Site icon prosnouttor

Model Activity Task Class 8 Science Part 8 | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 8 পরিবেশ ও বিজ্ঞান Part 3

Model Activity Task Class 8 Science Part 8 | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 8 পরিবেশ ও বিজ্ঞান Part 3

Model Activity Task Class 8 Science Part 8 | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 8 পরিবেশ ও বিজ্ঞান Part 3

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

WBBSE Science Class 8, Bacteria | Model Activity Task Class 8 Science Part 8

প্রশ্নপত্র

ব্যাকটেরিয়া কি, ব্যাকটেরিয়া কাকে বলে

ব্যাকটেরিয়া হলো সাধারণত ক্লোরোফিলবিহীন, প্রাককেন্দ্রীক (যাদের নিউক্লিয়াস সুগঠিত নয়) প্রাককোষী আণুবীক্ষণিক (যাদের অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া দেখা যায় না) জীব। গাঠনিক উপাদান ও পুষ্টি পদ্ধতির জন্য ব্যাকটেরিয়াকে উদ্ভিদ বলা হয়।

ব্যাকটেরিয়া কত প্রকার ও কি কি :-

বিভিন্ন বিজ্ঞানী ব্যাকটেরিয়াকে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে বিভিন্নভাবে শ্রেনিবিন্যাস করেছেন। যে সকল বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে বিজ্ঞানীগণ ব্যাকটেরিয়াকে শ্রেণিবিন্যাস করেছেন তা হলো কোষের আকৃতিগত পার্থক্য, জৈবিক প্রক্রিয়া, পুষ্টির ভিন্নতা, ফ্ল্যাজেলার বিভিন্নতা, রঞ্জন গ্রহণের ক্ষমতা এবং স্পোর উৎপাদন ক্ষমতা ইত্যাদি।

কোষের আকারের ভিত্তিতে ব্যাকটেরিয়ার শ্রেণিবিন্যাস :-

কোষের আকৃতি অনুসারে ব্যাকটেরিয়াকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা-

ক) কক্কাস :

গোলাকার ব্যাকটেরিয়াকে বলা হয় করাস। কক্কাস ব্যাকটেরিয়া আবার পাঁচ রকমের। যথা ১। মাইক্রোকক্কাস, ২। ডিপ্লোকক্কাস, ৩ স্ট্যাফাইলোকক্কাস, ৪। স্ট্রেপটোকক্কাস এবং ৫। সারসিনা।

১. মাইক্রোকক্কাস : যে সব গোলাকার ব্যাকটেরিয়া এককভাবে অবস্থান করে তাকে মাইক্রোকক্কাস বলে। উদাহরণ- মাইক্রোকক্কাস ডেনিট্রিফিকানস

২. ডিপ্লোকক্কাস : যে সব গোলাকার ব্যাকটেরিয়া জোড়ায় জোড়ায় থাকে তাদেরকে ডিপ্লোকক্কাস বলে। উদাহরণ- Diplococcus pneumonia

৩. স্ট্যাফাইলোকক্কাস : যে সব গোলাকার ব্যাকটেরিয়া অনিয়মিত গুচ্ছাকারে সাজান থাকে তাকে স্ট্যাফাইলোকক্কাস বলে । উদাহরণ- Staphylococcus aureus

৪. স্ট্রেপটোকক্কাস : যে সব গোলাকার ব্যাকটেরিয়া চেইনের মত সাজানো থাকে তাকে স্ট্রেপটোকক্কাস বলে। উদাহরণ- Streptococcus facts

৫. সারসিনা : যে সকল গোলাকার ব্যাকটেরিয়া নিয়মিত দলে অবস্থান করে সমান সমান দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা বিশিষ্ট একটি ঘন তলের মত গঠন করে তাদেরকে সারসিনা বলে। উদাহরণ- Sarcina lutea।

খ) ব্যাসিলাস :

দণ্ডাকৃতির ব্যাকটেরিয়াকে ব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া বলা হয়। উদাহরণ- Bacillus subtilis, Bulbus B. Anthracis ইত্যাদি।

গ) স্পাইরিলাম :

কুণ্ডলাকৃতির ব্যাকটেরিয়াকে স্পাইরিলাম ব্যাকটেরিয়া বলে। উদাহরণ- Spirillum volutans, S. minius ইত্যাদি।

ঘ) কমা :

কমা আকৃতির ব্যাকটেরিয়াকে কমা ব্যাকটেরিয়া বলা হয়। উদাহরণ- Vibrio cholerae।

ব্যাকটেরিয়ার বৈশিষ্ট্য

ব্যাকটেরিয়ার বৈশিষ্ট্য গুলি হলো : –

একটি আদর্শ ব্যাকটেরিয়ার গঠন, ব্যাকটেরিয়ার গঠন

ব্যাকটেরিয়ার বাহ্যিক আকার-আকৃতি ও প্রকৃতিতে যেমন উল্লেখযোগ্য পার্থক্য আছে, এদের কোষীয় গঠন বৈশিষ্ট্যেও তেমনই উল্লেখযোগ্য পার্থক্য বিদ্যমান আছে। সবগুলো বৈশিষ্ট্যকে একত্র করে একটি আদর্শ ব্যাকটেরিয়ামের গঠন হিসেবে এখানে উপস্থাপন করা হলো। 

কোষ প্রাচীর | Cell Wall

প্রতিটি ব্যাকটেরিয়াম কোষকে ঘিরে একটি জড় কোষ প্রাচীর থাকে। কোষ প্রাচীরের প্রধান উপাদান মিউকোপ্রোটিন জাতীয় যাকে মিউরিন বা পেপটিডোগ্লাইকান বলে। পেপটিডোগ্লাইকান একটি কার্বোহাইড্রেট পলিমার। পেপটিডোগ্লাইকানের সাথে কিছু পরিমাণ মুরামিক অ্যাসিড এবং টিকোয়িক অ্যাসিডও থাকে। গ্রাম পজিটিভ ব্যাকটেরিয়াতে পেপটিডোগ্লাইকান স্তরটি বেশ পুরু থাকে যা ক্রিস্টাল ভায়োলেট রং ধরে রাখতে পারে। গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়াতে পেপটিডোগ্লাইকান স্তরটি পাতলা থাকে এবং এর উপর ফসফোলিপিড বা লিপোপলিসেকারাইড-এর এক একটি  পাতলা স্তর থাকে। এজন্য এরা ভায়োলেট রং ধরে রাখতে পারে না। মাইকোপ্লাজমাতে জড় প্রাচীর নেই বললেই চলে। এরা ক্ষুদ্রতম ব্যাকটেরিয়া। লাইসোজাইম এনজাইম দ্বারা এর কোষ প্রাচীর বিগলিত হয়। 

ক্যাপসিউল | Capsules

বহু ব্যাকটেরিয়াতে কোষ প্রাচীরকে ঘিরে জটিল কার্বোহাইড্রেট বা পলিপেপটাইড দিয়ে গঠিত একটি পুরু স্তর থাকে, যাকে ক্যাপসিউল বলে। একে স্লাইম স্তরও বলা হয়। প্রতিকূল অবস্থা থেকে  ব্যাকটেরিয়াকে রক্ষা করাই এর প্রধান কাজ।  

ফ্লাজেলা | Flagella

অনেক ব্যাকটেরিয়াতে একটি ফ্ল্যাজেলাম বা একাধিক ফ্ল্যাজেলা থাকে। ব্যাকটেরিয়ার ফ্ল্যাজেলা নলাকার রডবিশেষ । ফ্ল্যাজেলিন নামক প্রোটিন দিয়ে ফ্ল্যাজেলা গঠিত। প্রতিটি ফ্ল্যাজেলামের তিনটি অংশ থাকে। যথা- (i) সূত্র (ii) সংক্ষিপ্ত হুক এবং (iii) ব্যাসাল বডি। ব্যাসাল বডি ফ্ল্যাজেলামকে কোষের প্লাজমামেমব্রেনের সাথে সংযুক্ত রাখে। ফ্ল্যাজেলা ব্যাকটেরিয়ার চলনে অংশগ্রহণ করে। 

