ভূত্বক কী
বায়ুমণ্ডলের অভ্যন্তরীণ উত্তপ্ত তরল পদার্থ শীতল হয়ে দুধের সরের মতো এক ধরনের আবরণ সৃষ্টি করে। অভ্যন্তরীণ তাপ ও ক্রমাগত সংকোচনের প্রভাবে পাতলা আবরণটির উপরিভাগ কুঁকড়ে উঁচুনিচু হয়ে কার্বন ভূমিরূপ সৃষ্টি করে। ইহা ভূত্বক নামে পরিচিত।
ভূত্বক হলো পৃথিবীর সমগ্র প্রাণিজগতের আবাসস্থল। এখানে সভ্যতার যাবতীয় বস্তু প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যার কারণে ভূত্বক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এ ভূত্বকের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। এ স্তরসমূহ বিভিন্ন উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত। ভূত্বক বা অশ্বমণ্ডলের প্রধান উপাদান হলো সিলিকন, অ্যালুমিনিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম।
পৃথিবীর সবচেয়ে উপরের কঠিন অংশকে ভূত্বক বলা হয়। ভূত্বকের প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলি হল:-
- মহাদেশ ও মহাসাগর অনুসারে ভূত্বককে দুই ভাগে ভাগ করা হয়, যথা – মহাদেশীয় ভূত্বক ও মহাসাগরীয় ভূত্বক।
- মহাদেশীয় ভূত্বকে প্রধানত সিলিকা(SI) ও অ্যালুমিনিয়াম (AL) খনিজের প্রাধান্য দেখা যায় বলে, একে সিয়াল (SIAL) বলা হয়।
- মহাসাগরীয় ভূত্বকে প্রধানত সিলিকা (SI) ও ম্যাগনেশিয়াম (MG) খনিজের প্রাধান্য দেখা যায় বলে, একে সিমা (SIMA) বলা হয়।
- ভূত্বকের গড় গভীরতা প্রায় ৩০ কিমি।
- মহাদেশীয় ভূত্বক গুলি গ্রানাইট ও মহাসাগরীয় ভূত্বক গুলি ব্যাসল্ট জাতীয় শিলা দ্বারা গঠিত।
- ভূত্বক প্রধানত অক্সিজেন ও সিলিকা জাতীয় উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত।
ভূত্বক কাকে বলে
পৃথিবীর উপরিভাগে বিভিন্ন শিলা দ্বারা গঠিত কঠিন এবং পাতলা আবরণকে ভূত্বক বলে।
প্রখ্যাত ভূগোলবিদ এ. এন. স্ট্রেহলার এর মতে, “Outmost an thinnest of the earth zones is the earth crust.” অর্থাৎ, পৃথিবীর উপরিভাগের পাতলা আবরণই ভূত্বক। পৃথিবীর অন্যান্য যেকোনো অংশের চেয়ে ভূত্বক জীবজগতের নিকট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কেননা এটি অশ্মমণ্ডলের উপরিভাগ। এখানে প্রাণিজগৎ বসবাস করে এবং বিভিন্ন উদ্ভিদ ও তৃণাদি জন্ম নেয়। অর্থাৎ এখানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থলসহ সার্বিক কর্মকাণ্ডের বিস্তার ঘটে।
মহাদেশীয় ভূত্বক কোন শিলা দ্বারা গঠিত
মহাদেশীয় ভূত্বকে প্রধানত সিলিকা(SI) ও অ্যালুমিনিয়াম (AL) খনিজের প্রাধান্য দেখা যায় বলে, একে সিয়াল (SIAL) বলা হয়।
ভূত্বক কি দিয়ে গঠিত, ভূত্বকের উপাদান কি কি
বিভিন্ন উপাদানের সমন্বয়ে ভূত্বক গঠিত। ভূত্বকের বিভিন্ন স্থানের উপাদানগুলোর মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। খনিজ পদার্থ প্রাকৃতিক উপায়ে একাধিক পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত হয়। আবার কতিপয় খনিজ পদার্থ একত্রে সংমিশ্রিত হয়ে গঠিত হয় শিলা।
ভূত্বকের কোথাও হালকা আবার কোথাও তুলনামূলক ভারী শিলা রয়েছে। ভূত্বক গঠনে সর্বমোট আবিষ্কৃত মৌলিক পদার্থের মধ্যে ২০টি বিশেষ ভূমিকা পালন করলেও এর মধ্যে অংশগ্রহণকারী ৮টি মৌলিক পদার্থ বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলো শতকরা ৯৮% এরও অধিক বিদ্যমান।
উপাদানগুলো হলো :-
- অক্সিজেন (৪৬.৪৬%)
- সিলিকন (২৭.৬১%)
- অ্যালুমিনিয়াম (৮.০৭%)
- সোডিয়াম (২.৭৫%)
- লৌহ (৫.০৬%)
- পটাসিয়াম (২.৫৮%)
- ক্যালসিয়াম (৩.৬৪%)
- ম্যাগনেসিয়াম (২.০৭%) প্রভৃতি।
এ ৮টি উপাদানের মধ্যে অক্সিজেন ও সিলিকনের পরিমাণ শতকরা ৭৪.০৭%। বাকি ২৫.৯৩% অন্যান্য উপাদানের সংমিশ্রণে গঠিত।
ভূত্বক গঠনকারী এ ৮টি উপাদান ছাড়াও অন্যান্য খনিজের সাথে স্বর্ণ, রৌপ্য, দস্তা, তামা, টিন এবং বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থ ইউরোনিয়াম, রেডিয়াম, থোরিয়াম প্রভৃতি সহায়ক। এসব উপাদানগুলোর পরিমাণ অতি সামান্য।
ভূত্বকের গঠন
নিম্নে ভূত্বকের গঠনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো।
১. উপরের লঘু শিলা
এটি ভূত্বকের ঊর্ধ্বস্তর; যা সর্বোপরি হালকা ও পাতলা আবরণযুক্ত এবং সমগ্র পৃথিবীর প্রায় ০.৫ অংশ। এ স্তরে গ্রানাইট শিলার পরিমাণ অধিক বলে একে ‘গ্রানাইট স্তর’ও বলে। গ্রানাইট স্তরের উপরিভাগের খুব সামান্য অংশ পাললিক শিলা দ্বারা গঠিত হয়। এ স্তরেই প্রাণিজগৎ বসবাস করে এবং উদ্ভিদ ও তৃণাদি জন্মে। এ স্তরের আপেক্ষিক গুরুত্ব ২.৭৫ – ২.৯০ পর্যন্ত। এখানে সিলিকন (Si) এবং অ্যালুমিনিয়াম (Al) এর পরিমাণ অধিক বলে অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানী সুয়েস এ স্তরকে সিয়াল (SiAl) স্তর নামে নামকরণ করেছেন।
সিয়াল স্তরের গভীরতা বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন হলেও গড় গভীরতা প্রায় ১২.৮ কি. মি.। ভারত ও আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে সামান্য গ্রানাইট স্তর রয়েছে কিন্তু প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে তা একবারেই অনুপস্থিত। মহাদেশগুলো মূলত এ জাতীয় শিলা দ্বারা গঠিত। এ শিলান্তরের মধ্যে দিয়ে ভূমিকম্পের লম্বালম্বি তরঙ্গ প্রতি সেকেন্ডে ৬.২ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হয়।
২. মধ্যবর্তী গুরু শিলা
ভূত্বকের সিয়াল স্তরের নিম্নে এ স্তরটি অবস্থিত। এ স্তরটি ব্যাসল্ট জাতীয় শিলা দিয়ে গঠিত বলে একে ব্যাসন্ট স্তরও বলা হয়। এ স্তরে সিলিকন (Si) এবং ম্যাগনেসিয়াম (Ma) এর পরিমাণ অধিক হওয়ার কারণে বিজ্ঞানী সুয়েস এ স্তরকে ‘সিমা (SiMa) স্তর’ বলে নামকরণ করেছেন।
মহাদেশগুলোর তলদেশে, যেখানে গ্রানাইট শিলাস্তর শেষ, সেখান হতেই এ শিলান্তর দেখা যায়। সিমান্তর বেশ পুরু; প্রায় সমগ্র পৃথিবীর ৮৩%। গভীরতা ২০ কিলোমিটার থেকে ৩২ কিলোমিটার। এ স্তরের আপেক্ষিক গুরুত্ব ২.৯৫ থেকে ৩.৪ পর্যন্ত। এখানে আপেক্ষিক গুরুত্ব বেশি হওয়ায় ভূকম্পন তরঙ্গ প্রতি সেকেন্ডে ৭ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হয়। মৃত্বকের উপরের লঘু শিলা ও মধ্যবর্তী গুরু শিলান্বয় যে সীমারেখায় মিলিত হয়, তা কনরাড বিযুক্তি রেখা নামে পরিচিত।
