- মডেল অ্যাক্টিভিটি ট্যাক্স পরিবেশ ও বিজ্ঞান | রাসায়নিক গণনা
- রাসায়নিক বিক্রিয়া কাকে বলে
- রাসায়নিক বিক্রিয়ার উদাহরণ
- রাসায়নিক সংকেত
- রাসায়নিক সংকেত বক্সাইট
- রাসায়নিক সার কাকে বলে, রাসায়নিক সার কি
- ভিটামিন ই এর রাসায়নিক নাম কি
- ভিটামিন এ এর রাসায়নিক নাম কি
- ভিটামিন ডি এর রাসায়নিক নাম
- ভিটামিন বি এর রাসায়নিক নাম কি, ভিটামিন সি এর রাসায়নিক নাম কি
- বিভিন্ন ভিটামিনের রাসায়নিক নাম, ভিটামিনের রাসায়নিক নাম pdf, সমস্ত ভিটামিনের রাসায়নিক নাম, ভিটামিনের রাসায়নিক নাম
- ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তন তিনটি পার্থক্য লেখ, ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তনের, ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তনের তিনটি পার্থক্য, ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তনের তিনটি পার্থক্য লেখ,ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তনের তিনটি পার্থক্য লেখ উত্তর,ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তনের তিনটি পার্থক্য লেখো,ভৌত পরিবর্তন ও রাসায়নিক পরিবর্তনের তিনটি পার্থক্য লেখ,ভৌত পরিবর্তন ও রাসায়নিক পরিবর্তনের পার্থক্য লেখ,ভৌত রাসায়নিক পরিবর্তনের তিনটি পার্থক্য লেখ
- মৃত্তিকার রাসায়নিক বিক্রিয়ার ভিত্তিতে মৃত্তিকা শ্রেণীবিভাগ, মৃত্তিকার রাসায়নিক বিক্রিয়ার ভিত্তিতে মৃত্তিকার শ্রেণীবিভাগ করো
- পেডোক্যাল ও পেডালফার মৃত্তিকার পার্থক্য
- মৌলের রাসায়নিক ধর্ম নির্ভর করে কিসের উপর
- রাসায়নিক, রাসায়নিক আবহবিকার, রাসায়নিক আবহবিকার কাকে বলে
- রাসায়নিক আবহবিকারের প্রক্রিয়া সমূহ
- রাসায়নিক কারখানায় কঠিন অনুঘটকের, রাসায়নিক কারখানায় কঠিন অনুঘটকের সূক্ষ্ম, রাসায়নিক কারখানায় কঠিন অনুঘটক সূক্ষ্ম চূর্ণ অথবা সরু তারজালির আকারে রাখা হয় কেন, রাসায়নিক কারখানায় কঠিন অনুঘটককে সূক্ষ্ম চূর্ণ অথবা সরু তারজালির আকারে রাখা হয় কেন তা ব্যাখ্যা করাে, কোনো কঠিন অনুঘটকের গুঁড়ো করা হলে তার পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল
- রাসায়নিক কারখানায় কঠিন অনুঘটক কি
মডেল অ্যাক্টিভিটি ট্যাক্স পরিবেশ ও বিজ্ঞান | রাসায়নিক গণনা
রাসায়নিক বিক্রিয়া কাকে বলে
উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় একটি পদার্থ বিশিষ্ট হয়ে এক বা একাধিক পদার্থ পরস্পরের সংস্পর্শে এসে পরিবর্তিত হয়ে নতুন ধর্ম বিশিষ্ট এক বা একাধিক পদার্থ উৎপন্ন করে তাকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে। বা
যে প্রক্রিয়ায় এক বা একাধিক বস্তু এক বা একাধিক নতুন বস্তুতে রূপান্তরিত হয় তাকে রাসায়নিক ক্রিয়া বা রাসায়নিক বিক্রিয়া (Chemical reaction) বলে।
রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রকারভেদ
উত্তর: রাসায়নিক বিক্রিয়া তিন প্রকারের হয়ে থাকে। যথা :-
- সংশ্লেষণ বা প্রত্যক্ষ সংযোগ।
- বিয়োজন বিক্রিয়া।
- বিপরীবর্ত বা বিনিময় বিক্রিয়া।
রাসায়নিক বিক্রিয়ার উদাহরণ
উদাহরণ : হাইড্রোজেন (H) ও অক্সিজেন (O) পরস্পরের সাথে মিলিত হয়ে পানি উৎপন্ন করে।
2H2 + O2 = 2H2O
এখানে, পানি হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন বস্তু। অর্থাৎ, তারা পরস্পর মিলিত হয়ে একটি নতুন বস্তু পানিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
সুতরাং, এ প্রক্রিয়া একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া।
রাসায়নিক সংকেত
উত্তর: কোনো মৌল বা যৌগের গঠন প্রকাশ করতে যে সংকেত ব্যবহার করা হয়, তাকে রাসায়নিক সংকেত বলে। অথবা, মৌল বা যৌগমূলকের প্রতীক বা সংকেত ও তাদের সংখ্যার মাধ্যমে কোনো যৌগ অণুকে প্রকাশ করাই হলো উক্ত যৌগের রাসায়নিক সংকেত।
যেমন, কার্বন ডাই অক্সাইড এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ এবং এর সংকেত হচ্ছে CO2 । কার্বন ডাই অক্সাইডের সংকেত দ্বারা যৌগটির গঠন প্রকাশ পায়। যৌগটি একটি কার্বন ও দুইটি অক্সিজেন দ্বারা গঠিত।
রাসায়নিক সংকেত বক্সাইট
উত্তর: বক্সাইট অ্যালুমিনিয়ামের একটি উল্লেখযোগ্য আকরিক যার রাসায়নিক নাম হাইড্রেটেড অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড ও সংকেত Al2O3. 2H2O।
রাসায়নিক সার কাকে বলে, রাসায়নিক সার কি
উত্তর: কার্বন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, ফসফরাস প্রভৃতি মৌলের সমন্বয়ে গঠিত রাসায়নিক পদার্থ, যা মাটিতে উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে, তাকে রাসায়নিক সার বলে।
সার জমির উর্বরতা বৃদ্ধি এবং উদ্ভিদের বৃদ্ধি সাধনে ব্যবহৃত হয়। নিয়ন্ত্রিতভাবে সার প্রয়োগ জরুরি কারণ অতিরিক্ত সার প্রয়োগ ধ্বংসাত্বক হতে পারে।
ভিটামিন ই এর রাসায়নিক নাম কি
উত্তর: ভিটামিন E এর রাসায়নিক নাম টোকোফেরল।
ভিটামিন এ এর রাসায়নিক নাম কি
উত্তর: ভিটামিন ‘এ’ র রাসায়নিক নাম ‘রেটিনাল’।
ভিটামিন ডি এর রাসায়নিক নাম
উত্তর: ভিটামিন ডি এর রাসায়নিক নাম ক্যালসিফেরল।
ভিটামিন বি এর রাসায়নিক নাম কি, ভিটামিন সি এর রাসায়নিক নাম কি
উত্তর: ভিটামিন-সি যার রাসায়নিক নাম অ্যাসকরবিক অ্যাসিড ( Ascorbic Acid )।
বিভিন্ন ভিটামিনের রাসায়নিক নাম, ভিটামিনের রাসায়নিক নাম pdf, সমস্ত ভিটামিনের রাসায়নিক নাম, ভিটামিনের রাসায়নিক নাম
ভিটামিনের নাম | রাসায়নিক নাম |
---|---|
Vitamin A | রেটিনল |
Vitamin B¹ | থিয়ামিন |
Vitamin B² | রাইবোফ্লোভিন |
Vitamin B³ | নিয়াসিন |
Vitamin B⁵ | প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড |
Vitamin B⁶ | পাইরিডক্সিন |
Vitamin B⁷ | বায়োটিন |
Vitamin B⁹ | ফলিক অ্যাসিড |
Vitamin B¹² | সায়ানোকোবালামিন |
Vitamin C | অ্যাসকরবিক অ্যাসিড |
Vitamin D | ক্যালসিফেরল |
Vitamin E | টোকোফেরল |
Vitamin G | নিয়াসিন |
Vitamin H | বায়োটিন |
Vitamin K | ফাইলোকুইনন/ন্যাপথোকুইনন |
Vitamin M | ফলিক অ্যাসিড |
