Site icon prosnouttor

লখার একুশে সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

লখার একুশে সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

লখার একুশে সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

লখার একুশে গল্পের লেখক কে

উত্তর: লখার একুশে গল্পের লেখক আবুবকর সিদ্দিক

লখার একুশে গল্পের মূলভাব, লখার একুশে গল্পের বিষয়বস্তু

উত্তর: লখার একুশে’ একটি দেশপ্রেমের চেতনা সৃষ্টিমূলক গল্প। লখা বাক্ প্রতিবন্ধী কিশোর বালক কিন্তু শহিদদের প্রতি তার হৃদয়ে ছিল এক অনন্য শ্রদ্ধাবোধ। তাই শীতের কুয়াশা আর সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে সে মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে গাছে উঠে ফুল সংগ্রহ করার জন্য। শ্রদ্ধা জানানোর তীব্র বাসনা থেকে মনের জোরে অতি কষ্টে সে পেড়ে আনে রক্ত রাঙা লাল ফুল। শ্রদ্ধা নিবেদনে লখা ও জমির মিয়ার দেশপ্রেম লাখো বাঙালির মানসিক অনুভ‚তির প্রতিনিধিত্ব করে।

লখার একুশে কি ধরনের রচনা, লখার একুশে কোন ধরনের গল্প

উত্তর: রূপকধর্মী এই গল্পটিতে একুশে ফেব্রুয়ারি অবিনাশী প্রভাবের কথা বলা হয়েছে। এ গল্পে অতি সাধারণ এক কিশোর লখা। সে কথা বলতে পারে না। কিন্তু তাতে কীই-বা আসে-যায়। লখা উঁচু ডালে উঠে লাল ফুল সংগ্রহ করে শহিদ মিনারে যায় শ্রদ্ধা নিবেদন করতে। কথা বলতে না পারলেও তার মুখ দিয়ে আঁ আঁ আঁ আঁ ধ্বনির মধ্য দিয়েই বেরিয়ে আসে বাঙ্গালির গর্বের উচ্চারণ -“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি”।

লখার একুশে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন, লখার একুশে MCQ, লখার একুশে গল্পের বহুনির্বাচনী প্রশ্ন, লখার একুশে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর

কী দেখলে লখার বুক কেঁপে ওঠে ভয়ে?

ক. ছায়া খ. শিয়াল

গ. অন্ধকার ঘ. মূর্তি

সঠিক উত্তর:- ক. ছায়া

লখা ভোররাতে কার পাশ হতে উঠে পড়ল?

ক. বোনের খ. ভাইয়ের

গ. মায়ের ঘ. বাবার

সঠিক উত্তর:- গ. মায়ের

লখার মা কেমন করে ঘুমাচ্ছিলেন?

ক. চোখ খোলা রেখে

খ. চোখ বন্ধ করে

গ. চিৎ হয়ে

ঘ. মুখ হা করে

সঠিক উত্তর:- ঘ. মুখ হা করে

কার গায়ে জ্বর উঠে বুকে কাশি বসে যায়?

ক. লখার বাবার খ. মিছিলের জনতার

গ. লখার মায়ের ঘ. লখার

সঠিক উত্তর:- ঘ. লখার

রাতে হিম লেগে বরফের মতো ঠান্ডা হয় কী?

ক. লখার বালিশ খ. লখার শরীর

গ. লখার কাপড় ঘ. লখার বিছানা

সঠিক উত্তর:- ঘ. লখার বিছানা

লখা কোথায় ঘুমায়?

ক. রেললাইনে খ. খাদে

গ. ফুটপাতে ঘ. বস্তিতে

সঠিক উত্তর:- গ. ফুটপাতে

প্যান্ট আধা খসা অবস্থায় লখা কী করল?

ক. গাছে উঠছিল খ. পড়ে গিয়েছিল

গ. হাঁটতে লাগল ঘ. দৌড়াতে লাগল

সঠিক উত্তর:- ঘ. দৌড়াতে লাগল

লখার বিছানা কেমন?

ক. শানের খ. কঠিন শানের

গ. কাঠের ঘ. পাথরের

সঠিক উত্তর:- খ. কঠিন শানের

লখার দিন কাটে কী কাজ করে?

ক. কাগজ পুড়িয়ে

খ. কাগজ কুড়িয়ে

গ. খেলাধুলা করে

ঘ. পড়াশোনা করে

সঠিক উত্তর:- খ. কাগজ কুড়িয়ে

রাতে লখা মায়ের পাশে শুয়ে কিসের কষ্ট ভুলে যায়?

ক. পিপাসার খ. ক্ষুধার

গ. গরমের ঘ. শীতের

সঠিক উত্তর:- খ. ক্ষুধার

লখার একুশে গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর, লখার একুশে সৃজনশীল প্রশ্ন

সৃজনশীল প্রশ্ন ১: ইশতিয়াক বৃত্তি নিয়ে জাপানে পড়ালেখা করতে চলে যাওয়ায় এবারের শহীদ দিবস উদ্‌যাপন করতে পারেনি। অথচ প্রতিবছর সে প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণ করত—বক্তৃতা, আবৃত্তি, আলোচনা শুনত, সে কথা মনে করে তার চোখ জলে ভরে আসে। মনে মনে অনেক কিছু করার পরিকল্পনা করেছিল। অবশেষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও তার ইতিহাস সহপাঠীদের কাছে তুলে ধরে ইশতিয়াক।

লখা রাতে কোথায় ঘুমায়?

উত্তর : লখা রাতে ফুটপাতের কঠিন শানের ওপর ঘুমায়।

‘জিতে গেছি আমি। গর্বে বুক ফুলে ওঠে লখার।’ কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর : ‘জিতে গেছি আমি। গর্বে বুক ফুলে ওঠে লখার।’ কথাটি দ্বারা লখার ফুল সংগ্রহ করতে সমর্থ হওয়াকে বোঝানো হয়েছে।

আবুবকর সিদ্দিক রচিত ‘লখার একুশে’ গল্পের লখা একুশের প্রভাতে শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে চায়। তাই সে ভোর রাতে ঘুম থেকে উঠে উঁচু রেললাইন, মস্ত নিচু খাদ সাবধানে পেরিয়ে, পায়ে কাঁটা ঢোকার কষ্ট, ঠাণ্ডা, কাশি, খেঁকশিয়ালের ভয় উপেক্ষা করে নির্দিষ্ট ফুলগাছটির কাছে গিয়ে পৌঁছে। তারপর কাঠবিড়ালির বাচ্চার মতো চড়চড় করে গাছে উঠে মগ ডাল থেকে এক থোকা টুকটুকে লাল ফুল পেড়ে নিয়ে যখন মাটিতে নেমে এলো, তখন দেখতে পেল তার সারা শরীর জ্বলে যাচ্ছে। কনুই ও বুকে চটচটে ঠাণ্ডা তাজা রক্ত। গাছের ডালপালার কাঁটার আঁচড়ে তার গা-হাত-পা ছিঁড়ে গেছে। কিন্তু তার পরও সে ফুল পাড়তে সমর্থ হয়েছে। তাই বিজয়ের আনন্দে লখা উপর্যুক্ত মন্তব্যটি করে।

‘লখা ও ইশতিয়াক দুজনের কাছে শহীদ দিবস ভিন্ন আঙ্গিকে এসেছে।’ ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : লখা প্রত্যক্ষ ও ইশতিয়াক পরোক্ষভাবে শহীদদের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বলে ‘ভিন্ন আঙ্গিক’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।

‘লখার একুশে’ গল্পের লখা বাকপ্রতিবন্ধী এক পথের কিশোর। পিতৃহীন লখা রাতে ফুটপাতের কঠিন শানে ঘুমায়। তার ভিখারি মা দিনভর ভিক্ষা করে, আর তার দিন কাটে বন্ধুদের সঙ্গে মারামারি করে, কাগজ কুড়িয়ে, খাবারের দোকানের এঁটোপাতা চেটে। তার পরও এই লখার সাধ জাগে ভাষাশহীদদের আত্মার প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে। তাই শীতের তীব্রতা, মনের ভয় উপেক্ষা করে, উঁচু রেললাইন, মস্ত খাদ পেরিয়ে রাতের অন্ধকারে সে জঙ্গলের ভেতরের বড় গাছে উঠে এক থোকা রক্ত লাল ফুল সংগ্রহ করে। শত শত মানুষের ভিড়ের মধ্যে খুদে, টোকাই লখাকে আলাদাভাবে চেনা যাচ্ছিল, তার গাঢ় কালো উদাম শরীরটাকে দেখে। সবাই যখন গলা মিলিয়ে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?’ গানটি গাইছিল, তখন বোবা বলে তার গলা দিয়ে শুধু আঁ আঁ আঁ আঁ শব্দ বের হচ্ছিল।

অন্যদিকে উদ্দীপকের ইশতিয়াক বিদেশে থাকার কারণে সশরীরে শহীদ মিনারে যেতে পারবে না বলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং তার ইতিহাস সহপাঠীদের কাছে তুলে ধরার পরিকল্পনা করে। উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে শহীদ দিবস লখা ও ইশতিয়াকের কাছে ভিন্ন আঙ্গিকে এসেছে।

‘ইশতিয়াকের শহীদ দিবস উদ্‌যাপনের আকাঙ্ক্ষা লখার শহীদ দিবস উদ্‌যাপনের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।’ বিশেষণ করো।

উত্তর : ভাষা আন্দোলনের অবিনাশী প্রভাবের জন্য ইশতিয়াকের শহীদ দিবস উদ্‌যাপনের আকাঙ্ক্ষা লখার শহীদ দিবস উদ্‌যাপনের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন বলে আমি মনে করি।

‘লখার একুশে’ গল্পের লখা অতিসাধারণ এক কিশোর। সে কথা বলতে পারে না, সারা দিন পথে পথে ঘোরে, মারামারি করে দিন কাটায়, রাতে ভিখারি মায়ের পাশে শুলে খিদের কথা ভুলে যায়। এই বোবা কিশোরের অন্তরেও দেশপ্রেম ছিল। তাই ভাষাশহীদদের প্রতি শহীদ মিনারে গিয়ে আর সবার মতো সে শ্রদ্ধা জানাতে চায়। সে জন্য অনেক কষ্টে ফুল সংগ্রহ করে কুয়াশা ঢাকা শীতের ভোরে চাদর, কোট, সোয়েটার পরিহিত লোকের মিছিলের সঙ্গে সেও এগিয়ে যায়। তার খালি গা আর দেহের কালো রং দেখে তাকে সহজেই সবার থেকে আলাদা করা যাচ্ছিল। কিন্তু সব কিছুকে সে উপেক্ষা করে শহীদ মিনারের দিকে এগিয়ে যায় বোবা কণ্ঠে আঁ আঁ করতে করতে।

উদ্দীপকের ইশতিয়াকও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাত্পর্য পরোক্ষভাবে তার সহপাঠীদের কাছে তুলে ধরার পরিকল্পনা করে।

উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে শহীদ দিবস উদ্‌যাপনের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন উভয়ের মধ্যেই ঘটেছে।

সৃজনশীল প্রশ্ন ২: আজ মহান একুশে ফেব্র“য়ারি। তোমরা নিশ্চয়ই আজ শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে শহিদ মিনারে উপস্থিত হয়েছ। আজ তোমাদের সাথে শামিল হওয়ার জন্য দূর দেশে বসে মন কাঁদছে আমারও। ইতি -তোমার বন্ধু, হাসান

কী দেখলে বুক কাঁপে লখার?

উত্তর : ছায়া দেখলে বুক কাঁপে লখার।

লখার দিন কাটে কীভাবে?

উত্তর : লখার দিন কাটে নানারকম খেলে, বন্ধুদের সাথে মারামারি করে আর দুষ্টুমি করে।
লখার মা সকাল হলেই ভিক্ষা করতে বেরিয়ে যায়। লখার দিন কাটে গুলি খেলে, ছেঁড়া কাগজ কুড়িয়ে, বন্ধুদের সঙ্গে মারামারি করে আর খাবারের দোকানের এঁটোপাতা চেটে। এরপর খিদে পেটে নিয়ে যখন ফুটপাতের কঠিন শানে মায়ের পাশে ঘুমাতে যায় তখন সে খিদের কষ্ট ভুলে যায়। এভাবে অনাহারে-অর্ধাহারে লখার দিন কাটে।

হাসানের আবেগের মধ্যে লখার আবেগের প্রতিফলন কীভাবে ঘটেছে ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : হাসানের শহিদের স্মরণে শহিদ বেদিতে ফুল দেবার আবেগের মধ্য দিয়ে লখার আবেগের প্রতিফলন ঘটেছে।
‘লখার একুশে’ গল্পে লখা একটি বাক্প্রতিবন্ধী টোকাই ছেলে। ফুল কেনার সামর্থ্য না থাকলেও সে অতি কষ্ট করে ফুল সংগ্রহ করে। শীতের কষ্ট, সাপের ভয়, কাঁটার আঘাত সব সহ্য করে সে ফুল সংগ্রহ করে। তারপর সে ফুল নিয়ে প্রভাতফেরিতে সবার সাথে অংশগ্রহণ করে। সবার সাথে গেয়ে ওঠে আঁ আঁ আঁ আঁ (আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো) এতে সে আত্মতৃপ্তি পায় শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারার আনন্দে।
উদ্দীপকের হাসান দূর দেশে থাকায় সে লখার মতো সরাসরি শহিদ মিনারে ফুল দিতে পারে না। সে কারণে অতীত স্মৃতির কথা মনে করে তার মন কেঁদে ওঠে। তাই সে বন্ধুর কাছে পত্র লিখেছে। আর এভাবেই একুশে ফেব্র“য়ারি উদ্যাপনের চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে লখা ও হাসানের আবেগের মধ্যে। হাসানের শহিদ দিবস উদ্যাপনের আবেগের মধ্য দিয়ে লখার শহিদ দিবস উদ্যাপনের আবেগই প্রকাশ পায়।

“লখা ও হাসানের মতো মানুষের আবেগই শহিদদের যুগ যুগ ধরে বাঁচিয়ে রাখবে।” মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।

উত্তর : ‘লখা ও হাসানের মতো মানুষের আবেগই শহিদদের যুগ যুগ ধরে বাঁচিয়ে রাখবে’এ উক্তিটি যথার্থ।
‘লখার একুশে’ গল্পে লখার মাঝে আমরা অমর শহিদদের প্রতি হৃদয় নিংড়ানো একুশের আবেগ দেখতে পাই। সে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে, একুশে ফেব্র“য়ারির আগের রাতে ফুল সংগ্রহের জন্য অসহ্য কষ্ট সহ্য করে এবং শহিদ মিনারে গিয়ে ফুল দেয়। লখা ‘আঁ আঁ আঁ আঁ’ করে সবার সঙ্গে গলা মিলিয়ে ভাষা শহিদদের স্মরণ করে। অর্থাৎ লখা নিজে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শহিদ দিবস উদ্যাপন করছে। অন্যদিকে দূর দেশ থেকে হাসান তার বন্ধুকে ভাষা শহিদের প্রতি আবেগ প্রকাশ করেছে।
বন্ধুদের সাথে মারামারি করে হাসান দূর দেশে থাকার কারণে বন্ধুদের সাথে শহিদ মিনারে গিয়ে ফুল দিয়ে একুশে ফেব্র“য়ারি পালন করতে পারবে না। কিন্তু একুশে ফেব্র“য়ারি দিনটি উদ্যাপনের জন্য মন ব্যাকুল হয়ে উঠেছিল।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায় যে, ‘লখা ও হাসানের মতো মানুষের আবেগ শহিদদের যুগ যুগ ধরে বাঁচিয়ে রাখবে’।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩: মা-মরা মেয়ে মিনু। বাবা জন্মের আগেই মারা গেছে। সে মানুষ হচ্ছে এক দূরসম্পর্কের পিসিমার বাড়িতে। বয়স মাত্র দশ, কিন্তু এই বয়সেই সবরকম কাজ করতে পারে সে। সবরকম কাজই করতে হয়। লােকে অবশ্য বলে যােগেন বসাক মহৎ লােক বলেই অনাথা বােবা মেয়েটাকে আশ্রয় দিয়েছেন। মহৎ হয়ে সুবিধাই হয়েছে যােগেন বসাকের। পেটতায় এমন সর্বগুণান্বিতা চব্বিশ ঘন্টার চাকরানি পাওয়া শক্ত হতে তার পক্ষে। বােবা হওয়াতে আরাে সুবিধা হয়েছে, নীরবে কাজ করে। মিনু শুধু বােবা নয়, ঈষৎ কালাও।

হাতের মুঠো পাকিয়ে লখা কী করল?

উত্তর : হাতের মুঠো পাকিয়ে লখা মনটাকে শক্ত করে নিল।

লখা কেমন জীবনযাপন করে? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : লখা অত্যন্ত নিম্নমানের জীবনযাপন করে।

লখা রাস্তার মানুষ। তার রাতের শােওয়ার জায়গা হলাে ফুটপাতের মেঝে। দিনের বেলা যে মেঝে রােদে গরম থাকে, রাতের বেলা সেই মেঝেই ঠান্ডা হিম হয়ে যায়। লখা সেই ঠান্ডা মেঝেকে বিছানা মনে করে রাতে ঘুমায়। সেই মেঝের ঠান্ডায় লখার বুকে কাশি জমে, গায়ে জ্বর আসে। সে জানে না তার বাবা কে। তার মা রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করে। লখা সারাদিন গুলি খেলে, কাগজ কুড়ায়, বন্ধুদের সঙ্গে মারামারি করে। আর খাবারের দোকানের এটোপাতা চেটে খেয়ে নিজের ক্ষুধা মেটায়। এভাবেই চলে যায় লখার জীবন।

উদ্দীপকের মিনু ও ‘লখার একুশে গল্পের লখার মধ্যকার সাদৃশ্য বর্ণনা কর।

উত্তর : জীবন বাস্তবতার দিক থেকে উদ্দীপকের মিনু ও ‘লখার একুশে’ গল্পের লখার মধ্যকার সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

পিতৃমাতৃহীনদের জীবনে কষ্টের শেষ নেই। তাদের যত্ন নেওয়ার মতাে কেউ থাকে না। এমনকি তাদের অনেক সময় অসুখ-বিসুখ হলেও খোজ নেওয়ার কেউ থাকে না। তাই পিতৃমাতৃহীনদের প্রতি আমাদের সবারই যত্নশীল হওয়া প্রয়ােজন।

উদ্দীপকের মিনুর বাবা-মা নেই। ছােটবেলা থেকেই সে অনাথ। তার জন্মের আগেই তার বাবা মারা যায়। সে বােবা এবং ঈষৎ কালা। তার বাবা-মা না থাকার কারণে সে দূরসম্পর্কের সব ধরনের এক পিসিমার বাড়িতে থাকে। যেখানে তাকে থাকতে দেওয়ার নামে কাজ করানাে হয়। লখার একুশে গল্পে লখাও বাবাকে দেখেনি। সে বাবাকে চেনে না। লখা কথা বলতে পারে না, জন্মবােবা। বাবা না থাকায় তার মা রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করে। তারা রাস্তার ফুটপাতে ঘুমায়। সেই কারণে লখার বুকে কাশি জমে, জ্বর আসে। কিন্তু ফুটপাত ছাড়া তাদের আর থাকার জায়গা নেই। উদ্দীপকের মিনু যে জীবনবাস্তবতার মুখােমুখি হয়েছে ‘লখার একুশে’ গল্পের, লখাও সেরকম জীবনবাস্তবতার সম্মুখীন হয়েছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের মিনু ও ‘লখার একুশে গল্পে লখার মধ্যে সাদৃশ্য দেখা যায়।

উদ্দীপকটি লখার একুশে’ গল্পের চেতনার সম্পূর্ণ বহিঃপ্রকাশ নয়- তােমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দেখাও।

উত্তর : চেতনা মানুষের অনেক বড় একটি সম্পদ। যখন মানুষের কোনাে চেতনা কাজ করে না, তখন মানুষ জীবিত আছে নাকি মৃত তা বােঝা যায় না। কিন্তু যখন মানুষের মাঝে চেতনা কাজ করে, তখন সে তার আশপাশের সব পরিস্থিতি অনুভব করতে পারে। শুধু তাই নয়, বিচার-বিবেচনাও করতে পারে।

উদ্দীপকে পিতৃমাতৃহীন মিনুর করুণ জীবনকাহিনি ফুটে উঠেছে। মিনু বােবা, সে কানেও শােনে খুব কম। এজন্য চাইলেও সে মনের সব কথা বলতেও পারে না। দূরসম্পর্কের পিসিমার বাড়িতে থেকে সে বড় হচ্ছে। সেই সঙ্গে তাকে ছােট বয়সেই কাজের লােকের মতাে সব কাজ করতে হয়। লখার একুশে’ গল্পে লখার বাবা নেই। সে রাস্তার ফুটপাতে মানুষ। দোকানের এটোপাতে চেটে সে খাবারের চাহিদা মেটায়। ফুটপাতে শােওয়ার কারণে তার গায়ে জ্বর ওঠে। কিন্তু এত কিছুর পরেও লখার মাঝে ভাষাশহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে। সেজন্য লখা ভােররাতে মায়ের পাশ থেকে উঠে যায় ফুল জোগাড় করতে, শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানাের জন্য। শহিদ মিনারের উদ্দেশে প্রভাতফেরিতে অংশ নেয় সে এবং বােবা হয়েও ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানাে’ গানটি গাওয়ার চেষ্টা করে।

