WBBSE Science Class 6, Plant, উদ্ভিদ | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 পরিবেশ ও বিজ্ঞান Part 1
- WBBSE Science Class 6, Plant, উদ্ভিদ | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 পরিবেশ ও বিজ্ঞান Part 1
- উদ্ভিদের মূলের কাজ কি, উদ্ভিদের মূলের প্রধান কাজ কি, উদ্ভিদের মূলের প্রধান কাজ কী কী
- উদ্ভিদের মূলের ডগার টুপির মতো, উদ্ভিদের মূলের ডগার টুপির মতাে অংশের ঠিক ওপরের জায়গা যেখানে কোনাে রোঁয়া থাকে না সেটি হলো __
- উভচর উদ্ভিদ কাকে বলে
- উদ্ভিদ জগতের উভচর কাকে বলে
- একটি মৃত উদ্ভিদ কলার নাম, একটি মৃত উদ্ভিদ কলার নাম কি
- একবীজপত্রী ও দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের পার্থক্য, একবীজপত্রী ও দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের বীজ সংক্রান্ত পার্থক্য
- অগ্রস্থ প্রকটতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে যে উদ্ভিদ হরমোনের ভূমিকা লেখ
- অভিকর্ষ চলন উদ্ভিদের কোন অঙ্গে দেখা যায়
- আন্টার্কটিকার স্বাভাবিক উদ্ভিদ
- উদাহরণসহ বিভিন্ন ধরনের মরু উদ্ভিদ সম্পর্কে আলোচনা করো
- উদ্ভিদ ও প্রাণী সাইটোকাইনেসিস এর পার্থক্য, উদ্ভিদ ও প্রাণী সাইটোকাইনেসিস এর পার্থক্য লেখ, উদ্ভিদ ও প্রাণীর সাইটোকাইনেসিস এর পার্থক্য
- উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য
- এশিয়া মহাদেশের নিরক্ষীয় উষ্ণ মরু জলবায়ু স্বাভাবিক উদ্ভিদ
- FAQ | একবীজপত্রী উদ্ভিদ
উদ্ভিদের মূলের কাজ কি, উদ্ভিদের মূলের প্রধান কাজ কি, উদ্ভিদের মূলের প্রধান কাজ কী কী
উদ্ভিদের মূলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ মাটি থেকে পানি ও খনিজ লবণ টেনে কাণ্ডের মধ্য দিয়ে পাতায় পৌঁছে দেয়া। কচি মূলের আগার একটু পিছনে জন্মায় মূলরোম। এই মূলরোমই মাটি থেকে খাবার সংগ্রহ করে।
উদ্ভিদের মূলের প্রধান কাজগুলি হলো –
- উদ্ভিদকে মাটির সাথে শক্তভাবে আবদ্ধ করে রাখা ।
- মাটি থেকে জল ও প্রয়োজনীয় খনিজ লবণ শোষণে উদ্ভিদকে সাহায্য করে করা ।
- অনেক মূল খাদ্য সঞ্চয় করে রাখে।
উদ্ভিদের মূলের ডগার টুপির মতো, উদ্ভিদের মূলের ডগার টুপির মতাে অংশের ঠিক ওপরের জায়গা যেখানে কোনাে রোঁয়া থাকে না সেটি হলো __
উদ্ভিদের মূলের ডগার টুপির মতাে অংশের ঠিক ওপরের জায়গা যেখানে কোনাে রোঁয়া থাকে না সেটি হলো মূলত্র।
মূলের এই বেড়ে ওঠার জায়গার ঠিক ওপরের জায়গা রোঁয়া রোঁয়া জায়গা কে মূলরোম অঞ্চল বলে।
উভচর উদ্ভিদ কাকে বলে
উত্তর: যেসব উদ্ভিদ আংশিকভাবে জলজ এবং আংশিকভাবে স্থলজ তাদেরকে উভচর উদ্ভিদ বলে। এসব উদ্ভিদ জলের কিনারায় জন্মে কিন্তু এদের মূল বা কান্ড জলের মধ্যে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে।
যেমন: কেশরদাম , কলমিশাক, হেলেঞ্চা , স্প্যাগমন, ফানেরিয়া , বিভিন্ন মস জাতীয় উদ্ভিদ ইত্যাদি।
উদ্ভিদ জগতের উভচর কাকে বলে
ব্রায়োফাইটসকে উদ্ভিদ রাজ্যের উভচর বলে অভিহিত করা হয় কারণ এই গাছগুলি মাটিতে থাকলেও যৌন প্রজননের জন্য তাদের পানির প্রয়োজন হয়। ব্রায়োফাইটের শুক্রাণু (অ্যানথেরোজয়েডস) ফ্ল্যাজলেট হয় এবং ডিমগুলিতে সাঁতার কাটার জন্য পানির প্রয়োজন হয়। অন্য কথায়, এই গাছগুলিকে অন্যান্য গাছের তুলনায় প্রজননের জন্য জলের প্রয়োজন হওয়ায় এগুলিকে উভচর হিসাবে অভিহিত করা হয়।
একটি মৃত উদ্ভিদ কলার নাম, একটি মৃত উদ্ভিদ কলার নাম কি
স্ক্লেরেনকাইমা হল উদ্ভিদের মৃত যান্ত্রিক টিস্যু। তারা দীর্ঘ এবং সরু কোষ দ্বারা গঠিত হয়। এই কোষগুলিতে একটি কোষ প্রাচীর থাকে যা লিগনিন নিয়ে গঠিত। এই টিস্যুগুলির প্রধান কাজ উদ্ভিদ দেহকে যান্ত্রিক সহায়তা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।
একবীজপত্রী ও দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের পার্থক্য, একবীজপত্রী ও দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের বীজ সংক্রান্ত পার্থক্য
একবীজপত্রী উদ্ভিদ | Monocot Plant | দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ | Dicot plant |
---|---|
একবীজপত্রী উদ্ভিদ একক বীজপত্রধর সপুষ্পক উদ্ভিদ। গুচ্ছমূল এবং পাতায় সমান্তরাল শিরাবিন্যাস দেখে মাঠপর্যায়ে একবীজপত্রী উদ্ভিদ সহজেই শনাক্ত করা যায়। জাতিবিচারে একবীজপত্রীরা অত্যন্ত আদিম রেনেলীয় বংশধারা থেকে উদ্ভূত বলে মনে করা হয় এবং তদনুসারে এ বর্গ দ্বিবীজপত্রীর তুলনায় উন্নত। | দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ দুটি বীজপত্র বিশিষ্ট উদ্ভিদ। এসব উদ্ভিদ সপুষ্পক উদ্ভিদের একটি প্রাকৃতিক দল, যাদের বীজ ফলের মধ্যে আবদ্ধ থাকে। দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ Angiosperm-এর একটি শ্রেণি হিসেবে বিবেচিত হয়। দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে একটি যাতে সমস্ত সপুষ্পক উদ্ভিদ বিভক্ত ছিল। নামটি দ্বারা গোষ্ঠীটির আদর্শ বৈশিষ্ট্য – বীজের দুটি ভ্রুণপত্র বা বীজপত্র রয়েছে- বোঝায়। |
অধিকাংশ একবীজপত্রী উদ্ভিদ গুল্মজাতীয় ওষুধি, ব্যতিক্রম Arecaceae গোত্র, যেখানে আছে বৃক্ষসম কিছু প্রজাতি (তাল, রয়েল পাম, নারিকেল, খেজুর ইত্যাদি), আর এগুলি সাধারণত শাখাবিহীন, অগ্রভাগের পাতাগুলি গুচ্ছবদ্ধ যা দ্বিবীজপত্রীতে থাকে না। অথাৎ যেসব উদ্ভিদের বীজে একটি মাত্র বীজপত্র থাকে, তাদের একবীজপত্রী উদ্ভিদ বলে। যেমন: ধানগাছ, গমগাছ, ভুট্টাগাছ। | প্রায় ২০০,০০০ টি প্রজাতি এই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। অন্য গ্রুপের সপুষ্পক উদ্ভিদগুলোকে একবীজপত্রী বলা হয়, সাধারণত একটি বীজপত্র থাকে। ঐতিহাসিকভাবে, এই দুটি গ্রুপ সপুষ্পক উদ্ভিদের দুটি বিভাগ গঠন করেছিল। সুবীজপত্রী হল দ্বিবীজপত্রীদের মধ্যে বৃহত্তম গোষ্ঠী । এগুলো তাদের পরাগের কাঠামোর কারণে অন্যান্য সমস্ত সপুষ্পক উদ্ভিদ থেকে আলাদা। |
অগ্রস্থ প্রকটতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে যে উদ্ভিদ হরমোনের ভূমিকা লেখ
অক্সিন হরমোন উদ্ভিদের অগ্রস্থ প্রকটতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। অক্সিন হরমোনের তিনটি ভূমিকা:
- অক্সিন হরমোন উদ্ভিদ কোষ বিভাজনে সাহায্য করে।
- অক্সিন হরমোন কোষ প্রাচীর কে নমনীয় করে এবং কোষপ্রাচীরের নতুন উপাদান সঞ্চিত করে কোষের সামগ্রিক বৃদ্ধি।
- অক্সিন হরমোনের প্রভাবে উদ্ভিদ কোষ বিভাজিত হয় এবং কোষ আয়তনে বৃদ্ধি পায়।
- কম ঘনত্বের অক্সিন মূলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অক্সিন হরমোন উদ্ভিদের ফটোট্রপিক ও জিওট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
অভিকর্ষ চলন উদ্ভিদের কোন অঙ্গে দেখা যায়
অভিকর্ষজ চলন উদ্ভিদের মূল বা শিকড়ে দেখা যায়।
আন্টার্কটিকার স্বাভাবিক উদ্ভিদ
কোন গাছ বা গুল্ম নেই, এবং শুধুমাত্র দুটি প্রজাতির সপুষ্পক উদ্ভিদ পাওয়া যায়: অ্যান্টার্কটিক চুলের ঘাস (ডেসচ্যাম্পসিয়া অ্যান্টার্কটিকা) এবং অ্যান্টার্কটিক পার্লওয়ার্ট (কোলোবানথাস অ্যাফেনসিস)। এগুলি দক্ষিণ অর্কনি দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ শেটল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ এবং পশ্চিম অ্যান্টার্কটিক উপদ্বীপে ঘটে।
উদাহরণসহ বিভিন্ন ধরনের মরু উদ্ভিদ সম্পর্কে আলোচনা করো
মরু উদ্ভিদ একটি প্রজাতি, যারা অভিযোজন ক্ষমতার সাহায্যে মরুভূমির মতো শুষ্ক বালুকাময় বা আল্পস, আর্কটিক-এর মতো বরফ অথবা তুষর-আচ্ছাদিত অঞ্চল, যেখানে অতি সামান্য তরল জল মেলে, তেমন পরিবেশে টিকে থাকতে পারে। মরুজ উদ্ভিদের জনপ্রিয় উদাহরণ, ক্যাকটাস, আনারস এবং কিছু জিমনোস্পার্ম উদ্ভিদ।
ক্যাকটাসের মতো মরুজ উদ্ভিদ, মাটির গভীরে তাদের শিকড় প্রসারিত করে জল সঞ্চয় করার ক্ষমতা রাখে এবং শুষ্ক পরিবেশ সামাল দেয়। কাঁটাযুক্ত পাতাগুলিতে মোমের আস্তরণ থাকায়, জল এবং আর্দ্রতা হ্রাস, রোধ করে। এমনকি তাদের মাংসল কাণ্ড, জল সঞ্চয় করতে পারে। কাণ্ড চ্যাপ্টা, সবুজ ও রসালো এবং কিউটিকল পুরু এবং মম জাতীয় আবরণে আবৃত থাকে।
মরুজ উদ্ভিদ নিম্নলিখিত অভিযোজন গুলো দেখা যায়-
- কাণ্ড চ্যাপ্টা, সবুজ ও রসালো এবং কিউটিকল পুরু এবং মম জাতীয় আবরণে আবৃত থাকে। কাণ্ড সবুজ হওয়াই সালোক সংশ্লেষ হতে সক্ষম। পত্ররন্দ্র থাকে না এবং পুরু কিউটিকল এর জন্য জল বাষ্পীভূত হতে পারে না।
- পাতা কাঁটাই রুপান্তরিত হয় অথবা ক্ষুদ্রাকার এবং পুরু কিউটিকোল যুক্ত, যাতে বস্পোমোচোন রোধ হয়।
- প্রধান মূল খুব দীর্ঘ হওয়াই জলের সন্ধানে মাটির গভীরে প্রবেশ করে ।
- পার্শীয় মূলগুলো মাটির নীচেই ছড়িয়ে থাকে, যাতে অল্প বৃষ্টির জলও দ্রুত শোষণ করতে পারে ।
- কণ্টক এবং রোম তৃণভোজী প্রাণীদের থেকে আত্মরক্ষায় সাহায্য করে ।
উদ্ভিদ ও প্রাণী সাইটোকাইনেসিস এর পার্থক্য, উদ্ভিদ ও প্রাণী সাইটোকাইনেসিস এর পার্থক্য লেখ, উদ্ভিদ ও প্রাণীর সাইটোকাইনেসিস এর পার্থক্য
চরিত্র | উদ্ভিদ সাইটোকাইনেসিস | প্রাণী সাইটোকাইনেসিস |
---|---|---|
বর্ণনা | উদ্ভিদ কোষের সাইটোপ্লাজমিক বিভাগকে উদ্ভিদ সাইটোকাইনেসিস বলা হয়। | প্রাণী কোষের সাইটোপ্লাজমিক বিভাজনকে প্রাণী সাইটোকাইনেসিস বলা হয়। |
বিভাগের মোড | মা কোষের মাঝখানে একটি সেল প্লেট গঠনের মাধ্যমে কোষগুলিকে ভাগ করা হয়। | কোষগুলি মাতৃ কোষের উভয় পাশে একটি ক্লিভেজ ফুরো গঠনের দ্বারা বিভক্ত হয়। |
বিভাগের নির্দেশনা | বিভাজন কেন্দ্রীভূতভাবে ঘটে, অর্থাৎ সেল প্লেট কেন্দ্র থেকে পেরিফারের দিকে চলে যায়। | বিভাজন কেন্দ্রীভূতভাবে ঘটে, অর্থাৎ, ক্লিভেজ ফুরো পরিধি থেকে কেন্দ্রে বৃদ্ধি পায়। |
সেল প্লেট গঠন | গলগি যন্ত্রপাতি থেকে ভেসিকেলগুলি কোষের প্রাচীরের উপাদানগুলিকে কোষের বিষুবরেখায় নিয়ে যায় এবং একটি সেল প্লেট তৈরি করে যা কোষের পরিধির দিকে চলে যায় | প্রাণী কোষে এমন কোনো ঘটনা ঘটে না। |
কোষের ঝিল্লি | কোষের ঝিল্লি চিমটি করে না। | কোষের ঝিল্লি দুটি কন্যা কোষে বিভক্ত হয়। |
খাঁজ কাটা | উদ্ভিদ কোষে এমন কোন ঘটনা নেই। | অ্যাক্টিন এবং মায়োসিন ফিলামেন্ট দ্বারা মাঝখানে একটি সংকোচনশীল বলয় তৈরি হয় যা ক্লিভেজ ফিরোকে কেন্দ্রের দিকে টেনে নেয়। |
উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য
উদ্ভিদ ও প্রানীর পারস্পরিক নির্ভরশীলতা আমরা চাক্ষুষ করতে পারি কিন্তু বৈশিষ্ট্যগতভাবে উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
উদ্ভিদ | প্রাণী |
উদ্ভিদ সাধারণত স্বেচ্ছায় স্থান পরিবর্তন করতে পারে না (ব্যতিক্রম : ক্ল্যামাইডােমানাস, ভলভক্স, ডায়াটম ইত্যাদি নিম্নশ্রণীর উদ্ভিদ)। | প্রাণীরা স্বেচ্ছায় স্থান পরিবর্তনে সক্ষম। (ব্যতিক্রম : স্পঞ্জ, প্রবাল প্রভৃতি প্রাণী ।) |
উদ্ভিদের আকার ও আয়তন নির্দিষ্ট নয়। | প্রাণীর আকার ও আয়তন নির্দিষ্ট। |
উদ্ভিদ-কোষের সজীব কোষ-আবরণীর বাইরে জড় পদার্থ দিয়ে গঠিত কোষ-প্রাচীর আছে। | প্রাণী-কোষের কোষ-প্রাচীর থাকে না। |
উদ্ভিদ-কোষে প্লাস্টিড থাকে। (ব্যতিক্রম : ছত্রাক)। | প্রাণী-কোষে প্লাস্টিড থাকে না (ব্যতিক্রম : ক্রাইস্যামিবা, ইউগ্নিনা)। |
উদ্ভিদ-কোষে সেন্ট্রোজোম (ব্যতিক্রম : ফ্ল্যাজেলাযুক্ত শৈবাল, যমন : ক্ল্যামাইডামানাস) ও লাইসােজোম থাকে না। | প্রাণী-কোষে সেন্ট্রোজোম ও লাইসােজোম থাকে (স্নায়ু কোষে সেন্ট্রোজোম নিষ্ক্রিয়)। |
উদ্ভীদেরা কঠিন খাদ্য গ্রহণ করতে পারে না, তরল খাদ্য গ্রহণ করে। | প্রাণীরা কঠিন ও তরল, উভয় প্রকার খাদ্য গ্রহণ করতে পারে। |
বেশীর ভাগ উদ্ভিদের পুষ্টি পদ্ধতি স্বভাজী প্রকৃতির। | প্রাণীদের পুষ্টি পদ্ধতি পরভােজী প্রকৃতির (ব্যতিক্রম : ইউগ্লিনা।) |
উদ্ভিদেরা সালােকসংশ্লেষে সক্ষম। (ব্যতিক্রম : ছত্রাক, স্বর্ণলতা)। | প্রাণীরা সালােকসংশ্লেষে অক্ষম। (ব্যতিক্রম : ইউগ্লিনা, ক্রাইস্যামিবা।) |
উদ্ভিদ-দেহে কোন শ্বাসযন্ত্র পরিলক্ষিত হয় না। | প্রাণিদেহে, বিশেষ করে উন্নত প্রাণীদের দেহে সুনির্দিষ্ট শ্বাসযন্ত্র পরিলক্ষিত হয়। |
উদ্ভিদদের রেচনতন্ত্র থাকে না। এরা রেচন পদার্থ উপজাত পদার্থরূপে কোষে সঞ্চিত রাখে। | প্রাণীদের সাধারণত সুনির্দিষ্ট রেচনতন্ত্র থাক। প্রাণীরা রেচন পদার্থ বিশেষ প্রক্রিয়ায় দেহের বাইরে নির্গত করে। |
উদ্ভীদদের স্নায়ুতন্ত্র নেই। | প্রাণীদের স্নায়ুতন্ত্র আছে। (ব্যতিক্রম : এককোষী প্রাণী)। |
উদ্ভীদের বৃদ্ধি অসম প্রকৃতির এবং প্রায় সারাজীবন ধরেই এদের বৃদ্ধি ঘটে। | প্রাণীদের বৃদ্ধি সুষম; মৃত্যুর বহু আগেই এদের বৃদ্ধি শেষ হয়ে যায়। |
উদ্ভিদের অঙ্গজ জনন দেখা যায়। | প্রাণীদের অঙ্গজ জনন দেখা যায় না। |
উদ্ভীদের ভ্রুণ কিছুকাল পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় থাকে। | প্রাণীদের ভ্রূণ কোন অবস্থাতেই সুপ্ত থাকে না। |
এশিয়া মহাদেশের নিরক্ষীয় উষ্ণ মরু জলবায়ু স্বাভাবিক উদ্ভিদ
নিরক্ষরেখার কাছাকাছি 10°উঃ অক্ষরেখা থেকে 10°দঃ অক্ষরেখার মধ্যবর্তী এশিয়া মহাদেশের অন্তর্গত ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা, সিঙ্গাপুর, মালদ্বীপ ইত্যাদি দেশে নিরক্ষীয় জলবায়ু দেখা যায়। সূর্যরশ্মি সারাবছর লম্বভাবে পতিত হয় বলে এই অঞ্চলের বার্ষিক গড় উষ্ণতা থাকে 25°-30° সেলসিয়াস এবং প্রতিদিন বিকেলে পরিচালন বৃষ্টিপাত প্রভাবে এই অঞ্চলে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ থাকে 200-250 সেমি।
উক্ত জলবায়ুগত অবস্থার প্রভাবে এই অঞ্চলে মেহগিনি, রোজউড, আয়রন উড, আবলুস, সেগুন, রবার, কোকো, সিঙ্কোনা ইত্যাদি চিরহরিৎ উদ্ভিদ জন্মায়।এই উদ্ভিদগুলি দীর্ঘাকার হয় ও সারাবছর সবুজ থাকে।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
আরো বিশদে পড়তে
পশ্চিমবঙ্গ বোর্ড WBBSE-এর ছাত্রদের জন্য ক্লাস 9 লাইফ সায়েন্স নোট এবং রেফারেন্স বই তাদের সহজে প্রস্তুত করতে এই বইটি বাংলা মাধ্যমের ছাত্রদের জন্য
FAQ | একবীজপত্রী উদ্ভিদ
Q1. একবীজপত্রী উদ্ভিদ কাকে বলে
Ans – যে সকল উদ্ভিদের বীজে একটিমাত্র বীজপত্র থাকে তাদেরকে একবীজপত্রী উদ্ভিদ বলে। যেমন – নারিকেল । পাতায় সরল শিরাবিন্যাস বিদ্যমান। গাছের বাকল অপরিবর্তিত থাকে।
Q2. একবীজপত্রী উদ্ভিদের মূলের বৈশিষ্ট্য
Ans – একবীজপত্রী মূলের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য হলাে :-
১. মূলত্বকে কিউটিকল অনুপস্থিত ও এককোষী রােম যুক্ত ।
২. হাইপােডার্মিস বা অধঃত্বক নেই ।
৩. ভাস্কুলার বাণ্ডল অরীয় এবং একান্তরভাবে সজ্জিত ।
৪. মেটাজাইলেম কেন্দ্রের দিকে এবং প্রােটোজাইলেম পরিধির দিকে অবস্থিত।
Q3. একবীজপত্রী উদ্ভিদ উদাহরণ
Ans – যে উদ্ভিদের বীজে একটিমাত্র বীজপত্র থাকে, সেই উদ্ভিদকে একবীজপত্রী উদ্ভিদ বলা হয়। উদাহরণ- ধান, গম, ভুট্টা, নারকেল ইত্যাদি।