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তন তিনটি পার্থক্য লেখ, ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তনের, ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তনের তিনটি পার্থক্য, ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তনের তিনটি পার্থক্য লেখ,
ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তনের তিনটি পার্থক্য লেখ উত্তর,
ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তনের তিনটি পার্থক্য লেখো,
ভৌত পরিবর্তন ও রাসায়নিক পরিবর্তনের তিনটি পার্থক্য লেখ,
ভৌত পরিবর্তন ও রাসায়নিক পরিবর্তনের পার্থক্য লেখ,
ভৌত রাসায়নিক পরিবর্তনের তিনটি পার্থক্য লেখ
ভৌত পরিবর্তন | Physical Change
- এ পরিবর্তনের ফলে পদার্থের নতুন অণু বা পরমাণুর সৃষ্টি হয় না। অর্থাৎ এ জাতীয় পরিবর্তনের ফলে পদার্থের অণুর গঠন বা উপাদানের কোনো পরিবর্তন ঘটে না, কেবলমাত্র পদার্থের কিছু বিশেষ অবস্থা যেমন ভৌত অবস্থা, বৈদ্যুতিক অবস্থা ও চৌম্বক অবস্থা ইত্যাদির পরিবর্তন ঘটে।
- একখন্ড ইস্পাতকে চুম্বক দ্বারা ঘর্ষণ করাতে থাকলে এটি এক সময় লোহাকে আকর্ষণ করার এক বিশেষ ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়। এটি অবশ্যই ভৌত পরিবর্তন। কেননা, এটি ইস্পাতের অস্থায়ী পরিবর্তন এবং এর ফলে কোনো নতুন অণুর সৃষ্টি হয় না।
- কিছু পরিমাণ খাবার লবণকে একটি কাঁচের পাত্রে নিয়ে পানি যোগ করে দ্রবণ তৈরী কর। এ দ্রবণ কে বিকারে নিয়ে উত্তপ্ত করলে পানি বাষ্পীভূত হয়ে উড়ে যায়। কঠিন অবশেষ হিসেবে লবণ পাওয়া যায়। কঠিন অবস্থায় বা দ্রবীভূত অবস্থায় উপাদান সমূহের গঠন ও সংযুক্তির কোনো পরিবতন ঘটে না। সুতরাং এটিও ভৌত পরিবর্তন।
রাসায়নিক পরিবর্তন | Chemical Change
আপনারা পূর্বেই জেনেছেন যে কয়লা, কাঠ, প্রাকৃতিক গ্যাস, কেরোসিন, ইত্যাদিকে জ্বালালে আলো, তাপ ও ধোঁয়া পাওয়া যায়। পাশাপাশি উৎপন্ন হয় CO2 ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন গ্যাসীয় উপাদান।
C (কার্বন) + O2 = CO2 + তাপ
কার্বন অণুর ধর্ম ও গঠন কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) অণুর ধর্ম ও গঠন থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির।
CH4 + 2O2 = CO2 + 2H2O + তাপ
- কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2) ও পানির ((H2O) অণুর ধর্ম ও গঠন মিথেন (CH4) অণুও অক্সিজেন অণুর গঠন থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির। এগুলো রাসায়নিক পরিবর্তন।
- রাসায়নিক পরিবর্তনে পদার্থের পরমাণুসমূহের মধ্যবর্তী বন্ধন ভেঙ্গে নতুন বন্ধনের সৃষ্টি হয়। অণুস্থিত পরমাণুসূহের বন্ধন ভাঙ্গা ও নতুন বন্ধন সৃষ্টি হওয়ার কারণে তাপশক্তির পরিবর্তন ঘটে। এটি একটি স্থায়ী পরিবর্তন।
- মূল পদার্থের গঠন পরিবর্তিত হওয়ার কারণে মূল পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক উভয় প্রকার ধর্মই পরিবর্তিত হয়। এ পরিবর্তনের ফলে পদার্থের অণুর গঠন ও উপাদানের পরিবর্তন ঘটে এক বা একাধিক নতুন ধর্ম বিশিষ্ট পদার্থের উৎপত্তি ঘটে।
