- বিভাব নাটক আলোচনা
- বিভাব নাটক প্রশ্ন উত্তর MCQ
- শম্ভু মিত্র , অমর গাঙ্গুলী কোন নাট্য দলের সদস্য ছিলেন
- ” বিভাব ‘ নাটকের যথাথ নাম হওয়া উচিত বলে নাট্যকার মনে করেছেন তা হলো
- সরকারের পেয়াদা কীসের লক্ষে নাট্যদলের কাছে আসে
- ” তাই ভেবে চিন্তে আমরা একটা প্যাঁচ বের করেছি ।” এই প্যাঁচ হলো
- ” এমনি সময় হঠাৎ এক সাহেবের লেখা পড়লাম “। এই সাহেব ছিলেন
- শম্ভু মিত্র ‘ বিভাব ‘ নাটকে যে তামাশা দেখেছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন তা ছিল
- ‘ এক জাপানি থিয়েটার মস্কোতে গিয়েছিল ।’ এই জাপানি থিয়েটার ছিল
- ” আমরা বাঙালিরা শুনি কাঁদুনে জাত ” একথা কে বলে গিয়েছেন
- ” বিভাব ” নাটকে ‘ বৌদি ‘ হলেন
- ” পৃথিবীতে সবচেয়ে পপুলার জিনিস হচ্ছে ।” ‘ বৌদি ‘ তৃপ্তি মিত্র যাকে সবচেয়ে পপুলার জিনিস বলেছেন , সেটি হল
- ” বিভাব” নাটকে অমর গাঙ্গুলী কোথায় ‘ লভ সিন ‘ দেখার কথা বলেছেন
- ” বিভাব” নাটকে তৈরি হওয়া প্রেমের দৃশ্য নায়িকা ফিরছিল
- ” বিভাব” নাটকে প্রেমের দৃশ্য নৈপন্থে কি বেজেছিল
- ” বিভাব” নাটকে প্রেমের দৃশ্য যে গানটি গাওয়া হয়েছিল , সেটি হল
- “মালতি লতা দোলে ” গানটি গাওয়া হয়েছিল যেভাবে
- রবীন্দ্রনাথের গানের অনুমোদন যারা দেয় বলে ” বিভাব” নাটকে উল্লেখ আছে, তারা হল
- শম্ভু মিত্র মতে , কত ইঞ্চি বুক হলেই পুলিশ হওয়া যায়
- ” বিভাব ” নাটকটির অনুপ্ররনা হলো
- ” বিভাব ” নাটকটির প্রধান চরিত্রের সংখ্যা হলো
- ” বিভাব” নাটকে লভ সিনের নায়ক হয়েছিলেন
- বিভাব নাটকের SAQ
- ” শম্ভু মিত্রের বহুরূপী নাট্য গোষ্ঠির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল
- ’বহুরূপী’প্রযোজিত প্রথম নাটক
- ”বহুরূপী”নাট্য গোষ্ঠী গড়ে তোলার মূল পৃষ্ঠপোষক ছিলেন কে?
- শম্ভু মিত্রের ‘বিভাব ‘নাটকটি রচিত হয় কত খ্রিস্টাব্দে?
- ‘বিভাগ ‘নাটকটি প্রথম অভিনীত হয় কত খ্রিস্টাব্দে?
- ’বিভাব’নাটকটি হল একটি
- “তবে ঘোড়া নেই করি চঞ্চল খবর নেই আসিবি।”— এটি কোন ভাষা?
- একটি ছড়িকে দু-পায়ের মধ্যে ধরে ঘোড়ায় চড়া বোঝানো হয় কোথায়?
- শম্ভু মিত্র ‘বিভাব’ নাটকে যে তামাশা দেখেছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন তা ছিল—
- “অনেক কাকুতি মিনতি করল”— কে কার কাছে কাকুতি-মিনতি করেছিল?
- “এদিকে যে অভিনেতা জমিদার সেজে এতক্ষণ গর্জন করছিল‚ ”— এরপর কি সেজেছিল?
- “এ শহরের সব কত কত ইংরেজি জানা লোক ”— তারা যা করে—
- ” উনি সময় হঠাৎ এক সাহেবের লেখা পড়লাম।”- সাহেবের নাম-
- “এমন সময় হঠাৎ একটা সাহেবের লেখা পড়লাম ।”সাহেব জাতিতে কি ছিলেন-
- শম্ভু মিত্রের’ বিভাব ‘নাটকের উল্লেখিত ‘কাবুকি ‘কোন দেশের থিয়েটার-
- বিভাব নাটকের অনুপ্রেরণা হলো-
- “ তুমি যে Underground Political leader ” — কে , কাকে একথা বলেছে ?
- “ কেয়া আপ দেখতে নেহি— চোখ খুলে চলতে জানেন না ? ” — কে কাকে , কেন একথা বলেছে ?
- “ স্ত্রীর দুঃখটাই প্রধান সেখানে । ” — কোথায় স্ত্রীর দুঃখই প্রধান ?
- বিভাব ‘ নাটকে অমর গাঙ্গুলি কোন নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ?
- “ এইরে— পুলিশ আসছে । লাগল ঝঞ্ঝঞ্ঝাট । ” পুলিশ আসছিল কেন ?
- শম্ভু মিত্র কেন মনে করেন নাটকের নাম ‘অভাব’ হওয়া উচিত?
- অমর গাঙ্গুলিকে স্কুলের হেডপণ্ডিত প্রোমোশন দেননি কেন?
- “তোমরা ফিরে যাও।”– কে, কাদের ফিরে যেতে বলেছেন?
- “যেমন রবীন্দ্রনাথকে মেনেছিল।”—কারা রবীন্দ্রনাথকে মেনেছিল?
- বিভাব নাটকের বড় প্রশ্ন উত্তর 2022
- বিভাব নাটক প্রশ্ন উত্তর 2022
- বিভাব নাটক pdf download
- বিভাব নাটকের বড় প্রশ্ন উত্তর Pdf
বিভাব নাটক আলোচনা
উত্তর : সমাজ জীবনে অভাব থেকে বিভাব নাটকের জন্ম হয়েছে বলে নাট্যকার শম্ভু মিত্র আমাদের জানিয়েছেন। অনেকদিন ধরে থিয়েটার না চলার জন্য নাট্যকার সহ বৌদি ও অমর গাঙ্গুলী নামে একটি চরিত্র ব্যক্তি জীবনে সাধারণ হাসির খোরাক এর জন্য খুঁজতে চেষ্টা করেছে একটু অভিনয়। বিভাব নাটকের বড় প্রশ্ন ও উত্তর তাদের তিনজনের ধারণা অভিনয়ের মাধ্যমে জীবনে একটু হাসির খোরাক আনা যেতে পারে। সেই কারণে তারা একটি লাভ সিন করার পরিকল্পনা করে। নাটকটিতে আমরা এরকম দুটি লাভ সিন দেখতে পারি। কিন্তু সামান্য হাসি যোগান দিতে গিয়ে এই লাভ সিন দুটিও সার্থকভাবে পরিকল্পিত রূপ লাভ করতে পারেনি।
যখন লাভ সিন এর মাধ্যমে হাসির খোরাক পাওয়া গেল না তখন নাট্যকার শম্ভু মিত্র ঘরের চার দেয়ালের বাইরে থেকে বাইরে বেরোনোর পরামর্শ দেন। যখন তারা হাসির খোরাক খোঁজার জন্য রাস্তায় নামেন তখন দেখতে পান অগণিত মানুষের মিছিল, যারা অন্য আর বস্ত্রের দাবি জানাতে থাকে।
উল্টোদিকে পুলিশকে আসতে দেখে শম্ভু মিত্র ও অমর গাঙ্গুলী পালিয়ে যান কারণ তারা বাস্তবের সঙ্গে নাটক টা কে একটু ঝালিয়ে নিতে চেষ্টা করেছিলেন। তাদের এই প্রচেষ্টার পর শম্ভু মিত্র অমর গাঙ্গুলীর কাছে জানতে চান যে এতে তাদের হাসি পেয়েছে কিনা। এর উত্তরে তিনি নিজেই মন্তব্য করেছিলেন এবার নিশ্চয়ই লোকের খুব হাসি পাবে ?”
