Site icon prosnouttor

উপাত্ত কি, উপাত্ত কাকে বলে, তথ্য ও উপাত্ত কাকে বলে, বিন্যস্ত উপাত্ত কাকে বলে, বিন্যস্ত ও অবিন্যস্ত উপাত্ত কাকে বলে

উপাত্ত কি, উপাত্ত কাকে বলে, তথ্য ও উপাত্ত কাকে বলে, বিন্যস্ত উপাত্ত কাকে বলে, বিন্যস্ত ও অবিন্যস্ত উপাত্ত কাকে বলে

উপাত্ত কি, উপাত্ত কাকে বলে, তথ্য ও উপাত্ত কাকে বলে, বিন্যস্ত উপাত্ত কাকে বলে, বিন্যস্ত ও অবিন্যস্ত উপাত্ত কাকে বলে

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

উপাত্ত কি

একটি নির্দিষ্ট বৈষিষ্ট্যের সংখ্যাবাচক নিদিষ্ট পরিমাপকে উপাত্ত বলে। এটাকে আরো সহজভাবে বলা যায়- গণনা বা পরিমাপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যই কে বলা হয় উপাত্ত।

যেমন– ৯ম শ্রেণির ৪ জন ছাত্রের বয়স হলো ১১ বছর, ১২বছর, ১৩বছর, ১৪ বছর ৬ মাস। এ তথ্যটি উপাত্ত, কারণ এদের সংখ্যায় গণনা করা যায়। গুণবাচক ও নামবাচক তথ্য যেমন ভালো-মন্দ, ধর্ম, বর্ণ, ইত্যাদি পরিসংখ্যানের উপাত্ত নয়।

উপাত্ত কাকে বলে

নির্দিষ্ট কোন চলক বা একজাতীয় চলকের গুণগত এবং পরিমাণগত বৈশিষ্ট্য প্রকাশকারী তথ্যকেই বলা হয় উপাত্ত বা Data।

সংজ্ঞা:

পরিসংখ্যানে গণনা কিংবা পরিমাপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যকেই বলা হয় data বা উপাত্ত। উপাত্তই হল পরিসংখ্যানের মূল উপজীব্য বিষয়। সংখ্যার সাহায্যে তথ্যের উপস্থাপন করাকে বলা হয় পরিসংখ্যান; আর পরিসংখ্যানে ব্যবহৃত সেই তথ্য নির্দেশক সংখ্যাগুলোই হল উপাত্ত বা ডাটা। 

যেমন – 

উপাত্ত কত প্রকার, উপাত্ত কত প্রকার ও কি কি, উপাত্ত কত প্রকার ও কী কী

তথ্য সংগ্রহের উৎসের ভিত্তিতে উপাত্ত ২ ধরণের হয়ে থাকে।

পরিসংখ্যান উপাত্ত কত প্রকার ও কি কি

পরিসংখ্যান হলো সংখ্যাভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা, সংগঠিত করা, বিশ্লেষণ করা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এবং ব্যাখ্যা দানের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হচ্ছে পরিসংখ্যা। পরিসংখ্যান শব্দটি ল্যাটিন শব্দ ‌‌‌‍’statisticum collegium’ হতে উৎপত্তি হয়েছে।

  1. প্রাথমিক বা প্রত্যক্ষ উপাত্ত
  2. মাধ্যমিক বা পরোক্ষ উপাত্ত 

প্রাথমিক বা প্রত্যক্ষ উপাত্ত

উপাত্ত যদি উৎস থেকে সরাসরি সংগৃহীত হয়, তবে সেসব উপাত্তকে প্রাথমিক বা প্রত্যক্ষ উপাত্ত বলা হয়। এধরণের উপাত্ত ব্যবহার করা হলে গবেষণা বা পরিসংখ্যানের প্রাপ্ত ফলাফলের নির্ভরযোগ্যতা বেশি থাকে।

যেমন – বার্ষিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত ফলাফল এর উপাত্ত 

মাধ্যমিক বা পরোক্ষ উপাত্ত

সরাসরি উৎস থেকে উপাত্ত সংগ্রহ করা সম্ভব না হলে পরোক্ষ কোন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা থেকে সেসব সংগ্রহ করে কাজ করতে হয়, এধরণের উপাত্তকে মাধ্যমিক বা পরোক্ষ উপাত্ত বলা হয়ে থাকে। পরিসংখ্যান বা গবেষণায় এধরণের তথ্য ব্যবহার করা হলে প্রাপ্ত ফলাফলের নির্ভরযোগ্যতা এবং গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবার সম্ভাবনা থাকে।

যেমন – বিশ্বের বিভিন্ন শহরের তাপমাত্রা বা বৃষ্টিপাত সংশ্লিষ্ট উপাত্ত

তথ্যের বিন্যাসের উপর ভিত্তি করে পরিসংখ্যানে উপাত্ত ২ ধরণের হয়ে থাকে।

  1. বিন্যস্ত উপাত্ত
  2. অবিন্যস্ত উপাত্ত 

বিন্যস্ত উপাত্ত, বিন্যস্ত উপাত্ত কাকে বলে

সংগৃহীত উপাত্তকে কোন বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিন্যাস করা হলে সেধরণের উপাত্তকে বিন্যস্ত উপাত্ত বলা হয়ে থাকে। এই বিন্যাস মানের ভিত্তিতে উর্ধ্বক্রম বা অধক্রম, কিংবা অদ্যাক্ষর অনুসারে হতে পারে। বিন্যস্ত উপাদানের সাহায্যে কাজ করা সহজ হয়, ভুলের সম্ভাবনা কম থাকে।  

যেমন – ৫ জন শিক্ষার্থীদের ওজন যথাক্রমে, ৪৯, ৫২, ৫৫, ৫৭, ৬১ কেজি।

অবিন্যস্ত উপাত্ত, অবিন্যস্ত উপাত্ত কাকে বলে

সংগৃহীত উপাত্ত কোন বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বিন্যাস করা সম্ভব না করা হলে, অর্থাৎ এলোমেলো থাকলে সেসব উপাত্তকে  অবিন্যস্ত উপাত্ত বলা হয়ে থাকে।

যেমন – ৫ জন শিক্ষার্থীদের ওজন যথাক্রমে, ৫২, ৫৭, ৫৫, ৬১, ৪৯ কেজি।

কাজের সুবিদ্ধার্থে সাধারণত অবিন্যস্ত উপাত্তকে কোন না কোন বৈশিষ্টের উপর ভিত্তি করে বিন্যস্ত করে নেয়া হয়। 

উপাত্তের বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে উপাত্তকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়।

  1. গুণবাচক উপাত্ত
  2. পরিমাণবাচক উপাত্ত 

গুণবাচক উপাত্ত

কোন গবেষণা বা পর্যবেক্ষণে নির্দিষ্ট কোন বৈশিষ্ট্য বা গুণের উপস্থিতি, প্রকৃতি, অবস্থাকে পর্যবেক্ষণ করে উপাত্ত তৈরি করা হয়, সেসব উপাত্তকে বলা হয় গুণবাচক উপাত্ত।

যেমন – মানব দেহে ওষুধ, টীকা বা ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা।

পরিমাণবাচক উপাত্ত

পরিমাপযোগ্য তথ্যের সাহায্যে প্রাপ্ত পরিমাণ নির্দেশক উপাত্তকে বলা হয়, পরিমাণবাচক উপাত্ত।

যেমন –  জরিপ, মানুষের বয়স, আয়, নম্বর ইত্যাদি।

তথ্য ও উপাত্ত কাকে বলে, তথ্য উপাত্ত কাকে বলে

ডেটা বা তথ্য হলো তথ্যের ক্ষুদ্রতম একক যা এলোমেলো বা অগোছালো কয়েকটি অক্ষর, সংখ্যা, চিহ্ন হতে পারে।

ডেটাকে (Data) প্রক্রিয়াকরণ করে যে অর্থবহ অবস্থায় পাওয়া যায়, তাকে তথ্য (Information) বলে। তথ্য হল প্রক্রিয়াকরণের পরের অবস্থা, যা আউটপুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

তথ্যকে প্রক্রিয়াকৃত, সংগঠিত, সুনির্দিষ্ট এবং কাঠামোগত উপাত্তের রূপ হিসাবে বর্ণনা করা হয়। এটি নির্দিষ্ট অর্থ প্রদান করে এবং ডেটার নির্ভরযোগ্যতা উন্নত করে। যে কোন তথ্য বা ইনফরমেশন থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া যায়। তথ্য সম্পূর্ণভাবে ডেটার উপর নির্ভরশীল এবং ডেটা ছাড়া তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করা যায় না।

তথ্য ও উপাত্তের মধ্যে পার্থক্য

১. সুনির্দিষ্ট ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত কাঁচামাল সমূহকে ডেটা বা উপাত্ত বলে। অন্যদিকে ডেটাকে প্রক্রিয়াকরণ করে যে অর্থবহ ফলাফল পাওয়া যায়, তাকে তথ্য বলে। 

২. ডেটা হচ্ছে প্রক্রিয়াকরণের পূর্বের অবস্থা। তথ্য হচ্ছে প্রক্রিয়াকরণের পরের অবস্থা।

৩. উপাত্ত সরাসরি ব্যবহার করা যায় না। অন্যদিকে তথ্য সরাসরি ব্যবহার করা যায়।

৪. উপাত্ত দ্বারা যে কোন বিষয়ে পুরোপুরি ভাবার্থ প্রকাশ পায় না। অন্যদিকে তথ্য দ্বারা যে কোন বিষয়ে পুরোপুরি ভাবার্থ প্রকাশ পায়।

৫. উপাত্ত তথ্যের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে ডেটা প্রক্রিয়াকরণের পর তথ্যে রূপান্তরিত হয়।

৬. সব উপাত্তই তথ্য নয়। অন্যদিকে সব তথ্যই উপাত্ত হতে পারে।

৭. উপাত্ত রূপান্তরের সময় সমস্ত অপ্রাসঙ্গিক তথ্য এবং পরিসংখ্যান বাছাই করা হয়। কিন্তু তথ্য সবসময় তার প্রয়োজনীয়তা এবং প্রত্যাশার জন্য সুনির্দিষ্ট। 

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | উপাত্ত

Q1. উপাত্ত কী

উত্তর : তথ্য বা ঘটনা নির্দেশক সংখ্যাগুলো হলো পরিসংখ্যানের উপাত্ত।

Q2. সংগৃহীত উপাত্তকে কোনো বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সাজানো হলে তাকে কী বলে?

উত্তর : সংগৃহীত উপাত্তকে কোনো বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সাজানো হলে তাকে বিন্যস্ত উপাত্ত বলে।

Q3. ৬৯, ৬২, ৪১, ৪৫ উপাত্তগুলো কোন ধরনের উপাত্ত?

উত্তর : অবিন্যস্ত উপাত্ত।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে
Exit mobile version