- আমরা প্রতিদিন যেসব খাবার খাই তা আমাদের পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত, বৃহদন্ত্র প্রভৃতির মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে দেহের পুষ্টি সাধন ও শক্তি যোগায়। খাবারের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে।
ভৌত পরিবর্তন ও রাসায়নিক পরিবর্তনের মধ্যে পার্থক্য
প্রকৃতি | ভৌত পরিবর্তন | রাসায়নিক পরিবর্তন |
সংজ্ঞা | যে পরিবর্তনের ফলে পদার্থের অবস্থার বা আকার-আকৃতির পরিবর্তন হয় কিন্তু নতুন কোনো পদার্থ উৎপন্ন হয় না, তাকে ভৌত পরিবর্তন বলে। | যে পরিবর্তনের ফলে পদার্থ পরিবর্তিত হয়ে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী নতুন পদার্থে পরিণত হয়, তাকে রাসায়নিক পরিবর্তন বলে। |
অবস্থা | ভৌত পরিবর্তনের মাধ্যমে পদার্থের শুধু ভৌত ধর্মের পরিবর্তন হয়। | রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মের পরিবর্তন হয়। |
গঠন | ভৌত পরিবর্তনের ফলে পদার্থের অণু গঠনের কোন পরিবর্তন হয় না। | রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে পদার্থের গঠন পরিবর্তনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন অণুর সৃষ্টি হয়। |
স্থায়ীত্ব | ভৌত পরিবর্তন একটি সাময়িক পরিবর্তন। | রাসায়নিক পরিবর্তন একটি স্থায়ী পরিবর্তন। |
শক্তি | ভৌত পরিবর্তনে শক্তির শোষণ বা উৎপন্ন হতেও পারে বা নাও হতে পারে। | রাসায়নিক পরিবর্তনে শক্তির শোষণ এবং বিবর্তন ঘটে। |
পুনরুদ্ধার | ভৌত পরিবর্তনে সহজে মূল পদার্থ পুনরুদ্ধার করা যায়। | রাসায়নিক পরিবর্তন অপরিবর্তনীয় অর্থাৎ মূল পদার্থ পুনরুদ্ধার করা যায় না। |
সৃষ্টি | ভৌত পরিবর্তনের ফলে কোন নতুন পদার্থের সৃষ্টি হয় না | রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে সম্পূর্ণ নতুন ধর্ম বিশিষ্ট পদার্থের সৃষ্টি হয়। |
সংযুক্তি | ভৌত পরিবর্তনের ফলে পদার্থের রাসায়নিক সংযুক্তির পরিবর্তন হয় না। | রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে পদার্থের রাসায়নিক সংযুক্তির পরিবর্তন হয়। |
উদাহরণ | ভৌত পরিবর্তনের উদাহরণ হল, পানি বরফ হওয়া, মোম গলে যাওয়া, | রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ হল খাবার হজম হওয়া, লোহায় মরিচা পড়া ইত্যাদি। |
মৃত্তিকার রাসায়নিক বিক্রিয়ার ভিত্তিতে মৃত্তিকা শ্রেণীবিভাগ, মৃত্তিকার রাসায়নিক বিক্রিয়ার ভিত্তিতে মৃত্তিকার শ্রেণীবিভাগ করো
উত্তর: রাসায়নিক ধর্ম অনুসারে মৃত্তিকাকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয় – ১. পেডোক্যাল ২. পেডালফার
পেডোক্যাল মৃত্তিকা
পেড শব্দের অর্থ হল মাটি এবং ক্যাল শব্দের অর্থ হল ক্যালসিয়াম। অর্থাৎ চুনজাতীয় মৃত্তিকাকে পেডোক্যাল মৃত্তিকা বলে।
কম বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চলে এই ধরণের মাটি সৃষ্ট হয়। কারণ বৃষ্টিপাতের অভাবে এই মাটিতে চুন ও লবন অপসারিত হতে পারে না ফলে মাটি ক্ষারকীয় প্রকৃতির হয়। এই মাটিতে হিউমাসের পরিমান কম থাকে। এই মাটি ধূসর কালচে রঙের হয়।
উদাহরণ – সেরোজেম, চেস্টনাট, চারনোজেম
পেডালফার মৃত্তিকা
যে মৃত্তিকায় অ্যাল অর্থাৎ অ্যালুমিনিয়াম, ফার অর্থাৎ ফেরাস বা লোহা বেশি থাকে। সেই মাটিকে পেডালফার মৃত্তিকা বলে।
সাধারণত বেশি বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চলে মাটির মধ্যস্থিত লবন অপসারিত হয়ে মাটির নিম্ন স্তরে চলে যায় এবং অ্যালুমিনিয়াম ও লোহা মিশে পেডালফার মাটি গঠিত হয়। এই মাটি আম্লিক প্রকৃতির হয়।
উদাহরণ – পডসল, তুন্দ্রা ও রোহিত মৃত্তিকা
পেডোক্যাল ও পেডালফার মৃত্তিকার পার্থক্য
বিষয় | পেডোক্যাল | পেডালফার |
আঞ্চলিকতা | এটি শুষ্ক অঞ্চলে সৃষ্টি হয়। | এটি আদ্র অঞ্চলে সৃষ্টি হয়। |
প্রক্রিয়া | বাস্পীভবন বেশি হয় বলে, এই কৌশিক প্রক্রিয়ায় গঠিত হয়। | অধিক বৃষ্টিপাতের জন্য এটি অনুস্রবনের ফলে সৃষ্ট। |
খনিজের প্রাধান্য | ক্যালসিয়াম কার্বনেটের প্রাধান্য থাকে। | অ্যালুমিনিয়াম ও লোহার প্রাধান্য থাকে। |
pH এর মান | ক্ষারকীয় মৃত্তিকা, pHএর মান ৭ এর বেশি হয়। | আম্লিক মৃত্তিকা, pHএর মান ৭ এর কম হয়। |
বর্ন | চুন, লবন ও জৈব পদার্থ বেশি থাকায় এটি কালচে রঙের হয়। | লোহার অক্সাইড বেশি থাকায় এই মাটির রং লালচে। |
মৌলের রাসায়নিক ধর্ম নির্ভর করে কিসের উপর
উত্তর: ইলেকট্রন সংখ্যা এবং ইলেকট্রন বিন্যাসের উপর।
রাসায়নিক, রাসায়নিক আবহবিকার, রাসায়নিক আবহবিকার কাকে বলে
উত্তর: বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন উপাদান ( যেমন – কার্বন ডাই অক্সাইড, অক্সিজেন, জলীয় বাষ্প) এবং উদ্ভিদ ও প্রানীর প্রভাবে শিলাসমূহ যখন রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ভেঙে যায়, তখন তাকে রাসায়নিক আবহবিকার বলে। রাসায়নিক আবহবিকারে শিলার মধ্যবর্তী খনিজ গুলি পরিবর্তিত হয়ে গৌন খনিজে পরিনত হয় বলে সহজেই শিলাসমূহ ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।
রাসায়নিক আবহবিকারের প্রক্রিয়া সমূহ
অক্সিডেশন বা জারন
শিলার খনিজের সঙ্গে অক্সিজেন যুক্ত হয়ে যে বিয়োজন ঘটায়, তাকে অক্সিডেশন বলে। সাধারণত যে সব শিলা সালফাইড, কার্বনেট ও লৌহ সিলিকেট রূপে অবস্থান করে সে সব শিলার খনিজের ওপর জারন প্রক্রিয়া বিশেষ ভাবে কার্যকরী হয়। এর ফলে লোহার ওপর হলদে ও বাদামী রঙের এক প্রকার নতুন যৌগ পদার্থের সৃষ্টি হয় ও লোহায় সহজে মরচে পড়ে এবং লোহা যুক্ত শিলা খনিজ ক্ষয় প্রাপ্ত হয়।
কার্বনেশন বা অঙ্গারযোজন
বৃষ্টির জলের সাথে বাতাসের কার্বন ডাই অক্সাইড মিশ্রিত হয়ে কার্বনিক অ্যাসিডের সৃষ্টি হয়। এই অ্যাসিড শিলার খনিজের সাথে বিক্রিয়া করে শিলাকে বিশ্লিষ্ট করে ক্ষয় ঘটায়। বিশেষ করে যে সব শিলায় ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, লৌহ ইত্যাদি খনিজের পরিমান অধিক থাকে, সেগুলি কার্বনিক অ্যাসিডের সংস্পর্শে অতি সহজে গলে যায়। এই ভাবে বিভিন্ন খনিজের সাথে কার্বন ডাই অক্সাইডের রাসায়নিক সংযোজন কে কার্বনেশন বা অঙ্গারযোজন বলে।
দ্রবন
সরাসরি জল দ্বারা খনিজ পদার্থ দ্রবীভূত হয় না বা গলে যায় না। কিন্তু শিলায় অবস্থিত কোন কোন খনিজ রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে এমন এক অবস্থায় পৌঁছায় যে তখন সহজেই জলে দ্রবীভূত হয় বা গলে যায়। একেই দ্রবন বলে। বিশেষ করে চুনাপাথর এই প্রকার দ্রবন দেখা যায়। তা ছাড়া ক্যালসাইট, জিপসাম ইত্যাদি জাতীয় খনিজ দ্রব্য জলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গলে যায়। এই কারণে একে দ্রবন বলে।
হাইড্রোলিসিস বা আর্দ্র বিশ্লেষণ
আর্দ্র বিশ্লেষণে জল হাইড্রোজেন ও হাইড্রোক্সিল আয়নে ভেঙে যায় এবং উৎপন্ন হাইড্রোক্সিল আয়ন খনিজের সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটিয়ে রাসায়নিক পরিবর্তন সাধন করে, একে হাইড্রোলিসিস বা আর্দ্র বিশ্লেষণ বলে। অর্থক্লেজ ফেল্ডসপার আর্দ্র বিশ্লেষণের ফলে অয়ালুমিনো সিলিসিক ও পটাশিয়াম হাইড্রক্সাইডে পরিনত হয়।
হাইড্রেশন বা জলযোজন
শিলার মধ্যবর্তী কোন খনিজের সঙ্গে বিশুদ্ধ জল যুক্ত হয়ে যে রাসায়নিক আবহবিকার ঘটায়, তাকে হাইড্রেশন বলে। এর ফলে শুষ্ক ক্যালসিয়াম সালফেট জিপ্সামে এবং হেমাটাইট লিমোনাইটে পরিনত হয়।
রাসায়নিক কারখানায় কঠিন অনুঘটকের, রাসায়নিক কারখানায় কঠিন অনুঘটকের সূক্ষ্ম, রাসায়নিক কারখানায় কঠিন অনুঘটক সূক্ষ্ম চূর্ণ অথবা সরু তারজালির আকারে রাখা হয় কেন, রাসায়নিক কারখানায় কঠিন অনুঘটককে সূক্ষ্ম চূর্ণ অথবা সরু তারজালির আকারে রাখা হয় কেন তা ব্যাখ্যা করাে, কোনো কঠিন অনুঘটকের গুঁড়ো করা হলে তার পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল
উত্তর: অনুঘটক কে গুড়াে/চূর্ণ করলে অনুঘটক এর ক্ষেত্রফল বাড়ে। তাই রাসায়নিক কারখানায় কঠিন অনুঘটক ব্যবহার করলে তা সুক্ষ্ম গুঁড়াে বা সরু তারজলি আকারে রাখা হয়।
রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কঠিন অনুঘটককে চূর্ণ করে ব্যবহার করা উচিত। কারন, কঠিন অনুঘটক ভেঙে সূক্ষ্ম চূর্ণে পরিণত করলে তার পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি পায়। ফলে বিক্রিয়ক পদার্থের পরমাণু, অনু বা আয়নগুলি বেশি সংখ্যক অনুঘটক অনুর সংস্পর্শে আসে। এর ফলে বেশি সংখ্যক পরমাণু, অনু বা আয়ন বিক্রিয়া করার সুযোগ পায় এবং বিক্রিয়াটি দ্রুত ঘটে। অক্সিজেন গ্যাস প্রস্তুত করার সময় MnO2 কে চূর্ণ করে ব্যবহার করলে দ্রুত অক্সিজেন নির্গত হয়।
রাসায়নিক কারখানায় কঠিন অনুঘটক কি
বেশিরভাগ ভিন্নধর্মী কঠিন অনুঘটক হল বেস বা বেসিক অক্সাইড যা বৃহৎ ভূপৃষ্ঠের উপর লেপা। সলিড-বেস অনুঘটকগুলি কঠিন-অম্ল অনুঘটকের চেয়ে বেশি সক্রিয়। সবচেয়ে সাধারণ কঠিন-বেস অনুঘটক হল
- মৌলিক জিওলাইট
- ক্ষারীয় আর্থ মেটাল অক্সাইড এবং
- হাইড্রোটালসাইট।
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন।
মডেল অ্যাক্টিভিটি ট্যাক্স পরিবেশ ও বিজ্ঞান
Q1. রাসায়নিক বিক্রিয়া কাকে বলে
উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় একটি পদার্থ বিশিষ্ট হয়ে এক বা একাধিক পদার্থ পরস্পরের সংস্পর্শে এসে পরিবর্তিত হয়ে নতুন ধর্ম বিশিষ্ট এক বা একাধিক পদার্থ উৎপন্ন করে তাকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে।