ঘাত কাকে বলে
কোনো তলের সমগ্র ক্ষেত্রফলের ওপর কোনো ব্যক্তি বা বস্তু মোট যে বল প্রয়োগ করে, তাকে ঘাত বলা হয়। যেমন, কোনো পাত্রে তরল পদার্থ রাখলে, পাত্রের তলার সমগ্র ক্ষেত্রফলে তরল পদার্থের ওজনজনিত যে-বল প্রযুক্ত হয়, সেই বলটি তরলের ঘাত।
কোনো বস্তুর উপর স্থির মানের কোনো বল কিছু সময় ধরে ক্রিয়া করলে, ওই বলের মান এবং ক্রিয়া করার সময় এর গুণফলকে ওই বলের ঘাত বা আবেগ বলা হয়।
ঘাত বল কাকে বলে
কোন বস্তুর উপর স্থির মানের কোন বল কিছু সময় ধরে ক্রিয়া করলে, ওই বলের মান এবং ক্রিয়া করার সময়ের গুণফলকে ঐ বলের ঘাত বলে।
কোন বস্তুর উপর যখন বল প্রয়োগ করা হয় তখন প্রয়োগকৃত বল এবং যে সময়ব্যাপী বল প্রয়োগ করা হয়েছিল সেই সময়ের গুণফলকে বলা হয় বলের ঘাত ।
ঘাত বলের আরও উদাহরণ হিসেবে নিচের দৃষ্টান্ত গুলি হল:
- ফুটবলে ঠিক করার সময় ফুটবলে পা দিয়ে যে বল প্রয়োগ করা হয় তা ঘাত বল।
- পেরেক এর উপর হাতুর দিয়ে যে বল প্রয়োগ করা হয় তা ঘাতবল।
- ক্রিকেট খেলার ব্যাটসম্যান ব্যাট দিয়ে বল এর উপরে ঘাত বল প্রয়োগ করে।
বলের ঘাত কি
বলের ঘাত বা গোলা ফাঁস বা গোলা ফাঁস করার জন্য ব্যবহৃত একটি উপকরণ হল বাগলা। এটি একটি লম্বদীয় স্তম্ভ যা প্রয়োজনে গোলা ফাঁস করতে ব্যবহৃত হয়। বাগলা একটি স্টেশনারি টুল হিসাবে ব্যবহৃত হয় এবং এর মাধ্যমে বল বা গোলা ফাঁস করা হয়। এটি সাধারণত প্রয়োজনে কারখানা, মেশিনশপ এবং অন্যান্য উদ্যোগে ব্যবহৃত হয়। বাগলার উপযোগিতা হল প্রায় সমস্ত বস্তু বা প্রক্রিয়াকে নির্দিষ্ট স্থানে রাখা এবং ব্যবহার করা। এটি প্রধানতঃ উন্নয়নশীল ও শিল্প কাজে ব্যবহৃত হয়।
কোন বস্তুর ওপর যখন বড় মানের কোন বল খুব অল্প সময়ের জন্য ক্রিয়া করে তখন ওই বল কে ঘাতবল বলা হয়। বাহুবলি সিনেমা তে বাহুবলী ও কালকেয়া এর সেনাবাহিনীর যুদ্ধের সময় কালকের সেনারা একটি তিনটি গাছের গুড়ির সাহায্যে বাহুবলির সেনাদের ঢালেরঘেরা কে কে ভাঙ্গার চেষ্টা করে এই ‘ঘাত বলের’ মাধ্যমে।
বলের ঘাতের একক
যেহেতু ঘাতবল এক প্রকারের বল যা ক্ষণস্থায়ী তাই ঘাট বলের একক ও বলের একক ভিন্ন নয়। তাই ঘাত বলের একক সিজিএস পদ্ধতিতে ডাইন ও এস আই পদ্ধতিতে নিউটন।
বলের ঘাত এর সূত্র
কোন বস্তুর উপর যখন বল প্রয়োগ করা হয় তখন প্রয়োগকৃত বল এবং যে সময়ব্যাপী বল প্রয়োগ করা হয়েছিল সেই সময়ের গুণফলকে বলা হয় বলের ঘাত ।
বলের ঘাত = বল * সময়
বা, J = F*t = ((mv-mu)/t)*t = mv-mu
অর্থাৎ বলের ঘাত = ভরবেগের পরিবর্তন
ঘাত বলের মাত্রা
যেহেতু বলের ঘাত বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের সমান, তাই বলের ঘাতের একক, মাত্রা হবে ভরবেগের একক মাত্রার সমান ।
সুতরাং বলের ঘাতের একক = kgms
এবং বলের ঘাতের মাত্রা = MLT-1
বলের ঘাতের মাত্রা = বলের মাত্রা × সময়ের মাত্রা = [MLT-2][T] =[ MLT-1 ]
বলের ঘাত ও ঘাত বলের পার্থক্য
বলের ঘাত | ঘাত বল |
---|---|
1. বস্তুর উপর প্রযুক্ত বলের মান ও ক্রিয়াকাল এর গুণফল হলো বলের ঘাত। | 1. বৃহৎ মান বিশিষ্ট ক্ষণস্থায়ী বল হল ঘাত বল। |
2. বলের ঘাত হলো ফলাফল (Effect) | 2. ঘাত বল হল কারণ (Cause) |
3. বলের ঘাতের মাত্রা [MLT-1] | 3. বলের ঘাতের মাত্রা [MLT-2] |
4. বলের ঘাতের প্রভাবে বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তন ঘটে। | 4. ঘাত বলের প্রভাবে বস্তুতে অল্প সময়ে বৃহৎ ত্বরণ সৃষ্টি হয়। |
5. বলের ঘাত এর ক্ষেত্রে ক্রিয়াশীল বল F=ma সমীকরণ মেনে চলে। অর্থাৎ ভর ও ত্বরণের গুণফল দ্বারা ক্রিয়াশীল বলের পরিমাপ করা হয়। | 5. ঘাত বলের ক্ষেত্রে ক্রিয়াকাল অল্প হওয়ায় ভরবেগের পরিবর্তনের দ্বারা ঘাত বলের (F.t) পরিমাপ করা হয়। |
বলের ঘাত ও ভরবেগের মধ্যে সম্পর্ক
ধরি m ভরের কোন বস্তুর উপর t সময় ধরে F মানের একটি বল প্রয়োগ করায় বস্তুটির বেগ u থেকে বেড়ে v হল ।
এ ক্ষেত্রে প্রযুক্ত বলের ঘাত (I) =F×t
আবার নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্র অনুসারে, প্র
প্রযুক্তি বল (F) = ma=m×( v-u)/t
বা, Ft=m(v-u)
বা, I=m(v-u)
বলের ঘাত = বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তন।
আরো অন্যান্য সরকারি স্কিম সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
FAQ | বলের ঘাত
Q1. ঘাত কি
Ans – ভরবেগ পরিবর্তনকে বলের ঘাত বলে।
Q2. ঘাতের si একক
Ans – বলের ঘাত এর এসআই একক হল নিউটন সেকেন্ড (N⋅s)।
Q3. ঘাত কি রাশি
Ans – বলের ঘাত হল ভেক্টর রাশি।
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন।