ছবি, শেখ মুজিবুর রহমান ছবি ডাউনলোড, শেখ মুজিবুর রহমান ছবি hd, শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ছবি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছবি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি, শেখ মুজিবুর রহমান ছবি hd, শেখ মুজিবুর রহমান এর ছবি

শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয় কত সালে, শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত হন কত সালে, শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে কবে ভূষিত করা হয়, শেখ মুজিবুর রহমানকে কবে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয়, শেখ মুজিবুর রহমানকে কে এবং কখন বঙ্গবন্ধু উপাধি প্রদান করেন, শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয় কোথায়

কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ঐ বছরেরই ২৩শে ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবের সম্মানে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যান) এক সভার আয়োজন করে। লাখো জনতার অংশগ্রহণে আয়োজিত এই সম্মেলনে তৎকালীন ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবকে “বঙ্গবন্ধু” উপাধি প্রদান করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন কবে

শেখ মুজিবুর রহমানের প্রধানমন্ত্রীত্ব ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি শুরু হয় যখন তিনি ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে প্রত্যাবর্তনের পর সংক্ষিপ্তভাবে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনের পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবে দ্বিতীয় বিপ্লব ঘোষণা করেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবে দ্বিতীয় বিপ্লব ঘোষণা করেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবে দ্বিতীয় বিপ্লব ঘোষনা করেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ২৫শে জানুয়ারি তার সংসদীয় বক্তব্যে প্রথমবারের মত “দ্বিতীয় বিপ্লবের” ঘোষণা দেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ mcq, শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ

‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির লেখকের নাম কী?

উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম কত সালে, কোথায়?

উত্তর: ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়।

বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাজীবন শুরু হয় কোন স্কুলে?

উত্তর: গোপালগঞ্জের গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

বঙ্গবন্ধু ম্যাট্রিক পাশ করেন কোন স্কুল থেকে, কত সালে?

উত্তর: গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুলে, ১৯৪২ সালে।

বঙ্গবন্ধু কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের বেকার হোষ্টেলের কত নম্বর কক্ষে থাকতেন?

উত্তর: ২৪ নম্বর কক্ষে।

বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে অভিষিক্ত হন কীভাবে?

উত্তর: ১৯৪৪ সালে কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে।

বঙ্গবন্ধু কত সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সহকারী নিযুক্ত হন?

উত্তর: ১৯৪৬ সালে।

বঙ্গবন্ধু বিএ পাশ করেন কত সালে, কোন কলেজ থেকে?

উত্তর: ১৯৪৭ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে।

বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিভাগের ছাত্র ছিলেন?

উত্তর: আইন বিভাগের।

বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কত সালে কেন বহিস্কৃত হন?

উত্তর: ১৯৪৯ সালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করায় তাঁকে বহিস্কার করা হয়।

বঙ্গবন্ধু জীবনে প্রথম কারাভোগ করেন কত সালে?

উত্তর: ১৯৩৯ সালে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভা করার কারণে তাঁকে কারভোগ করতে হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ

পিতা শেখ লুত্ফুর রহমানের পত্রিকা পাঠের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির সচেতনতার প্রথম অধ্যায় শুরু হয়। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাপ্তাহিক ‘মিল্লাত’ পত্রিকাটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে লেখা সংগ্রহ, এমনকি হকারের মতো পত্রিকা বিক্রিতে নিজেকে যুক্ত করে নিজ কর্মের স্বাক্ষর রেখেছিলেন। ১৯৪৩ সালে বাংলায় দুর্ভিক্ষের সময় বিহারে দুর্ভিক্ষ কমিটি নিয়ে গিয়ে, দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। কলকাতায় যখন দাঙ্গা হয়, তখন ভবতোষ দত্ত নামের বঙ্গবন্ধুর এক শিক্ষক ও লেখক, তিনি শেখ মুজিব সম্পর্কে লিখেন, ‘আমরা যখন জীবনের নিরাপত্তা খুঁজছি, তখন তরুণ শেখ মুজিব হিন্দুসমাজকে নিরাপদ এলাকায় পৌঁছে দিয়ে আসতেন। ১৯৫০ সালের পর বঙ্গবন্ধু মরিয়া হয়ে উঠলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছাড়া কোনো উপায় নেই। বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা পেশ করে বাঙালিকে স্বাধিকার আন্দোলনের মন্ত্র শেখালেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানের দল আওয়ামী লীগ বিজয় অর্জন করলেও বঙ্গবন্ধুর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে দমন-পীড়ন নীতি অনুসরণ করে পাকিস্তানিরা। ৭ মার্চের ১৮ মিনিটের দুনিয়া কাঁপানো বিস্ময়কর ভাষণে সব কথাই বললেন বঙ্গবন্ধু, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোল, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ।’ পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের মতে, ‘শেখ মুজিব চাতুর্যের সঙ্গে অসাধারণ একটি ভাষণই দিলেন না, স্বাধীনতার ঘোষণাও কৌশলে করলেন। সেদিন আকাশে শোভিত হেলিকপ্টার, বাইরে কামান, বন্দুক সব তাক করানো ছিল। শেখ মুজিব যদি শুধু ঘোষণা করতেন, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন, তাহলেই কামানগুলো গর্জে উঠত। কিন্তু তিনি সেদিকে না গিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বাঙালিকে প্রস্তুত করে ছিলেন। ২৫ মার্চ রাতের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। শুরু হয় অপারেশন সার্চলাইট। পাকিস্তানের কারাগারে থাকাবস্থায় নিজের কবর খোড়া দেখে হেসে বলেছিলেন, ‘আমি বাঙালি, আমি মুসলমান, মুসলমান একবারই মরে। আমার লাশটা আমার বাঙালির কাছে পাঠিয়ে দিও।’

মহান নেতা বঙ্গবন্ধু তিনি শুধু বাংলাদেশের নন, বিশ্বের নির্যাতিত, নিপীরিত মানুষের এক পথ প্রদর্শক। তার এত ত্যাগ, কর্ম, যে কারণে বাংলাদেশের ইতিহাস বিশ্বে খুবই বড়। এমন ইতিহাস বিশ্বে কোনো নেতা তৈরি করতে পারেননি। তার রাজনৈতিক জীবনের শুরুটি ছিল, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান’ এর স্লোগানধারী একজন জঙ্গিকর্মী হিসেবে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্থপতি হয়ে উঠা তার নিজস্ব সাধনার ফল ও কৃতিত্বও বটে। ইতিহাস তাকে তৈরি করেনি। বঙ্গবন্ধুর কর্মেই ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। দেশ ও কালের গণ্ডির মধ্যে থেকেও তিনি ছিলেন অনেক যুগের মহানায়ক। নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে জানতে গেলেই খুঁজে পাবে মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে।

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একদল সদস্য সামরিক অভ্যুত্থান সংঘটিত করে এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমন্ডি ৩২-এর বাসভবনে সপরিবারে হত্যা করে। পরে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ থেকে ৬ নভেম্বর ১৯৭৫ পর্যন্ত খন্দকার মোশতাক আহমেদ অঘোষিতভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদে আসীন হন।

শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম ও মৃত্যু তারিখ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একটি সরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, যা 1998 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশের প্রথম সেন্টার অফ এক্সিলেন্স গ্র্যাজুয়েট এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট যা গবেষণা ও সম্প্রসারণের উপর জোর দেয়। এটি গাজীপুর জেলার দক্ষিণ সালনায় অবস্থিত।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রথম বিশেষায়িত সরকারি ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়। এটি 2018 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি কালিয়াকৈর, গাজীপুর, ঢাকায় অবস্থিত।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, দেশের ৩৭তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশের প্রথম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ এশিয়ার ৩য় মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বের ১২তম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একটি স্নাতক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। এটি 1965 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়টি শুধুমাত্র স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করে, স্নাতক মেডিকেল বা ডেন্টাল ডিগ্রি প্রদান করে না।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে অবস্থিত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এটি 2011 সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণ করা হয়। প্রতি বছর, প্রায় 2,750 শিক্ষার্থী স্নাতক প্রোগ্রামে নথিভুক্ত হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত হয় এবং এটি মহাকাশ প্রকৌশল বিষয়ে বাংলাদেশের প্রথম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর ক্যাম্পাস লালমনিরহাটে।

