Site icon prosnouttor

যুক্তিবিদ্যা কাকে বলে, যুক্তিবিদ্যার জনক কে, যুক্তিবিদ্যা বলতে কি বুঝায়, যুক্তিবিদ্যা কোন ধরনের বিজ্ঞান

যুক্তি কাকে বলে, অবরোহ যুক্তি কাকে বলে, যুক্তির আকার কাকে বলে, যুক্তির বৈধতা বলতে কী বোঝো

যুক্তি কাকে বলে, অবরোহ যুক্তি কাকে বলে, যুক্তির আকার কাকে বলে, যুক্তির বৈধতা বলতে কী বোঝো

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

প্রশ্নপত্র

যুক্তিবিদ্যা কি

যুক্তিবিদ্যার ইংরেজী প্রতিশব্দ Logic- এর উৎপত্তি হয়েছে গ্রীক শব্দ Logike থেকে। Logike শব্দটি আবার গ্রীক Logos শব্দের বিশেষণ। Logos শব্দের অর্থচিন্তা বা ভাষা। সুতরাং শব্দগতঅর্থে যুক্তিবিদ্যা হলো ভাষায়প্রকাশিত চিন্তা বিষয়ক বিজ্ঞান। এখানে লক্ষনীয় যে ‘চিন্তা’কথাটি খুবই ব্যাপক মনোবিজ্ঞানে ‘চিন্তা’শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়।কিন্তু যুক্তিবিদ্যায় ‘চিন্তা’বলতে আমরা শুধুমাত্র অনুমানকে বুঝে থাকি।

মানুষ যেহেতু চিন্তা করতে পারে তাইজানা থেকে অজানাকে জানার কৌতুহলচিরন্তণ। জানার মাধ্যমে অজানাকে জানার মানসিকপ্রক্রিয়াকে বলা হয় অনুমান। আরঅনুমান ও তার সহায়ক প্রক্রিয়াসমূহনিয়ে যে বিদ্যা আলোচনা করে তাকে বলা হয় যুক্তিবিদ্যা। অর্থাৎযে ব্যবহারিক বিজ্ঞান ভ্রান্তিকে পরিহার করে সত্যকে অর্জন করার উদ্দেশ্যে যুক্তিপদ্ধতি বা অনুমানএবং তার সহায়ক প্রক্রিয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রনকরে তাকে যুক্তিবিদ্যা বলে।

যুক্তিবিদ্যা কাকে বলে

যুক্তিবিদ্যা হচ্ছে ভাষায় প্রকাশিত চিন্তা সম্বন্ধীয় বিজ্ঞান যা সঠিকভাবে চিন্তা করার নিয়মগুলো নির্দেশ করে এবং কীভাবে সে নিয়মগুলোকে অনুসরণ করে আমাদের চিন্তাকে যথার্থ করা যায় এবং সত্যতা লাভ করা যায় সে সম্পর্কে জ্ঞান দান করে।

প্রামাণ্য সংজ্ঞা:

যুক্তিবিদ্যারপ্রকৃতি সম্পকে যুক্তিবিদদের মধ্যে কিছুটা মতবিরোধ থাকার ফলে তারা বিভিন্নভাবে যুক্তিবিদ্যার সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংজ্ঞাসমূহ হলোঃ

উপরোক্ত সংজ্ঞাগুলো কোনটিই একেবারে ভ্রান্ত নয়। তবে অধিকাংশ সংজ্ঞাই সংকীর্ন, অস্পষ্ট, অব্যাপক বা অতিব্যাপক দোষে দুষ্ট। যুক্তিবিদ্যার সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য ওসন্তেষজনক সংজ্ঞা প্রদান করেছেন

জে. এস. মিল। তিনি তার সংজ্ঞায় বলেন, “যুক্তিবিদ্যা হচ্ছে ঐ সব চিন্তন প্রক্রিয়ার বিজ্ঞান,”যে প্রক্রিয়াগুলো সাক্ষ্য প্রমাণেরউপর নির্ভরশীল; অথাৎ জ্ঞাত সত্য থেকে অজ্ঞাত সত্যে উপনীত হওয়ার প্রক্রিয়া এবং তার সহায়ক অন্যান্য সব প্রক্রিয়া সম্পর্কীত বিজ্ঞান।”পরিশেষে যুক্তিবিদ্যার সংজ্ঞায় একথা বলা যায়, যে বিদ্যা যুক্তি ও তার সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়াগুলোর সাহায্যে যথার্থ যুক্তি প্রয়োগ ও অযথার্থ যুক্তি পরিহার করতে সহায়তা করে তাকে যুক্তিবিদ্যা বলে।

যুক্তিবিদ্যার জনক কে, যুক্তি বিদ্যার জনক কে

এরিস্টটলকে যুক্তিবিদ্যার জনক বলা হয়।

প্লেটো যদিও সরাসরি যুক্তিবিদ্যার আলোচনা করেননি, কিন্তু তার ছাত্র এরিস্টটল প্লেটোর মাধ্যমেই যুক্তিবিদ্যার মূল নির্দেশনা পেয়েছেন। প্লেটোর প্রস্তাবিত শিক্ষাব্যবস্থায় যুক্তিবিদ্যা ছিল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্যবিষয়। আর এরিস্টটল সেই যুক্তিবিদ্যারই বাস্তব রূপদান করেন। এ জন্য এরিস্টটলকে যুক্তিবিদ্যার জনক বলা হয়।

প্রাচীন গ্রিক দর্শনকার এবং প্রজ্ঞাতান্ত্রিক ছাত্র এরিস্টটলকে যুক্তিবিদ্যার জনক বলা হয়। তিনি প্রথম যুক্তির জন্য একটি আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তোলেন এবং প্রথম গ্রিক যুক্তিবিদ্যার মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলি তৈরি করেন। এরিস্টটল খ্রীষ্টপূর্ব ৩৮৪ অব্দে জন্মগ্রহণ করেন এবং মাত্র ৬২ বছর বয়সে মৃত্যু গ্রহণ করেন।

যুক্তিবিদ্যা কত প্রকার ও কি কি, যুক্তিবিদ্যা কত প্রকার

যুক্তিকে দুইভাগে ভাগ করা যায়। যেমন, ১. অবরোহী (Deductive) 2. আরোহী (Inductive) 

অবরোহী (Deductive)

যে যুক্তিতে সিদ্ধান্ত এক বা একাধিক যুক্তিবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় এবং সিদ্ধান্ত কখনোই যুক্তি বাক্য থেকে ব্যাপকতর হতে পারেনা; সেই যুক্তিকে অবরোহ যুক্তি বা অনুমান বলে।

যেমন;  

আশ্রয় বাক্যঃ সকল মানুষ হয় মরণশীল।

আশ্রয় বাক্যঃ মিস্টার রহিম একজন মানুষ।

আশ্রয় বাক্যঃ সুতরাং, মিস্টার রহিম মরণশীল।

এখানে যুক্তি বাক্য থেকে সিদ্ধান্ত অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়েছে এবং সিদ্ধান্ত যুক্তিবাক্য থেকে ব্যাপকতর নয়। অর্থাৎ, এই যুক্তি বাক্য বা প্রেমিসগুলো থেকে সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র “মিস্টার রহিম মরণশীল” এটাই আসবে অন্য কিছু আসবেনা। এই যুক্তিতে যেহেতু আশ্রয় বাক্যের সাথে সিদ্ধান্তের একটা অনিবার্য সম্পর্ক রয়েছে তাই যুক্তি বাক্য যদি সত্য হয় তাহলে সিদ্ধান্ত সত্য বা বৈধ হতে বাধ্য। এবং যুক্তিবাক্য যদি মিথ্যা হয় তাহলে সিদ্ধান্ত মিথ্যা বা অবৈধ হতে বাধ্য।

আরোহী (Inductive) 

যে অনুমানে বিশেষ বিশেষ দৃষ্টান্তের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে একটি সার্বিক সংশ্লেষক যুক্তিবাক্য গঠন করা হয় তাকে আরোহ যুক্তি বা অনুমান বলে। যেমন; 

আশ্রয় বাক্যঃ এশিয়ার সব রাজহাঁস সাদা

আশ্রয় বাক্যঃ আমেরিকার সব রাজহাঁস সাদা

আশ্রয় বাক্যঃ  ইউরোপের সব রাজহাঁস সাদা

সিদ্ধান্তঃ পৃথিবীর সকল রাজহাঁস সাদা। 

এখানে আমরা এশিয়া, আমেরিকা এবং ইউরোপের রাজহাঁসগুলো পর্যবেক্ষণ করেছি, পৃথিবীর সকল রাজহাঁস নয়। অর্থাৎ, আমরা বিশেষ বিশেষ দৃষ্টনান্তের পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি যে সেগুলো সব সাদা। এবং এই বিশেষ বিশেষ পর্যবেক্ষনের উপর ভিত্তী করেই আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে পৃথিবীর সকল রাজহাঁস সাদা। এই যুক্তিগুলোর ক্ষেত্রে শতভাগ নিশ্চয়তা দেওয়া যায়না। কারণ পর্যবেক্ষণ পরিবর্তন হলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে। তাই এই যুক্তিগুলো সম্ভাবনামূলক। আমরা যদি কখনোই কালো বা অন্য কোনো রঙ এর রাজহাঁস দেখতে পায় তাহলে আমাদের সিদ্ধান্ত মিথ্যা হবে।

যুক্তিবিদ্যা বলতে কি বুঝায়

আমরা জানি যে চিন্তার সাথে ভাষার সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। আমাদের মনের চিন্তা ধারাকে আমরা সব সময়ই ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করি। সুতরাং উৎপত্তিগত অর্থ যুক্তিবিদ্যা হল ভাষায় প্রকাশিত চিন্তার বিজ্ঞান।

অ্যারিস্টোটলের এর যুক্তিবিদ্যার ধারণাঃ

অ্যারিস্টোটল যুক্তিবিদ্যাকে জ্ঞানের পদ্ধতি নির্দেশকারী প্রারম্ভিক বিজ্ঞান বলেছেন। তার মতে যুক্তিবিদ্যার কাজ হলো জ্ঞানের পদ্ধতি নির্দেশ করা। জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখা প্রশাখা সুনির্দিষ্ট নিয়ম নীতি অনুসরণ করে, সেটা কলা কিংবা বিজ্ঞান যাই হোক না কেন। আর যুক্তিবিদ্যা চিন্তার বিজ্ঞান হিসেবে এসবের জন্য নিয়ম-নীতি সরবরাহ করে। যুক্তিবিদ্যার কাজেই হলো একটি চিন্তা বা আলোচনা কিভাবে সঠিক প্রক্রিয়ায় ব্যক্ত করা যায় তার নির্দেশ করা কিংবা কিভাবে উত্থাপন করলে তাকে বৈধ বা অবৈধ বলা যাবে তা বলে দেয়া। এ কারণেই এরিস্টোটল যুক্তিবিদ্যা প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন।

জেএস মিল এর যুক্তিবিদ্যার ধারণাঃ

জেএস মিল যুক্তিবিদ্যা ও নীতিবিদ্যার ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রাখেন। তিনি মনে করেন যে অবরোহ ও আরোহ যুক্তি বিদ্যার এ দুটি শাখার নিয়মেই হলো সত্য জ্ঞান অনুসন্ধান করা। তার মতে অবরোহ যুক্তি বিদ্যাঃ প্রতিষ্ঠিত সত্যের আলোকে আমাদের সত্ত অনুসন্ধানকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে এবং বিজ্ঞানের যুক্তিবিদ্যা আরোহ যুক্তিবিদ্যা সত্ত আবিষ্কারের জন্য আমাদেরকে প্রয়োজনীয় নিয়ম সরবরাহ করে। মিল তার A System of Logic গ্রন্থে যুক্তিবিদ্যার সংজ্ঞায় বলেন যুক্তিবিদ্যা হল আমাদের জ্ঞানগত প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য এমন বিজ্ঞান যা বিচার বা প্রমাণ এর মাধ্যমে জ্ঞান সত্ব থেকে অজ্ঞাত সত্যে উপনীত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বুদ্ধিগত কাজ ও বৌদ্ধিক ক্রিয়ার মানসিক প্রক্রিয়া সমূহ সম্পর্কে আলোচনা করে।

জোসেফ এর যুক্তিবিদ্যার ধারণাঃ

ব্রিটিশ অধ্যাপক হোরেস উইলিয়াম ব্রিন্ডলে জোসেফ তার A Introduction to logic বইয়ের যুক্তিবিদ্যার স্বরূপ নির্ধারণ করার চেষ্টা করেন। জোসেফ মনে করেন যে যুক্তিবিদ্যা বিজ্ঞান হিসেবে নিজস্ব আলোচনা বিষয়ের মূলনীতির ব্যাখ্যা করে। যেমন যুক্তিবিদ্যা সংজ্ঞা নিয়ম, যৌক্তিক বিভাজন এর মূলনীতি, অনুমান এর নিয়মাবলী নিয়ে আলোচনা করে। জোসেফ এর মতে যুক্তিবিদ্যা এমন একটি বিজ্ঞান যা চিন্তার সাধারণ নিয়ম গুলো সম্পর্কে আলোচনা করে।

আই. এম. কপি এর যুক্তিবিদ্যার ধারণাঃ

আমেরিকান অধ্যাপক আরভিং মারমার কপি যুক্তিবিদ্যার  মূল কাজকে বিবেচনায় নিয়ে যুক্তিবিদ্যা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। কপি মনে করেন যে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যুক্তিবিদ্যার ব্যবহারকরা যায়। যুক্তিবিদ্যার পাঠ আমাদের শুদ্ধ যুক্তি থেকে অশুদ্ধ যুক্তির পার্থক্য করতে সহায়তা করে, জ্ঞান অনুসন্ধানকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং আমাদের আগ্রহের যেকোনো বিষয় বুঝতে সাহায্য করে। যুক্তিবিদ্যা আমাদের বুদ্ধিগত যোগ্যতাকে প্রসারিত করে এবং বাস্তব করে তুলে। যুক্তিবিদ্যা সকল ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য ও শুদ্ধ যুক্তি গঠনে সাহায্য করে।

যুক্তিবিদ্যার মূল আলোচ্য বিষয় কি, যুক্তিবিদ্যার প্রধান আলোচ্য বিষয় কি

যুক্তিবিদ্যার প্রধান আলোচ্য বিষয় যুক্তি পদ্ধতি বা অনুমান। যুক্তিবিদ্যার মূল উদ্দেশ্য সত্যকে অর্জন করা।

যুক্তিবিদ্যা বিজ্ঞান না কলা ? যুক্তিবিদগনের মতে, যুক্তিবিদ‍্যা “বিজ্ঞান এবং কলা” দুটোই !

যুক্তিবিদ— মিল , হোয়াইটলি প্রমুখ মনে করেন— যুক্তিবিদ‍্যা কেবল বিজ্ঞান কিংবা কলা নয় বরং বিজ্ঞান ও কলা, উভয়ের সমন্বিত রূপ। কারণ তাদের মতে যুক্তিবিদ‍্যা আমাদের যেমন চিন্তার সাধারণ নিয়ম শিক্ষা দেয় তেমনি বাস্তব ক্ষেত্রে সেসব নিয়ম যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করতে শেখায়। এজন্য এটি একাধারে বিজ্ঞান ও কলা ।

আরো পড়তে: যুক্তি কাকে বলে, অবরোহ যুক্তি কাকে বলে, যুক্তির আকার কাকে বলে, যুক্তির বৈধতা বলতে কী বোঝো

যুক্তিবিদ্যা কোন ধরনের বিজ্ঞান, যুক্তিবিদ্যাকে সকল বিজ্ঞানের বিজ্ঞান বলা হয় কেন

যুক্তিবিদ্যাকে আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান বলা হয় কারণ এটি কোনো বিষয়ের প্রকৃতি বা স্বরূপ কেমন তা নিয়ে আলোচনা করে না, বরং বিশেষ আদর্শের সঙ্গে ঐ বিষয়টি কীভাবে সঙ্গতিপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করে। যুক্তিবিদ্যার মূল আদর্শ হল সত্যতা। যুক্তিবিদ্যা সঠিক চিন্তা পদ্ধতি ও যুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে সত্যের সন্ধান ও ভ্রান্তি পরিহারের উদ্দেশ্যে আলোচনা করে।

যুক্তিবিদ্যার আদর্শনিষ্ঠতা নিম্নলিখিত দিকগুলিতে প্রকাশিত হয়:

উদাহরণস্বরূপ, যুক্তিবিদ্যা একটি যুক্তির শর্তগুলি কীভাবে পূরণ করলে তা বৈধ হবে তা নিয়ে আলোচনা করে। এটি কোনো বাস্তব বিষয় বা ঘটনার বিশ্লেষণ করে না, বরং কেবলমাত্র যুক্তির বিশ্লেষণ করে। যুক্তিবিদ্যা কোনো যুক্তির শর্তগুলি পূরণ হলে তা বাস্তব জগতে সত্য হবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা করে না, বরং কেবলমাত্র সেই যুক্তিটি আদর্শভাবে বৈধ হবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা করে।

সুতরাং, উপরিউক্ত আলোচনার ভিত্তিতে বলা যায় যে, যুক্তিবিদ্যাকে আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান বলা হয় কারণ এটি কোনো বিষয়ের প্রকৃতি বা স্বরূপ কেমন তা নিয়ে আলোচনা করে না, বরং বিশেষ আদর্শের সঙ্গে ঐ বিষয়টি কীভাবে সঙ্গতিপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করে।

যুক্তিবিদ্যায় শব্দ কত প্রকার, যুক্তিবিদ্যা শব্দ কত প্রকার

যুক্তিবিদ্যায় শব্দকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যথা : পদযোগ্য শব্দ, সহপদযোগ্য শব্দ ও পদ-নিরপেক্ষ শব্দ। অন্যদিকে যুক্তিবিদ্যার আলোকে পদ শুধু দুই প্রকার। যথা : উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ।

আরো অন্যান্য প্রশ্নোত্তরের সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | যুক্তিবিদ্যা, যুক্তিবিদ্যা সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

Q1. যুক্তি বিদ্যা কি

Ans – যে শাস্ত্র একটি শব্দ বা বাক্য থেকে অবৈধ এবং বৈধ যুক্তিকে পৃথক করে তাকে যুক্তিবিদ্যা বলে।

Q2. আধুনিক যুক্তিবিদ্যার জনক কে

Ans – আধুনিক যুক্তিবিদ্যার জনক এরিস্টটল।

Q3. যুক্তিবিদ্যার ইংরেজি কি

Ans – যুক্তিবিদ্যা শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে ‘Logic’। এই শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ Logike থেকে। গ্রীক ভাষায় Logike শব্দের বিশ্লেষণ। Logos শব্দের অর্থ চিন্তা, অনুমান। এই ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি যে চিন্তা যখন ভাষায় প্রকাশিত হয় তখনই তা যুক্তিবিদ্যাতে পরিণত হয়।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে
Exit mobile version