উদ্দীপকে পিতৃমাতৃহীন মিনুর করুণ জীবনের কথা ফুটে উঠেছে। সেই সঙ্গে তার শারীরিক প্রতিবন্ধিতার দিকটিও প্রকাশ পেয়েছে উদ্দীপকে। কিন্তু লখার একুশে’ গল্পে লখার জীবন আর দশটা সাধারণ ছেলেমেয়ের মতাে গােছানাে না হলেও তার মাঝে ছিল দেশ-ভক্তি। সে বােবা এবং অনেকটাই সুবিধাবতি। কিন্তু এরপরও সে শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে এগিয়ে গিয়েছে শহিদ মিনারে। গল্পের এই চেতনার দিকটি উদ্দীপকে অনুপস্থিত। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘লখার একুশে’ গল্পের চেতনার সম্পূর্ণ বহিঃপ্রকাশ নয়।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

লখার একুশে, লখার একুশে গল্প, লখার একুশে গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর

লখার বুকে কাশি বসে কেন?

উত্তর : ঠাণ্ডা লেগে লখার বুকে কাশি বসে যায়। লখা বেশ দরিদ্র। তার বাবা নেই। মা ছেঁড়া ত্যানাখানি পরে সারা দিন ভিক্ষা করে বেড়াত। তাদের থাকার ঘরবাড়ি নেই। ফুটপাতে শানের ওপর ঘুমায়। দিনের বেলায় রোদে পুড়ে গরম হয়। আর রাতে হিম লেগে শান বরফের মতো ঠাণ্ডা হয়ে যায়। এ কারণেই লখার বুকে কাশি বসে যায়।

গর্বে লখার বুক ভরে ওঠার কারণ ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : লখা গাছ থেকে ফুল ছিঁড়ে আনতে পারায় তার বুক গর্বে ভরে ওঠে। লখা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শেষ রাতে মায়ের কাছ থেকে চুপি চুপি উঠে আসে। শীত, কুয়াশা, শিয়ালের ভয় ও কাঁটার আঘাত উপেক্ষা করে ফুল সংগ্রহ করেছে শহীদ মিনারে দেওয়ার জন্য। গাছের মগডালে উঠে ফুল সংগ্রহ করতে পারায় লখার বুক গর্বে ভরে ওঠে।

লখা কেন এত কষ্ট করে ফুল সংগ্রহ করে?

উত্তর : শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার জন্য লখা ফুল সংগ্রহ করে। লখা বাকপ্রতিবন্ধী। কথা বলতে পারে না। তার পরও মাতৃভাষার প্রতি তার দরদ অনেক। ভাষাশহীদদের কথা সে জানে। তাদের প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধেরও কমতি নেই। তাই ভোররাতে ঝুঁকি নিয়ে ফুলের সন্ধানে বের হয়। হাত-পা কাঁটায় রক্তাক্ত হলেও সে খুশি। কারণ সে ফুল সংগ্রহ করতে পেরেছে।

কে লখাকে তাকিয়ে দেখছিল?

উত্তর : খেঁকশিয়াল লখাকে তাকিয়ে দেখছিল।

লখা কুড়োয় কী?

উত্তর : কাগজ কুড়োয়

প্রভাতফেরিতে কী পরিমাণ মানুষ ছিল?

উত্তর : শত শত মানুষ ছিল।

লখার একুশে গল্প pdf

প্রান্তিক প্রকাশক বাংলা সপ্তম শ্রেণির প্রবেশিকা বাংলা সহায়িকা

প্রান্তিক পাবলিশার বাংলা ক্লাস সপ্তম প্রবেশিকা বাংলা সহায়িকা (দেবাশিস মৌলিক লেখক)

লখার একুশে সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

প্রভাতফেরিতে কী পরিমাণ মানুষ ছিল?
উত্তর : শত শত মানুষ ছিল।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে
Exit mobile version