৩. নিচের অলিভিন জাতীয় শিলা
ভূত্বকের সর্বনিম্ন স্তরটি এ জাতীয় শিলায় অন্তর্ভুক্ত। এ শিলায় অলিভিন নামের খনিজ পদার্থ প্রচুর পরিমাণে থাকে বলে এ স্তরটিকে অলিভিন স্তর বলে। অলিভিন খনিজটি মূলত ম্যাগনেসিয়াম (Mg), সিলিকন (Si) এবং লৌহ (Fe) এর সমন্বয়ে গঠিত।
তবে ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ অর্ধেকের বেশি। এ স্তরের আপেক্ষিক গুরুত্ব ৩.৩। এখানে ভূকম্পীয় তরঙ্গের গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডের ৮ কি. মি. বেগে প্রবাহিত হয়।
ভূত্বকের গড় গভীরতা কত
ভূত্বকের গড় বেধ প্রায় 15 কিমি (9 মাইল) থেকে 20 কিমি (12 মাইল)।
যেহেতু মহাদেশীয় এবং মহাসাগরীয় ভূত্বক উভয়ই নীচের ম্যান্টেলের চেয়ে কম ঘন, উভয় ধরনের ভূত্বক ম্যান্টলের উপর “ভাসতে” থাকে। ঘন, কম ঘন মহাদেশীয় ভূত্বকের (আইসোস্ট্যাসির একটি উদাহরণ) বৃহত্তর উচ্ছ্বাসের কারণে মহাদেশীয় ভূত্বকের পৃষ্ঠটি মহাসাগরীয় ভূত্বকের পৃষ্ঠের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। ফলস্বরূপ, মহাদেশগুলি গভীর সমুদ্র অববাহিকা দ্বারা বেষ্টিত উচ্চ ভূমি গঠন করে।
পৃথিবীর ভূত্বক কয়টি প্লেট দ্বারা গঠিত
ভূতাত্ত্বিক মতবাদ অনুসারে ভূত্বক প্রধানত সাতটি বড় ও কয়েকটি ক্ষুদ্র গতিশীল কঠিন প্লেট দ্বারা গঠিত, যেগুলি নিম্নস্থ ভ্রাম্যমান উষ্ণ গুরুমন্ডলীয় পদার্থের ওপর ভাসছে। প্লেটের বিচলন (movement) ও পারস্পরিক ক্রিয়া ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত, পর্বত সৃষ্টি প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য ভূতাত্ত্বিক ঘটনাবলীর নিয়ন্ত্রক বলে ধারণা করা হয়। তিন ধরনের পারস্পরিক প্লেট সীমানার কথা জানা যায়। যথা: সমকেন্দ্রাভিমুখী সীমা, অপসারী সীমা ও পরিবর্তক চ্যুতি সীমা।
- সমকেন্দ্রাভিমুখী সীমা যখন একে অপরের দিকে অগ্রসরমান দুটি প্লেট কেন্দ্রাভিমুখী হয়ে অবশেষে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তখন একটি প্লেট অপরটির নিচে চাপা পড়ে। এই ধরনের প্লেট সংঘর্ষের ফলে পর্বতমালার সৃষ্টি হয় এবং প্লেট প্রান্তিকের আশেপাশে আগ্নেয়গিরির কর্মকান্ড সংঘটিত হয়।
- অপসারী সীমা এই ক্ষেত্রে দুটি প্লেট একে অপরের থেকে সরে যেতে থাকে। এই ধরনের প্লেট সীমানার ফলে নতুন সমুদ্র তলদেশের এবং সামুদ্রিক আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয়।
- পরিবর্তক চ্যুতি সীমা যখন দুটি প্লেট একে অপরকে অতিক্রম করে যায়, তখন তাকে পরিবর্তক চ্যুতি সীমা বলে। তিন ধরনের প্লেট বিচলনেই ভূমিকম্প সংঘটিত হয়।
টেকটনিক প্লেটে তিনটি বিভাগ রয়েছে- মেজর প্লেট, মাইনর প্লেট, মাইক্রো প্লেট। মেজর প্লেট নয়টা যথা-
- নর্থ আমেরিকান ( North American)
- প্যাসিফিক( Pacific)
- ইউরেশিয়ান( Eurasian)
- আফ্রিকান ( African)
- ইন্দো- অস্ট্রেলিয়ান (Indo- Australian)
- অস্ট্রেলিয়ান (Australian)
- ইন্ডিয়ান(Indian)
- সাউথ আমেরিকান( South American)
- এন্টার্কটিক (Antarctic) প্লেট।
এর পরেও আবার মাইনর আর মাইক্রো প্লেট রয়েছে অনেক।
ভূপৃষ্ঠ কি
ভূপৃষ্ঠ বা ক্রাস্টটি পৃথিবীর বাইরের স্তর এবং এটি কোর এবং ম্যান্টলের তুলনায় খুব পাতলা। এটি আগ্নেয়, পলি এবং রূপান্তরিত শিলা দ্বারা গঠিত। দুটি ধরণের ক্রাস্ট বিদ্যমান যেমন সমুদ্রীয় এবং মহাদেশীয়। ম্যান্টলটি ভূত্বকের নীচের অংশে অবস্থিত এবং এটি 2900 কিলোমিটার পুরু।
ভূপৃষ্ঠ কাকে বলে
ভূপৃষ্ঠ হল পৃথিবীর বাইরের স্তর, যার মধ্যে ভূমি এবং জল উভয়ই রয়েছে। এটি শিলা, মাটি, জল এবং বরফ সহ বিভিন্ন ধরণের উপকরণ দিয়ে তৈরি৷ ভূপৃষ্ঠ বেশিরভাগ শিলা দ্বারা গঠিত, যা গ্রানাইট, ব্যাসাল্ট এবং বেলেপাথরের মতো খনিজ দ্বারা গঠিত৷ মাটিও পৃথিবীর পৃষ্ঠে বিদ্যমান, এবং এটি জৈব এবং অজৈব পদার্থের মিশ্রণে গঠিত, যেমন মৃত গাছপালা এবং প্রাণী, শিলা এবং খনিজ পদার্থ।
জলও পৃথিবীর পৃষ্ঠের একটি প্রধান উপাদান, প্রায় 71% পৃথিবীর উপরিভাগ মহাসাগর, সমুদ্র এবং জলের অন্যান্য সংস্থা দ্বারা আবৃত। বরফ পৃথিবীর পৃষ্ঠে হিমবাহ, বরফের টুপি এবং বরফের শীট আকারেও বিদ্যমান। এই উপাদানগুলি ছাড়াও, পৃথিবীর পৃষ্ঠে বিভিন্ন জীবন্ত প্রাণী যেমন উদ্ভিদ, প্রাণী এবং অণুজীব রয়েছে। মানুষের তৈরি কাঠামো এবং বৈশিষ্ট্য যেমন শহর, রাস্তা এবং ভবন।
আরো অন্যান্য সরকারি স্কিম সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
FAQ | ভূত্বক
Q1. ভূপৃষ্ঠে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়
Ans – অক্সিজেন। অক্সিজেন বা অম্লজান একটি রাসায়নিক মৌল, এর প্রতীক O ও পারমাণবিক সংখ্যা ৮।
Q2. ভূপৃষ্ঠের ধীর পরিবর্তন কাকে বলে
Ans – আমরা জানি পৃথিবীর আকস্মিক পরিবর্তনের জন্য তিনটি প্রধান ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। তা হলো- পর্বত, মালভূমি এবং সমভূমি। এসব ভূমিরূপ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক শক্তি যেমন- সূর্যতাপ, বায়ু, বৃষ্টি, নদী প্রভৃতি দ্বারা খুব ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে নতুন ভূমিরূপে পরিণত হয়। এই পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে ধীর পরিবর্তন বলে।
Q3. ভূপৃষ্ঠের মোট পানির শতকরা কত ভাগ মিঠা পানি
Ans – পৃথিবীর মোট জলের প্রায় 2.5% হল মিষ্টি জল। পৃথিবীর বেশিরভাগ জল, প্রায় 97.5%, সমুদ্র এবং সমুদ্রের লোনা জলের আকারে পাওয়া যায়। মিঠা পানি বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্র এবং মানুষের ক্রিয়াকলাপের জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় সম্পদ এবং এতে হিমবাহ, নদী, হ্রদ, ভূগর্ভস্থ জল এবং বায়ুমণ্ডলীয় জলীয় বাষ্পের জল অন্তর্ভুক্ত। যাইহোক, এই মিঠা পানির সামান্য অংশই মানুষের ব্যবহারের জন্য সহজলভ্য।
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন।