- অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
- অপরিচিতা গল্পের বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
- অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর হরিশ কোথায় কাজ করে
- “মেয়ের বয়স যে, পনেরাে তাই শুনিয়া মামার মন ভার হইলাে কেন”? বুঝিয়ে দাও।
- ‘অপরিচিতা’ গল্পের লেখকের নাম কী?
- ‘অপরিচিতা’ গল্পের নায়ক কে?
- ‘অপরিচিতা’ গল্পের নায়িকার নাম কী?
- ছেলেবেলায় অনুপমের সুন্দর চেহারা নিয়ে পণ্ডিত মশাই কোন ফুলের সঙ্গে তুলনা করে বিদ্রুপ করতেন?
- অনুপমকে ছোটবেলায় কোন ফলের সঙ্গে তুলনা করে পণ্ডিত মশাইরা বিদ্রুপ করতেন?
- অনুপমের পিতা কোন পেশায় জড়িত ছিলেন?
- অনুপমের পিতা প্রথম অবকাশ পান কবে?
- অনুপমের ‘মা’ কেমন ঘরের মেয়ে ছিলেন?
- অনুপমের জন্য বিয়ের কন্যা দেখার সময় কে অভিভাবক হিসেবে কাজ করেছিল?
- একাদশ শ্রেণী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখিত অপরিচিতা বাংলা গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর
- নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
- ক) ‘অপরিচিতা’ গল্পটি প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
- খ) ‘কলি যে চারপোয়া হইয়া আসিল’- ব্যাখ্যা করো।
- গ) উদ্দীপকের বরের বাবা ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধি? আলোচনা করো।
- ঘ) উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের সমগ্র ভাবকে ধারণ করে কী? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
- অপরিচিতা গল্পের PDF
অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
গল্পটির নাম ‘অপরিচতা’ রাখা হয়েছে কেন?
উত্তর : গল্পের নায়িকা কল্যাণী নায়ক অনুপমের কাছে আজও অপরিচিতা বলে গল্পটির নাম ‘অপরিচিতা’ রাখা হয়েছে।
অনুপমের সঙ্গে কল্যাণীর বিবাহ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত নানান কারণে বিবাহ সম্পন্ন হয় না। বিবাহের কথা থাকলে অনুপম মনের মধ্যে কল্যাণীর একটি ছবি ধারণ করেছেন, স্বপ্ন সাজিয়েছেন। কিন্তু সারা জীবনের জন্য তাকে পাওয়া হয় না, জানা হয়ে ওঠে না।
অনুপমকে পণ্ডিত মশায়েরা বিদ্রƒপ করতেন কেন ?
উত্তর : সুন্দর চেহারার জন্য অনুপমকে পণ্ডিত মশায়েরা বিদ্রƒপ করতেন।
ছোটবেলায় অনুপমের চেহারা সুন্দর ছিল বলে পণ্ডিত মশায়েরা তাকে শিমুল ফুল ও মাকাল ফলের সাথে তুলনা করতেন। তখন লজ্জা পেলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে সে ভাবে, যদি জন্মান্তর থাকে তবে তার মুখের স্বরূপ এবং পণ্ডিত মশায়দের মুখে বিদ্রƒপ আবার যেন এমনি করেই প্রকাশ পায়।
গল্পের নায়ককে শিমুল ফুল ও মাকাল ফলের সাথে কেন তুলনা করা হতো?
উত্তর : গল্পের নায়ক অনুপমকে ছোটবেলায় পণ্ডিত মশায়েরা শিমুল ফুল ও মাকাল ফলের সাথে তুলনা করে বিদ্রƒপ করতেন।
অনুপম বাহ্যিকভাবে দেখতে সুন্দর। কিন্তু শিমুল ফুল ও মাকাল ফলের মতো অনুপম বাহ্যিকভাবে দেখতে সুন্দর চেহারার অধিকারী হলেও প্রকৃত অর্থে কোনো কাজের উপযুক্ত নয়। মূলত ব্যক্তিত্বহীন অনুপমকেই শিমুল ফুল ও মাকাল ফলের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এজন্য পণ্ডিত মশায়েরা অনুপমকে শিমুল ফুল ও মাকাল ফলের সাথে তুলনা করে বিদ্রƒপ করতেন।
অপরিচিতা গল্পের বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর হরিশ কোথায় কাজ করে
উত্তর: কানপুরে কাজ করে
“মেয়ের বয়স যে, পনেরাে তাই শুনিয়া মামার মন ভার হইলাে কেন”? বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: মেয়ের বয়স যে, পনেরাে তাই শুনিয়া মামার মন ভার হইলাে কারন সেই ১৫ বছরে কোন মেয়ের বিয়ে মানে অনেক বয়েস হয়ে মেয়ে তা মনে করা হলো । ছেলের অনুপাতে মেয়েরে বসয় বেশি তাই শুনে মামার মন ভার হইলো ।
‘অপরিচিতা’ গল্পের লেখকের নাম কী?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
‘অপরিচিতা’ গল্পের নায়ক কে?
উত্তর : অনুপম ‘অপরিচিতা’ গল্পের নায়ক।
‘অপরিচিতা’ গল্পের নায়িকার নাম কী?
উত্তর : ‘অপরিচিতা’ গল্পের নায়িকার নাম কল্যাণী।
ছেলেবেলায় অনুপমের সুন্দর চেহারা নিয়ে পণ্ডিত মশাই কোন ফুলের সঙ্গে তুলনা করে বিদ্রুপ করতেন?
উত্তর : ছেলেবেলায় অনুপমের সুন্দর চেহারা নিয়ে পণ্ডিত মশাই শিমুল ফুলের সঙ্গে তুলনা করে বিদ্রুপ করতেন।
অনুপমকে ছোটবেলায় কোন ফলের সঙ্গে তুলনা করে পণ্ডিত মশাইরা বিদ্রুপ করতেন?
উত্তর : অনুপমকে ছোটবেলায় মাকাল ফলের সঙ্গে তুলনা করে পণ্ডিত মশাইরা বিদ্রুপ করতেন।
অনুপমের পিতা কোন পেশায় জড়িত ছিলেন?
উত্তর : অনুপমের পিতা ওকালতি পেশায় জড়িত ছিলেন।
অনুপমের পিতা প্রথম অবকাশ পান কবে?
উত্তর : অনুপমের পিতা প্রথম অবকাশ পান মৃত্যুর পরে।
অনুপমের ‘মা’ কেমন ঘরের মেয়ে ছিলেন?
উত্তর : অনুপমের ‘মা’ গরিব ঘরের মেয়ে ছিলেন।
অনুপমের জন্য বিয়ের কন্যা দেখার সময় কে অভিভাবক হিসেবে কাজ করেছিল?
উত্তর : অনুপমের জন্য বিয়ের কন্যা দেখার সময় অনুপমের মামা অভিভাবক হিসেবে কাজ করেছিল।
একাদশ শ্রেণী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখিত অপরিচিতা বাংলা গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিতেন কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না। তিনি দেখিলেন, মেয়েটির বিবাহের বয়স পার হইয়া গেছে, কিন্তু আর কিছুদিন গেলে সেটাকে ভদ্র বা অভদ্র কোনো রকমে চাপা দিবার সময়টাও পার হইয়া যাইবে। মেয়ের বয়স অবৈধ রকমে বাড়িয়া গেছে বটে, কিন্তু পণের টাকার আপেক্ষিক গুরুত্ব এখনো তাহার চেয়ে কিঞ্চিং ওপরে আছে, সে জন্যই তাড়া।
ক) ‘অপরিচিতা’ গল্পটি প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
উত্তর : ক) ‘অপরিচিতা’ গল্পটি প্রথম ‘সবুজপত্র’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
খ) ‘কলি যে চারপোয়া হইয়া আসিল’- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : খ) কনের বাবা শম্ভুনাথ বাবুর বিয়ে ভেঙে দেওয়াকে অনুপমের পরিবার কলিকালের আবির্ভারের লক্ষণ হিসেবে অভিহিত করেছে।
বিয়ের দিন অনুপমের মামা স্যাকরা দিয়ে বিয়ের গয়না যাচাই করে। এ বিষয়টি কল্যাণীর বাবা শম্ভুনাথ বাবুর ব্যক্তিত্বে আঘাত হানে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শম্ভুনাথ সেন কন্যা সম্প্রদানে অসম্মতি জানায়, যা তৎকালীন সমাজব্যবস্থায় অকল্পনীয় ছিল। কন্যার পিতার নির্বিকার অথচ বলিষ্ঠ প্রতিবাদী রূপকে আধুনিক যুগের চূড়ান্ত আত্মপ্রকাশ হিসেবে বোঝানো হয়েছে।
গ) উদ্দীপকের বরের বাবা ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধি? আলোচনা করো।
উত্তর : গ) উদ্দীপকের বরের বাবা ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামা চরিত্রের প্রতিনিধি।
যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। যৌতুকের করালগ্রাসে প্রতিনিয়ত বলি হতে হয় আমাদের সমাজের নিষ্পাপ নারীদের। নারীদের সঙ্গে সঙ্গে তাদের পরিবারের অভিভাবকদেরও নানামুখী বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। যৌতুকের মূলে রয়েছে সমাজে বসবাসকারী কিছু লোভী ও হীন মানসিকতার লোক।
উদ্দীপকের বরের বাবাও লোভী ও রক্ষণশীল। একদিকে মেয়ের বয়স নিয়ে তার আপত্তি আছে। অন্যদিকে যৌতুকের টাকার অঙ্কও সে অগ্রাহ্য করতে পারছে না। মেয়ের বয়স নিয়ে তাকে সমাজে হেনস্থা হতে হবে। এই ভয়ে সে ভীত; কিন্তু যৌতুকের পণের টাকার জন্য সে মেয়ের প্রকৃত বয়স লুকাতে প্রতারণা করতেও প্রস্তুত। পণের টাকার গুরুত্ব তার কাছে সব কিছুর ঊর্ধ্বে। আর এ কারণে কন্যার বয়স বেশি হওয়ায়ও বিয়ের জন্য বরের বাবার এত তাড়া।
‘অপরিচিতা’ গল্পেও আমরা দেখি যৌতুকের প্রতি লোভ ও রক্ষণশীল মনোভঙ্গি। কল্যাণীর বয়স বেশি জেনে অনুপমের মামার মন ভার হয়ে যায়; কিন্তু যৌতুকের টাকার লোভে সে বিয়েতে রাজি হয়। বিয়ে সম্পর্কে অনুপমের মামার একটি বিশেষ মত আছে। ধনীর কন্যা তার পছন্দ নয়। কন্যার বাবা গরিব হলেও তার যৌতুকের দাবি পূরণ করতে যে অস্বীকার করবে না এমন সম্বন্ধই সে অনুপমের বিয়ের জন্য চাইছিল। বিয়ের দিন স্যাকরা দিয়ে গয়না যাচাই করার বিষয়টি তার লোভী মানসিকতাকে প্রতিভাত করে। আর তাই বলা যায়, উদ্দীপকের বরের বাবা ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামা চরিত্রের প্রতিনিধি।
ঘ) উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের সমগ্র ভাবকে ধারণ করে কী? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
উত্তর : ঘ) উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের সমগ্র ভাবকে ধারণ করে না। উদ্দীপকে ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামার লোভী ও রক্ষণশীল মানসিকতা ফুটে উঠেছে। উদ্দীপকের বরের বাবা ও অনুপমের মামা দুজনেরই কনের বয়স নিয়ে আপত্তি ছিল। যৌতুকের লোভে তারা দুজনই বিয়েতে রাজি হয়। মেয়েদের বিয়ে নিয়ে তৎকালীন সমাজের মানসিকতার উন্মোচন এ গল্পের একটি দিক।
‘অপরিচিতা’ গল্পের মূল সুর নারীর আত্মপ্রতিষ্ঠার কাহিনি গল্পের নায়িকা কল্যাণী বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় থমকে যায়নি; বরং তাকে অনুপ্রাণিত করেছে তার স্বকীয়তা প্রতিষ্ঠিত করতে, গল্পের
শেষে আমরা দেখি কল্যাণীর এক নতুন মূর্তি দেশ সেবার ব্রতে কল্যাণী এক অতিমানবী হয়ে আমাদের ভাবতে শেখায়। ‘অপরিচিতা’ গল্পের এ মূল দিকটি উদ্দীপকে অনুপস্থিত।
এ গল্পের আরেকটি প্রধান দিক কন্যার বাবা শম্ভুনাথ বাবুর অন্যায়ের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ, শম্ভুনাথ বাবু কন্যার লগ্নভ্রষ্ট হওয়ার চিরাচরিত লৌকিকতাকে অগ্রাহ্য করে নিজের ও কন্যার আত্মসম্মানকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। এ বিষয়টিও উদ্দীপকে প্রতীয়মান হয়নি।
আর তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের খণ্ডিত একটি চিত্রকে ধারণ করলেও সমগ্র ভাবকে ধারণ করে না।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
অপরিচিতা গল্পের PDF
Bangla Reference Class 11/ বাংলা রেফারেন্স ক্লাস- ১১.
অপরিচিতা গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর
‘অপরিচিতা’ গল্পটি প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
উত্তর : ‘অপরিচিতা’ গল্পটি প্রথম ‘সবুজপত্র’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন।