Site icon prosnouttor

অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক ভূগোল | অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক ভূগোল pdf

নিম্নলিখিত জন্য কারণ দিন
আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক ভূগোল | অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক ভূগোল pdf

একটি আপনাকে মানচিত্র, অন্যটি গ্রাফের কথা ভাবতে বাধ্য করতে পারে – তবে ভূগোল এবং অর্থনীতির মধ্যে অনেক ওভারল্যাপ রয়েছে ।

অর্থনীতি কি?

অর্থনীতি এবং ভূগোল কিভাবে মিলিত হয়?

বাণিজ্যিক ভূগোল

ভূগোল যা পণ্যগুলির সাথে তাদের উৎপত্তিস্থল এবং তাদের পরিবহনের পথ অনুসারে কাজ করে ।

বাণিজ্যিক ভূগোল এবং এর গুরুত্ব কি?

বাণিজ্যিক ভূগোল হল ভৌগলিক কাঠামো এবং বাণিজ্যিক কার্যকলাপের মধ্যে সম্পর্ক। বাণিজ্য নির্ভর করে ভৌগোলিক কাঠামোর উপর এবং সম্পর্কিত কারণগুলির যেমন জমির গঠন, জনসংখ্যা, জলবায়ু, তাপমাত্রা, স্থিতিশীলতা এবং অন্যান্য অনেক কিছুর উপর।

আরো অন্যান্য সরকারি স্কিম সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

অর্থনীতি, অর্থনীতির উপর শিক্ষার প্রভাব আলোচনা করো, অর্থনীতির ওপর শিক্ষার প্রভাব, অর্থনীতির উপর শিক্ষার দুটি মূল প্রভাব, শিক্ষার উপর অর্থনীতির প্রভাব, অর্থনীতির ওপর শিক্ষার দুটি মূল প্রভাব

পরিকল্পিত শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক সামাজিক ও শিক্ষার উন্নয়ন আনয়ন করা সম্ভব। শিক্ষা একটি দেশের অর্থনীতিতে মানব সম্পদ ও মানব পুঁজি তৈরি ও সরবরাহ করে থাকে। যা অর্থনৈতিকভাবে আমাদের কৃষি, শিল্প ও অন্যান্য সামাজিক খাতের উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিকল্পিত শিক্ষার সাথে অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক কঠিন যোগসূত্র রয়েছে। জাপান সহ পৃথিবীর অনেক দেশের পরিকল্পিত শিক্ষা পরিকল্পনা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের যোগসূত্র শিক্ষা অর্থনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। পরিকল্পিত শিক্ষা ইউরোপীয় দেশগুলোতে অর্থনীতির ন্যায় দেশ ও সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়ন করেছে। পরিকল্পিত শিক্ষায় নারীরা ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠির উন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি করে । আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশ সমূহের গতিধারা, পদ্ধতি এবং কৌশল নিয়ে পরিকল্পনাবিদদের মধ্যে মত পার্থক্য থাকলেও শিক্ষাকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসাবে স্বীকার করেন ও কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি করে এইরূপ শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। কারণ কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমাদের কৃষি, শিল্প, ট্রান্সপোর্ট, তথ্যপ্রযুক্তি প্রভৃতি খাতে উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে শিক্ষাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয়।

বিভিন্ন দেশের বিগত দিনের অভিজ্ঞতা থেকে বর্তমানে এই সত্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, সুপরিকল্পিত শিক্ষাই উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় মানব সম্পদ সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরাসরি সাহায্য করতে পারে। যা জাতীয় অর্থনীতিতে অনেক বড় সাফল্য বয়ে আনতে পারে।

উপযুক্ত প্রশিক্ষনের মাধ্যমে জনশক্তিকে যদি জনসম্পদে পরিনত করা যায় তাহলে তা পৃথিবীর শ্রেষ্ট সম্পদে রুপান্তরিত হতে পারে। তাই আমাদের জনশক্তিকে দক্ষ জনসম্পদে পরিনত করতে হলে তাদের জন্য উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশের ও বেশী তরুন ও কর্মক্ষম এটাকে অর্থনীতির ভাষায় ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট বলে। একটি জাতীর জীবনে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট অবস্থা একবারই আসে, যারা সেই আস্থাকে কাজে লাগাতে পারে তারাই সফল হয়। আমাদের সরকার এই অবস্থাকে কাজে লাগাতে শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্ধ সহ গুরুত্ব দিয়ে আসছে।