মুজিবুর রহমান কবে আত্মজীবনী লেখা শুরু করেন

১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত কারাগারে থাকা অবস্থায় আত্মজীবনী লিখতে শুরু করেন শেখ মুজিবুর রহমান। আত্মজীবনীর পাশাপাশি এই নেতা আরও বেশ কয়েকটি বিষয় তার লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরেন।

মুজিবুর রহমান ওই নাম যেন বিসুভিয়াসের অগ্নি উগারী বান, মুজিবুর রহমান ওই নাম যেন

কবিতাটি লিখেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের কর্ম, আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে বিভিন্ন কবি বিভিন্ন সময় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা রচনা করেছেন। মুজিবুর রহমান! ওই নাম যেন বিসুভিয়াসের অগ্নি-উগারী বান – কবিতাটির লিখেছেন পল্লীকবি খ্যাত জসিম উদ্দীন। পল্লী কবি জসিম উদ্দীন ১৯৭১ সালে মুজিবুর রহমান! ওই নাম যেন বিসুভিয়সের অগ্নি-উগারী বান কবিতাটি লিখেছিলেন। এটা মূলত কবিতাটির প্রথম দুটো লাইন।

শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেয় কে, শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু খেতাবে ভূষিত করেন কে

কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবের সম্মানে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক সভার আয়োজন করে। লাখো জনতার এই সম্মেলনে শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেওয়া হয়। উপাধি ঘোষণা দিয়েছিলেন তোফায়েল আহমেদ। এ সভায় রাখা বক্তৃতায় শেখ মুজিব ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের এগার দফা দাবির পক্ষে তার পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।

শেখ মুজিবুর রহমান নামটি কে রাখেন

তার নানা শেখ আবদুল মজিদ তার নামকরণ করেন “শেখ মুজিবুর রহমান”। তার ছোটবেলার ডাকনাম ছিল “খোকা”। ছোটবেলা থেকেই তিনি মানুষের প্রতি সহমর্মী স্বভাবের অধিকারী ছিলেন।

শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তান কারাগার থেকে কবে মুক্তি দেওয়া হয়

ঐতিহাসিক ৮ জানুয়ারি । দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানের বন্দি শিবিরে কারাযন্ত্রণা ভোগের পর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি লাভ করেন।

শেখ মুজিবুর রহমান কত বছর জেলে ছিলেন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কারাগারেই কাটিয়েছেন প্রায় ৪ হাজার দিন। কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র গুরুত্বপূর্ণ এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছে। জানা যায়, বঙ্গবন্ধু ২৬ বার কারাবরণ করেন।

শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি

“যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশী হলেও, সে একজনও যদি হয়, তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেবো।”

“এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।” 

“ ইহাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন।

“এই স্বাধীনতা তখনি আমার কাছে প্রকৃত স্বাধীনতা হয়ে উঠবে, যেদিন বাংলার কৃষক-মজুর ও দুঃখী মানুষের সকল দুঃখের অবসান হবে।”

“ কোনো জেল জুলুমই কোনোদিন আমাকে টলাতে পারেনি, কিন্তু মানুষের ভালবাসা আমাকে বিব্রত করে তুলেছে ”

“অযোগ্য নেতৃত্ব, নীতিহীন নেতা ও কাপুরুষ রাজনীতিবিদদের সাথে কোনোদিন একসাথে হয়ে দেশের কাজে নামতে নেই। তাতে দেশসেবার চেয়ে দেশের ও জনগণের সর্বনাশই বেশি হয়। ”

“আমার দেশ স্বাধীন দেশ। ভারত হোক, আমেরিকা হোক, রাশিয়া হোক, গ্রেট ব্রিটেন হোক কারো এমন শক্তি নাই যে, আমি যতক্ষণ বেঁচে আছি ততক্ষণ আমার দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারে।”

“যার মনের মধ্যে আছে সাম্প্রদায়িকতা সে হলো বন্য জীবের সমতূল্য।”

“সরকারী কর্মচারীদের জনগণের সাথে মিশে যেতে হবে। তাঁরা জনগণের খাদেম, সেবক, ভাই। তাঁরা জনগণের বাপ, জনগণের ভাই, জনগণের সন্তান। তাঁদের এই মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। ”

“জনগণকে ছাড়া, জনগণকে সংঘবদ্ধ না করে, জনগণকে আন্দোলনমুখী না করে এবং পরিস্কার আদর্শ সামনে না রেখে কোনোরকম গণ আন্দোলন হতে পারেনা।”

“আন্দোলন গাছের ফল নয়। আন্দোলন মুখ দিয়ে বললেই করা যায় না। আন্দোলনের জন্য জনমত সৃষ্টি করতে হয়। আন্দোলনের জন্য আদর্শ থাকতে হয়। আন্দোলনের জন্য নি:স্বার্থ কর্মী হতে হয়। ত্যাগী মানুষ থাকা দরকার। আর সর্বোপরি জনগণের সংঘবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ সমর্থন থাকা দরকার।”

মুজিবুর রহমান কবিতা, কবিতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু – লেখক, সালাউদ্দিন আহমেদ সালমান

বাংলা মায়ের কাঁচা রক্ত ,চুষে খাচ্ছে পাকিস্তান
তাই দেখিয়া শোকে পোড়া বাংলার বুকে জন্ম নিলো শেখ মুজিবুর রাহমান ।

মুক্তির সংগ্রাম অপশক্তিতে নয়, প্রমান করেছে বাঙ্গালী রক্তের বন্যায় ,
পাকবাহিনীর নাপাকি হাত ভেঙ্গে ,বঙ্গবন্ধু দেখিয়েছে স্বাধীনতার সূর্য বাংলায় ।

অবাক বিস্ময়ে নির্বাক পৃথিবী অপলক তাকিয়ে রয় , যেদিন শেখ মুজিবুরের সংগ্রামী ডাকে বাংলাদেশ পেয়েছিল স্বাধীনতার বিজয় ।

চোখে স্বপ্ন মনে বিতৃষ্ণা হাতে নিয়ে প্রাণ বাংলাদেশ কে বাঁচাতে হলে হঠাও পাকিস্তান ,
জন্মভুমির জীবনটাকে করে সম্মান শেখ মুজিব-ই গেয়েছিল স্বাধীনতার গান ।

নির্যাতিত বাঙ্গালীর দুঃখ কষ্ট করলে অবসান স্বদেশ গড়ার নকীব তুমি শেখ মুজিবুর রহমান ।
শহর নগর গ্রাম গঞ্জে ওমর শিল্পীর গান স্বাধীনতার স্বপ্ন পুরুষ তুমি শেখ মুজিবুর রহমান ।

গাছেতে ফল নদীতে জল থাকবে যতকাল রাত্রি -দিন বাংলাদেশ ভুলবেনা কখনও শেখ মুজিবের ঋণ ।
পিতার পড়নে মুজিবকোট চোখে প্রশ্নের জল তোরা আজো কেন করলিনা নিপাত রাজাকারের দল ‘
শস্য শামল সোনার বাংলায় দেখো পাখিরা গান গায়, এ দেশটাকে স্বাধীন করতে বাঙ্গালী অকাতরে দিয়েছে ৩০ লক্ষ মানুষের বলিদান ।

শেখ মুজিবুর রহমান জীবনী pdf

অফ ব্লাড অ্যান্ড ফায়ার: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অফ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ

অফ ব্লাড অ্যান্ড ফায়ার: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অফ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ

শেখ মুজিবুর রহমান

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কত সালে মারা যায়?
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একদল সদস্য সামরিক অভ্যুত্থান সংঘটিত করে এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমন্ডি ৩২-এর বাসভবনে সপরিবারে হত্যা করে।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে
Exit mobile version