Site icon prosnouttor

বনসৃজন কাকে বলে, সামাজিক বনসৃজন কাকে বলে, কৃষি বনসৃজন কাকে বলে

বনসৃজন কাকে বলে, সামাজিক বনসৃজন কাকে বলে, কৃষি বনসৃজন কাকে বলে

বনসৃজন কাকে বলে, সামাজিক বনসৃজন কাকে বলে, কৃষি বনসৃজন কাকে বলে

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

প্রশ্নপত্র

বনসৃজন কাকে বলে

গাছ কার্বন ডাইঅক্সাইড আত্মস্থ করে ফিরিয়ে দেয় প্রাণধারণের জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন। মানুষের জীবনের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে মুক্ত করতে, বন্যা ও ভাঙন রােধে, নানা রােগ প্রতিরােধে, আবহাওয়া ও জলবায়ুর ভারসাম্য বজায় রাখতে—বনসৃজন ও সংরক্ষণের প্রয়ােজনীয়তা অপরিসীম। গাছ প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখে।

বনসৃজন এর প্রয়োজনীয়তা কী, বনসৃজন এর প্রয়োজনীয়তা

বৃক্ষ আমাদের পরম বন্ধু। বৃক্ষ শুধু প্রাকৃতিক শোভাই বাড়ায় না, মাটির ক্ষয় রোধ করে, বন্যা প্রতিরোধ করে, ঝড় তুফানকে বাধা দিয়ে জীবন ও সম্পদ রক্ষা করে। আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণেও বৃক্ষের ভূমিকা অপরিসীম। বৃক্ষ ছাড়া পৃথিবী মরুভূমিতে পরিণত হতো। বৃক্ষ অক্সিজেন সরবরাহ করে আমাদের বাঁচিয়ে রাখে।

বনসৃজন প্রয়োজনীয়তা

আমাদের জীবনে বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বৃক্ষ থেকে পাওয়া অক্সিজেন গ্রহণ করেই আমরা বেঁচে থাকি। বৃক্ষ আমাদের পরিবেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং অন্যতম বনজ সম্পদ। বৃক্ষের পাতা, ফল ও বীজ আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি। বৃক্ষ থেকে তন্তু আহরণ করে আমাদের পরিধেয় বস্ত্র প্রস্ত্তত করা হয়। বৃক্ষ থেকে প্রাপ্ত কাঠ দিয়ে আমাদের বাড়িঘর ও আসবাব তৈরি করা হয়। আমাদের অতি প্রয়োজনীয় লেখার সামগ্রী কাগজ ও পেনসিল বৃক্ষের কাঠ দিয়েই তৈরি করা হয়।

আমাদের রোগ নিরাময়ের ওষুধও এই বৃক্ষ থেকেই তৈরি করা হয়।

জীবন ও পরিবেশ রক্ষায় বনসৃজন

জীবজগতকে ছায়া দিয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে বৃক্ষ। বিস্তৃত বনাঞ্চলের বৃক্ষ জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ুকে ঘনীভূত করে বৃষ্টিপাত ঘটায়। বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস গ্রহণ করে বৃক্ষ অক্সিজেন গ্যাস ছেড়ে দেয়, যা মানুষ ও অন্য প্রাণীকুল শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য গ্রহণ করে।

সামাজিক বনসৃজন কাকে বলে, সামাজিক বনসৃজন কি, সামাজিক বনসৃজন কী

কোনো সামজিক পরিবেশের অন্তর্গত ফাঁকা জায়গায়, রাস্তার পাশে, পতিত জমিতে বা অন্য কোনো ফাঁকা জায়গায় বন সৃজনকে সামাজিক বনসৃজন বলে। এখানে সাধারণত স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহনের দ্বারা বৃক্ষরোপণ করা ও রোপিত বৃক্ষের যত্ন করানো হয় এবং বৃক্ষ গুলি থেকে উৎপাদিত দ্রব্য সকলের মধ্যে সমান ভাবে বন্টন করা হয়। অন্য ভাবে বলতে গেলে সামাজিক বনসৃজন হল – “forestry by the people, of the people for the people”.

১৯৭৬ সালে ‘ভারতের জাতীয় কৃষি কমিশন’ এর সম্মেলনে প্রথম সামাজিক বনসৃজন কথার ব্যবহার করা হয়। তখন থেকে সামাজিক বনসৃজন প্রকল্পও গ্রহন করা শুরু হয়। অরণ্য গুলি থেকে জ্বালানি কাঠ, ফলমূল সংগ্রহ, পাতা ও উপজাত দ্রব্য সংগ্রহ ও অর্থের জোগান দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে এই প্রকল্প গড়ে ওঠে।

সামাজিক বনসৃজন সাধারণত পতিত জমিতে করা হয়ে থাকে। কৃষি দপ্তর ও ICAR প্রদত্ত একটি অনুমান অনুসারে ভারতে পতিত জমির পরিমান ৬.৪ কোটি থেকে ১৮.৮ কোটি হেক্টর । ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং এজেন্সি ও ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ এগরিক্যালচারাল সায়েন্স এর মতে ভারতে পতিত জমির পরিমান ১২ কোটি হেক্টর। ভারতে এই বিপুল পরিমান জমিকে সামাজিক বনসৃজন প্রকল্পের অধীনে আনা যেতে পারে।

সামাজিক বনসৃজন এর সংজ্ঞা দাও, সামাজিক বনসৃজনের সংজ্ঞা দাও ।

সামাজিক বনসৃজন বহু উদ্দেশ্যে সার্বিক প্রকল্প । সামাজিক বনসৃজন বলতে সমাজের মানুষকে যুদ্ধ করে তাদের উপকারার্থে বনসৃজন বোঝায় । ভারতে প্রায় চার কোটি হেক্টর জমিতে সামাজিক বনসৃজনের অবকাশ আছে । এই কর্মধারা ব্যাপক । মিশ্র বনভূমির সৃষ্টির মাধ্যমে জ্বালানী কাঠ , ফল – ফুল, পশুখাদের যোগান প্রভৃতি জনমুখী কাজের মাধ্যমে জনগণের সামগ্রিক উন্নতি ঘটানোর জন্য সামাজিক বনসৃজন হাতে নেওয়া হয়েছে । একাজে সরকারী ও বেসরকারী সংস্থা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাজ করে চলেছে ।

সামাজিক বৃক্ষরোপণ পরিকল্পনা অনুসারে সমাজের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ সাধনের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত অরণ্য সীমার বাইরে বিভিন্ন ধরনের অব্যবহৃত ও পতিত জমিতে অরণ্য সৃষ্টির উদ্যোগকে সামাজিক বনসৃজন বলে।

মূলত সরকারী মালিকানাধীন অব্যবহৃত ফাঁকা জমি এবং পতিত জমিতে একক বা যৌথ উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ করাকে সামাজিক বনসৃজন (Socialforestry) বলে।

সামাজিক বনসৃজন এর দুটি উদাহরণ

5টি বিভিন্ন ধরণের সামাজিক বনসৃজন রয়েছে, যা নীচে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

পরিবহন, পরিবেশ ও জল সংরক্ষণ, কৃষি উন্নয়ন, বাণিজ্যিক উন্নয়ন ইত্যাদি সামাজিক বনসৃজন উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হতে পারে।

সামাজিক বনসৃজন এর প্রয়োজনীয়তা গুলি কি কি

সামাজিক বনসৃজন বহু উদ্দেশ্যে সার্বিক প্রকল্প । এর প্রয়োজনীয়তা হল : –

i ) অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যবহৃত , পরিত্যক্ত জমি অর্থনৈতিকভাবে সফল পদ্ধতিতে ব্যবহার করা । যায় । ফলে জমির অর্থনৈতিক মান বৃদ্ধি পায় ।

ii ) ছদ্ম – বেকারত্ব নিয়ন্ত্রণ : স্থানীয় কৃষক মধু , মোম , ফল – ফুল উৎপাদন করে । ফলে বেকারত্ব দূর হয় ।

iii ) পরিবেশকেন্দ্রিক সমাজ গাছপালার সঙ্গে মানুষের নৈকট্য স্থাপিত হওয়ায় পরিবেশকেন্দ্রিক সমাজ গড়ে ওঠে ।

iv ) প্রাকৃতিক ভারসাম্য : এর ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করা যায় । পরিবেশতন্ত্র সুরক্ষিত হয় ।

v ) অন্যান্য : এছাড়া পশুখাদ্যের যোগান বৃদ্ধি , পর্যটন , জ্বালানী কাঠের যোগান পাওয়া যায় ।

সামাজিক বনসৃজন এর উদ্দেশ্য গুলি কি কি, সামাজিক বনসৃজন এর দুটি উদ্দেশ্য, সামাজিক বনসৃজনের উদ্দেশ্য

সামাজিক উদ্দেশ্য সাধনের উদ্দেশ্যেই সামাজিক বনসৃজন প্রকল্প গ্রহন করা হয়। এর মূল লক্ষ্য হল গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র জনসাধারনের জীবনযাত্রার মানের উন্নতি ঘটানো। ফলে জনমুখী কাজের উদ্দেশ্য ও বনভূমির উপর চাপ হ্রাসের মধ্যে দিয়ে গ্রামাঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও অরণ্য সংরক্ষণের মূল লক্ষ্য নিয়েই এই বনসৃজন গড়ে ওঠে।

সামাজিক বনসৃজন – এর উদ্দেশ্যগুলি হলো নিম্নরূপ

  1. বিভিন্ন বৃক্ষজাত উপকরণ যেমন – পাতা, ফুল, ফল, শুকনো কাঠ, রজন, মধু, মোম প্রভৃতি সংগ্রহের মধ্য দিয়ে সমাজের গরীব, দুঃস্থ মানুষদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা ।
  2. পতিত, অনাবাদী জমির উর্বরতা পুনরুদ্ধার করা ।
  3. ভূমিক্ষয়ের পরিমান হ্রাস করা ।
  4. ভূদৃশ্যাবলীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি, এলাকাবাসীর বনভূমিকেন্দ্রিক সবুজ বিনোদনের ব্যবস্থা করা ।
  5. পরিবেশের ক্ষতিকর উপাদানজনিত দূষণ হ্রাস করা ।
  6. সংরক্ষিত বনভূমি, সুরক্ষিত বনভূমি, অভয়ারণ্য প্রভৃতির সহায়ক হিসাবে এদের উপর চাপ হ্রাস করা ।
  7. রাস্তার পাশে ছায়াশীতল পরিবেশ সৃষ্টি করা ।

সামাজিক বনসৃজনের প্রকৃতি

সামাজিক বনসৃজন একটি বহুমুখী উদ্দেশ্য সাধক প্রকল্প এবং এর কর্মসূচি ব্যাপক। কৃষি জমির আশে পাশে অব্যবহৃত জমিতে কৃষি বনায়নের কাজ হাতে নেওয়া, মিশ্র বনভূমি সৃষ্টির মাধ্যমে জ্বালানি কাঠ ও ফলমূল সংগ্রহ করা অথবা পশু খাদ্যের যোগান দেওয়া, আমোদ-প্রমোদের উদ্দেশ্যে বনসৃজন করা ইত্যাদি নানা জনমুখী কাজের মাধ্যমে জনগণের সর্বাঙ্গীণ উন্নতি ঘটানোর উদ্দেশ্যে সামাজিক বনসৃজন পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়।

সামাজিক বনসৃজন কিভাবে গড়ে ওঠে

National Commission on Agriculture- এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে প্রায় 4 কোটি হেক্টর জমিতে সামাজিক বনসৃজনের অবকাশ রয়েছে । এই কাজে বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী সংস্থা ছাড়াও বিশ্বব্যাঙ্ক , গ্রীনপীস , WWF ( World Wildlife Foundation ) হাত বাড়িয়ে দিয়েছে । ভারতে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এই সামাজিক বনসৃজনে জোর দেওয়া হয়েছে । এছাড়া সুন্দরলাল বহুগুণা ও চণ্ডীপ্রসাদ ভাটের নেতৃত্বে “ দশেলী গ্রাম স্বরাজ্য সেবা সংঘ ” প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে । তবে আরো ব্যাপক কর্মসূচীর মাধ্যমে ভারতের সামাজিক বনসৃজন আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে ।

সামাজিক বনসৃজন এর গুরুত্ব, সামাজিক জনসৃজনের সুবিধা 

উপরিক্ত উদ্দেশ্য নিয়ে সামাজিক বনসৃজন প্রকল্প গড়ে উঠলেও এর আরও কিছু সুবিধা রয়েছে, যার মাধ্যমে বৃহত্তর উদ্দেশ্য সাধিত হয়। যেমন –

কৃষি বনসৃজন কাকে বলে, কৃষি বনসৃজন কি

FAO, – 1980 র মত অনুসারে কৃষকের নিজের অধিকারভুক্ত কৃষি বা জমিতে কৃষিফসল উৎপাদনের পাশাপাশি কাঠ, সবুজ সার, ওষুধ, ছায়া, ফলমূল ইত্যাদি আহরণের জন্য গাছপালা  লাগিয়ে যে বনভূমি গড়ে তোলা হয়, তাকে কৃষি-বনসৃজন বা কৃষি অরণ্য বা অ্যাগ্রো ফরেস্ট্রি (Agro-Forestry) বলে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষক উৎপাদক থেকে সংগঠকে পরিণত হয়।

কৃষি বনসৃজন বলতে কী বোঝো

কৃষকের নিজের অধিকারভুক্ত , কৃষি পতিত জমিকে কৃষি ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি কাঠ , সবুজ সার , ঔষধ , ছায়া , ফলমূল প্রভৃতি আহরণের জন্য গাছপালা লাগিয়ে যেসব বনভূমি গড়ে তোলা হয় , তাকে কৃষি বনসৃজন বলে । কৃষি বনসৃজন বহু উদ্দেশ্য সার্বিক প্রকল্প ।

বনভূমিকে রক্ষা করা , প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখা , কৃষকের আয় বৃদ্ধি করা , সম্পদ সৃষ্টির ক্ষেত্রে নতুন সংযোজন করা প্রভৃতি নানান সুবিধার কথা ভেবেই কৃষি বনসৃজন প্রকল্প শুরু হয়েছে । ভারতে কৃষিবনায়ন ( উত্তরপ্রদেশ , কেরালার টাঙ্গিয়া ) , বনায়ন – পশুচারণ ব্যবস্থা , কৃষিবনায়ন ব্যবস্থা ( Agro – Silvi Pastral System ) দ্বারা কৃষি বনসৃজন হচ্ছে ।

কৃষি বনসৃজন ধারণাটি ১৯৭০ এর দশকে ব্যবহার করা হয়।

পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে এই কৃষি বনসৃজন ব্যবস্থার ব্যাপক প্রচলন লক্ষ্য করা যায়।কৃষি বনসৃজন ব্যবস্থায় জমির স্থিতিশীল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জমির মোট উৎপাদন ক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটানোই হচ্ছে মূল লক্ষ্য। 

কৃষি বনসৃজন সংজ্ঞা

যে পদ্ধতিতে একই জমিতে ফসল উৎপাদনের সাথে বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে মানুষের দৈনন্দিন চাহিদার পূরণ করাকেই কৃষি বনসৃজন বলে।

কৃষি বনসৃজন  হল এক ধরণের ভূমি ব্যবহার ব্যবস্থা যেখানে কোনো কৃষিজমি বা পশু খামারে একই সঙ্গে কৃষি ফসল উৎপাদন বা পশুপালনের সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের বৃক্ষ রোপন করে বাস্তুতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক মুনাফা লাভ কে বোঝানো হয়ে থাকে।  

কৃষি বনসৃজন এর দুটি উদ্দেশ্য

কৃষি বনসৃজনের মধ্য দিয়ে কৃষকের ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য সাধিত হলেও সামাজিক কিছু উদ্দেশ্যও সাধিত হয়। 

কৃষকের ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য

সামাজিক ও পরিবেশগত উদ্দেশ্য

কৃষি বনসৃজনের সুবিধা

কৃষি বনসৃজনের মাধ্যমে যে সমস্ত প্রাকৃতিক ও আর্থ-সামাজিক অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা যায় বা যে সমস্ত সুবিধা ভোগ করা যায়, সেগুলি হল-

(১) অব্যবহৃত, পতিত, পরিত্যক্ত ও সাধারণভাবে চাষবাসের অনুকূল নয় এমন জমিকে অর্থনৈতিকভাবে পুনরুদ্ধার করা যায়, উৎপাদনশীল করা যায়।

(২) ভূমিক্ষয় নিবারণ করা যায়।

(৩) কৃষকের আয় বৃদ্ধি পায়। কারণ কৃষি ফসল ছাড়াও ফলমূল, কাঠ ইত্যাদি বিভিন্ন মাধ্যমে কৃষকের আয় বাড়ানোর সুযোগ হয়।

(৪) ছদ্ম বেকারত্ব কমে। কৃষকের পরিবারভুক্ত লোকজনের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পায়।

(৫) জমিতে জৈব সারের পরিমাণ বাড়ে।

(৬) জমিতে অন্যান্য সুষম পুষ্টিমৌল সরবরাহের পরিমাণ বাড়ে।

(৭) জ্বালানির প্রয়োজন মেটে।

(৮) নিজের প্রয়োজনমতো কাঠ কৃষক নিজেই উৎপাদন করতে সমর্থ হয়।

(৯) বাজারে কাঠের জোগান বাড়ে। ফলে একদিকে কাঠের দাম নাগালের মধ্যে অন্যদিকে কাঠের জন্য বনভূমি ধ্বংস করার প্রবণতা কমে।

(১০) ভেষজ গাছগাছড়ার জোগান বৃদ্ধি পায়। ওষুধ শিল্পে কাঁচামালের অভাব কমে।

(১১) পশুখাদ্যের জোগান বৃদ্ধি পায়।

(১২) দুষণ প্রতিরোধ করা যায়।

(১৩) প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। বাস্তুতন্ত্র সুরক্ষিত হয়।

কৃষি বনসৃজনের অসুবিধা

(১) কৃষি বনভূমি গড়ে তোলার জন্য অনেক সময় লাগে (long gestation period)। ফলে কৃষকের তাৎক্ষণিক লাভের সুযোগ কম।

(২) অনেকের মতে ইউক্যালিপটাস জাতীয় গাছ মাটির রস বেশি মাত্রায় শোষণ করে নেয়। ফলে মাটি রুক্ষ হয়ে পড়ে।

(৩) সঠিক প্রজাতির গাছ বাছাই করা না হলে, জমি ছায়াঘন হয়ে পড়ে। সে কারণে স্বাভাবিক কৃষিকাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

(৪) কৃষি বনসৃজনের জন্য উদ্ভিদের কোনো বিদেশি (exotic) প্রজাতি রোপণ হলে, স্থানীয় জীববৈচিত্র্যের সঙ্গে তার অভিযোজন নাও হতে পারে। এই নতুন উদ্ভিদকে আশ্রয় করে ক্ষতিকর পোকার (pest) আমদানি হতে পারে।

সামাজিক বনসৃজন ও কৃষি বনসৃজন এর পার্থক্য

বিষয়কৃষি বনসৃজনসামাজিক বনসৃজন
১. উপাদানএটি একই সাথে নিদিষ্ট পরিমান জমিতে কৃষিজ ফসল, বনজ বৃক্ষ ও পশু খাদ্যের প্রযোজনীয় বৃক্ষের চাষ করা হয়।এটি একটি সমাজের ফল, পশু খাদ্য ও জ্বালানি কাঠ প্রভৃতির চাহিদা মেটানোর উদ্দেশ্যে বিস্তৃত অঞ্চলে করা হয়।
২. উদ্যোগএটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে করা হয়।এতে সমাজের সকল মানুষ অংশ গ্রহন করে।
৩. গবেষণার প্রয়োজনীয়তাকৃষি বনসৃজনের আগে সঠিক গবেষণার প্রয়োজন ।এক্ষেত্রে কৃষি বনসৃজনের মতো পূর্ব গবেষণার প্রয়োজন হয় না।
৪. জমির ব্যবহারকৃষি বনসৃজনের জন্য উর্বর কৃষি জমি ব্যবহার করা হয়।সামাজিক বনসৃজনের জন্য পতিত বা উন্মুক্ত জমির বেশি ব্যবহার করা হয়।
৫. অর্থনীতিব্যক্তিগত উপার্জন বৃদ্ধি এর প্রধান লক্ষ্য।এখানে আর্থিক উপার্জনের থেকে সামাজিক চাহিদা কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সামাজিক বনসৃজন ও কৃষি বনসৃজন এর পার্থক্য
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | বনসৃজন

Q1. সমাজভিত্তিক বনসৃজন কাকে বলে ?, সমাজ ভিত্তিক বনসৃজন কাকে বলে

Ans – সমাজভিত্তিক বনসৃজন” হল সেই কার্যক্রম, যা সমাজের উন্নয়ন এবং সুখবর্দ্ধনে সহায়তা করে।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে
Exit mobile version