বিভাব নাটক প্রশ্ন উত্তর MCQ
শম্ভু মিত্র , অমর গাঙ্গুলী কোন নাট্য দলের সদস্য ছিলেন
ক) নান্দিকার
খ) নান্দিমুখ
গ) পঞ্চম বৈদিক
ঘ) বহুরূপী
উত্তর :–বহুরূপী
” বিভাব ‘ নাটকের যথাথ নাম হওয়া উচিত বলে নাট্যকার মনে করেছেন তা হলো
ক) হাসির সন্ধানে তিনটি চরিত্র
খ) অভাব নাটক
গ) তামাশা নাটক
ঘ) অভাবিত নাটক
উত্তর :– অভাব নাটক
সরকারের পেয়াদা কীসের লক্ষে নাট্যদলের কাছে আসে
ক) নিমন্ত্রনপত্র নিতে
খ) অনুমতি পত্র নিতে
গ) খাজনা আদায় করতে
ঘ) সংবর্ধ্ণা জানাতে
উত্তর :–খাজনা আদায় করতে
” তাই ভেবে চিন্তে আমরা একটা প্যাঁচ বের করেছি ।” এই প্যাঁচ হলো
ক) জনমত গঠন
খ) নিজস্ব নাট্যমঞ্চ তেরি
গ) ভঙ্গিনির্ভর নতুন নাট্যরীতি প্রয়োগ
ঘ) নাটক অভিনয় বন্ধ রাখা
উত্তর :–ভঙ্গিনির্ভর নতুন নাট্যরীতি প্রয়োগ
” এমনি সময় হঠাৎ এক সাহেবের লেখা পড়লাম “। এই সাহেব ছিলেন
ক) আইনস্টাইন
খ) আইজেনস্টাইন
গ) শেক্সপিয়ার
ঘ) বানাড’ শ
উত্তর :–আইজেনস্টাইন
শম্ভু মিত্র ‘ বিভাব ‘ নাটকে যে তামাশা দেখেছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন তা ছিল
ক) উড়িয়া তামাশা
খ) মারাঠি তামাশা
গ) রাজস্থানি তামাশা
ঘ) অসমীয়া তামাশা
উত্তর :–মারাঠি তামাশা
‘ এক জাপানি থিয়েটার মস্কোতে গিয়েছিল ।’ এই জাপানি থিয়েটার ছিল
ক) নো
খ) কিয়োগেন
গ) কাবুকি
ঘ) বানরাকু
উত্তর :–কাবুকি
” আমরা বাঙালিরা শুনি কাঁদুনে জাত ” একথা কে বলে গিয়েছেন
ক) রবীন্দ্রনাথ
খ) দ্বিজেন্দ্রলাল
গ) বল্লভ ভাই
ঘ) জহরলাল নেহরু
উত্তর :– বল্লভ ভাই
” বিভাব ” নাটকে ‘ বৌদি ‘ হলেন
ক) শোভা সেন
খ) তৃপ্তি মিত্র
গ) চিত্রা সেন
ঘ) শাওলী মিত্র
উত্তর :–তৃপ্তি মিত্র
” পৃথিবীতে সবচেয়ে পপুলার জিনিস হচ্ছে ।” ‘ বৌদি ‘ তৃপ্তি মিত্র যাকে সবচেয়ে পপুলার জিনিস বলেছেন , সেটি হল
ক) সিনেমা
খ) আড্ডা
গ) খেলা ধুলা
ঘ) প্রেম
উত্তর :–প্রেম
” বিভাব” নাটকে অমর গাঙ্গুলী কোথায় ‘ লভ সিন ‘ দেখার কথা বলেছেন
ক) বায়োস্কোপ
খ) বাস্তব জীবনে
গ) থিয়েটার
ঘ) লোক কোথায়
উত্তর :–বায়োস্কোপ
” বিভাব” নাটকে তৈরি হওয়া প্রেমের দৃশ্য নায়িকা ফিরছিল
ক) অফিস থেকে
খ) কলেজ থেকে
গ) বন্ধুর বাড়ি থেকে
ঘ) গ্রাম থেকে
উত্তর :–কলেজ থেকে
” বিভাব” নাটকে প্রেমের দৃশ্য নৈপন্থে কি বেজেছিল
ক) পিয়ানো
খ) বেহালা
গ) হারমোনিয়াম
ঘ) বাঁশি
উত্তর :–হারমোনিয়াম
” বিভাব” নাটকে প্রেমের দৃশ্য যে গানটি গাওয়া হয়েছিল , সেটি হল
ক) সখি ভালোবাসা কারে কয়
খ) আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ
গ) তুমি কোন কাননের ফুল
ঘ) মালতি লতা দোলে
উত্তর :–মালতি লতা দোলে
“মালতি লতা দোলে ” গানটি গাওয়া হয়েছিল যেভাবে
ক) ফিল্মি কায়দায়
খ) শাস্ত্রীয় ভঙ্গিতে
গ) কিতন আঙ্গিকে
ঘ) ঠুংরি ধরনে
উত্তর :–ফিল্মি কায়দায়
রবীন্দ্রনাথের গানের অনুমোদন যারা দেয় বলে ” বিভাব” নাটকে উল্লেখ আছে, তারা হল
ক) রাজ্য সরকার
খ) বিশ্বভারতী
গ) সাহিত্য অ্যাকাডেমি
ঘ) সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি
উত্তর :–বিশ্বভারতী
শম্ভু মিত্র মতে , কত ইঞ্চি বুক হলেই পুলিশ হওয়া যায়
ক) ৩২ ইঞ্চি
খ) ৩৩ ইঞ্চি
গ) ৪২ ইঞ্চি
ঘ)৪৮ ইঞ্চি
উত্তর :–৩২ ইঞ্চি
” বিভাব ” নাটকটির অনুপ্ররনা হলো
ক) জাপানি কাবুকি থিয়েটার
খ) দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের নাটক
গ) রবীন্দ্রনাথের নাটক
ঘ) দীনবন্ধু মিত্রের নাটক
উত্তর :–জাপানি কাবুকি থিয়েটার
” বিভাব ” নাটকটির প্রধান চরিত্রের সংখ্যা হলো
ক) দুই
খ) তিন
গ) পাঁচ
ঘ) সাত
উত্তর :–তিন
” বিভাব” নাটকে লভ সিনের নায়ক হয়েছিলেন
ক) অমর
খ) শম্ভু
গ) ম্যানেজার
ঘ) বল্লভভাই
উত্তর :–শম্ভু
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
বিভাব নাটকের SAQ
” শম্ভু মিত্রের বহুরূপী নাট্য গোষ্ঠির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল
উত্তর : ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে
’বহুরূপী’প্রযোজিত প্রথম নাটক
উত্তর : উলখাগড়া
”বহুরূপী”নাট্য গোষ্ঠী গড়ে তোলার মূল পৃষ্ঠপোষক ছিলেন কে?
উত্তর : মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য
শম্ভু মিত্রের ‘বিভাব ‘নাটকটি রচিত হয় কত খ্রিস্টাব্দে?
উত্তর : ১৯৫১
‘বিভাগ ‘নাটকটি প্রথম অভিনীত হয় কত খ্রিস্টাব্দে?
উত্তর : ১৯৫১
’বিভাব’নাটকটি হল একটি
উত্তর : একাঙ্কিকা
“তবে ঘোড়া নেই করি চঞ্চল খবর নেই আসিবি।”— এটি কোন ভাষা?
উত্তর : অসমিয়া
একটি ছড়িকে দু-পায়ের মধ্যে ধরে ঘোড়ায় চড়া বোঝানো হয় কোথায়?
উত্তর : ছৌ নিত্য
শম্ভু মিত্র ‘বিভাব’ নাটকে যে তামাশা দেখেছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন তা ছিল—
উত্তর : মারাঠি তামাশা
“অনেক কাকুতি মিনতি করল”— কে কার কাছে কাকুতি-মিনতি করেছিল?
উত্তর : চাষী জমিদারের কাছে
“এদিকে যে অভিনেতা জমিদার সেজে এতক্ষণ গর্জন করছিল‚ ”— এরপর কি সেজেছিল?
উত্তর : পুরুত
“এ শহরের সব কত কত ইংরেজি জানা লোক ”— তারা যা করে—
উত্তর : বিলিতি বায়োস্কোপ’ দেখে
” উনি সময় হঠাৎ এক সাহেবের লেখা পড়লাম।”- সাহেবের নাম-
উত্তর : আইজেনস্টাইন
“এমন সময় হঠাৎ একটা সাহেবের লেখা পড়লাম ।”সাহেব জাতিতে কি ছিলেন-
উত্তর : রাশিয়ান
শম্ভু মিত্রের’ বিভাব ‘নাটকের উল্লেখিত ‘কাবুকি ‘কোন দেশের থিয়েটার-
উত্তর : জাপান
বিভাব নাটকের অনুপ্রেরণা হলো-
উত্তর : জাপানি কাবুকি থিয়েটার
“ তুমি যে Underground Political leader ” — কে , কাকে একথা বলেছে ?
উত্তরঃ ‘ বিভাব ’ নাটক থেকে সংগৃহীত নাট্যাংশটিতে বউদি উক্ত কথাগুলি শম্ভু মিত্রকে উত্তর বলেছে ।
“ কেয়া আপ দেখতে নেহি— চোখ খুলে চলতে জানেন না ? ” — কে কাকে , কেন একথা বলেছে ?
উত্তরঃ ‘ বিভাব ’ নাটকে লাভ সিনে অভিনয় করার সময় নায়ক শম্ভু মিত্র নায়িকা বউদিকে মাঝ রাস্তায় ধাক্কা দিলে বউদি শম্ভু মিত্রকে এ কথা বলেছে ।
“ স্ত্রীর দুঃখটাই প্রধান সেখানে । ” — কোথায় স্ত্রীর দুঃখই প্রধান ?
উত্তরঃ ‘ বিভাব ’ নাটকে কাবুকি থিয়েটারে যে আর্টিস্টিক এবং কাল্পনিক মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে , সেই কাল্পনিক মৃত্যুতে স্ত্রীর দুঃখটাই প্রধান ।
বিভাব ‘ নাটকে অমর গাঙ্গুলি কোন নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ?
উত্তরঃ ‘ বিভাব ‘ নাটকে অমর গাঙ্গুলি বহুপী নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ।
“ এইরে— পুলিশ আসছে । লাগল ঝঞ্ঝঞ্ঝাট । ” পুলিশ আসছিল কেন ?
উত্তরঃ চাল চাই , কাপড় চাই ইত্যাদি ‘ স্লোগান দিতে দিতে মেয়ে – পুরুষের শোভাযাত্রা এলে তা বন্ধ করার জন্য পুলিশ আসে ।
শম্ভু মিত্র কেন মনে করেন নাটকের নাম ‘অভাব’ হওয়া উচিত?
উত্তরঃ দুরন্ত অভাব থেকেই ‘বিভাব’ নাটকের জন্ম বলে নাটকটির নাম ‘অভাব’ হওয়াই বাঞ্ছনীয় বলে বক্তা শম্ভু মিত্র মনে করেন।
অমর গাঙ্গুলিকে স্কুলের হেডপণ্ডিত প্রোমোশন দেননি কেন?
উত্তরঃ অমর গাঙ্গুলি সংস্কৃতে তেরো পেয়েছিলেন বলে স্কুলের হেডপণ্ডিত তাঁকে প্রমোশন দেননি।
“তোমরা ফিরে যাও।”– কে, কাদের ফিরে যেতে বলেছেন?
উত্তরঃ পুলিশের সার্জেন্ট শোভাযাত্রীদের ফিরে যেতে বলেছেন।
“যেমন রবীন্দ্রনাথকে মেনেছিল।”—কারা রবীন্দ্রনাথকে মেনেছিল?
উত্তরঃ সাহেবরা রবীন্দ্রনাথকে মেনেছিল।
বিভাব নাটকের বড় প্রশ্ন উত্তর 2022
“তাদের অভিনয় দেখে আইজেনস্টাইন সাহেব অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত হয়ে অনেক কথা লিখেছেন।” – আইজেনস্টাইন সাহেব কে ? তিনি কাদের অভিনয় দেখে উচ্চসিত হয়েছিলেন ? সেই অভিনয় দেখে তিনি কি লিখেছিলেন ?
উত্তর : প্রখ্যাত নাট্যকার শম্ভু মিত্র রচিত বিভাব নাটকে আইজেনস্টাইন সাহেব হলেন প্রখ্যাত এক রাশিয়ান চিত্রপরিচালক।
রাশিয়ান চিত্রপরিচালক আইজেনস্টাইন জাপানের নৃত্য নির্ভর ঐতিহ্যশালী কাবুকি থিয়েটার এর অভিনেতাদের অভিনয় দেখে উচ্চসিত হয়েছিলেন।
প্রখ্যাত চিত্রপরিচালক আইজেনস্টাইন সাহেব জাপানের নৃত্য নির্ভর ঐতিহ্যশালী কাবুকি থিয়েটার এর অভিনেতাদের অভিনয় দেখে আনন্দিত হয়ে বলেছিলেন যে, কাবুকি থিয়েটার এ শরীর এবং মুখের ভঙ্গি প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। এর উদাহরণ স্বরূপ তিনি আরো বলেছিলেন মঞ্চস্থ একটি নাটকে একজন নাইট রেগে গিয়ে দুর্গ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন এবং কত দূর চলে এলেন শুধু তাকে বোঝাতে তিনি স্টেজের পিছন থেকে গম্ভীর ভাবে এগোতে থাকেন। এবং সিফটার তার পিছন দিকে দুর্গের মুখে দাঁড়িয়ে ছিল।
তার আরো ভালো লেগেছিল তলোয়ার যুদ্ধের দৃশ্য দেখে, যেখানে দুই যোদ্ধা খাত থেকে তরল বের করে কাল্পনিক যুদ্ধ করতে থাকে। এবং একজন অন্যজনকে খোঁচা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে । মরার আগে একবার তার হাতটা নড়ে উঠলো, শরীরটা কেপে উঠলো, চোখটা দুবার ঘোরালো, মাথাটা নড়লো ও সবশেষে তার জিভ বেরিয়ে গেল।
এই ঘটনার পরে স্টেজে তার স্ত্রী ঢুকে প্রবল কান্নাকাটি শুরু করলেন তখন কিন্তু সেই মৃত লোকটা উঠে আস্তে আস্তে চলে গেছেন কারণ দর্শকদের কাছে তার কোন প্রয়োজন ছিল না। প্রয়োজন ছিল তার স্ত্রীর শোক প্রকাশ করার দৃশ্য টিকে। এইসকল বর্ণিত দৃশ্যগুলি আইজেনস্টাইন সাহেব বলেছিলেন বলে বিভাব নাটকে আমরা পেয়ে থাকি।
বিভাব নাটক প্রশ্ন উত্তর 2022
“আমরা বাঙালিরা শুনি কাঁদুনে জাত” – উক্তিটি কার ? মন্তব্যটি নাটকের ক্ষেত্রে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ তা আলোচনা করো ।
উত্তর : আলোচ্য উক্তিটি শম্ভু মিত্র রচিত বিভাব নাটকের অভিনেতা অমর গাঙ্গুলীর।
জীবনের অন্যতম হাসির খোরাক খুঁজতে গিয়ে নাটকের অন্যতম চরিত্র শম্ভু মিত্র অমর গাঙ্গুলীর বাড়িতে উপস্থিত হয়। আলোচ্য প্রসঙ্গটি মধ্য দিয়ে তাদের নাটকটি শুরু হয়েছে বলে তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। নাট্যদলের সম্পাদক অনেক ভেবে চিন্তে বক্সঅফিসের চাহিদার কথা মাথায় রেখে একটি হাসির নাটক অভিনয় করবে বলে মনে করেছেন।
এরপর হাসির খোরাক এর প্রয়োজন বলে তারা একের পর এক প্রেমের দৃশ্যে অভিনয় করতে থাকেন। কিন্তু তাদের এই প্রচেষ্টা নাটকে কোনরকম হাস্যরস সৃষ্টি করতে পারেনি। আসলে নাটক স্বতঃস্ফূর্ত তাকে জোর করে অভিনয় করতে যাওয়া বৃথা প্রচেষ্টা। যখন নাট্য দৃষ্টি ব্যাহত হয় তখন তারা বাস্তবে রাস্তায় নেমে আসে।
বাস্তবের রাস্তায় নেমে এসে দেখতে পায় ক্ষুধার্ত মানুষের মিছিল। সেই মিছিলের ওপর পুলিশের গুলি আর মানুষের হাহাকার । এসকল বিষয়টিকে শম্ভু মিত্র অমর গাঙ্গুলী কে জিজ্ঞাসা করে, – তার এবার হাসি পাচ্ছে কিনা ? আসলে এখানে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের সুর প্রকাশিত হয়েছে।
আসলে নাটকের নাট্যকার এবং অভিনেতা শম্ভু মিত্রের মুখে সম্পাদক হাসির নাটক করার অনুরোধ করেছেন তা শুনে সহ-অভিনেতা অমর গাঙ্গুলী বলেছেন বাঙালিরা নাকি কাঁদুনে জাত। অর্থাৎ এখানে হাসির নাটক বা লাভ সিন এর বিপরীত চিত্র আমাদের সামনে ফুটে উঠেছে।
“বিভাব” নাটকটি একাঙ্ক হিসেবে কতখানি সার্থক তা আলোচনা করো।
সাধারণত অংকের বিচারে নাটক প্রথমে পাঁচ অঙ্কবিশিষ্ট হত। কিন্তু আধুনিক যুগে লক্ষণ ও প্রয়োজন অনুসারে নাটকের আঙ্গিকে অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। আধুনিক এই সকল পরিবর্তনের ফলশ্রুতি হলো একাঙ্ক নাটক বা একাঙ্কিকা। আমাদের আলোচ্য বিভাব নাটকের সূচনা অংশে নাট্যকার নিজেই নাটকটিকে একাঙ্কিকা বলে উল্লেখ করেছেন। একাংকিকা নাটক বলতে বোঝায় আয়তনে ছোট অর্থাৎ এক অঙ্কবিশিষ্ট এবং নট নটির সংক্ষিপ্ততা।
আলোচিত বিভাব নাটকটি সত্যিই একটি যথাযথ একাঙ্ক নাটক কিনা সে বিচারে অগ্রসর হলে আমাদের দেখে নিতে হবে নাটকটি একাঙ্ক নাটকের সমস্ত বৈশিষ্ট্যকে মেনে চলেছে কিনা।
এখন কোন নাটকের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো স্বল্প চরিত্র। আমরা বিভাব নাটকে মাত্র তিনটি চরিত্রের সমাবেশ লক্ষ্য করি সুতরাং চরিত্রগত দিক থেকে নাটকটি বৈশিষ্ট্য পালন করেছে।
একাঙ্ক নাটকের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য একটি বিষয়কে লক্ষ্য রাখা। বিভাব নাটকে শুধুমাত্র হাসির খোরাক সন্ধান এর উদ্দেশ্যে নাটকটি রচিত হয়েছে।
সমস্ত নাটক এবং একাঙ্ক নাটকের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো ক্লাইম্যাক্স বা শীর্ষ মুহূর্ত। বিভাব নাটকে ও আমরা এই বৈশিষ্ট্যটি কে লক্ষ্য করতে পারি। অনেক চেষ্টার পরও যখন নাটক হাসির উদ্রেক হয় নি তখন রাস্তায় নামলে নাটকের ক্লাইম্যাক্স শুরু হয়। তখন শম্ভু মিত্রের মন্তব্য নাটকের চূড়ান্ত পর্যায়ে তুলে ধরেছে।
উপরের এই বৈশিষ্ট্যগুলি লক্ষ্য করলে দেখা যায় আলোচিত বিভাব নাটকটি একাঙ্ক নাটকের বৈশিষ্ট্য গুলিকে যথাযথভাবে মেনে রচিত হয়েছে। সুতরাং একটি সার্থক একাঙ্কিকা সে বিষয়ে কোনো মতভেদ থাকে না।
“ নাঃ কোথাও জীবনের খোরাক , হাসির খোরাক নেই । ” — বক্তা কে ? সে কেন একথা বলেছে ? এ থেকে তার কোন পরিচয় পাও ?
উত্তরঃ ভিতর বক্তা হলেন ‘ বিভাব ‘ নাটকের অন্যতম চরিত্র শম্ভু মিত্র ।
কল্পিত অভিনয়ের মাধ্যমে হাসি না পাওয়ায় শম্ভু ও অমর দাঁড়ান বাস্তব জীবনের আঙ্গিনায় । জনবহুল , কর্মব্যস্ত পথে তাঁরা হাসির উপাদান পান না । কৃত্রিম আড়ম্বরপূর্ণ | জীবনে হাসির খোরাক মেলে না । যে উপাদান জীবনকে রসিকতায় , প্রেমে , উন্মাদনায় ভরিয়ে তুলবে তার সন্ধান শম্ভুরা কোথাও পান না । চার দেওয়ালের বাইরেও কোথাও স্মিতহাস্যের রসদ নেই । অমর তো বলেই ফেলেন— “ হ্যা ; জীবনও শুকিয়ে যাচ্ছে এ থেকে বোঝা যায় । ” শুষ্কপ্রায় জীবন তাই হাস্যবিহীন ।
শম্ভু বাস্তববাদী । জীবনের মধ্যেই তিনি জীবনের রসদ খুঁজতে চেয়েছেন । নাট্যাভিনয়ের মধ্যে নয় , তাই তিনি এসে দাঁড়িয়েছেন রূঢ় বাস্তবের প্রাঙ্গণে । অন্নপ্রার্থী বাস্তবপ্রার্থীদের সমবেত মিছিল দেখে শম্ভু উৎসাহিত হয়ে ওঠেন , তিনি বলেন- ” নিয়ে নাকি লেখো— ” । জীবন যেখানে ঘাতপ্রতিঘাতময় , জীবন সংগ্রাম যেখানে তাঁর ও রূঢ় সেখানেই জীবনের প্রকৃত রসদ প্রচ্ছন্ন থাকে । শম্ভু সে জীবনের প্রত্যাশী , এই জীবনকে দেখেই বলতে পারেন— “ পিয়ে লভ অমৃতের স্বাদ ।”
বিভাব নাটক pdf download
বিভাব নাটকের বড় প্রশ্ন উত্তর Pdf
বাংলা রেফারেন্স (উচ্চমাধমিক) ক্লাস
বিভাব নাটকের বড় প্রশ্ন উত্তর
“এ শহরের সব কত কত ইংরেজি জানা লোক ”— তারা যা করে—
উত্তর : বিলিতি বায়োস্কোপ’ দেখে