Site icon prosnouttor

চলন কাকে বলে, গমন কাকে বলে, অভিগমন কাকে বলে, চলন ও গমনের পার্থক্য

চলন কাকে বলে, গমন কাকে বলে, অভিগমন কাকে বলে, চলন ও গমনের পার্থক্য

চলন কাকে বলে, গমন কাকে বলে, অভিগমন কাকে বলে, চলন ও গমনের পার্থক্য

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

প্রশ্নপত্র

চলন কাকে বলে

যে প্রক্রিয়ায় জীব উদ্দীপকের প্রভাবে সারা দিয়ে বা  স্বতঃস্ফূর্তভাবে  অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন করে কিন্তু, সামগ্রিকভাবে স্থান পরিবর্তন করে না, তাকে চলন বলে।

চলনের সংজ্ঞা: নির্দিষ্ট স্থানে সংলগ্ণ থাকাকালীন বাইরের উদ্দীপকের উপস্থিতি কিংবা অনুপস্থিতিতে জৈবিক প্রয়োজনের আভ্যন্তরীণ তাগিদে দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনকে চলন বা মুভমেন্ট বলে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, চলন হলো জীবদেহের অংশবিশেষের আন্দোলিত হওয়া।

চলনের উদাহরণ

ভলভক্স, ক্ল্যামাইডোমোনাস ইত্যাদি কয়েকটি নিম্নশ্রেণীর উদ্ভিদে ব্যতীত সমস্ত উদ্ভিদ জগতে চলন পরিলক্ষিত হয়। আবার অবেলিয়া কলোনির স্পন্স প্রবাল ইত্যাদি কয়েকটি প্রাণী গমনে অক্ষম চলনই এদের সম্বল।

উদ্ভিদের চলন এর উদ্দেশ্য

উদ্ভিদের চলনের মূল উদ্দেশ্যগুলি হলো –

প্রকরণ চলন কাকে বলে

উদ্ভিদ অঙ্গের রসস্ফীতির তারতম্যের জন্য যে বক্রচলন দেখা যায়, তাকে প্রকরণ চলন বলে। যেমন – বন চাঁড়াল গাছের ত্রিফলকের পার্শ্বফলক দুটির পত্রকমূলে রসস্ফীতি চাপের তারতম্যের জন্য পত্রকদুটি ওপরে ও নীচে ওঠানামা করে।

বক্র চলন কাকে বলে

মাটিতে আবদ্ধ অবস্থায় এক স্থানে স্থির থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বা বহিঃস্থ উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদের বিভিন্ন প্রকার অঙ্গ সঞ্চালনকে বক্র চলন বলে।

যেমন: ট্রপিক চলন, ন্যাস্টিক চলন, প্রকরণ চলন ইত্যাদি।

চলন গতি কাকে বলে

কোনো বস্তু যদি এমনভাবে চলতে থাকে যাতে করে বস্তুর সকল কণা একই সময়ে একই দিকে সমান দূরত্ব অতিক্রম করে তাহলে ঐ গতিকে চলন গতি বলে। টেবিলের ড্রয়ারের গতি, ঢালু তল দিয়ে কোনো বাক্স পিছলে পড়ার গতি, লেখার সময় হাতের গতি এগুলো সবই চলন গতির উদাহরণ।

চলন গতি কয় প্রকার

চলন গতি দুই প্রকার। যেমন, (১) সরল চলন গতি ও (২) বক্র চলন গতি

(১)সরল চলন গতিঃ যখন কোনো বস্তু সরল পথে এমনভাবে চলতে থাকে যে তার প্রতিটি কণা একই দিকে সমপরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করে, তখন এই গতিকে সরল চলন গতি বলে।

(২) বক্র চলন গতিঃ যে চলন গতি বক্রপথে ঘটে তাকে বক্রচলন বা বক্ররৈখিক গতি বলে। যেমন, পৃথিবীর বার্ষিক গতি, উল্লম্ব নাগরদোলায় ঝুলন্ত চেয়ার গুলির গতি ইত্যাদি।

উদ্ভিদের চলন কত প্রকার ও কি কি

উদ্ভিদ দেহে প্রধানত তিন প্রকারের চলন পরিলক্ষিত হয়। যথা:

আবিষ্ট বা ট্যাকটিক চলন কাকে বলে, ট্যাকটিক চলন কাকে বলে

আলো, উষ্ণতা, রাসায়নিক পদার্থ প্রভৃতি বহিঃস্থ উদ্দীপকের প্রভাবে সম্পূর্ণ উদ্ভিদের অথবা উদ্ভিদ অঙ্গের চলনকে ট্যাকটিক চলন বা আবিষ্ট চলন (Tactic Movement) বলে।

বাইরের উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদের স্থান পরিবর্তনকে আবিষ্ট বা ট্যাকটিক চলন বলে। যেমন – ফার্নের শুক্রাণু ম্যালিক অ্যাসিডের আকর্ষণে ডিম্বাণুর দিকে অগ্রসর হয়।

ট্যাকটিক চলন এর উদাহরণ

এই প্রকার চলন এর একটি উদাহরণ হল, শৈবালের আলোকের দিকে চলন।

ট্যাকটিক চলন কয় প্রকার

ট্যাকটিক চলন চার প্রকার। যথা:

ফটোট্যাকটিক চলন (Phototactic Movement):

উদ্ভিদদেহ যখন আলোক উদ্দীপকের প্রভাবে স্থান পরিবর্তন করে, তখন তাকে ফটোট্যাকটিক চলন বা আলোক অভিমুখী চলন বলে।

সহজ ভাবে, আলোক উদ্দীপকের প্রভাবে যে ট্যাকটিক চলন হয়, তাকে ফটোট্যাকটিক চলন বলে।

উদাহরণ: কয়েক প্রকার শৈবাল। যেমন: ক্ল্যামাইডোমোনাস, ভলভক্স প্রভৃতি

থার্মোট্যাকটিক চলন (Thermotactic Movement):

উদ্ভিদ দেহেরর চলন যখন উষ্ণতা উদ্দীপকের প্রভাবে হয়, তখন তাকে থার্মট্যাকটিক চলন বা উষ্ণতা-অভিমুখী চলন বলে।

সহজ ভাবে, উষ্ণতা উদ্দীপকের প্রভাবে যে ট্যাকটিক চলন হয়, তাকে থার্মোট্যাকটিক চলন বলে।

উদাহরণ: পাতাশেওলা উদ্ভিদের চলন।

কেমোট্যাকটিক চলন (Chemotactic Movement):

উদ্ভিদ দেহাংশ যখন কোনো রাসায়নিক পদার্থের আকর্ষণে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যায়, তখন তাকে কেমোট্যাকটিক চলন বা রাসায়নিক-অভিমুখী চলন বলে।

সহজ ভাবে, রাসায়নিক উদ্দীপকের প্রভাবে যে ট্যাকটিক চলন হয়, তাকে কেমোট্যাকটিক চলন বলে।

উদাহরণ: ম্যালিক অ্যাসিডের আকর্ষণে ফার্ন গাছের শুক্রাণু ডিম্বাণুর দিকে অগ্রসর হয়। বা গ্লুকোজের আকর্ষণে মসের শুক্রানুর চলন কেমোট্যাকটিক চলন

হাইড্রোট্যাকটিক চলন (Hydrotactic Movement):

উদ্ভিদ দেহেরর চলন যখন জলের প্রভাবে প্রভাবিত হয়, তখন তাকে হাইড্রোট্যাকটিক চলন বা জলজ-অভিমুখী চলন বলে।

সহজ ভাবে, জলজ উদ্দীপকের প্রভাবে যে ট্যাকটিক চলন হয়, তাকে হাইড্রোট্যাকটিক চলন বলে।

উদাহরণ: শৈবাল শুষ্ক অঞ্চল থেকে জলের দিকের ধাবিত হয় – ইহা হাইড্রোট্যাকটিক চলনের উদাহরণ।

আবিষ্ট বক্রচলন কাকে বলে

বাহ্যিক উদ্দীপকের প্রভাবে বর্ধিষ্ণু অঞ্চলের অসমান বৃদ্ধি বা কোশের রসস্ফীতির তারতম্যের কারণে উদ্ভিদ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালন করে। উদ্ভিদের এই রকম অঙ্গ সঞ্চালনকে আবিষ্ট বক্রচলন বলে।

আবিষ্ট বক্রচলন কয়প্রকার ও কী কী

আবিষ্ট বক্রচলন দুইপ্রকার। যথা – ট্রপিক চলন ও ন্যাস্টিক চলন।

ট্রপিক চলন কাকে বলে

বাহ্যিক উদ্দীপকের গতিপথ অনুসারে উদ্ভিদ অঙ্গের অঙ্গ সঞ্চালন বা বক্রচলনকে ট্রপিক চলন বলে। 

ট্রপিক চলন কয় প্রকার ও কি কি

ট্রপিক চলন তিন প্রকার। যথা – ফটোট্রপিক চলন, জিওট্রপিক চলন ও হাইড্রোট্রপিক চলন।  

ফটোট্রপিক চলন কাকে বলে

আলোর গতিপথ অনুসারে উদ্ভিদ অঙ্গের অঙ্গ সঞ্চালন বা আবিষ্ট বক্রচলনকে ফটোট্রপিক চলন বলে। যেমন – উদ্ভিদের কান্ড ও শাখাপ্রশাখা সূর্যের আলোর দিকে বৃদ্ধি পায়।

জিওট্রপিক চলন কাকে বলে ?

উদ্ভিদ অঙ্গের সঞ্চালন বা আবিষ্ট বক্রচলন যখন অভিকর্ষের গতিপথ অনুসারে হয় তখন তাকে জিওট্রপিক চলন বলে। যেমন – অভিকর্ষ বলের প্রভাবে উদ্ভিদের মূল মাটির গভীরে প্রবেশ করে।

হাইড্রোট্রপিক চলন কাকে বলে

উদ্ভিদ অঙ্গের সঞ্চালন বা আবিষ্ট বক্রচলন যদি জলের উৎস অনুসারে হয়, তাহলে তাকে হাইড্রোট্রপিক চলন বলে। যেমন – উদ্ভিদের মূল সর্বদা জলের উৎসের দিকে বৃদ্ধি পায়।

ন্যাস্টিক চলন কাকে বলে

উদ্ভিদ অঙ্গের সঞ্চালন বা আবিষ্ট বক্রচলন যদি উদ্দীপকের তীব্রতা অনুসারে হয়, তবে তাকে ন্যাস্টিক চলন বলে।

ন্যাস্টিক চলন কয়প্রকার ও কী কী

ন্যাস্টিক চলন চার প্রকার। যথা – ফটোন্যাস্টিক চলন, থার্মোন্যাস্টিক চলন, কেমোন্যাস্টিক চলন ও সিসমোন্যাস্টিক চলন।

ফটোন্যাস্টিক চলন কাকে বলে

আলোর তীব্রতার ওপর নির্ভর করে উদ্ভিদ অঙ্গের মধ্যে যে সঞ্চালন বা আবিষ্ট বক্রচলন দেখা যায়, তাকে ফটোন্যাস্টিক চলন বলে। যেমন – সূর্যমুখী ফুল দিনের বেলায় প্রখর সূর্যালোকে ফোটে এবং রাতের অন্ধকারে মুদে যায়।

থার্মোন্যাস্টিক চলন কাকে বলে

উষ্ণতার তারতমের ওপর নির্ভর করে উদ্ভিদ অঙ্গের যে সঞ্চালন বা বক্রচলন হয়, তাকে থার্মোন্যাস্টিক চলন বলে। যেমন – টিউলিপ ফুলের পাপড়ি বেশি উষ্ণতায় ফোটে ও কম উষ্ণতায় বন্ধ হয়ে যায়।

কেমোন্যাস্টিক চলন কাকে বলে

কোনো রাসায়নিক পদার্থের তীব্রতার প্রভাবে উদ্ভিদ অঙ্গের রসস্ফীতিজনিত আবিষ্ট বক্র চলনকে কেমোন্যাস্টিক চলন বলে। যেমন – সূর্যশিশির পাতার কিনারা বরাবর রোম বা কর্ষিকা এবং কলসপত্রী উদ্ভিদের পত্রফাঁদের ঢাকনা পতঙ্গের দেহের প্রোটিনের সংস্পর্শে আসা মাত্রই পতঙ্গের দিকে বেঁকে যায় এবং পতঙ্গকে আবদ্ধ করতে সক্ষম হয়।

সিসমোন্যাস্টিক চলন কাকে বলে

স্পর্শ, আঘাত বা বায়ুপ্রবাহের তীব্রতার প্রভাবে উদ্ভিদ অঙ্গের রসস্ফীতিজনিত আবিষ্ট বক্র চলনকে সিসমোন্যাস্টি চলন বলে। যেমন – লজ্জ্বাবতী পাতার পত্রকগুলি স্পর্শ করলে নুয়ে পড়ে।   

ট্রপিক চলন ও ন্যাস্টিক চলন এর পার্থক্য

ট্রপিক চলনন্যাস্টিক চলন
ট্রপিক চলন হল উদ্দীপনার প্রতিক্রিয়া যা এক দিক থেকে আসে।ন্যাস্টিক চলন হল তাপমাত্রা এবং তাপের মতো উদ্দীপনার প্রতি অ-দিকনির্দেশক প্রতিক্রিয়া।
এটি একটি দিকনির্দেশনামূলক চলন।এই ধরনের চলন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল আন্দোলনগুলি উদ্দীপকের দিক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না
যদি উদ্ভিদের অংশের গতি উদ্দীপকের দিকে হয়, তবে এটি পজিটিভ ট্রপিজম নামে পরিচিত। যদি উদ্ভিদের অংশের চলন উদ্দীপক থেকে দূরে থাকে, তবে এটি ঋণাত্মক ট্রপিজম নামে পরিচিতএগুলি স্পর্শ (সিসমোনাস্টিক), তাপমাত্রা (থার্মোনাস্টিক), আলো এবং রাসায়নিক দ্বারা প্ররোচিত হতে পারে। উদ্দীপকের দিকনির্দেশ যাই হোক না কেন, উদ্দীপকের দিক নির্দেশ না করেই গতিবিধি সবসময় একটি নির্দিষ্ট দিকে ঘটে
যেমন ফটোট্রপিজম, জিওট্রপিজম ইত্যাদিসিমোনাস্টিক চলন উদাহরণ ভেনাস ফ্লাই ট্র্যাপের চলাচল।
ট্রপিক চলন ও ন্যাস্টিক চলন এর পার্থক্য

গমন কাকে বলে

অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চালনার দ্বারা নিজের প্রচেষ্টায় সমগ্র জীবদেহের একস্থান হতে অন্য স্থানে যাওয়া বা নির্দিষ্ট ও পরিমাপযোগ্য কোন দূরত্ব অতিক্রম করাকেই গমন বা লোকমোশন বলে।

গমনের উদাহরণ

স্পঞ্জ প্রবাল ওবেলিয়া কলোনি প্রভৃতি প্রাণী ব্যতীত সমস্ত প্রাণীতে এবং ভলভক্স ক্লাইমোডোমোনাস সহ কয়েকটি নিম্নশ্রেণীর উদ্ভিদে কোন পরিলক্ষিত হয়।

চলন ও গমনের উদ্দেশ্য, গুরুত্ব বা তাৎপর্য

উদ্ভিদ ও প্রাণীর চলন ও গমনের উদ্দেশ্য , গুরুত্ব বা তাৎপর্য বহুবিধ। জীবনের বিভিন্ন জৈবিক ধর্ম পালনের জন্য জীবের চলন ও গমন অপরিহার্য। প্রধানত নিম্নলিখিত উদ্দেশ্য সাধনের জন্য উদ্ভিদ ও প্রানীদের চলন ও গমন হয়। নিচে চলন ও গমনের উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করা হল

  1. খাদ্যান্বেষণ : অধিকাংশ উদ্ভিদ খাদ্য বিষয়ে স্ব-নির্ভর হওয়ায় এবং তাদের প্রয়ােজনীয় খাদ্য উপাদান একস্থান থেকে সংগ্রহ করার সুবিধা থাকায় উদ্ভিদদের সাধারণত স্থানান্তরে গমনের প্রয়ােজন হয় না। তবে উদ্ভিদের মূল জল সংগ্রহের জন্য জলের দিকে অগ্রসর হয়। কিছু নিম্নশ্রেণীর উদ্ভিদও খাদ্যান্বেষণের জন্য স্থানান্তরিত হয়। প্রাণীরা খাদ্য-বিষয়ে স্বনির্ভর নয়, তাই খাদ্যান্বেষণের জন্য তাদের স্থানান্তরে গমন করতে হয়।
  2. আশ্রয়: সুষ্ঠভাবে জীবন-যাপন ও জৈবিক ক্রিয়া-কলাপ সম্পন্নের জন্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর় নিরাপদ আশ্রয়ের প্রয়ােজন। প্রাণীদের বাসস্থান খোঁজা বা বাসস্থান নির্মাণের জন্য স্থানান্তরে গমন করতে হয়।
  3. আত্মরক্ষা : শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অর্থাৎ আত্মরক্ষার জন্য প্রাণীদের স্থানান্তরে গমন করতে হয়।
  4. প্রজনন : প্রজনন অর্থাৎ বংশবিস্তারের উদ্দেশ্যে প্রাণীদের গমনের প্রয়ােজন হয়। নিভৃত প্রজনন স্থান ও উপযুক্ত সঙ্গী বা সঙ্গিনী খোঁজার জন্য প্রাণীদের স্থানান্তরে গমনের প্রয়ােজন হয়। একই কারণে কিছু নিম্নশ্রেণীর উদ্ভিদেরও (শৈবালের) গমনের বা চলনের প্রয়ােজন হয়।
  5. অনুকুল পরিবেশের সন্ধান : উপযুক্ত পরিমাণ আলাে, বাতাস এবং জল পাওয়ার জন্য উদ্ভিদ বা উদ্ভিদ-অঙ্গের চলন হয়। অনেক প্রাণীও অনুকুল পরিবেশের সন্ধানে স্থানান্তরে গমন করে।
  6. অভিযোজন : পরিবর্তনশীল পরিবেশের সহিত নিজেকে খাপ খাওয়ানো বা অভিযোজনের তাগিদে চলন ও গমনের প্রয়োজন হয়।

চলন ও গমনের পার্থক্য

একটু বিশেষভাবে নজরপাত করলে চলন ও গমনের মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। চলন ও গমনের প্রধান পার্থক্য হল,
চলনে জীবের সামগ্রিকভাবে স্থান পরিবর্তন হয়না, গমনে জীবের সামগ্রিকভাবে স্থান পরিবর্তন হয়। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় যে, গমনের সময় জীব দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন হয়।

চলনগমন
১. স্থান ত্যাগ না করে জীবদেহের অংশবিশেষ কিংবা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন করাকে চলন বা মুভমেন্ট বলে।১. অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চালনার তারা সমগ্র জীবদেহের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়া বা নির্দিষ্ট ও পরিবহন যোগ্য কোন দূরত্ব অতিক্রম করাকে গমন বা লোকমোশন বলে।
২. কেবলমাত্র ভলভক্স, ক্লাইমোডোমোনাস ইত্যাদি কয়েকটি নিম্নশ্রেণীর উদ্ভিদে দেখতে পাওয়া যায়।২. স্পঞ্জ প্রবাল ইত্যাদি কয়েকটি প্রাণী গমনে অক্ষম।
৩. চলন প্রক্রিয়ায় জীব এর সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয়না।৩. কমন প্রক্রিয়ায় জীব এর সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয়।
৪. এই প্রক্রিয়ায় জীব এর অঙ্গ বিশেষের সঞ্চালন ঘটে৪. এই প্রক্রিয়ায় জীব এর সামগ্রিক দেহের সঞ্চালন ঘটে।
৫. কোন নির্দিষ্ট স্থানে আবদ্ধ থেকে চলন সম্ভব।৫. কোন নির্দিষ্ট স্থানে আবদ্ধ থেকে গমন সম্ভব নয়।
৬. প্রায় সমস্ত জীবদেহে চলন সঞ্চালন পরিলক্ষিত হয়৬. কয়েকটি নিম্নশ্রেণীর উদ্ভিদে এবং প্রায় সব রকমের প্রাণী দেহে গমন পরিলক্ষিত হয়।
৭. চলন হলেই গমন হবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।৭. গমন হলেই চলন অবশ্যই হবে।
৮. গমন ব্যতীত চলন সম্ভব। অর্থাৎ চলন হলে গমন নাও হতে পারে।৮. চলন ব্যতীত গমন সম্ভব নয়। অর্থাৎ গমন হলে চলন হতেই হবে।
চলন ও গমনের পার্থক্য

আরো অন্যান্য সরকারি স্কিম সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

Q1. ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণে অক্সিনের ভূমিকা কি

Ans – ট্রফিক চলন নিয়ন্ত্রণ অক্সিন উদ্ভিদের ফটোট্রফিক ও জিওট্রফিক চলন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে । অক্সিন আলোর উৎসের বিপরীত দিকে বেশি মাত্রায় সঞ্চিত হয়ে ওই অঞ্চলের কোষগুলির দ্রুত বিভাজন ঘটায়, ফলে উদ্ভিদের কাণ্ড আলোর উৎসের দিকে বেঁকে যায় ।

Q2. অ্যামিবার গমন অঙ্গের নাম কি

Ans – ক্ষনপদ বা সিউডোপোডিয়া হল অ্যামিবার গমন অঙ্গ।

Q3. গমনে সক্ষম একটি উদ্ভিদের নাম

Ans – গমনে সক্ষম দুটি উদ্ভিদের নাম হল—ক্ল্যামাইডােমােনাস, ভলভক্স ।

Q4. তারা মাছের গমন অঙ্গের নাম কি

Ans – তারা মাছের গমন অঙ্গের নাম টিউব ফীট।

Q5. জনন কোষের গমন অঙ্গের নাম কি

Ans – জনন কোষের গমন অঙ্গের নাম হলো সিলিয়া।

Q6. কোন উদ্ভিদ গমনে সক্ষম

Ans – গমনে সক্ষম গাছ অর্থাৎ হলো যেসব গাছ এক জায়গা থেকে আর এক জায়গা যেতে পারে I যেমন -ক্লামাইডোমোনাস

Q7. গমনে অক্ষম প্রাণী, গমনে অক্ষম দুটি প্রাণীর নাম

Ans – গমনে অক্ষম প্রাণী অর্থাৎ যেসব প্রাণী এক জায়গা থেকে আর এক জায়গা যেতে পারে না I যেমন -স্পঞ্জ

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে
Exit mobile version