Site icon prosnouttor

Model Activity Task Class 8 | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 8

Model Activity Task Class 8 | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 8

Model Activity Task Class 8 | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 8

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

WBBSE Science Class 8, Bacteria | Model Activity Task Class 9 Life Science Part 8

Table of Contents

ব্যাকটেরিয়া কাকে বলে, ব্যাকটেরিয়া কি

উত্তরঃ ব্যাকটেরিয়া হলো সাধারণত ক্লোরোফিলবিহীন, প্রাককেন্দ্রীক (যাদের নিউক্লিয়াস সুগঠিত নয়) প্রাককোষী আণুবীক্ষণিক (যাদের অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া দেখা যায় না) জীব। গাঠনিক উপাদান ও পুষ্টি পদ্ধতির জন্য ব্যাকটেরিয়াকে উদ্ভিদ বলা হয়।

ব্যাকটেরিয়া কে আবিষ্কার করেন

উত্তরঃ পৃথিবীতে ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব রয়েছে বহুপূর্ব হতে, কিন্তু অণুবীক্ষণ যন্ত্র না থাকার কারণে এ সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য কিছু জানা যায় নি। তবে ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার সম্বন্ধে যতটুকু জানা যায় তাতে ব্যাকটেরিওলজী ও প্রোটো-জুয়োলজীর জনক বলে পরিচিত অ্যান্টনি ভন লিউয়েনহুক (Antony van Leeuwenhoek)-এর ডায়েরি ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কারের প্রথম দিনগুলির সাক্ষ্য বহন করে।

হল্যান্ডের ডেলফ্ট (Delft) শহর নিবাসী বিজ্ঞানী লিউয়েনহুক ১৬৭৫ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে তাঁর ডায়েরিতে যে বিবরণ লিখেছেন তাতে জানা যায় ঐ মাসের ৯ তারিখে তিনি একটি পাত্রে কিছু বৃষ্টির পানি ধরেছিলেন। ১০ তারিখে তিনি তাঁর স্বহস্তে নির্মিত সরল অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে উক্ত পানিতে কিছু জীবন্ত বস্তু আছে বলে মনে করেন।

কিন্তু সেগুলো এত ছোট ও সংখ্যায় এত অল্প ছিল যে তিনি এটাকে সত্য বলে গ্রহণ করতে পারেন নি। পরে ১১ জুন তারিখে পুনরায় ঐ পানি নিয়ে পরীক্ষা করেন এবং অসংখ্য ক্ষুদ্র আকৃতির জীব দেখতে পান। তিনি এগুলোর নাম দেন ক্ষুদ্রপ্রাণি বা (Animacutes)।

১৬৭৬ খ্রিস্টাব্দের ৯ অক্টোবর তারিখে লণ্ডনের রয়্যাল সোসাইটিকে লেখা লিউয়েন হুকের চিঠিতে ব্যাকটেরিয়ার বর্ণনা পাওয়া যায়। পরে ১৬৭৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ নভেম্বর রবার্ট হুক (Robert Hooke) এবং নিয়ামী গ্রিউ (Nehemiah Grew) মরিচ ভিজানো পানি পরীক্ষা করে লিউয়েন হুকের আবিষ্কার প্রমাণ ও সমর্থন করেন।

ব্যাকটেরিয়া শব্দটি প্রথম কে ব্যবহার করেন

উত্তরঃ ব্যাকটেরিয়া শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন — এহরেনবার্গ ( Ehrenberg. 1828 ) ।

ব্যাকটেরিয়া, ব্যাকটেরিয়া এক প্রকার, ব্যাকটেরিয়া এক প্রকার কি

উত্তরঃ কোষের আকৃতি অনুসারে ব্যাকটেরিয়াকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা-

কক্কাস

উত্তরঃ গোলাকার ব্যাকটেরিয়াকে বলা হয় করাস। কক্কাস ব্যাকটেরিয়া আবার পাঁচ রকমের। যথা ১। মাইক্রোকক্কাস, ২। ডিপ্লোকক্কাস, ৩ স্ট্যাফাইলোকক্কাস, ৪। স্ট্রেপটোকক্কাস এবং ৫। সারসিনা।

ব্যাসিলাস

দণ্ডাকৃতির ব্যাকটেরিয়াকে ব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া বলা হয়। উদাহরণ- Bacillus subtilis, Bulbus B. Anthracis ইত্যাদি।

স্পাইরিলাম

কুণ্ডলাকৃতির ব্যাকটেরিয়াকে স্পাইরিলাম ব্যাকটেরিয়া বলে। উদাহরণ- Spirillum volutans, S. minius ইত্যাদি।

ব্যাকটেরিয়া বৈশিষ্ট্য

উত্তরঃ ব্যাকটেরিয়া জড় কোষ প্রাচীরবিশিষ্ট এককোষী আদিকেন্দ্রিক অণুজীব। এর সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে:-

ব্যাকটেরিয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ব্যাকটেরিয়ার উপকারিতা

চিকিৎসা ক্ষেত্রে | In medical field

কৃষি ক্ষেত্রে | In the field of agriculture

শিল্প ক্ষেত্রে | In the field of industry

মানব জীবনে | In human life

পরিবেশ উন্নয়নে | In environmental development

ব্যাকটেরিয়ার অপকারিতা

রোগসৃষ্টি | Infectious disease

খাদ্যদ্রব্যের পচন ও বিষাক্তকরণ | Digestion and poisoning of food

পানি দূষণ | Water pollution

কলিফরম ব্যাকটেরিয়া (সাধারণত মল দিয়ে দূষিত) পানিকে পানের অযোগ্য করে।

মাটির উর্বরতা শক্তি বিনষ্টকরণ | Loss of soil fertility energy

নাইট্রেট জাতীয় উপাদান মাটিকে উর্বর করে থাকে। কিন্তু কতিপয় ব্যাকটেরিয়া (যেমন-Bacillus denitrificans) নাইট্রিফিকেশন প্রক্রিয়ায় মাটিস্থ নাইট্রেটকে ভেঙে মুক্ত নাইট্রোজেনে পরিণত করে এবং মাটির উর্বরতা শক্তি হ্রাস করে, ফলে ফসলের উৎপাদন কমে যায়।

নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যের ক্ষতি সাধন | Damage to daily necessities

ব্যাকটেরিয়া কাপড়-চোপড়, লোহা, কাঠের আসবাবপত্রসহ অনেক দ্রব্যের ক্ষতি সাধন করে থাকে। যেমন- Desulfovibrio sp. লোহার পাইপে ক্ষতের সৃষ্টি করে পানি সরবরাহে বিঘ্ন।

বায়োটেরোরিজম বা জৈব সন্ত্রাস | Biological Terrorism

ক্ষতিকারক জীবাণুকে যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়ে থাকে যাকে বায়োটেরোরিজম বলে।

যানবাহনের দুর্ঘটনা : Clostridium sp

বিমানের জ্বালানিতে জন্মালে বিমান দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

বায়োগ্যাস উৎপাদনে কোন ব্যাকটেরিয়া দায়ী

উত্তরঃ বায়োগ্যাস উৎপাদনে কোন ব্যাকটেরিয়া দায়ী

বায়োগ্যাস প্লান্টে মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া কি কাজ করে

উত্তরঃ মেথানোজেনগুলি হল গবাদি পশুর গোবরে (গোবর) এবং পয়ঃনিষ্কাশনের সময় অ্যানেরোবিক স্লাজে পাওয়া ব্যাকটেরিয়া। এরা সেলুলোজিক উপাদানে বায়বীয়ভাবে বৃদ্ধি পায় এবং এর সাথে প্রচুর পরিমাণে মিথেন (জৈব গ্যাসের প্রধান উপাদান) উৎপন্ন করে।

সুতরাং, বায়োগ্যাস উৎপাদনে মিথানোজেন ব্যবহার করা হয়

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আরো বিশদে পড়তে

ক্লাস 9 জীবন বিজ্ঞান জীবন বিজ্ঞান নোট রেফারেন্স বই WBBSE




পশ্চিমবঙ্গ বোর্ড WBBSE-এর ছাত্রদের জন্য ক্লাস 9 লাইফ সায়েন্স নোট এবং রেফারেন্স বই তাদের সহজে প্রস্তুত করতে এই বইটি বাংলা মাধ্যমের ছাত্রদের জন্য



বায়োগ্যাস কি

বায়োগ্যাস হল এক ধরণের জৈব জ্বালানি যা প্রাকৃতিকভাবে জৈব বর্জ্যের পচন থেকে উৎপন্ন হয়। যখন জৈব পদার্থ, যেমন খাদ্যের অবশিষ্টাংশ এবং প্রাণীর বর্জ্য, একটি অবাত পরিবেশে ভেঙে যায় (অক্সিজেনের অনুপস্থিত পরিবেশ) তখন তারা গ্যাসের মিশ্রণ পরিবেশে মুক্ত করে দেয়, প্রাথমিকভাবে মিথেন এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড।

আরো অন্য ভাবে বলতে গেলে

বায়োগ্যাস হলো পচনশীল জৈববস্তুসমূহ হতে তৈরি গ্যাস। সব প্রাণীরই মল হতে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে এ গ্যাস তৈরি করা যায়। পশুর গোবর ও অন্যান্য পচনশীল পদার্থ বাতাসের অনুপস্থিতিতে পঁচানোর ফলে যে গ্যাস তৈরি হয় তাই হচ্ছে বায়োগ্যাস। তবে গৃহপালিত বা বাণিজ্যিকভাবে পালিত পশুপাখি এবং মানব মল সহজলভ্য বলে এগুলোই বেশি ব্যবহার করা হয়। এজাতীয় গ্যাসে অধিকাংশ পরিমাণই থাকে মিথেন গ্যাস। বায়োগ্যাস উৎপাদনের পর অবশিষ্ট আবর্জনাটুকু উত্তম জৈব সার হিসেবে বেশ কার্যকরী।




আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে
Exit mobile version