পিলি | Pili

কতগুলো গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়ায় অপেক্ষাকৃত ক্ষদ্র, দৃঢ়, সংখ্যায় অধিক লোম সদৃশ অঙ্গ থাকে যাকে পিলি বলে। পিলি, পিলিন (Pilin) নামক এক প্রকার প্রোটিন দিয়ে তৈরি। পোষক কোষের সাথে সংযুক্তির কাজ করে থাকে পিলি। গনোরিয়া ব্যাকটেরিয়া পিলি দ্বারা পোষক কোষের সাথে সংযুক্ত হয়।   

প্লাজমামেমব্রেন | Plasma Membrane

সাইটোপ্লাজমকে বেষ্টন করে সজীব প্লাজমামেমব্রেন অবস্থিত। এটি সরল শৃঙ্খলের ফসফোলিপিড বাইলেয়ার হিসেবে অবস্থিত, এর সাথে মাঝে মাঝে প্রোটিন থাকে। এতে কোলেস্টেরল থাকে না। ব্যাকটেরিয়ার প্লাজমামেমব্রেন অনেক মেটাবলিক কাজ করে থাকে। বায়বীয় ব্যাকটেরিয়ার প্লাজমামেমব্রেন বহু শ্বসনিক ও ফসফোরাইলেটিক এনজাইম ধারণ করে (মাইটোকন্ড্রিয়ার অনুরূপ)। ফটোসিনথেটিক ব্যাকটেরিয়াতে প্লাজমামেমব্রেন ভেতরের দিকে ভাঁজ হয়ে থাইলাকয়েড সদৃশ গঠন সৃষ্টি করে। ব্যাকটেরিয়াতে মাইটোকন্ড্রিয়া নেই, তবুও কিছু ATP তৈরি হয় সাবস্ট্রেট লেভেল ফসফোরাইলেশন প্রক্রিয়ায়, কারণ ব্যাকটেরিয়ার প্লাজমামেমব্রেনে ফসফোরাইলেটিক এনজাইম থাকে।   

মেসোসোম | Mesosome

ব্যাকটেরিয়া কোষের প্লাজমামেমব্রেন কখনো কখনো ভেতরের দিকে ভাঁজ হয়ে থলির মতো গঠন সৃষ্টি করে যাকে মেসোসোম বলে। অনেকের মতে মেসোসোম কোষ বিভাজনে সাহায্য করে থাকে। 

সাইটোপ্লাজম | Cytoplasm

সাইটোপ্লাজমিক মেমব্রেন দিয়ে পরিবেষ্টিত অবস্থায় সাইটোপ্লাজম অবস্থিত। সাইটোপ্লাজম বর্ণহীন, স্বচ্ছ। এতে বিদ্যমান থাকে ছোট ছোট কোষ গহ্বর, চর্বি, শর্করা জাতীয় খাদ্য, প্রোটিন, খনিজ পদার্থ (লৌহ, ফসফরাস, সালফার ইত্যাদি)। গহ্বরগুলো কোষরস দিয়ে পূর্ণ থাকে। সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত উল্লেখযোগ্য অঙ্গাণু হলো মুক্ত রাইবোসোম এবং পলিরাইবোসোম। সালোকসংশ্লেষণকারী ব্যাকটেরিয়ার সাইটোপ্লাজমে ক্রোম্যাটোফোর থাকে। তরুণ ব্যাক্টেরিয়ার সাইটোপ্লাজমে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দানার আকারে ভলিউটিন থাকে। বয়োবৃদ্ধির সাথে সাথে এসব দানা কোষ গহ্বরে স্থানান্তরিত হয়। 

ক্রোমোসোম | Chromosome

কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াসের পরিবর্তে কেবল মাত্র একটি ক্রোমোসোম থাকে, যা সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত। প্রকৃতপক্ষে এটি একটি দ্বিসূত্ৰক DNA অণু। এটি কার্যত বৃত্তাকার এবং নগ্ন অর্থাৎ এতে ক্রোমোসোমাল হিস্টোন প্রোটিন থাকে না। ক্রোমোসোমকে ঘিরে কোনো নিউক্লিয়ার আবরণ থাকে না। সাইটোপ্লাজমস্থ DNA সমৃদ্ধ অঞ্চলকে নিউক্লিয়য়েড (Nucleoid) বলে। 

প্লাসমিড | Plasmid

বহু ব্যাকটেরিয়াতে বৃহৎ ক্রোমোসোম ছাড়াও একটি ক্ষুদ্রাকায় ও প্রকৃত বৃত্তাকার DNA অণু থাকে, যাকে বলা হয় প্লাসমিড। প্লাসমিড স্ববিভাজন ক্ষমতাসম্পন্ন এবং এতে স্বল্প সংখ্যক জিন থাকে। ভেক্টর হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ব্যাকটেরিয়ার রাজ্য কি, ব্যাকটেরিয়ার রাজ্য হল

ব্যাকটেরিয়ার রাজ্য হল মনেরা |

মনেরা-এটি একটি জৈবিক রাজ্য যা প্রোক্যারিওট (বিশেষত ব্যাকটেরিয়া) দিয়ে গঠিত। যেমন, এটি একক কোষযুক্ত জীব দিয়ে গঠিত যার একটি নিউক্লিয়াসের অভাব রয়েছে। আর্কিব্যাকটেরিয়া, মাইকোপ্লাজমা, ব্যাকটেরিয়া, সায়ানোব্যাকটেরিয়া, অ্যাকটিনোমাইসিটিস এই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত।

১৮৬৬ সালে আর্নস্ট হেকেল প্রথম ফাইলাম হিসাবে ট্যাক্সন মনেরার প্রস্তাব করেছিলেন। পরবর্তীতে, এই ফাইলাম ১৯২৫ সালে এডুয়ার্ড চ্যাটন দ্বারা রাজ্যের পদে উন্নীত হয়। ১৯৬৯ সালে রবার্ট হুইটেকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত পাঁচ রাজ্যের শ্রেণীবিন্যাস ব্যবস্থা ছিল ট্যাক্সন মনেরার সাথে সর্বশেষ সাধারণভাবে স্বীকৃত মেগা-শ্রেণীবিন্যাস |

ব্যাকটেরিয়ার শ্বসন অঙ্গানুর নাম কি

ব্যাকটেরিয়ার শ্বসন অঙ্গের নাম মেসোজোম।

ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার পার্থক্য

ভাইরাসব্যাকটেরিয়া
ভাইরাস হলো জড় ও জীবের মধ্যবর্তী বস্তু।ব্যাকটেরিয়া হলো সজীব বস্তু।
ভাইরাসের কোনো কোশপ্রাচীর নেই।ব্যাকটেরিয়ার কোশপ্রাচীর থাকে।
ভাইরাস হলো ইলেকট্রন আণুবীক্ষণিক জীব।ব্যাকটেরিয়া হলো আণুবীক্ষণিক জীব।
ভাইরাসের দেহ অকোশীয় ; সাইটোপ্লাজম , কোশ প্রাচীর বা কোশ পর্দা থাকে না । শুধুমাত্র দেহ আবরক ক্যাপসিড থাকে।ব্যাকটেরিয়ার দেহ কোশীয় ; সাইটোপ্লাজম , কোশ পর্দা , কোশ প্রাচীর , রাইবােজোম , ল্যামিলি , মেসােজোম প্রভৃতি থাকে।
ভাইরাস সম্পূর্ণ পরজীবী ।এরা পরজীবী , মৃতজীবী বা স্বভােজী ।
ভাইরাস পােষক কোশের বাইরে জড়ের মতাে আচরণ করে এবং পােষক কোশের ভেতরে সজীব বস্তুর লক্ষণ প্রকাশ পায় ।পরজীবী ব্যাকটেরিয়া কোশের বাইরে ও ভেতরে সব সময় সজীব ।
দেহবস্তু , সংশ্লেষ ও একত্রীকরণের ফলে ভাইরাসের জনন ঘটে।ব্যাকটেরিয়ার অঙ্গজ , অযৌন ও যৌন জনন প্রক্রিয়া দেখা যায়।
ভাইরাসের কোনো নিউক্লিয়াস নেই।ব্যাকটেরিয়ার নিউক্লিয়াস সুগঠিত নয়।
ভাইরাস পােষক কোশের ভেতরে কেবলমাত্র প্রজননক্ষম।পােষক কোশের বাইরে ও ভেতরে ব্যাকটেরিয়া প্রজননক্ষম ।
ভাইরাসে প্রজননিক বস্তু হিসাবে DNA অথবা RNA থাকে ।ব্যাকটেরিয়ার প্রজননিক বস্তু সবসময়ে DNA , কিন্তু সেই সঙ্গে সাইটোপ্লাজমে অপ্ৰজননিক RNA থাকে ।
ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার পার্থক্য

মানুষের অন্ত্রে কোন ব্যাকটেরিয়া বাস করে

Escherichia coli (এসকেরিকা কলি): মানুষের অন্ত্রে বসবাসকারী সবচেয়ে পরিচিত ব্যাকটেরিয়া।

মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া কাকে বলে

আর্কিয়া (Archaea) শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত ব্যাকটেরিয়া অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতেও সেলুলোজ জাতীয় খাদ্য উপাদান বিশ্লেষিত করে মিথেন গ্যাসের সৃষ্টি করে, সেই ব্যাকটেরিয়াগুলিকে মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া বলে। যেমন—মিথানোকক্কাস।

মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়ার নাম, মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়ার নাম

মিথানোজেনস হল একধরনের অবায়ুজীবী ব্যাকটেরিয়া।এটি গোবর গ্যাস থেকে উৎপন্ন হয়।এ জাতীয় আর্কিওব্যাকটেরিয়া দ্বারা নিঃসৃত মিথেন গ্যাস সমগ্ৰ পৃথিবীতে জ্বালানি ও শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

মিথেনোজেনিক ব্যাকটেরিয়া কঠোরভাবে অ্যানক্সিক অবস্থার অধীনে মিথেন সংশ্লেষণ করে ATP তৈরি করে, সাধারণত হাইড্রোজেনের সাথে কার্বন ডাই অক্সাইড হ্রাস করে। সমস্ত পরিচিত মিথেনোজেন হল ইউরিয়ারকিওট আর্কিয়া। আর্কিয়া ডোমেইন (আর্কিয়া), ওয়াইড এরিয়া l ওয়াইড আর্কিয়া দরজা অন্তর্গত।

ম্যালেরিয়া রোগের কারণ ব্যাকটেরিয়া

প্লাজমোডিয়াম গণের এককোষী পরজীবী দ্বারা ম্যালেরিয়া হয়। পরজীবীটি সাধারণত মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হয়।

লেন্সের সাহায্যে প্রথম ব্যাকটেরিয়া দেখেছিলেন কে

বিজ্ঞানী অ্যান্টনি ফন লিউয়েন হুক সর্বপ্রথম ১৬৭৫ খ্রিস্টাব্দে বৃষ্টির পানির মধ্যে নিজের তৈরি সরল অণুবীক্ষণযন্ত্রের নিচে ব্যাকটেরিয়া পর্যবেক্ষণ করেন।

শিজেলোসিস কোন ব্যাকটেরিয়া ঘটায়

শিগেলা ব্যাকটেরিয়া শিগেলোসিস নামক সংক্রমণ ঘটায়। শিগেলা সংক্রমণে আক্রান্ত বেশিরভাগ লোকেরই ডায়রিয়া (কখনও কখনও রক্তাক্ত), জ্বর এবং পেটে ব্যথা হয়।

দূষিত পানি দিয়ে ধোয়া যে কোন খাবারেই এই ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এর উপসর্গ হচ্ছে ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব। এই ব্যাকটেরিয়া সম্পন্ন খাবার খাওয়ার পর সাত দিনের মধ্যে লক্ষণ দেখা দেয় এবং এগুলো স্থায়ীও হয় সাত দিনের মতো।

সায়ানোব্যাকটেরিয়া কি

এটি এমন এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া যা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি আহরণ করে। এরাই একমাত্র সালোকসংশ্লেষী প্রোক্যারিয়ট যারা অক্সিজেন উৎপাদন করতে পারে। ব্যাকটেরিয়াটির বর্ণ নীল হওয়ার কারণে এর নাম “সায়ানোব্যাকটেরিয়া” । কখনো বা তাদেরকে নীলাভ-সবুজ শৈবাল বলে অভিহিত করা হয়, তবে এটি সঠিক নয় কারণ সায়ানোব্যাকটেরিয়ারা প্রোক্যারিয়ট আর “শৈবাল” ইউক্যারিয়ট।

স্টেপটোমাইসিন হলো উপকারী ব্যাকটেরিয়া, স্টেপটোমাইসেস হলো উপকারী ব্যাকটেরিয়া

স্ট্রেপটোমাইসিন (Streptomycin) হল একটি অ্যামিনোগ্লাইকোসাইড যা টিবারকুলোসিস এবং চিকিত্সার কারণে ব্যবহৃত হয় । নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ যেমন এভিয়াম কমপ্লেক্স, মাইকোব্যাকারিয়াম , ব্রুসেলোসিস , এন্ডোকার্ডাইটিস , প্লেগ , বার্কহোল্ডারের সংক্রমণ , তুলারেমিয়া , এবং জ্বর হতে পারে ।

স্ট্রেপ্টোমাইসেস ব্যাকটেরিয়ার বিভিন্ন প্রজাতি থেকে প্রায় 50 টারও বেশি ব্যাকটেরিয়ানাশক, ছত্রাকনাশক আর পরজীবীনাশক ওষুধ পাওয়া যায়। স্ট্রেপ্টোমাইসিন, এরিথ্রোমাইসিন হলো স্ট্রোপ্টোমাইসেস থেকে পাওয়া এরকমই কয়েকটা ওষুধ যা আমাদের শরীরে ঢুকে পড়া জীবাণুদের মেরে ফেলে।

সুতরাং বলা যায়, স্ট্রেপ্টোমাইসেস হলো উপকারী ব্যাকটেরিয়া।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আরো বিশদে পড়তে

ক্লাস 9 জীবন বিজ্ঞান জীবন বিজ্ঞান নোট রেফারেন্স বই WBBSE




পশ্চিমবঙ্গ বোর্ড WBBSE-এর ছাত্রদের জন্য ক্লাস 9 লাইফ সায়েন্স নোট এবং রেফারেন্স বই তাদের সহজে প্রস্তুত করতে এই বইটি বাংলা মাধ্যমের ছাত্রদের জন্য



ব্যাকটেরিয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ব্যাকটেরিয়ার উপকারিতা:

১। প্রতিষেধক টিকা তৈরিতে: অনেক প্রকার ব্যাকটেরিয়া থেকে কলেরা, যক্ষা, টাইফয়েড, ডিপথেরিয়া, রোগের টীকা অথবা ঔষধ তৈরি করা হয়। তাছাড়া ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি ও ধনুষ্টংকার রোগের ঔষধ ও ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয়। 

২। অ্যান্টিবায়োটিক তৈরিতে: ব্যাকটেরিয়া থেকে  সাবটিলিন Bacillus sutilis থেকে – পলিমিক্সিন , Bacillus polymyxa থেকে – স্ট্রেপটোমাইসিন, Actinomycetes থেকে আরও অনেক প্রকারজীবনরক্ষাকারী অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করা হয়।

৩। কৃষিক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা : মাটির উর্বর ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, নাইট্রোজেন সংবন্ধনে, পতঙ্গ নিধন করতে ও ফলন বৃদ্ধিতে। ব্যাকটেরিয়া অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে।

৪। মানবদেহে ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার: মানবদেহে ভিটামিন তৈরিতে ব্যাকটেরিয়া ব্যবহৃত হয়। E.coli ও অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া ভিটামিন -B, ভিটামিন-K, ভিটামিন-B2, বায়োটিন, ফলিক এসিড ইত্যাদি তৈরি করে ও সরবরাহ করে।

৫। শিল্পক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া কাজ: দুগ্ধজাত শিল্পে দুগ্ধ বৃদ্ধি করতে, পাটশিল্পে পাটের ফলন বাড়াতে ও চা, কফি ও তামাক প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যাকটেরিয়া ভূমিকা রাখে। তাছাড়া চামড়াশিল্পে, জৈব গ্যাস তৈরিতে, টেস্টিং লবণ তৈরি করতে অনেক বেশি কাজ করে থাকে।

৬। পরিবেশ রক্ষায়: আবর্জনা পচনে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা অনেক। তাছাড়া তেল নিস্কাশনে ও বায়োগ্যাস উৎপাদনে ব্যাকটেরিয়া ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

৭। সেলুলোজ হজমে : গবাদি পশু ঘাস, খড় প্রভৃতি খেয়ে থাকে। যার প্রধান উপাদান হলো সেলুলোজ। গবাদি পশুর অন্ত্রে অবস্থিত এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া সেলুলোজ হজম করতে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করে। যার মাধ্যমে পশুর হজমক্রিয়া ভালো হয়। 

ব্যাকটেরিয়ার অপকারিতা:

১। খাদ্যদ্রব্যের পচন তৈরি ও বিষাক্ত করে: এটি খাদ্য দ্রুত পচতে সাহায্য করে। এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া  আছে যা খাদ্যে বিষাক্ততা সৃষ্টি করে থাকে। যা খেয়ে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।

২। মানুষের রোগ সৃষ্টি করে: মানুষের বিভিন্ন রোগ যেমন: কলেরা, যক্ষ্মা, টাইফয়েড, নিউমোনিয়া, ডিপথেরিয়া, আমাশয়, ধনুষ্টংকার বা টিটেনাস, হুপিং কাশি ইত্যাদি ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে। তাছাড়া সিফিলিস, গনোরিয়া, এনথ্রাক্স, মেনিনজাইটিস, লেপরসি বা কুষ্ঠরোগ, আনডিউলেটেড ফেভার ইত্যাদি রোগের অন্যতাম কারণ হলো ব্যাকটেরিয়া।  

৩। অন্যান্য পশুপাখির রোগ সৃষ্টি করে: বিভিন্ন পশুপাখির রোগ সৃষ্টির জন্য ব্যাকটেরিয়া অনেকাংশে দ্বায়ী।  যেমন: গরু-মহিষের যক্ষা, ভেড়ার এনথ্রাক্স, ইদুরের প্লেগ, হাস-মুরগির কলেরা,    আনডিউলেটেড ফেভার, গিলাফোরা রোগ ইত্যাদি রোগও ব্যাকটেরিয়া দিয়ে হয়ে থাকে।

৪। উদ্ভিদের রোগ সৃষ্টি করে: ব্যাকটেরিয়া বিভিন্ন উদ্ভিদের যেমন: গমের টুন্ডুরোগ, ধানের পাতা ধবংসা,  লেবুর ক্যাংকার, আলুর স্ক্যাব,আখের আঠা ঝরে পড়া, আপেলের ফায়ার ব্লাইট, ভুট্টার বোটা পচা , টমেটোর ক্যাংকার, তামাকের ব্লাইট, সিমের লিফ স্পট রোগ ব্যাকটেরিয়া কারণে হয়ে থাকে।

৫। ঘরের ব্যবহারের জিনিস ক্ষতিসাধন করে: ব্যাকটেরিয়া ঘরের কাপড়-চোপড়, কাঠের আসবাবপত্র সহ অনেক দ্রব্যের ক্ষতিসাধন করে।

৬। পানি দূষণ করে: কলিফর্ম  নামের এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া থাকে যা সাধারণত মল দিয়ে পানি দূষিত করে ও তা পানের অযোগ্য করে থাকে।

৭। মাটির উর্বরতা বিনষ্ট করে: কিছু কিছু ব্যাকটেরিয়া আছে যা মাটিস্থ নাইট্রোজেন কে ভেঙে ফেলে ও তা মুক্ত নাইট্রোজেনে পরিণত করে। যার মাধ্যমে মাটির উর্বরতা শক্তি হ্রাস করে। যার কারণে ফসলের উৎপাদন কমে যায়।

FAQ | ব্যাকটেরিয়া

ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ কি কি

Ans – কলেরা, সিফিলিস, অ্যানথ্রাক্স, কুষ্ঠব্যাধি, বিউবনিক প্লেগ ইত্যাদি। শ্বাস নালীর সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট রোগসমূহ হলো ব্যাকটেরিয়াজনিত সর্বাপেক্ষা মারত্মক ব্যাধি।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে
Exit mobile version