Site icon prosnouttor

নবম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্ট

নিম্নলিখিত জন্য কারণ দিন
আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক নবম শ্রেণীর ভূগোল, নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর 2022, নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর 2023

সূচিপত্র

নবম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্ট

ভারতীয় মরুভূমি, সংক্ষিপ্ত নোট লিখুন

উত্তর:

ভারতীয় মরুভূমি আরাবলি পাহাড়ের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত। এটি বালির টিলা দিয়ে আচ্ছাদিত একটি সীমাহীন বালুকাময় সমতল। এই অঞ্চলে খুব কম বৃষ্টিপাত হয়। গড় বৃষ্টিপাত প্রতি বছর 150 মিমি এর নিচে। কম গাছপালা আচ্ছাদন সঙ্গে এটি একটি শুষ্ক জলবায়ু আছে. বর্ষাকালে স্রোত দেখা দেয়। শীঘ্রই তারা বালিতে অদৃশ্য হয়ে যায় কারণ তাদের সমুদ্রে পৌঁছানোর মতো পর্যাপ্ত জল নেই। লুনি এই অঞ্চলের একমাত্র বড় নদী।

সেন্ট্রাল হাইল্যান্ডস, সংক্ষিপ্ত নোট লিখুন

উত্তর:

সেন্ট্রাল হাইল্যান্ডস এবং ডেকান মালভূমি। নর্মদা নদীর উত্তরে অবস্থিত উপদ্বীপীয় মালভূমির অংশ, মালওয়া মালভূমির একটি প্রধান এলাকা জুড়ে, এটি কেন্দ্রীয় উচ্চভূমি নামে পরিচিত। সেন্ট্রাল হাইল্যান্ডস পশ্চিমে প্রশস্ত কিন্তু পূর্বে সংকীর্ণ। এই মালভূমির পূর্বমুখী সম্প্রসারণ স্থানীয়ভাবে বুন্দেলখণ্ড এবং বাঘেলখণ্ড নামে পরিচিত। ছোটনাগপুর মালভূমি দামোদর নদী দ্বারা নিষ্কাশিত আরও পূর্ব দিকের সম্প্রসারণকে চিহ্নিত করে।

নবম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট ভূগোল উত্তর

ভারতের দ্বীপ গোষ্ঠী, সংক্ষিপ্ত নোট

উত্তর:

লাক্ষাদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জ

লাক্ষাদ্বীপ গ্রুপ অব দ্বীপ ছোট প্রবাল দ্বীপ নিয়ে গঠিত। আগে এরা ল্যাকাডিভ, মিনিকয় এবং আমিনডিভ নামে পরিচিত ছিল। 1973 সালে, এগুলোর পুনঃনামকরণ করা হয় লক্ষদ্বীপ। এটি 32 বর্গ কিমি একটি ছোট এলাকা জুড়ে। কাভারত্তি দ্বীপ হল লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসনিক সদর দফতর।

এই দ্বীপ গোষ্ঠীর উদ্ভিদ এবং প্রাণীজগতের বিশাল বৈচিত্র্য রয়েছে। জনবসতিহীন পিটি দ্বীপে রয়েছে পাখির অভয়ারণ্য।

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ

বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত দ্বীপগুলির প্রসারিত শৃঙ্খল উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত বিস্তৃত। এগুলি হল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। এরা আকারে বড় এবং আরো অসংখ্য ও বিক্ষিপ্ত। সমগ্র দ্বীপপুঞ্জ দুটি বিস্তৃত শ্রেণীতে বিভক্ত – উত্তরে আন্দামান এবং দক্ষিণে নিকোবর। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই দ্বীপগুলি সাবমেরিন পর্বতগুলির একটি উঁচু অংশ।

এই দ্বীপ গোষ্ঠীগুলি দেশের জন্য অত্যন্ত কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ। এই দ্বীপপুঞ্জের মধ্যেও উদ্ভিদ ও প্রাণীর বিস্তর বৈচিত্র্য রয়েছে। এই দ্বীপগুলি নিরক্ষরেখার কাছাকাছি অবস্থিত এবং নিরক্ষীয় জলবায়ু অনুভব করে এবং ঘন বনের আচ্ছাদন রয়েছে।

থর মরুভূমি জনবিরল কেন, থর মরুভূমি, মরুভূমি

থর মরুভূমি জনবিরল কারণ –

১. চরমভাবাপন্ন জলবায়ু,

২. বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২০ সেলসিয়াসের কম,

৩. শুষ্ক এবং লবণাক্ত মৃত্তিকা,

৪. অনুর্বর মাটি,

৫. কৃষিকাজ তেমন হয় না,

৬. অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা,

৭. জীবিকাও জীবনধারনের অসুবিধা ইত্যাদি কারণে থর মরুভূমি জনবিরল।

নিচে থর মরুভূমি জনবিরল কেন এর কারণ হিসেবে প্রতিটি পয়েন্ট বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো

শুষ্ক আবহাওয়া ও জলের দুষ্প্রাপ্যতা

থর মরুভূমি জনবিরল এর প্রথম কারণ শুষ্ক আবহাওয়া ও জলের দুষ্প্রাপ্যতা
অত্যাধিক শুষ্ক আবহাওয়া ও জলের বিশেষ ভাবে দুষ্প্রাপ্যতা থর মরুভূমিতে জনজীবন গড়ে উঠতে বিশেষ ভাবে বাধা সৃষ্টি করছে।

এই শুষ্ক আবহাওয়ার পেছনে প্রধান কারণ হলো এখানে বাতাসে অত্যন্ত কম জলীয়বাষ্পের উপস্থিতি। সমুদ্র থেকে আসা জলীয়বাস্পপূর্ণ বায়ু এখানে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার জন্য কোনো উচ্চ পর্বতমালা পায় না। তাই বাতাসে থাকা জলীয়বাষ্প বাতাসের সাথে বয়ে যায় ও বৃষ্টি আকারে ঝরে পরে না। তাই থার মরুভূমিতে খুব কম বৃষ্টিপাত হয়।

কথায় আছে জলের আর এক নাম জীবন। তাহলে জল যেখানে নেই সেখানে জীবনও নেই। তাই জীবনধারণ করতে গেলে অক্সিজেনের পরেই জলের সর্বাধিক প্রয়োজন।

এমনিতেই থর মরুভূমিতে তাপমাত্রা দিনের বেলা খব বেশি থাকে এবং সূর্যের প্রখরতায় খুব বেশি থাকে ,এই অবস্থায় যদি জল পর্যাপ্ত পরিমান না থাকে তাহলে ডিহাইড্রেশন হতে যেকোনো প্রাণী ই মারা যেতে পারে।

জল না থাকার কারণে কোনো উদ্ভিদ বা প্রাণী যেমন বাঁচতে পারবে না তেমনি এখানে কোনো শিল্প গড়ে ওঠাও সম্ভব নয়।

তবে, বর্তমানে অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে অর্থাৎ বর্তমানে সামান্য কিছু জনজীবন গড়ে উঠেছে। থর মুরুভুমির জয়সমলির অঞ্চলে পূর্বে কোনো প্রকার জনজীবন ছিল না। কিন্তু বর্তমানে জয়সলমীর অঞ্চলে যথেষ্ট জনজীবন গড়ে উঠেছে। এখানে প্রচুর স্থায়ী বাড়ি ঘর , দোকান , ও বাজার গড়ে উঠেছে।

অত্যাধিক উষ্ণতা যা জীবনধারণের জন্য অনুপযুক্ত

থর মরুভূমি জনবিরল এর অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে অত্যাধিক উষ্ণতা যা জীবনধারণের জন্য অনুপযুক্ত

অত্যাধিক উষ্ণতা থর মরুভূমিতে জনজীবনকে ব্যাহত করছে। গ্রীষ্ম কালে থর মরুভুমিতে তাপমাত্রা দুপুরবেলা 50 – 55 ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড ও চলে যায়। এত উচ্চতাপমাত্রায় যদি যথেষ্ট মাত্রায় মাটিতে জলের সরবরাহ থাকে তবেই উদ্ভিদ বেঁচে থাকতে পারে অন্যথা এই উচ্চতাপমাত্রায় মাটিতে জলের অভাব থাকলে উদ্ভিদের পক্ষে বেঁচে থাকা অসম্ভব।

এত উচ্চতাপমাত্রায় প্রাণীদের পক্ষেও জীবনধারণ করা খুবই সমস্যাজানক কারণ উচ্চ তাপমাত্রায় আপনার শরীরের সমস্ত জল শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে ও আপনি ডিহাইড্র্য়েশন এর সমস্যায় মৃত্যুবরণ করতেও পারেন।

থর মরুভূমি জনবিরল কেন এর অন্যতম কারণ অনুর্বর জমি যা শস্য উৎপাদনের অনুপযুক্ত
থর মরুভূমির মৃত্তিকা অনুর্বর বা অত্যন্ত পাথুরে যা একেবারেই জল ধরণের অনুপযুক্ত। অর্থাৎ , এই মাটিতে চাষবাস করতে গেলে যদি কোনোভাবে জলের বন্দোবস্ত করাও যায় সেই জল মাটিতে দিলেও তা খুব দ্রুত মাটির উপরের স্তর থেকে মাটির নিচের স্তর-এ চলে যাবে।

এর ফলে উদ্ভিদের মূল সেই জলের নাগাল পাবে না।

মাটির সমস্যা

মাটির সমস্যাও থর মরুভূমি জনবিরল হবার অন্যতম কারণ

থর মরুভূমি জনবিরল কেন এর অন্যতম কারণ পাথুরে ও বালিপূর্ণ ভূমি বাসস্থান নির্মাণের অনুপযুক্ত
পাথুরে ও বালিপূর্ণ ভূমি থর মরুভূমিতে গৃহ নির্মাণ কাজের জন্য ও অনুপযুক্ত। অত্যন্ত বেশি বালিযুক্ত মাটি গৃহ নির্মাণকার্যে বাধা সৃষ্টি করছে। খুব বেশি বালিপূর্ণ মাটিতে গৃহের ভীত স্থাপন করা সম্ভব নয়।

তাই থর মরুভূমির বালিপূর্ণ দুর্বল মৃত্তিকা গৃহ নির্মাণের জন্য প্রধান বাধা সৃষ্টি করেছে ও থর মরুভূমিকে জনবিরল করে তুলেছে।

বালিঝড় এর অত্যাধিক প্রাবল্য

থর মরুভুমি এলাকাতে বালিঝড় বা আঁধির অত্যাধিক প্রাবল্যও এখানে জনজীবনকে বিশেষ ভাবে ব্যাহত করেছে।

থর মরুভুমি অঞ্চলে প্রায়ই খুব দ্রুত গতিতে বায়ুপ্রবাহ বা ঝড় দেখা যায়। যদিও এই ঝড় খুব কম সময়ের জন্য হয় কিন্তু তও এই ঝড় এ মরুভূমির যে আলগা বালি তা বাতাসের সাথে বইতে থাকে।

বায়ুর সাথে বয়ে যাওয়া বিপুল পরিমান বালি সূর্যের আলোকেও কিছু সময়ের জন্য ঢেকে দেয় , ফলে একটি অস্থায়ী অন্ধকার পরিবেশের সৃষ্টি হয় , তাই এই ঝড়কে আঁধি বলে।

এই আঁধি ঝড় যেকোনো সামান্য উঁচু স্থান কে বালি দিয়ে ঢেকে দিতে পারে।

উদ্ভিদ ও গবাদিপশু প্রতিপালন করা সম্ভব নয়

থর মরুভূমি জনবিরল কেন এই প্রশ্নের একটি অন্যতম উত্তর হলো এখানে উদ্ভিদ ও গবাদিপশু উৎপাদনের সমস্যা খাদ্যের সমস্যা তৈরী করেছে।

অত্যাধিক উত্তাপ ও জলের সংকট , শুষ্ক আবহাওয়া এই অঞ্চলে উদ্ভিদ উৎপাদন ও গবাদিপশু পালনের ক্ষেত্রে কিছুটা বাধা সৃষ্টি করছে।

উদ্ভিদ ও গবাদিপশুই মানুষের খাদ্য সমস্যার প্রধান সমাধান। তাই যেখানে এই দুটির কোনোটিরই উৎপাদনের অনুকূল পরিবেশ নেই সেখানে মানবজীবন ব্যাহত হচ্ছে।

থর মরুভূমিতেও একই চিত্র দেখা যায়।

এখানেও অত্যাধিক শুষ্ক পরিবেশ, উচ্চতাপ ,রাতে অতিশীতল আবহাওয়া উদ্ভিদ ও গবাদি পশুর বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করেছে , যা থর মরুভূমিকে জনবিরল করে তুলেছে।

চরমভাবাপন্ন জলবায়ু

চরমভাবাপন্ন জলবায়ু থর মরুভূমিকে জনবিরল করে তুলেছে।

শুধু মাত্র উচ্চতাপমাত্রাই নয় রাতে অতিশীতল আবহাওয়াও থর মরুভূমির জনজীবনকে সমস্যার মধ্যে ফেলেছে।

বিশ্বের যেকোনো স্থানে যেখানেই চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া রয়েছে সেখানেই মানবজীবন ব্যাহত হয়েছে। থর মরুভূমিও তাদেরই মধ্যে একটি।

থর মরুভূমি জনবিরল কেন এই আলোচনা করতে করতে আমরা এই আলোচনার প্রায় শেষ অংশে চলে এসেছি। আমরা মোটামুটি সব থেকে প্রবল যে কারণগুলি থর মরুভূমির জনজীবনে সমস্যা সৃষ্টি করেছে সেই কারণগুলি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করলাম।

তবে পূর্বের তুলনায় থর মরুভূমির শহরগুলিতে জনজীবন অনেক বেশি গড়ে উঠেছে। এর কারণ হিসেবে ধরা যেতে পারে ক্রমাগত ভারতবর্ষে জনঘনত্ব বৃদ্ধি।

অন্যদিকে প্রযুক্তির উন্নতিও অনেকাংশে এই দুর্গম স্থানকেও বসবাসের উপযুক্ত করে তুলেছে। বর্তমানে থর মরুভূমির শহরগুলিতে চাষবাস ও মৎস উৎপাদোনের মতো জলনির্ভর উৎপাদন শিল্পগুলিও বেড়েছে।

FAQ’s | থর মরুভূমি জনবিরল কেন

Q1. থর মরুভুমি কোথায় অবস্থিত ?

Ans – থর মরুভুমি ভারতবর্ষের রাজস্থানে অবস্থিত। তবে এই থর মরুভূমির ১৫% অঞ্চল পাকিস্তান সরকারের অঞ্চলের মধ্যে

Q2. থর মরুভুমি সৃষ্টির কারণ কি ?

Ans – এক সময় এই থর মরুভূমির অঞ্চলে বিশাল সমুদ্র ছিল। ভুমধ্যস্ত প্লেটের চলাচলের কারণে নিচের অঞ্চল উপরে উঠে আস্তে থাকে ও সমুদ্র সরে গিয়ে ধীরে ধীরে এখানে সমভূমি সৃষ্টি হয়। এখানে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হতে থাকে ও গভীর জঙ্গল গড়ে ওঠে।
পরে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে এখানে বৃষ্টিপাত কমতে থাকে ও একসময় বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এখানে জঙ্গল নষ্ট হয়ে গিয়ে একটি মরুভূমির সৃষ্টি হয়।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

ওয়ার্ল্ড & ইন্ডিয়ান জিওগ্রাফি (বাঙ্গালী) ভোল-১

ওয়ার্ল্ড & ইন্ডিয়ান জিওগ্রাফি (বাঙ্গালী) ভোল-১


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে
Exit mobile version