সংগত কারনেই বলা যায়, শিক্ষায় প্রয়োজনীয় ও পরিকল্পিত বিনিয়োগ একটি জাতীকে কিভাবে পাল্টে দেয় তার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরন হচ্ছে জাপান। বহু আগে জাপান শিক্ষাকে বিশাল পুঁজিতে রূপান্তরিত করেছে। শতভাগ শিক্ষিত জাপানিদের অর্থনৈতিক সম্পদের মধ্যে ১ শতাংশ প্রাকৃতিক পূঁজি, ১৪ শতাংশ ভৌত ও বস্তুগত পূঁজি এবং ৮৫ শতাংশ শিক্ষা সংক্রান্ত মানবিক ও সামাজিক পূঁজি। শিক্ষায় বিনিয়োগের Rate of Return অনেক বেশী। বর্তমানে আমরা সকলেই জানি ও অনুধাবন করি একজন শিক্ষিত শ্রমিক ও কায়িক শ্রমিকের আয় বৈষম্য তাই আমাদের অবিভাবকগন শিক্ষার প্রতি অনেক বেশী আগ্রহী। আধুনিক গবেষণায় দেখা যায় শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ তার আয়কে ৫ থেকে ১০ গুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারেন।

আবার অনেকে মনে করেন শিক্ষা হচ্ছে সু-অভ্যাস গঠন আত্বোন্নয়নের আকাংখা, নৈতিক প্রতিশ্রুতি এবং ব্যাক্তিগত দায়িত্ব বোধ জাগরনের উপায়, এদের কথা থেকে একথা ষ্পষ্ট যে, উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার বিকল্প নেই, সেটি আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্যেও সত্য। নারী ও পুরুষ উভয়কে শিক্ষা গ্রহনের হারের মধ্যে সমতা আনয়নের মাধ্যমে দেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখা সম্ভব। সাধারনত শিক্ষিত ও দক্ষরা বেশী উপার্জন করে তাই শিক্ষার মাধ্যমে এই ব্যবধান কমিয়ে আনতে হবে। পাঠ্য বইয়ের শিক্ষাকে বাস্তব জীবনে বা কর্ম জীবনের সাথে সমন্নয় করতে হবে। শিক্ষাকে আমাদের অর্থনীতি ও সমাজের সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ করে একুশ শতকের লক্ষমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে সামনে এগিয়ে নিতে হবে। এমতাবস্থায় দেশকে গোটা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষার অবদান হচ্ছে অনস্বীকার্য। তাই সঠিকভাবে প্রয়োজনমুখী ও জীবন ঘনিষ্ঠ শিক্ষা গ্রহনের মাধ্যমে টেকসই জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা সম্ভব।

রাজনৈতিক অর্থনীতি বলতে কী বোঝো

উৎপাদিত সম্পদের সুষম বণ্টন এবং মানব সমাজের কল্যাণের জন্য অর্থনৈতিক নীতি সংক্রান্ত আলোচনাই হলো রাজনৈতিক অর্থনীতি।

রাজনৈতিক অর্থনীতি বা রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি হল এবং আইন, প্রচলিত পদ্ধতি ও সরকারের সঙ্গে উৎপাদন ও ক্রয় বিক্রয়ের সম্পর্ক বিষয়ক অধ্যয়নের জন্য ব্যবহৃত প্রধান পরিভাষা।

আরো বিশদে পড়ার জন্য

CRACK – WBCS কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স – 2022 প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য

বি সন্দীপ আধ্যায় (লেখক), ড. দীপা রায় (লেখক), কে এস বালা (সম্পাদক)

FAQ | অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক ভূগোল

Q1. সামষ্টিক অর্থনীতি কাকে বলে

Ans – সামষ্টিক’-এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হল ‘Macro’। প্রাচীন গ্রিক শব্দ Macros
ইংরেজি ‘Macro ‘ শব্দটির উৎপত্তি I আভিধানিক অর্থে ‘ম্যাক্রো (Macro) শব্দটির অর্থ হল বড় বা বৃহৎ (Large) I

সামষ্টিক অর্থনীতিতে কোন বিশেষ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সতন্ত্রভাবে আলোচনা না করে দেশের অর্থব্যবথা সামগ্রিকভাবে আলোচনা করা হয় I অর্থাৎ অর্থনীতির বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে একক বা খন্ড খন্ডতাবে আংলাচনা না করে সমষ্টিগতভাবে
বিশ্লেষণ করা হয় I সামষ্টিক অর্থনীতির মূল লক্ষ্য হল অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সামগ্রিক বিশ্লেষণ।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে
Exit mobile version