Site icon prosnouttor

কেন্দ্রীয় প্রবণতা কি, কেন্দ্রীয় প্রবণতা কাকে বলে, কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ কয়টি

কেন্দ্রীয় প্রবণতা কি, কেন্দ্রীয় প্রবণতা কাকে বলে, কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ কয়টি

কেন্দ্রীয় প্রবণতা কি, কেন্দ্রীয় প্রবণতা কাকে বলে, কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ কয়টি

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

কেন্দ্রীয় প্রবণতা কি

কেন্দ্র বলতে যেহেতু মাঝামাঝি স্থান কে বোঝায়, কেন্দ্রীয় বলতে তাই মাঝের বা মাঝের দিকে বোঝায়। কোনো কিছু মাঝ বরাবর থাকা কে কেন্দ্রীয় বলা হয়ে থাকে। পরীক্ষা কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ভোটদান কেন্দ্র ইত্যাদি কেন্দ্র সম্পর্কিত উদাহরণ। ইংরেজী Center শব্দের অর্থ কেন্দ্র এবং Central শব্দের অর্থ কেন্দ্রীয়।

প্রবণতা- প্রবণতা বলতে অধিক ইচ্ছা কে বোঝানো হয়। কোনো কিছু পাবার বা কোথাও যাওয়ার অধিক ঝোক বা ইচ্ছা কে প্রবণতা বলে। রহিমের সংবাদপত্র পড়ার ঝোক বা খুব ইচ্ছা রয়েছে এটা না বলে, রহিমের সংবাদপত্র পড়ার প্রবণতা রয়েছে, এটাও বলা যেতে পারে।

অর্থাৎ প্রবণতা বলতে অধিক ঝোক বা অধিক ইচ্ছা কে বা কিছু করার অভ্যাস কে বোঝানো হয়ে থাকে। বর্তমানে ছেলে মেয়েদের গেম খেলার নেশা বা ঝোক রয়েছে না বলে গেম খেলার প্রবণতা রয়েছে বলা যেতে পারে। অর্থাৎ প্রবণতা হলো এক ধরনের অভ্যাস বা ইচ্ছা বা কিছু করার ঝোক। ইংরেজী Tendency শব্দের বাংলা আভিধানিক অর্থ প্রবণতা।

পুঞ্জিভূত – পুঞ্জিভূত শব্দের অর্থ একত্রিত করা বা জমানো। ইংরেজী Accumulated শব্দের অর্থ পুঞ্জিভূত। চারিদিক থেকে এসে এক জায়গাতে এসে জড়ো হওয়া কে পুঞ্জিভূত বলে। শীতের দিনে আগুনের পাশে এসে জড়ো হয়ে বসা কে পুঞ্জিভূত হয়ে বসা বলা যেতে পারে। অর্থাৎ পুঞ্জিভূত বলতে চারিদিক থেকে এসে কোনো স্থানে জড়ো হওয়াকে বোঝানো হয়ে থাকে।

কেন্দ্রীয় প্রবণতা কাকে বলে

কেন্দ্রীয় প্রবণতার অর্থ হল কেন্দ্রের দিকে যাওয়ার ঝোক। একগুচ্ছ স্কোরে পৃথক মানের স্কোর থাকলে তাদের ভরকেন্দ্র যাওয়ার ঝোঁক বা প্রবণতা থাকে। এটাই হলো কেন্দ্রীয় প্রবণতা। অর্থাৎ যে সমস্ত বন্টনের প্রতিনিধি স্বরূপ কাজ করে। কেন্দ্রীয় প্রবণতা বা কেন্দ্রীয় অবস্থানের সূচক একটি বন্টনের বিভিন্ন স্কোরের মধ্যে পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও তাদের মাঝামাঝি যাওয়ার একটি প্রবণতা থাকে।

কেন্দ্রীয় প্রবণতার উদাহরণ

যেমন কোনো একটি বিদ্যালয়ে কোনো একটি শ্রেণিতে তিনটি Section রয়েছে। এই তিনটি Section এ বিজ্ঞান বিষয়ে পারদর্শিতার অভীক্ষা প্রয়োগ করা হবে।

যদি তিনটি Section-এ পারদর্শিতার তুলনা বিচার করতে চাওয়া হয়, তাহলে একটি উপায় হল তিনটি পরিসংখ্যা বিভাজনকে পাশাপাশি রেখে বিচার করা। তবে এইভাবে বিচার অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ও এইভাবে যে সিদ্ধান্তে আসা যাই, তা কখনোই নির্ভরযোগ্য হতে পারে না।

কিন্তু যদি পরিসংখ্যা বিভাজনের অনেকগুলি সাংখ্যমানের পরিবর্তে এমন একটি মান থাকে যার দ্বারা নির্দিষ্ট তিনটি Section-এর অগ্রগতি প্রকাশ করা সম্ভব হয়, তাহলে কাজ সহজ হয়।

এক্ষেত্রে ওই বিদ্যালয়ের তিনটি শ্রেণির প্রত্যেক Section-এ পারদর্শিতা ব্যাখ্যা করার জন্য একটি করে সাংখ্যমান নির্ণয় করা যেতে পারে। এই সাংখ্যমান প্রাপ্ত সাংখ্যমান গুচ্ছের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করতে পারে। এই প্রতিনিধি স্থানীয় মানই হল রাশিবিজ্ঞানে কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ।

কেন্দ্রীয় প্রবণতা সম্পর্কে মূল কথা

১. তথ্য উপাত্তের কেন্দ্রের দিকে পুঞ্জিভূত হওয়ার প্রবণতা কে কেন্দ্রীয় প্রবণতা বকে।
২. কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপের পদ্ধতি তিনটি।
৩. কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ গুলো হলো, গড়, মধ্যক ও প্রচুরক।
৪. গড় মাঝামাঝি মান নির্ণয়ে ব্যবহার করা হয় বলে এটি কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপের পদ্ধতি।
৫. মধ্যক মাঝামাঝি মান নির্ণয় করতে ব্যবহার করা হয়। তাই মধ্যক কেন্দ্রীয় প্রবণতার একটি পরিমাপক।
৬. প্রচুরক সবসময় মাঝামাঝি স্থানে থাকে তাই প্রচুরক পদ্ধতি কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপের অন্যতম একটি পদ্ধতি।

কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ কয়টি

কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপগুলো হলো : ১। গাণিতিক গড় বা গড়, ২। মধ্যক ও ৩। প্রচুরক।

কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপের জন্য কতকগুলো বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে। পদ্ধতিগুলো নিরূপ-

১। গড় (Mean) গড় আবার তিন ধরনের। যথা-

  1. যোজিত গড় (Arithmetic Mean)
  2. গুণিতক গড় (Geometric Mean)
  3. উল্টন গড় (Harmonic Mean)

২। মধ্যক (Median)

৩। প্রচুরক (Mode)

এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল নীচে –

গড় (Mean) কাকে বলে

সাধারণ অর্থে গড় বলতে সমজাতীয় রাশিমালার অন্তর্ভুক্ত রাশিগুলির সমষ্টিকে রাশির সংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে যে ভাগফল পাওয়া যায় তাকেই বোঝায়। (Mean is the sum of the separate scores or measures divided by their numbers)

গড় নির্ণয়ের পদ্ধতি :

গড় নির্ণয়ের দুটি পদ্ধতি রয়েছে। এগুলো হলো –

  1. দীর্ঘ পদ্ধতি (Long method)
  2. সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি (Short method) বা কল্পিত গড় পদ্ধতি (Assumed Mean Method).

গড়ের ধর্ম :-

গড় সুবিধা :-

গড়ের অসুবিধা :-

গড়ের ব্যবহার :-

গড় (Mean) ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় তখনই যখন-

গড়ের প্রকারভেদ :-

যোজিত গড় (Arithmetic Mean)

কোন পর্যবেক্ষণে কতকগুলো রাশির সমষ্টিকে রাশিগুলোর সংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে যে ভাগফল পাওয়া যায় তাকে ঐ রাশিগুলোর যোজিত গড় বলে।

যোজিত গড়ের সুবিধা:

যোজিত গড়ের অসুবিধা :-

যোজিত গড়ের বৈশিষ্ট্যসমূহ:

যোজিত গড় কেন্দ্রীয় প্রবণতার একটি পরিমাপক। তথ্য অনুক্রমের কেন্দ্রস্থলে এর অবস্থান। ফলে এর কতগুলো যোজিত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বৈশিষ্ট্যগুলো হলো-

যোজিত গড়ের ব্যবহার :-

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন বক্তব্য যেমন, কোন দ্রব্যের গড় ক্রয়মূল্য, কোন পণ্যের গড় আমদানি, মাসিক গড় আয়, শিল্প পণ্যের গড় চাহিদা ইত্যাদি বিষয়ক ধারণার সম্মুখীন হই। এক্ষেত্রে প্রকৃতপক্ষে যোজিত গড় ব্যবহৃত হয়।

কোন বিষয়ের সময়ের ভিত্তিতে সাজানো তথ্যকে সুষম করার জন্য অর্থাৎ বিভিন্ন মাসে উৎপাদন বিভিন্ন রকম হলেও প্রতিমাসে একটি প্রতিনিধিত্বশীল উৎপাদন সম্পর্কে বুঝানোর ক্ষেত্রে যে গড় ব্যবহৃত হয়, তা হলো যোজিত গড়।

সূচক সংখ্যা পরিগণনায়ও যোজিত গড় ব্যবহৃত হয়। যোজিত গড় ছাড়া সম্মিলিত গড় বের করা সম্ভব নয়।

গুণিতক গড় (Geometric mean ) :-

কোন সিরিজের n সংখ্যক অশূন্য ধনাত্নক রাশিগুলোর গুণফলের n তম মূলকে গুণিতক গড় বলে।

গুণিতক গড়ের সুবিধা :-

গুণিতক গড়ের অসুবিধা :-

উল্টন গড় (Hermonic mean) :-

অশূন্য কোন সিরিজের উপন সংখ্যাগুলো ঘোষিত গড়ের উস্টনকে উল্টন গড় বলে।

উল্টন গড়ের সুবিধা:

উল্টন গড়ের অসুবিধা :

ব্যবহার:

যখন পর্যবেক্ষণসম nকে হার, বেগ এবং মূল্য ইত্যাদিতে প্রকাশ করা হয় তখন উল্টন গড় ব্যবহার করা হয়।

মধ্যমমান (Median) বা মধ্যক:

মধ্যক কেন্দ্রীয় প্রবণতার অন্য একটি পরিমাপক। যেসব ক্ষেত্রে যোজিত গড় নির্ণয় করা সম্ভব নয় অথবা, যোজিত গড় কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপক হিসাবে কম উপযোগী সেসব ক্ষেত্রে মধ্যক পরিমাপক ব্যবহার করা যেতে পারে।

মানের ঊর্ধ্ব অথবা নিম্নক্রম অনুসারে সাজানো কোন তথ্য অনুক্রমের যে সংখ্যাটি অনুক্রমটিকে সমান দুভাগে বিভক্ত করে তাকে মধ্যক বলে।

যদি রাশিমালার অন্তর্গত রাশিগুলিকে মনের ভ্রমানুসারে (বড়ো থেকে ছোটো অথবা ছোটো থেকে বড়ো) সাজানো হয়, তাহলে সজ্জিত রাশিমালার কেন্দ্রীয় বা মাঝের রাশিটির মানকে বলা হয় ওই রাশিমালার মিডিয়ান বা মধ্যমমান।

মধ্যক পরিসংখ্যান সারিকে সমান দুভাগে ভাগ করে, একদিকে থাকে মধ্যক থেকে কম মানের সব সংখ্যা এবং অন্যদিকে থাকে মধ্যক থেকে বৃহত্তর মানের সমস্ত সংখ্যা। তাই কোন তথ্যসারিকে সাজানোর পর সমান দুভাগে ভাগ করলে যে মধ্যবর্তী রাশিটি পাওয়া। যায় সে মানই হচ্ছে মধ্যক।

মধ্যকের ধর্ম (Properties of Median):

মধ্যকের ব্যবহার (Uses of Median) :

মধ্যক ব্যবহার করা প্রয়োজন হয় তখনই যখন রাশিমালায়

যখন বণ্টনটি অধিকমাত্রায় মিউড (Skewed) হয়।

মধ্যমমানের সুবিধা (Merits of Medians):

মধ্যমান ব্যবহারের সুবিধাগুলি হল—

মধ্যমানের অসুবিধা (Demerits of Medians):

মধ্যমান ব্যবহারের অসুবিধাগুলি হল—

প্রচুরক বা ভূমিষ্ঠক (Mode):

যে রাশিটি রাশিমালার মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার পুনরাবৃত্তি হয় তাই হল রাশিমালার ভূমিষ্ঠ বা মোড। (Mode is that single measure or Score which occurs most frequently)

কোন পরিসংখ্যান তথ্যসারিতে যে সংখ্যাটি বা রাশিটি সর্বাধিক পরিলক্ষিত হয় তাকেই ঐ তথ্যরাশির প্রচুরক বা ভূমিষ্ঠক (Mode) বলা হয়।

প্রাপ্ত স্কোরগুলির মধ্যে যে স্কোরটির পুনরাবৃত্তির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, সেই স্কোরটিকে বলা হয় প্রাপ্ত স্কোরগুচ্ছের মোড।

যদি কোনো পরিসংখ্যা বিভাজনে একটি সংখ্যা অধিকবার থাকে তাহলে তাকে এক সংখ্যা ভূয়িষ্ঠক সংবলিত পরিসংখ্যা বিভাজন (Unimodal frequency distribution) বলে।

আবার যদি কোনে পরিসংখ্যা বিভাজনে দুটি বা তার অধিক সংখ্যা বেশি বার থাকে তাহলে তাকে যথাক্রমে দুই বা বহুসংখ্য ভূমিষ্ঠক সংবলিত পরিসংখ্যা বিভাজন (Bimodal or multimodal frequency distribution) বলে।

যেমন — 12, 15, 20, 18, 17, 16, 20 এখানে Mode = 20 অর্থাৎ এই পরিসংখ্যান বিভাজনটি unimodal আবার 12, 15, 18, 18, 20, 17, 22, 20, 18 20 উপরোক্ত পরিসংখ্যা বিভাজনের Mode এর মান 18 ও 20 কারণ দুটি সংখ্যাই ৩ বার করে রয়েছে। অর্থাৎ বণ্টনটি Bimodal।

ভূয়িষ্ঠক বা Mode-এর ধর্ম :-

ভূয়িষ্ঠক বা Mode-এর সুবিধা :-

ভূয়িষ্ঠক বা Mode-এর অসুবিধা (Demerits)

ভূয়িষ্ঠক বা Mode-এর ব্যবহার:

কেন্দ্রীয় প্রবণতার শিক্ষামূলক গুরুত্ব

কেন্দ্রীয় প্রবণতা বা গণসংখ্যার মাঝামাঝি অবস্থান নির্ণয় করার ৩ টি পদ্ধতি রয়েছে।

গাণিতিক গড়ের শিক্ষামূলক গুরুত্ব

(১) প্রকৃত কেন্দ্রীয় প্রবণতার মানটি জানা অপরিহার্য হয়ে পড়ে।

(২) ব্যাপক তাৎপর্য নির্ণয় করা হয়।

(৩) শিক্ষার্থীদের দুটি দলের মধ্যে তুলনামূলক বিচার করা হয়।

(৪) কোন শিক্ষার্থীর যোগ্যতা বিচার করতে গড়ের প্রয়োজন হয়।

(৫) বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পারদর্শিতার মান সম্পর্কে তথ্য  নির্ণয় করা যায়।

(৬) ছাত্রছাত্রীদের সাফল্যের গড় মান নির্ণয় করা সম্ভব।

(৭) সহ-সম্পর্ক নির্ণয়ের মাধ্যমে দুটি বিষয়ের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে বের করা হয়। এই গাণিতিক সমাধানে গড়-এর ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ।

মধ্যমমানের শিক্ষামূলক গুরুত্ব

(১) কোনো বন্টনের মধ্যবিন্দু শুধুমাত্র নির্ণয় করা হয়।

(২) বন্টনের মধ্যে কোনো স্কোর উপরের অর্ধেক আছে বা নীচের অর্ধে আছে তা জানা যায়।

(৩) এর মান নির্ণয়ের বীজগণিতের নিয়মের সহজ প্রয়োগ সম্ভব। 

(৪) কেন্দ্রীয় মান অপেক্ষাকৃত দ্রুত নির্ণয় করা যায়। 

(৫) বুদ্ধি, কর্মদক্ষতা, সততা প্রভৃতি বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে মিডিয়ান ব্যবহৃত হয়।

ভূয়িষ্ঠ এর শিক্ষামূলক গুরুত্ব

(১) রাশিতথ্যমালায় কোন সংখ্যাটি সবচেয়ে বেশিবার আছে তা জানার প্রয়ােজন হয়।

(২) কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ দ্রুত নির্ণয় করা প্রয়োজন।

(৩) গুণগত বৈশিষ্ট্য পরিমাপ করতে হয়।

(৪) বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী কোন স্কোর পেয়েছে তা জানতে মোড় ব্যবহার করা হয়।

(৫) যখন জানতে চাওয়া হয় কোন্ স্কোর বা কোন্ কোন্ স্কোর বণ্টনের মধ্যে বেশিবার ব্যবহৃত হয়েছে।

শিক্ষাক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ গুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । নিম্নে শিক্ষাক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় প্রবণতার গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করা হল – 

1.  তথ্যের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা প্রদান : শিক্ষামূলক বিভিন্ন তথ্যসারির সকল তথ্যের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ গুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

2. তুলনামূলক : এক বা একাধিক তথ্যসারির মধ্যে তুলনা করা সহজ হয় কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপের সাহায্যে।

3. সমগ্রক সম্পর্কে ধারণা লাভ : কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ গুলি সাহায্যে সমগ্রক সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়।

4. তত্ত্বের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ এর সাহায্য করে : কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ গুলি সামাজিক, রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক ও অন্যান্য গবেষণাকর্মে প্রাপ্ত তথ্য ব্যাখ্যা , বিশ্লেষণ ও তাৎপর্য নির্ণয় সহযোগিতা করে। 

5. সম্পর্ক নির্ণয় : শিক্ষামূলক রাশিবিজ্ঞানে কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ শিক্ষামূলক তথ্যের মধ্যে তুলনামূলক সম্পর্ক নির্ণয় করতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

6. শিক্ষার্থীদের অবস্থান : শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপের মান গুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

7. শিক্ষার্থীর পারদর্শিতা নির্ণয় : শিক্ষার্থীর পারদর্শিতার নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ গুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

8. একগুচ্ছ স্কোরের প্রতিনিধি : কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ গুলি একগুচ্ছ স্কোরের প্রতিনিধি রূপে কাজ করে যা শিক্ষামূলক রাশিবিজ্ঞানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

কেন্দ্রীয় প্রবণতার নির্ভরযোগ্য পরিমাপ কোনটি এবং কেন

কেন্দ্রীয় প্রবণতার কোন একক “সেরা” পরিমাপ নেই যা সমস্ত পরিস্থিতিতে প্রযোজ্য। কেন্দ্রীয় প্রবণতার একটি পরিমাপের পছন্দ ডেটার ধরন, ডেটা বিতরণ এবং বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে। কেন্দ্রীয় প্রবণতার তিনটি সর্বাধিক ব্যবহৃত পরিমাপ হল গড়, মধ্যমা এবং মোড। এখানে প্রতিটি পরিমাপের একটি সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা এবং কখন এটি ব্যবহার করা যেতে পারে:

গড়: একটি ডেটা সেটের সমস্ত মান যোগ করে এবং মোট মানের সংখ্যা দিয়ে ভাগ করে গড় গণনা করা হয়। গড় হল কেন্দ্রীয় প্রবণতার সর্বাধিক ব্যবহৃত পরিমাপ, এবং এটি প্রায়শই ব্যবহৃত হয় যখন ডেটা সাধারণত বিতরণ করা হয় (অর্থাৎ ঘণ্টার আকৃতির) এবং কোনও চরম মান নেই। যাইহোক, গড় চরম মান বা আউটলারের প্রতি সংবেদনশীল হতে পারে, যা সামগ্রিক মানকে বিকৃত করতে পারে। এই ধরনের ক্ষেত্রে, মধ্যম ব্যবহার করা একটি ভাল পছন্দ হতে পারে।

মধ্যক: মধ্যমা হল একটি ডেটা সেটের মধ্যম মান যখন মানগুলিকে সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ পর্যন্ত সাজানো হয়। ডেটা সেটের চরম মান বা আউটলায়ার থাকলে মিডিয়ান একটি ভাল পছন্দ, কারণ এটি তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয় না। যখন ডেটা সাধারণত বিতরণ করা হয় না তখন মধ্যমাটিও একটি ভাল পছন্দ, এবং এটি প্রায়শই ননপ্যারামেট্রিক পরিসংখ্যান পরীক্ষায় ব্যবহৃত হয়।

মোড: মোডটি একটি ডেটা সেটে সবচেয়ে ঘন ঘন ঘটতে থাকা মান। মোডটি একটি ভাল পছন্দ যখন ডেটা সেটটি শ্রেণীবদ্ধ বা বিচ্ছিন্ন হয় এবং এটি প্রায়শই নামমাত্র ডেটা (যেমন, প্রিয় রঙ) বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়। মোডটি ক্রমাগত ডেটার জন্য কম ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি ডেটার জন্য একটি প্রতিনিধি মান প্রদান করতে পারে না।

সংক্ষেপে, কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপের পছন্দ নির্ভর করে ডেটার ধরন, ডেটা বিতরণ এবং বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যের উপর। কেন্দ্রীয় প্রবণতার তিনটি পদক্ষেপেরই তাদের শক্তি এবং দুর্বলতা রয়েছে এবং সর্বোত্তম পছন্দটি ডেটা বিশ্লেষণের নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করে।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | প্রবণতা

Q1.  মধ্যক নির্ণয়ের জন্য উপাত্তগুলো কোন ধরনের হতে হয়?

উত্তর : বিন্যস্ত।

Q2. ৪, ৬, ৭, ৯, ১২ সংখ্যাগুলোর মধ্যক কোনটি?

উত্তর : ৭।

Q3. কোনটি বিন্যস্ত উপাত্তকে সমান দুই ভাগে ভাগ করে?

উত্তর : মধ্যক।

Q4. কোনটির মাধ্যমে সংগৃহীত উপাত্তের বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজতর হয়?

উত্তর : মধ্যক।

Q5. ৮, ৯, ১০, ১২, ১৪, ১৬ সংখ্যাগুলোর কোনটি মধ্যক?

উত্তর : ১১।

Q6. ৭, ১০, ১২, ১১, ১৪, ৮, ৬, ৪ সংখ্যাগুলোর মধ্যক কত?

উত্তর : ৮।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে
Exit mobile version